Ex গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ১১

0
500

Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১১
#আবির হাসান নিলয়

আমিঃতোর কোলে বসে আসতে হবে নাকি?
জান্নাতঃহো আসতে হবে,আমার কোলে বসে
তোর আসতে হবে।
আমিঃভাগ এখান থেকে
জান্নাতঃযামু না
আমিঃআমাকে ভালোবাসিস?
জান্নাতঃনা
আমিঃতাহলে তোর সাথে আসবো কেনো?
জান্নাতঃআমরা ছোট বেলার ফ্রেন্ড
আমিঃজুনিয়রদের সাথে কিসের ফ্রেন্ড
জান্নাতঃওমনি ফ্রেন্ড আমরা
আমিঃমানি না তোকে
জান্নাতঃনা মানলেও ফ্রেন্ড
আমিঃভালো
জান্নাতঃভালো মানে,চল আমার সাথে
আমিঃতোর সাথে কোথায় যাবো?
জান্নাতঃবিয়ে করবো কুত্তা
আমিঃলাথি দিয়ে নদীতে ফেলে দেবো।মাহি
আসছে,ওকে সময় দিতে হবে।
জান্নাতঃবৃষ্টি তো আছেই
আমিঃতোর সাথেও তো ওরা আছে
জান্নাতঃতুই আমার সাথে ঘুরবি কিনা বল
আমিঃমাহি আমাদের সাথে থাকবে
জান্নাতঃবা***,ঠাসস যা কুত্তা ওকে নিয়ে
আয়।একসাথে ঘুরবো।
আমিঃতো মারার কি আছে(গালে হাত দিয়ে)
জান্নাতঃমেজাজ খারাপ করিস না
আমিঃযাচ্ছি

জান্নাতের থেকে এসে মাহির কাছে আসলাম।
আমিঃবৃষ্টির সাথে ঘুরাফেরা কর,আমার
একটু ওর সাথে কথা আছে।
মাহিঃজান্নাত আপুর সাথে?
আমিঃহুম
মাহিঃতুই ওকে ভালোবাসিস তাই না?
আমিঃহোপ
মাহিঃবুঝি বুঝি
আমিঃথাক আমি গেলাম
মাহিঃআচ্ছা
আমিঃকুত্তী ওর খেয়াল রাখবি,যদি কিছু হয়
তোর খবর আছে।
বৃষ্টিঃসর কুত্তা

ওদের থেকে চলে এসে জান্নাতের কাছে
আসলাম।
জান্নাতঃকই তোর মাহি
আমিঃআসে নাই
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃকোথায় যাবি সেটা বল,সেখানে বসে
বলবো।হুদাই দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নাই।
জান্নাতঃঐ গাছগুলোর কাছে যায়।পরিবেশ
অনেক নিরিবিলি,আর কোনো হৈচৈ নাই।
আমিঃওকে

জান্নাতের সাথে আসার সময় কিছু খাবার
নিয়ে আসলাম।বলা যায়না কখন কার
ক্ষুধা লেগে বসে।আর দুপুরে খাওয়াও হয়নি।
জান্নাতের সাথে কিছু গাছের মধ্যে আসলাম।
গাছগুলো একটু উঁচুতে,তাই অনেকটা ভালো
করেই আশেপাশের এলাকা দেখা যাচ্ছিলো।
শীতল হওয়া এসে নিজেদের ক্লান্তকে দূর
করে দিচ্ছে।জান্নাত কিছু না বলে কাঁদে মাথা
রেখে আমার বাম হাত ধরলো।
আমিঃঘুরার নাম করে বসলি যে
জান্নাতঃকথা আছে তাই
আমিঃবল
জান্নাতঃতুইও চলে যাবি?
আমিঃনা
জান্নাতঃকেনো?তুইও চলে যা।
আমিঃআমার যাওয়া দেরি আছে।অনার্স
শেষ করেই এখান থেকে যাবো।
জান্নাতঃওখানে গিয়েই শেষ করিস,এখানে
থেকে নিজের জীবনের রিস্ক বাড়িয়ে কি
লাভ আছে?
আমিঃকোনো রিস্ক নাই
জান্নাতঃভালোবাসিস আমাকে?
আমিঃঅনেক বেশি,তুই ভাসিস না?
জান্নাতঃজানিনা
আমিঃআমার দিকে দেখ
জান্নাতঃহু
আমিঃযদি আমাকে ভালোবাসিস তাহলে বল,
তোকে আমার করে পাওয়ার জন্য এখন
সব কিছু করতে পারবো।আর আব্বু আম্মু
যেখানে থাকবে সেখানকার খোজ কেউ
জানে না।
জান্নাতঃকিন্তু যদি আব্বু তোর কোনো ক্ষতি
করে।তাহলে আমি কি করব?
আমিঃযদি আমাকেই না পাস তাহলে?
জান্নাতঃ…….
আমিঃভালো না বাসলে চলে গেলাম আমি
জান্নাতঃচলে যা
আমিঃসত্যি কিন্তু চলে যাবো,ওখানে গিয়ে
নতুন একটা মেয়ে পটাবো।
জান্নাতঃযা খুশি কর

কিছু সময় করে রইলাম।তবে কেনো জানি
আমার চুপ থাকতে ভালো লাগছিলো না।
আমিঃতখন আমাকে মারলি কেনো?
জান্নাতঃইচ্ছা তাই

দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতেই আমি
এবার জান্নাতকে কিস করে দিলাম।?
কিছু সময় পর জান্নাত আমাকে ধাক্কা দিয়ে
ছাড়িয়ে দিলো।
আমিঃখুব মিষ্টি ছিলো তাই না?
জান্নাতঃজাহান্নামে যা কুত্তা
আমিঃতুই চল,দুজন একসাথে যাই
জান্নাতঃছি:কি গন্ধ,তুই আমাকে কিস করলি
কেনো সেটা বল?
আমিঃতুই আটকালি না কেনো?
জান্নাতঃআমি জানতাম তুই এসব করবি?
আমিঃএসব না,এটা কিস।চাইলে আরেকটা
তোমার জন্য দিতে পারি।দিবো??
জান্নাতঃনিজের জায়গা নিজে থাক
আমিঃতখন তো কোলে নিতে চাইছিলি।
জান্নাতঃতখনকার কথা তখন ছিলো
আমিঃআব্বু আম্মু তোকে বাসায় যেতে বলছে
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃউনারা চলে যাবে,তাই তোর সাথে
একবার কথা বলে যেতে চায়।
জান্নাতঃকিন্তু আমার বাসার সবাই….
আমিঃআজ রাতে থাকবি,তোর মামাকে কল
দিয়ে বল ফ্রেন্ডের বাসায় আসছিস।
জান্নাতঃওকে বলবো
আমিঃআরেকটা দেয়?
জান্নাতঃনা,একদমই না…নিলয়…….

কে শোনে কার কথা,পাগলিটাকে ধরে লম্বা
একটা কিস করে দিলাম।যদিও বার বার
আমার থেকে ছুটতে চাইছিলো।তবে শক্ত
করে ধরে রাখার জন্য কোনো ভাবেই ছুটতে
পারছিলো না।অনেকটা সময় পর জান্নাতের
ঠোঁট থেকে নিজের ঠোট ছাড়িয়ে নিতেই
শুরু হলো মারের পালা।অনেক কষ্টে ওর
হাত দুটো ধরে শান্ত করালাম।তবে অনেকটা
হাপিয়ে উঠেছে।জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছিলো।
জান্নাতের এমন রাগ দেখে অনেক হাসি পাচ্ছিলো।
জান্নাতকে এবার ছেড়ে দিয়ে শক্ত করে ধরে
মুচকি হাসতে লাগলাম।জান্নাত নিজেও
আমার সাথে হাসতে শুরু করে দিছে।
আমিঃতুই স্বিকার করছিস না কেনো?
জান্নাতঃকি?
আমিঃএইযে তুই আমাকে ভালোবাসি
জান্নাতঃআজাইরা
আমিঃকি আজাইরা?
জান্নাতঃতোকে ভালোবাসি না।
আমিঃতাহলে আমার থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছিস
না কেনো?
জান্নাতঃওকে ছাড় আমাকে
আমিঃবলার পর বললে কিভাবে ছেড়ে দেই.!
জান্নাতঃআইছে ঢং করতে

কিছু সময় কথা বলার পর পরিবার নিয়ে
জিজ্ঞাস করলাম।
আমিঃতোমার বাবার সাথে কথা হয়?
জান্নাতঃনা
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃতুই জানোস না কেনো?
আমিঃতবুও,উনি তোমার বাবা।
জান্নাতঃকেমন বাবা..!মেয়ের সুখের কথা
ভাবে না।আম্মু কিছু বলাতে উনার গায়ে
হাত তোলে।
আমিঃআচ্ছা বাদ দাও এসব।
জান্নাতঃহুম
আমিঃআজ তাহলে আমার বাসায় যাচ্ছো?
জান্নাতঃদাড়া এখনি কল দেয়
আমিঃকাকে?
জান্নাতঃমামাকে
আমিঃওকে,বাট লাউড স্পিকারে
জান্নাতঃআচ্ছা

হাতে ফোন নিয়ে কল দেয়ার সময় লাউড
স্পিকার করলো।যদিও আমাদের স্যার তবে
জান্নাতের মামা,সেই হিসাবে মামাই বললাম…
জান্নাতঃমামা
মামাঃহ্যা বল
জান্নাতঃআজ বাসায় যাবো না
মামাঃকেনো?
জান্নাতঃফ্রেন্ডের বাসায় থাকবো যে তাই
মামাঃকোন ফ্রেন্ড?
জান্নাতঃবয়ফ্রেন্ড আর কিছু শুনবা?
মামাঃহাহাহা,পাগলি।সত্যি আসবি না তাহলে?
জান্নাতঃনা মামা
মামাঃআচ্ছা
জান্নাতঃতবে কাউকে বলবে না।
মামাঃতোর মামিরা এমনিতেই জেনে যাবে
জান্নাতঃতবে আম্মু জেনো না জানে
মামাঃবোন জানলে কিছুই হবে না।
জান্নাতঃতবুও বলবা না
মামাঃআচ্ছা বলবো না
জান্নাতঃকসম নাও আমার
মামাঃআরে বলবো না
জান্নাতঃথ্যাংকু মামু,বাই
মামাঃহুম

কল কেটে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে
দিলো।আমিও কিছু না বলে কপালে চুমু
দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।কতোটা
সময় ওখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম মনে
নেই।যদি আরো কিছু সময় বসে আড্ডা
দিতে পারতাম তাহলেও হয়তো আমাদের
কাছে কম মনে হতো।

হঠাৎ সবার ডাক শুনে উঠে দাঁড়ালাম।
জান্নাতঃকি হয়েছে তোদের?
মাহিঃআমাদের কিছু হয়নি,আশেপাশে একটু
নজর দেন।সন্ধ্যা হতে চলেছে লায়লা মজনু।
জান্নাতঃতাই তো,খেয়ালি করিনি।
মাহিঃতোমাদের তো এসব খেয়াল থাকবেও
না।তাড়াতাড়ি আসো গাড়ি ঠিক করা হয়েছে।
আমিঃহুম চল

দুজন সেখান থেকে এসে গাড়িতে উঠলাম।
এবার জান্নাত আমাদের সাথেই উঠেছে।
যদিও গাড়িতে উঠার পর ওর সাথে তেমন
কথা বলছি না।আর কিভাবেই বলবো…!
আমরা দুজন সামনে বসছি,আর বৃষ্টি,মাহি
জান্নাত পেছনে।ওরা ওদের মতো কথা বলছে
আর আমরা আমাদের মতো করে।

রাফির বাসা আমার বাসা পাওয়ার আগে
তাই রাফিকে নামিয়ে দিয়ে সোজা আমাদের
বাসার সামনে গিয়ে গাড়ি থামাতে বললাম।
বৃষ্টিকে বাসায় যেতে বলে আমরাও বাসায়
চলে আসলাম।বাসায় এসে কলিংবেল
বাজানোর পর আম্মু দরজা খুললো।আম্মুকে
দেখে জান্নাত সালাম করে বাসার ভিতরে
ঢুকলো।জান্নাতকে দেখে আম্মু আব্বু দুজনেই
অনেক বেশিই অবাক আর খুশি।
আম্মুঃতাহলে আমাদের কথা মনে পড়লো?
জান্নাতঃনা আম্মা,আসলে তুমি তো জানোই
আম্মুঃআমার মেয়ে হবি?
জান্নাতঃএখন কি মেয়ে না?
আম্মুঃআমার ছেলেকে বিয়ে করে হবি
জান্নাতঃসেটার জন্য অনেক সময় আম্মা।
আগে বলছিলাম তবে তোমার ভিতু ছেলে
আমাকে না করে দিছিলো।এখন আমার
পিছে ঘুরুক। তবে আম্মা আমি পড়াশোনা
শেষ না করে বিয়ে করবো না।
আব্বুঃহুম সেটাই ভালো।তখন দুজনই ছোট
একটা জব করলে সংসার চালাতে পারবে।
জান্নাতঃহুম
আম্মাঃযা ফ্রেস হয়ে আয়,আমি নাস্তা দিচ্ছি
জান্নাতঃআচ্ছা
জান্নাত মাহির সাথে চলে গেলে আমিও
আমার রুমে ফ্রেস হওয়ার জন্য আসলাম।

রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে ফোন চালাচ্ছি
তখন জান্নাত রুমে আসলো।
আমিঃবিয়ের আগেই স্বামীর রুমে?
জান্নাতঃভাগ সালা,এমনিই আসলাম।
আমিঃঅনেক কারণেও মানুষ আসে
জান্নাতঃহুম জানি।তবে সবাই তো আর তোর
মতো লুচ্চা না।
আমিঃতুই কি..!লুচ্চার সাথে থাকিস সারাদিন
জান্নাতঃতাতে মনে হয় কিছু হয়ছে?
আমিঃচাইলে তো হবে
জান্নাতঃকোনো দরকার নাই
আমিঃআয় বাসর করি?
জান্নাতঃতোর দরকার তাই তুই নিজেই বাসর
কর।আমি গেলাম।
আমিঃতোমাকে ছাড়া কিভাবে বাসর করবো।
তুমি থাকো,,,হিহিহি
জান্নাতঃকুত্তা আবাল একটা।

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here