সে আদরের অন্য নাম পর্ব-১৭

0
393

? #সে_আদরের_অন্য_নাম ?

#পর্ব_১৭

সেদিন হিয়া প্রায় এক ঘন্টা যাবাৎ ওভাবেই দরজার নিচে বসে কাদছিলো কিন্তু উজান হিয়ার কোনো কথা শুনতে চাইছিলো না,হিয়ার কান্নার রেশ বাড়লে উজান বেড়িয়ে আসে,হিয়া উজানকে প্রমিস করে আমাকে এক টা সপ্তাহ সময় দিন আমি আপনাকে সব বলবো,উজান বলে ঠিক আছে বাট এরকম ভুল এটাই লাস্ট

আজ দুদিন পর

ডাইনিং টেবিলে হিয়া বসে কাঁচা আম ছিড়ে লবন দিয়ে পিসে খাচ্ছে,হঠাৎই ফয়সাল এসে দরজা নক করে আজ তার দরকার উজানকে,তার গাড়িটার কি জানি নষ্ট হয়েছে সেটা ঠিক করবার জন্য,হিয়া দরজা খুলে দিলে ফয়সাল গিয়ে উজানের সাথে ওর রুমে বসে গাড়ি নিয়ে কি সব দেখাতে থাকে,আর হিয়া আম হাতে খেতে খেতে উজান কি করে গাড়ি টা ঠিক করে তাই দেখতে থাকে

ফয়সালঃ বাহ হয়ে গেলো ঠিক,,,ইয়েএএ বন্ধু তো ম্যাজিক জানে,,,থ্যাংকু থ্যংকু,,,,,,,হিয়া পরী

হিয়াঃ হুম

ফয়সালঃ কি খাচ্ছ ওটা চিবিয়ে চিবিয়ে

হিয়াঃ খাবে,,কাঁচা আম সেই মজা,,দেবো

ফয়সালঃ না টককক আমি খাই না,,আজকে কি হয়েছে জানোওও হিয়া পরীইইই,, তোমার আম খাওয়া দেখে মনে পড়ে গেলো আমার

হিয়াঃ কি হয়েছে রে

ফয়সালঃ কে জানি ছাঁদ এর গাছ থেকে তিনটে আম চুড়ি করে নিয়ে গেছে,,আর বাড়ি ওয়ালা লোকটার মোটা বউ টা কি চিৎকার

ফয়সালের কথায় উজান ভূ কুঁচকে হিয়ার দিকে তাকিয়ে আবার গাড়িটা হাতে নিয়ে দেখতে শুরু করে

হিয়াঃ ইয়ে তাই নাকি,ছাঁদে ছাঁদে আম গাছ আছে জানতাম না তো

ফয়সালঃ ওরে আম কেনো পেয়ারা কমলা সব গাছ আছে তো তুমি দেখোই নি,কি করো ছাঁদে গিয়ে তা আন্ডা পারো

হিয়াঃ না সোনা আন্ডা পারি না,,আমি ছাঁদে আকাশ দেখতে যাই গাছ পালা না হু

হিয়া একটা ভাব নিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্লোরে বসে এক হাতে বই অন্য হাতে আম নিয়ে পড়া শুরু করে,ফয়সাল চলে গেলে উজান গেট লাগিয়ে হিয়ার পাশে গিয়ে বসে হিয়ার হাত থেকে বই টা রেখে হিয়ার কোলে মাথা রাখে

হিয়াঃ আআআআ আপনাকে বলেছি না,এই যখন তখন আমার কাছে আসবেন না,কেনো শুনেন না আপনি আমার কথা,অসভ্য কোথাকার

উজানঃ(কান থেকে হাত সরিয়ে) শেষ বলা

হিয়াঃ হ্যা শেষ,,এখন উঠুন আপনি আমার উপর থেকে,উঠুন বলছি

উজানঃ তোমার এতো আম খেতে ইচ্ছে করছিলো সেটা আমাকে বললেই পারতা আমি আসার সময় নিয়ে আসতাম,,অহেতুক আমার মামুর গাছের তিনটে আম চুড়ি করবার কোনো দরকার ছিলো না

হিয়াঃ কি বলতে কি চাইছেন আপনি আমি আমি ঔ আম চুড়ি করে ছি,,আমি চোর

উজানঃ তোমার ভাগ্য ভালো যে মামু দেখে নি নাহলে ওনার ওয়াইফ যে

হিয়াঃ এ-ই যে শুনুন আপনি কিন্তু অহেতুক আমাকে দোষারোপ করছেন হ্যা,আমি আমি কেনো ওনাদের আম চুড়ি করতে যাবো আজব

উজানঃ হিয়া আমি না তোমাকে হাড়ে হাড়ে চিনি,তুমি ঠিক কি করতে পারো আমার জানা আছে বুঝলা(হিয়ার নাক টা টেনে)

হিয়াঃ উমহুম

উজানঃ শুনো কাল রুপম সন্ধি সবাই আসছে,কিসব শপিং করবে তার উপর সন্ধি আর আমার বিয়ের পর কোনো আয়োজন করা হয় নি তাই সন্ধি চাইছে ঔ আর তুষার মিলে একটা গে টু গেদারের আয়োজন করতে

হিয়াঃ সবাই আসবে তারমানে কাল

উজানঃ সবাই না ঔ সন্ধি রা যারা আমরা ক্লোজ খুব ওরা জয়েন করবো বাট পার্টির দিন সবাই আসবে

হিয়াঃ ওহ,ঠিক আছে
_________________________
পরের দিন সন্ধি,রুপম,অবন্তী সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে,শপিং মল এ গিয়ে সেই সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন কেনাকাটা করতে থাকে,রুপম আবার প্রথম স্যালারি পাওয়া তে সবাই কে একটা না একটা কিছু কিনে দেয় নিজ থেকে,আর কিনে দেবার লিস্টে বাদ থাকে না হিয়াও,রুপম হিয়াকে একটা হলুদ রঙের জামা কিনে দেয়,হিয়া নিতে না চাইলেও সবাই নিচ্ছে এখন হিয়া না নিলে সেটাও তো কি রকম খারাপ দেখায়,হিয়া উজানের দিকে তাকালে উজান বলে নেও,উজানের সম্মতি পেয়ে হিয়া জামা টা নিয়ে নেয়,এরপর সব শপিং সেরে বাড়ি ফিরতে তখন রাত ৮টা

উজানঃ হিয়া

হিয়াঃ হুম আসছি

উজানঃ কি করছো রান্না ঘরে

হিয়াঃ রাতে বুঝি না খেয়েই থাকবেন,,শুনুন আমি কিন্তু ঔ খিচুড়ি করছি আর গরম গরম ডিম ভেজে নিবো এর বেশি কিছু করতে পারবো না,,,,আর খিচুড়ি তে আলু দিয়ে দিয়েছি ভর্তা করবার দায়িত্ব আপনার

উজানঃ রাখো তো এসব,,আসো আমার সাথে

হিয়াঃ আরে হাত টা তো ধুতে দিননন

উজানঃ হাত ধুতে হবে না,,আসো

উজান হিয়াকে রুমে নিয়ে গিয়ে হিয়ার হাতে একটা প্যাকেট তুলে দেয়

উজানঃ মনে হলো শাড়ি টা তোমাকে মানাবে তাই

হিয়াঃ আপনি এটা কখন কিনলেন

উজানঃ কিনেছি,,এখন বলো তো পছন্দ হয়েছে কি না

হিয়া শাড়ি টা টুক করে নিয়ে আয়নায় সামনে গিয়ে দাঁড় হয়

হিয়াঃ পছন্দ হয়েছে মানে,খুব খুব পছন্দ হয়েছে,নীল রঙ টা কি মিষ্টি

উজানঃ তোমার যা আবভাব থাকে আমি তো ভেবেছিলাম তুমি নিবে না,,বলবে না আমি আপনার কেনা কিচ্ছু নেবো না,,কখনোই না নেভার,,

হিয়াঃ ফালতু কথা,নেবো না কেনো কেউ ভালোবেসে কিছু দিলে সেটাকে না করতে হয় না বুঝলেন,,যখন আমরা এক সাথে থাকবো না তখন তো এই ছোট ছোট জিনিস গুলোই আমাদের বাচিয়ে রাখবে

উজানঃ একসাথে থাকবো না মানে

হিয়াঃ আরে ও কিছু না,,শুনুন না আমিও না আপনার জন্য একটা জিনিস এনেছি জানি আপনি এতো কম দামী জিনিস পড়েন না কিন্তু কি করবো বলুন আমার কাছে এর চাইতে বেশি টাকা ছিলো না

উজানঃ কি জিনিস আনছো দেখি

হিয়া দৌড়ে ওর ব্যাগ থেকে উজানের জন্য একটা ঘড়ি নিয়ে আসে

হিয়াঃ দেখুন তো পছন্দ হয় কি না,আপনি তো ঔ দশ কুড়ি হাজার এসবের মধ্যে ঘড়ি কিনে পড়েন কিন্তু আমার তো ওতো সামর্থ্য নেই আমি যে টুকুতে পেরেছি ওটুকু দিয়েই

উজানঃ (হিয়ার হাত থেকে ঘড়ি টা নিয়ে হাতে পড়ে) এটাও যে খুব একটা কম দিয়ে নিছো সেটাও তো না,,টাকা কোথায় পেলে ঔ চেন বিক্রির টাকা তাই তো

হিয়াঃ আরে না তা কেনো হতে যাবে,এটা তো আমার জমানো টাকা

উজানঃ তুমি কিন্তু আমাকে বলেছিলে এক উইকের মধ্যে সব জানিয়ে দেবে আজ কিন্তু তার দুদিন হয়ে গেলো

হিয়াঃ উফহো আমি কি বলেছি যে জানাবো না,,পছন্দ হয়েছে কি না সেটা বলুন

উজানঃ (হিয়ার কপালে একটা স্নেহের পরশ একে) খুব পছন্দ হয়েছে,থ্যাংকইউ

____________________________
আজ তুষারের মামা বাড়িতে একটা ছোট খাবারের আয়োজন করা হয়েছে,উজান আর রুপমের অফিস দিয়ে জয়েন করবার কথা,ওরা ওদিক দিয়েই আসবে,এদিকে হিয়াকে নিয়ে আসার ডিউটি আজ সন্ধির উপর,সন্ধিও যথারীতি সময় মতো হিয়াকে নিয়ে হাজির,হিয়া আজ পড়েছে রুপমের দেওয়া সেই হলুদ জামা টা,আর হিয়াকে নিজের দেওয়া শাড়ি টা গায়ে না পড়ে রুপমের দেওয়া জামা টা পড়তে দেখেই উজান রেগে উঠে

উজানঃ এতোবার করে রিকুয়েষ্ট করলাম হিয়া আজ আমার গিফট করা শাড়ি টা পড়ে এসো কিন্তু তুমি কি করলে,,,রুপমের গিফট করা জামা টা এতোই ভালো লেগেছিল যে,,,তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসো হিয়া!!

উজান ও বাড়িতে হিয়ার সাথে তেমন একটা কথা বলে না,হিয়াও কিছুটা আন্দাজ করে উজানের হয়তো কিছু একটা হয়েছে,সে ভাবে বাড়ি তে গিয়েই না হয় সে জিঙ্গেস করবে কি হয়েছে তাই কিছু আর কথা তুলে না,এদিকে দুপুরের খাবারের পরপরই একটু বিকেল হতেই উজান হিয়াকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে,আর বলে আমার শরীর টা ভালো লাগছে না তোরা ইনজয় কর,,

বিকেল এখন প্রায় শেষের দিকে,উজান চুপচাপ বসে আছে নিজের রুমের বারান্দায়

হিয়াঃ আমি একটু গরম কফি করে দেই আপনাকে,,দেখবেন ভালো লাগবে,,দেবো??____আচ্ছা আমি ওয়াশরুমে যাচ্ছি শরীর টা কি রকম লাগছে হালকা,,ফ্রেশ হয়ে এসে কফি করে দিচ্ছি কেমন,,,

হিয়ার কথায় উজান কোনো উওর দেয় না,হিয়াও উজানের উওরের অপেক্ষায় না থেকে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে যায়,স্নান সেড়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে হিয়া যেই ওর রুম থেকে বেড়িয়ে উজানের রুমে ঢুকবে ওমনি হিয়া থমকে দাঁড়ায়,হিয়া বিশ্বাস করতে পারে না এটা উজান ঠিক কি করছে,উজান হিয়াকে গিফট করা শাড়ি টা ফ্লোরে ফেলে দিয়ে ওটায় আগুন ধরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,হিয়ার মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না হঠাৎ উজান ওকে দেওয়া শাড়ি টা ওভাবে,হিয়া দৌড়ে গিয়ে ডাইনিং থেকে পানি এনে আগুন নিভিয়ে দিয়ে অর্ধেক পুরে যাওয়া শাড়ি টা হাতে নেয়

হিয়াঃ আপনি কি পাগল কি করেছেন এসব,এভাবে কে??কি অবস্থা করে দিলেন আপনি আমার শাড়ি টার,,,কি কি হয়েছে আপনার কি কারণে আপনি এটা করলেন বলবেন আমাকে একবার??কি হলো চুপ করে আছেন কেনো উওর দিন আমার প্রশ্নের,,,

উজানঃ তোমার যখন আমার গিফট করা শাড়ির চাইতে রুপমের দেওয়া জামা টা এতোটাই পছন্দ হয়েছে সেটা আমাকে সেদিনই বলতে পারতে হিয়া

হিয়াঃ আরে আমি কখন বললাম এ কথা,,মাথা ঠিক আছে তো আপনার

উজানঃ তোমার যদি আমার দেওয়া শাড়ি টা পছন্দই হতো তাহলে আজ ও বাড়িতে তুমি রুপমের দেওয়া জামা টা না বরং আমার গিফট করা এই শাড়ি টা পড়ে যেতে,কিন্তু তুমি সেটা করো নি,আমি এতো রিকুয়েষ্ট করবার পরো তুমি

হিয়াঃ এক সেকেন্ড আমি আপনার দেওয়া শাড়ি টা পড়ি নি তাই জন্য আপনি এভাবে

উজানঃ হ্যা এভাবে

হিয়াঃ আপনি নাআআ,,আপনি খুব খুব খারাপ একটা লোক জানেন,,কিছু না বুঝেই আপনি সেজন্য এভাবে??

উজানঃ কি বোঝার বাকি আছে আর আমার

হিয়াঃ (শাড়ি টা উজানের গায়ে চটকে দিয়ে)শাড়ি গিফট করলে না তার সাথে ব্লাউজ পেটিকোট এসবো গিফট করতে হয়,কিন্তু সেটা আপনিই বা জানবেন কি করে,,,,আমি আমি কি অনুষ্ঠানে শুধু শাড়ি পড়ে চলে যেতাম ভেতরে কিছু পড়তে হতো না আমার,,যদি আমার কাছে অন্য শাড়ি থাকতো তাও কথা ছিলো আমি সেটার ব্লাউজ দিয়ে পড়ে যেতাম কিন্তু আমার কাছে তো শাড়ি কেনো পড়বার একটা ভালো থ্রীপিচ অবধি নেই,,তাই আমি বাধ্য হয়ে ভাইয়ার দেওয়া জামা টা,,ভাবলাম অনেক মানুষ হবে ওখানে আপনার পরিচিত থাকতে পারে তাই ঔ নতুন জামা টা পড়ে,,,কিন্তু না আপনি তো আপনি কিছু না বুঝে দিলেন তো আমার শাড়ি টা পুড়িয়ে,,আপনি আজকের পর থেকে আমার সাথে আর কোনো কথা বলবেন না,,আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই,,আপনি আমার শাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন আপনি একটা খুব বাজে লোক খুব

বলেই হিয়া ওর রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়

উজানঃ হিয়া শোনো হিয়া,,হিয়া আমি বুঝতে পারি নি,,হিয়া সরি হিয়া,,হিয়া দরজা টা খুলো প্লিজ,,হিয়া লিসেন না

_________________________
রাত ঠিক দশটার দিক হিয়া গেট খুলে বেড়িয়ে আসে,হিয়াকে বের হয়ে আসতে দেখে উজান হিয়ার সামনে দাড়িয়ে হিয়ার হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে প্লিজ এরকম ভুল আর হবে না,হিয়া কিছু বলে না শুধু সব কথা শুনে যায়

উজানঃ তুমি আমাকে যা শাস্তি দেবে আমি নিতে রাজি,বলো কি করতে হবে আমাকে

হিয়াঃ খালা কে ফোন দিন

উজানঃ খালা আসলো এখানে কোথা থেকে

হিয়াঃ খালা কে ফোন দিয়ে বলুন খালার ছুটি দুদিন,আর এই দুদিন বাড়ির সমস্ত কাজ আপনি একাই করবেন,সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের ডিনার এমনকি দুটো বালতিতে যে কাপড় ভিজিয়ে রাখা আছে সেগুলোও আপনি একাই কাচবেন,আর সাথে তো বাসন মাজা আছেই

উজানঃ হিয়া আমি কি করে এক হাতে,আমার অফিস আছে হিয়া

হিয়াঃ শাস্তি চেয়েছিলেন না শাস্তি দিলাম,আর আমার শাড়ি পুড়িয়ে ফেলবার জন্য না আমার তো উচিৎ ছিলো আপনার কাবাডের সব জামাকাপড় পুড়িয়ে দেওয়া কিন্তু আমি সেটা করলাম না

উজানঃ খালা কে একদিন ছুটি দিলে হয় না,আমি একদিন ম্যানেজ করে নিতে পারবো

হিয়াঃ দুদিন মানে দুদিনই___হু?
____________________________

হিয়াঃ ডক্টর আমার রিপোর্ট গুলো

ডক্টরঃ হুম তোমার রিপোর্ট তো দেখলাম,তোমাকে তো অনেক আগে আমি পরীক্ষা করতে দিয়েছি তা এতো দেড়ি করে দেখাতে এলে যে

হিয়াঃ একটু সমস্যা ছিলো তাই আর কি

ডক্টরঃ এসব জিনিস নিয়ে এতো অবহেলা করছো,,কি আর বলবো,,যাই হোক তোমার টিউমার টা তো অনেক বড়োই আসছে রিপোর্টে,,ইমিডিয়েট অপারেশন করাতে হবে

হিয়াঃ অপারেশন না করিয়ে কি অন্য কোন ভাবে

ডক্টরঃ অন্য কোনো উপায় তো এখন আর বললেও হবে না মা,তোমার যা কন্ডিশন আমি তো বলবো এই মাসের মধ্যেই অপারেশন টা করিয়ে নেও,বাই দা ওয়ে তোমার গার্ডিয়ান কোথায়,ওনাদের কে তো কখনো আসতে দেখলাম না

হিয়াঃ আসলে ওরা এখানে থাকে না তাই আরকি আমাকে একাই

ডক্টরঃ হুম,,এই আমি কিছু মেডিসিন দিচ্ছি অপারেশন না হওয়া অবধি কন্টিনিউ করো,,আর যেটা বললাম যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন টা করে নেও,,,,বিয়ে হয়েছে তোমার

হিয়াঃ জ্বী মানে না

ডক্টরঃ সবটাই তো বুঝো,আর ব্যাখা করলাম না,ঔষধ গুলো নিয়ম করে নিও

হিয়াঃ হুম আসছি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here