সাইকো_নীড় part : 9

0
579

#সাইকো_নীড়
part : 9
writer : Mohona

.

মেরিন যেন আকাশ থেকে পরলো।
মেরিন : মাহির…
নীড় : its not any spirit or ghost…
মেরিন : মাহির এখানে কি করে ? ও তো …
নীড় : মরে গিয়েছিলো… তাইতো?
মেরিন : হ্যা। আমি মেরে ফেলেছিলাম।
নীড় : ন্যাহ…। একটু ভুল হয়েছে। তুমি ওকে মেরে ফেলোনি। just গুলি করেছো।
মেরিন : তাহলে ও বেচে আছে কি করে?
নীড় : হয়তো গুলিটাও ওর জীবন নিতে চায়নি… ওর status দেখে। 3rd class status …. কি জঘন্য… যাকে কিনা ১-২ সে.মি. এর গুলি, bullet ও নিজের উপযোগ্য মনে করলো না সেই মহান ব্যাক্তিকে বিয়ে করবে…. ইইই… down market…. হাহাহা।
মেরিন : ….
নীড় : anyway চলো.. তোমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে যে…. চলো চলো চলো…
নীড় আর মেরিনকে কথা বলারই সুযোগ দিলোনা….

.

বিকালে…
ক্লাস শেষ হলো। মেরিন বসে বসে ভাবছে যে কাহিনী কি… তখন মনে হলো যে ও হাওয়ায় ভাসছে। ভয় পেয়ে হাতের সামনে যা পেলো তা আকরে ধরলো…
নীড় : support system তো আমিই হলাম…. কি বলো… হামম হামমম।…
মেরিন : আপনি?
নীড় : any doubt …?
মেরিন : বলুন না… মাহির কি করে বেচে আছে?
নীড় : ভাবো ভাবো ভাবো…
মেরিন : একটু বললে কি হয়?
নীড় : ok then একটুই বলছি… আমি তোমার হাতকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম আর কিছুটা তোমাকেও…
মেরিন : মানে?
নীড় : একটু বলতে বলেছো তাই একটু বলেছি…. ?…
মেরিন : complicated person …
নীড় : thanks for the compliment….
মেরিন : ?….

.

কিছুদিনপর…
রাত ১১:৩০….
মেরিন : লোকটা যতোটা খারাপ নিজেকে pretend করে i don’t think ততোটা খারাপ… সাইকো… মহাসাইকো।
তখন নীড়ের ফোন বেজে উঠলো।
মেরিন : হামম।
নীড় : চোখ বন্ধ করো তো…
মেরিন : কেন?
নীড় : করো তো…
মেরিন : করেছি।
নীড় : মিথ্যা কথা… আমি জানি তুমি চোখ বন্ধ না করেই বলছো।
মেরিন : করেছি তো…
মনে মনে : এ কি করে জানলো?
মেরিন এদিক ওদিক দেখতে লাগলো।
মনে মনে : কোথাও তো দেখাও যাচ্ছেনা…
নীড় : এদিক ওদিক না দেখে চোখ বন্ধ করো…
মেরিন : huh…
নীড় : করো…
মেরিন করলো। ১০সেকেন্ড পর মেরিন চোখ মেলল। দেখলো নীড় ওর মুখোমুখী। চমকে উঠে দিলো চিল্লানী…
নীড় : হায়রে…ভয় পাওয়ার কি আছে? আমিই তো…
মেরিন : আআআপনি কোথায় থেকে কি করে এলেন!!!
নীড় : ?।
মেরিন : ?।
নীড় : আমার জন্য বিরিয়ানী রান্না করে আনো…
মেরিন : কিহ!!
নীড় : গরু জবাই করতে বলিনি। বিরিয়ানী রান্না করতে বলেছি…
মেরিন : আবার…
নীড় : হামম। আর হ্যা সেদিনের মতোই যেন হয়… না তারথেকে ভালো আর না তারথেকে খারাপ..
মেরিন : এ্যা…
নীড় : এ্যা না হ্যা।
মেরিন : এতো রাতে!!!
নীড় : go…
মেরিন জানে যে কিয়ামতের আগ মুহুর্ত হলেও রান্না করতেই হবে। তাই গেলো। রান্না করে নিয়ে এলো।
মেরিন : আমার মনে হচ্ছে যে বিরিয়ানীটা ভালো হয়েছে….
নীড় : এই মেয়ে এতো দেরী করছে কেন?

মেরিন : এই নিন…
নীড় : এতো দেরী হয়?
মেরিন : ?।
বিরিয়ানীর চেহারা দেখে নীড়ের মুখ কালো হয়ে গেলো।
নীড় : বিরিয়ানীর চেহেরা এমন হয়েছে কেন? সেদিনের মতো হয়নি কেন?
মেরিন : খেয়ে দেখুন। আমার মনে হচ্ছে সেদিনের থেকে ভালো হয়েছে…
নীড় : তোমাকে কি আমি ভালো করে রান্না করতে বলেছি…
মেরিন : আপনি কি বলুন তো…
নীড় : #সাইকো_নীড় … যাই হোক ঠিক করোনি… huh… কি করার। এটাই খেতে হবে…
নীড় নিয়ে খেতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে : একটুও খেতেও বললনা। গরু কোথাকার। দুই চোক্ষে দেখতে মন চায়না।
নীড় : yummy…
মেরিন : শুনুন…
নীড় : বলো…
মেরিন : আমি একটু টেস্ট করি?
নীড় : why???
মেরিন : জীবনে তো রান্না করিনি। সেদিনের চেহারা দেখেই মাথা ঘুরিয়েছিলো। তাই মুখে দিতে সাহস পাইনি… কিন্তু আজকে একটু ভালো লাগছে দেখতে…
নীড় : সেদিনের টা বেশি ভালো হয়েছিলো ।
মেরিন : একটু দিবেন… আমারও না বিরিয়ানি প্রিয় লাগে।
নীড় : no…
মেরিন : huh…
নীড় দুনিয়াদারী ভুলে খাচ্ছে । সেই সুযোগে মেরিন একটু খানি নিয়ে মুখে দিলো। আর দিয়েই দৌড়ে washroom এ চলে গেলো। মনে হচ্ছে মুখেভাতের খাবার বেরিয়ে আসবে। নীড় খাওয়া রেখে দৌড়ে গেলো। মেরিনের পিঠে হাত বুলাতে লাগলো। এরপর ধরে ধরে নিয়ে এলো।
নীড় : তোমার জন্য আমার খাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটলো… ?। আমার ভাগেরটা খেলে কেন? না করেছিলাম না…
মেরিন : আপনি এগুলো খাচ্ছেন কি করে!!! ?।
নীড় : মুখ দিয়ে…
মেরিন : …

নীড় খাওয়া শেষ করলো।
মেরিনকে কোলে বসালো।
নীড় : কি লাগবে?
মেরিন : মানে কি? আমার আবার কি লাগব?
নীড় : australia থেকে কিছুই লাগবেনা…
মেরিন : না…
নীড় : ?। ভোর ৪টার flight এ australia যাচ্ছি বাবার সাথে। ১টা conference আছে। ৫দিন পর আসবো…
মেরিন : তো..
নীড় : তুমি বুঝবানা… huh…
মেরিন : ?।
নীড় : শোনো ৪জন বডিগার্ডের তোমার সাথে থাকবে always …
মেরিন : কেন?
নীড় : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন নিজের কলিজাকে এখানে রেখে যাবে কোনো security ছারা… ন্যাহ… তোমাকেও নিয়ে যেতাম। but তোমার exam আছে…
মেরিন : …
নীড় : ছেলেদের সাথে কোনো প্রকারের কোনো কথা বলবেনা। got it…
মেরিন : ?।

নীড় বকবক করতে লাগলো। আর মেরিন ঝিমাতে লাগলো।
নীড় : এই মেয়ে…
মেরিন ভয় পেয়ে গেলো।
মেরিন : কি হয়েছে কি হয়েছে…
নীড় : ঘুমাচ্ছো কেন?
মেরিন : ঘড়ি দেখেছেন… ঘুমাবো না তো কি করবো…
নীড় : তোমাকে আর কি বলবো? যাই হোক… এখন যেতে হবে। ভালো থেকে।
নীড় মেরিনের কপালে ১টা কিস করে চলে গেলো।

.

৫দিনপর…
নীড় : ফোন ধরতে এতোক্ষন লাগে?
মেরিন : ঘুমাচ্ছিলাম…
নীড় : idiot…
মেরিন : ?।
নীড় : শোনো এখন flight এ উঠবো….
মেরিন : এটা বলার জন্য রাত ৩টা বাজে ঘুম ভাঙালেন… ?…
নীড় : হ্যা। সমস্যা?
মেরিন : আমাকে আপনার কি মনে হয়…?
নীড় : snow white…
মেরিন : ভালো লাগেনা।
নীড় : যদি আর তোমাকে না দেখতে পারি। তাই ভাবলাম flight এ ওঠার আগে তোমাকে দেখে নেই…
মেরিন : হয়েছে দেখা ? আমি এবার ঘুমাতে পারি?
নীড় : হামমম। goodbye….
মেরিন : bye….

নীড় রেখে দিলো।

.

পরদিন…
বেলা ১টা…
মেরিন খাচ্ছে আর টিভি দেখছে । হঠাৎ ১টা খবর দেখে চোখ আটকে গেলো। দেখলো australia থেকে ঢাকা আসার plane টা crash হয়েছে… তাও land করার সময়। 70% লোক মারা গিয়েছে। 25% আহত… তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থা। খবরটা দেখে বুকটা কেপে উঠলো। ভিডিও দেখাচ্ছে। মেরিনের হাত থেকে খাবারটা পরে গেলো।
মেরিন : australia to dhaka plane crash… ননননীড়…. নীড়না ওটাতে আসার কথা…. ওঠার আগেই তো ফোন করেছিলো…
কনিকা : কি রে হাত থেকে প্লেট কি করে পরলো…
মেরিন : …
কনিকা : কি এতো মনোযোগ দিয়ে দেখছিস? মুখের অবস্থা এমন কেন?
মেরিন : …
কনিকা : plane crash দেখে এই অবস্থা? যা সহ্য করতে পারিসনা তা দেখিস কেন বলতো… এই সাহস নিয়ে ডক…
মেরিন কিছু না ভেবে বেরিয়ে গেলো।
কনিকা : কিরে কোথায় যাচ্ছিস? মেরিন… মেরিন… আজব তো….

মেরিন আগে হসপিটালে গেলো। চেক করতে। মেরিন নিজেও জানেনা ও কেন এতো অস্থির হচ্ছে? আর কেনইবা হসপিটালে এসেছে? না সেখানে নীড়-নিহাল কাউকেই পেলোনা…

মেরিন : calm down মেরিন… সবার আগে airport যা। এমনও তো হতে পারে যে নীড় flight এ উঠেইনি…

মেরিন airport গেলো। সেখানে গিয়ে জানতে পারলো যে সেই flight এ নিহাল ছিলোনা। কিন্তু নীড় ছিলো… ও boarding pass করেছিলো। আর এই খবরটা শুনে মেরিনের ১টা অদ্ভূদ অনুভূতি হতে লাগলো। মনে হলো ওর বুকের ভেতর কেই ভারী কিছু রেখে দিয়েছে। তখন ওর কাধে কেউ হাত রাখলো…
মেরিন : নীড়…
মেরিন খুশি হয়ে পিছে ঘুরলো। দেখলো কবির…

কবির : কি হয়েছে মামনি? তুমি airport এ কেন? তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?
মেরিন : কককিছুনা বাবা…. বববাসায় চলো…
বলেই মেরিন চলে গেলো।

কবির : কি হলো মেয়েটার…

.

পরদিন…
রাত ২টা…
ঝুমঝুম বৃষ্টি পরছে। মেরিনের ফোনটা সেই সেদিন রাত থেকে বন্ধ হয়ে পরে আছে যেদিন নীড়ের সাথে কথা হয়েছিলো। কিছুই ভালো লাগছেনা মেরিনের। নীড়ের বলা শেষ কথা গুলো বারি খাচ্ছে। নীড়কে দেখতে না পারলেও কখনোই ওর মৃত্যু চায়নি… তবে কেন এমন হলো। নানা ধরনের কথা ভাবছে মেরিন। নীড়ের করা পাগলামোগুলো মনে পরছে ভীষন করে।

নীড় : ফোন বলে যে ১টা বস্তু আছে। আর সেটা কথা বলার জন্য ব্যবহৃত হয়…

কথাটা মেরিনের কানে ঢুকলো।

মেরিন : i don’t want to talk নীড়… please leave me alone … নীড়…. নীড়…?
মেরিন ঝড়ের গতিতে পিছে ঘুরলো। দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। যথেষ্ট রেগে আছে। মেরিন ১টা হাসি দিলো। এরপর ঠাস করে ১টা থাপ্পর দিয়ে। টানতে টানতে নীড়কে বাসা থেকে বের করে দিলো। এরপর দরজাও লাগিয়ে ওপরে চলে গেলো।
নীড় : আজব তো.. এই বৃষ্টির মধ্যে আমাকে বের করে দিলো…? বড় বার বেরেছে এই মেয়ের… একে তো…
⛈️⛈️⛈️
]

.

বর্তমান…
দীপ্ত আর নিহাল তন্নতন্ন করে নীড়কে খুজছে।
দীপ্ত : দুলাভাই… আমি বারবার আপনাকে বলেছিলাম যে …
নিহাল : নীড় তো মেরিনের মুখোমুখিই হলোনা…
দীপ্ত : মেরিনকে দেখার জন্য নীড়ের মেরিনের মুখোমুখি হওয়ার দরকার নেই…. নীড়ের অনুভূতিই যথেষ্ট …
নিহাল : নীড়… বাবা তুই কোথায় গেলি রে….

হঠাৎ নিহাল দেখলো নীড় পুন্টুসকে নিয়ে হেটে যাচ্ছে। নিহাল গাড়ি থামালো। ছুটে নীড়ের কাছে গেলো। নীড়কে জরিয়ে ধরলো
নিহাল : বাবা তুমি ঠিক আছো? কককোথায় চলে গিয়েছিলে বাবা…
নীড় নিহালের থেকে দূরে সরে গেলো। ছুটে দীপ্তর কাছে গেলো।

নীড় : মামা মামা মামা…. ড্যাডডার্লিং না পচা… আমাকে ওই পচা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো…
দীপ্ত : বাবা ওইটা পচা জায়গা না তো…
নীড় : না না … পচা জায়গা । মামা মামা মামা…. আমাকে আমার ওই বন্ধুদের কাছে নিয়ে চলো। ভম্বলদের কাছে…
দীপ্ত : যাবে তো….
নীড় : আমি এখনই যাবো এখনই যাবো ব্যাস….
নিহাল : আচ্ছা ঠিকআছে ঠিকআছে … যাবে… কিছু খেয়ে নিবেনা? yummy yummy…
নীড় : না আমি ওখানে গিয়েই খাবো…
দীপ্ত : বাবা… ticket পেতে হবেনা…. চলো আগে খেয়ে নেই….
নীড় : আচ্ছা….

.

নীলিমা : একি? তুমি ?
মেরিন : আপনাদের under এ আমি আর থাকতে পারবোনা ডক্টর। আমি এখন যথেষ্ট সুস্থ। আমি দেশে ফিরতে চাই।
নীলিমা : না তুমি এখনই যেতে পারবেনা…
মেরিন : excuse me আমি আপনার কথা শুনবো কেন? আমি মেরিন বন্যা খান । আর আল্লাহর পর মেরিন বন্যা খান কে আটকানোর ক্ষমতা নীড় ছারা কারো নেই…
নীলিমা : …
মেরিন : নীড়…. নীড়…. কে নীড় ? কে নীড়? আহ…
নীলিমা : মেরিন…
মেরিন : আমি ঠিক আছি। আপনি নননীড়কে চিনেন ?
নীলিমা : আআ…
মেরিন : থাক আর আআ করতে হবেনা। আমি নিজেই জেনে নিবো যে কে নীড়….

বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।
নীলিমা : মেরিন মেরিন মের…
নীলিমাও মেরিনের পিছে গেলো। মেরিন বাংলাদেশে ফোন করে টাকার ব্যবস্থা করলো। এরপর airport গেলো। জানতে পারলো যে ২দিনপর usa to dhaka flight আছে…. মেরিন হোটেলে ১টা রুম বুক করলো ২দিনের জন্য।

.

২দিনপর…
in airport …
নীড় : কি মজা কি মজা আজকে ভম্বলদের কাছে যাবো… hip hip hurray…

মেরিন : আমি এটাই বুঝতে পারছিনা যে আমি usa এলাম কিভাবে?
নীলিমা : আমি এনেছিলাম…
মেরিন : একি আপনি? airport এ?
নীলিমা : হামম। বাংলাদেশে যাবো।
মেরিন : কেন আপনি যাবেন কেন?
নীলিমা : তোমাকে নিয়ে এসেছিলাম আর তোমাকে নিয়েই যাবো…
মেরিন : বুঝলাম না…
নীলিমা : তোমার ১টা accident হয়েছিলো। ঢাকার হসপিটালে তুমি আমার under এই ছিলে। but তোমার অবস্থার অবনতি হচ্ছিলো। তাই হসপিটালে মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়। তোমাকে এখানে shift করা হয়… ১বছর তুমি কোমায় ছিলে…
মেরিন : sorry … আপনার কথায় পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারলামনা… announcement হয়ে গিয়েছে। i have to go…
নীলিমা : even i also….

দীপ্ত : চলো বাবা সময় হয়ে গিয়েছে।
নীড় : চল পুন্টুস….

.

অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️

মেরিন বেডে বসে আছে। আর ভাবছে যে কি দেখলো আর কি করলো….
মেরিন : ভূত দেখলাম নাকি?
নীড় : ন্যাহ… তবে এখন দেখাবো my snow white …

মেরিন তাকিয়ে দেখলো নীড় ছোটছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে….

মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে সজোরে ১টা চিমটি কাটলো।
নীড় : ouch… but kinky… but but but my snow white তুমি এমন অদ্ভূত আচরন করছো কেন? বলো বলো…
বলেই নীড় মেরিনকে বাহুডোরে আটকে নিলো।
মেরিন : ছারুন ভিজে যাবো আমি…
নীড় বাকা হাসি দিলো। এরপর টেনে মেরিনকে ছাদে নিয়ে গেলো।
মেরিন : উহুহুহু কি শীত… আপনি ভিজুন আমি গেলাম…
নীড় : শাস্তি শেষ হয়নি my snow white …

মেরিন : অসহ্য ১টা লোক…
নীড় : but you have to tolerate me…

একটুপর ২জন নেমে এলো।
নীড় : যাও গিয়ে change করে নাও… এখন যদি ১টা বারের জন্যেও না করো না তবে i swear নিজের হাতে change করাবো।
মেরিন : অসভ্য লোক।
নীড় : কি বললা?
মেরিন : কিছুনা… ?…
বলেই মেরিন দৌড়ে washroom এ গেলো….

.

১৫মিনিটপর…
মেরিন বের হলো। দেখলো নীড় কবিরে পায়জামা-পাঞ্জাবী পরে দারিয়ে আছে।
মেরিন : একি আপনি বাবারটা পরেছন কেন?
নীড় : তো কি তোমারটা পরবো?
মেরিন : পেলেন কোথায়?
নীড় : obviously শশুড়ড্যাডের ঘরে। যাই হোক আর সময় নষ্ট করতে চাইনা।

বলোই নীড় ১টা ব্যাগ খুলল।
মেরিন : এটা কোথায় থেকে এলো?
নীড় : ভূতে রেখে গিয়েছে… stupid …
নীড় ব্যাগ খুলতে খুলতে
বলল : জানো snow white … এই ব্যাগটা actually তোমার জন্যেই আমি বেচে আছি…
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে সেদিন তোমার সাথে কথা বলার পর খেয়াল করলাম যে এই ব্যাগটা হোটেলে ফেলে এসেছি… যেটার মধ্যে তোমার জন্য সব gift ছিলো। ব্যাস ছুটে এলাম হোটেলে। ভাবলাম next flight এ আসবো। দেখো কি হয়ে গেলো। তোমার জন্যেই বেচে আছি…. my snow white…
মেরিন : ….
মেরিনের চোখে পানি টলমল করছে….

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here