#সাইকো_নীড়
part : 7
writer : Mohona
.
নীড় : ভালোবাসি snow white…
মেরিন : …
নীড় : এতোদিন তুমি আমার প্রয়োজন ছিলে… এখন আমি তোমাকে ভালোবাসি… i love you…. এরথেকে বেশি বলা সম্ভবনা।
বলেই মেরিনকে বসিয়ে গলায় আর গালে মলম লাগিয়ে দিলো। মেরিন কেপে উঠলো। নিজের আচল শক্ত করে ধরলো।
নীড় : ড্যাড ডার্লিং আমাকে ভীষন ভালোবাসে। আমি দুনিয়া আমার ড্যাডের। জানি অনেক ভুল করেছে। আসলে আমি ছারা ড্যাডের কেউ নেই।
মেরিন : …
নীড় : মেরিন আমাকে প্লিজ রাগিও না। আমি রাগ control করতে পারিনা। আর তোমার ওপর রাগ ঝারলে ভীষন কষ্ট হয়। এতোদিন এর কারন জানতাম না। এখন জানি…. গলায় ভীষন ব্যাথা করছে তাইনা ? বসো আমি তোমার স্যুপ নিয়ে আসি। এরপর মেডিসিন নিবে দেখবে ব্যাথা কমে যাবে ।
নীড় উঠে দারালো। আবার বসে পরলো। কারন ভীষন অসুস্থ।
নিহাল : আসবো?
নীড় : come ড্যাড…
নিহাল ঢুকলো হাতে ১টা ট্রে নিয়ে। যাতে স্যুপ , পানি আর মেডিসন আছে। তার পিছে ২জন নার্স । তাদের সাথে স্যালাইন লাগানোর সরঞ্জাম।
নীড় : what is all this ড্যাড ডার্লিং?
নিহাল : এখনই বুঝবে। সিস্টারস…
বলতেই তারা নীড়কে শুইয়ে দিলো।
নীড় : i hate to be patient …
নিহাল : but you are a patient ….
নীড় : আরে মেরিনকে …
নিহাল : আমি খাওয়াবো আমার মামনিকে…
নীড় : ?।
.
নিহাল : জানো তো মামনি… মা-বাবা বড় হলে বাচ্চা হয়ে যায়। তাই ভুল করে। আর মা-বাবা তো সন্তানদের ৭খুনও মাফ করে দেয় । তোমার এই ছেলের এই ধরনের অন্যায়টা প্রথম আর শেষবারের জন্য ক্ষমা করে দাও। কথা দিলাম তোমার এই ছেলেটা কথা দিলো আর কখনো এমন কোনো কাজ করবো না । আমি হাত জোর করে ক্ষমা চা…
মেরিন বড়দের অসম্মান করতে শিখেনি। তাই নিহালের হাত ধরে ফেলল। গলায় প্রচন্ড ব্যাথা। তাও অনেক কষ্টে মেরিন
বলল : iiiits ok uncle … আআআপনি অঅঅনেক চচচিন্তায় ছিলেন…
নিহাল : হয়েছে আর পাকা পাকা কথা বলতে হবেনা । ব্যাথার চোটে তো কথাই বের হচ্ছেনা। নাও খেয়ে মেডিসিন নাও।
নিহাল নিজের হাতে মেরিন খাইয়ে দিলো। এরপর মেডিসিন দিলো । ততক্ষনে নীড় স্যালাইনও প্রায় শেষ । তখন নিচে কারনে চেচানোর আওয়াজ পাওয়া গেলো।
নিহাল : কোন বেয়াদব চিল্লাচ্ছে?
নীড় : ড্যাডডার্লিং thats my শশুড়ড্যাড।
নিহাল : মিস্টার খান এসেছেন?
নীড় : ন্যাহ .. আমি শশুড়ড্যাড & শাশুড়িমমকে তুলে এনেছি…. মানে আনিয়েছি…
নিহাল : সে কি ? কেন?
নীড় : বারে আমি অসুস্থ আর আমার snow white ও অসুস্থ। তো আমি snow white এর বাসায় যাবো কি করে? শশুড়বাসা এখানে shift করলাম। how great am i….
নিহাল নিচে নামলো। মেরিন যেতে নিলে নীড় টেনে নিজের পাশে বসিয়ে দিলো।
নীড় : কোথায় যাচ্ছিলে হামম? আমার স্যালাইন শেষ হয়েছে? একসাথে যাবো তো। আর একটু…
মেরিন অন্যদিকে মুখ করে রইলো।
.
নিচে কবির অনেক রাগারাগি করছে। নিহাল ক্ষমা চাইছে। তবুও কবির ঠান্ডা হচ্ছেনা। আর হওয়ার কথাওনা… কারন মেরিন ওর অনেক আদরের।
কবির : আপনার power আছে বলেই তো এগুলো করছেন…
নীড় : শশুড়ড্যাড আমরা আর কিছু করতে পারি। চৌধুরী মানেই বড় বড় ধামাকা… we are the great…
কবির দেখলো নীড় মেরিনের হাত ধরে সিরির ওখানে দারিয়ে আছে। কবির ছুটে গেলো মেরিনের কাছে গেলো। নীড়ের কাছে থেকে সরিয়ে এনে
বলল : মামনি ঠিক আছো?
মেরিন মাথা নেরে হ্যা বলল।
কবির : এখানে তুলে আনার কারন জানিনা। তবে আমি এখন আমার মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাবো।
নীড় :শশুড়ড্যাড। এতো প্যানিক হচ্ছো কেন?
কবির : চুপ করো বেয়াদব… অস…
মেরিন কবিরকে থামিয়ে দিলো। কারন ও জানে যে নীড় ভয়ংকর। মেরিন কবিরকে আলাদা করে টেনে নিয়ে গেলো।
কবির : কি হলো মামনি?
মেরিন : বববাবা…
কবির : মা তোমার গলা।।
মেরিন : ঠঠিক আছি।
কবির : এটা ঠিক?
মেরিন : আমার কককথা শোনো। এখন নীড়ের কককথা শোনো।
কবির : তুমি একথা বলছো?।
মেরিন : হ্যা। কককারন নীড় আমাদের ভাবনার থেকেও বেশি ভয়ংকর। কয়েকগুন বেশি…
নীড় : ন্যাহ…
মেরিন চমকে উঠলো। পিছে ঘুরে দেখে নীড়।
নীড় : আমি তোমার ভাবনার থেকে কয়েকগুন ভয়ংকর নয়। কয়েক কোটি গুন বেশি…
.
রাতে…
মেরিন ভাবছে : এই শাড়ি পরেই রাতে ঘুমাতে হবে!!! ভালো লাগেনা।
নীড় : কাবার্ডটা খুলে দেখলে ভালো লাগবে….
মেরিন তাকিয়ে দেখলো যে নীড় দরজায় হেলান দিয়ে দারিয়ে আছে। মেরিন চো়খ ঘুরিয়ে নিলো।
নীড় কাবার্ড থেকে কাপর বের করতে করতে
বলল : লাভ নেই চোখ ঘুরিয়ে। কারন এই চোখ দিয়ে আমৃত্যু আমার চেহারাই দেখতে হবে।
মেরিন কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে পরলো।
নীড় : change করে ঘুমাও…
মেরিন : …
নীড় : কিছু বলছি তো । তাইনা?
মেরিন : …
নীড় : অনেক জেদী তুমি… আচ্ছা ঘুমাও।
বলেই নীড় চলে গেলো।
.
২দিনপর…
মেরিন বিস্ফোরিত চোখে নীড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
কবির : তুমি আমার মেয়েকে চাকরানী পেয়েছো যে বিরিয়ানী রান্না করতে বলছো…
নীড় : শশুড়ড্যাড she is my snow white …. আর তাছারাও এটা ওর শাস্তি… কারন ২দিন ধরে ও আমাকে attitude দেখাচ্ছে। কথাই বলছেনা। আর তাছারাও induction oven এ রান্না করবে। so no fire… go…
মেরিন : আআমি রান্না করতে পারিনা…
নীড় : হায়… এই বাহানায় কথা তো বললে… যেভাবে পারো সেভাবে রান্না করো…
মেরিন : বললাম তো পারিনা…
নীড় মেরিনকে রান্নাঘরে নিয়ে গেলো বলল এভাবে এভাবে রান্না করবে।
মেরিন : …
নীড় : এখনও পারবেনা?
মেরিন : না…
নীড় : যদি তুমি আমার জন্য বিরিয়ানী রান্না করে না খাওয়াতে পারো তবে আমি তোমাকে খাবো। & don’t ask how? তোমার কাছে দের ঘন্টা আছে। ভালোভাবে রান্না করবে। bye snow white ….
নীড়ের বলা instruction অনুযায়ী মেরিন রান্না তো করলো। কিন্তু আল্লাহর রহমতে যে চেহারা হয়েছে তা দেখে মেরিন নিজেই টেস্ট করতে সাহস পেলোনা।
নীড় : হয়েছে snow white…
মেরিন : ?।
নীড় : হাহাহাহাহা…
মেরিন : আমি বলেছিলাম না যে আমি পারিমা। তো? ?।
নীড় : এমা কান্না করে কেন? তুমি যে বিরিয়ানী রান্না করেছো সেটাতো আর সবাই পারেনা। its an art… হাহাহা…
নীড় হাসতে বিরিয়ানী টা হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। নিয়ে টেবিলে রাখলো।
নীড় : snow white …. serve করো। হাহাহা।
মেরিন : ??।
তবে বিরিয়ানীর চেহারা দেখে একেক জন একেক ভাবে কেটে পরলো।
কনিকা : একারনেই বলেছিলাম রান্নারঘরের ঠিকানাটা একটু জেনে নে।
কবির : আহ কনা। আমার মামনি রান্না করেছে তাই বেশি । বসো খেয়ে নাও।
কনিকা : না না অসম্ভব। আমি ওগুলো খাবোনা।
কবির : না খেলে। তবে আমি খাবো।
কবির অল্প একটু প্লেটে নিলো । মেরিন খুশি হয়ে গেলো। তবে ১ম বার মুখে নিয়ে কবিরের নারী-ভুরি উল্টে এলো। আর তাই মুখের expression পাল্টে গেলো। । যা দেখে মেরিন বুঝলো যে বিরিয়ানী মহা জঘন্য হয়েছে। কবির অল্প একটু খেয়ে উঠে পরলো।
নীড় : কি হলো? serve করো…
মেরিন : আপনি এগুলো খাবেন ?
নীড় : খাবো বলেই তো রান্না করতে বলেছি….
মেরিন : খেতে পারবেন না এগুলো।
নীড় : serve করো…
মেরিন মনে মনে : খা ইচ্ছা মতো খা। গরুর মতো খা।
মেরিন ইচ্ছা মতো দিলো প্লেটে। আর নীড় মহাসুখে খেতে লাগলো।
নীড় : আমম।yummy… দারুন।
মেরিন : আপনি কি এলিয়েন…?
নীড় : উফফ… খেতে দাও।
নীড় পরম সুখে খেতে লাগলো। আবারও নিলো।
নীড় : আমি রাতেও এগুলোই খাবো। ?।
মেরিন : বলেন কি…
নীড় : হামমম।
পরদিন মেরিনরা নিজেদের বাসায় ফিরলো।
]
.
বর্তমান …
নীড় : favorite মানুষের কাছে?
নিহাল : হামম। চলো।
নীড় : তাহলে আমাকে বিরিয়ানী দেবে বলো…
নিহাল : ok…. চলো।
ওদিকে নীলিমা মেরিনকে খাইয়ে দিচ্ছে।
মেরিন : আপনি বলছেন না কেন যে আমার মা-বাবা কোথায়?
নীলিমা : আছে ।
মেরিন : আছে মানে কি বলবেন?
নীলিমা : বললাম তো আছে।
মেরিন : ডক্টর আমাকে বলুন না আম্মু বাবা কোথায় ?
নীলিমা : খেয়ে নাও।
নীলিমা বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : এই ডক্টরটা তো আজব। ডক্টর হয়ে নিজেই আমাকে খাওয়াচ্ছে। আবার বলছেও না যে আম্মু বাবা কোথায় ? কি আজব ?
নীলিমা : butler স্যার…
butler : হামম ডক্টর নীলিমা।
নীলিমা : মেরিন সবার কথা বলছে কিন্তু… ওর বাবার বাড়ির মানুষের কথা বলছে। যে নীড়ের কথা বলে জ্ঞান ফিরলো । তার নামও নিচ্ছেনা।
butler : হামম। ওর রিপোর্টটা দেখেছেন? ওর অগ্রমস্তিষ্কের সেরেব্রাম আর হাইপোথ্যালামাসে আঘাতটা বেশ দৃঢ়। হাইপোথ্যালামাসের আঘাতের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসা আর প্রচন্ড ঘৃণা ওর মাথায় বসে গিয়েছে। আর সেরেব্রামের আঘাতের জন্য কিছু স্মৃতি মুছে গিয়েছে। নীড়… হয়তো নীড়কে প্রচন্ড ভালোবাসে আর না হয় নীড়কে প্রচন্ড ঘৃণা করে। তাই হয়তো নীড় ওর স্মৃতির পাতায় নেই। তবে আমি বেশ চিন্তিত । ওর মাথায় বুলেট টা এমনভাবে আঘাত করেছে যে হয়তো …
নীলিমা : হয়তো…?
butler : ওর হাতে সময় বেশি নেই। আবার হয়তো আছে। as you know brian is a very complicated thing … এই কারনেই তো বলছি নীড় বা নীড়ের স্মৃতি হলে ভালো হতো। সেটাতে মেরিন কিভাবে react করে…সেটা জানা দরকার। তাহলে হয়তো বুঝতে পারবো যে ও কেমন dose নিতে পারবে।
নীলিমা : আচ্ছা নীড়কে দেখে কি মেরিন ওকে চিনবে?
butler : don’t know …
নীড় : এটা কোন জায়গা?
নিহাল : এখানেই তো তোমার favorite মানুষটা আছে। দীপ্ত তুমি ওকে নিয়ে যাও। আমি নীলাকে সামলাচ্ছি।
নিহাল আগে আগে গেলো।
নীলিমা : তুমি?
নিহাল : হ্যা আমি। সমস্যা?
নীলিমা খুশী হয়ে
বলল : নীড় এসেছে?
নিহাল : কেন? ও কেন আসবে? কোনো কারন নেই ওর এখানে আসার। মেরিন না তো কখনো নীড়কে ভালোবেসেছে আর না নীড়ের ভালোবাসা বুঝেছে….
.
অতীত…
[
মেরিন : বাবা আমরা কোথায় যাচ্ছি? তাও এই বোরকা টোরকা পরে? মুখে কালি টালি মেখে?
কবির : কোর্টে।
কনিকা : কেন সেটা বলবে তো?
কবির : বিয়ে দিতে…
কনিকা-মেরিন : কার বিয়ে?
কবির : মাহিরের সাথে মেরিনের।
মেরিন যেন আকাশ থেকে পরলো।
কনিকা : তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো?
কবির : না। আমি আমার মেয়েকে ওই পাগলের হাত থেকে বাচাতে চাইছি।
কনিকা : নীড় জানলে যে …
কবির : কিচ্ছু করতে পারবেনা…. ১বার বিয়ে হয়ে গেলে কিছুই করতে পারবে না।
নীড় : like really …?
কথাটা শুনো মেরিন চমকে উঠলো।
কবির : কে?
নীড় ঘাড় ঘুরালো।
নীড় : its me শশুড়ড্যাড। whats up?
কবির : তুমি? রতন কোথায়?
নীড় : তাকে ভুরী ভোজ করানো হচ্ছে।
কবির : থামাও গাড়ি… থামাও।
নীড় : কেন শশুড়ড্যাড? কোর্টে যাবেন না? বিয়ে আছে যে…. না গেলে ভালো লাগবেনা।
মেরিন মনে মনে : কি করতে চাইছে নীড়?
.
গাড়ি থামলো…
নীড় : নামো নামো সবাই…
নীড় নিজে দরজা খুলে দিলো।
নীড় : how good am i…
৩জন নেমে অবাক হয়ে গেলো। কারন মাহির রক্তাত্ব অবস্থায় হাটু গেরে আছে।
কবির : মাহির…
নীড় : কেমন লাগলো সিনেমাটা শশুড়ড্যাড? আমি জানি ভালো। তাইনা?
কবির : বেশি বার বারা ভালোনা। ঝড়ে পরে যাবে।
নীড় : বর্ষন আমি। যাই হোক। মেরিনকে অন্যকারো সাথে বিয়ে দেয়ার কথা ভুলে যান। ও আমার….
কবির : তোমার সাথে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দিবোনা।
নীড় : না দেয়ার কোনো কারন তো দেখিনা শশুড়ড্যাড। আর তাছারাও তোমার permission এর জন্য আমি তো আর বসে থাকবোনা। তোমার সামনে তোমার মেয়েকে বিয়ে করবো। ১ডজন বাচ্চা বানাবো। তারা তোমাকে নানাভাই বলে ডাকবে…
কবির : আমি মরে গেলেও এমন হতে দিবোনা।
নীড় : sure?
কবির : হ্যা। কখনো না।
নীড় : ok… then তুমি মরে যাও।
বলেই নীড় কবিরের মাথায় বন্দুক ঠেকালো।
মেরিন : বাবা…
নীড় : oh my snow white… তিনি ১জন অপ্রয়োজনীয় মানুষ। তার expire হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। he have to di…
মেরিন এসে ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : আপনি ১টা অমানুষ। এতোদিন ভেবেছি যে আপনি mentally sick… তাই এমন উদ্ভট আচরন করেন। সময় নিয়ে আপনার সাথে কথা বলবো। বোঝাবো। কিন্তু আপনি তো মানুষই নন। আমি নিজেকে শেষ করে দিবো তবুও আপনার হবোনা। তখন আমার লাশকে বিয়ে করবেন। চলো বাবা মাহিরকে হসপিটালে নিতে হবে। আর হ্যা মনে রাখবেন। আমি মাহিরকেই বিয়ে করবো।
বলেই মেরিন মাহিরের দিকে ১পা বারালো।….
তখন…
.
চলবে…