#সাইকো_নীড়
part : 3
writer : Mohona
.
নীড় তিলটাতে কিস করে দিলো। মেরিন বিস্ফোরিত চোখে নীড়ের দিকে তাকালো।থাপ্পর দিতে গিয়ে বুঝলো ২টা হাতই নীড়ের দখলে।
নীড় : হাহাহা… হাহাহা… কি হলো থাপ্পর না দিতে পেরে খারাপ লাগছে বুঝি? so sad… হাহাহা… by the way কেন হাতটা ধরেছি জানো ? কারন আমার ভীষন ক্ষুধা পেয়েছে। আর তোমার থাপ্পর খেলে আমার ভীষন রাগ উঠবে। আর return gift হিসেবে অনেকগুলো থাপ্পর দিবো। যেটা আপাদত চাইছিনা… মেরিন রাগ ঝারতে না পেরে কেদে দিলো।
নীড় : হেই তুমি কান্না করছো কেন? এই প্রথম দেখলাম রেগে গিয়ে কাউকে কান্না করতে। wow… great experience … looking hot… আরেকটু বেশি করে কান্না করোনা।
নীড়ের কথায় মেরিনের রাগ আরো বেরে গেলো।
মেরিন : হাত ছারুন…
নীড় : উহু… ছারতে ইচ্ছা করছেনা… তোমার হাত ভীষন নরম।
মেরিন : ছারতে বলেছিনা…
নীড় : উহু…
বলেই নীড় মেরিনের ২হাত নিয়ে সেটা নিজের মুখের সামনে নিয়ে ঘ্রাণ নিতে লাগলো আর কিস করতে লাগলো। মেরিনের হাত-পা ঘামতে লাগলো। কাপতে লাগলো হাত-পা। কিন্তু মেরিন কিছুতেই বুঝতে পারছেনা যে নীড় এমন অদ্ভূদ আচরন করছে কেন ? ওর গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে। ৮-১০ মিনিন পর নীড় মেরিনের হাত থেকে মুখ তুলল।
নীড় : তোমার হাতে এক অদ্ভূদ ঘ্রাণ আছে। actually তোমার মধ্যেই আছে। প্রতিটা মানুষেরই নিজস্ব ঘ্রাণ আছে।
মেরিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। এটা আবাক কেমন অদ্ভূদ কথা।
নীড় : ok bye my snow white…
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।
মেরিন just ভাবার চেষ্টা করছে যে নীড় বলে কি গেলো?
মেরিন : এই লোকটা নিজেও পাগল আর আমার মাথা খাওয়ারও ফন্দি এটেছে।
.
পরদিন…
মেরিন রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলো। দেখলো টেবিলে বসে নীড় গোগ্রাসে গিলছে। কনিকা আর কবির তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আসলে বেচারাদের কিছু করার নেই।
মেরিন : বাবা এই লোকটা এখানে কি করে?
নীড় : চোখে কি কম দেখো নাকি? আজব…
মেরিন : এই লোকটা খাচ্ছে আর তোমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছো?
নীড় : তো কি করবে?
মেরিন : শুনুন আপনার সাথে কথা বলছিনা।
নীড় : directly না বললেও indirectly তো বলছো my snow white …
মেরিন : এর সাথে কথা বলাই বেকার। গেলাম বাবা…
১পা আগে বারতেই মেরিন হাতে টান অুভব করলো। দেখলো নীড় ওর হাত ধরে আছে। এখনকার হাত ধরা আর রাতের কাহিনী সেই সাথে খালি পেট … ৩টা মিলিয়ে মেরিন ভীষন রেগে আছে। ঠাটিয়ে ১টা থাপ্পর মারলো। কিন্তু থাপ্পরে নীড়ের হাত ছারানো তো দূরের কথা … নীড়ের মুখটাও ১চুল নরাতে পারলোনা । উল্টা নীড়ের stylish দাড়িতে মেরিন হাতে ব্যাথা পেলো।
নীড় : ঠিক করলেনা my snow white … এতো আস্তে করে কেউ থাপ্পর মারে? ২দিন পর আমার বউ হবে… অথচ এতো আস্তে থাপ্পর। আজকে ক্লাস শেষে আমি তোমাকে থাপ্পর মারা শেখাবো। রোজ ১ঘন্টা করে। ok…
মেরিন : আপনি কি?
নীড় : #সাইকো_নীড় my snow white… anyway …
বলেই মেরিনের হাতে ১টা চিমটি কাটলো। ভীষন জোরে।
মেরিন : আ…
মেরিন চিল্লানোর জন্য হা করতেই নীড় ওর মুখে সিদ্ধ ডিম ঢুকিয়ে দিলো। মুখ থেকে কোনো কিছু ওভাবে বের করতে মেরিন কেন যেন ঘিনঘিন করে। তাই খুব কষ্ট করে ডিমটা খেলো।
মেরিন : এসবের মানে কি?
নীড় : process …
মেরিন : process …?
নীড় : হ্যা তোমাকে খাওয়ানোর…। এখন ভাললো মেয়ের মতো প্লেটের খাবার খেয়ে নাও।
মেরিন : আমি খাবোনা…
নীড় : আমি কিন্তু আরো ভয়ংকর কিছু করবো।
মেরিন : যা ইচ্ছা করেন।
নীড় : ওকে…
বলেই নীড় মেরিনের হাতটা তুলে চিমটি কাটা জায়গায় ১টা কিস করে সেখানে হাত বুলাতে লাগলো। মেরিন বেশ বুঝতে পারছে যে নীড় এবার আরো জোরে চিমটি কাটবে। তাই চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে দাতে দাত চেপে সেই চিমটি সহ্য করার জন্য প্রস্তুত হয়ে নিলো। কিন্তু নীড়…
নীড় ১টা বাকা হাসি দিয়ে অন্য ১টা জায়গায় দিলো এক কামড় বসিয়ে। তাও যথেষ্ট জোরে। তাই না চাইতেও মেরিন চিৎকার করে উঠলো ।
কবির : মামনি…
যেহেতু মেরিন আরো জোরে চিল্লিয়েছে সেহেতু আরো বড় হা করেছে। নীড় সেই সুযোগে অর্ধেকটা স্যান্ডুইচ ঢুকিয়ে দিলো। আবারও মেরিন একই অবস্থা হলো। মেরিনের গলায় ঠেকলো। নীড় ১গ্লাস দুধ এনে দিলো। মেরিন না দেখেই ঢকঢক করে কিছুটা খেয়ে বুঝলে যে এটা দুধ। নারিভুরি উল্টে আসতে লাগলো। এবার আর সহ্য করতে পারলোনা। ঠাস করে গ্লাসটা আছার মারলো।
নীড় : good… খুব সুন্দর করে আছার মারো তো snow white … যাই হোক এখন যেতে পারো। ১টা ডিম সেদ্ধ , অর্ধেক স্যান্ডুইচ আর অর্ধেক গ্লাস দুধ। খারাপ না নাস্তা হিসাবে।
মেরিনের ইচ্ছা করছে নীড়কে গিলে খেতে। কিন্তু মেরিনের অতো সাহস বা ক্ষমতা নেই ।
মেরিন : বাবা আমি গেলাম।
.
মেরিন গিয়ে গাড়িতে বসলো। মেরিন মেডিকেলে নিজে ড্রাইভ করে যায়না। কেবল ছুটির দিনেই নিজে গাড়ি নিয়ে বের হয় । গাড়িতে বসে ডানদিকে ঘুরতেই চমকে উঠলো । কারন নীড় বসে আছে।
নীড় : হাই snow white…
মেরিন ১টা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বের হতে নিলো। নীড় মেরিনের কোমড় জরিয়ে ধরে টেনে এনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
মেরিন : এটা কেমন অসভ্যতা?
নীড় : প্রিয়… চলো।
মেরিন : আমি কিছু বলেছি।
নীড় : আমি কি বলেছি যে আমি শুনিনি।
মেরিন : আমার কোমড় জরিয়ে ধরেছেন কোন সাহসে?
নীড় : আমার সাহসে।
মেরিন : ছারুন আমাকে। ছারুন বলছি। তখনকার থাপ্পরটা কি ভুলে গিয়েছেন?
নীড় : ন্যাহ । আমি কিছু ভুলিনা। আমার memory enough strong … my snow white…. আর ওইটা থাপ্পর ছিলো? really ?
মেরিন : ছারুন আমাকে।
নীড় : আচ্ছা সাপের মতো মোচরাচ্ছো কেন? আমি না ছারলে কি তোমার সাধ্য আছে মুক্তি পাওয়ার। খামোখা energy waste কোরো না তো snow white…
মেরিন তাও চেষ্টা করেই যাচ্ছে। নীড় মেরিনের ঘাড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
নীড় : আচ্ছা snow white … তোমারও কি 80-90% মেয়েদের মতো ঘাড়ে সুরসুরি আছে? আসলে কি আমার না তোমার ঘাড়ে মুখ গুজতে ভীষন ইচ্ছা করছে।
কথাটা শুনে মেরিন স্থির হয়ে গেলো। ওর স্নায়ুগুলো মনে হচ্ছে কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। নীড়ের এই কথায় মেরিনের অদ্ভূদ অনুভূতি গুলো মাথাচরা দিচ্ছে। সেই সুযোগে নীড় মেরিনের হাতে ১টা injection push করলো।
মেরিন : আহ..
নীড় মেরিনকে ছেরে দিলো । মেরিন injection push করা জায়গায় হাত বুলাতে বুলাতে নীড়ের দিকে ঘুরলো। নীড়ের হাতে ১টা সিরিঞ্জ দেখতে পেলো। নীড়ের মুখে devil smile ….
মেরিন : injection !!!
নীড় : ইয়াহ…
মেরিন মনে মনে : oh no… কিসের injection ? ঘুমের না মাতাল করার…
নীড় : ন্যাহ… তুমি যেটা ভাবছো সেটানা। তোমাকে যে চিমটি আর কামড়টা দিয়েছি সেটার জন্য যেন কোনো infection না হয় সেজন্যেই দিলাম। আমি চাইনা infection এ তুমি মরে যাও। কারন আমি এখনও তোমার সাথে romanceই করলাম না। ১বার মন ভরে romance করে নেই। এরপর তুমি মরে গেলেও no problem …
মেরিন : আপনি কি মানুষ?
নীড় : হ্যা মানুষ। মানুষ বলেই তো আমার কামড়ে infection হতে পারে। যদি বিশ্বাস না হয় যে আমি মানুষ তবে কামড় দিয়ে রক্ত বের করে দেখতে পারো। আমি কিন্তু সেটাকে লাভ বাইট হিসেবেই নিবো।
মেরিনের নিজের চুল টানতে ইচ্ছা করছে। কিছুনা বলে একেবারে জানালার সাথে লেগে বসলো। নীড়ও একেবারে ওর পাশ ঘেসে বসলো। এরপর মেরিনের হাত নিয়ে চিমটি আর কামড়ের জায়গায় কিস করতে লাগলো।
মেরিন : সাইকো।
.
কিছুক্ষনপর…
গাড়ি থামলো। মেরিন দ্রুত বেরিয়ে এলো। কিন্তু ৪-৫কদম যেতেই নীড় এসে খপ করে হাত শক্ত করে ধরলো।
মেরিন : কি হচ্ছেটা কি? এতো মানুষের সামনে … ছারুন হাত…
নীড় : just chill snow white … just হাতই তো ধরেছি। আমি চাইলে কিন্তু এখন এই মুহুর্তে তোমাকে লিপকিসও করতে পারি। করি… ?..
মেরিন : shut up…
মনে মনে : এর সাথে কথা কেন বলি…
ক্যাম্পাসের সবাই specially মেয়েরা তো চোখ বের করে নীড়কে দেখছে। নীড় চশমাটা ১টা চোখ থেকে নাকে নামিয়ে ডানদিক থেকে বাদিকে মাথাটা ঘুরিয়ে সবাইকে দেখে নিয়ে চশমাটা ঠিক ভাবে পরলো। এরপর ২টা আঙ্গুল ঠোটে ছুইয়ে হাতটাও ডান দিক থেকে বাদিকে ঘোরালে। যেন সবাইকে কিস ছুরে মারলো। এরপর তৎক্ষনাক মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন : কি হচ্ছেটা কি… নামান…
নীড় :ন্যাহ…
এরপর মাথাটা একটু মেরিনের দিকে ঝুকিয়ে
বলল : you are the best my snow white …
নীড় মেরিনকে ক্লাসে বসিয়ে বেরিয়ে এলো।ক্লাস ভিন্নক্লাস … সব মেয়েরা প্রথমে নীড়কে ঘিরে ধরলো। নীড় ১টা হাসি দিয়ে attitude নিয়ে চলে গেলো। এরপর সবাই মেরিনের ওপর হামলা করলো।
.
ক্লাস শেষে…
মেরিন রুম থেকে বের হতেই দেখলো নীড় দারিয়ে আছে।
নীড় : hello my snow white… বিরক্ত হয়ে লাভ নেই। তোমার জীবনে এখন আমিই আমি…
কথা গুলো বলতে নীড় মেরিনের সামনে এলো। এসেই মেরিনের কাধে হাত রেখে হাটতে লাগলো। মেরিন ভবন থেকে নিচে নেমেই দেখে নীড়ের লাল রঙের bmw car…
মেরিন : এখানে কার গাড়ি? এখানে তো গাড়ি রাখা নিষেধ…
নীড় : নীড়ের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা চলেনা। বসো।
মেরিন : আমি আপনার গাড়িতে কেন যাবো…. আমি আমার গাড়িতে যাবো।
নীড় : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের would be হয়ে ওই 3rd class গাড়িতে যাবে? ছিঃ।
মেরিন : আমাকে এভাবে অপমান করার কোন অধিকার আপনার নেই? আর কে আপনার would be? আমি আপনার would be নই…
নীড় : হয়েছে তোমার বকবক…
বলেই নীড় মেরিনকে কোলে তুলে গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো। কিছুক্ষন পর মেরিন দেখতে পেলো যে এটা ওদের বাসায় যাওয়ার রাস্তা না… অন্যরাস্তা।
মেরিন :একি? এটা তো আমাদের বাসায় যাওয়ার রাস্তা না।
নীড় :আমি কখন বললাম যে এটা বাসায় যাওয়ার রাস্তা?
মেরিন : কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?
নীড় : oh my snow white… তোমার memory এতো খারাপ? সকালেই তো বলেছিলাম যে ক্লাস শেষে তোমাকে থাপ্পর ক্লাস করাতে নিয়ে যাবো। আজকে থেকেই বেশি করে বাদাম খাবে। বুঝেছো?
মেরিন : থাপ্পর ক্লাস???
.
একটুপর…
গাড়ি থামলো । নীড় হাত ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো। নিয়ে বসিয়ে দিলো। মেরিন দেখলো ৫জন বডিগার্ড টাইপ লোক দারিয়ে আছে। মেরিনের মাথায় কিছু ঢুকছেনা। নীড় ১চুমুক vodka খেয়ে
বলল : শোনো … প্রথমে আমি তোমাকে থাপ্পর দিবো। তুমি সেটার power , angel , speed , position সব খেয়াল করবে। এরপর তুমি সেটা মাথায় রেখে প্রথম জনকে থাপ্পর মারবে। আমার থাপ্পর খেয়ে তোমার যে হাল হবে তোমার থাপ্পর খেয়ে ১ম জনের যদি সেই হাল হয় তবে তো হয়েই গেলো। ১ম বারেই বাজিমাত। আর যদি তা না হয় তবে আমি তোমাকে আরেকটা থাপ্পর মারবো। সেটা খেয়ে তুমি ২য় জনকে থাপ্পর মারবে। এটার বেলায়ও সেই একই নিয়ম। যদি হয় তো হলো না হলে আমি তোমাকে আরো ১টা থাপ্পর মারবো। তবে এই ৩নম্বর থাপ্পরটা তে একটু কম বল প্রয়োগ করবো। কারন ১ম থাপ্পর মেরে ২য় থাপ্পর মারার সময় তোমার বল বৃদ্ধি পাবে। এভাবে তোমার বল বারবে আর আমার বল কমবে।
মেরিনের মাথায় কিছুই ঢুকছেনা।
নীড় : কিছুই বোঝোনি তাইতো? come with me…
বলেই নীড় মেরিনকে দার করালো।
নীড় : দেখো আমি তোমাকে থাপ্পর মারবো। তুমি আমার থাপ্পরের বল , শক্তি , ক্ষমতা , ধরন , কোণ সব লক্ষ করবে। আর যেহেতু তুমি মেয়ে তাই আমি সেটা মাথায় রেখেই থাপ্পর মারবো। ok then.. ready … 1…2…3…
নীড় ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো। মেরিন ২-৩হাত পিছে গিয়ে ছিটকে পরলো।
নীড় : ওহ শিট। দেখি দেখি হাত দাও।
নীড় মেরিনকে টেনে তুলল।
নীড় : তুমি তো দেখি অনেক দুর্বল । এতো আস্তো থাপ্পর মারলাম তবুও ১কিলোমিটার দূরে গিয়ে পরলে? না না আমার বউ তো এমন হলে চলবেনা। শোনো কালকে থেকে তুমি আমার instruction অনুযায়ী চলবে।
মেরিন প্রথমে না বুঝলেও এখন ঠিক বুঝতে পারছে যে নীড় এসব করছে সকালের থাপ্পরটার জন্য।
মেরিন মনে মনে : কোন দুঃখে যে থাপ্পর মারতে গেলাম। থাপ্পরেযে ভীষন ব্যাথা। শেষ পর্যন্ত মনে হয় সবগুলো দাঁত পরে যাবে। এক কাজ করি sorry বলে দেই। কিন্তু তাতে কি কোনো লাভ হবে? নাহ ১টা try করে দেখি। যদি ১ম জনকে থাপ্পর মেরে মঙ্গল গ্রহে পাঠাতে পারি।
নীড় : উফফ…. কি এতো ভাবছো? না ভেবে থাপ্পর মারোতে। ready…1…2…3.
মেরিন নিজের সব শক্তি দিয়ে থাপ্পর মারলো। কিন্তু লোকটা ১চুলও নরলোনা। এমনকি মাথাটাও নরাতে পারবে কি করে? লোকটা যে পালোয়ান টাইপ।
নীড় : হলো না তো। নাও আবার দেখো।
বলেই আবার ঠাস করে মেরিন কে থাপ্পর মারলো। মেরিন আবার ৩-৪হাত দূরে গিয়ে পরলো…. নীড় আবার ওকে টেনে তুলল।
নীড় : তুমি তো দেখি বড়ই আজব। যাই হোক এখন ২য় জনকে থাপ্পর মারো….
মেরিন দারিয়ে রইলো।
নীড় : কি হলো? মারো…
মেরিন : i am sorry …
নীড় : না না sorry বলে give up করলে তো হবেনা।
মেরিন : আমি give up করার জন্য sorry বলিনি। আমি সকালে থাপ্পর মারার জন্য sorry বলেছি।
নীড় : আরে সকালের কথা এখন উঠবে কেন? do it do it…
মেরিন : বললাম তো i am sorry …. প্লিজ ক্ষমা করে দিন।
নীড় : কিসের sorry ? কিসের ক্ষমা? আমি তো এগুলো just তোমাকে strong বানানোর জন্য করছি।
মেরিন : না আমি জানি আপনি এগুলো বদলা নেয়ার জন্য করছেন। strong হতে হতে ব্যাথার চোটে আমি মরেই যাবো।
নীড় : ব্যাথা পেয়েছো? দেখি দেখি… এতো আস্তে থাপ্পর দিলাম তারপরও ব্যাথা পেলে? ইশ লাল হয়ে গিয়েছে গালটা…. উফফ… তুমিও না। আগেই বলা উচিত ছিলো যে ব্যাথা পাচ্ছো। এই এই …. তোমরা যাও। আজকের থাপ্পর ক্লাস এখানেই শেষ। আমার snow white ব্যাথা পেয়েছে…
সবাই বেরিয়ে গেলো। মেরিনের মাথাব্যাথা করছে। শুধু তাইনা মুখ খুলতে কষ্ট হচ্ছে। গালটা এখনও জ্বলছে।
নীড় : দেখি আসো দেখি….
নীড় মেরিনকে কোলে নিয়ে বসলো। না এখন মেরিন ওঠার জন্য ছোটাছোটি করেনি। কারন মাথাটা ঝিমঝিম করছে ।
নীড় : আহারে আমার snow white এর গালটার কি অবস্থা…. দেখি আদর করে দেই।
বলেই নীড় একের পর এক কিস করতে লাগলো। নীড় নিজের কাজে এতোই ব্যাস্ত যে খেয়ালই করেনি মেরিন যে কোনো react করেনি। ১টা সময় মেরিন জ্ঞান হারালো। সব ভার নীড়ের ওপর ছেরে দিলো। নীড় তখন নেশা থেকে বের হলো।
নীড় : ouch… ননীর পুতুল… হাহাহা….
.
পরদিন…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। আসলে রাতে ভীষন জ্বর উঠেছিলো মেরিনের। একটু নরে চরে আরমোরা ভাংতেই ডানপাশে নজর গেলো। দেখলো নীড় শুয়ে আছে। তাও ওর যথেষ্ট কাছে । মেরিন চমকে উঠলো। তারাতারি করে উঠতে নিলো। তখন বুঝলো নীড় ১হাত দিয়ে ওকে জরিয়ে ধরে আছে। মেরিন নীড়ের হাত সরাতে প্রাণপন চেষ্টা করতে লাগলো। নীড় মেরিনকে আরো কাছে টেনে এনে ওর কাধে ছোট্ট ১টা কিস করে
বলল : নরাচরা বন্ধ করো… তোমার চক্করে সারারাত ঘুমাতে পারিনি…
নীড়ের ঘুমঘুম কন্ঠ শুনে মেরিন একটু শিহরিত হলো। না চাইতেও পাশ ফিরলো। নীড় নিভু নিভু চোখ করে আবার ঘুমঘুম কন্ঠে
বলল : এভাবে তাকিওনা সর্বনাশ হয়ে যাবে…
মেরিন আর কোনো কথা না বলে সবটা শক্তি দিয়ে নীড়কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলো। এবার মেরিন সফল হলো। মেরিন তারাতারি করে বেড থেকে নেমে গেলো। খেয়াল করে দেখলো এটা ওর রুম না। নীড়ের বড় ১টা ছবি টাঙানো। বুঝলো এটা নীড়ের ঘর। সেই থাপ্পর ক্লাসের পর ওর আর কিছুই মনে নেই। এদিকে জ্বরের জন্য weakness এ আর এমন ভয়ে মেরিনের মাথা চক্কর দিলো । পরে যেতে নিলো। নীড় হাত ধরে ফেলল। ধরে হেচকা টান দিলো। এতে মেরিন নীড়ের বুকে এসে পরলো।
নীড় : are you ok my snow white ?
মেরিন নীড় থেকে সরে এলো। মেরিনের চোখে পানি টলমল করছে। সবশক্তি দিয়ে নীড়কে থাপ্পর মারলো। আসলেই এবার থাপ্পরটা ভীষন জোরে ছিলো। নীড়ের মাথাটা ঘুরে গেলো । মেরিন নীড়ের কলার ধরে সামনে আনলো। নীড় চোখ বন্ধ করে আছে । রাগটাকে control করছে।
মেরিন : দেখিয়ে দিলি তো তোর আসল রূপ…. করলি তো নিজের উদ্দেশ্য পূরন। এবার তো শান্তি হয়েছিস তুই… বল বল বল…
নীড় চোখ বন্ধ করেই
বলল : কলারটা ছারো…
মেরিন : ছারবোনা…. তুই ১টা পশু। পশুর থেকেও খারাপ।
এবার নীড় চোখ মেলল। মেরিন নীড়ের চোখ দেখে আতকে উঠলো। অসম্ভব লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে লাভা বের হবে । নীড় শক্ত হাতে কলারটা ছারিয়ে মেরিনকে টেনে আয়নার সামনে নিয়ে দার করালো। এরপর ১টানে মেরিনের ওরনাটা ফেলে দিয়ে জামার কিছু কিছু জায়গায় পটপট করে ছিরে দিলো। এরপর দাঁতেদাঁত চেপে
বলল : check yourself ….
বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। আর ধিরিম করে দরজাটা লাগিয়ে দিলো। নীড়ের ” check yourself ” কথাটা মেরিনের মনে ভয়ের ঘূর্নিঝড় শুরু করেছে। না জানি নীড় কি করবে। মেরিন নিজেকে ভালোমতো দেখলো । এরপর আয়নার মধ্যে দিয়ে ওর নজর পরলো ছোট্ট ১টা পানি ওয়ালা বাটি। সেটাতে রুমাল ভেজানো। পাশেই থার্মোমিটার , স্যুপের বাটি আর কিছু মেডিসিন রাখা। বেডের ওপর ২-৩টা blanket … মেরিন খেয়াল করলো যে ওর জামা-কাপড় তো ঠিক ছিলোই এমনকি ওর ওরনাটাও। ১চুলও নরেনি। যেমন করে সেফটিপিন মারা ছিলো তেমনি ছিলো। মেরিন বুঝতো পারলো যে থাপ্পরের প্রভাবে ওর জ্বর এসেছিলো। নীড় রাতভর ওর সেবা করেছে। মেরিন মাথায় হাত চেপে বেডে বসে পরলো।
মেরিন : oh god… কি করে ফেললাম ? over react করে ফেলেছি… না জানি আমার সাথে কি হয়… আল্লাহ বাচাও আমাকে…
.
একটুপর…
কেউ দরজায় নক করলো।
বলল : mam… may i come?
মেয়েলি কন্ঠ ।
মেরিন তারাতারি ওরনা দিয়ে নিজেকে কভার করলো। এরপর
বলল : come…
তখন ২জন মেয়ে রুমে ঢুকলো। ১জনের নাম প্রীতি আর অন্যজনের নাম জেনি…
২জন : good morning mam…
মেরিন : morning …
মেরিন দেখলো ১জনের হাতে ৩-৪টা dress… কারন মেরিনের dress ছেরা। আর অন্যজনের হাতে খাবার আর মেডিসিন। কারন মেরিন অসুস্থ।
প্রীতি : ম্যাম এখান থেকে যেকোনো ১টা dress পরে নিন।
জেনি : ম্যাম খাবার আর ঔষধ খেয়ে নিন।
মেরিন : রেখে যাও।
২জন : no mam … স্যারের order আমার যেন বসে থেকে এগুলো করে যাই। তা না হলে নাকি আপনি খাবেন না….
মেরিন : তোমাদের স্যার কোথায়….
.
চলবে…