সাইকো_নীড় part : 13

0
539

#সাইকো_নীড়
part : 13
writer : Mohona

.

জাফর : খুন করেছে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন …
কথাটা আর মেরিন আর নিতে পারলোনা। জ্ঞান হারালো।

ওদিকে বহুসময় পর নীড়ের জ্ঞান ফিরলো।
নীড় : আমি কোথায়? ভম্বল কোথায়। আমার পুন্টুস কোথায়… পুন…
দীপ্ত : এই যে বাবা তোমার পুন্টুস ।
নীড় : thank you… কিন্তু আমি এখানে কেন? আমি যাবো।
দীপ্ত : হ্যা সোনামনি। স্যালাইনটা দেয়া শেষ হলেই যাবো।

দীপ্ত বেরিয়ে এলো।

নিহাল : দীপ্ত… আমার ছেলেটা…
দীপ্ত : বুঝতে পারছিনা… নীড় কি সত্যি mentally sick…? নাকি বাস্তবতা থেকে পালাতে চাইছে….

.

মেরিন : নীড় … নীড় আমার আম্মু-বাবার খুনী… আর তাই তার নাম আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ওই লোকটাকে তো…
নীলিমা : এতো stress নিচ্ছো কেন?
মেরিন : আপনি এখানেও?
নীলিমা : তুমি আমার দায়িত্ব… আমাকে যে তোমার কাছে থাকতে হবে । আমি ওয়াদাবদ্ধ।
মেরিন : ওয়াদাবদ্ধ ? কার কাছে?
নীলিমা : আমার ছেলের কাছে।
মেরিন : আপনার ছেলে কে?
নীলিমা : জেনে যাবে … দেখি ওঠো…
মেরিন : i don’t need you…
নীলিমা : মেরিন… তোমাকে সুস্থ হতে হবে…
মেরিন : আপনি যদি সত্যি আমার ভালো চান তবে… তবে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের ঠিকুজী গুষ্ঠী বের করতে আমার সাহায্য করুন।
নীলিমা : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন… ?
মেরিন : হ্যা…
নীলিমা : কেন?
মেরিন : কারন উনি..। আপনাকে বলবোনা। লাগবেনা আপনার সাহায্য।

বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো। বাসায় গেলো। কবির-কনিকার ছবি জরিয়ে কাদতে লাগলো।

মেরিন : ছারবোনা বাবা আমি ওই নীড়কে… কিন্তু সত্যিই কী উনি খুনী? আম্মু-বাবা মারা গিয়েছে আর আমি কিছুই জানিনা…. মনে হয় আমার অসুস্থ হওয়ার পেছনে জরিত… খুন করে ফেলবো নীড়কে…. কিন্তু … কাকা কি সত্য কথা বলছে? না… আগে আমাকে সত্যিটা জানতে হবে। যদিই নীড় না হয়… কোনো নির্দোষকে তো শাস্তি দেয়া যায় না। …

মেরিন দেখতে লাগলো যে কবির-কনিকার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

জানতে পারলো যে car accident এ ওরা মারা গিয়েছে…
মেরিন : car accident …? তাহলে নীড় কিভাবে খুন করলো?

.

অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️
মেরিন মনে মনে : কাহিনী টা কি?
নীড় : আসো…
মেরিন এগিয়ে গেলো।
নীড় : meet my snow white …
জ্যোতি : wow… beautiful … permanent নাকি?
নীড় : কি মনে হয়!!!
জ্যোতি : তোকে বোঝা আর বিশ্বাস করা…. কোনোটাই সম্ভব না…
নীড় : হয়েছে । আর বুঝতে হবেনা। জানিস ও তোর পাগলা পাখা…
জ্যোতি : মানে?
নীড় : fan…
জ্যোতি : শয়তান… চল আজকে ৩জন একসাথে lunch করবো।
মেরিন : নীড়… বাবা এসেছে। airport আছে।
নীড় : শশুড়ড্যাড…? চলো গিয়ে receive করি। bye জ্যোতি…

.

গাড়িতে…
নীড় : কি ভাবছো?
মেরিন : আপনার জন্য এখন বাবার কাছে বকা খেতে হবে…
নীড় : কেন?
মেরিন : জানিনা।
নীড় : আমি থাকতে কে আমার snow white কে বকবে শুনি? তাকে পরকা…
মেরিন : ?।
নীড় : হাহাহাহা…. আচ্ছা যাও বাবাকে নিয়ে ফ্ল্যাটে যাও। জানবেনা যে তুমি আমার সাথে আছো।
মেরিন : আমি বাবাকে মিথ…
নীড় : দেখো তোমার বাবাকে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কারন ভয় পাইনা…. তবে… তবে i hate drama… তোমার বাবা কিছু বলবে। আমি রেগে যাবো। কি করবো নিজেও জানিনা… so go….

কবির এলো ১দিন থেকে চলে গেলো।

.

নীড় : এখনই এতো কাদলে বিয়ের পর কি করবা?
মেরিন : ….
নীড় : যাই হোক আজকে আমার বাসায় আসতে late হবে। রাতে নাও ফিরতে পারি…
মেরিন : কোথায় যাচ্ছেন?
নীড় : রুমডেটে… অনেকদিন ধরে বোর হচ্ছি।
কথাটা মেরিনের ভালো লাগলোনা।
নীড় : তবে তবে তবে… যদি তুমি অনুমতি দাও,রাজী থাকো তবে program টা cancel হতে পারে…
মেরিন কিছু না বলে রুমে চলে গেলো। নীড়ও নিজের রুমে গিয়ে রেডি হয়ে এলো।
নীড় : snow… এই snow…. snow white … snow white … এই মেয়েটা করছে টা কি?
নীড় মেরিনের রুমে গেলো। দেখলো ঘুমিয়ে আছে।
নীড় : এতো দেখি ঘুম… snow white … ???…
মেরিন হুরমুরিয়ে উঠলো…
মেরিন : কি হয়েছে?
মেরিন তাকিয়ে দেখলো নীড় ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মেরিন নিজের দিকে তাকালো। দেখলো না তো ওরনা ঠিক আছে আর না জামা… তারাতারি ঠিক করলো নিজেকে। নীড় দরজায় জোরে ১টা বারি মেরে বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : কি লোকরে বাবা… ঘুমাতেও দিলোনা। আর এতো সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছে?
নীড় : এই snow… কতোক্ষন wait করবো? আসো…
মেরিন বের হলো…
নীড় : আমি বের হওয়ার সময় চোখের সামনে তুমি থাকবা আর আমি বাহিরে থেকে আসলেও তুমি থাকবা। বিয়ের পর যেন এর নরচর না হয়। এখন একটু practice হচ্ছে । good for you…
মেরিন : …
নীড় : আর শোনো… বিয়ের শোনো বড় গলার জামা পরবেনা। আর ওরনায় পিন মারতে পারোনা? গায়ে blanket দিয়ে ঘুমাবা… বুঝেছো…
মেরিন : আপনি নক না করে আমার রুমে ঢোকেন কেন?
নীড় : আমার ইচ্ছা। আসছি।
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : oh god… কার পাল্লায় পরলাম… কি সেজেগুজে যাচ্ছে … মেয়েদেরকে পিছে ঘুরানোর জন্য … অসভ্য ।

.

রাত ১টা…
নীড় বেল বাজিয়েই যাচ্ছে। মেরিন তো ঘুম…
নীড় : snow … snow white …
অবশেষে মেরিনের ঘুম ভাঙলো। ছুটে এলো। দরজা খুলল। ঘুমঘুম চোখে দেখলো নীড়কে। রেগে আছে।
নীড় : দরজা খুলতে এতোক্ষন লাগে?
মেরিন : আপনার কাছে pair key নেই?
নীড় : আছে। তো?
তুমি আছোনা? কি বলে গিয়েছিলাম মনে নেই?
মেরিন : না…
নীড় : stupid …
বলেই নীড় মেরিনকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : ছারেন। ঘুমাবো…
নীড় : উহু… আজকে তোমাকে ঘুমাতে দিবোনা। সারারাত এভাবেই দারিয়ে থাকবো… তোমাকে জরিয়ে ধরে… না একটু বসা যেতে পারে। তবে তোমাকে এভাবেই থাকতে হবে।
মেরিন : আজব তো…. আমার ঘুম পাচ্ছে।
নীড় : চুপ থাকো…
মেরিন : এতোক্ষন অন্যদের বুকে জরিয়ে ধরে মন ভরেনি? ছারুন আমি ঘুমাবো….
কথাটা শুনেই নীড় মেরিনকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। আর ঘাড়ে কিস করতে লাগলো। মেরিন নীড়কে সরাতে পারছেনা। বেশ কিছুক্ষন পর মেরিনকে ছেরে দিয়ে আবার বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : এই লোকটা মানুষ না গন্ডার? এভাবে কেউ জরিয়ে ধরে?

.

১ঘন্টাপর…
নীড় ফিরে এলো। সাথে ১টা মেয়ে ।
মেরিন : ইনি কে?
নীড় : new girlfriend …
বলেই ১হাতে মেরিনের হাত আর অন্যহাতে ওই মেয়েটার হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে গেলো।
মেরিন : আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এলেন কেন?
নীড় : আমি এলিনার সাথে romance করবো। আর তুমি দেখবা। its your punishment …
মেরিন : আপনি romance করেন আর যা খুশি করেন। আমি কেন দেখবো? আমি গেলাম…
বলেই মেরিন যেতে নিলে নীড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
নীড় : এলিনা একটু বাহিরে যাও। প্লিজ…
এলিনা বের হলো।
নীড় : ভীষন রেগে আছি… যেটা তোমার সাথে করতে চাইছিনা… সেটা করাতে বাধ্য করোনা। ১সেকেন্ডে তোমাকে আমার করতে পারি… so do that …
মেরিন নীড়কে সরালো।
মেরিন : আপনি নির্লজ্জ হতে পারেন। কিন্তু আমিনা। আমি আপনাকে ভ…
আর বলতে পারলোনা নীড় মেরিনকে থাপ্পর মারলো। এরপর টেনে তুলে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো…. এরপর ১হাত মেরিনের পিঠে রাখলো। ১টানে চেইন নামালো…
মেরিন নরতে চরতে পারছেনা। কারন নীড় অন্যহাত দিয়ে মেরিনকে এমনভাবে আগলে রেখেছে যে মেরিন নরতে পারছেনা। মেরিনের চোখে পানি টলমল করছে… নীড় ধীরে ধীরে মেরিনের সামনে মুখটা নিতে লাগলো। মেরিন মুখটা ঘুরিয়ে ফেলল। নীড় মুখটা মেরিনের কানের সামনে নিলো।
নীড় : don’t be scared my snow white … এটা কেবল ১টা trailer… আরো অনেক কিছুই হতে পারে… so enjoy your punishment please …
বলেই চেইনটা লাগিয়ে দিলো।
নীড় : এলিনা… come inside … & you my snow white…. চোখ মেলে দেখো…

এলিনা রুমে এলো। নীড় এলিনার কাছে গেলো। ১নজর মেরিনের দিকে তাকালো। এরপর আর কোনো কথা না ভেবে এলিনার ঠোট জোরা দখল করে নিলো। মেরিনের ভীষন অস্বস্তি লাগছে। নীড় এলিনার গলায় আর ঘাড়ে পাগলের মতো কিছুক্ষন কিস করে ছেরে দিলো।
নীড় : তোমার এই মুখ নিয়ে চলে যাও… bye…
এলিনা বোকার মতো তাকিয়ে আছো।
নীড় : কি হলো যাও।
এলিনা চলে গেলো।

মেরিন : এবার আমি রুমে যেতে পারি?
নীড় কিছুনা বলে washroom এ গেলো।

.

কিছুদিনপর…
নীড় : snow white…
মেরিন : হামম।
নীড় : ক্লাস কেমন হলো?
মেরিন : ভালো।
নীড় : মন খারাপ কেন?
মেরিন : কই না তো…
নীড় : সেদিনের জন্য কি এখনও রেগে আছো?
মেরিন ১টা মুচকি হাসি দিলো।
মেরিন : নীড় আপনি তো সবার থেকে আলাদা। তবুও কি ছোটবেলায় কখনো puppet show দেখেছেন? puppet master ১টা puppetকে যেভাবে খুশী সেভাবে নাচাতে পারে। যা খুশী করতে পারে। কিন্তু পাপেটটা কিছুই করতে পারেনা। আমিও ঠিক তেমনই হয়ে যাচ্ছি। আপনি পাপেট মাস্টার আর আমি পাপেট… যা করাচ্ছেন তাই করছি। এমনকি react টাও আপনার পছন্দ মতোই করতে হবে মনে হয়… ধীরে ধীরে আমি নিজের অপছন্দের হয়ে যাচ্ছি… কারন কখনো আমি নিজের অপছন্দের কাজ করিনি…. কখনো মেয়ে হওয়া নিয়ে রাগ হয়নি। কিন্তু এখন হয়। শুধুমাত্র মেয়ে হওয়ার জন্যেই আজকে আমার সাথে এসব হচ্ছে…
নীড় : আজকে কোথায় lunch করা যায় বলো তো…?
মেরিন : যেখানে আপনার ইচ্ছা।
নীড় : ok…

.

রাতে…
হঠাৎ করে মেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো। গলাটা ভীষন শুকিয়ে গিয়েছে। মেরিন দেখলো যে পানির জগটা নেই। থাকবে কি করে? আজকে তো নীড় ওক পানির জগ রেখে যায়নি… মেরিন পানি আনতে গেলো। গিয়ে দেখলো যে নীড় হলরুমে পরে আছে… হাতে হুইসকির বোতল… মেরিন নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিন : নীড়…. নীড়…
নীড় : উ… হু… তততুমিহ?
মেরিন : আপনি এখানে শুয়ে আছেন কেন?
নীড় : এএমনিতেই। যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরো… অনেক রাত হয়ে গিয়েছে…
মেরিন : আপনি রুমে গিয়ে ঘুমান…
নীড় : বললাম না যেতে… যাও….

মেরিন ৪কদম যেয়ে আবার ফিরে এলো। নীড়ের কপালে হাত দিতে নিলো জ্বর এসেছে কিনা জানতে…. কেবল ধরবে।
নীড় : ছুয়ো না আমায়…
মেরিন : …
নীড় : আমাকে ছুতে তো তোমার ঘৃণা করে… আমি জানি….
মেরিন : ….
নীড় উঠে বসলো। মেরিনকে টেনে নিজের পাশে বসালো। এরপর মেরিনের ঘাড়ে মাথা রাখলো।
নীড় : ভালোবাসি…. আচ্ছা আজকে গাড়িতে কথাগুলো বলার জন্য তোমাকে কি শাস্তি দেয়া যায় বলোতো….
মেরিন : …
নীড় : আজকে তোমাকে ভালোবেসে শাস্তি দেই…?
মেরিন : দেখি চলুন ঘুমাবেন…
নীড় : তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাই প্লিজ?
মেরিন : …
নীড় কিছু না বলে মেরিনের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরলো।

নীড়ের পাগলামোতে দিন কাটতে লাগলো।

.

নীড় : ছুটিতে কি দেশে ফেরা জরুরী?
মেরিন : ৪মাস হয়ে গিয়েছে। কবে থেকে আম্মু-বাবাকে দেখিনা।
নীড় : তুমি যে আমার বাজে অভ্যাস হয়ে গিয়েছো। আচ্ছা প্রতিদিন রাতে আমি তোমাদের বাসায় যাবো। কেমন? আর দিনে তো থাকবোই..
মেরিন : পাগল আপনি…

২জন দেশে ফিরলো।

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here