#সাইকো_নীড়
part : 10
writer : Mohona
.
মেরিনের চোখে পানি টলমল করছে।
নীড় : what??? আমি ফিরে আসায় তোমার এতোই খারাপ লাগছে..!!!? ভালোই হয়েছে কাদলে তোমাকে হেব্বি লাগে… কাদবেই যখন ভালোমতো কাদোনা। মন খুলে কাদো। let me help you…
বলেই নীড় মেরিনের হাত ধরে দিলো ১টা কামড়।
মেরিন : আহ…
নীড় রাজ্য বিজয়ের হাসি দিয়ে
বলল : see..টলমল করা পানিগুলো নিচে পরেছে… looking like pearls…
মেরিন : সাইকো…
নীড় : yeah…i am mr. সাইকো। আর আর আর তুমি আপাদত মিস সাইকো।
মেরিন : মোটেও না।আমি সাইকো নই।
নীড় : তুমি কি psychiatrist নও…?
মেরিন : ২টার মধ্যে কি সম্পর্ক…??
নীড় : psychiatristদের সাইকো হতেই হয় my snow white …. ওরফে মিস সাইকো & would be মিসেস সাইকো।
মেরিন : আমি এখন ঘুমাবো…
নীড় : ঘুম ঘুম আর ঘুম… সামনে এমন ১টা handsome ছেলে বসে আছে আর সে বলে ঘুমের কথা… অন্য মেয়েরা হলে romance কি তা দেখিয়ে দিতে…
মেরিন : তো প্লিজ তাদের কাছে যান না..
নীড় : ন্যাহ…. they don’t hate me…
মেরিন : আপনি এখন যান….
নীড় : উফফ…. ঘুমাবে তুমি?
মেরিন : হ্যা।
নীড় : তো ঘুমাও কে না করেছে?
মেরিন :আপনি যান। আপনি না গেলে আমি কি করে ঘুমাবো শুনি….
নীড় : আমার সামনে ঘুমালে সমস্যা কি? আমি কি তোমার পর? ২দিন পর হবো তোমার বর….
মেরিন : ?।
নীড় : বাবা…. এই ৭দিনে দেখি আমার snow white রাগ করতে শিখে গিয়েছে…. by the way ঘুমাও… আমি কিছু করবোনা… ???… যদিও আমি নিজেকে আমারও বিশ্বাস নেই…
মেরিন : আপনি যাবেন কিনা?
নীড় : তুমি ঘুমাবে কিনা?
মেরিন : না…
নীড় : তুমি না ঘুমালে কিন্তু এখন বুকে নিয়ে আদর করে ঘুম পারাবো…
মেরিন : …
নীড় : ok as your wish my snow white…
বলেই নীড় পাঞ্জাবির বাটন খুলতে নিলো।
মেরিন : ঘুমাবো তো… good night …
বলেই মেরিন blanket নিয়ে নিজেকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কভার করে শুয়ে পরলো।
নীড় : হাহাহা…
মেরিন একটুখানি মাথা বের করলো।
মেরিন : হাসছেন কেন?
নীড় : আমার ইচ্ছা।
মেরিন উঠে বসলো।
মেরিন : আজকে আমি মেয়ে বলে তো এতো dominate করছেন…
নীড় : ন্যাহ… snow white বলে… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন কখনো কোনো মেয়েকে dominate করেনা। আমার কোনো girlfriend বলতে পারবেনা যে আমি তাদের dominate করেছি…
মেরিন : আমাকে তো করছেন…
নীড় : হামমম করছি…. &&& আজীবন করবো।
মেরিন : আপনার girlfriend দের গিয়ে করুন… আমাকে বেছে নিলেন কেন dominate করার জন্য!!! আমি আপনার জেদ বলে?
নীড় : ন্যাহ … ভালোবাসা বলে… good night…
বলেই নীড় চলে গেলো….
.
কিছুদিনপর…
মেরিন : আম্মু আম্মু আম্মু…
নীড় : ?… stupid … এতো ভয় পাওয়ার কি আছে?
মেরিন : এই গানটার আওয়াজ কি বিদ্ঘুটে… আর আমি ভয় পাবোনা…
নীড় : ১বার shoot করেই হাল? তাহলে শিখবে কি করে বলো বলো…
মেরিন : আমার শিখতে হবেনা…. আমার ভয় করে…
নীড় : আমার snow white এর তো ভীতু হলে চলবে না। সবকিছু শিখতে হবে।
মেরিন : উহু। এখানে আমার দম আটকে আসছে….
নীড় : এই তেলাপোকার সাহস নিয়ে আমার বউ হবে?
মেরিন : আমার আপনার বউ হওয়ার তো ইচ্ছা নেই…
নীড় : তো ইচ্ছা তো জানতে চেয়েছে কে…
মেরিন : ?…
২জন বেরিয়ে এলো। নীড় মেরিনের কাধে হাত দিয়ে হাটতে লাগলো । কিছু না বলে নীড় আপন মনে হেটেই যাচ্ছে।
মেরিন : আর কতোক্ষন এভাবে হাটবো শুনি?
নীড় : যতোক্ষন আমার ইচ্ছা…
মেরিন : ধ্যাত… আচ্ছা হাটবো। কিন্তু দারান ১টা কোকাকোলা নিয়ে আসি । খাই আর হাটি…
নীড় : কোকাকোলা খায় না পান করে…?
মেরিন : ওই একই…
নীড় : দারাও আমি নিয়ে আসছি…
নীড় আনতে গেলো। ১ডজন নিয়ে এলো। আর এসে যা দেখলো তা দেখে ওর ফুরফুরে মেজাজটাই বিগড়ে গেলো।
দেখলো মেরিন ১টা ছেলেকে জরিয়ে ধরে আছে।
মেরিন : হয়েছে এবার তো ছার…
চয়ন : কেনরে ছারবো হামম হামম…
মেরিন : কারন তোর মরার সময় হয়নি…
চয়ন মেরিনকে ছেরে দিলো ।
চয়ন : কি বললি?
মেরিন : কককিছুনা …
চয়ন : ভাবতেও পারিনি এতোদিন পর এখানে তোর সাথে দেখা হবে…
মেরিন : আমিও না… আচ্ছা এখন যা…
চয়ন নিজের গাল টেনে
বলল : যাবো মানে…?
মেরিন : তোর কাজ আছেনা…? যা যা যা …
চয়ন : কাজ ? কিসের কাজ? শোন আমার কাজ চাঙ্গুমাঙ্গুদের দিয়ে কাজ করানো… আজকে আমার সারাদিন তোর নাম…
মেরিন : আজকে আমার কাজ আছেরে।
চয়ন : সব cancel … আজকে তোর সারাদিনও আমার …
মেরিন মনে মনে : oh no.. নীড় চলে এলে…. ? এর তো খবর আছেই সেই সাথে আমারও…
চয়ন : কিরে কি ভাবছিস?
মেরিন : না না কিছুনা। আমি যাইরে… বাসায় আসিস…
চয়ন : আরে তুই এতো ছটফট করছিস কেন?
মেরিন : কাজ আছে রে…
চয়ন : চল আমি পৌছে দেই…
মেরিন : না…
মনে মনে : নীড় জানলে তো আমার কপালে দুঃখ আছে…
চয়ন : তুই তো আমার তুই না। কি হয়েছে? বল…
বলেই চয়ন মেরিনে কাধে হাত রাখলো। মেরিন ঝড়ের গতিতে সরে এলো ।
চয়ন : এবার কিন্তু রাগ ওঠাচ্ছিস… আয়তো আমার সাথে…
বলেই চয়ন মেরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো । মেরিন বারবার হাত ছারানোর চেষ্টা করছে… কিন্তু চয়ন ছারছেইনা…. চয়ন মেরিনেক হাত ধরে নীড়ের সামনে দিয়েই যেতে লাগলো। মেরিনের তো আত্মা যায়যায়। মেরিন নীড়ের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দেখেই বুঝতে পারছে যে আজকে ওর কপালে দুঃখ আছে।।।
মেরিন : চয়ন ছার…
চয়ন : কোন কথানা… গাড়িতে বোস…
মেরিন : দেখ চয়ন বোঝার চেষ্টা কর….
চয়ন : এমন ভাব করছিস যেন তোর boyfriend আছে… ওঠ… এমন তো আর নয় যে তোর boyfriend শুনলে রাগ করবে …
শেষ কথাটা নীড়ের কানে গেলো।
চয়ন : ওঠ…
মেরিন : না…
চয়ন জোর করে মেরিনের পিঠে হালকা ধাক্কা দিলো। তাও মেরিন উঠলোনা। চয়ন বাধ্য হয়ে মেরিনকে কোলে তুলে গাড়ি তুলল… এরপর গাড়ি start দিলো।
মেরিন মনে মনে : আজকে আমাকে নীড়ের হাত থেকে কেউ বাচাতে পারবেনা। আল্লাহ…
.
রাতে…
মেরিন বারান্দায় পায়চারি করছে । কারন সেই তখন থেকে নীড়ের দেখা নেই… এক অজানা ভয় মেরিনকে কুরেকুরে খাচ্ছে।
মেরিন : নীড় …. আজকে আমার সাথে কি হবে?
তখন দেখলো নিচে গাড়ি থামলো।
মেরিন : এসে পরেছে…. আল্লাহ আমার কি হবে আল্লাহ… আমার তো আমার চয়নের কি হবে? না না ঠান্ডা মাথায় বোঝাতে হবে… cool মেরিন cool…. উনি অতোটাও খারাপ না। বোঝালে বুঝবে…
এসব ভাবতে ভাবতেই নীড় চলে এলো। মেরিন ভয়ে ভয়ে হাসি দিলো।
মেরিন : নননীড়…
নীড় : come with me…
বলেই নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। তবে আজকের হাত ধরায় মেরিন হাতে অনেক ব্যাথা পাচ্ছে।
মেরিন : নীড় আমি ব্যাথা পাচ্ছি…
নীড় মেরিনের কথা কানেই তুললনা।
কবির : একি তুমি আমার মেয়েকে নিয়ে এতো রাতে কোথায় যাচ্ছো?
নীড় কিছু না বলে হেটেই যাচ্ছে…
কবির : এই ছেলে… কি বলছি কানে যায়নি? ছারো আমার মেয়ের হাত…
নীড় একটু দারালো। ঘুরলো। এরপর পকেট থেকে কিছু ১টা বের করে খুব দ্রুত কবিরের দিকে ছুরে মারলো।
মেরিন : বাবা…
মেরিন দেখতে পেলো নীড় কবিরের দিকে ছোট্ট ১টা injection ছুরে মেরেছে।
মেরিন : আপনি আমার বাবাকে কিসের injection দিলেন নীড়…
নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনের হাত ধরে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসালো।
মেরিন : নীড়… আসলে চচচয়ন আমার ছোটবেলার বন্ধু… সেই সাথে কাজিন… খখখুব close আমার সাথে। ওর কোনো বববাজে intention ছিলোনা। বিশ্বাস করুন।
নীড় : …
মেরিন : নীড়….
নীড় : shut up…
মেরিন : …
⛈️⛈️⛈️
]
.
বর্তমান…
মেরিন : একি… আপনি এখানে বসছেন কেন?
নীলিমা : আমার সিটও এখানে…
মেরিন : আপনি সব ইচ্ছা করেই করছেন তাইনা?
নীলিমা : আরে আমার সিট এখানেই। দেখো…
মেরিন : airhostess airhostess…
airhostess : yes mam…
মেরিন : can you please change my sit…?
airhostess : sure… come please …
মেরিন অন্য সিটে গিয়ে বসলো ।
মেরিন : ঝামেলা কর ১টা মহিলা…
নীড় : এই যে এই যে শোনো শোনো…
airhostess : yes sir….
নীড় : তোমার কাছে কি চকোলেট হবে?
নিহাল : ড্যাডডার্লিং তোমার ব্যাগেই তো আছে।
নীড় : না না …. আমি এই আন্টির এনে দিবে। দাওনা…
airhostess : sure sir… বসুন আমি নিয়ে আসছি।
মনে মনে : stupid person … আমাকে আন্টি ডাকে…
দীপ্ত : এই নীড় কোথায় যাচ্ছো?
নীড় : ওই আন্টিটার পিছে…
দীপ্ত : না বাবা …
নীড় : আমি যাবো যাবো যাবো…
নিহাল : আচ্ছা যাও …
নীড় গেলো। নীড় হেটে হেটে যাচ্ছে। মেরিন ম্যাগাজিন দিয়ে মুখ ঢেকেছিলো। নীড় just ওকে ক্রস করে যেতেই মেরিন তারাতারি ম্যাগাজিন সরালো। ঘাড় ঘোরালো। নীড়কে দেখলো। নীড় বাচ্চাদের মতো ২হাত ছরিয়ে এদিক ওদিক দৌড়েদৌড়ে যাচ্ছে…
মেরিন : লোকটা তো দেখি পাগল… কিন্তু এমন লাগলো কেন?
মেরিন আবার সোজা হয়ে বসলো…. ম্যাগাজিন পড়তে লাগলো। নীড় ২হাতে ২ চকোলেট নিয়ে খেতে খেতে আসছে। হুট কর মেরিনের দিকে চোখ গেলো…
নীড় ওর হাতটা বারালো…
নীড় : sssssnow white…. নননাহ… নননাহ ….
নীড় ২-৩ কদম পিছে গেলো।
নীড় : snow white….
“snow white” বলে চিৎকার দিয়ে নীড় জ্ঞান হারালো।
মেরিন হুরমুর করে উঠে দারালো…
.
অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️
নীড় গাড়ি নিয়ে ১টা ফাকা মাঠে নামলো।
মেরিন : এখানে গাড়ি নামালেন কেন?
নীড় কিছু না বলে গোল গোল করে গাড়ি ঘোরাতে লাগলো।
মেরিন : এভাবে গা…
তখন মেরিনের চোখ গেলো মাঝে। দেখলো চয়নের মাথাটা ছারা সমস্ত শরীর মাটির নিচে।
মেরিন : চয়ন… কি করেছেন এটা আপনি চয়নের সাথে…
নীড় আর কিছু না বলে গাড়ি আবার রোডে তুলল।
মেরিন : নীড় মরে যাবে ও… প্লিজ ওকে ছেরে দিন…
নীড় : …
মেরিন : নননীড় পপপ্লিজ…
নীড় কিছু না বলে গাড়ি ওর নীড়মহলে নিয়ে গেলো। এরপর মেরিনকে টেনে ১টা রুমে নিয়ে গেলো। রুমটা সাদা। ১টা বড় ক্যানভাস রাখা। আর অনেক ধরনের রং রাখা। নীড় ১টা সাদা শাড়ি মেরিনের হাতে দিলো।
নীড় : পাশের রুমে গিয়ে change করে আসো … without any drama….
মেরিন গিয়ে change করে এলো। নীড় মেরিনকে বসালো । এরপর মেরিনের মাথার খোপা খুলে দিলো।
নীড় : এক কথা বারবার বলতে ভালো লাগেনা… আমার সামনে কখনোই চুল বাধবে না… বসো। আমি তোমার ছবি আকবো।। একদম নরবেনা….
নীড় মেরিনের ছবি আকতে লাগলো। তবে নীড়ের চেহারায় থাকা রাগ মেরিন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।
মেরিন মনে মনে : নীড়ের নিরবতা আমার ভয় আরো বারাচ্ছে । কি করবে বুঝতে পারছিনা…
.
একটুপর…
নীড় : দেখো তো কেমন হয়েছে তোমার ছবিটা?
মেরিন : সসসুন্দর…
নীড় : তুমি বেশি সুন্দর না ছবিটা…
মেরিন : ছবিটা…
নীড় : ন্যাহ … তুমি বেশি সুন্দর…
বলেই ছবিটা ছুরে ফেলে দিলো। এরপর রং নিয়ে এলো। হাতে লাল রং নিলো।
নীড় : ওই ছেলেটা তোমার গাল টেনে ছিলো… ছুয়েছিলো। তাইনা…?
মেরিন : …
নীড় : বলো….
মেরিন : …
নীড় : বলো…
মেরিন : হামমম।
নীড় লাল রং মেরিনের সেই গালে লাল রং লাগিয়ে দিলো। এরপর নীল রঙ হাতে নিলো।
নীড় : তোমার কাধে হাত দিয়েছিলো… তাইনা?
মেরিন : হামম।
নীড় অন্যহাত মেরিনের কাধে রেখে ঘাড় থেকে আচল কিছুটা নামাতে নিলো। মেরিন সরে দারালো।
মেরিন : কি করছেন টা কি?
নীড় টেনে কাছে এনে ঘাড় থেকে শাড়ি কিছুটা সরিয়ে সেখানে নীল রঙ দিয়ে দিলো।
নীড় : তোমাকে জরিয়ে ধরেছে, পিঠে হাত দিয়েছে, কোলে তুলেছে… পুরো শরীর ছুয়ে দিয়েছে… তোমাকে কিভাবে স্পর্শ করবো আমি… tell me… tell me damn it….
বলেই সব গুলো রং মেরিনের ওপর ছুরে মারলো। রুমে যতো রং আছে সব মেরিনের ওপর ছুরে মারলো।
এরপর মেরিনকে washroomএ নিয়ে গিয়ে shower on করে দেয়ালে ঠেকিয়ে রাখলো।
.
চলবে…