শ্যামাঙ্গণা-১৮

0
347

শ্যামাঙ্গণা-১৮
————-

তানিয়া শাহজাহান শান্ত ভঙ্গিতে বিছানায় বসে আছেন। তার স্থির দৃষ্টি ঝুমুরের দিকে। ঝুমুর চোখ মেঝেতে তাক করে দাড়িয়ে আছে তার সামনে। ভয়ে ঝুমুরের অন্তর আত্মা কাপছে। তার একটাই ভয়। তানিয়া শাহজাহান কি মনোয়ারা বেগমকে বলে ফাহমানদের বাড়ি থেকে বের করে দিবে ? তাহলে ওরা যাবে কোথায় ?

ঝুমুরকে দীর্ঘক্ষণ মনযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করলেন তানিয়া শাহজাহান। ভাগ্নির ভীত মুখ ও তার চোখ মুখের লুকোচুরি ভাবই বলে দিচ্ছে ধরা খেয়ে সে এখন আতঙ্কিত। এই ভয় সামান্য ভয় না। এর পিছনে লুকিয়ে আছে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার আতঙ্ক।

‘ ছেলেটার সঙ্গে পরিচয় কখন থেকে ? ‘ গলা খাকারি দিয়ে প্রশ্নটা করলেন তানিয়া শাহজাহান।

ঝুমুর তার ইমোর গুরুগম্ভীর গলায় করা প্রশ্ন শুনে শুকনো ঢোক গিললো। কম্পিত কণ্ঠে বলল ‘ মাস খানেক আগে। ‘

‘ এক মাসের পরিচয়ে তুই ছেলেটার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গেলি ? সবকিছু কি তোর এত সহজ মনে হয় ?’

ঝুমুর এবার দৃষ্টি উঠিয়ে তাকালো তানিয়া শাহজাহানের দিকে। তার চোখে মুখে অন্ধকার। যেই চোখে ঝুমুর সবসময় তার জন্য স্নেহ দেখেছে আজ সেই চোখে তার জন্য অসন্তুষ্টি। ঝুমুর চোখ নামিয়ে নিলো। মুখে বললো ‘ আমি উনাকে অনেক আগে থেকে চিনি। পাঁচ বছর ধরে এই বাড়িতে ভাড়া থাকেন উনারা। ‘

‘ এক ঘরে সারাজীবন সংসার কাটিয়েও মানুষ একজন আরেকজনকে চিনতে পারেনা আর তুই পাঁচ বছরে চিনে ফেলেছিস ওই ছেলেকে ?তোর কেন মনে হলো ওই ছেলে তোর যোগ্য ? ‘

ঝুমুর আবারও তার নামিয়ে রাখা দৃষ্টি তুললো। স্বাভাবিক গলায় নিজের সমস্ত ভয় দূর করে বললো ‘ যারা প্রতি নিয়ত মিথ্যে ভালোবাসার লেবাস পড়ে থাকে তাদের চেনা খুব কঠিন কিন্তু যারা আসলেই মন থেকে পবিত্র তাদের চিনতে সময় লাগে না ইমো। যেই মানুষটা হাজারবার আমাকে হাতের নাগালে পেয়েও আমাকে সামান্য ছুঁয়ে দেখেনি তার থেকে বড় যোগ্য এই পৃথিবীতে আর কেউ নয়। এমনও হতে পারে উল্টো আমিই তার যোগ্য নই। ‘

ঝুমুরের ফাহমানের প্রতি এত বিশ্বাস দেখে হোচট খেলেন তানিয়া শাহজাহান। ঝুমুর যে এতটা গভীর ভাবে প্রেমে ডুবেছে সেটা উনি ধরতে পারেননি। কে জানে এই প্রেমের ভবিষ্যৎ কী। প্রেমে ডুবে কি তার ভাগ্নি তলিয়ে যাবে নাকি ভারসাম্য বজায় রেখে ভেসে উঠবে ? তবে উনি নিজেকে সামলে বললেন ‘ তোর আপি জানে তোর আর ওই ছেলের ব্যাপারে ? ‘

এতক্ষণ যাও বা সাহস করে দাড়িয়েছিল ঝুমুর এখন তাও করতে পারলো না। তানিয়া শাহজাহানের কথায় সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। তার পা ধরে বসে পড়লো। কাদতে কাদতে বললো ‘ প্লিজ ইমো আপিকে বলো না। আপি জানলে উনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে। উনার আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। প্লিজ তুমি এমনটা করো না। উনার কষ্ট হলে আমি শান্তি পাবো না ইমো। প্লিজ এমন করো না। উনাকে কষ্ট দিও না তুমি। উনি কষ্ট পেলে আমি শান্তিতে থাকতে পারবো না। ‘

ঝুমুরের এহেন ধারার কান্নাকাটিতে হতভম্ব তানিয়া শাহজাহান। এমন ধারার কান্নাকাটি করতে ঝুমুরকে আগে দেখেননি। হয়তো ঝুমুর অন্যসব মেয়েদের মত না। সে কথায় কথায় কেঁদে ভাসায় কিন্তু তার এই চোখের পানি মূল্যবান। তার নোনাজল বিনা কারণে ঝড়ে না। মূল্যবান সেই অশ্রু ঝরার পিছনেও লুকিয়ে থাকে হাজারটা বুক ভাঙ্গা যন্ত্রণা।

তানিয়া শাহজাহান নিজেকে সামলে নিলেন। মুখে গম্ভিরতা বজায় রেখে বললেন ‘ এটা তোর থেকে আশা করিনি ঝুম। প্রেম করে তোর এতটা অধঃপতন হবে আমি ভাবতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম তুই হয়তো এমন কিছু করবি না। কিন্তু সেই তুইই আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করলি। আমার বিশ্বাস ভেঙে দিলি তুই। ‘

কথাগুলো বলে তানিয়া শাহজাহান ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। তার যাওয়ার পথে তাকিয়ে ঝুমুর মৃদু স্বরে কাদঁছে। সে চাইলেও জোরে কাদতে পারছে না। যদি পারতো গলা চড়িয়ে কেঁদে নিজের সব দুঃখের আশ মিটাতে তাহলে হয়তো আজ এই ছোট বুকে এত যন্ত্রণা জমা হতো না। কাদতে না পেরে ঝুমুরের মনে জমা হলো আরও এক যন্ত্রণাময় ভালোবাসার মানুষকে হারানোর দুঃখ।

ঝুমুর নিশ্চল ভঙ্গিতে রুমে ঢুকলো। শাওমি বিছানায় বসে গান শুনছিল কিন্তু ঝুমুরকে দেখা মাত্র কান থেকে ইয়ার পড খুলে ফেললো। তবে ভালো করে খেয়াল করে দেখলো ঝুমুরকে কেমন যেন অদ্ভুত দেখাচ্ছে। তার চোখ মুখ উদভ্রান্তের মত লাগছে, হাতে পায়ে মনে হচ্ছে শক্তি নেই এমন ভঙ্গিতে হাঁটছে।

ঝুমুর এগিয়ে এসে বিছানায় বসলো। সে মুখে না বললেও শাওমি ঠিকই বুঝতে পেরেছে কিছু তো একটা হয়েছে নাহলে চঞ্চল ঝুমুর এরকম নেতিয়ে পড়া ফুলের মতো নিস্তেজ হয়ে পড়েছে কেন। ও উঠে গিয়ে ঝুমুরের কাধে হাত রাখলো। শাওমি কাধে হাত রাখা মাত্র ঝুমুর তার কোমর জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। মুখে বললো ‘ আমি উনাকে ছাড়া বাঁচব নারে শাওমি, বাঁচব না আমি। ‘

শাওমি জানেনা আসলে কি ঘটেছে কিন্তু ঝুমুরের কান্না দেখে টের পেয়েছে কিছু একটা হয়েছে। ঝুমুর তার ভালবাসার মানুষকে হারানোর ভয়ে ভীত। সখিকে কাদতে দেখে শাওমিরও চোখে পানি এলো। আর কেউ না জানুক সে তো জানে ভালোবাসার মানুষটাকে ভালোবেসে না পাওয়ার যন্ত্রণা কতটা কঠিন। সে নীরবে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ঝুমুরের মাথায়। হয়তো ঝুমুরের যন্ত্রণার ভাগীদার হতে পারবে না কিন্তু পাশে থেকে সাহস দিতে পারবে।

‘ কাদিস না, তোর প্রিয়কে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। সে শুধুই তোর… ‘

—-

তানিয়া শাহজাহানকে মনোয়ারা বেগম জরুরি তলবে ডেকেছেন কারণ ইদানিং তার মাথায় নতুন একটা চিন্তার ভার উঠে এসেছে। এই কদিন ঝুমুরের বিয়ের জন্য উনি জন বিশেক পাত্র খোঁজ করেছেন কিন্তু সকলেই দেখা যায় ঝুমুরের গায়ের রং নিয়ে আপত্তি করে নয়তো লক্ষ লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়ে বসে। এহেন অবস্থায় এমন নিম্ন মানসিকতার কোনো মানুষের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে একটা ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতেই মেয়েকে ডেকে পাঠিয়েছেন।

আদোপান্ত সবকিছু শুনে তানিয়া শাহজাহানকে নীরব দেখা গেলো। উনি কপালে আঙ্গুল ঘষছেন। তার ঠোঁট নড়ছে যেন মনে মনে কিছু একটা বলছেন। মেয়ের দিকে শান্ত চোখে তাকিয়ে আছেন মনোয়ারা বেগম। উনি জানেন মেয়ে তার ভাগ্নির জন্য ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে তবেই ভাগ্নিকে সঠিক পাত্রস্থ করবে। এইটুকু বিশ্বাস মেয়ের উপর তার আছে।

খানিক ভাবনা চিন্তা করে কথাগুলো মনের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে তানিয়া শাহজাহানকে কথা বলতে দেখা গেলো। উনি বললেন ‘ আমার কাছে একটা যোগ্য পাত্রের নাম তো আছে কিন্তু অর্থ বিত্তে ওরা আমাদের মতো ধনী নয়। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবার। তবে ছেলের পরিবার একক পরিবার। শুধু মা আর বোন আছে। বাপ,ভাইয়ের ঝামেলা নেই। ‘

মেয়ের কথায় বিন্দু মাত্রও বিচলিত হলেন না মনোয়ারা বেগম। উনি স্বাভাবিক গলাতেই জিজ্ঞেস করলেন ‘ যৌতুক ? ছেলের পরিবারের কোনো দাবি আছে ? ‘

মায়ের কথার জবাবে তানিয়া শাহজাহান বললেন ‘ নাহ্, আলাদা কোনো দাবি নেই। যদিও ছেলের বয়স অল্প, সবে পঁচিশ কিন্তু ছেলের বোনের বিয়ে হয়ে গেছে এবং কয়দিন পর উঠিয়েও দিবে। ‘

মেয়ের এত কথার জবাবে কিছু বললেন না মনোয়ারা বেগম। চিন্তা ভাবনা করার জন্য সময় দরকার। নাতনীকে উনি পাত্রস্থ করবেন। কাজেই দেখে শুনে ভালো দেখে ছেলের কাছে দিবেন। হোক ছেলে মধ্যবিত্ত। তবে পাত্রের চরিত্র সম্পর্কে আরও খোজ নেওয়া দরকার। যদিও তানিয়া শাহজাহান সেটা নিয়েছেন কিন্তু আত্ম তৃপ্তির জন্য নিজেও যাচাই বাছাই করতে চান।

‘ ছেলে কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য তার উপর প্রেম ট্রেম নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে ওসব করার সময় কোথায়। মা,বোন নিয়েই সংসার। তার উপর কোনো আলাদা চাহিদাও নেই। এমন পাত্র সহজে পাওয়া যায় না। ‘

মেয়ের কথার পৃষ্টে এবার মনোয়ারা বেগম বললেন ‘ ছেলে কে ? তুই চিনিস ? ‘

‘ শুধু আমি না তুমিও চিনো। আমাদেরই এক আত্মীয়… ‘ শেষের কথাগুলো খানিকটা টেনে বললেন তানিয়া শাহজাহান। তার চোখে মুখে অদ্ভুত হাসি যেন সেই হাসিতে লুকিয়ে আছে কোনো এক অজানা রহস্য।

—-

দিনগুলো আবারও কেটে যাচ্ছে ঝড়ের গতিতে। দুঃখি জ্বালাময় দিন কাটছে চোখের পলকে আর রাত কাটছে মাঘ মাসের পড়ন্ত বিকেলের মতো। ঝুমুরের আজ শেষ পরীক্ষা। এরপর সে আরও পড়াশুনায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে। এই মডেল টেস্টের পর সে নতুন প্রাইভেট কোচিং শুরু করবে। এই কোচিংয়ে পড়াশুনার চাপ থাকবে অনেক।

সারাদিনের ক্লান্তি, পড়াশোনার চাপ, দীর্ঘ দিনের পরীক্ষার চাপ সঙ্গে ভালোবাসার মানুষটাকে অনেকদিন না দেখার তৃষ্ণাতে জর্জরিত ঝুমুর যেন ক্লান্ত হয়ে গেছে। সে যেন টাল মাটাল ভঙ্গিতে হাঁটছে। তার পা জোড়া আর চলতে চাইছে না। এই কয়দিনের মানসিক দ্বন্দ্বে সে এক রকম অসুস্থই হয়ে পড়েছে। সেদিনের পর থেকে ফাহমানের সঙ্গে আর দেখা হয়নি তার। রোজ সকালে ফাহমান ছাদে গিয়ে দাঁড়িয়েছে কিংবা একদিন পরীক্ষা চলাকালীন কলেজের সামনে এসেও দাড়িয়েছে কিন্তু প্রতিবারই ঝুমুর তাকে এড়িয়ে গেছে।

ফাহমানকে ছাদে দেখে সে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাগানে যায়নি। বাসায় ফারুকের সঙ্গে ফাহমানকে দেখেও যেন না দেখার ভান করে এড়িয়ে গেছে। সেই সঙ্গে কলেজের সামনে এসে যেদিন দাড়িয়েছে সেদিন উপায় না পেয়ে এক প্রকার কলেজের পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেছে বড় রাস্তায়। এভাবেই তো এতদিন সে এড়িয়ে গেছে ফাহমানকে।

এই কয়দিন তানিয়া শাহজাহান ঝুমুরকে চোখে চোখে রেখেছেন। ঝুমুরের সমস্ত গতিবিধি, তার চলা ফেরা, কথা বার্তার ধরণ সবই তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন তীক্ষ্ণ নজরে যা স্পষ্ট বুঝতে পারছে ঝুমুর। হয়তো ঝুমুর যাতে ফাহমানের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখতে না পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। উনি মুখে কিছু না বললেও ঝুমুরের প্রেমের ব্যাপারটা যে উনার পছন্দ হয়নি সেটাই ঝুমুরের ধারণা।

সারাদিনের ক্লান্তি, বিষণ্ণতা সব মিলিয়ে যেন ঝুমুর মানসিক অবসাদে ভুগছে। তার উপর বাসায় ঢুকতেই সবার হাউকাউ। অনামিকা,অনিল, সামি, তাফিম, আমির সব মিলে যেন বাসায় কেওয়াস শুরু করে দিয়েছে। এর মাঝে আঞ্জুম আরাও অনামিকা সামিকে কেন মেরেছে বলে অভিযোগ করছেন। অনামিকা আবার সেই কথার উত্তরে ভালো হয়েছে বলেছে।

এতকিছুর পর ঝুমুর আর এসব নিতে পারলো না।এমনিতেই মনে শান্তি নেই তার উপরে অনামিকার আঞ্জুম আরার কথায় মুখে মুখে তর্ক করা। কাপতে থাকা শরীরে সে তেড়ে গেলো অনামিকার দিকে। যা কোনওদিন করেনি তাই করে বসলো। এই প্রথম সে তার আদরের বোনের গায়ে হাত তুললো। উত্তেজিত জনতা ততক্ষণে থাপ্পড়ের শব্দে থেমে গেছে। কারোর শব্দ আর শোনা যাচ্ছে না। আঞ্জুম আরাও অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন ঝুমুরের দিকে। শব্দ পেয়ে মনোয়ারা বেগমও ছুটে এসেছেন।

উপস্থিত জনতার মাঝে ঝুমুর থম মেরে দাড়িয়ে আছে। তার হাত পা থরথর করে কাপছে। শরীর কেমন ঠান্ডা হয়ে গেছে। ঝুমুর মারবে এমনটা আশা করেনি অনামিকা। সে হতবাক চোখে তাকিয়ে আছে। এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। ঝুমুর ভাই বোনদের গায়ে হাত তোলা পছন্দ করেনা তাই দুষ্টুমি করলে বকাবকি করে ঠিকই কিন্তু কোনওদিন মারে না।

থমকিত অনামিকা এবার ডুকরে কেঁদে উঠলো। গালে হাত দিয়ে কাদতে কাদতে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বললো ‘ আমি তোমাকে ঘৃনা করি বড় আপি। ‘
ঝুমুর এসব আর নিতে পারছে না। সে জড় বস্তুর মতোই নিষ্প্রাণ অনুভূতিতে ঘরে ঢুকলো। ঘরের দরজায় খিল এঁটে এক্সাম ফাইলটা জায়গা মতো রেখে জামা কাপড় বদলে শাওয়ার ছেড়ে গোসল করলো। তারপর কোনো মতে দরজার সিটকিনি খুলে দিয়ে বিছানায় কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো।

চলবে….
মিফতা তিমু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here