শেষ বিকেলের প্রণয় পর্ব ১১

0
635
Made with LogoLicious Add Your Logo App

#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#আলো_ইসলাম
১১

— এখনো মনের কথাটা বলতে পারলে না ছুটি! পারার কথাও যে নয়। তোমার কি দায় আমাকে ভালোবাসি বলার, যেখানে আমার নিজের দায়বদ্ধতা ছিলো বুঝে নেওয়ার। কিন্তু আমি পারিনি। তোমার ভালোবাসা আমি বুঝতে পারিনি আগে আর যখন বুঝতে পারলাম তখন কিছু করার ছিলো না৷ অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো যে তখন। যদি আগে জানতাম বা বুঝতাম তোমার অনুভূতি তাহলে হয়তো অন্য কারো মায়ায় আবদ্ধ হতে পারতাম না৷ ভাবতে পারতাম না কাউকে নিয়ে জীবন চলার কথা। আমি তো সব সময় বন্ধুত্বের জায়গায় অটুট ছিলাম। বন্ধুত্বের বাইরেও যে একটা সম্পর্ক আছে বা হয় সেটা কখনো মাথাতেই আসেনি আমার। আমার প্রতি তোমার আবদার, যত্ন, প্রত্যাশা সবকিছু যে ভালোবাসা ঘিরে ছিলো সত্যি বুঝিনি ছুটি।

– কি ভাবছো এতো? ছুটি বলে ভ্রু কুচকে তাশরিফকে ভাবুক হতে দেখে। তাশরিফ ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে এসে করুণ একটা চাহনি রেখে বলে কিছু না।

— একটা কথা বলবো! ছুটির কথায় তাশরিফ বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকায়।
– জানিনা আমার এই কথাটা বলা ঠিক হবে কি-না,আর বললেও যে কতটা প্রাধান্য পাবে তাও জানি না। কিন্তু না বলে পারছি না কথাটা।
– ছুটির রহস্যময় কথায় তাশরিফ গম্ভীর কণ্ঠে বলে এতো হেয়ালি না করে সোজাসাপটা বলে দিলে তো পারো। ছুটি মুচকি হাসে কথাটায়।

— তুমি তো মেনেই নিয়েছো তুমি অপরাধী, তুমি ইলহামকে খু’ন করেছো৷ সব প্রমাণ সব কিছু তোমার বিরুদ্ধে এরপরও যত দিন বাইরে আছো এখানে থাকার সুযোগ পাচ্ছো ততদিন কি পারোনা রানীমাকে একটু ভালো রাখতে। তার কথা একটু ভাবতে? রানীমা একদম ভালো নেই তাশরিফ ভাইয়া, তিলেতিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে ভেতরে। তোমাকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, কিছুই কি বুঝতে পারছো না তুমি? নাকি সব বুঝেও না বোঝার ভান ধরে থাকছো? কিভাবে পারছো নিজের মাকে কষ্ট দিতে। রানীমা বাইরে থেকে যতটা শক্ত দেখায় নিজেকে ভেতর থেকে ঠিক ততটাই দুর্বল। তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে সব সময়। এরপরও তুমি চুপ করে থাকবে, সব অপরাধ তোমার এটাই বলবে। কেনো করছো এমন?.

– স্টপ ছুটি! আমি যা করেছি সেটাই বলেছি। তোমরা যদি সেটা বিশ্বাস না করো তাহলে সেটা তোমাদের সমস্যা আমার না। কাউকে নিয়ে ভাবতে চাইনা আমি। আমি একা থাকতে চাই একা বাঁচতে চাই যতদিন আছি। এই কথাটা যত তাড়াতাড়ি মানতে পারবে তোমরা ততই তোমাদের মঙ্গল। মিথ্যা আশ্বাস কাউকে দিতে চাইনা আমি।

– হতাশ হয় ছুটি, অসহায় লাগে নিজেকে। এত কিছুর পরও তাশরিফ তার জায়গা থেকে এক চুল পরিমাণ নড়ে না। কেনো? কিসের জেদ এতো?

– আর যাই হোক রানীমার কথাটা ভেবে দেখো। তুমি অপরাধ করেছো তার শাস্তিও তুমি পাবে এটা ঠিক তাই বলে বাকিদেরও দিতে পারো না সে শাস্তি। রানীমা তো কোনো দোষ করেনি তাহলে কেনো দূরে দূরে থাকছো তার থেকে৷ সময় টা দাও না যতদিন পাচ্ছো। এইসব কথা বলা অনর্থক, কোনো মূল্য নেই তোমার কাছে। তারপরও না বলে পারলাম না। একটু ভেবে দেখো আমার কথাটা। ছুটি চলে যায় কথাগুলো বলে। তাশরিফ চুল টেনে আকাশের পাণে চায়। বিষন্ন সময় যাচ্ছে তার। জীবন অনেক কিছু দিয়েছিলো তাকে আবার তার বেশি কেড়েও নিয়েছে।

— সকালে সবাই নাস্তা করতে বসে। ছুটি সার্ভ করছে সবাইকে। মমতা খান অফিস যাবেন তাই খুব তাড়ায় আছে আজ। সকাল সকাল জরুরি মিটিং ডেকেছে তিনি আজ অফিসে। নাস্তা করার মতো সময়ও যেনো হাতে নেই তার। তাশরিফ বাদে সবাই উপস্থিত সেখানে। সকালের নাস্তা তাশরিফ করে না। ইনফ্যাক্ট কোনো সময়ের খাবারই সে বাড়িতে খাইনা এখন। বাইরে থেকে খেয়ে আসে নয়তো অনেক সময় না খায়ে থাকে৷ আবির থাকলে সেদিনের খাওয়া সম্পুর্ন হয়। যার জন্য আবির তাশরিফের কাছ ছাড়া হয়না৷ কোনো কাজে আটকে গেলে সেদিন ব্যতিক্রম হয়।

-;ছুটি মা আমাকে শুধু চা দে, আমার নাস্তা করার মতো সময় নেই। অনেক টা দেরি হয়ে গেছে আজ।

তা বললে তো শুনবো না রানীমা। তোমার সকালের ওষুধ খেতে হবে মনে আছে তো? এত ছোটাছুটি করো তুমি, তাছাড়া তোমার শরীর খারাপ যাচ্ছে দুদিন ধরে আমি জানি। তাই আমি যা বলবো তাই হবে।

– রানীমার উপরে আরেক রানীমার হুকুম। অমান্য করা যাবেনা ফুপি! রোহানের কথায় মমতা খান মুচকি হেসে বলে ওদের জন্য তো বেঁচে আছি আজও। ছায়া আর ছুটি দুজনেই যেনো আমার মা। ছুটির থেকে বাঁচতে পারলেও ছায়া একদম ছাড়ে না।

— মমতা খান চা খেয়ে উঠে পড়ে কথার ফাঁকে।
– একি রানীমা উঠলে কেনো? একটু কিছু খাও, তোমার ওষুধ নিয়ে আসছি দাঁড়াও।

– ছুটি মা প্লিজ আমি অফিসে কিছু খেয়ে নেবো প্রমিস। আমাকে ওষুধ গুলো দিয়ে দে।

– তুমি খাবার ওষুধ খেয়ে তবেই বের হবে আম্মা। তাশরিফের কথায় চমকে তাকায় সবাই। মমতা খান বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে যেনো। আজ তাশরিফের কথার সুর বলে দিচ্ছে এই তাশরিফ তার সেই তাশরিফ। যে তাশরিফ সব সময় আম্মাকে মিস করতো, আম্মার সাথে সব শেয়ার করতো। আম্মার সাথে একবেলা কথা না বললে যার ঘুম হতো না।

— তাশরিফ মমতা খানের পাশে এসে দাঁড়ায়।
– বসো! মমতা খানকে ধরে চেয়ারে বসিয়ে ছুটিকে উদ্দেশ্য করে বলে আমার এবং আম্মার দু-জনেরই খাবার দাও।

– ছুটি ভীষণ শকড। সাথে সবাই। আর মমতা খান সে তো ছলছল চোখে এখনো তাশরিফকে দেখছে৷ এ যেনো বিশ্বাসই হচ্ছে না।

– ওই ভাবে তাকিয়ে কি দেখছো খাবার দাও! ছুটিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলে । ছুটি ভ্রম থেকে বেরিয়ে বলে এ — হ্যা হ্যাঁ এখুনি দিচ্ছি।

– আর তুমি নাস্তা করে তবেই বেরোবে বুঝেছো? মমতা খানের চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে আনন্দে।

— চোখের পানি আড়ালে মুছে বলে আমার অফিসে যেতেই হবে তাশরিফ। অনেক জরুরি মিটিং আছে আজ। আরমান ফোন করেছিলো। সবাই চলে এসেছে অলরেডি।
– কোনো কথা নয়। তোমার ছেলে এখনো বেঁচে আছে বুঝেছো। তাই যা বলবো তাই শুনবে৷ মমতা খান তাশরিফের মুখ চেপে ধরে বলে ও কথা বলিস না বাবা। তোকে হারানোর ভয় সর্বদা গ্রাস করে আমায়।

– তাশরিফের দম বন্ধ হয়ে আসে যেনো। অনেক দিন পর খুব কাছ থেকে দেখছে সে মাকে! সত্যি কতটা দমে গেছেন তার মা, কতটা ভয়ে থাকে তাকে হারানোর। শক্ত আবরণের ভেতরের মানুষ টা অনেক দুর্বল, ছুটি ঠিকই বলেছিলো তাহলে।

– তাশরিফ খাবার নিয়ে সামনে ধরে মমতা খানের। রোহানের খাওয়া তো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে৷ নতুন তাশরিফকে দেখছে আজ সবাই। মমতা খানের গলা পাকিয়ে আসে কান্নায়। আবেগ সামলাতে না পেরে তিনি কেঁদে দেন। ছুটির চোখেও পানি চলে আসে।

– কেঁদো না আম্মা। আমি কিন্তু চলে যাবো তাহলে। কেনো কান্না করছো তুমি? নিজেকে শক্ত করে রাখার চেষ্টা তাশরিফের।
– আমি আর কান্না করবো না। তাও তুই যাস না তাশরিফ। তোর হাতের খাবারটুকু খাওয়ার মতো ভাগ্যবান আমাকে হতে দে।

– তাশরিফ নিজ হাতে খায়ে দেয় মমতা খানকে। এরপর ওষুধ খেয়ে সে চলে যায়। সময়ের জ্ঞান নেই আর আজ। আজ তার পরম আনন্দের দিন ছিলো যে।

– রোহান নাস্তা করে উঠে গেছে। আবির এখনো খাচ্ছে তাশরিফ খাওয়া শেষ করে উঠবে তখন ছুটি বলে থ্যাংকস!
– কেনো? তাশরিফ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে।
– আমার কথাটা রাখার জন্য । রানীমাকে এমন খুশি আমি আগে হতে দেখিনি। আজ কতটা আনন্দ,সুখ তার মধ্যে ছিলো আমি দেখেছি।

– ধন্যবাদ তো আমার তোমাকে দেওয়ার কথা। কারণ তুমি না বললে আমি এইগুলা কখনোই ভাবতাম না৷ আম্মা যে কতটা কষ্টে আছে বুঝতেও পারতাম না। থ্যাংকস এগেইন ছুটি। তাশরিফ চলে যায়। ছুটির মধ্যে উচ্ছাস, আনন্দ, ভালোলাগা।

— এইভাবে কাটে আরো দুদিন৷ তাশরিফ পরিবারে সময় দেয় এখন। মমতা খানের আশেপাশে থাকেন সব সময়। মমতা খান এই সময় টা উপভোগ করতে চাই। তাই কোনো অবান্তর কথা বলে তাশরিফকে দূরে করতে চাইনা আর। তবে উনি এটা বুঝে গেছেন যদি কিছু বলার হয় তাহলে তাশরিফ নিজে থেকে বলবে তাকে।

— ছুটি স্টোর রুমে যায় মমতা খানের কথা মতো। সেখানে তাশরিফের গিটার রাখা আছে। অনেক দিন তাশরিফের গান শুনেনি কেউ । মমতা খানের খুব ইচ্ছে করছে তাশরিফের গলায় একটা গান শুনতে। ছায়া এসেছে সহ। তাশরিফের চেঞ্জ দেখে সেও অনেক খুশি।

— ধুলো জমে গেছে গিটারে। অবহেলায় পড়ে আছে এক কোণে গিটারটা৷ অথচ এই গিটারই একদিন প্রাণ ভোমরা ছিলো তাশরিফের। কাউকে হাত লাগাতে দিতো না। ছুটি অনেক বার নিয়ে ছুট লাগিয়েছে। তাশরিফও ছুটে গেছে গিটার ছিনিয়ে নিতে৷ কত মধুর সেসব স্মৃতি। এক কালবৈশাখী ঝড় এসে সব উলট পালট করে দিয়ে গেছে। ছুটি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে গিটার নিয়ে চলে আসে। তাশরিফ বাইরে গেছে। আসলে সবাই মিলে জেঁকে বসবে। তবে তাশরিফ কি রিয়াকশন দেবে কেউ জানে না।

— তাশরিফ কোথায় গেছে জানিস আবির? মমতা খান বলেন। সবাই ড্রয়িংরুমে উপেক্ষা করছে তাশরিফের জন্য। সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসার কথা তার। কিন্তু রাত বাড়তে থাকে তাশরিফের খোঁজ নেই।

– আমাকেও বলে যায়নি মা। আমি কি একবার বাইরে গিয়ে দেখবো। আবিরের কথায় মমতা খান বলে না থাক। আসুক ওর সময় মতো।
– তাশরিফ কি গান গাইবে মা? যদি আবারও রেগে যায়? আবির ভয় পাই কিছুটা।
– হয়তো রাগ করবে তবে আমি যে আমার সেই তাশরিফকে দেখতে পাই আবির৷ সে তাশরিফ নিশ্চয় আমার কথা রাখবে।

– একদম ঠিক ফুপি৷ ব্রো কতটা চেঞ্জ করে গেছে জাস্ট দেখো। আমি তো দেখিনি তবে যা শুনেছি আর এসে যা দেখলাম তাতে অনেক আপসেট ছিলাম। এখন ব্রো স্বাভাবিক আমি হ্যাপি। রোহান বলে হেসে।

– সবই সম্ভব হয়েছে ছুটির জন্য। মমতা খানের কথায় হকচকিয়ে উঠে ছুটি।
– আ-আমি আবার কি করলাম রানীমা! লাজুক হেসে বলে ছুটি।
– সবই তো তোর কাজ। আমার ছেলেটাকে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক করে তুলছিস তুই আমি সেটা জানি৷ কেন যে আগে আনলাম না তোকে। তাহলে হয়তো এতদিনে আমরা সবাই সুস্থ জীবন কাটাতে পারতাম৷ আফসোস নিয়ে বলে মমতা খান।

– আমি কিছুই করিনি রানীমা৷ যা করার উনি করেছেন৷ উনি চেয়েছেন বিধায় সব হচ্ছে। উনি না চাইলে কিন্তু এইসব কেউ জোর করে করাতে পারতো না।
– সে তুই যতই যাই বল। সব ক্রেডিট তোর।
-মা একদম ঠিক বলেছে ছুটি। আমিও মায়ের সাথে একমত।
*তুমি তো দেখছি ম্যাজিক জানো ছুটি। রোহান বলে কথাটা।

* এরই মধ্যে কলিংবেল বেজে উঠে। কলিংবেল বাজায় সবাই নড়েচড়ে বসে। তাশরিফ ফিরেছে ভেবে সবাই স্বস্তি পাই যেনো।

– আমি দেখছি কে আসলো ছায়া উঠে যায় আগে। সবাই উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।
– ছায়া দরজা খুলতেই চমকে যায় সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে৷ চোখ যেনো ছানাবড়া তার। সাথে সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে।

— বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আসিফ ইকবাল আপনি? উত্তেজিত কন্ঠে বলে ছায়া। এদিকে ছায়াকে দেখে ফিদা হয়ে যায় আসিফ। চশমা পড়া গুলুমুলু লুক দেখে যে কেউ ফিদা হবে স্বাভাবিক। আসিফ ছায়ার দিকে নেশাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

– আমার না বিশ্বাসই হচ্ছে না আপনি এখানে? এই একটা চিমটি কাটবেন প্লিজ৷ ছায়ার কথায় আফিস মুচকি হেসে বলে স্বপ্ন নয় মিস কিউটি। আইম হেয়ার!

– ভেতরে যা! আবির বলে গম্ভীর কণ্ঠে। ছায়া মুখটা মলিন করে ফেলে। তবে আজ আর কিছু বলবে না সে আবিরকে।

– ওকে ভেতরে আসতে বল আবির। মমতা খানের কথায় আবির আসিফকে ভেতরে আসতে বলে।

– আমি কিন্তু একটু অটোগ্রাফ নেবো উনার! ছুটিকে বলে ছায়া।
– এমন পাগলামো কেনো করছিস। উনার থেকে তাশরিফ ভাইয়া ভালো গায়। মুখ বাকিয়ে বলে ছুটি।

– সে তো জানি৷ কিন্তু ভাইয়া তো আর গায়না এখন৷ এখন তো উনি টপে আছেন দেশে-বিদেশে। রিসেন্ট রিলিজ হওয়া গানটা শুনেছিস তুই আপাই? জাস্ট অসাম।
– হয়েছে এবার চুপ কর। ছুটি থামিয়ে দেয় ছায়াকে।

– কেমন আছেন আন্টি? কথাটা বলতেই আসিফের চোখ যায় গিটারে। ভ্রু কুচকে আসে তার সাথে মুখশ্রী বদলে যায়..

– চলবে

❌কপি করা নিষেধ ❌ পরবর্তী পর্ব থেকে রহস্য উন্মোচন হবে ইনশাআল্লাহ। ভুলক্রুটি মাফ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here