পর্ব-৬,,,,
#শেষ_থেকে_শুরু।।
,
,
কাজে মন বসছেনা তাই আমিও বাসায় চলে যাই।
বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে শুয়ে পরি। কিন্তু মাথায় ওকে নিয়েই চিন্তা ঘুড়ছিলো
এই প্রথম আমি নিজেকে না থামিয়ে ভাবছি যদি এই যৌতুকের সমস্যাটা না হতো তাহলে আজকে আমি আমার জীবন চলে জন্য একজন ভালো মানুষ পেয়ে যেতাম।
আবার চিন্তা হয় ভালো হলো বিয়েটা ভেঙে গেছে। কারন তাহলে হয়তো ওর বাবা মা আর ও আমাকে কখনো ভালো মানুষ হিসেবে সেই সর্বোচ্চ যায়গাটা দিতেই পারতোনা।
কিন্তু আমিযে চাই ও সব সময় আমার পাশে থাকুক। আবার ফিরে আসুক। (কথাটা হঠাৎ বললাম নিজেকে)
তাই নিজেকে আবার বকা দিচ্ছি।এইসব কেনো ভাবিস যা কখনো সম্ভব নয়।
মন বলছে ওতো তোর মতই বিয়ে করেনি।আর হয়তো তোকে পছন্দ করে নাহলে এত কিছুর পর কেনো এখন ঠিক হলো। আবার কেনো দেখা হলো। কেনো তোদেরই সম্পর্ক ঠিক হলো।
আমি নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করছি যে এইগুলা যাষ্ট কোয়েনসিডেন্স। এমনি হচ্ছে।
মন বলছে সব কিছুকোয়েন্সিডেন্স হয়না।
আমি শোয়া থেকে উঠে বসি এই ভেবে নিজের সাথেই কথা বলছি। আমার ভেতরটা কেপে উঠে যখনি ওকে নিয়ে ভাবি। তাহলেকি সত্যি ভালোবাসি। নাকি সব ভুল।
এর পর শুয়ে পরি আর ভাবতে থাকি যা হয় হবে তা পরে দেখা যাবে।
এর পর সব কিছু নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরি। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে পরি স্বপ্ন দেখে।
উঠে হাসছি যে আমার মাথায় এইসব এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে তা এখন স্বপ্ন হয়ে আসছে।
স্বপ্নটা ছিলো প্রথমে বাবা মা আমাকে কাছে এসে আমাকে ফিরিয়ে নেন আর তারাই আমার সাথে মাহির বিয়ের দেন।
আর বিয়ের সময়টায় ঘুম ভেঙে যায়।
এর পর উঠে এক কাপ কফি বানাই। এর পর বারান্দায় গিয়ে দাড়িয়ে আছি৷ খুব ইচ্ছে হচ্ছে ওর সাথে কথা বলবো কিন্তু তা পারছিনা।
এর পর এইভাবেই ৩ দিন কেটে যায়। অফিসে বসে ছিলাম বিকেলে ছোট ভাইটার কল আসে।
আমি ধরতেই –
রুহাবঃ ভাইয়া আম্মু আব্বু কথা বলবেন।
আমিঃ হুম।
আম্মুঃ কেমন আছিস?
আমিঃ ভালো।
আম্মুঃ বাড়ি ফিরবি কবে?
আমিঃ আর ফিরবোনা। নতুন বাড়ি নিয়েছি খুব ভালো লাগে আমার।
আম্মুঃ হ্যা তাতো লাগবেই।ভালোতো আমাদেরই লাগে না।(কান্না কন্ঠে), আমরা কি ভুল করেছি তোর ভালো চেয়ে। চেয়েছিলাম তুই একটু বেশি ভালো থাকবি।
আমিঃ মা অন্যের ভালোথাকা কেরে নিয়ে আমি কখনো শুখি হতে পারবোনা।
,
এর পর ফোনটা রেখে দিলাম। আম্মুর কন্ঠ শুনে খুব বেশি তাদের কথা আরো মনে পরছে।
আমি ডেস্কে হাতের উপর মুখ লুকিয়ে রাখি।
আমার খেয়ালই নেই আমি অফিসে। হঠাৎ মাহি আসে।
আমাকে স্যার।
আমি তাকিয়ে দেখি ও দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ হ্যা বসুন।
মাহিঃ সরি স্যার আপনি শুনছিলেন না তাই আমি ভেতরে আসি।
আমিঃ না কিছুনা। এমনি।
মাহিঃ মানে কিছু হয়েছে? খুব মন মরা লাগছে৷
আমিঃ আসলে মা কল দিয়েছিলেন। বলছেন বাড় ফিরে যেতাম। খুব মনে পরছিলো তাদের।
মাহিঃ হুম।
এর পর মাহি চলে যাচ্ছে। গিয়ে আবার ফিরে আসে।
মাহিঃ আপনি ফ্রি আছেন?
আমিঃ হ্যা।
মাহিঃ আমার ১ ঘন্টা পর কাজ শেষ। তখন আমি বাসায় চলে যাবো। কিন্তু যাবেন কোথাও। ভালো লাগবে আপনার।
আমিঃ হ্যা ঠিক আছে।
দেখলাম মাহি তাকিয়ে আছে। হয়তো একবারেই মেনে গেলাম তাই।
এর পর অফিস শেষে আবার একটা কেফেতে বসলাম।
মাহিঃ তো বিয়ে করছেন না কেনো?
আমি আমার মনটা এসে বলছে তোমাকে পাচ্ছিনা বলে।
কিন্তু মুখে বলি- বিয়েটা করছিনা কারন ইচ্ছেটাই নেই এখন আর। কিন্তু আপনি করেননি কেনো?
মাহিঃ আমারকি বাবা মাতো বলে। কিন্তু আগে কিছু হই ঠিক মত। আগে কামাই করা টাকা ভালো মত খরছ করি এর পর।( বলেই হেসে দিলো)
এর পর কিছুক্ষন সময় কথা বলে ফিরে আসি দুইজন বাসায়।
সব খুবই সাভাবিক যাচ্ছিলো। ১ মাস কিভাবে চলে যায় নিজেও জানি না।
এর মাঝে আম্মুর সাথেই কথা হয়।ফোন দিলে কথা হয় এরপর শেষ। আমারো ইচ্ছে করে ফিরে যাবো। কিন্তু তারা এখনো বলেননা যে আমি যেভাবে চাই সেভাবে হবে। যতদিন না এই কথাটা বলবেন আমি যাবো না।
আর অন্যদিকে আমি মাহির প্রতি আরো বেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। অফিসের ওর কথা ভাবছি।
ওইদিনতো গিয়েছিলাম পুরো ফেসে-
ফাইল নিয়ে বসে আছি। একটু পর মাহির কাছেই যাবে এইটা।
আমি ওর কথা ভাবতে ভাবতে সেই ফাইলের উপর ওর নাম কয়েকবার লিখে ফেলি।
একটু পর যখন দেখি তখন আমি পুরো ভয়ে শেষ৷ আমিতো ভয়ে শেষ।
আমি কেটে দেই। কিন্তু তাও বুঝা যায়। এর পর তা এমন ভাবে ছিরে ফেরে দেই।
মাহি আসলে ওকে বলি যে প্রিন্টিং সমস্যা আছে। আরেকবার কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে দিতে বললাম।
সে নরমালি কথাটা নিয়ে চলে গেলো।
আমিতো ভাবছি যে বেচে গেলাম। নাহলে কিযে হতো।
মাঝে মাঝে এখন মাহির সাথে কফি খেতে যাই। খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছি৷ কিন্তু এখনো আপনি করেই কথা বলি একজন অন্যজনকে।
কিছুদিন পর হঠাৎ মাহির বাবা কল দেন। তখন নিজের কেবিনে ছিলাম।
আমিঃ হ্যালো আংকেল।
মাহির বাবাঃ কেমন আছো?
আমিঃ ভালো আংকেল,আপনি?
মাহির বাবাঃ ভালো। তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো।
আমিঃ জ্বী বলেন।
মাহির বাবাঃ আসলে কথা গুলো সামনা সামনি বলতে হবে। তুমিকি দুপুরে আসতে পারবে? আর মাহিকে বইলো না। একাই আসবে।
আমিঃ ঠিক আছে।
এর পর ফোন রেখে ভাবছি যে এমন কি বলবেন। যে একা যেতে বললেন। কিছু হয়েছে হয়তো। আচ্ছা গেলেই বুঝা যাবে।
এর পর দুপুর পর্যন্ত কাজ করে চলে যাই মাহির বাসায়।
বাড়িতে যেতেই মাহির বাবা আমাকে নিয়ে বসান। এর পর দেখলাম আন্টি আর আংকেল কি যে বলতে চাইছেন কিন্তু বলতে পারছেন না।
আমিঃ আংকেল আপনি কি যেনো বলবেন?
আংকেলঃ আসলে কিভাবে বলি আমি বুঝতেছিনা।
আমিঃ আংকেল আপনি বলুন সমস্যা নেই। একটুও ভাববেন না।
আংকেলঃ আসলে আমি মাহির বিয়ে নিয়ে ভাবছিলাম।
কথাটা শুনে আমার বুকটা চাপ দিয়ে উঠলো। হয়তো ছেলে ঠিক।
আমিঃ আংকেল সেতো ভালো কথা। কিন্তু সমস্যা কোথায়? মাহি রাজি নয় নাকি?
আংকেলঃ আসলে তানা। ছেলেকেও বলিনি। আমার মেয়েকেও।
আমিঃ তাহলে?
আংকেল একবার আন্টির দিকে তাকালাম। আন্টি হ্যা সুচক বললেন মাথা দিয়ে৷
আংকেলঃ আসলে আমরা তোমাদের বিয়ে নিয়ে আবার ভাবছিলাম।কিন্তু তোমাকে বা মাহিকে বলার সাহস টুকু পাচ্ছিলাম না। ভাবলাম তোমার মত আগে জানি।
ভেতরটা বার বার বলছিলো হ্যা বলেদে।
কিন্তু এইখানে হ্যা বললেই তো হলোনা। অনেক কথা আছে যা আগে জানতে হবে। তা হলো মাহিকি আমাকে আবার সেইভাবে দেখতে পারবে।
আংকেলঃ আমি জানি আমাদের জন্য তুমি এখন তোমার বাবা মার সাথে থাক না। তুমি চাইলে আমরা গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাইবো।
আমিঃ না না আংকেল। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে ভাবার জন্য আমার সময় চাই।
আংকেলঃ ঠিক আছে।
এর পর আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে ভাবতে থাকি কি করা উচিত।
কিন্তু কিছুই বুঝতেছিনা।
২ দিন ভাবার পরও মাথায় কিছুই আসতেছে না।
রাতে বসে বসে ভাবছিলাম তখন মা ফোন দেয়৷
আমি হ্যালো বলতেই মা কান্না করে বলেন যে বাবা তুই যেইভাবে চাইছিস সেভাবেই হবে। আমরা তোকে থামাবো না। তুই আমাদের মাফ করে দে।
পাশ থেকে বাবা বলছে ওকে বলো এই বয়সে কখন চলে যাই ঠিক নেই। এমন যেনো না করে।
আমিঃ মা আর বলো না৷ এইবার আমিও কান্না করে দিবো। কিন্তু আমি কিছুদিন পর আসবো।
মাঃ কিন্তু কেনো?
আমিঃ বলবো মা কিছুদিন পর।
এর পর আমি ঠিক করলাম এইটা সুভ লক্ষন এইবার হ্যা করাই যায়।
আমি আংকেলকে ফোন দিয়ে বলি যে হ্যা আমি রাজি।
আংকেলঃ আলহামদুরিল্লাহ। এখন তাহলে মাহির সাথে কথা বলি।
আমিঃ না আংকেল আমি কথা বলবো। আমি নিজেই দেখতে চাই ও রাজি কিনা।
আংকেলঃ ঠিক আছে।
এর পর আমি আমার লাফানোর অবস্থা৷ কারন এত ভালো আমার শেষ কবে লেগেছিলো তা আমি নিজেও জানি না।
আমি নিজের মনকে বলছি যে তুই যিতে গেলি।
সেইদিন রাতে ঘুম আসলোই না।
পরেরদিন খুব ভয় ভয় নিয়ে অফিসে যাচ্ছি। আজই বলবো কিন্তু কিভাবে তা ঠিক করতে পারছিনা। আবার ভয় যদি ও না করে দেয়।
এর পর অনেক্ষন ভেবে আমি মাহিকে ডাক দেয়াই।
মাহি অফিসে আসতে আমি ওকে বসতে বলি। কিন্তু ওকে দেখে আমার সব গুলিয়ে আচ্ছে।
মাহিঃঃস্যার কিছু বলবেন?
আমিঃ ও না কাজটা শেষ৷ দরকার হলে ডাকবো
মাহি কি বলবে চলে গেলো।আমি ভাবছি এইটা কি করলাম। মাহি কি ভাববে। কিন্তু কি করবো কিছুই আসছিলো না।
এর পর আবার নিজেকে ঠিক করে ১ ঘন্টা পর আবার ডাকাই।
,
,
To be continue…..
,
(
#লেখকঃইমাম।।
,