শেষ থেকে শুরু পর্ব ৫

0
556

পর্ব-৫…
#শেষ_থেকে_শুরু।।
#লেখকঃইমাম।।
,
,
মাহি যদিও কিছুই বলেনি। কিন্তু মুখ দেখে বুঝাই যাচ্ছে ও খুশি হয়েছে।আমিও কেনো জানি আজকে মহা খুশি। শুধু শুধু হাসি পাচ্ছে। মাহি দুইবার এসেছে ফাইল নিয়ে আর আমি দুইবারই বিনা কারনে হাসছিলাম একটু পর পর। আসলে আমিতো পুরোটা সময় হাসছিলাম বিনা কারনে৷ নিজেকে বেকুব লাগছে। নিজেই নিজেকে বলছি আরে হাসছিস কেনো। কিন্তু শুধু হাসি পাচ্ছে। কারন আছে নাকি এমনি তাও নিজেই জানি না। নিজের হাসির কারন নিজেই জানি না ভাবতেই আরো বেশি হাসি পায়।

প্রথম দুইবার মাহি কিছুই বলেনি। এবং এই দুইবার সে আসে দুপুরের আগে৷ এর পর একদম বিকেলে আসে। বিকেলেও সেই এক অবস্থা৷
এইবার মাহি যাওয়ার সময় ফিরে আসে।

মাহিঃ স্যার আমিকি কোনো ভুল করেছি?
আমি কথাটা শুনে পুরা চুপ। আমি ভাবছি আবার কি হলো। হাসি পুরা গেলো ওর কথা শুনে।
আমিঃ নাতো।
মাহিঃ তাহলে আমি আসলেই হাসছেন। আমিকি কোনো ভুল করেছি। নাকি আমাকে আজকে খারাপ লাগছে দেখতে।

আমিঃ আরে না না। আপনাকে সব সময় মতই অনেক সুন্দর লাগছে।আপনি অনেক সুন্দর। আপনাকে দেখে কখনোই খারাপ লাগে না যে হাসতে হবে। আপনার জন্য না। আসলে কেনো জানি হাসছি তা নিজেও জানি না। আজকে নিজের মাঝেই অনেক ভালো লাগছে,কারন ছাড়া। সকাল থেকেই বিনা কারনে এমন হচ্ছে।

আমি দেখলাম মাহি একটু হাসি দিচ্ছে। আবার থামাচ্ছে।যেনো ওর হাসি থামাতে চাইছে। খুশি হলো কেনো কিছুই বুঝলাম না।

ও তার পর চলে যায়। আমি বসে ফাইলের দিকে তাকাতেই মনে হলো এ আমি কি বললাম। তাকে অসুন্দর বলতে গিয়ে একটু বেশি প্রশংসা করে ফেললাম। ও নো এ আমি কি বললাম। আর এইগুলা অন্য কলিগকে বললেও হতো। ওকেই এইভাবে প্রশংসা করতে হলো। কি ভাববে এখন ও।

কিন্তু মাইন্ড করেনি হাসি দেখেই বুঝেছি। কিন্তু তার পরেও এইভাবে। আসলো কিভাবে কথাগুলো। তাও আবার বিনা সংকোচে।

এইসব ভেবে আবার হেসে দিলাম৷ আজকের দিনটা বিনা কারনেই ভালো যাচ্ছে। যাক এমন হলেও ভালোই হই।

আবার আজকে আমাদের লাস্ট প্রজেক্ট সাবমিটের দিন। আজকে রাতেই দিয়ে দিবো। তাই আবার কাজের দিকে মন দিলাম।

রাতে প্রজেক্ট সাবমিট করেই বাসায় আসলাম। এই পেজেক্টের জন্য কম্পানি আরেকটা ধাপ উপরে উঠলো। কতযে খুশি তা আমি বলে বুঝাতে পারবো না।

এইবার সেলারির সাথে সবাইকে ছোট করে একটা বোনাস দেয়া হবে৷ মাহি যদিও কন্ট্রাক সাইন করে এসেছে। সে চাইলে এই টাইম পর চলে যেতে পারবে। কিন্তু অফিসের ম্যানেজার এবং অন্যদের কথা শুনে বুঝলাম সবাই চায় সে যেনো এইখানে পারমানেন্ট হয়ে যায়৷ কারন খুব মেহনতী একজন মানুষ৷

এর পর আসে সেলারির দিন। সেলারির সাথে যখন সবাই একটা ছোট বোনাস পায় তখন সবাই খুশি৷ কিন্থ মাহি কিছুই পেলোনা। সে ভাবছে হয়তো ভালো করেনি। মন খারাপ ছিলো। ওর কন্ট্রাকের ছিলো যে পাচ মাস করবে কিন্তু সেলারির মত টাকা ৫ মাসের টা মাসে পেয়ে যাবে।একবারে না নিয়ে৷

মাহি বসে ছিলো চুপ চাপ ওর ডেস্কে। মেনেজার এর পর ওকে আমার ডেস্কে ডেকে দেয়।
মাহিঃ আসতে পারি স্যার।
দেখলাম মুখটা সুকনা হয়ে আছে৷ হয়তো ভাবছে ভালো করেনি তাই হয়তো তাই পায়নি

আমিঃ আপনাকে এমন লাগছে কেনো? মনে হচ্ছে মন খারাপ।
মাহিঃ কিছুনা স্যার। স্যার একটা প্রশ্ন করি?
আমিঃ হ্যা করেন?
মাহিঃ আমিকি কাজে কোনো ভুল করেছি?
আমিঃ আপনাকে কি কেউ কিছু বলেছে?
মাহিঃ কেউ কি বলবে স্যার? তার মানে ভুল করেছি?

আমিঃ হ্যা। এইযে খামটা নিয়ে জান। আপনার ভুলের জন্য এইটা দেয়া।
কথাটা বলেই আমি আমার ফাইলের দিকে তাকাই উকি দিয়ে চেয়ে দেখি ফাইলটার দিকে কেমন ভাবে যেনো তাকিয়ে আছে।

ও খামটা নিয়ে বাহিরে গিয়ে খোলে। খুলেই দৌড়ে চলে আসে।
ওর মুখে খুশির ছাপ।
মাহিঃ আপনিনা বললেন যে ভুল করেছি। আমিতো ভেবেছিলাম কন্ট্রাক ভেঙে আমাকে তারিয়ে দিবেন।

আমিঃ হাহা। আপনি যা ভাবছেন এমন কিছুই না। আপনার কাজের উপর খুশি হয়ে সবাই আপনাকে পার্মানেন্ট করার সাজেশন দিয়েছে।
তাই হ্যা কন্ট্রাক বাদ দিয়েই এখন থেকে আপনি এই কম্পানির একজন পারমানেন্ট সদস্য। এখন যেমন কাজ করেন। আশা করি সব সময় এভাবেই করবেন।

মাহি এর পর দেখলাম খুব খুশি হয়ে লেটারটার দিকে তাকিয়ে আছে।
মাহি পিছন ফিরে চলে যাবে আমি তখন ওকে দেই।

আমিঃ শুনুন।
মাহি ফিরে তাকালো।
আমিঃ আজকেতো সবার হাফডে।
আপনি কি করছেন?
মাহিঃ বাসায় চলে যাবো৷
আমিঃ না মানে ওইদিনের সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ বলিনি ঠিক মত৷ আমার সাথে কফি খেতে যাবেন?

মাহি হয়তো এইটা আশাই করেনি। ও কি বলবে ভাবছে।
মাহিঃ কিন্তু ট্রিট আমি দিবো।
আমিঃ ধন্যবাদ আমি দিবো। বাট ট্রিট আপনি দিবেন।
মাহিঃ বলা যায়৷
আমিঃ হাহা আচ্ছা ঠিক আছে।

এর পর অফিস শেষে আমি অফিসের বাহির থেকে মাহিকে গাড়িতে করে একটা ভালো যায়গায় গেলাম।

সেখানে গিয়ে আমি এককাপ কফি নিলাম।
মাহি অন্য কিছু নিলো কফির সাথে। আমাকে বলেছিলো নিতে।

মাহিঃ আপনিকি ৩ বেলাই কফি খান? না মানে ওইদিনও দেখলাম আজকেও।

আমিঃ এমনি অভ্যাস।
মাহিঃ অন্যকিছু নিন।
আমিঃ না খুদা নেই।

ওকে আজকে দেখে বুঝাই যাচ্ছে না আমার সাথে ওর এমন একটা পাস্ট আছে। হয়তো খুশির জন্য ভুলেই গিয়েছে। বা ওইসব সত্যি মন থেকে ভুলে গেছে।

এর পর কিছুক্ষন চুপচাপ। আমি নিজেকেই বলছি নিয়েতো এলি এখন বেকুবের মত চুপ করে বসে আছিস। বোরিং একটা তুই – নিজেই নিজেকে বলছি।

মাহি কিছুক্ষন পর কেনো জানি একটু সিরিয়াস হয়ে কথা বললো
মাহিঃ আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি। কিছুদিন হলো জিজ্ঞেস করবো।কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত তাই করিনি৷

আমিঃ করুন। যদি না বলতে হয় আমি নিজে বলে দিবো বলা যাবে না।
মাহিঃ আপনি বাড়ি কেনো ছাড়লেন? মানে ওই জীনিসগুলো হওয়ার কিছুদিন পরই গিয়েছেন আমাকে এমন একটা সময়ই বলেছিলেন।
আমি একটু মুচকি হাসলাম
মাহিঃ দেখুন যদি না বলার হয়,,,,
আমিঃ আরে না। বলা যাবে। আসলে বাবা মা জোর করছিলেন তাদের কথা মত চলতাম। না হলে তারা ভুলেই যাবেন আমি তাদের সন্তান। তাই আমি লেট না করে বাড়ি ছেরে দেই৷

মাহি দেখলাম মাথা নিচু করে বসে আছে।
আমিঃ আরে আপনি এমন করছেন কেনো? এখানে আপনার কোনো ভুল নেই।
মাহিঃ না সত্যি বলতে আমারি ভুল। কিভাবে আমার ভুল নয়। আমার জন্য আপনারের ঝগরার পর এমন হয়৷

আমিঃ না মটেও না৷ যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। কিন্তু এইখানে আপনার কোনো দোষ নেই। বরং আমাদের জন্য আপনাদের সম্মান এর দাগ পরে।
মাহি এ নিয়ে কিছুই বলেনি।

মাহিঃ সত্যি বলতে আমি কখনো আপনাকে দোষ দেইনি।
আমিঃ যাক শুনে ভালো লাগলো।

কিছুক্ষন পর আমার একটা কথা মনে হলো। মাহি একবার একটা কারন বলেছিলো যার জন্য সে আমার সামনে অপরাধি মনে করে নিজেকে।

আমিঃ আমি একটা করি প্রশ্ন। আপনি বলেছিলেন আপনি অপরাধী মনে করেন নিজেকে আমার সামনে। কেনো? আপনিতো কোনো ভুল করেননি।

মাহি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ জলে টই টুম্বুর।

মাহিঃ আসলে এইটার উত্তর আমি অলরেডি দিয়ে দিয়েছি।

আমিঃ কখন?
মাহিঃ আসলে যখন আপনারা চলে জান। তখন আমি বুঝতে পারি যে একজন ভালো মানুষের সাথে এইগুলো হলো
বাবা আমাকে বলছিলেন সে ভুল করে ফেলেছেন।
কারন আপনি এমন বাবা জানলে তার সব দিয়ে হলেও নাকি বিয়েটা দিতেন। কারন এমন মানুষ নাকি হারাতেই নেই। আমি নাকি একজন খুবই ভালো মানুষ হারিয়েছি।

কথাগুলো শুনে আমার খুব লজ্জা লাগছিলো কেনো জানি।

মাহিঃ তাই নিজেকে দোষি লাগে আপনার সামনে যে আপনার বিয়েটা ভাঙলো আমার জন্যই। আপনি এর থেকে অনেক ভালো প্রাপ্প।
এর পর দুইজন অনেক্ষন চুপ করে ছিলাম।
কারন কথাগুলো এতটাই গভিরের ছিলো যা হয়তো যাদের সাথে হয়েছে তারা বাদে কেউ বুঝবেনা।

আমি কিছুক্ষন পর বলি- বাদ দিন। যা হওয়ার হয়েছে৷ এখন এইসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই৷
মাহিঃ হুম।
,
এর পর খাবার শেষে চলে আসি দুইজন বাসায়। আজকের দিনটা একটু অন্যরকম গেলো। কিছু কথা না বলা হলেও আজকে বলা হয়ে গেলো।

বাড়িতে আসতেই ভাইটার কল।
আমিঃ কিরে রুহাব কি অবস্থা৷
রুহাবঃ ভাইয়া তুমি আইসা পর প্লিজ। মা বাবা খুব কষ্টে আছেন।
আমিঃ আমিও আসতে চাই কিন্তু এখন এইখানেই থাকবো। আর বাবা মা আমাকে ফিরে নিতে চান না। তারা যেইভাবে চান সেইভাবে আমি পারবোনা আসতে।
এর পর ফোন রেখে দিলাম।।

বাড়িতে ঢুকে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে টিভির সামনে বসলাম।
এর পর রাতে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে যাই।

সকালে অফিসে গিয়ে বসে আছি৷ এমন সময় একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে।
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম
বিপরীত দিক থেকে- ওয়ালাইকুম সালাম। স্যার আপনার অফিসে গতকাল জয়েনিং লেটার পেলো। নাম মাহি।আমি ওর বাবা৷

আমি শুনেই দাড়িয়ে যাই। সে আমাকে কল দিলো। কিন্তু মনে হচ্ছেনা আমাকে চিনেছেন। কারন স্যার বলছেন। তার মানেকি মাহি বলেনি।

আমিঃ আরে আমাকে স্যার বলবেন না।আমি ছোট আপনার থেকে।
আংকেলঃ আসলে গতকাল মাহির দিকে দেখে আমি ওর মা ওকে বলেছিলাম যে আপনাকে নিয়ে আসতে আজকে বাড়িতে লাঞ্চে।
কিন্তু মাহি না করছে যে আপনি আসবেন না। কিন্তু আমরা চাই প্লিজ আজকে আশুন আমাদের কথাটা রাখুন।

এখন আমি পরেছি মুছকিলে৷ কি বলি। না করবো নাকি হ্যা বলবো।
মাহির বাবাঃ জানি আপনি ব্যস্ত মানুষ৷ প্লিজ আসুন।

বার বার বলছিলো। তাই আমি আর না করিনি।
ফোন রাখার পর আমারতো ঘামার মত অবস্থা।
কি করি।এখন হ্যা বলেছি কিযে করি।

আমি ম্যানেজারকে বলি যে মাহিকে ডাকিয়ে দিতে। আর আজকে দুপুরে মাহির ছুরি দিয়ে দিতে।
পরে মাহি রুমে আসলে।

আমিঃ ইয়ে মানে আপনি বাড়িতে বলেননি আমি এই অফিসের বস?
মাহি আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ না মানে আপনার বাবা ফোন করেছিলেন। দুপুরে যেতে বলেছেন। আমি আর না করতে পারিনি। এতবার বলার পর।

মাহিঃ আসলে বাড়িতে বলার সাহস পাইনি। কিন্তু যাবেন আপনার খারাপ লাগবেনা?
আমিঃখারাপ লাগবেনা। বাট কেনো জানি ভয় করছে।
মাহি কি বলবে। আমি হ্যা করেছি শুনেই সেতো থ৷

এর পর দুপুরে আমি আমার গাড়ি দিয়ে আর মাহি ওর গাড়ি দিয়ে মাহির বাড়ি যাই।
গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে তাকালাম।

আজকে দ্বিতীয় বার বাড়ির ভেতরে যাবো। প্রথমবার ছিলাম বর।আজকে বস। কি আমার কিসমত।

এর পর আমি আর মাহি দাড়িয়ে আছি একসাথে দরজার সামনে। মাহি কলিংবেল চাপ দিলো।

মাহির বাবা বের হয়ে আমাকে দেখেতাতো থ হয়ে দাড়িয়ে আছেন। কারন আমি হয়তো সেই শেষ ব্যক্তিটাও নই যাকে সে এইখানে দেখবেন বলে আশা করেছিলেন।

মাহির বাবাঃ তুমি?
মাহিঃ আমার অফিসের বস।
মাহির বাবাও চুপ কি বলবেন সেও জানেন না।
কিছুক্ষন পর মাহির বাবা আমাকে ভেতরে নিয়ে জান।
মাহির বাবাঃ ভালো আছো?
আমিঃ জ্বী আংকেল
মাহির বাবাঃ মাহি তুই বললেই পারতি।

আমিঃ আসলে আংকেল মাহিকে আমার কম্পানিতে দেখে আমিও অবাক ছিলাম।
এর পর তাকে সব বল বলি কিভাবে দেখা।মাহিযে চলে আসতো তাও বলি। এর পর মাহি কিভাবে থেকে গেলো। কিভাবে ওর কাজের গতির জন্য সবাই খুশি তাও বলি।

মাহির বাবা সব বুঝেন। কিন্তু আসলেই এই পরিস্থিতিটা খুবই অদ্ভুত। কিভাবে এইটাকে বর্ননা করা হবে তা আমার জানা নেই।

এর পর মাহি যায় আন্টিকে হ্যল্প করতে।
আংকেলঃ তো বাবা বিয়ে করেছো?
আমিঃ না আংকেল। তার পর আর ভাবাই হয়নি বিয়ের কথা।
আংকেলঃ একটা কথা কিছুদিন আগে মাহি ওর বসের জন্য খাবার নিয়ে গেলো।তার শরীর খারাপ বলে। সে নাকি একা বাসায় থাকে। কিন্তু জানতাম না তুমি। কিন্তু তুমি একা থাক কেনো?

আমিঃ আসলে বাড়ি ছেরে এখন একাই থাকি। ওই কারন গুলোর জন্যই।
মাহির বাবাঃ আমাদের জন্য তুমি এখনো কষ্টে আছো। আমাদের মাফ করে দিও।
আমিঃ আরে কি বলেন।
মাহির বাবাঃ আসলে তোমার মর ছেলেই হয়না।
আমিঃ আংকেল যা হয়েছে তা বাদ দিন। ওইটা ভেবে কি লাভ।

মাহির বাবাঃ হ্যা। কিন্তু তোমার কখনো কোনো কিছু নিয়ে সাহায্য লাগলে বলবে। যখনই বাড়ির খাবারের দরকার হবে৷ চলে আসবে।
আমিঃ জ্বী।

এর পর সবাই মিলে খাওয়া শুরু করি। আন্টির রান্না খেয়ে বুঝলাম মাহি রান্নার হাত ওর মার থেকে পেয়েছে। খুব ভালো রান্না করেন আন্টি।

আমিঃ আন্টি খুব ভালো রান্না হয়েছে।
আন্টিঃ আরে না বা এ এমন কিছু না।

এর পর মাহি আমি বাহিরে আসলো।এমন সমিয়-
মাহিঃ আপনি বাড়ি যাবেন নাকি অফিসে।
আমিঃ অফিসে।
মাহিঃ তাহলে আমিও চলি।
আমিঃ না না ছুটি দিয়েছি থেকে জান।
এর পর আমি গাড়ি করে অফিসে এসে আবার কাজ শুরু করি।

কিন্তু কাজে একটুও মন বসতেছে না। শুধু ঘুড়তে কি হলো এইগুলা। এইগুলা হয়তো কারো জীবনে হয় না৷ কি অদ্ভুত কাহিনি।মেয়ের বাবা মা আমার উপর রাগ নয়। যদিও এইটা ভালো।

এর পর নিজেকে অনেক বুঝাই যে কাজের দিকে মন দেয়া উচিত৷ এভাবে হবে না।
,
,
To be continue….
,

,
#লেখকঃইমাম।।
,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here