শেষ থেকে শুরু পর্ব ৪

0
509

পর্ব-৪….
#শেষ_থেকে_শুরু।।
#লেখকঃইমাম
,
,
মাহি কিছুক্ষন পর নিজেই জিজ্ঞেস করলো-আপনার জ্বর এখনো অনেক বেশি?
আমি তখন নিজেকে সামলে-না অনেকটা কমে গেছে।
আমিঃ ভেতরে আসুন। (নিজেকে মনে মনে বকা দিচ্ছি,কখন থেকে মেয়েটাকে বাহিরে দাড় করিয়ে রেখেছি)

মাহি ভেতরে আসে৷ আমরা দরজা লাগিয়ে দেই৷
মাহিঃ সকালে কিছু খেয়েছেন?
আমিঃ না। বাহিরে যাওয়ার ইচ্ছাই হয়নি। আর বাসায়ও কিছুই নেই।
মাহিঃ তাহলেকি না খেয়েই আছেন?
আমিঃ হ্যা

মাহি চুপ চাপ থেকে কিছুক্ষন বলে- এই নিন আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি। খেয়ে নিন।
আমি কি বলবো। খুদাতো অনেক লেগেছে।

মাহি টেবিলে দেখে একটাও প্লেট নেই। মাহি বলে যে আমি কিচেন থেকে নিয়ে আসি।
আমিঃ আরে না না আমি নিয়ে আসতে পারবো।
হঠাৎ মনে হলো কিচেনেতো এমনি খুযে পাবে না। কারন সব পেকেটে। এত বছর হয়ে গেছে কিন্তু দুইটা প্লেট শুধু বের করা।

তাও এখন ধোয়া না। গতকাল রাতে খেয়ে ধোয়াই হয়নি এইযে একটু খারাপ লাগছিলো বলে। আর কিনেছি সব। কিন্তু গুছানোর সময় হয়নি।
,
মাহিঃ না না আমি আনতে পারবো।
এর পর ও কিচেনে যায়। কিছুক্ষন হয়ে গেছে আসে না।
একটু পর দেখলাম অনেককিছু নিয়ে এসেছে।
প্লেট বাটি আরো।কত কি।
কাজের বুয়াওতো কখনো বের করেনি। কারন আমি কখনো তাকে দিয়ে বের করাইনি। আমি বলে দিয়েছিলাম সে শুধু পরিষ্কার করে চলে যাবে।
কারন ইচ্ছেই ছিলো না গুছানোর। কিন্তু এখন মাহিকে দেখে মনে হচ্ছে গুছানো দরকার ছিলো।
আমিতো শুধু দুইটা প্লেট দিয়েই খেয়ে নিতাম৷ কারন খাবার দেখা যেতো বাহির থেকেই আনা হতো।

মাহি এসে প্লেট রেখে খাবার বেরে দিচ্ছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।

মাহিঃ কতদিন হলো আপনি এই বাড়িতে।
আমিঃ ৬ মাস হলো প্রায়।
মাহিঃ তার মানে,,,,,
আমিঃ কি?
মাহিঃ কিছুনা। বলেছিলেন কাজের বুয়া আছে। তাকে দিয়ে কিচেন গুছিয়ে নিলেই পারতেন। খুযেই পাচ্ছিলাম না কিছু। একটু পর কয়েকটা বড় পেকেট পেলাম।সেখানেই পেলাম।
আমিঃ কিনেছিলাম যদি কখনো লাগে। বাট কাজের পর বাসায় এসে কাজ করতে ভালো লাগে না। আর কি দরকার। কে আসবে৷

মাহিঃ তাহলে কিনেছেন কেনো? লাগবেই না যখন।
আমিঃ আসলে কি যেনো ভেবে। ভেবেছিলাম যে বাড়িতে সব থেকে থাকা দরকার। তাই একটা যায়গা থেকে অর্ডার করি। যেখানে কি কি থাকে ভালো করে জানিও না। শুধু জানি কিচেনে যা যা লাগে তা দিয়ে সিয়েছে ওই পেকেট গুলোতে।

কথা বলতে বলতে মাহি খাবার পরিবেশন করে ফেলেছে। কয়েক ধরনের খাবার।
মাহিঃ আপনি খেয়ে নিন। আমি একটু আসছি বাহিরে যাবো।
আমিঃ কেনো?
মাহিঃ কাজ আছে৷ এসে যেনো দেখি খাওয়া শেষ।

এর পর বাহিরে চলে গেলো মাহি। আর আমি খাবারের দিকে তাকিয়ে দেখি খাবার গুলো দেখতে খুব সুন্দর। আর খাবারের গ্রান বলছে খাবার খুব ভালো হবে।

এর পর খাবার গুলো খাওয়া শুরু করলাম। খাবার গুলো মুখে দিয়ে মনে হচ্ছে একদম পাকা রাধুনি খুব যত্ন নিয়ে খাবার গুলো রান্না করেছে। খুব ভালো হয়েছে। আমারযে শরীর খারাপ মনেই নেই। খাবার খাচ্ছি। একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি।
খাবার শেষে বসলাম।
দেখলাম মাহি হাতে অনেকগুলো বেগ দিয়ে এলো। তার পর কিচেনে গেলো।

এইদিকে আমার শরীর যে খারাপ তা অনেকটা ভালো লাগছে।
মাহি কিচেনে ব্যগ রেখে আমার হাতে দুটো ঔষধ দিয়ে বলছে বাহিরে না খাওয়ার ট্রাই করবেন। নিজে দরকার হলে যাই পারেন খাবেন। বাহিরে খেতে খেতেই হয়তো এমন হয়েছে।

আমিঃ জ্বর অনেকটা কমে গেছে মনে হয়। আর খাবার গুলো খুব ভালো হয়েছে। আমিতো মনে হয় বেশি খেয়ে ফেলেছি। আপনি খেয়ে নিন।
মাহিঃ না।ওইগুলা আপনার জন্যই। আর বেশি করেই ইনেছি রাতে খাবেন।

আমিঃ ওইগুলা কি?
মাহিঃ কিছুনা। আপনি বসুন সোফায়। আমার ঘন্টা খানিক সময় দিন।
আমি আর কি বলবো বসলাম সোফায়। ভাবছি করছেটাকি ওইখানে।
একটু পর খাবার ঘ্রান আসছে। আমি কিচেনে গিয়ে দেখি।
রান্না করছে।
আর কিচেনের মালা মালের সব কিছুই পেকেট থেকে বের করা।
ও একদিক দিয়ে ধুয়ে সাজিয়ে দিয়েছে। আরেকসিক দিয়ে রান্নাও হচ্ছে।

আমিতো শুধু ভাবছি ছোট থেকে কি ওর মা ওকে এইয়ে সব করায় নাকি। কার কপালে যেনো আছে। আমারটায় ছিলো আমিতো নিজ হাতেই হারিয়ে ফেললাম।
সাথে সাথে নিজেকে বকা দিচ্ছি। আবার এইসব ভাবনা। মনটাকে বলছি ভালো হয়ে যা।

আমিঃ আপনিতো আমার কিনেচের নকসা পালটে দিয়েছেন।
মাহি পিছন ফিরে আমার দিকে তাকায়। আর বলে- আপনি বিশ্রাম নিন।
আমিঃ না না আমার এখন অনেকটা ভালো লাগছে।
আমি একটু দূরে একটা টুল নিয়ে বসলাম।

আমিঃ কিসের রান্না এইগুলা?
মাহিঃ আমি রান্না গুলো ফ্রিযে রেখে যাবো। সময় মত খেয়ে নিবেন। আভেনে হালকা গরম করলেই হবে।
৩ দিন যাবে খাবার। এর বেশি নয়। ওই খাবার গুলোই দিচ্ছি যা ভালো হবে শরীরের জন্য আর টিকবেও কিছুদিন।

আমিঃ আপনিতো খুব ভালো রান্না করেন। অন্য যায়গায় দেখি মেয়েরা পড়ালেখা করার সময় প্রায়ই কিচেনে পা রাখে না।

মাহিঃ আমার ছোট থেকেই রান্না করে খাওয়াতো ভালো লাগতো। ছোট বেলায়তো কতবার রান্না ঘরে নিজ থেকে কি থেকে রান্না করে ফেলতাম। আম্মুর থেকে এডভাইস নিতাম। পরে ভুলে গেলেও আম্মু বলতো ট্রাই করতে করতে হবে।
তার পর এই এখন মোটামুটি ভালো রান্না করি। আম্মুর সামনে কিছুই না।

আমিঃ আরে সত্যি। আপনি অনেক ভালো রান্না করেন। যে আপনার রান্না খাবে সে খুবই খুশি হবে।
মাহি কিছু বললোনা।

আমার হঠাৎ মাথায় আসলো-
আমিঃ আচ্ছা আপনি আমার বাড়ি চিনলেন কিভাবে?
মাহিঃ আসলে সকালে ফাইল নিয়ে আপনার কেবিনে যাই। কিন্তু আপনি নেই।
পরে যখন ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলাম তখন বললো আপনার অবস্থা। আমি অনেকবার বলে ছুটি নিয়ে বাসায় যাই। আর অফিসথেকে আসার আগে আপনার এড্ড্রেস নিয়ে আসি। জানতাম আপনি একা। নাহলে হয়তো চিন্তার কিছুই ছিলো না।

(এইযে কথাটা শুনে আমি নিজেই নিজের মনকে বলছি কিছু বলবিনা।
মন যেনো বলছে তুইতো নিজেই চিন্তা শুরু করে দিয়েছিস৷)

আমিঃ হুম ( মনেতো শুধু কথাটাই ঘুরছে আমার জন্য চিন্তা করে) আরো কত কি।

এর পর মাহি যখন কিচেন গুছালো আমিতো অবাক। এইটা কার কিচেন। সব পরিষ্কার করে এত সুন্দর করে রাখা।

আমি কিচেনের দিকে তাকিয়ে আছি।
মাহি রান্না শেষ করে আমার দিকে আসে৷ আমার তাকিয়ে থাকা দেখে জিজ্ঞেস করে কি দেখছেন?
আমিঃ এইটা কার কিচেন?
আমিঃ কেনো খারাপ লাগছে। আপনি বলুন আমি পালটে দিচ্ছি।
আমিঃ আরে না। মানে এত সুন্দর করে আছে যে কি বলবো। এতদিন একভাবে দেখে এখন গুছানো দেখে লাগছে অন্যের বাড়িতে ঢুকে গেছি।

মাহিঃ আমি আমার মত করে রেখেছি। আপনি প্লিজ যদি বদলানো লাগে তো পালটে নিবেন।
আমিঃ আরে না না।

এর পর মাহির দিকে তাকালাম।
মনটা আবার বলছে। ইস যদি বিয়েটা হতো তো এখন এইখানে ওকে প্রতিদিন দেখতাম। একজন প্রকৃত গৃহিণী লাগছে।

আমি নিজেকেই বলছি। এই মন চুপ থাক। ও শুনে ফেললে সমস্যা হবে।

এর পর মাহি আমাকে সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়।
আমি বিছানাউ শুয়ে পরি।
কতদিন পর এভাবে পেট ভরে খেলাম।
অনেক ভালো ঘুম হবে।

ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত হয়ে গেছে।
শরীরে জ্বর ছিলো বুঝাই যাচ্ছে না।

এর পর কিছুক্ষন শুয়ে ছিলাম। ফোনটা বাজতেই দেখি ছোট ভাইটা ফোন দিয়েছে।

আমিঃ কিরে রুহাব। ভুলেই গেলি নাকি বউ পেয়ে।
রুহাবঃআরে না ভাইয়া। কালকে আসছি আমি আর আমার বউ। বাড়িতে বলেছি ঘুড়তে যাবো। বউ পাগল করে দিচ্ছে তোমার সাথে দেখা করবে।
আমিঃ ও তাই তাহলেতো ভালোই। আয় তাহলে। এমনিতেও শরীর আজকে খারাপ ছিলো।এখন ঠিক আছি।তো কালকেও না গেলে প্রবলেম হবে না।
রুহাবঃ ভাইয়া ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো?
আমিঃ আরে। এখন সম্পূর্ণ ঠিক।

এর পর সকালে হাত মুখ ধুতেই দেখি ওরা হাজির।
আমি ওদের রুমে এসে বসালাম
রুহাবের বউ এর নাম রিয়া। বয়স বেশি নয়।
আমাকে সালাম দেয়।
আমিঃ কেমন আছো রিয়া?
রিয়াঃ ভালো। আপনার নাকি শরীর খারাপ ছিলো?
আমিঃ হুয়।এখন সম্পুর্ন ঠিক আছি।

এর পর বসে পরি আমিও।
আমিঃ তোরা নাস্তা করেছিস?
রুহাবঃ ভাইয়া বলো না। সকালে আর খেতে দিলেতো। টেনে নিয়ে এসেছে।

আমি হাসছি কারন মা বাবা রাগের মাথায় দুইটা বাচ্চাকে বিয়ে দিয়ে দিলো। রুহাব খুব আদরে বড় তাই ছোটদের মত এখনো। আর রিয়াতো এমনি ছোট।

রিয়াঃ আমিতো আপনার সাথে দেখা করার কথা বলছি। আর এই ভিতুটা নিয়েও আসে না।
রুহাবঃ ভাইয়া কিভাবে আনবো বলো। মা জানলে আমাকে আস্তো রাখবেনা।

আমি এদের কান্ড দেখে হাসছি। যাক ওরা ভালো আছে। এটাই বড় কথা।
আমিঃ রিয়া তোমার কোনো দরকার হলে আমাকে ফোন দিও আমি হ্যাল্প করবো।

রিয়াঃ আচ্ছা।
আমি রুহাবের সাথে কথা বলছি আর রিয়া ঘুরতে ঘর দেখছে। কিচেনে গিয়ে আবার দৌড়ে আসে।
রিয়াঃ ভাইয়া আপনার বাড়িতে কাজের বুয়া আছে?
আমিঃ হ্যা শুধু ধোয়ার জন্য।
রিয়াঃ কিচেনকি তাহলে আপনি সাজিয়েছেন? খুব সুন্দর লাগছে।
আমি হাসছি।
আমিঃ না।
এর পর ওদের বসিয়ে মাহির খাবার গুলো সুন্দর করে গরম করে দেই।
ওরা খাবার দেখে জিজ্ঞেস করে-
রুহাবঃ ভাইয়া তুইকি রান্না করেছিস নাকি?
আমিঃ না। খেয়ে দেখ।

ওরা খেয়েতো আমার দিকে তাকিয়ে আছি।
রুহাবঃ ভাইয়া? কিছু লুকাচ্ছিস।
রিয়াঃ হ্যা ভাইয়া আমরা বুঝতে পারছি।

আমিঃ কি বুঝতে পারছিস?
রিয়াঃ আপনি আমাদের না বলেই নতুন গার্লফ্রেন্ড বানিয়েছেন। সেই কিচেন সাজিয়েছে। আর রান্নাও করেছে।

মন এই কথা শুনে বলছে এই দেখ তোর ভাইয়া আর ওর বউও বুঝে এইসবের মানে।
আমি এই চুপ চুপ। মনটাকে মাঝে মাঝে পিটাতে মন চায়।

আমিঃ আরে না না। সে এক কলিগ।আমার অফিসে কাজ করে।
রুহাবঃ ভালোই ভাইয়া এমন একজন পেয়েছিস। বাড়িও সাজাবে। অফিসের কাজও দেখবে।

আমিঃআরে সত্যি ওমন কিছু না। এমনি শরীর খারাপ ছিলো বলে।
রিয়াঃভাইয়া দেখেছেন কতটা কেয়ার করে।
রুহাবঃ হ্যা ভাইয়া। বুরো হয়ে যাবে জলদি বিয়েটা করে ফেলো।

আমিঃ চুপ কর বাদর গুলো।
এর পর ওদের খাইয়ে মাহির কথা বলি। এবং এইযে এখন কিভাবে ওর সাথে কথা হয়। তাও বলি।

রিয়া অনেক্ষন চুপ থেকে বলে- ভাইয়া একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
আমিঃ হ্যা করো।
রিয়াঃ ভাইয়া আপনি কি তাকে পছন্দ করেন? মানে বুঝেনতো কি বলতেছি।

আমি এই প্রশ্নটা কখনো নিজেকে করিনি। আসলেইকি পছন্দ করি। কারন ওর প্রতি সেই যখন ছবিটা দেখেছিলাম তখন থেকে একটা অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে।

আমি কি বলবো রিয়াকে।
রিয়াঃ ভাইয়া বলেন? দেখেন যদি করেন তো আমরাই হ্যাল্প করবো আপনাকে।

আমিঃ আরে না না। ( মন বলছে হ্যা বল হ্যা বল)

এর পর ওদের সাথে কথা বলে বিকেলে বাড়িতে গেলো।
রাতে ভাইটা ফোনটা দিলো।
আমিঃ কিরে এখন কল দিলি?
রুহাবঃ ভাইয়া আম্মু জানি কিভাবে বুঝে গেছে।
আমিঃ কিভাবে বুঝলি?
রুহাবঃ বাড়িতে যেতেই আম্মু জিজ্ঞেস করেন কই গেছিলি?
রুহাবঃ ঘুরতে।
পরে যখন রুমে যাবো।
আম্মুঃ কেমন আছে ওয়?
রুহাবঃ কে মা?
আম্মুঃ যার বাড়ি থেকে আসলি?
রুহাবঃ ভাইয়া তখন বুঝলাম আম্মু জানে।
আমিঃ মা তো তাই জানে।

রুহাবঃ ভাইয়া বাসায় আসলে হয়না। বাবা মা খুব চিন্তা করে তোমায় নিয়ে।
হয়তো বলে না।

আমিঃ তোরকি মনে হয় আমি ইচ্ছে করে আছি? তুই বল আমার ভুল কি ছিলো?
রুহাবঃ ভাইয়া কিন্তু তাই বলে,,,,
আমিঃ শোন এইসব নিয়ে ভাবিসনা।
এর পর কিছুক্ষন কথা বলে রেখে দিলাম।

ভাবছি বাবা মা এমন না করলে হয়তো এখন সত্যি সব ঠিক থাকতো।আমার সাথে মাহির বিয়ে টাও সুন্দর করেই হয়ে যেতো। থাক সেইটা না ভাবি। কারন যা কখনো হয়নি তা নিয়ে আর ভেবে কি লাভ। বদলাবেনা কিছুই।

ভাবতে ভাবতে চোখের পাতা লেগে যায়।
সকালে রেডি হয়ে অফিস যাই৷ অনেক কাজ ফেলে রেখে বাড়িতে আছি।

অফিসে যেতেই সবাই এসে আমাকে জিজ্ঞেস করছে আমার অবস্থা। সবার ভিরে একজন শুধু দূরে বসে আছে। সে হলো মাহি।

আমি সবার সাথে কথা বলে রুমে যাই। ফাইল গুলো।নিয়ে কাজে মন দেই।
প্রায় ২ ঘন্টা পর মাহি আসে। কিন্তু কেমন আছি জিজ্ঞেস না করে অফিসের কাজ নিয়েই কথা বলছে।
পরে যাওয়ার সময় একটু থেকে-
মাহিঃ স্যার জ্বর কমেছে?
আমিঃ হ্যা। আর আপনার খাবার গুলা আমার ছোট ভাই আর ওর বউ এর খুব ভালো লেগেছে।ওরা আপনাকে ধন্যবাদ দিতে বলেছে।

মাহি হুম বলে চলে যায়।
,
,
To be continue…
,
,
,
#লেখকঃইমাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here