#শিশির_বিন্দু❤️
লামিয়া সুলতানা সিলভী ( লেখনীতে)
পর্বঃ৬
Yeh Raaten Yeh Mausam
Nadee Ka Kinara,
Ya Chanchal Hawaa…
Yeh Raaten Yeh Mausam
Nadee Ka Kinara,
Ya Chanchal Hawaa,,
Kaha Do Dilon Ne
Ki Mil kar Kabhi Hum
Na Honge Juda…
Yeh Raaten Yeh Mausam
Nadee Ka Kinara,
Ya Chanchal Hawaa…
Ye Kya Baat Hai,
Aaj Ki Chaandani Mein…
Ye Kya Baat Hai
Aaj Ki Chaandani Mein,
Kee Hum Kho Gaye
Pyaar Ki Raagini Mein,
Ye Baahon Mein Baahen
Ye Bahaki Nigaahen
Lo Aane Laga Zindagi Ka Maza,,,
Yeh Raaten Yeh Mausam
Nadee Ka Kinara,
Ya Chanchal Hawaa…
Sitaaron Ki Mahafil
Ne Kar Ke Ishaara…
Sitaaron Ki Mahafil
Ne Kar Ke Ishaara
Kaha Ab To Saara
Jahaan Hai Humharaa
Muhabbat Javahan Ho
Khula Aasamaan Ho
Kare Koi Dil Aarazu Aur Kya..
Yeh Raaten Yeh Mausam
Nadee Ka Kinara, Ya Chanchal Hawaa…
Kaha Do Dilon Ne
Ki Mil kar Kabhi Hum
Na Honge Juda…
পুষ্পা তার সুমধুর কন্ঠে গানটি গেলো আর সাথে সাথে সবার করতালি,, অসম্ভব সুন্দর পুষ্পার গানের গলা! অনেকের ভাষ্যমতে, সে গায়িকা হলে এতোদিনে অনেক নাম করতে পারতো! কিন্তু আপসোস মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের যে সব সপ্ন দেখতে নেই! তাদের খুব সাধারণ ভাবেই জীবন- যাপন করতে হয়! বাঁচার অবলম্বন হিসেবে নিজেরে ক্যারিয়ার ফোকাস করতে হয়,,এর বাহিরে সবকিছুই অযাচিত বলে মনে হয়! কিছু কিছু মানুষের ভাগ্যে সেটুকুও জোটে না, মাঝপথেই হাল ছেড়ে দিতে হয়! নিজের সপ্ন ধুলিসাধ করে “জীবনমুখী” নামক যুদ্ধে নামতে হয়,,কেও জিতেও যায় আবার কেও হেরেও যায়! তবুও সপ্ন দেখতে হয়,,আমি নিজেই যদি সপ্ন না দেখি তাহলে গন্ত্যবে পৌঁছাবো কিভাবে?নিত্যদিনের প্রয়োজনটুকু এর বাহিরে বেশি কিছু আশা করলেই সেটা অবাস্তব বলে মনে হয়! তবে মানুষ বলে না,,,”সপ্ন আছে বলেই এখনো সপ্ন দেখি”! তাই নিজের ব্যার্থতা কে প্রশ্রয় না দিয়ে সামনে দিকে এগোনো বুদ্ধিমানের কাজ! আমিই যদি হাল ছেড়ে দেই জীবন তো আমাকে মাঝ সমুদ্রে ফেলবেই! চাইলেই কেও বিল গেটস হতে পারবে না তার অবস্থানে পৌঁছাতে নিজেকে এক ধাপ এক ধাপ করে এগিয়ে নিতে হবে! সপ্ন দেখা শিখতে হবে, সপ্ন সম্পর্কে জানতে হবে, হাল ছাড়ালে চলবে না! হয়তো এই সপ্নই একদিন তোমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে!..
“তুমি নিজে না চাইলে তোমাকে কেও তোমার সপ্নের পথ থেকে সরাতে পারবে না!”
_______টম বাডিলি
সিফাত গিটারের “সাউন্ড হোল” এ হাত রেখেই এতোক্ষণ মুগ্ধ হয়ে তার পাশে বসা মেয়েটির গান মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো! এই প্রথম মেয়েটিকে সে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো,, চাচার বাড়ি সে আগেও বহুবার এসেছে, মেয়েটিকেও অনেক দেখেছে তবে সেভাবে কখনো তাকায়নি,,আজ প্রথম ভালোভাবে দেখলো পুষ্পাকে! শ্যামলা বর্ণের মেয়েটির মুখ সিন্ধতায় ভরপুর,, জোসনার আলোয় তার মায়াবি মুখশ্রী স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে!..
রুদ্রা কাচের বোতলটি আবার ঘুরালো! তবে এবার গেলো তিয়াশের দিকে,,তাকে ‘ট্রুথ ডেয়ার’ চুজ করতে বললে সে ট্রুথ নেয়! রুশা উৎসাহিত কন্ঠে তিয়াশ কে জিজ্ঞেস করে তার গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা? তিয়াশ রুশার এমন প্রশ্নে হঁচকিয়ে উঠে,, একবার ওর ভাই মানে শিশিরের দিকে তাকায় আবার ইশার দিকে তাকায় তারপর রুশার দিকে তাকিয়ে নিরালস্য ভংগিতে বলে,,,
তিয়াশঃ না,,,
ইশা নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো এতোক্ষণ,, তবে তিয়াশের না শুনে মুখটা একবার ওপরে তোলে! ও এটা ভাবেনি যে তিয়াশ এভাবে ডিরেক্ট না করবে,,বলতে তো পারতো ভালোবাসার মানুষ নেই তবে পছন্দের একজন আছে! তিয়াশের দিকে তাকিয়ে মুখটা হালকা বেঁকিয়ে শিশিরের দিকে তাকায় আর বোঝে কেনো তিয়াশ এভাবে না করলো! আবার অসহায় ভংগিতে তিয়াশের দিকে তাকায়,,আর দেখে তিয়াশও ইশার দিকেই তাকিয়ে আছে এবার লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাঁকায়! আবার মুখ তুলে তিয়াশের দিকে একবার তাকায়,,তিয়াশও ওর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচাচ্ছে ইশার এবার সত্যিই লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করলো,, মনে হলো মাটি টা দু’ভাগ করে ভেরতে লুকিয়ে পড়ি! ওর এমন কান্ড দেখে তিয়াশ এবার সত্যিই হেসে ফেললো তবে নিস্তব্ধে!..
এই দুজন মানবীর লুকোচুরি প্রেম আর কেও ধরতে না পারলেও একজনের চোখ এড়ালো না আর সে হচ্ছে অজান্তা! যতই হোক বান্ধুবি বলে কথা,, কিভাবে যেনো এই বান্ধুবি নামক বস্তুরা থুক্কু ব্যাক্তিরা মনের সব কথা বুঝে যায়! কারণ আমরা জীবনে বেশিরভাগ সময় এই বন্ধু-বান্ধব নামক ব্যাক্তিদের সাথেই বেশী পার করি! তাদের সাথে আমরা সহজেই মিশে যাই,, আপন করে নেই,, সব কিছু শেয়ার করি যতটা বাবা- মাকেও করা হয় না! গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ! না বলতেই এরা মনের সব কথা পড়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে!..
অজান্তা যেহেতু ইশার পাশেই ছিলো তাই হালকা ধাক্কা দিয়ে কানের কাছে গিয়ে,,
অজান্তাঃ কাহিনী কি বলতো? ( গ্রিল খাচ্ছিলো)
ইশাঃ কি আবার কাহিনী হবে?( না বুঝে)
অজান্তাঃ কাহিনী তো অবশ্যই আছে,,তোর আর ওই ভাইয়াটার মাঝে কি আছে বলতো,,বল,, বলনা,, তাড়াতাড়ি বল!..
ইশাঃ আরে না,, কি ভুলভাল বলছিস ও আমার কাজিন শিশির ভাইয়ার ছোট ভাই!..
অজান্তাঃ সেটা তো আমিও জানি কিন্তু এর বাহি..
তখনি নিশান্ত বলে ওঠে,,,
নিশান্তঃ ছোট বেয়াইন ( চিকেন ললিপপ মুখে দিয়ে)
সবার নযর এখন নিশান্তর দিকে,,,
নিশান্তঃ আপনার কি কোন বাঁশঝাড় আছে?( চিন্তার ভংগিতে)
ইশা সহ সবাই নিশান্তের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাঁকায় ওর এমন প্রশ্নে,,
ইশাঃ মানে?( চিকেন তাতন্দুরি খাচ্ছিলো)
নিশান্তঃ ( দাত বের করে) আরে,, না,, ওইযে এখনকার ছেলে-মেয়েদের থাকে না বিএফ টিএফ! মানে যাকে আপনারা প্যারা, বাঁশ এসব বলেই সম্বোধন করেন! আমাদের সময় বাবা এসব ছিলোও না,, সে যাকগে এখনকার মেয়েদের তো আবার একটা বাশ থাকে না অনেকগুলো থাকে এইজন্যই বললাম বাঁশঝাড় আছে নাকি!..
নিশান্তের এমন যুক্তিতে সবাই কিছুক্ষন বরফের মতো জমে যায় তারপর অট্ট হাসির রোল পড়ে! কিন্তু হাসি নেই শুধু তিয়াশ আর ইশার মুখে! তিয়াশ তাও মেকি হাসি দেয় এমন পরিস্থিতি তে যেখানে সবাই হাসছে সেখানে ও না হাসলে কেমন দেখায়! কিন্তু ইশা? ইশা তো কিছু না বলে সবার দিকে অসহায় ভংগিতে তাকিয়ে আছে! নিশান্তই আবার বলে উঠে,,,
নিশান্তঃ মামা,,বেয়াইন তো বাচ্চা, এখনো কিছুই বোঝনা,,বোঝার বয়সও হয় নাই! (সিফাতের দিক তাকিয়ে)
বিন্দু শিশিরের দিকে তাকিয়ে দেখে কিছুটা রেগে ভ্রু কুঁচকে নিশান্তের দিকে তাকিয়ে আছে,, নতুন জামাই কিছু বলতেও পারছে না আবার বোনের এমন অপমান সহ্যও করতে পারছে!..
বিন্দুঃ নিশান্ত অনেক্ষন হলো তোর ফাইযলামি শুনছি,,এখানে বড় বোন,,বোনের জামাইরা আছে ভেবে চিনতে কথা বল! এসব বন্ধ কর নাইলে কিন্তু আমি ওঠে যাবো! ( ঝাঁঝালো কন্ঠে)
নিশান্তঃ আরে বিন্দু আপু তুমি রেগে যাচ্ছো কেনো? আমার বেয়াইন লাগে বলেই তো,,,আচ্ছা যাও তোমার ননদকে আর ডিস্টার্ব করবো না! ( ইশার দিকে তাকিয়ে) আপনে তো দেখছি রসিকতাও বোঝেন না বেয়াইন! একদম নিরামিষ,,তাইতো আপুর কাছে বকা খাইলাম! ( মন খারাপের মতো অভিনয় করে)
তৃষা ফিক করে হেসে ফেলে,,
তৃষাঃ সিরিয়াসলি ইশু,,তুই নিরামিষ?? দাঁড়া একটু হাসি থামিয়ে নেই,,তোর মতো প্যাক প্যাক করা হাঁস আর কয়টা আছে দুনিয়ায়? হা হা হা,,,( বিফ কাবাব খাচ্ছিলো)
ইশাঃ তুমি আমার শত্রু,,তোমার সাথে কথা নাই,,যাও!..( গাল ফুলিয়ে)
ইন্দুঃ আচ্ছা এবার কার পালা,,রাফান নাকি পিও এর?(পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বলে,,কোল্ড ড্রিংকের গ্লাস হাতে নিয়ে)
রাফানঃ ইন্দু আন্টি আমার,,( চিকেন ললিটা মুখে দিয়ে)
বলেই রাফান বোটল ঘুরায়,,আর ঘুরতে ঘুরতে যায় সিফাতের কাছে যায়,,সিফাত ততক্ষণে গিটারের সুর তুলছিলো..
মূলত সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাতের খোলা আকাশের নিচে পাটি বিছিয়ে “ট্রুথ-ডেয়ার” খেলছে আর গ্রিল, চিকেন ফ্রাই,চিকেন ললিপপ, তান্দুরি, শিক কাবাব, কোল্ড ড্রিংকস এগুলো খাচ্ছে,,আর সাথে তাদের আড্ডা চলছে! সিফাতের হাতে ছিলো কালো কালারের একটা গিটার,, এটা ওলওয়েজ ওর সাথেই সাথে থাকে! ওর ওপরে ভার পড়েছে সবার গানের সাথে মিলিয়ে গিটার বাজানো!..
এই শহরে রাতের আকাশ ভীষণ মায়াময়,শত মনের অপ্রকাশ্য কথা দীর্ঘশ্বাসই হয়,,চারপাশের পরিবেশ কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ ছিলো! সবার মাঝেই নিরাবতা ভেংগে সিফাত ধরলো এক গান,,যাতে নাচতে হবে নিশান্ত আর ইশাকে! এটা অবশ্য অজান্তাই বলেছিলো,,সিফাত ডেয়ার নেওয়ার সাথে সাথে অজান্তা এমন উদ্ভট আবদার করে বসে! ইশা চরম বিরক্ত হয় অজান্তার ওপর কিন্তু অজান্তার বেশ আনন্দ লাগছে আজকেই তার বান্ধুবির মনের কথা বের করবে!,,,
Na Chain Se Jeene Degi,
Na Chain Se Marne Degi…(2)
Haan Chalo Le Chalein Tumhein,
Taaron Ke Shehar Mein,
Dharti Pe Ye Duniya,
Humein Pyaar Na Karne Degi…(2)
*MUSIC…
সিফাত গিটার বাজিয়ে গান গাচ্ছে আর মেয়ের ভয়েজে গাচ্ছে পুষ্পা,, এদিকে সবার দৃষ্টি নিশান্ত-ইশার দিকে! ইশা বারবার সরে যাচ্ছিলো কিন্তু নিশান্ত এমন শক্ত করে ধরে রেখেছে ও ছুটে যেতে পারছে না আবার কিছুও বলতেও পারছে না সবার সামনে! অসহায়ের মতো তিয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে,,ইশা জানে আজকেই হয়তো ওর এই পৃথিবীতে শেষ দিন! তিয়াশের চোখ পুরো লাল হয়ে গেছে,,চোখের পলক ফেলছে না,, দাতে দাত চেপে এক ধ্যানে ইশার দিকে তাকিয়ে আছে! তিয়াশের যে পরিমাণ রাগ ও ইশাকে কারোর সাথে কথা বলতে পর্যন্ত দেয় না আর সেখানে কিনা অন্য একটা ছেলের সাথে কাপল ড্যান্স করছে এইটা মেনে নিতেই ওর রাগ ধমনী ভেদ করে শিরা-উপশিরায় থেকে সর্বাঙ্গে রি রি করে যাচ্ছে,, রাগে ওর পুরো শরীর কাঁপছে!..
Jo Tum Na Meri Baahon Mein,
Main To So Nahi Sakta,
Khuda Ne Tujhko Diya Mujhe,
Tujhe Main Kho Nahi Sakta..
Main Marjaunga Agar Kabhi,
Kehna Pad Gaya Ye Sanam,
Main Tera Hi Hoon Magar,
Tera Ho Nahi Sakta..
Humein Mar Hi Na Dale,
Buri Nazar Ye Logon Ki,
Ye Haath Chhudayenge Ge
Na Haath Pakadne Degi..
Haan Chalo Le Chalein Tumhein,
Taaron Ke Shehar Mein,
Dharti Pe Ye Duniya,
Humein Pyaar Na Karne Degi…(2)
নাচ শেষ হতেই ইশা যেনো হাপ ছেড়ে বাঁচলো! ইশা ওর আগের জায়গাতেই বসে পড়ে,, এমন হয়রানীর কোন মানে হয় অজান্তার? সে তো আর জানে না তার এই অদ্ভুত চাওয়াটা তার বান্ধুবিকে এক মুহুর্তে শেষ করে দিতেও দ্বিধাবোধ করবে না তার যমরাজ! আর এদিকে,, অজান্তার যা বোঝা সেটা সে এই দুই মানবীর নিশ্চুপ চাহনীতেই বুঝে গেছে,, ইশা পাশে বসেই অজান্তা কে কয়েকটা কিল দেয়! আর কানে ফিসফিস করে বলে,,,
ইশাঃ এই চুন্নি,, তোর কোন আইডিয়া আছে? তোর এই অদ্ভুত চাওয়া আমার জীবনে শনী ডেকে আনবে? কালকেই আমার এই শহর থেকে পালাতে হবে বুঝলি নাহলে আমার লাশ পড়বে!..
অজান্তাঃ “বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান” আমি কালকে থেকে তোমায় সুন্দর করে জিজ্ঞেস করছিলাম তুমি তো আমায় বললে না! তাই আমি আমার পদ্ধতি প্রয়োগ করে তোমার প্রণয় ধরে ফেলেছি!..
ইশাঃ মানে,,
ইশা আনমনে ‘মানে’ বলেই তিয়াশের দিকে তাকায়,,,এ কি তিয়াশ তো এখনো সেইম ভাবে ইশার দিকে চোখ-মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে! ইশার এবার প্রাণপাখিটা চলেই গেলো! শুখনো ঢোক গিলে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,,
পালাক্রমে তিন পিচ্চি মানে– রুদ্রা,রাফান আর পিও কাচের বোতল ঘুরায়! এবার পিও এর পালা,, পিও ঘুরাতেই বোতলের মুখ পড়ে বিন্দুর দিকে আর বিন্দু ট্রুথ নেয়,,,
তৃষাঃ ভাবী,,ভার্সিটি লাইফে তোমার কোন বিএফ ছিলো না??
বিন্দু মোটেও এমন প্রশ্নের জন্য তৈরী ছিলো না,, সে এখন কি বলবে? তার কি ছিলো বলবে নাকি ছিলোনা বলবে,, কিছু বুঝতে পারছে না! ছিলো বললে এখন সবাই বলবে– সে কে,,,কোথায় থাকে,,,ব্রেকয়াপ কেনো হলো,,ইত্যাদি ইত্যাদি এসব আজগুবি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে,,,আর যদি বলে ছিলো না তাহলে মিথ্যে বলা হবে! বিন্দু একবার শিশিরের দিকে তাকায় বাট দেখে শিশিরও যেনো অধীর আগ্রহে বসে আছে বিন্দুর এক্স কে তা জানার জন্য শিশিরের এমন ভাবলেশহীন ভাব দেখে বিন্দু জ্বলে ওঠে,,,
বিন্দুঃ ( তৃষার দিকে তাকিয়ে) আমি যখন ২য় বর্ষে উঠি তখনি আমার বিয়ে হয়ে যায়! আর আমার জীবনের বেশীরভাগ সময় কেটেছে পড়ালেখা নিয়ে তাই সবসময় এসব এড়িয়ে চলতাম আর যখন বুঝতে শুরু করি প্রেম ভালোবাসা কি তখনি আমার বিয়ে হয়ে যায়!..
তৃষাঃ ওহ,,,
শিশিরের বিন্দুর এমন উত্তর শুনে রেগে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সে রাগেনি! তার বদলে চাপা গলায় হাসি দেয়,,বিন্দুকে এমন হিমশিম খেতে দেখে!
রুদ্রার পালা এবার পড়ে,, রুদ্রা বোতল ঘুরালে বোতলের মুখ গিয়ে পড়ে নিশার দিকে,,,সে ডেয়ার চুজ করে আর তাকে নিশান্ত বলে নিচের থেকে সবার জন্য মিষ্ট চুরি করে আনতে তবে কেও যেনো টের না পার আর একাই এই অসাধ্য সাধন করতে হবে কারণ নিশার মতো ভয় পাওয়া মেয়ে খুব কম আছে এই দুনিয়ায় যে কিনা রুমের ভেতর ওয়াশরুমে গেলেও ওর মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে তারপর যাবে আর রাত ১২:২০ এ নাকি এই মেয়ে একা নিচে যাবে তাও মিষ্টি চুরি করতে এটা তার কাছে অসাধ্য সাধন করার মতোই কিছু!..
নিশাঃ দা’ভাই তুই সব-সময় আমার সাথে এমন কেনো করিস,,তুই জানিস না আমি ভয় পাই!( ইন্দুর গায়ের সাথে ঠেস মেরে বসে ছিলো গুটিশুটি হয়ে)
নিশান্তঃ এই অসভ্য মেয়ে,, তাইলে ভাব দেখিয়ে ডেয়ার নিতে গেলি কেনো! ট্রুথ নিলে তোর কি হতো?বেয়াদব,,,
নিশাঃ বড় আপি ( নখশা),,, মেঝো আপি ( বিন্দু) দেখনো কেমন করে দা’ভাই! একদম ফালতু ( গাল ফুলিয়ে)
নিশান্তঃ ওই কি বললি তুই? বেশি সাহস হইছে? থাপড়া সজা করে দিবো অসভ্য, বেয়াদপ মেয়ে!..
ইন্দুঃ আলে আমার বাচ্চাটা ( নিশাকে বুকে টেনে নিয়ে) নিশান্ত ভাইয়া,, এভাবে মেয়েটাকে কেনো বকো অলওয়েজ! আমি যাচ্ছি নিশার সাথে,,,চল নিশা আমরা মিষ্টি নিয়ে আসি!..
নিশান্তঃ তুই কেনো যাবি,,ও একাই যাবে,,আমাকে ফালতু বলার শাস্তি এটা,, তুই চুপচাপ বসে থাক!..
নকশাঃ নিশান্ত তুই সব-সময় শুধু ক্যাচাল বাজাস! তোর কি কখনো ভেজাল মুক্ত থাকতে ইচ্ছে করে না? ইন্দু তুই নিশা কে নিয়ে যা,,আর চুরি কেনো ছোট মা ( বিন্দুর মা) কে বলেই মিষ্টি নিয়ে আসবি!..
#চলবে…