শিশির বিন্দু পর্ব ১২

0
464

#শিশির_বিন্দু❤️
লামিয়া সুলতানা সিলভী ( লেখনীতে)
পর্বঃ১২

তিয়াশঃ আম্মু প্লিজ আর কেঁদোনা,, তুমি এই সময় এভাবে ভেঙে পড়লে আমাদের কে সামলাবে! দেখো, ভাবী আর রুদ্রার কি অবস্থা! ওদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না! ( ওর মায়ের কাছে দাঁড়িয়ে)

লায়লাঃ আল্লাহ কেনো এমন করলো রে বিন্দু? কি দোষ আমার ছেলেটার, বল! তোদের আব্বুও তো কাল রাতে বাড়ি ফেরেনি! থানার ওসিদের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাও যদি দেখা মেলে ছেলেটার!..( আঁচলে চোখ মুছে)

বিন্দুঃ কোন ক্লু ছাড়া আমরা কোথায় খুজবো, মা? আদৌ উনি ঢাকায় আছেন নাকি ঢাকার বাহিরে, কোথায় আছে, কি করছে কেও কিছুই জানিনা! উনার সাথে কার এতো শত্রুতা সেটাই তো বুঝলাম না!..

তিয়াশঃ ভাইয়া প্লিজ ফিরে আসোনা! কোথায় আছো তুমি, এভাবে না বলে কোথায় গেলে? আচ্ছা ভাবী, যদি কেও কিডনাপই করতো তাহলে তো মুক্তিপণ চাইতে অবশ্যই ফোন দিতো! কিন্তু না, কেও তো এখন পর্যন্ত ফোনই দিলো না! তারমানে কি ভাইয়া ইচ্ছে করে নিজেকে গা ঢাকা দিয়েছে?

লায়লাঃ চুপ কর তিয়াশ, আমার ছেলে মোটেও এতোটা বেখেয়ালি না! বউ-বাচ্চা রেখে কেনো লুকিয়ে থাকবে? অদ্ভুত!..

তিয়াশঃ আম্মু তুমি আমার কথাটা বুঝতে পারছো না! আমি বলিতে চাচ্ছি, ভাইয়াকে কোন অপরাধে কেও ফাঁসিয়ে দিয়েছে সে জন্য নিজেকে আত্নগোপন রাখতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে!..

বিন্দুঃ বুঝতে পারছি না, উনার এতো বড় শত্রু কে? তবে তিয়াশ তোমার কথাটাও ফেলে দেবার মতো নয়! হতেই পারে এমন, তোমার ভাইয়া নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে!

রুদ্রাঃ বাবাই ও বাবাই তুমি আমাকে আর ভাইকে ফেলে কোথায় গিয়েছো? প্লিজ ফিরে এসো বাবাই, তোমার জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার! ( চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে নিচে পড়ে)

লায়লা আহমেদ রুদ্রাকে ডেকে বুকের সাথে নিয়ে কাঁদতে থাকে!

লায়লাঃ আল্লাহ, এই ছোট বাচ্চার কথায় তুমি তার বাবাকে ফিরিয়ে দাও সুস্থভাবে! আমার ছেলের যেনো কোন ক্ষতি না হয়!..

তিয়াশঃ আমরা আছি তো রুদ্রা,, কিচ্ছু হবে না তোমার বাবাইয়ের দেখো! দাদু গিয়েছে তো তোমার বাবাই কে ফিরিয়ে আনতে সোনা! (মাথায় হাত রেখে)

আজ দু’দিন হলো শিশিরকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! সেদিন ফাইভ স্টার হোটেলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিন্দুকে বলে গিয়েছিলো ফিরতে রাত হবে! তাই আর বিন্দু চিন্তা করেনি, কিন্তু রাত ১১:০০ টা থেকে ১২:০০ টা বাজতেও যখন শিশির ফিরলো না তখন বিন্দুর ভয়ে অবস্থা খারাপ! সে বিকেল থেকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বারবার সুইচ অফ দেখাচ্ছে! বিন্দু ভেবেছিলো কাজের জন্য হয়তো অফ করে রেখেছে কিন্তু সময় যত প্রবাহ হচ্ছে বিন্দুর মনে ততো ভীতি কাজ করছে! রাত ৯ টার দিকে বিন্দু রুহানের নাম্বার অনেক কষ্টে খুঁজে বের করে শিশিরের ডায়েরী থেকে! কখনো কোন প্রয়োজন পড়েনি তাই বিন্দু রুহানের নাম্বার রাখেনি তবে, কে জানতো আজ এমন একটা বিপদ হবে! তবে, রুহানের নাম্বারে কল দিয়েও সে নিরাশ হয়! রুহান জানিয়েছে বিকাল ৫:০০ টা তেই ওদের মিটিং শেষ হয়, আর শিশিরও বাসার উদ্দেশ্যে রোওনা দেয়, তারপর আর কিছু জানে না! বিন্দু তখনি রুহানকে বলে থানায় একটা ডায়েরি করে আসতে! আর এদিকে বিন্দু ওর শ্বশুর বাড়িতেও খবর পাঠায়! ওই রাতেই তিয়াশ আর ওর আম্মু-আব্বু রোওনা দেয় ঢাকার উউদ্দেশ্যে! রুহান আসতে চেয়েছিলো কিন্তু বিন্দু না করে দেয়,, একা একটা মেয়ে বাসায় একা আছে ছোট দুটো বাচ্চা নিয়ে! কার মনে কি আছে কেও বলতে পারে না! দিন হলে নয় আসতে বলতো, কিন্তু এখন রাত ১২ টা বাজে! আর রুহানকে বিন্দু ভালোভাবে চেনেও না,, তাই আসতে না করে! তবে রুহানের এই দু’দিনের কাজে বুঝে গেছে ছেলেটা সত্যিই অনেক ভালো! এই দু’দিন শিশিরের অবর্তমানে সব কাজ একা হাতে সামলিয়েছে অফিসের এমনকি বাড়িরও,, আর শিশির কে খুঁজতে শিশির আব্বুর সাথেও ঘুরছে বিভিন্ন জায়গায়! আর বাড়িতে সবাইকে সামলাচ্ছে তিয়াশ! আজকে বিন্দুর বাপের বাড়ির লোকও আসছে! মেয়ের জামাইয়ের এমন অবস্থায় কোন বাবা-মা থাকতে পারে না! শিশিরের চাচা- মামারাও আজকে ঢাকায় আসছে!…

এখন ঘড়িতে প্রায় সকাল ১০:০০ টা বেজে,,,

হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজে বিন্দু ছুটে গেলো! ভেবেছে ওর শ্বশুড় এসেছে শিশিরের কোন খবর নিয়ে কিন্তু বিন্দু ব্যার্থ হয়,, পাশের ফ্লোরের মেয়ে- রিহা ( বয়সে বিন্দুর অনেক ছোট, বিন্দুরের পাশেই হাসবেন্ড নিয়ে থাকে), আর নিচের ফ্লোরের এক ভাবী- শাপলা এসেছে! বিন্দু ঢাকায় আসার পর ছাদে এদের সাথে প্রথম আলাপ হয়েছিলো, মনে আছে কারোর? হ্যা, বিন্দুর সাথে এই এক মাসে সবার কিছুটা মিল হয়েছে আর রিহার সাথে খুব ভালোই মিল! রিহাই এই দু’দিন বিন্দুর পাশে পাশে থেকেছে, সাপোর্ট দিয়েছে এমনকি রান্না করেও দিয়েছে! আজকে যেহেতু ইন্দু আসবে তাই বিন্দু মানা করেছিলো দুপুরে রান্না না করে পাঠাতে! আজকের সকালের খাবার ৮ টার দিকে পাঠিয়ে দিয়েছিলো রিহা!..

রিহাঃ বিন্দু ভাবী, শিশির ভাইয়ার কি কোন খবর পাওয়া গেলো? আংকেল এখনো আসেনি?

বিন্দুঃ না রিহা, একটা লোকেশন নাকি পেয়েছে বাবা’রা! কিন্তু সেটা কতটুকু সঠিক হবে জানি না, দোয়া করো তোমার ভাইয়ার জন্য!..

রিহাঃ হ্যা, অবশ্যই!..

শাপলাঃ বিন্দু ভাবী, কোন হেল্প লাগলে বলবেন! আমার ভাই গুলশান থানার এস.পি!

বিন্দুঃ ( মৃদু হেসে) না ভাবী, আমাদের ধানমন্ডি থানার যে সবচেয়ে অফিসার সে আমার শ্বশুরের বন্ধু! বাবা সেই আংকেল কে সাথে নিয়েই বিভিন্ন লোকেশন ট্যাগ করে উনাকে খুঁজছে!

শাপলাঃ ওহ,,,

এদিকে ঢাকার সব পুলিশ স্টেশনে শিশিরকে খোঁজার চাপ রয়েছে! রুহান যেহেতু ওদের সাথেই ছিলো তাই রুহানকে ইন্সপেক্টর জিজ্ঞাসা বাদ করে সব! শিশির মানুষ হিসেবে কেমন, ওর কোন শত্রু আছে নাকি? রুহান যেগুলো সত্যি সেগুলাই বলে দেয়, শিশিরকে সে বড় ভাইয়ের মতোই ভালোবাসে! তাই চায়না শিশিরের কোন ক্ষতি হোক!..

দুপুরের দিকে,,,

২ দিন পর আজকে আশরাফ আহমেদ ফিরে আসে! স্বামীর কণ্ঠস্বর পেয়ে শিশিরের মা দৌড়ে যায়, ভেবেছে ছেলেকে নিয়ে তার স্বামী বাড়ি ফিরেছে কিন্তু না সে নিরাশ হয়! শিশির আসে নি,কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি তার! তাহলে সে গেলো কোথায়? সবাই শিশিরের চিন্তায় যেনো মরিয়া হয়ে উঠেছে, এতো বড় জলজ্যান্ত মানুষ তাকে কেও কিডনাপ করবে কিভাবে? নাকি সে নিজে থেকেই হারিয়ে গেলো! যে ব্যাক্তি নিজে থেকে হারিয়ে যায়, সে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে ধরা না দেয় তাহলে হাজার চেষ্টা করেও তাকে ফিরিয়ে আনা যায় না!..

কিছুক্ষণ আগে ইন্দুরা ঢাকায় এসে পৌঁছিয়েছে! ইন্দু এসেই সবার জন্য রান্না করতে কিচেনে চলে যায়, আর এদিকে বিন্দুর বাবাও নিজের ক্ষমতা দিয়ে মেয়ের জামাইকে খুঁজছে! বলাবাহুল্য, বিন্দুর বাবা করিম সাহেব একজন রাজনৈতিক কর্মকর্তা! শহরে নামীদামী মানুষের সাথে তার উঠা-বসা আছে!

দুপুরে খাবার শেষ করে করিম সাহেব বেরিয়ে পড়লো! আর লায়লা আহমেদ কে সামলাচ্ছে বিন্দুর মা- তন্দ্রাবতি! এই দুদিন বিন্দু তার শ্বাশুড়ি মা কে সামলিয়েছে এখন মায়ের ওপর ভার ছেড়ে দিয়েছে! সবাই জোহরের নামায আদায় করে, লাঞ্চ করে যে যার কাজে যায়,, আর বিন্দুর মা এবং শ্বাশুড়ি বিন্দুদের বেলকোনিতে বসে বসে দুঃখ প্রকাশ করছে!..

লায়লাঃ ছেলেটা কি অবস্থায় আছে, আদৌ বেঁচে আছে কি না কে বলবে! নাকি আমার ছেলের কোন বড় ধরনের ক্ষতি হলো?

তন্দ্রাঃ না বেয়াইন, এমন কথা বলবে না! দেখবেন আমাদের শিশির বাবার কিচ্ছু হয়নি! বেয়াই সাহেব আর বিন্দুর বাবা তো আকাশ-পাতাল এক করে দিয়ে খুঁজছে ঠিক খুঁজে পাবে আপনে একদম চিন্তা করবেন না!..

লায়লাঃ হু,, তাই যেনো হয়! আল্লাহ যেনো আমাদের সহায় হোন! আমার এক মেয়ে আর দুই ছেলেই আমার কাছে সব, ওদের ছাড়া আমি বাঁচবো না! জানেন বেয়াইন আমার মেয়েকেও এখনো জানায়নি, অর্কিতা তো ওর দুই ভাই বলতে পাগল! যদি শোনে ভাইয়ের এতো বড় বিপদ এখনি চলে আসবে,, কিন্তু বিদেশ থেকে আসা কি চারটে খানে কথা বলেন? তাও আবার মেয়েটা কন্সিভ করেছে কিছুদিন আগে! ছয় মাস পরে একেবারে না হয় আসবে! আর দু’দিন দেখবো নাহলে জানাতেই হবে, পরে আমাকে দোষারোপ করবে! ভাইয়ের এতো বড় কথা জানায়নি কেনো!

তন্দ্রাঃ অর্কিতা মা তো ওদের বিয়েটেও আসেনি!

লায়লাঃ হ্যা, আমার মেয়েটা এমনি! কারোর সুখের ভাগী হবে না কিন্তু দুঃখের ভাগী ঠিকই হবে! মেয়েটার বৈশিষ্ট্য আবার আমার ছোট ছেলে পেয়েছে, আমার তিয়াশের অতিরিক্ত রাগ আর ওর যেটা চাই সেটা যে কোন মূল্যে হোক দিতেই হবে,, অর্কিতাও ঠিক এমনি!কিন্তু শিশিরটা হয়েছে একদম অন্যরকম, ওর মনে কি চলে কেও ধরতে পারে না! বাহিরের বন্ধুদের সাথে নাকি অনেক মিশুক ওর বন্ধুরা বলে, কিন্তু বাড়িতে একদম গম্ভীর প্রকৃতির!..

শরতের মধ্যে ডুবে থাকে আশ্বিন মাস,, ভাদ্র আর আশ্বিনের মধ্যেই শরতের বসবাস! ভাদ্র শরতের যেসব বিষয় সূচনা পর্বে এনে দেয় আশ্বিন নিজে তার নিজস্ব আগমনের সময় থেকে তাকে পূর্ণতা দেয়! আশ্বিন শরৎকে পরিপূর্ণ করে,, এই দিক দিয়ে আশ্বিন শরতের পরিপূর্ণতার সুহৃদ! আবার অন্যদিকে, শরতের জন্যও আশ্বিন বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে! অর্থাৎ ভাদ্রের সাথে শরতের নিবষ্টতা প্রগাঢ় হওয়ার আগেই আশ্বিনের আগমন – বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায় ভাদ্রের স্বপ্নকে আর নিজেকে নিবিড় করে তুলতে সদা সচেষ্ট থাকে আশ্বিন নিজেই! কিন্তু সেও খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয় না! অল্প সময়ের আগমন, কিছুদিনপরেই প্রস্থান হবে তার! কিন্তু তার এই প্রস্থান দ্রুত সত্ত্বেও সে নিজেকে শরতের সুরভিতে জড়িয়ে নিতে সম হয়! ধন্য হয় শরৎ, ভাদ্র-আশ্বিনের উদারতায় বিমুগ্ধ প্রকৃতি!..

আচ্ছা বিন্দু কি শিশিরের জন্য কষ্ট পাচ্ছে না? এই এক মাসে কি ওর মনে একটু হলেও শিশির জায়গা করতে পারেনি? যে বিন্দু এক সময় শিশিরের জন্য পাগল ছিলো আজ তার জন্য কি একটু খারাপ লাগছে না? নাকি এখনো শিশিরের ওপরে রাগ পুষে রেখেছে,, প্রতিশোধের নেওয়ার ধান্দায় আছে? নাকি ভাবছে, শিশির এক সময় আমাকে কষ্ট দিয়েছে আমিও এখন তার থেকে দূরে দূরে থেকে কষ্ট দেবো! দেখা যাক, বিন্দু মনে কি চলছে?

ছাদের কোর্নিশে দাঁড়িয়ে বিন্দু প্রকৃতিকে উপলব্ধি করছে! আশ্বিন মাসে মেঘ মোটামুটি কেটে যায়! এ সময় আকাশ পরিষ্কার তবে মাঝে মাঝে হুট-হাট করেই বৃষ্টির উপদ্রব দেখা দেয়! এ জন্য কোন পূর্বাভাস অবশ্য সে দিতে নারাজ! বিন্দু একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে,,,

বিন্দুঃ আপনে কি আমাকে বোঝানোর জন্য হারিয়ে গেলেন শিশির? নাকি অভিমান করে? আপনার কি মনে হয়, আমি এতে কষ্ট পাবো? এটা ভুলেও ভাববেন না! আপনার ভাবনাতেও নেই, আমি কি চাই? আপনার জন্য এতটুকু সহানুভূতি আমার মাঝে এখনো তৈরী হয়নি, কখনো হবে কিনা জানিওনা! আমার শুধু কষ্ট হচ্ছে আপনার বাবা-মায়ের জন্য! তারা তাদের ছেলেকে হারিয়ে নিজেদের নিঃস্ব ভাবছে!..

#চলবে…

[ শিশির কোথায় গেলো? নিজে থেকে হারিয়ে গেলো নাকি কেও কিডনাপ করেছে ওকে? আচ্ছা এ সব কিছুর পেছনে কি বিন্দুর কোন হাত আছে? বিন্দুরও কিন্ত এ শহরে লোক আছে! সবার মন্তব্য অবশ্যই জানাবেন! নেক্স পার্টে সব ক্লিয়ার হবে!..

এখন আসি আমার কথায়,, আমি সত্যিই অনেক ব্যাস্ততায় মধ্যে আছি! অনেকে বলবেন, ব্যাস্ততা নিয়ে গল্প লেখা শুরু করেছেন কেনো? যখন গল্পটা লেখা শুরু করি তখন আমার কোন প্রবলেম ছিলো না! এখন হয়েছে,, গল্পের এমন একটা স্টেপে আছি যে এখন শেষও করে দিতে পারছিনা আর না বন্ধ করে রাখতে পারছি! আমি সব-সময় চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি দেওয়ার, অবশ্যই আপনারা বুঝবেন! হ্যাপি রিডিং ❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here