#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part7
#Maishara_Jahan
এমন সময় পিছন থেকে দিয়া করে ডাক দেয়।
আহান আর দিয়া পিছনে তাকায়। দিয়া সামনে তাকিয়ে ভয়ে আহানের দিকে তাকায়। আহানের চেহেরা রাগে লাল হয়ে গেছে।
কারণ সামনে ইয়াস বড় একটা হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইয়াস হেঁসে হেঁসে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। আমার কোন দিকে কোন চিন্তা নেই আমার ভয় করছে আহান রাগের মাথায় এখানে কোন কিছু করে না ফেলে।
ইয়াস আমার সামনে এসে দাঁড়াবার আগেই আহান আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। দুজন দুজনের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। আল্লাহ জানে এখন কি হবে।
ইয়াস,,,,,,,,, আহান খান আবার তুই,,, আমি দিয়ার সাথে কথা বলতে এসেছি সো সামনে থেকে সরে যা।
আহান,,,,,,,,,, দিয়ার সাথে কথা বলতে হলে আমার পারমিশন নিতে হবে, যা আমি তোকে দিবো না।
ইয়াস,,,,,,,কেনো দিয়া তোর গোলাম নাকি।
আহান,,,,,,,,,যা তোর ভাবতে মনে চাই ভাব, আই ডোন্ট কেয়ার।
ইয়াস,,,,,,,,,,আমি দিয়ার সাথে কথা বলতে এসেছি।
আহান,,,,,,,,,দিয়া তুই একটু দূরে গিয়ে দাঁড়া তো আমার ইয়াসের সাথে কিছু কথা আছে।
দিয়া,,,,,,,, কি কথা,, ভয়ে।
আহান পিছনে ফিরে রাগী চোখে দিয়ার দিকে তাকায়, দিয়া আর কথা না বলে দূরে চলে যায়।
আহান,,,,,,,,, তুই এই পার্টিতে কি করিস, তোর তো এখানে আসার কোনো যোগ্যতা নেয়।
,,,,,,,,,,,, তুই যে প্রজেক্ট এ কাজ করছিস সেটার অংশীদার আমিও।
,,,,,,,,,,,,হেহহ অসম্ভব (হালকা হেঁসে) এটার জন্য তো অনেক টাকা লাগে কোথায় পেলি৷
,,,,,,,,,,, তুই আমার পুরানো শত্রু তাই তোর কাছে লুকাবো না, ফ্রোট করে কামিয়েছি এতো টাকা।
,,,,,,,,,,,, হেহহ জানতাম তুই আর কি করতে পারবি। তা আবার দিয়ার জীবনে আসার প্লেন আছে নাকি।
,,,,,,,,,,, আগে ছিলো না, তবে এখন দেখে ইচ্ছে হচ্ছে, আগের থেকে অনেক বেশি হট হয়ে গেছে।
,,,,,,,,,ওকে তো (রাগে ইয়াসকে মারতে গিয়ে থেমে যায়, কারন আশেপাশে অনেক মিডিয়ারা আছে) আগের মার কি ভুলে গেছিস নাকি৷
,,,,,,,,,,,, এটা কি করে ভুলি, টাকা দেওয়ার নাম করে সত্যিটা জেনে, আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিয়ে ইচ্ছে মতো মার দিয়েছিস৷
,,,,,,,,,,, তাওতো বেশরমের মতো সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছিস, জেল থেকে বের হলি কিভাবে।
,,,,,,,,,টাকা কি তুই একাই দিতে পারিস নাকি। টাকার খেলা সব জায়গায় চলে।
,,,,,,,,,দিয়ার জীবনে আর এন্ট্রি নেওয়ার কথা ভুলে ভাবলে খবর আছে।
,,,,,,,,,,,,, আমাকে না আটকিয়ে দিয়াকে আটকা আমার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। আর তুই কে হুমম দিয়ার জীবনে দখল নেওয়ার, ওর জীবন ওকে ডিসাইড করতে দে।
বলে ইয়াস দিয়ার কাছে যায়। ইয়াসের উপর প্রচুর রাগ আছে কিন্তু আহানের ভয়ে রাগটা বুঝতে পারছি না।
ইয়াস,,,,,,কেমন আছো।
দিয়া,,,,,,, যেমন দেখা যাচ্ছে ঠিক তেমনি আছি।
ইয়াস,,,,,,,,,, অনেক ভালো দেখা যাচ্ছে তোমাকে। দিয়া আমি তোমাকে সরি,,,,,
দিয়া,,,,,, রুহি (রুহিকে ডাক দিয়ে)
দিয়া ইয়াসের সাইড কাটিয়ে রুহির কাছে চলে যায়। রুহি আর রিমান দিয়ার কাছে যায়।
দিয়া,,,,,,,,আরে আজ তো তোকে সেই লাগছে।
রুহি,,,,,,,আমাকে ছাড় নিজেকে দেখ,, কেও মাথা ঘুড়িয়ে পড়েনি।
দিয়া,,,,,,,,, একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,,, তা আহান ঐখানে এমন রাগী হিটলারের মতো দাঁড়িয়ে আছে কেনো।
দিয়া,,,,,,,,ওনার রাগ উঠেছে।
রিমান,,,,,,,,,, এর রাগ করা ছাড়া আর কোনো কাজ নাই। আচ্ছা দেখছি আমি, আচ্ছা কেনো রাগ হয়েছে।
দিয়া,,,,,,,,আমার এক্স আসছিলো আমার সাথে কথা বলতে।
রিমান,,,,,,,,,, তাহলে তো রাগ করা জায়েজ। আচ্ছা আমি দেখছি।
রিমান আহানের কাছে যায়। গিয়ে কাঁধে হাত রাখে।
রিমান,,,,,,,,, কি অবস্থা দোস্ত, এমন পেঁচার মতো মুখ করে কেনো আছিস।
আহান,,,,,,,দিয়ার এক্স এসেছে।
রিমান,,,,,,,, হ্যাঁ তো কি হয়েছে, আগের বার দুজনে মিলে যা মার দিয়েছিলাম তার থেকে বেশি দিবো যদি উল্টা পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করে। সামান্য একটা বিষয় নিয়ে যদি এমন রাগ করিস তাহলে হবে। কথায় তো বলেছে একটু।
রিমান তাকিয়ে দেখে সৌরভ রুহির সাথে কথা বলছে, রিমান আহানকে ধাক্কা দিয়ে তাড়াতাড়ি ঐখানে যায়৷ শুধু পারে না, দৌড়ে যেতে।
আহান,,,,,,,,,, আরে কি হলো।
রিমান সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,,,,,,কি কথা হচ্ছে।
দিয়া,,,,,,, এমনি নরমাল কথা ভার্তা।
সৌরভ,,,,,,,,,রুহি তোমাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে, আর দিয়া তোমাকেও।
রিমান সৌরভের দিকে এমন ভাবে তাকায় জেনো খেয়ে ফেলবে।
রুহি,,,,,,,,, শুধু আজকেই সুন্দর লাগছে, অন্য দিন লাগে না বুঝি।
এবার রিমান রুহির দিকে রাগী ভাবে তাকায়।
সৌরভ,,,,,,,,,, সবসময় তোমাকে সুন্দর লাগে কিন্তু আজকে একটু বেশি লাগছে।
রিমান,,,,,,,,,, এতো বেশি মেকাপ লাগালে সুন্দর তো লাগবেই।
সৌরভ,,,,,,,,,, রুহি এমনি সুন্দর, মেকাপের দরকার নেয়।
রুহি,,,,,,,,, বাদ দেন,,, ও কি বুঝে সুন্দর কাকে বলে হুহহহহ।
রিমান,,,,,,,,, আচ্ছা আমি কিছু বুঝি না, সব সৌরভ বুঝে তাই না। (রাগে)
দিয়া,,,,,,,,, পিল্জ দুজন চুপ করো, এখানে কতো মানুষ আছে৷
রিমান,,,,,,, আমি তো চুপি আছি।
সৌরভ,,,,,,, আচ্ছা আমি একটু আসি।
রিমান,,,,,,,, একটু না পুরোটা যাও। (আস্তে)
আহান ইশারা করে দিয়াকে ডাক দেয়।
দিয়া,,,,,,,,,, রুহি তুই দাঁড়া আমি আসছি।
দিয়া আহানের কাছে যায়, রিমান রাগে রুহির হাত ধরে এক কিনারে নিয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,, কি দরকার ছিলো এমন পুতুলের মতো সেজে আসার।
রুহি,,,,,,,,,, তুমি কি বলতে চাও, আমাকে পুতুলের মতো লাগছে, ওয়াও থেংকিউ (হেঁসে)
,,,,,,,,,,,, আমি সেটা কখন বললাম (অন্য দিকে তাকিয়ে)
,,,,,,,,,, এইতো এখনি বললে। একটা কথা কি জানো।
,,,,,,,,,কি
,,,,,,,,তোমাকেও না আজ অনেক হেন্সাম লাগছে। সব সময় তো, গেনজি, নাহলে টি-শার্ট, আর নাহলে গেনজির উপর শার্ট পড়ো, কোর্ট প্যান্ট খুব কম পড়ো।
,,,,,,,,,,, ও তাহলে কোর্ট প্যান্ট পড়া ছেলে তোর কাছে বেশি ভালো লাগে।
,,,,,,,,,,, সব ছেলের কথা কে বলেছে, কোর্ট প্যান্ট পড়লে তোমাকে জেন্টরম্যান লাগে, আর শার্ট প্যান্ট পড়লে অথবা গেঞ্জি পড়লে সেক্সি লাগে। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,,, ছিঃ লজ্জা করে না তোর, আমার দিকে ওই ভাবে নজর দিতে।
,,,,,,,,,,তোমার দিকে দিবো না, তো আর কার দিকে দিবো হুমম। তুমি তো আমার হবু বয়ফ্রেন্ড।
,,,,,,,,,,, চুপ ফাজিল।
,,,,,,,,,আই লাভ ইউ।(বলে মিষ্টি একটা হাসি দেয়)
রিমান মুশকি হেঁসে রুহির দিকে তাকিয়ে থাকে। রুহি তার দুই হাত রিমানের কাঁধে রেখে চোখ বন্ধ করে, রিমানের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,,, কি করছিস তুই।
রুহি চোখ খুলে বিরক্তি ভাবে নিয়ে বলে,,,,,,,,,, কিস করার চেষ্টা করছি।
রিমান তাড়াতাড়ি রুহির হাত ছুটিয়ে দূরে সরে যায়।
রিমান,,,,,,,, পাগল তুই।
রুহি,,,,,,,,,, পাগলের কি হলো, তোমার বন্ধু আহান সারা দিন বলে আমি দিয়াকে ঘৃণা করি, ঘৃণা করি তাও কিস করেছে, আর তুমি হুহহ।
রিমান,,,,,,,,, কিহহহ আহান দিয়াকে কিস করেছে।
,,,,,,,জ্বি।
,,,,,,,,,,,তাই বলে তুই আমার সাথে করবি।
,,,,,,,আরে দূরর না, আমি তো দেখছিলাম তোমার ইচ্ছা আছে নাকি। কিন্তু নাই, মাঝে মাঝে আমার সন্দেহ হয়।
,,,,,,,,,,কি নিয়ে (চোখ ছোট ছোট করে)
,,,,,,,,,থাক সেটা তুমি শুনতে পারবা না।
,,,,,,,,,,ঐ উল্টা পাল্টা কিছু ভাববি না।
,,,,,,,,,,যার মনে যা, ফাল দিয়ে উঠে তা।
বলে চলে যায়। রিমান কোমরে হাত দিয়ে বলে,,,,,,,ঐ কি বললি তুই।
কে শুনে কার কথা, রুহি চলে যায়।
,,,,,,,,,,,
দিয়া,,,,,,,,ডেকেছেন আমাকে (ভয়ে)
আহান,,,,,,,,,,কেনো আমার ডাকে সারা দিতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি। (রাগে)
দিয়া,,,,,,,,,, ন ন না,, আমি এটা তো বলি নি।
আহান,,,,,,,আমার কথা মন দিয়ে শুন,ইয়াসের আশেপাশে গেলেও না খবর আছে তোর। ওর থেকে দূরে দূরে থাকবি। সবসময় আমার সাথে থাকবি, মনে থাকবে।
দিয়া,,,,,,,, হুমম।
কিছু ক্ষন পরে পেটি আসে, এসে আহানের সাথে কথা বলতে থাকে।
পেটি,,,,,,,,, ওকে এই পার্টিতে কেনো নিয়ে এসেছো।
আহান,,,,,,,,,রুহি নিয়ে এসেছে।
পেটি,,,,,,,,তোমার বোন ও বুঝে না, কার সাথে বন্ধুত্ব করা লাগবে, কার সাথে না। আর এতো দামি ড্রেস কে কিনে দিলো একে।
আহান দিয়ার দিকে তাকায় দিয়ার চোখ জ্বলজ্বল করছে, দিয়া সেখান থেকে চলে যায়। আহান আটকাতে গিয়েও আটকায় নি।
রুহি এসে দিয়াকে আটকায়, আর পেটির সামনে নিয়ে যায়৷
রুহি,,,,,,,,, দিয়া আমার খালাতো বোন,কোনো কাজের লোক না। সেটা দিয়ার খালাতো ভায়ের বাড়ি, সো সাবধানে কথা বলবে।
পেটি,,,,,,,,, কিন্তু আহান তো বললো,,,
রুহি,,,,,,,,আহান ভাইয়া যায় বলে থাকুক কিন্তু সত্যি এটাই রুহি আমার বোন। আহান ভাইয়া দিয়ার আপন তাই যা ইচ্ছে বলতে পারে কিন্তু বাহিরের লোক না।
পেটি,,,,,,,,আহান তোমার নোন কিন্তু আমাকে অপমান করছে।
আহান,,,,,,,,,রুহি চুপ থাক।
দিয়া,,,,,,,,, কিছু বলিস না, পেটি মেম কষ্ট পেলে অন্য জন আবার একটু বেশি কষ্ট পাবে।
বলে সেখান থেকে চলে যায়। তখনি রিমান আসে, এসে বলে,,,,,,আমি কি কিছু মিস করলাম।
রুহি,,,,,,,,,,, চলো আমার সাথে বলছি কি মিস করেছো।
রুহি রিমানকে নিয়ে চলে যায়। দিয়া দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, পেটি আহানের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। দিয়ার অনেক রাগ হচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,,, আগুন তো মনে হয় ভালোই লেগেছে, আমি একটু ফুঁ দিয়ে দিয়।(রুহির কানে কানে)
রিমান,,,,,,,, মনে হয় বিদেশে আহান পেটির সাথে অনেক সময় কাটিয়েছে। তাই তো এতে ভালো বন্ধুত্ব তাদের মধ্যে। বন্ধুত্ব থেকে তো আমার একটু বেশি লাগছে।
রুহি রিমানকে গুতা দেয় একটা, দিয়া রাগে আহানের দিকে তাকায়, পেটি আহানকে জরিয়ে ধরে।এটা দেখে দিয়া বাহিরে চলে যায়। আহান ও খেয়াল করে।
দিয়া বাহিরে গিয়ে রাগে ফসফস করতে থাকে। ইয়াস দিয়াকে বাইরে যেতে দেখে ও বাহিরে যায় দিয়ার পিছন পিছন গিয়ে দিয়াকে ডাক দেয়, দিয়া পিছনে ফিরে দেখে ইয়াস তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
দিয়া চলে যেতে নেই ইয়াস তার হাত ধরে ফেলে।
দিয়া,,,,,,,,, ছাড়ো আমার হাত, সাহস কি করে হলো আমার হাত ধরার।
ইয়াস,,,,,,,দিয়া একবার আমার কথটা শুনো, এসবে আমার কোনো দোষ নেয়,আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি আজো তোমাকে ভালোবাসি।
দিয়া,,,,,,,,,ছাড়ো আমাকে, না হলে ভালো হবে না বলে দিলাম।
ইয়াস দিয়াকে জরিয়ে ধরে।হঠাৎ করে হওয়ায় দিয়া কিছু বুঝতে পারে না। আহান এসে দেখে ফেলে, আহান তাড়াতাড়ি রাগে আসে, এসে ইয়াসকে ছুটিয়ে ধরে একটা ঘুষি মেরে দিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে।
দিয়াকে গাড়িতে বসায়, বসিয়ে আহান ও বসে। আহান খুব জোরে গাড়ি চালাতে থাকে।
দিয়া,,,,,,,,,,, আহান আমার ভয় করছে, আস্তে গাড়ি চালান।
আহান দিয়ার কথায় কোনো জবাব না দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। দিয়া ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। আহান বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামায়। আহান নিচে নেমে দিয়াকে গাড়ি থেকে নামায়।
দিয়া,,,,,,, আহান ছাড়ুন আমাকে।
আহান দিয়াকে টানতে টানতে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়।
দিয়া,,,,,,,,,,ছাড়ুন আমাকে, আমি ব্যাথা পাচ্ছি।
আহান রাগে দিয়াকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে, দুগাল চেপে ধরে।
আহান,,,,,,,,, ব্যাথা লাগছে, লাগোক (জোরে ধমক দিয়ে)
আহান,,,,,,,,,তোর শরীরে ব্যাথা হচ্ছে তাই না, আমার এখানে হচ্ছে (আঙুল দিয়ে বুকের দিকে দেখিয়ে)
রাগে আহানের চোখ, মুখ কাঁপছে, লাল হয়ে গেছে। চোখে জ্বলজ্বল পানি জমে গেছে। দিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
দিয়া,,,,,,,,, কি করেছি আমি।
,,,,,,,, কি করেছিস, এখনো এটা জিজ্ঞেস করছিস, তোকে বলেছিলাম না ইয়াসের সাথে কথা না বলতে, কিন্তু তুই তো সোজা জরিয়ে ধরেছিস।
,,,,,,,,,আমি ধরেনি (কান্না করে)
আহান দিয়ার দু গাল আরো জোরে চেপে ধরে বলে,,,,,,,,,, চুপ মিথ্যা বলবি না, আমি নিজের চোখে দেখেছি।
,,,,,,,,,ভুল দেখেছেন, ইয়াস হঠাৎ করে আমাকে জরিয়ে ধরে আমি না।
,,,,,,,,,তখন তুই কিছু বললি না কেনো হুমম (জোরে চিৎকার করে)
,,,,,,,,আপনি বলার সুযোগ দিয়েছেন। তার আগেই তো আপনি ইয়াসকে মেরেছেন।
,,,,,,,ওও ইয়াসকে মেরেছি বলে কষ্ট হচ্ছে তাই না।
,,,,,,,,,,আপনি সব কিছুতে আমাকে কেনো ভুল বুঝেন। আর আমার কথা বলছেন আপনি, আপনি কি করেছেন আপনিও তো পেটিকে জরিয়ে ধরেছেন। ধরেন নাই।
,,,,,,,,,, ওও প্রতিশোধ নিচ্ছিস আমার সাথে,,, তাহলে কি করবো তোকে জরিয়ে ধরবো। নে ধরছি।
আহান দিয়াকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। দিয়া ব্যাথায় কুঁকড়িয়ে যাচ্ছে।
দিয়া,,,,,,,,, আহান আমার ব্যাথা লাগছে। (ছুটতে চেষ্টা করতে করতে)
,,,,,,,,, ও আমি জরিয়ে ধরলে ব্যাথা লাগে, আর ইয়াস করলে ভালো লাগে বুঝি।
,,,,,,,,,,,, আহান কি বলছেন, বুঝে শুনে বলেন।
,,,,,,,,,, কেনো সত্যি কথা শুনতে ভালে লাগছে না, ইয়াসের স্পর্শ ভালো লাগে, আমার স্পর্শ ভালো লাগে না হুমম। (দিয়াকে জরিয়ে ধরে, দিয়ার গলায় মুখ ঘষতে ঘষতে)
দিয়া,,,,,,,,,,, ছাড়েন আমাকে, ছাড়েন (বলে জোরে ধাক্কা দেয়)
আহান সরে যায়,দিয়া চিৎকার করে বলে,,,,,,,,, পাগল হয়ে গেছেন আপনি, কি বলছেন কি করছেন বুঝছেন কিছু।
আহান দিয়ার ড্রেসের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,, তোকে এই ড্রেসে দেখে ইয়াস বলেছে তোকে নাকি হট লাগছে। হট লাগছে তাই না। (দিয়ার দিকে এগোতে এগোতে)
দিয়া ভয়ে পিছোতে লাগে। ভয়ে বলে,,,,,, আহান আমার কাছে আসবেন না।
আহান দিয়ার হাত ধরে নিজের দিকে টান দিয়ে কাছে আনে৷ এনে দিয়ার ড্রেস টেনে ছিঁড়ে ফেলে। ড্রেসের অনেক গুলো পার্ট তাই শরীর দেখা যাচ্ছে না।
দিয়া কান্না করতে করতে দৌড়ে তার রুমে চলে, গিয়ে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। আহানের মাথা ঠিক নেয়, সে রাগে টেবিল চেয়ার সব কিছু লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলছে।
দিয়া দরজার কাছে বসে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে,,,,,,,,কালি চলে যাবো এখান থেকে, থাকবো না আমি এখানে। (জোরে জোরে কান্না করতে করতে)
তখনি রিমান আহানকে ফোন করে, আহান ফোন তুলে।
আহান,,,,,,,,হ্যালো আমরা বাড়ি চলে এাসেছি তোরাও চলে যা।
বলে ফোন রেখে দেয়। আহান রাগে রুমে গিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে ঝর্ণা ছেড়ে নিচে দাঁড়িয়ে থাকে।
,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।