শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প) Part.8

0
3499

শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part.8

#Maishara_Jahan

আহান,,,,,,,,হ্যালো আমরা বাড়ি চলে এসেছি তোরাও চলে যা।

বলে ফোন রেখে দেয়। আহান রাগে রুমে গিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে ঝর্ণা ছেড়ে নিচে দাঁড়িয়ে থাকে।
,,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,,, হোয়াট দ্যা ফাও কথা,,, বাসায় চলে গেছে মানে। আমাদের না জানিয়ে কিভাবে চলে গেলো।

রুহি,,,,,,,,,,আরে কি হয়েছে।

রিমান,,,,,,,,,,,, তোর ভাইয়া বাসায় চলে গেছে, আমাদের না বলে, কন্ঠ শুনে মনে হলো প্রচন্ড রেগে আছে। একটা কথা বল তোর ভায়ের রাগ সবসময় নাকে আগায় কেনো থাকে। কি জানি কেনো রাগ করে চলে গেছে। চল আমরাও চলে যায়।

রুহি,,,,,,,, কেনো আরেকটু থাকি, ভালোই তো লাগছে।

,,,,,,,তোর তো ভালোই লাগবে, সৌরভের সাথে কথা বলতে পারছিস।

,,,,,,,,,,ওনার সাথে তো রোজি কথা হয়।

,,,,,,,,,,ওহহ এই ব্যাপার তাহলে,,চুপচাপ আমার সাথে চল।

রিমান রুহির হাত ধরে নিয়ে যায়, রুহিও মুখ বেকিয়ে রিমানের সাথে যায়। রুহি মুখ বেকিয়ে গাড়িতে বসে। রিমান গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।

রিমান,,,,,,,,, মুখটা এমন পেঁচার মতো করে আছিস কেনো, ও তোর সৌরভের সাথে কথা বলে আসতে পারিস নি বলে।

,,,,,,,,,,, আমি এটা বুঝলাম না তুমি সৌরভের পিছনে কেনো পড়েছো। জেলাস ফিল হচ্ছে নাকি।

,,,,,,,,, হেহহ আমি জেলাস ফিল করবো তাও আবার ঐ সৌরভকে নিয়ে, হতেই পারে না। মাঝে মাঝে আমার নিজেকে দেখলে জেলাস ফিল হয়।

,,,,,,,,কেনো।

,,,,,,,,আমি এতো হেন্সাম কেনো তাই।

,,,,,,,,, একটু বেশি হয়ে গেলো না। আচ্ছা রিমান তোমাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো।

,,,,,,,,,,, বাহহ আজ প্রশ্ন করার আগে জিজ্ঞেস করে নিচ্ছিস,, কর কর শুনি।

,,,,,,,,,,, আচ্ছা এতো দিন ধরে আমাকে দেখছো কোনো একটা দিন বা কোনো একটা মুহূর্তও আমাকে তোমার কাছে সুন্দর বা ভালো লাগে নি। (রিমানের দিকে তাকিয়ে)

রিমান রুহির দিকে তাকায়, কিছু ক্ষন পরে রিমান তার চোখ ফিরিয়ে রাস্তায় চোখ রাখে, রিমান একদম চুপ হয়ে যায়। রুহিও রিমানের দিক থেকে চোখ ফিরায়।

রুহি,,,,,,,,,,রিমান গাড়িটা থামাও তো।

রিমান,,,,,,,,,, এখানে কেনো।

,,,,,,,,,,আহহ থামাও না।

রিমান গাড়ি থামায়, রুহি গাড়ি থেকে নেমে একটু দূরে যায়৷ রিমান ও নেমে রুহির পিছনে যায়।

রিমান,,,,,,,, এখানে এসে কেনো দাঁড়ালি।

রুহি,,,,,,,,,, কারন জায়গাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ চারপাশে নিরব, ফাঁকা জায়গা, সবুজ মাঠ, ঠান্ডা বাসাত। তার মধ্যে রাত আর পাশে তুমি, ব্যাপারটা পুরো জমে গেছে তাই না। বসো এখানে।

রুহি রিমানের হাত ধরে টেনে নিচে বসিয়ে দেয়। দুজন পাশাপাশি বসে আছে, কারো মুখে কোনো কথা নেয়। রিমান নিরবতা ভেঙে বলে,,,,,,,, এই রাস্তাটা ভালো না, খারাপ লোকজন চলে আসলে।

রুহি,,,,,,,,,, তুমি আমার পাশে আছো, আমার আর চিন্তা নেয়, আমি জানি তুমি থাকতে আমার কিছু হবে না।

রিমান,,,,,,,,, কারো উপর এতো বিশ্বাস করতে নেয়।

রুহি,,,,,,,,,, কারো না শুধু তোমার উপর। (রিমানের দিকে হেঁসে তাকিয়ে)

রিমান রুহির দিকে তাকিয়ে আবার সামনে ফিরে তাকায়।

রুহি,,,,,,,,,,আচ্ছা তুমি কি অন্য কোনো মেয়েকে পছন্দ করো। (ব্রু কুঁচকিয়ে)

রিমান হালকা হেঁসে বলে,,,,,,,, অন্য কাওকে পছন্দ হলে কি জানতে পারতি না।

,,,,,,,,,,হুমম ভালো নেয়,,, থাকলে,,

,,,,,,,,থাকলে কি করতি।

,,,,,,,,,,, ঐ মেয়েকে আর আপনাকে দুজনকে মেরে হাত পা ভেঙে দিতাম, আমি অন্য কাওকে তোমার পাশে সহ্য করতে পারবো না। (রাগে)

,,,,,,,,,,,,, আরে আমি তো শুধু বললাম, তাতেই এতো রাগ, হলে না জানি কি করতি।

,,,,,,,,,,, কেনো হবে, প্রেম করার শখ থাকলে আমার সাথে প্রেম করো, আর বিয়ের জন্য তো আমি আছিই।

,,,,,,,,,আচ্ছা দেখা যাবে, চল এখন।

,,,,,,,,,আরে দূররর বসো তো।

রুহি রিমানের এক হাত জরিয়ে ধরে। রিমান কিছু বলে না। দুজন চুপচাপ বসে আছে। কিছু ক্ষন পর রুহি রিমানের কাঁধে মাথা রাখে। রিমান রুহিকে ঢেলে দূরে সরে যায়।

রিমান,,,,,,,, এজন্য বলে বাংগালীদের সভাব খারপ বসতে দিলে খেতে চাই। এখন শুতে চাওয়ার আগে আগে চল এখান থেকে।

রুহি,,,,,,,,হেহহ কি বলো কিছু বুঝি না।

রিমান,,,,,,, এটা একটা প্রভাদ। চল এখান থেকে, এখানে বেশি ক্ষন থাকা যাবে না।

রুহি,,,,,,,,,,,ইশশশ ভালো লাগেনা, আন রোমান্টিক একটা।

রিমান,,,,,,,,,,, ভালো হয়ছে চল এখন।

রিমান রুহিকে বাসায় পৌঁছে দেয়। পৌঁছে দিয়ে বাসায় আসে, এসে শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে।

,,,,,,,,,, (আমি রুহির বিষয়ে এতো ভাবা ঠিক হবে না, ওকে আমি ভালোবাসতে পরি না। শুধু ঘৃণা করতে পারি। কিন্তু ওর চেহেরা বার বার আমাকে দুর্বল করে দেয়, না আমাকে দূর্বল হলে চলবে না)

সকালে,,,,,,,,,,,

দিয়া রেডি হয়ে, তার বেগ গুছিয়ে মেইন দরজার দিকে যায়, গিয়ে দরজা খুলতে নেয়, কিন্তু খুলে না। অনেক বার ট্রাই করে কিন্তু খুলে না। এবার দিয়া দু হাত দিয়ে জোরে শক্তি লাগিয়ে চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছুতেই খুলছে না।

আহান,,,,,,, দরজা আমার অনুমতি ছাড়া খুলবে না।

দিয়া তাকিয়ে দেখে, আহান সিরি দিয়ে নিচে নামছে।

আহান,,,,,,,,,,কোথায় যাচ্ছিলে, আমার অনুমতি ছাড়া যেমন এই বাড়িতে কেও ঢুকতে পারে না তেমনি কেও বের হতেও পারে না।

দিয়া,,,,,,,,,,দরজা খুলেন, থাকবো না আমি এখনে, চলে যাবো এখান থেকে।

,,,,,,,,,,,কোথায় যাবে।

,,,,,,,,সেটা আপনার না জানলেও চলবে।

,,,,,,,ওও এখন তো আবার তোকে রাখার মতো মানুষ চলে আসে।

,,,,,,,,,,,দেখুন আপনার উল্টা পাল্টা কথা শুনার মতো সময় নেয় আমার। দরজাটা খুলে দেন, আমি চলে যাবো।

,,,,,,,,,,,,, তুই তো এখান থেকে যেতে পারবি না, হাজার চেষ্টা করলেও পারবি না, চেষ্টা করে দেখতে পারিস।

,,,,,,,,,,,,, আমি পুলিশ ডাকবো।

,,,,,,,,,,,ফোন রাখা আছে পুলিশকে ফোন করে দেখতে পারিস,,,আর ভালো করে জানিস কিছু হবে না পুলিশ ডেকে।

,,,,,,,,,,, আপনি কোন অধিকারে আমাকে এখানে রাখতে চান। আপনি আমার উপর জোরাজোরি করতে পারেন না৷ কোনো অধিকার নেই আপনার।

,,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি জোরাজোরি করবো না, তুই চলে যা কিন্তু একটা কথা।

,,,,,,,কি ।

,,,,,,,,,,, এখান থেকে যাওয়ার পর হোস্টেলে তোকে ঢুকতে দিবে না, পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবি না, আর যদিও ভাবছিস চাকরি করে পড়াশোনা চালাবি তাহলে ভুলে যা, আমি থাকতে তোকে কেও চাকরি দিবে না। আর মনে হয় না আমি যদি একবার না করি তাহলে তোকে এই হসপিটালে পড়তে দিবে। এমন কি কোনো হসপিটালে ও দিবে না। বাকিটা তোর ইচ্ছা।

,,,,,,,,,,(এখন কি করবো, এই লোকটা যা বলে তাই করে, আমার আর কোনো পথ খোলা নেয়)

,,,,,,,,,,, কি ভেবেছেন যাবেন নাকি।

দিয়া চোখে মুখে রাগের ভাব এনে, লাগেজ নিয়ে রুমের ভিতরে যেতে থাকে, আহান ডাক দেয়।

,,,,,,,, দিয়া, আমি কিন্তু তোকে এখানে থাকতে জোরাজোরি করিনি, বল।

দিয়া আহানের দিকে তাকিয়ে, রাগে জোরে জোরে হেঁটে রুমে চলে যায়। আহান আবার চিল্লিয়ে বলে,,,,,,,,, আমার কিন্তু খুব ক্ষুধা লেগেছে।

দিয়া জোরে দরজা লাগিয়ে দেয়। আহান সোফায় বসে থাকে কিছু ক্ষন পর দিয়া দরজা খুলে৷ আহান দিয়ার দিকে তাকায়, দিয়া চুপচাপ রান্না ঘরে যায়। সবজি এতো জোরে জোরে কাটছে যেনো এই সবজি তার কতো পুরানে শত্রু।

আহান কিছু বলে না শুধু চুপচাপ বসে লেপটপে কাজ করছে। কিছু ক্ষন পর দিয়া খাবার টেবিলে রেখে, প্লেটটা জোরে টেবিলে রাখে। আওয়াজে আহান তাকায়, তাকিয়ে বুঝে দিয়া তাকে খাওয়ার জন্য ডাকছে।

আহান চুপচাপ টেবিলে গিয়ে বসে। আহান বসে দেখে দিয়া নাস্তা প্লেটে সাজিয়ে রেখেছে। আহান দিয়ার দিকে হালকা রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। দিয়াও আহানের দিকে তাকায়।

দিয়া,,,,,,,,(এই রাক্ষসটা আমার দিকে এভাবে কেনো তাকিয়ে আছে, আমি আবার কি করলাম। নাস্তা তো ঠিকি আছে)

আহান একটা প্লেট দিয়ার দিকে ধাক্কা দেয়, দিয়ার আর বুঝতে বাকি নেয়, দিয়া তাড়াতাড়ি প্লেটে নাস্তা নিয়ে বসে যায়, আহানের আগে খেতেও শুরু করে দেয়।

কিছু ক্ষন পরে। আহান প্লেটে চামচ ঘুরাচ্ছে, কিছু বলতে চেয়েও বলছে না৷ একটু পর কয়েকটা কাশি দেয়, দিয়া মুখ তুলে তাকায়।

আহান,,,,,,,,,সরি (আস্তে)

দিয়া,,,,,,,,অম্মম কি।

আহান,,,,,,,,সরি, কাল রাতে ভারা বারি করে ফেলেছি, জানিস তো রাগ উঠলে আমার কোনো হুশশ থাকে না। কিন্তু কাল রাতে বেশি হয়ে গেছে, চেষ্টা করবো জেনো এমন আর না হয়।

,,,,,,,,,হুমম (মাথা নিচু করে মুশকি হেঁসে)

দিয়া মনে মনে অনেক খুশি। আহান আর কিছু না বলে উপরে চলে যায়। দিয়া খুশিতে লাফাতে থাকে। কিছু ক্ষন পর দিয়া আর আহান রেডি হয়ে নিচে আসে।

আহান দিয়াকে হসপিটালে পৌঁছে দেয়। আবার আসে নিয়ে যেতে, দেখে ইয়াস দাঁড়িয়ে। ইয়াস ও আহানকে দেখে। আহান একটা স্টাইল নিয়ে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,সানগ্লাস পড়ে।

সবার ছুটি হয়, সবাই বের হতে থাকে। দিয়া আর রুহি দূর থেকেই দাঁড়িয়ে যায়। দিয়া ইয়াসকে দেখে আহানের কথা মনে করে ভয় লাগছে।

রুহি,,,,,,,,, এই জোকারটা এখানে কেনো এসেছে।

দিয়া,,,,,,,,,কেনো আবার আমার জীবনটা তেনা তেনা করতে।

রুহি,,,,,,, কালকে তোর নাম্বার চেয়েছিলো আমার কাছে।

দিয়া,,,,,,, কিহহ তুই কি বলেছিস।

রুহি,,,,,,, আমি বলেছি, আমার ভাবির নাম্বার আপনাকে কেনো দিবো।

দিয়া,,,,,,,,, ভাবি,, শুনতে ভালো লাগছে।

রুহি,,,,,,,,, কিরে ইয়াস তো তোর দিকেই আসছে।

দিয়া,,,,,,,,,আহান আমার দিকেই তাকিয়ে আছে (ভয়ে)

রুহি,,,,,,,,, তুই এই দিক দিয়ে দৌড় দে, আমি বেটাকে সামলাচ্ছি।

দিয়া তাড়াতাড়ি সাইড কাটিয়ে দ্রুত হেঁটে আহানের দিকে যাচ্ছে। ইয়াস দিয়ার দিকে যেতে নিলে রুহি সামনে দাঁড়িয়ে যায়।

রুহি,,,,,,,, আরে ইয়াস আপনি, আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।

ইয়াস,,,,,,,আমরা পরে কথা বলি, এখন একটু সরো পিল্জ।

রুহি,,,,,,,,,এখন তো সরাই যাবে না, সরি কালকে আপনার সাথে এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।

ইয়াস,,,,,,,,ইট’স ওকে (যাবার চেষ্টা করে)

রুহি,,,,,,,, আরে দিয়ার নাম্বার নিবেন না।

ইয়াস,,,,,,,দিবে তুমি।

,,,,,,হুমম।

,,,,,,ঠিক আছে বলো (মোবাইল বের করে)

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে লিখেন,,, 0173

,,,,,,হুমম 0173

,,,,,,,,,সরি বাকিটা আমি ভুলে গেছি।

,,,,,,,,,,,হোয়ার।

,,,,,,,,বাকিটা মনে পড়লে বলবো ওকে,, বাই।

,,,,,,,,হেই ইউ,,,,

তাকিয়ে দেখে দিয়া অনেক দূর চলে গেছে। দিয়া তাড়াতাড়ি আহানের গাড়িতে উঠে, আহান ইয়াসকে দেখিয়ে কোর্টটা ঠিক করার মতো বান করে গাড়িতে বসে।

আহান গাড়ি চালানো শুরু করে। দিয়া ভয়ে তাড়াহুড়ো করে বলে,,,,,,,,দেখেন আমি ইয়াসকে বলিনি আসতে, আর ওর সাথে আমি কোনো কথাও বলিনি।

আহান,,,,,,হুমম আমি বুঝেছি।

দিয়া একটা শান্তির নিশ্বাস ফেলে, নিজের এনিফ্রোমটা খুলে পিছনে রাখে।

আজকে তেমন কিছুই হয়নি, সবকিছু ভালোই ভালোই যায়। সকালে পেটি চলে আসে। আসতেই আহান তাকে বার্থডে উইশ করে।

দিয়া,,,,,,,, (শাঁকচুন্নির আজকে বার্থডে) হেপি বার্থডে পেটি মেম।

পেটি,,,,,,,ও পিল্জ আমাকে জাস্ট পেটি বলো, তুমি আহানের বোন।

দিয়া,,,,,,,,,(তেরি তো,, বোন হবি তুই)

পেটি,,,,,,,আজকে পার্টি আছে, আহান তোমাকে তো আসতেই হবে, তুমি দিয়াকেও নিয়ে এসো, আর আমি রুহি আর রিমানকে বলে দিবো, আর ওদের বাসায় কার্ড পৌঁছে দিবো।

আহান,,,,,,,,,,, ওকে ডান,,

পেটি,,,,,,,,,আচ্ছা আমি এখন যায়, আমার কিছু কাজ আছে। পার্টির আয়োজন করতে হবে তো নাকি।

আহান,,,,,,হুমম ওকে বাই।

পেটি চলে যায়।

আহান,,,,,,রেডি হ

,,,,,,,,,পার্টি সন্ধ্যায় এখন না৷

,,,,,,,,,,তুই কলেজে যাবি না।

,,,,,,,,,,আজ আমার কলেজ নেয় বন্ধ।

,,,,,,,,, তাহলে এখন কি করবো, আমাকে তো অফিসে যেতে হবে, না গেলে হবে না, নতুন প্রজেক্ট এসেছে।

,,,,,,,,,,, তাহলে জান।

,,,,,,,,, তোকে একা ছেড়ে যাওয়া যাবে না।

,,,,,,,চিন্তা করেন না,আমি পালিয়ে যাবো না, বা আমাকে কেও তুলেও নিয়ে যাবে না।

,,,,,,,,,,, তুই আমার সাথে যাবি।

,,,,,,,,, আপনি ঘুরতে যাচ্ছেন যে, আমিও সাথে যাবো। আপনি কাজে যাচ্ছেন।

,,,,,,,,,চুপচাপ রেডি হ, না হলে এভাবেই নিয়ে যাবো।

,,,,,,,,,আরে আমি ঐখানে গিয়ে কি করবো।

,,,,,,,,,,,, বসে থাকবি, তাও যেতে হবে।

বলে উপরে চলে যায়।

দিয়া,,,,,,,,,কি মনে করে কি নিজেকে, হিটলারের জমজ ভাই। যা বলবে তাই করতে হবে নাকি, যাবো না আমি।

কিছু ক্ষন পর আহান নিচে এসে দেখে দিয়া রেডি হয়ে বসে আছে৷ আহান আর দিয়া অফিসে যায়৷ আহান যাচ্ছে তার পিছন পিছন দিয়া যাচ্ছে তাই সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।

আহান ভিতরে ঢুকার সাথে সাথে দিয়াও ভিতরে ঢুকে যায়।

দিয়া,,,,,,,,,এখন আমি কি করবো।

,,,,,,,,ঐ দেখছিস সোফা সেখানে গিয়ে বস,মোবাইল বের করে যা খুশি কর।

দিয়া সোফাতে বসে, মোবাইল বের করে, দেখতে দেখতে হাসতে থাকে, আহান বার বার দিয়ার দিকে তাকাচ্ছে। দিয়ার মুশকি মুশকি হাসি দেখে নিজেকে আর আটকাতে পারে না৷ সোজা উঠে এসে দিয়ার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নেয়। আবার একটু পরে মোবাইলটা দিয়ে দেয়।

দিয়া,,,,,,,,,,, জোকস পড়ছিলাম।

আহান আবার নিজের জায়গা বসে পড়ে। দিয়ার জন্য খাবার এনে দিয়ে যায়। দিয়া খেতে থাকে আর মোবাইল ফানি ভিডিও দেখে হাসতে থাকে। আহানের কেবিনে একটা লোক ফাইল দিতে এসে দিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আহান খেয়াল করে।

,,,,,,,,,,, মিঃ রহিদ আপনি এখানে কেনো এসেছেন।

,,,,,,,স্যার ফাইল দিতে।

,,,,,,,,,, তাহলে দেন, আর চলে যান, বেশি এদিক সেদিক তাকালে চাকরি থেকে হাত ধুয়ে বসতে পারেন।

,,,,,,,, সরি স্যার।

দিয়া এভাবে হাসছে এটা দেখে আহানের অনেক ভালো লাগছে। দিয়া মোবাইল টিপতে টিপতে ঘুমিয়ে পড়ে। উঠে দেখে সে গাড়িতে বসে আছে।

দিয়া,,,,,,,,, আমি গাড়িতে কিভাবে আসলাম। (ঘুমে ঘুমে)

আহান,,,,,,,,,, আমি নিয়ে এসেছি।

দিয়া,,,,,,,,,,, মানেটা কি কিভাবে নিয়ে আসলেন।

আহান,,,,,,আমার যেভাবে মন চেয়েছে।

দিয়া,,,,,,,, মানে কি কোলে,,,(বলেই মুখে হাত রেখে দেয়)

আহান মুশকি মুশকি হাসতে থাকে।

দিয়া,,,,,,,, (মান ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেছে পুরো আমি আর ঐ অফিসে যাবো না)

সন্ধ্যায় দিয়া রেডি হয়ে নিচে আসে, হালকা গোলাপি একটা সাধারণ গ্রাওন পড়ে। আহান আর রুহি পার্টিতে যায়, আর রুহি আর রিমান ও যায়।

পার্টিতে যেতেই পেটি আহানকে জরিয়ে ধরে।

পেটি,,,,,,,,আমাকে কেমন লাগছে।

আহান,,,,,,,,হুম হুম ভালো,, (পেটিকে ছাড়িয়ে)

রুহি,,,,,,,,অনেক ভালো আয়োজন করেছো দেখি৷

পেটি,,,,,,,হুমম।

পার্টি জমজমাট, সবাই ড্রিংক করছে, কথা বলছে।

পেটি একটা নরমাল জুসে বিয়ার মিশিয়ে ওয়াটার দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। ওয়াটার ঐটা আহানকে খাওয়াতে গেলে, রিমান নিয়ে খেয়ে ফেলে।

রিমান,,,,,,,,, অনেক পিপাসা লেগেছিলো,,কিন্তু এমন অদ্ভুত লেগেছে কেনো খেতে।

দিয়া,,,,,,কমলা কালার একটা জুস খেতে থাকে।

রিমান এসে বলে,,,,,,,, কি খেলে এটা।

দিয়া,,,,,,,,কেনো জুস।

রিমান,,,,,,,,,,, আরে পাগল এটা বোটকা,, ঐ দেখো কমলা কালার বোটকা।

দিয়া,,,,,,,,এখন কি হবে, আমি তো পুরোটা খেয়ে ফেলেছি।

রিমান,,,,,,,, কি আর হবে তুমি মাতাল হয়ে যাবে।

দিয়া,,,,,,,,হেহহ,, কিন্তু তুমি এভাবে কথা বলছো কেনো।

রিমান,,,,,,,, শসেটা তো আমিও জানি না (হেঁসে হেঁসে)

রিমান আহানকে ডাক দিয়ে বলে,,,,,আহান ভাই দিয়া ভুলে বোটকা খেয়ে নিয়েছে, ওর খেয়াল রাখিস।

আহান,,,,,,,,ওর কথা জানি না, তবে তুই কিছু একটা খেয়ে নিয়েছিস, সোজা হয়ে দাঁড়া।

রিমান,,,,,,,,, আমি সোজায় আছি, এই ফ্লোর নড়ছে, মনে হয় কোনো ডান্সিং ফ্লোর এনেছে।

আহান,,,,,,,,,,,,, হোয়াট।

চলবে,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here