শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প) Part…6

0
2473

শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part…6

#Maishara_Jahan
Part…6

রুহি,,,,,,, যাবো না।

রিমান,,,,,,,, তুই যাবি না তোর ঘাড় যাবে।

রিমান জোর করে রুহিকে নিয়ে যায়।

রুহি,,,,,,,,,,,ছাড়ো আমাকে, ছাড়ো বলছি। আর তোমার না পায়ে ব্যাথা ভালো হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,, হ্যাঁ তাই তো, আমি তো ভুলেই গেছিলাম। কিন্তু এখন ব্যাথা করছে না। চল আমার সাথে।

রুহি,,,,,,,,কোথায়।

রিমান,,,,,,,, গেলেই দেখতে পাবি, চল আমার সাথে।

রিমান রুহিকে গাড়িতে বসিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। রুহি চলে আসতে চাইলে রিমান তার হাতে ধরে ফেলে।

রুহি,,,,,,,,,ছাড়ো আমাকে আমি কিছু খাবো না।

,,,,,,,,,,, কেনো খাবি না, মোটা বলেছি বলে।

,,,,,,,,,,,না,,, এমনি খাবো না (মন খারাপ করে)

,,,,,,,,,,ইস্টুপিট আমি বললেই হলো, তোর নিজের চোখ নেয়। তুই একটুও মোটা না, আমি তো এমনি বলেছি। বরং তোর আরো বেশি করে খাওয়া উচিত, না হলে কিছু দিন পরে তোকে দেখতে চশমা লাগবে।

,,,,,,,,,,,সত্যি বলছো।

,,,,,,,,,, তুই নিজের দিকে তাকা আর বল সত্যি বলছি নাকি মিথ্যা। হয়েছে এখন চল, কিছু খেয়ে নিবি।

,,,,,,,চলো চলো, অনেক ক্ষুধা লেগেছে। (রিমানের আগে আগে গিয়ে)

,,,,,,,,আজ তো মনে হয় আমার পকেট ফাঁকা করে ছাড়বে।

রিমান আর রুহি খেতে বসে। দুজনে খাচ্ছে, রিমান রুহিকে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,,,আচ্ছা ঐ ডক্টরটা কেমন।

রুহি,,,,,,,,,,কোনটা সৌরভের কথা বলছো। (খেতে খেতে)

রিমান,,,,,,,, তোর না সিনিয়র লাগে, নাম ধরে বলছিস কেনো। বয় ফ্রেন্ড হয় নাকি তোর স্যার বলে ডাকবি।

রুহি,,,,,,,,,স্যার বলেই ডাকতাম কিন্তু, সৌরভ না করেছে, বলেছে স্যার বা ভাইয়া বলার কোনো দরকার নেয়, সোজা নাম ধরে ডাকতে। ফ্রেন্ডের মতো তো তাই। ড.সৌরভ অনেক ভালো, সব কিছুতে ফাস্ট, একদম ফ্রেন্ডলি ভিহেব করে। দেখতেও তো সেই।

রিমান,,,,,,,,,, হয়ছে হয়ছে, একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।

রুহি,,,,,,,,,তুমি হঠাৎ ড.সৌরভ এর কথা জিজ্ঞেস করছো কেনো।

রিমান,,,,,,,, না এমনি, সারা দিন এক সাথে থাকছ, তাই জিজ্ঞেস করলাম লোকটা কেমন, আজ কাল যা পরিস্থিতি।

রুহি,,,,,,,,আরে চিল, ড.সৌরভ অনেক ভালো, ওনার সাথে যদি এক রুমে বন্দীও হয়ে যায় না তাও কিছু করবে না, এতো ইনোসেন্ট।

রিমান,,,,,,,,, আর আমার সাথে এক রুমে বন্দী হয়ে গেলে তোর কি মনে হয় আমি কিছু করবো।

রুহি,,,,,,,,,তোমার কথা জানি না, তবে আমার অনেক কিছু করতে মন চাইবে। (দুষ্ট হাসি দিয়ে)

রিমান,,,,,,,,,, চুপচাপ খাবার খা (ধমক দিয়ে) ফাজিল মেয়ে সারা দিন এসব মাথায় গুড় গুড় করে। আর শুন কাওকে এতো বিশ্বাস করা ভালো না। একটু দূরে দূরে থাকা ভালো।

রুহি,,,,,,কেনো জেলাস ফিল করছো নাকি (হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,,,, আমি কেনো জেলাস ফিল করবো, এটা তো আহান বলছিলো, যে ঐ ছেলেকে নাকি ওর সুবিধার মনে হয়নি। তাই দূরে দূরে থাকতে বলেছে।

,,,,,,,,ভাইয়া বলেছে।
,,,,,,,,,,

আহান আর দিয়া গাড়িতে বসে আছে, আহান ড্রাইভ করছে।

দিয়া,,,,,,,,,, সাইডে দাঁড় করান, সাইডে সাইডে।

আহান,,,,,,,,কেনো।

দিয়া,,,,,,,,, আমার কিছু বই লাগবে। সামনে লাইব্রেরি।

,,,,,,,ওকে ওয়েট।

আহান সাইডে গাড়ি পার্ক করে। দুজনে লাইব্রেরিতে যায়, গিয়ে যা যা বই দরকার নেয়।

আহান,,,,,,,,, তুই বই গুলো নিয়ে গাড়িতে রাখ, আমি বিল পে করে আসছি।

,,,,,,,,ঠিক আছে।

দিয়া বই গুলো নিয়ে গাড়ির পিছনের সিটে রাখে, রেখে নিজে সামনের সিটে বসতে যাবে, তখনি কয়েকটা লোক এসে দিয়াকে ঘিরে ফেলে। দিয়া প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়।

দিয়া,,,,,,,,,, কা কারা আপনারা,কি চাই, পথ ছাড়ুন আমার।

,,,,,,,,,, চুপচাপ আমাদের সাথে চল, না হলে কিভাবে নিতে হয়, আমাদের জানা আছে।

,,,,,,,,,, আরে কারা আপনারা, কেনো যাবো আপনাদের সাথে। আহান আহান (জোরে জোরে)

,,,,,,,,,,, এভাবে মানবে না।

বলে দিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে থাকে। আহান এসে দিয়ার আরেকটা হাত ধরে ফেলে। আর যে দিয়ার হাত ধরে ছিলো তাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়।

আহান,,,,,,,,,,সাহস কি করে হলো ওর হাত ধরার। (রাগে)

দিয়াকে এক সাইডে দার করিয়ে, আহান সবাইকে মারতে থাকে। রাগে সাবার সাথে ফাইট করতে থাকে। ততো ক্ষনে একটা গাড়ি করে আরো কয়েকজন লোক এসে গুন্ডাদের পিটাতে থাকে। একজন আহানকে বলে,,,,,স্যার আপনি যান, আমরা ওদের সামলে নিবো।

আহান,,,,,,, একটাকেও ছাড়বে না, এরা কারা, কে পাঠিয়েছে, সব জানতে চাই আমি।

,,,,,,,ওকে স্যার।

,,,,,,,,, ছুরি আছে আপনার কাছে।

,,,,,,,হ্যাঁ স্যার এই নিন।

আহান ছুরিটা নিয়ে, যে দিয়ার হাত ধরেছিলো তাকে ধরে কয়েকটা ঘুষি দিয়ে, একটা পিলারে হাত রেখে ছুরি ডুকিয়ে দেয়। গুন্ডাটা জোরে চিৎকার করে, গুন্ডার সাথে সাথে দিয়াও চিৎকার করে উঠে। আহান গুন্ডাকে ছেড়ে দিয়ার কাছে আসে।

আহান,,,,,,,,, ইস্টুপিট তুই এখনো গাড়িতে উঠিস নি।

দিয়া,,,,,,,,আরে আপনি ওর হাতে ছুরি ডুকিয়ে দিয়েছেন কেনো।

আহান দিয়াকে গাড়িতে বসায়, আর নিজেও বসে, গাড়ি চালাতে থাকে।

দিয়া,,,,,,,, বিচারার হাতটা, এখন ১ মাস পর্যন্ত এই হাত দিয়ে কিছু করতে পারবে না।

,,,,,,,তোর ঐ গুন্ডার হাতের চিন্তা যে তোকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো।

,,,,,,,, গুন্ডা কি মানুষ না, তার কি ব্যাথা করে না। আপনি কেনো মারলেন। ঘুষি লাথি ঠিক আছে, ছুরি টুরির কি দরকার ছিলো।

,,,,,,,,, রাগ হয়েছে তাই দিয়েছি।

,,,,,,,,, রাগ উঠলে যা খুশি তাই করবেন।

,,,,,,,,,, ও শুধু তোর হাত ধরেছে যদি তুই ব্যাথা পেতি না তাহলে জানেই মেরে দিতাম।

,,,,,,,,, কি রাগরে বাবা,,, আচ্ছা ওরা আমাকে কেনো উঠিয়ে নিতে চেয়েছিলো, আমি আবার কার কি করলাম।

,,,,,,,,,(এতো বড় কান্ড করে বলছে কার কি করলাম) ওরা তোকে উঠিয়ে আমাকে ব্লেকমেল করতে চেয়েছিলো।

,,,,,,,,,, কেনো।

,,,,,,,,টাকার জন্য ইস্টুপিট, তোকে আমার সাথে দেখে ওদের মনে হয়েছে তোকে উঠিয়ে টাকা হাছিল করবে।

,,,,,,,,আর ঐ কালো পোশাক পড়া লোক গুলো কে ছিলো, যারা আপনাকে স্যার স্যার বলছিলো।

,,,,,,,ওরা আমার লোক ছিলো।

,,,,,,,হঠাৎ করে কিভাবে আসলো।

,,,,,,,,,তোর মনে হয় না, তুই একটু বেশিই কথা বলছিস, আমার মাথা এমনি গরম আছে চুপ থাক।

দিয়া চুপ হয়ে যায়। দুজনে বাড়ি পৌঁছে যায়। আহান সোফায় বসে।

দিয়া,,,,,,,আপনি একটু বসেন আমি আসছি।

দিয়া তার রুমে গিয়ে, একটা ঔষধ নিয়ে আসে। এসে আহানের সামনে ঝুঁকে যায়। দিয়া হঠাৎ করে এমন কাছে আসায় আহান তার মুখটা একটু পিছনে নিয়ে যায়।

আহান,,,,,,,কি করছিস।

দিয়া,,,,,,,, আরে আপনার ঠোঁটে লেগেছে, হালকা কেটে গেছে, তাই এই ঔষধটা লাগিয়ে দিচ্ছি এক দিনে ঠিক হয়ে যাবে। একটু জ্বলবে।

আহান,,,,,,,,দরকার নেয়।

,,,,,,,,, সুসসস (আহানের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে)

আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

দিয়া,,,,,,,,দরকার আছে।

দিয়া আহানের দিকে ঝুঁকে, তার ঠোঁটে ঔষধ লাগাতেই, আহান ব্যাথায় একটু নড়ে উঠে। দিয়া আহানের কাছে গিয়ে ওর ঠোঁটে ফুঁ দিচ্ছে আর মলম লাগাচ্ছে। আহান এক ধেনে দিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

আহান হঠাৎ করেই তার দুহাত দিয়ার গালে রেখে কিস করে দেয়। এমন কিছু হবে দিয়া ভাবেনি। দিয়ার অভাক হয়ে চোখ বড় বড় করে আহানের দিকে তাকায়। আহান চোখ বন্ধ করে দিয়ার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট লাগিয়ে রেখেছে। আহানের অন্য কোনো দিকে খেয়াল নেয়।

দিয়ার নড়ছেও না কিছু বলছেও না, বরফের মতো হয়ে গেছে। আহান হঠাৎ করে চোখ খুলে দিয়াকে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়, দিয়া চোখ বড় বড় করে বরফ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আহান তাড়াতাড়ি উপরে চলে যায়।

দিয়া আশেপাশে তাকায়, তার সাথে কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছে না। কিছু ক্ষন পর তার হুশশ আসলে সে দুহাত দিয়ে তার মুখ ঢেকে দৌড়ে রুমের মধ্যে গিয়ে বালিশে মুখ চাপা দিয়ে শুয়ে থাকে।
,,,,,,,,,

আহান,,,,,,,,, ইউ ইস্টুপিট, এটা কি করলি, কতো বার বলেছি কন্ট্রোল ইউর সেল্ফ। ওর মনে তোর জন্য কোনো জায়গা নেয়। সত্যি কি নেয়।
,,,,,,,,,,,,

দিয়া,,,,,,,,,আল্লাহ আমি শ্বাস নিতে পারছি না। এটা কি হলো। না না হলো না, এটা কি করলো আহান, কেনো করলো। এটা আমার ফাস্ট কিস। আর কিভাবে হলো বুঝতেই পারলাম না। ছিঃ ছিঃ দিয়া কি ভাবছিস এসব। আল্লাহ মাথা থেকে এসব সরাও।

কেও কারো রুম থেকে বের হয় না। আহান দুতিন বার যাও ভেবেছিলো নিচে আসার কথা তাও বাদ দিয়েছে।

দিয়া রাতে তার মাথাটা দরজার ফাঁক দিয়ে বের করে উঁকি ঝুঁকি মেরে দেখে কেও আছে নাকি। কাওকে না দেখতে পেয়ে রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করতে থাকে। কিছু ক্ষন পরে আহান উপর থেকে নিচে আসে।

এসে সোফায় বসে, আহান দিয়ার দিকে তাকাতেই দুজনের চোখে চোখ পড়ে যায়, দুজনে চোখ সরিয়ে ফেলে। আহান তার মোবাইল বের করে মোবাইলের দিকে নজর দেয়।

দুজনে ফাঁকে ফাঁকে দুজনকে দেখছে। দিয়া খাবার রেডি করে টেবিলে রেখে, চামচ দিয়ে প্লেটে শব্দ করে। আহান খেতে আসে। আহান আর দিয়া চুপচাপ বসে খাচ্ছে, দুজনের মুখে কোনো শব্দ নেয়।

খাওয়া শেষ হলে দুজনে নিজের রুমে চলে যায়।

দিয়া,,,,,,,,আল্লাহ আহানের সামনে গেলে আমার এমন লাগে কেনো, কি হচ্ছে আমার সাথে।

সকালে যথা রীতি আহান দিয়াকে হসপিটালের সামনে ছেড়ে দেয়। দিয়া হসপিটালে যায়, গিয়ে রুহিকে ঐ গুন্ডাদের কথা বলে।

রুহি,,,,,,,,, ইশশশ আমি কেনো ছিলাম না ঐখানে, আমার গুন্ডা পিটানোর অনেক শক।

দিয়া,,,,,,,,,,, যেমন তুই তেমন তোর শখ।

রুহি,,,,,,,,,তারপর কি হয়েছে ভাইয়া ব্যাথা পেয়েছে।

দিয়া,,,,,,,,,, একটু ঠোঁটে লেগেছি শুধু।

রুহি,,,,,,,,,ঔষধ লাগিয়ে দিয়েছিস না।

দিয়া গভীর ভাবনায় চলে যায়, গাল দুটো লাল হয়ে যায়। আটকাতে আটকাতে বলে,,,,,,,, হে হে হ্যাঁ।

রুহি,,,,,,,,কি ব্যাপার এমন সন্দেহ জনক কেনো লাগছে। তুই এমন আটকাতে আটকাতে কেনো বললি, আবার গাল দুটো লাল হয়ে গেছে। সত্যি সত্যি বল।

দিয়া,,,,,,,,,,, কি কি কিছু না।

রুহি,,,,,,,কিছু তো হয়ছে, এই তুই আবার আমার ভাইয়াকে কিস করে ফেলিস নি তো আবার।

দিয়া,,,,,,আমি না তোর ভাইয়া আমাকে করেছে। (বলে মুখে ধরে ফেলে)

রুহি,,,,,,, কি কি কি কি,,, পুরোটা বল, না হলে তোর খবর আছে।

দিয়া আর না পেরে পুরোটা বলে দেয়। রুহি মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে।

দিয়া,,,,,,,কি হলো এভাবে কেনো বসে আছিস। কিছু তো বল।

রুহি,,,,,,,,,, কি বলবো, তোদের কিছু দিন হলো দেখা হয়েছে, মানলাম আগের পরিচয় ছিলো, কিন্তু তিন বছর পর তো দেখা হয়েছে, তার মধ্যে ভাইয়া আবার তোকে নাকি আবার ঘৃণাও করে, তাও কিস করেছে। আর আমাকে দেখ এতো বছর ধরে রিমানের পিছনে পিছনে ঘুর ঘুর করছি।আমার এখনো ফাস্ট কিস হলো না। (মন খারাপ করে)

,,,,,,,, আমি ভাবলাম তুই আরো আমাকে বলবি আহান ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে বা অন্য কিছু, কিন্তু তুই তো তোরটা নিয়ে আছিস।

,,,,,,,দূররর কথা বলবি না, তোরও ফাস্ট কিস হয়ে গেলো, আর আমার পুরা কপাল। (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)

,,,,,,,,,,,, আল্লাহ এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে, চল চল ক্লাসে চল।

দুজনের ক্লাস শেষ হয়। দুজনে বাহিরে আসে। আহান ও আসে দিয়াকে নিতে।

রুহি,,,,,,,ভাইয়া কি অবস্থা (মন খারাপ করে)

আহান,,,,,,তোর আবার কি হলো। আর শুন সন্ধ্যায় রিমান তোকে নিতে আসবে, তার সাথে চলে আসিস।

,,,,,,,,,তোমার বাসায় সন্ধ্যায় গিয়ে কি করবো।

,,,,,,,আমার বাসায় না, একটা পার্টি আছে, সেখানে।

,,,,,,,,হ্যাঁ তো সেখানে গিয়ে কি করবো।

,,,,,,,, আরে, সেখানে একটা বড় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি, তারি পার্টি। অনেক বড়ো ডিল, তাই ভাবলাম সবাই এক সাথে গেলে মজা হবে।

,,,,,,,, কিসের মজা হবে সেখানে গেলে।

,,,,,,,,, আমি সেখানে গিয়ে বিসনেজ এর বিষয়ে কথা বলতে বিজি থাকবো, দিয়া একা একা ভোর হয়ে যাবে তাই তোকে আর রিমানকে নিয়ে যাচ্ছে।

রুহি,,,,,,,,, সার্থপর।

দিয়া,,,,,,,আমি কোনো পার্টিতে যাবো না।

আহান,,,,,,,, তোকে একা একা রেখে যাবো, আমার পিছন দিয়ে কিছু হয়ে গেলে তখন। তুই সবসময় আমার সাথে থাকবি। আর একটাও কথা মুখ দিয়ে বের হলে খবর আছে।

রুহি,,,,,,,কয়টার খবর।

আহান,,,,,,,চুপচাপ রিমানের সাথে চলে আসিস।

রুহি,,,,,,,,ওকে।

আহান আর দিয়া চলে যায়, রুহিও তার বাসায় চলে যায়। বাসায় গিয়ে আহান দিয়াকে একটা কালো কালারের গ্রাওন দেয়। সন্ধ্যায় পড়ার জন্য।

সন্ধ্যায়,,,,,,,,

আহান দিয়াকে ডাকতে থাকে। দিয়া গ্রাওনটা পড়ে বের হয়। চুল ছেড়ে হালকা সাজ দেয়। ভয়ে ভয়ে সাজে।

দিয়া বেরিয়ে আসতেই আহান দিয়ার কাছ থেকে নিজের চোখ সরাতে পারছে না। আহানের তাকানো দেখে দিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

আহান,,,,,,,,চল তাড়াতাড়ি, না হলে লেইট হয়ে যাবো।

দিয়া,,,,,,,,হুমম।

দুজনে বেরিয়ে পড়ে। রিমান অনেক ক্ষন ধরে সোফায় বসে আছে রুহির জন্য।

রিমান,,,,,,,,,, রুহি তাড়াতাড়ি আসবি, নাকি আমি চলে যাবো। মেকাপ করছিস নাকি মুখের সার্জারি। রুহি কানের দুল ঠিক করতে করতে আসছে।

রুহি,,,,,,,,এতো চিল্লানোর কি আছে, ড্রেসটাই পড়তে পারছিলাম না।

রিমান রুহিকে দেখে সব রাগ ভুলে গেছে, রুহি একটা গোলাপি গ্রাওন পড়ে। রুহি রিমানের দিকে তাকিয়ে দেকে রিমান তার দিকে তাকিয়ে আছে। রুহি বড়ো করে একটা হাসি দিয়ে বলে,,,,,,,, কি ক্রাস খেলে নাকি আমাকে দেখে।

রুহির কথায় রিমানের হুহহহ আসে।

রিমান,,,,,, আমি এসব আজে বাঝে জিনিস খাই না। চল এমনি লেইট হয়ে গেছে।

,,,,,,আমাকে কেমন লাগছে।

,,,,,,,,,, যেমন লাগে তেমনি।

,,,,,,এটা আবার কেমন কথা।

,,,,,,,চল চল।
,,,,,,,,

দিয়া আর আহান পার্টিতে পৌঁছে যায়। দিয়া একটু আনকমফোটেবল ফিল করতে থাকে।

দিয়া,,,,,,,,এখনো রুহি আসছে না কেনো, আমার ভালো লাগছে না।

আহান,,,,,,,এসে যাবে। যতো ক্ষন না আসছি ততো ক্ষন আমি আছি তো সাথে।

এমন সময় পিছন থেকে দিয়া করে ডাক দেয়।

আহান আর দিয়া পিছনে তাকায়। দিয়া সামনে তাকিয়ে ভয়ে আহানের দিকে তাকায়। আহানের চেহেরা রাগে লাল হয়ে গেছে।

চলবে,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here