শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প) Part..5

0
2438

শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part..5

#Maishara_Jahan

রিমান,,,,,,,,, মুখ বন্ধ করে খাবো কিভাবে নাক দিয়ে।

সাথে সাথে সবাই হেঁসে দেয়। আহান কপালে হাত দিয়ে বলে,,,,,চুপচাপ খাবার খা ইয়ার।

রিমান,,,,,,, ওকে ওকে,,, আচ্ছা একটা কথা বল তোরা তো জাস্ট ফ্রেন্ড তাই না।

পেটি,,,,,,,, আমি আহানকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছি, কিন্তু আহানের হ্যাঁ না কোনো জবাব আসেনি।

দিয়া,,,,,,,, (আর আসবেও না হুহহ)

আহান,,,,,,,,আমি এ বিষয়ে অবশ্যই ভাববো, আর হ্যাঁ বলার আশংঙ্কা বেশি।

দিয়ার হাত থেকে চামচ পড়ে যায়, সবাই দিয়ার দিকে তাকায় শুধু আহান ছাড়া।

দিয়া,,,,,,,,সরি।

পেটি,,,,,,,, ওয়াও আহান এটা তো অনেক ভালো খবর, আজ আমি সত্যি অনেক খুশি। ডেডিকে এখনি জানাতে হবে খবরটা।

রুহি,,,,,,,এখনো হ্যাঁ বলে নি তাই শুধু শুধু তোমার বাবাকে ডিস্টার্ব করার দরকার নেয়।

পেটি,,,,,,ওকে এখন বলছি না, তবে আহান তুমি কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি বাবাকে জানাবে। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।

আহান,,,,,,,,হুমম (নিচের দিকে তাকিয়ে)

সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে।

রুহি,,,,,,,, পেটি তুমি কি কিছু ক্ষন এখানেই থাকবে।

পেটি,,,,,,,হুমম,কেনো।

রুহি,,,,,,আসলে আমি ভাইয়াকে নিয়ে এক জায়গা যাবো, সো তুমি একা একা তো এই বাড়িতে ভোর হয়ে যাবে।

পেটি,,,,,,,,কোথায় যাবে বলো, আমিও যাবো যদি কোনো প্রবলেম না থাকে।

রুহি,,,,,,,আছে প্রবলেম, আমার টিচারের সাথে ভাইয়ার দেখা করাবো, অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে, সেখানে আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারবো না।

পেটি,,,,,,,,, ওকে নো প্রবলেম, তাহলে আমি আসি।

রুহি,,,,,,,,ওকে বাই।

পেটি,,,,,,,,,আহান বাই।

আহান,,,,,,,,,বাই।

পেটি চলে যায়।

আহান,,,,,,,,তোর টিচারের সাথে আমাকে কেনো দেখা করতে হবে।

রিমান,,,,,,, আবার তুই কি করেছিস, প্রতেকবার তো আমাকে তোর গার্জিয়ান বানিয়ে নিয়ে যেতি।

আহান,,,,,,,আর তুই চলে যেতি ওর বিচার শুনার জন্য।

রিমান,,,,,,, তো কি করবো, ভিক্ষারির মতো হাত পা ধরা শুরু করতো। এখন আবার কি করেছে শুন।

রুহি,,,,,,,,, কিছু করেনি আমি।

আহান,,,,,,,তাহলে কেনো ডেকেছে টিচার।

রুহি,,,,,,,, আরে ডাকেনি,, এখন আমার বাসায় যেতে হবে, মা বাবাকে বলেছি বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছি। আর আমি চলে যাবো ঐ পেটিকে এখানে রেখে, এটা হতে পারে তাই বাগিয়ে দিয়েছি।

আহান,,,,,,,,, এটা তোকে কে করতে বলেছে, কোনো দরকার ছিলো এটা করার।

রিমান,,,,,,, ছিলো তুই বুঝবি না। আচ্ছা আমারো যেতে হবে।

রুহি দিয়ার কাছে গিয়ে তার কানে কানে বলে,,,,আরে ভাইয়া তো এটা রাগের মাথায় বলেছে, তুই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা আমি এখন আসি।

আহান,,,,,,,, তুই একা যাবি।

রুহি,,,,,,,চিন্তা করো না, আমি যেতে পারবো।

আহান,,,,,,,আমি তোর কথা না,রিমানের কথা বলছি।

রুহি,,,,,,,হুহহ,, আমি রিমানকে না মানে ভাইয়াকে পৌঁছে দিবো চিন্তা করো না।

আহান,,,,,,ঠিক আছে, সাবধানে যাবি।

রিমান আর রুহি চলে যায়। আহান সোফায় বসে লেপটপে কাজ করতে থাকে, আর দিয়া টেবিল রান্না ঘর সব পরিষ্কার করে ছাদে চলে যায়। আহান দিয়ার যাওয়ার দিকে এক নজর তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়।

দিয়া ছাদে গিয়ে দুলনায় পা উঠিয়ে বসে আছে, মুখে কোনো হাসি নেয়, আজ দিয়ার মনের মতো আকাশটাও মেঘলা, আঁধার হয়ে আছে, মনে হয় এখনি বৃষ্টি নামবে। চারদিকে বাতাস বয়ছে।

আহান সোফায় বসে বার বার উপরের সিরির দিকে দেখছে।

,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,, আজকে একটু আস্তে গাড়ি চালাস।

রুহি,,,,,,,,,, এতো ভয় পাও কেনো।

রিমান,,,,,,,, ভয় পাবো না কেনো, এই জোয়ান বয়সে মরতে চাই না। তার মধ্যে আমার এখনো বিয়েও হয়নি।

,,,,,,,,,,,, এটাই তো বলছি আমাকে বিয়ে করে নাও।

,,,,,,,,,,, বাহ! আহানের সামনে থাকলে ভাইয়া ভাইয়া আর এখন সাইয়া সাইয়া হচ্ছে।

,,,,,,,,,, আরে বুঝবা না,, তুমি শুধু হ্যাঁ বলো আমি ভাইয়া কেনো সারা দুনিয়ার সামনে সাইয়া ডাকবো।

,,,,,,,,,,,,, কোনো দরকার নেয়।

,,,,,,,,,, আচ্ছা আমি বুঝলাম না, আমার মধ্যে কি খারাপ আছে। তুমি এটা বলো আমার কোন জিনিসটা পছন্দ হয় না।

রিমান রুহিকে ভালো ভাবে দেখতে থাকে।

রুহি,,,,,,,,,আরে এভাবে তাকিয়োও না, লজ্জা লাগে।

রিমান,,,,,,,,, তোর আবার লজ্জা,,, যাই হোক তুই অনেক মোটা আর আমার মোটা পছন্দ না।

এটা শুনার সাথে সাথে রুহি জোরে গাড়ি থামায়। থামিয়ে রিমানের দিকে অভাক হয়ে তাকিয়ে বলে,,,,,,,আমি মোটা, আমি (নিজের দিকে আঙুল দিয়ে)

রিমান,,,,,,,,, হুমম অনেক।

রুহি,,,,,,,আমাকে যদি তোমার মোটা মনে হয় তাহলে তোমার কেমন মেয়ে চাই অদৃশ্য।

,,,,,,,,,,, নিজেকে কখনো আয়নায় দেখছস।

রুহি প্রচন্ড রেগে গিয়ে বলে,,,,,,,, রিমান তুমি এখনি গাড়ি থেকে নেমে যাও। না হলে আমি কিন্তু মেরে ফেলবো।

,,,,,,,,,,, নেমে তো যাবো শুধু আরেকটু এগিয়ে দে। আমার উপর না হয়, আমার পায়ের উপর মায়া কর।

রুহি জোরে গাড়ি চালাতে থাকে। রিমনের বাসার সামনে এসে রিমানকে ধাক্কা মেরে গাড়ি থেকে বের করে দেয়।

রিমান,,,,,,,, এতো বড়ো অপমান আমাকে।

রুহি গাড়ি চালিয়ে নিজের বাসায় চলে যায়। বাসায় গিয়ে নিজেকে আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখছে। আর কান্না কান্না ভাব নিয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে আছে।

আহান বার বার সিরির দিকে তাকিয়ে যখন দেখে দিয়া এখনো আসছে না, তখন আহান ছাদে যায়। গিয়ে দেখে দিয়া দুলনায় পা উঠিয়ে মাথা পায়ে গুজিয়ে বসে আছে।

আহান সেখানে গিয়ে কয়েকটা কাশি দেয়, দিয়া মুখ তুলে তাকায়। আহানকে দেখে দিয়া উঠে দাঁড়িয়ে যায়।

আহান,,,,,,,,দাঁড়িয়ে গেলি কেনো।

দিয়া,,,,,,,,, স্যার আমি আপনার বাসার কাজের লোক আর কাজের লোক হয়ে মালিকের সামনে পা উঠিয়ে বসে থাকা উচিত হবে না।

আহান,,,,,,,,, তোর মনে হয় না একটু বেশি বলছিস।

দিয়া,,,,,,,,আমি ঠিক কথা বলছি,,, আপনার কি কিছু লাগবে স্যার।

আহান,,,,,,,,, হুমম লাগবে,, আমার সাথে আয়।

আহান নিচে যায়, দিয়া তার পিছনে পিছনে। আহান গিয়ে খাবার টেবিলে বসে বলে,,,,,,আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়।

দিয়া কিছু না বলে চুপচাপ খাবার নিয়ে আসে।

আহান,,,,,,,,, আরেকটা প্লেটে খাবার বেড়ে নিয়ে আয়।

দিয়া,,,,,,,,আরেকটা কেনো আবার কেও আসবে নাকি।

,,,,,,,,,,, যেটা বলেছি সেটা কর।

দিয়া আরেকটা প্লেটে খাবার নিয়ে আসে। আহান প্লেটটা দিয়ার দিকে এগিয়ে দেয়। আর দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,, বস,, আমার সাথে বসে খাবি।

দিয়া,,,,,,,,, আরে স্যার কি বলেন, আপনার সাথে বসে খাওয়ার যোগ্যতা নেয় আমার।

,,,,,,,,, খেতে বলছি চুপচাপ খা।

,,,,,,,,,আমার ক্ষিধে নেয়।

,,,,,,,,কিন্তু আমার আছে।

,,,,,,,,তো খান আপনি।

,,,,,,,,,, আমার একা খেতে ভালে লাগে না। তাই তুই ও আমার সাথে বসে খাবি।

,,,,,,,,,,খাবো না আমি।

আহান তার হাত জোরে টেবিলের উপর রাখে, দিয়া ভয় পেয়ে যায়। আহান রেগে বলে,,,,,,,,চুপচাপ বসে খাবারটা খেয়ে নে, না হলে কিভাবে খাওয়াতে হয় আমি জানি।

,,,,,,,,,, কিভাবে খাওয়াবেন আপনি হুমম,, খাবো না আমি।

,,,,,,,,,,তুই খাবি না তোর ঘাড় খাবে।

বলে উঠে গিয়ে দিয়াকে জোর করে বসায়,

দিয়া,,,,,,,,, কি করছেন, ছাড়ুন।

দিয়া উঠতে নেয়, আহান দিয়ার দু হাত ধরে রাখে কিন্তু দিয়া বার বার উঠে যাচ্ছিলো। তাই আহান চিয়ারে বসে তার কোলে জোর করে দিয়াকে বসায়। তার এক পা দিয়ার কোলে উঠিয়ে দেয়, যাতে উঠতে না পারে, আর এক হাত দিয়ে দিয়ার দুহাত সামনে রেখে জরিয়ে ধরে।

আরেক হাত দিয়ে খাবার নিয়ে দিয়ার মুখে জোর করে দিচ্ছে। আহান জোরাজোরি করে খাবার দিচ্ছে, যা দিয়ার না চাইলেও গিলে ফেলছে। কিছু ক্ষন পর দিয়া ছটফট করা বন্ধ করে দেয়। আর আহানের দিকে তাকিয়ে থাকে।

দিয়ার মুখের চারপাশে খাবার মেখে যায়, আহান একটা টিস্যু পেপার নিয়ে দিয়ার মুখ মুছিয়ে দিচ্ছে। দিয়ার ঠোঁট চোখ যেনো আহানকে আকর্ষিত করছে। আহান এক নজরে তাকিয়ে আছে।

দিয়া একটু নড়ে উঠে, তখন আহানের হুশশ ফিরে, আহান ভালো করে তাকিয়ে দেখে সে কিভাবে দিয়াকে আঁকড়ে ধরে আছে। আহান তাড়াতাড়ি দিয়াকে ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়।

কয়েকটা ডোগ গিলে, দিয়ার দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি উপরে চলে যায়।

আহান,,,,,,,,, রাগ উঠলে কি করছি, কার সাথে করছি কিছু মাথায় থাকে না ইস্টুপিট। আমি দিয়ার দিকে আকর্ষীত হতে পারি না, কিছুতেই না।
,,,,,,,,,

দিয়া,,,,,,,,,,একে আমি ভালোবাসা বলবো নাকি ঘৃণা বুঝতে পারছি না (চোখে পানি নিয়ে)

রাত হয়ে যায়, দুজনে নিজের ঘর থেকে বের হয়নি। অনেক রাত করে বের হয়। বাহিরে এসে আহান জোরে টেবিলে গ্লাস রাখে কয়েক বার। দিয়া আওয়াজ পেয়ে আসে। আহান চুপচাপ সোজা টেবিলে বসে যায়।

দিয়া আহানকে খাবার বেরে দেয়। আহান খাবারের প্লেটের দিকে তাকিয়ে, দিয়ার দিকে শক্ত নজরে তাকায়, দিয়া চুপচাপ আরেকটা প্লেটে খাবার বেরে বসে পড়ে। দুজনে চুপচাপ খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়।

সকালে,,,,,,,,,

আহান দিয়াকে হসপিটালে ড্রোভ করে চলে যায়। দিয়া ভিতরে গিয়ে দেখে রুহি মন খারাপ করে বসে আছে। দিয়া রুহির কাছে গিয়ে বসে।

দিয়া,,,,,,,কি হলো এমন মুখ করে রেখেছিস কেনো, অসুস্থ নাকি।

রুহি,,,,,, হুমম,,কাল রাত থেকে কিছু খাইনি তাই (মন খারাপ করে)

,,,,,,,,,,,, কোন দুঃখে শুনি।

,,,,,,,,রিমান আমাকে মোটা বলেছে, এটা শুনার পর আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে নাকি।

,,,,,,,,,, তোকে মোটা বলেছে,,, তোর ওজন কতো।

,,,,,,,কিছু ক্ষন আগে মাপিয়ে আসলাম ৪৯ কেজি।

,,,,,,,,,, মাত্র,, তোর তো আরো খাওয়া উচিত, আর তুই না খেয়ে আছিস। এভাবে চলতে থাকলে তোকে আর দেখা যাবে না। চুপচাপ আমার সাথে কেন্টিনে চল আর কিছু খেয়ে নে।

,,,,,,,, নামবে নারে, আমার গলা দিয়ে নামবে না।

,,,,,,, আরে চল তো।

,,,,,,,,, আরে দূররর ক্লাসে চল, খাবো না মানে খাবো না।

,,,,,,,,,,, তোরা দুই ভাই বোন এতো জেদি কেনো।

,,,,,,,,পরে বলবো নে এখন চল।

রুহি আর দিয়ার ক্লাস শেষ হয়। ওরা বাহিরে বের হয় বাগানে একটু বসে৷ পিছন থেকে রিমান আসে।

রিমান,,,,,,,, ঐ দিয়া কি বলে তুই নাকি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিস।

রুহি,,,,,,,,, দিয়া বলে দে, কথা বলবো না আমি ওর সাথে।

দিয়া,,,,,,,রিমান ও

রিমান,,,,,,,,,, দিয়া আমার পা ভাঙছে আমার কান ঠিক আছে।

দিয়া,,,,,,, আর তোমার চোখ ঠিক আছে তো, কোন দিক দিয়ে আমার বান্ধবীকে তোমার মোটা লাগছে।

রিমান,,,,,,, ওটা তুমি বুঝবা না।

তখন আহান আসে, দিয়াকে নিতে।

আহান,,,,,,,, সবাই এখানে,, রিমান তুই কি পা দেখাতে এসেছিস।

রিমান,,,,,,, হ এমনি কিছু।

আহান,,,,,,এখন কেমন আছে তোর পা।

রিমান,,,,,,,, অনেক ভালো।

রুহি,,,,,,,, ভাইয়া এখানে তোমার একটা বোন ও আছে।

আহান,,,,,,,,,, ও হ্যাঁ কেমন আছিস।

রুহি,,,,,,,কোনো রকম।

তখনি ড.সৌরভ আসে। একটা পানির বোতল আর কিছু নোট নিয়ে।

সৌরভ ,,,,,,,,দিয়া এই নাও তোমার নোট, আমি অনেক ভালো করে লেখে রেখেছি তেমার বুঝতে কোনো প্রবলেম হবে না।

দিয়া,,,,,,,, ধন্যবাদ। আর এতো কষ্ট করার কি দরকার ছিলো।

সৌরভ,,,,,,,,,, আরে এটা তেমন কিছু না। আচ্ছা রুহি তোমার আজকের কিছু ফাইল আছে,দিতে ভুলে গেছি, পিল্জ একটু এসে তোমার কোর্ড নাম্বার দিয়ে নিয়ে যাও।

রুহি,,,,,,,, হুমম আসছি।

রিমান,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, ডক্টর আপনার পানির বোতলটা একটু দিয়ে যান।

,,,,,ওকে নেন।

রুহি উঠে আস্তে আস্তে হাটছে। সৌরভ রুহির বাহুতে ধরে বলে,,,,,,তোমার দুর্বল লাগছে চলো আমি দিয়ে আসি।

রুহি,,,,,,ধন্যবাদ।

সৌরভ আর রুহি চলে যায়।

দিয়া,,,,,,,,,, ডক্টর সত্যি খুব ভালো।

পিছনে তাকিয়ে দেখে আহান বাঘের মতো চেয়ে আছে দিয়ার দিকে। দিয়া ভয়ে পিছিয়ে যায়।

আহান,,,,,,,,এতো ভালোবাসা তাই না।

দিয়া,,,,,,,,আরে অদ্ভুত, আমি কিছু করেনি।

আহান,,,,,,,,দেখলাম তো আমি, কষ্ট করে নোট করে দিয়েছে।

রিমান,,,,,,, তোর সমস্যা কি, ভালোবাসে তাই তো দিয়েছে (পানি পান করতে করতে)

দিয়া,,,,,,,,আরে দূরর সৌরভ আমাকে না দিয়াকে পছন্দ করে।

এটা শুনার সাথে সাথে রিমানের মুখ থেকে পানি বেরিয়ে যায়।

রিমান,,,,,,,, কিহহহ

দিয়া,,,,,,,,,হ্যাঁ, সৌরভ তো আমাকে নিজের বোনের মতো দেখে তাই হেল্প করে।

আহান,,,,,,,সত্যি (খুশি হয়ে)

দিয়া,,,,,, হুমম

আহান,,,,,,,,তাহলে ঠিক আছে।

রিমান ,,,,,,,,,কি ঠিক আছে রে। তোর বোনকে পছন্দ করে।

আহান,,,,,,,হ্যাঁ তো, এটা তো স্বাভাবিক, করতেই পারে। আচ্ছা আমরা গেলাম, আয় তোকে ড্রোপ করে দিয়।

রিমান,,,,,,, তোরা যা আমার কাজ আছে।

বলে রিমান জোরে জোরে হাঁটতে থাকে, কিছু ক্ষন পর দৌড়িয়ে যায়।

আহান,,,,,,,,,ওর না পায়ে ব্যাথা।

দিয়া,,,,,,,,, আমিও বুঝলাম না।

আহান,,,,,,আচ্ছা চল তোকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।

দিয়া,,,,,,,,চলেন।

রিমান তাড়াতাড়ি গিয়ে, কয়েক রুম খুঁজে দেখে রুহি চেয়ারে বসে আছে সৌরভ তার কপালে হাত দিয়ে রেখেছে, রিমান তাড়াতাড়ি গিয়ে হাত সরিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,,, কি করছেন।

সৌরভ,,,,,,,, আরে রুহির শরীরটা ভালো লাগছিলো না, তাই ওর জ্বর আছে নাকি চেক করছিলাম।

রুহি,,,,,,,,,, ভাইয়া তুমি এখানে।

রিমান,,,,,,,, ভাইয়া,,,,তোর চেকাপ করানো লাগবে না, আমি জানি তোর কি হয়েছে, আর কি করা লাগবে। চল আমার সাথে।

সৌরভ,,,,,,,,,, আপনি ওকে কেনো নিয়ে যাবেন।

রিমান,,,,,, আজকে আমাকে নতুন দেখছো নাকি। রুহি খাবার খায়নি, খেলে ঠিক হয়ে যাবে। চল রুহি।

রুহি,,,,,,, যাবো না।

রিমান,,,,,,,, তুই যাবি না তোর ঘাড় যাবে।

রিমান জোর করে রুহিকে নিয়ে যায়।

চলবে,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here