লাভনীতি-১২

0
2146

#লাভনীতি
বিথি হাসান-১২

৩২.
আজ “শরীফ নিবাসে” আনন্দের ধুম পড়েছে।আহমেদ শরীফ পায়ের উপর পা তুলে সোফায় বসে মালাই চা খাচ্ছে। আর একটু পর পর অট্টহাসি তে ফেটে পরছে। মিসেস শরীফ মানে নম্রতার মা রান্না ঘরে আর বসার ঘরে এক প্রকার দৌড়াদৌড়ি করছে।রান্নার তদারকি করছে আর বসার ঘরে এসে সবার সাথে হেসে যাচ্ছে। বাড়িতে মানুষের অভাব নেই।আনন্দের ও অভাব নেই।

এতো আনন্দের মাঝে চুপচাপ বসে আছে আফসানা।তার মনে একটু ও সুখ নেই।আজকে যে তার প্রিয় মানুষটি অন্য কারো হয়ে যাবে।সে এটা কিভাবে সহ্য করবে?কে বলেছিলো এখানে আসতে?এই নম্রতা মিথ্যে বলে তাকে এখানে নিয়ে এসেছে।নম্রতার আর কি দোষ?সে কি আর জানে তার ভাইকে অন্য কারো সাথে দেখার আগে আফসানা মৃত্যু পছন্দ করে?পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ এতো খুশি যে তাদের খুশি দেখে যে কেউ খুশি হয়ে যাবে কিন্তু আফসানা কিভাবে খুশি হবে?অর্ক কিভাবে তার সাথে এতো বড় বেঈমানী করতে পারল?তবে কি অর্ক কখনো তাকে ভালোই বাসেনি?

আজকে ঘুম থেকে ওঠেই নম্রতা একপ্রকার তাকে সবকিছু প্যাক করার জন্য তাড়া দিতে থাকে।নম্রতা নাকি বাড়ি যাবে তাকেও যেতে হবে।বাড়ির সবাই যাচ্ছে দেখে আফসানা অবাক হলেও কিছু বলে না।কারন আফসানা ও নম্রতাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে মন টানছিলো।এমনে তে শেষ বারের মতোই না হয় অর্ককে দেখে যাবে।বহুদিন হয়ে গেছে অর্ককে দেখা হয় না।অর্কের দেখার আশায় এখানে আসলেও এখন পর্যন্ত অর্ককে এক পলক দেখতে পায়নি সে।সেই শোকে যখন কাতর তখনই নম্রতার কাজিনদের গুনজন শুনা গেলো আজ নাকি “অর্কের বিয়ে”।দুনিয়া গুরতে শুরু করলো আফসানার।কি বলে এসব অর্কের বিয়ে?

সে কোন রকম নম্রতার হাত ধরে টেনে রুমে ডুকিয়ে কাপতে কাপতে জিজ্ঞেস করে,

—-“আ আজ নাকি অর্ক ভাইয়ের বিয়ে?

—“হু।

—–“আমাকে জানালি না কেন তাহলে?এই জন্যই এখানে আসছি আমরা?

—-“তুই তো জিজ্ঞেস ও করিসনি কেন আসছি?

চুপ হয়ে গেলো আফসানা।আসলেই সে জিজ্ঞেস করেনি।সে ভেবেছে হয়তো নম্রতার সাথে সাথে তার পরিবারও হেঙ্গআউট করতে এসেছে নম্রতাদের বাড়িতে।কিন্তু কাহিনি ভিন্ন। তার প্রচুর কাদতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে তার কান্না আসছে না।তাহলে তার মন পাথর হয়ে গেলো?আর কখনোই কি সে কাদতে পারবে না?বেঈমান, হনুমান,রাম ছাগলের নানা অর্কের বাচ্চা অর্ক।এই তার সারপ্রাইজ?কি হবে এখন তার?

——————————
৩৩.
নম্রতার রুমে বেডের উপর শুয়ে আছে আসাদ।এই প্রথম সে তার শশুরবাড়ি আসছে।খাতিরদারির কোনো কমতি নেই।একটু পর পর নম্রতার কাজিন গুলো এসে তাকে নেতা দুলাভাই বলে বলে কাছে এসে সেলফি তুলছে।কেউ আবার অটোগ্রাফ ও নিচ্ছে তো কেউ লাইভে এসে লাইক কমেন্ট কুড়াচ্ছে।আসাদ কিছু বলতে ও পারছে না। সইতে ও পারছে না।আর এই নম্রতা টা যে কই গেলো?সেই এসে তাকে বসার ঘরে চা খেতে দেখেছে আর দেখা পায়নি।
আসাদ এসেছে জেনেও যেন নম্রতা কোন খেয়ালই নেই।সে নিজের মনে সোফার বসে এক পায়ের হাটুতে হাত রেখে সেই হাতে বিস্কুট নিয়ে চায়ে ডুবিয়ে ডুবিয়ে খাচ্ছে।

গায়ে তার একটা সাদা শর্ট হাতার টপস।প্লাজোর এক পা উঠে ফর্সা পা দেখা যাচ্ছে অনেক খানি।মাথায় দুই ঝুটি।কোন সাজ ছাড়া এভাবে নম্রতা কে দেখে আসাদের কয়কটা হার্টবিট মিস হয়ে গেছে।নম্রতাকে এভাবে সে বিয়ের এতোদিন পরেও দেখেনি।বসার ঘরে নম্রতা বাবা,মা, মামা,মামী, চাচারা, চাচিরা,আর ফুপিরা ছাড়া কেউ না থাকায় নম্রতা খোলা মেলাই রয়েছে।

আসাদ কে দেখে না দেখার ভান করে চায়ে বারবার বিস্কুট চুবানোর দৃশ্য দেখে আসাদের সামান্য রাগ হলো।একে তো তাকে না বলে মামার সাথে এখানে চলে এসেছে।তার উপর তাকে ইগনোর ও করছে।একবার বাগে পাক।তারপর বুঝাবে এই বাবুকে ইগনোর করার ফল।

দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করে নম্রতা।রুমে বর্তমানে কেউ নেই।আসাদের ভাবনা কেটে যায়।নম্রতা দু ঝুটি দুলিয়ে দুলিয়ে রুমে ডুকে আলমারীর সামনে গিয়ে আলমারির একটা কাবাড খুলতেই সেটা সজোড়ে আবার লেগে যায়।কারন তাতে বারি মারা হয়েছে।কাবাড লাগতেই আসাদের ভয়াবহ চেহারা দেখতে পায় নম্রতা। নম্রতা একটু ভয় ভয় পেয়েও নিজেকে শান্ত রাখে কারন এটা তার বাড়ি এখানে তারই রাজত্ব।এই বাবু টাবুকে একদমই ভয় পায় না।

—-“তো মিসসে বাবু?

—-“হু?

—-“আপনি কি জানেন?আপনার নেতাজি সেই কখন থেকে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে?

—-“আমি জানি না আই মিন দেখেনি!!!

—-“অহ রিয়েলি??

—-“ইয়েস।ইট’স ট্রু।

নম্রতা ভেতরে ভেতরে কাপছে।আসাদ নিজেকে তার নেতাজি বলেছে শুনেই তার ভেতরে এই কম্পেনের শুরু হয়েছে।তার মানে এই আফসানা টা সব বলে দিয়েছে নাকি?নাহলে আসাদ এই ডাকটা জানলো কি করে?হাহ।একদম ঠিক হয়েছে আফসানার সাথে। এখন কষ্ট পাচ্ছে জেনেই তার প্রতি আর রাগ থাকছে না।

আসাদ যে তার এতো কাছে চলে আসছে সেদিকে তার খেয়ালই নেই।সে আসাদের চোখের দিকে তাকিয়েই ভেবে যাচ্ছে আফসানার কথা।আসাদ নম্রতার বেখেয়ালির সুযোগে গালে একটা কিস করে দিলো।নম্রতা চোখ বড় বড় করে তাকাতেই আসাদ হেসে চোখ মেরে দিলো।

নম্রতা একটা ভেংচি কেটে আসাদ কে ক্রস করে বেলকনিতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে ও শান্তি হয়নি।আসাদও পিছে পিছে আসে।বেলকনি থেকে টাওয়ালটা নিয়ে সামনে গুরতেই আসাদের কপালের সাথে জোরে একটা বারি খায়।নম্রতা চিল্লিয়ে ওঠে।আসাদ নম্রতার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে।আর ফিসফিস করে বলে ওঠে,

—-“মিসেস বাবু দিন দুপুরের ও কি চোখে দেখো না।আমি তো!!

—“আপনাকে কি ভীমরতিতে ধরলো?

—-“নাহ।ভদ্রতায় ধরেছে।?

—-“অসহ্য!!!

নম্রতার নিজের নাম ব্যাঙ্গ করা একদমই পছন্দ না।আর এই বিষয়ে আসাদ জানলে আরে ইচ্ছে করে করবে।তাই কিছু বলতেও পারছে না।

আবার রুমে আসতেই আসাদ পিছন থেকে নম্রতা কে জরিয়ে ধরে।নম্রতা চুপচাপ দাড়িয়ে থাকে।একদম শক্ত হয়ে।আসাদ নম্রতার শান্ত শরীরের আরো প্রেমে পরে যায়।সে মনে মনে প্রার্থনা করতে থাকে যে,

—-“ইশশ।এই মেয়েটা যদি সবসময় আমার আদরে এভাবে চুপচাপ থাকত।।

নম্রতার চুপসে যাওয়ার কারনটা খুব সোজা তবে সেটা তার জন্য যে জানে নম্রতার মনেও আসাদের জন্য রয়েছে অনেক সুন্দর অনুভূতি। তবে বেচারা আসাদ তো সেটা জানে না।সে ভেবেছে হয়তো নম্রতা রেগে গেছে।কিন্তু নম্রতা নিজের মাঝে লজ্জায় হারিয়ে গেছে।আসাদ যখনই তাকে ছুয়ে দেয় তখনই সে হারিয়ে যায়।তার ও ইচ্ছে করে নিজের মানুষটির সাথে হারিয়ে যেতে তবে,,,,

—–“তোমার জন্য কিছু শপিং এনেছি।আমি চাই আমার বউ আমার পছন্দ করা জিনিস ব্যবহার করুক।আই হোপ তোমার পছন্দ হবে।নাহলেও আই’ম ইউর লিগাল হাসবেন্ড দ্যাট’স হোয়ায় তোমাকে পরতেই হবে!!একটু পর হয়তো আম্মু আসবে(আসাদের মা)।আম্মুর একদম সাথে সাথে থাকবা।আম্মুকে একা রেখে কোথাও যাবা না।যদি দেখি আম্মু একা তবে ভাইয়ের বিয়ে খাওয়াবো তোমাকে।বউকে কিভাবে টাইট দিতে হয় সেটা আমি ভালো করেই জানি বুঝিতে পেরেছেন মিসেস বাবু??

নম্রতার মুখ অন্য দিকে গুরানো ছিলো বিধায় আসাদ তার মুখের লজ্জাময় হাসিটা মিস করেছে।আসাদ সামনে থাকলে নম্রতা কখনোই হাসত না।আসাদ যখন তাকে বউ বলে ডাকে নম্রতা কাউকে বিশ্বাস করাতে পারবে না যে তার কতটা ভালো লাগে।সে লজ্জায় ডুকরে উঠে। তবে বিয়ে খেতো দিবে না শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।সে আসাদ কে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে।আসাদ মিটমিট করে হাসে।

—-“আপনি আমাকে না বললেও আমি মায়ের (আসাদের মা)সাথে সবসময়ই থাকতাম।তবে যেহেতু এর জন্য আমাকে বিয়ে খেতে দিবেন না।তখন আপনিই আপনার মায়ের সাথে থাকিয়েন।আমাকে কেন আমার চুলের নাগাল আপনি আর পান নাকি সেটা দেখেন।জামাই কিভাবে কন্ট্রোলে রাখতে হয় সেটা আমিও ভালো করে জানি।কি বলেছি বুঝতে পারছেন মি.জঙ্গলের বাসিন্দা।ওপস সরি মি.বাবু!!!?

—-“তাই নাকি মিসেস?তো জামাই কিভাবে কন্ট্রোলে রাখে?

—“যেভাবে বউ টাইট দেয়।হাহ

—-“চলো দেখিয়ে দেই কিভাবে টাইট দিতে হয়।দেখবে নাকি?

—-“দূ দূরে হোন।এটা বিয়ে বা বাড়ি।দেখি সড়ুন সবাই ডাকছে বোধ হয়।দরজা এতক্ষণ লাগিয়ে রাখলে সবাই অন্য কিছু ভাববে।

—-“অন্য কিছু?তা সেই অন্য কিছুটা কি মিসেস ভদ্রতা?

—-“আমার মন্ডু!!দেখি ছাড়ো!!

—-“হ্যা? কি বললে?ছাড়ো??এই তুমি আমাকে তুমি করে বললে?

—-“আহো আমার প্রিয়তম রে তাকে আমি তুমিইই করে বলতে যাবো।আমার বয়েই গেছে কখন বললাম শুনি?কান পরিস্কার করুন। নিজের কানে সমস্যা আবার আমার কথা ভুল ধরতে এসেছে।

আসাদ মুচকি মুচকি হাসছে।সে জানে নম্রতা তাকে তুমি বলেছে।তারপর ও কিছু বলল না।যদিও সে জানে না নম্রতা ইচ্ছে করে বলছে নাকি অনিচ্ছায় কিন্তু বলছে তো।পরে যদি আর জীবনেও না বলে।এমনে তে তুমি বলা নম্রতার মুখে মধুর মতো লেগেছে আসাদের কাছে।প্রিয়তমার মুখে প্রথম তুমি বলা আসাদের কাছে “গ্রীষ্মকালের কাঠ ফাটা রোদের পর বর্ষাকালের প্রথম বৃষ্টির ফোটার” মত লেগেছে।নম্রতা যদি ভুল করে তুমি বলে থাকে তবে সে যেন এই ভুল বারবার করে।

—————————–
৩৩.
আজকে অর্কের হলুদ ছোয়া।অর্ক একটা সাদা সেন্টু গেঞ্জি এবং সাদা লুঙ্গি পরে গুরে বেড়াচ্ছে সারা বাড়ি।বিয়েটা তার হলেও দায়িত্ব টা ও তারই কাধে পরেছে।তার কোন বড় বা এমন কাছের সমবয়সী ভাইও নেই বর্তমানে কাছে।একটা ছিলো তামিম।সে তো থাকে কোন সুদূরে।আর বাকি থাকে নম্রতার জামাই আসাদ।সে তো ছোট বোনের জামাই।তার উপরের এই প্রথম এসেছে।এতো ধনী মানুষ দিয়ে কাজ কিভাবে করায়?বাবা সে তো আগেই শর্ত দিয়ে দিয়েছে,,,

—–“দেখ অর্ক,সবাইকে রাজি করিয়েছি সেটা বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হলো,,,এখন বিয়ে করলে টাকা লাগলে আমি দিলেও কোন খাটাখাটনি করতে পারব না।সরি।”

অর্ককে এভাবে এই লুকে দেখে ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে আফসানার।নিজের মানুষ গুলো তাকে আজকে এতো পিরা কেন দিচ্ছে? হলুদ শাড়ি পরে বসার ঘরের সোফায় বসে বসে অর্কের চলাফেরা লক্ষ করছে আফসানা।অর্ক কেন তার দিকে তাকাচ্ছে না?আচ্ছা,সে অর্কের সাথে কোন রকম ভুল বা অপরাধ করেনি তো?কই তার তো এমন কিছু মনে পরছে না।বরং অর্ক তার সাথে মিস বিহেভ করেছে।তাকে অবহেলা করেছে।

মন ভালো না থাকার কারনে আফসানার সাজতে ও ইচ্ছে করছে না।বড্ড একা থাকতে ইচ্ছে করছে।সব কিছু সহ্য করছে কারন সে দূরে এমনে ও চলে যাবে।শেষে না হয় অর্ক কে অন্য কারো হতে দেখে যাবে।দুঃখ শুধু একটাই অর্ককে রিয়েলাইজ করাতে পারে নাই যে সে অর্কের পাগল।

আফসানা জল ভরা চোখে সোফায় বসা অন্য প্রান্তের দিকে তাকালো।যেখানে বর্তমানে হলুদিয়া পাখি মানে নম্রতা গাঢ় সবুজ একটা শাড়ি পড়া অবস্থায় তার শাশুড়ীর পাশে বসে আছে।কি মিস্টি লাগছে নম্রতাকে।গায়ে ভারি গহনার প্লাবন ও অনেক।প্রথম দেখায় মানুষের মুখ থেকে বের হয়ে আসবে একটাই কথা”সোনায় সোহাগা”।বড়লোকের বউদের এমনই দেখে আসছে আফসানা।কিন্তু নম্রতার তো এমন ভারি কিছু পছন্দ না।হয়তো নম্রতার শশুরবাড়ি লোকজন আছে তাই। আসাদের পাশে বেশ মানিয়েছে।নম্রতার শাশুড়ী মিসেস লায়লা হাতে পায়েস এর বাটি নিয়ে নম্রতাকে খায়িয়ে দিচ্ছে।আর একটুপর পর দুজনের দিকে মমতাময়ী দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ।কারন নম্রতার পাশেই আসাদ ফোন নিয়ে বসে আছে।শুধু বসে নেই শাড়ির পিছন দিয়ে নম্রতার কোমড় আকড়ে ধরে রেখেছে।তবে সেটা একদমই মিসেস লায়লার অগোচরে।আসাদ হাতটা নম্রতার পেটের কাছে নিয়ে
একটা চিমটি কাটতেই চিৎকার দিয়ে ওঠে নম্রতা। আসাদ এমন ভাব করে যেন সে কিছু জানেই না।

—-“কি হয়েছে?বলো?(আসাদ)

—–“কি হয়েছে রে মা?চিৎকার দিলি কেন?(মিসেস লায়লা)

—“কিছু না মা।জীবে কামড় খেয়েছি।(নম্রতা)

—“ঠিক মতো খাবারই খেতে পারে না।দেখছো মা।একে নিয়ে সংসার হবে না।(আসাদ)

—-“না হলে নাই।নিজেই আমাকে বিয়ে করছেন জোর করে।আমি তো করিনি!!

—“তুমি আমাকে যে তাবিজ করছো তার জন্যই তো এমনটা করেছি আমি!!বাবা রে বাবা। তাবিজের সে কি শক্তি। তোমাকে ছাড়া আর কিছু চোখেই পরে না।সাংঘাতিক ব্যাপার!!!

নম্রতা কনুই দিয়ে এক গুতা মারে আসাদের পেটে।তাতে আসাদ ও আসাদের মা উচ্চস্বরে হেসে দেয়।নম্রতা একটা লজ্জাময় ফেস করে রাখছে।সেদিন ঘুম থেকে ওঠে আসাদের পাগলামীর কথা শুনেই আফসানার মনে হয়েছে নম্রতা সুখে আছে।আজকে দেখেও নিলো।আফসানার চেহারায় মলিন একটা হাসির রেখা দেখা যায়।যাক নম্রতা তবে সুখেই আছে।ভাইকে খবরটা জানানো দরকার।
সুখটা খুব ভয়ংকর!!!সব দুঃখ সহ্য করে নিতে পারলেই সুখ ধরা দেয়।ধরা দিবেই,,,

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here