যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি ১৪

0
677

#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি

#লেখিকা_সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি

#পর্ব_১৪

সব প্রমিজ মিথ্যে ছিল তোমার,সব সপ্ন ছিল মিথ্যে দিয়ে সাজানো,তুমি তো চেয়েছিলে মিথ্যে কারো সঙ্গ সাময়িক সময়ের জন্য!

আমার ওতো সাধ্য ছিল না,তোমার অভিনয় বুঝার,আমি ত নির্বাক পাখির মতোই,আটকে আছি ছলনার মায়াজালে তোমার!

আমি কখনো বুঝেছি,বুজেও ভেবেছি,নও তুমি এমন,আমাকে হয়তো ভালবাস তোমার মনের মতোন!
কিন্তু হায়……….
সবি ছিল তোমার অভিনয়!!!!!

অভিশাপ নয়,এটাও তোমার প্রতি আমার ভালবাসা,ভাল থেকো তুমি,ভেবো না কখনো এই আমার কথা!
ভেবে নিব সব,সব মিথ্যে,অজুহাত ছিল সময়ের সাথে দূরে সরে যাওয়া!!

স্নিগ্ধার ফেসবুক স্ট্যাটাস’টা দেখে ভেঙে পরলো সাফরান।কতোটা কষ্ট দিয়ে ফেলছে স্নিগ্ধাকে তা নিজেই টের পাচ্ছে।স্নিগ্ধা কে কষ্ট দিয়ে কী সাফরান নিজে খুশি আছে? স্নিগ্ধা হয়তো এ বাড়িতে আর আসবে না। না আসলেই ভালো স্নিগ্ধাকে সামনে দেখলেই অন্য সব কিছুর কথা ভুলে যায় সাফরান।স্নিগ্ধার চোখের সামনে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। স্নিগ্ধাও কষ্ট পাবে।তার থেকে স্নিগ্ধা দূরে থাকুক।ফাহিমাকে বিয়ে করলে একে একে তিনটা জীবন নষ্ট হবে।সাফরান কখনো ফাহিমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবে না।এদিকে ফাহিমাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যার পথ বেচে নিবে।কী করবে সাফরান? চারোদিকে অনিশ্চয়তা আর অন্ধকার দেখে সাফরান দু হাতে মুখ ঢেকে বসে থাকে।

বাড়ির সবাই বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।সাফরানের মা’র অনেক ইচ্ছা ছিলো ছেলের বিয়ে ধুমধাম করে দিবে কিন্তু সাফরান চায় না।আজ রাতেই ফাহিমা ও সাফরানের এনগেজমেন্ট। তাই সকাল থেকে বাড়ির সবাই কাজে লেগে পড়ছে।রাফিয়া আহমেদ খেয়াল করলো সাফরান বিয়ে নিয়ে কোনো আগ্রহই দেখাচ্ছে না।যে ছেলে দায়িত্বের উপর অটল থাকে সে তার এনগেজমেন্ট এর দিন দরজা জানালা বন্ধ করে রুমে শুয়ে আছে।রাফিয়া আহমেদের মনে খটকা লাগে।সাফরান ও ফাহিমার বিয়ের কথা শোনার পর থেকে স্নিগ্ধাকে আর এ বাড়ি তে আসতে দেখে নাই।এমনকি কাউকে কিছু না বলে চলে গেছে বাড়ি থেকে।রাফিয়া আহমেদ ভাবলো ছেলের থেকে জিজ্ঞেস করবে কিন্ত পরমুহূর্তে চিন্তাটা বাদ দিয়ে কাজ করতে লাগলো। সাফরান ও ফাহিমার বিয়েতে সাফরানের ফ্যামিলিতে কেউ খুশি না হলেও ফাহিমার ফ্যামিলি অনেক খুশি হয়েছে।তাদের এতোদিনের পরিকল্পনা এবার সত্য হতে যাচ্ছে,,,,বক্কর আহমেদ বউ এবং মেয়েকে কাছে বসিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে।

—শাবাশ মা! তোর বাবা এতোদিন যা করতে পারে নাই।আজ তুই তা করে দেখিয়েছিস। I’m so proud of you. তোর মাধ্যমেই আমি আজাদ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারবো।আজ ওর জন্যই আমার এই অবস্থা। চোখ মুখে কঠিন ভাব এনে বক্কর আহমেদ বললো,
মা বেচে থাকা কালীন মা ও’কে সব সম্পত্তি লিখে দেয়।বাবার অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি পেয়েছে ও আর আমাকে সব ক্ষেত্রে ঠকিয়েছে।

—বাবা আমি সাফরান ভাইয়ার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যে বিয়ে করছি না।আমি সাফরান কে ভালোবাসি।তুমিও তো জানো সাফরান ভাইয়া বড় আব্বুর মতো না।অনেক ভালো একটা ছেলে।আমি সাফরানকে পাওয়ার জন্যই তোমার প্লানে রাজি হয়েছি।

—জানিরে মা।আর আমিও এটাই চাই।সাফরানকে ধীরে ধীরে আজাদ থেকে বিছিন্ন করে দিতে হবে।আজাদকে আমি পথের ভিখারি বানিয়ে ছারবো।

—আচ্ছা বাবা আমি পার্লারে যাই।

ফাহিমা চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বক্কর আহমেদ বললো।আমিও তো চাই মা তুই আর সাফরান সুখে থাক আমরা সুখে থাকি।কিন্তু আজাদ ও রাফিয়া কে আমি কখনো সুখি হতে দিবো না।আমার মেয়ের মাধ্যমেই সাফরানকে ওই পরিবার থেকে আলাদা করে ফেলবো,হাহাহাহাহহা,,,,,,,,

—————–

—কী’রে কলেজে আসিস না,ফেসবুকে কী সব ইমোশনাল পোস্ট করছিস,ঠিক আছিস তো তুই?

ফারজানার কথায় স্নিগ্ধা শোয়া থেকে উঠে বসলো। কিন্ত কিছু বললো না।

ফারজানা স্নিগ্ধার দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে বললো “কিরে তোর চেহারার এই অবস্থা কেনো? চোখের নিচের ডার্ক চার্কেল পড়ে গেছে,হরর মুভিতে চান্স পেয়েছিস নাকি?

ফারজানার রসিকতায় স্নিগ্ধা ফারজানার হাত টেনে তার পাশে বসালো তারপর বললো” সাফরান ভাইয়ার বিয়ে জানিস?”

—না জানতাম না এখন জানলাম।আর বিয়ে তো কী হয়েছে?বয়স হয়েছে বিয়ে হবে না?

—আমি সাফরান ভাইকে ভালোবাসি।

স্নিগ্ধার কথায় ফারজানা মুখ হা করে চোখ বড় বড় করে তাকালো ” সিরিয়াসলি?তুই ভালোবাসিস তাও ওই রোবট লাল চোখ ওয়ালা সাফরানকে?I’m so sorry dost but I can’t take this joke.

—আমার এই অবস্থা দেখে তোর মনে হচ্ছে আমি রসিকতা করছি?

স্নিগ্ধার চোখে অশ্রু দেখে ফারজানা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো। “সত্যিই তাহলে”

—হ্যা আমার প্রেম শুরু হওয়ার আগেই শেষ বারবার কেনো আমার সাথেই এমন হয় ফারজানা?

—শুধু তোর সাথে না স্নিগ্ধা আমার সাথেও তো ধোকাই হয়েছে ভালোবেসে যাকে বিয়ে করার জন্যে পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে ছিলাম সেই সাইফ কি করেছে জানিস তো তুই।আসলে ছেলে মানুষরাই এমন।

—আমারো তাই মনে হয়। ভালোবাসা বলতে কিছু নেই যা আছে সবই মায়া।আর সাফরান ভাইয়ার প্রতি মায়া কাটিয়ে উঠতে পারলে আবারো আমি আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো।

—একদম ঠিক বলেছিস।তাই আর কান্না,ইমোশনাল স্ট্যাটাস আর নয়।সাফরানকে বুঝা যে তুই ভালো আছিস।

স্নিগ্ধা বিছানা থেকে উঠে ব্যল্কনি তে দাঁড়ায় তারপর বলে “জানিস ফারজানা,সাফরান ভাইয়া অনেক রাতে এই ব্যল্কনি দিয়ে আমার রুমে এসে আমাকে দেখে যেতো যখন আমাকে মিস করতো”

—হইছে তুরে আমি বুঝাচ্ছি কী আর তুই বুঝতেচস কী? তোর দ্বারা হবে না।আমারই কিছু করতে হবে।

ফারজানা ফোন বের করে রিদ্ধি কে কল দিলো।

————————

ফাহিমা প্লীজ তুই একাই যা নাহয় সাহিল কিংবা তোর বান্ধবীদের নিয়ে যা।আমার ভালো লাগছে না।

—প্লীজ সাফরান।চলো আমার সাথে পার্লারেই তো যাবো।

—ফাহিমা এখনো আমাদের বিয়ে হয় নাই আর বিয়ের আগে তুই আর আমি এক সাথে থাকাটা ঠিক না।রুম থেকে বের হ এখন কেউ দেখলে সমস্যা।

—তোমার আমার বিয়ে হচ্ছে,কে,,,,,

ফাহিমা কথা শেষ করতে পারলো না।তার আগেই সাফরান ফাহিমার হাত ধরে রুমের বাইরে নিয়ে আসলো তারপর দরজা বন্ধ করে দিলো।সাফরানের এমন ব্যবহারে ফাহিমা কষ্ট পেলো অনেক। চোখের পানি মুছে সাফরানের দরজার দিকে তাকিয়ে বললো ” যতো ইচ্ছা ইগ্নোর করো,বিয়ের পরই তোমাকে জয় করে নিবো,তখন চাইলেও আর আমাকে তোমার থেকে দূরে সড়াতে পারবে না”
ফাহিমা তার বান্ধবী ইথি কে নিয়ে পার্লারে গেলো।

রাফিয়া আহমেদ ও সাহিল দুজনে হলঘরটা হাল্কা ডেকোরেশন করিয়েছে।
–মা আমার এই বিয়েতে কাজ করতে একটুও ভালো লাগছে না।স্নিগ্ধা আপুকে কল দিয়েছি ফোন বন্ধ।ফুপিকে আসতে বলেছি সন্ধ্যায় আসবে।

—স্নিগ্ধা আসবে?

—স্নিগ্ধা আপু অসুস্থ।

—কী হলো আবার স্নিগ্ধার।

রাফিয়া আহমেদ চিন্তায় পড়ে গেলেন।

————————

পাশাপাশি ফাহিমা ও সাফরানকে বসানো হয়েছে।সাফরান বারবার সবার দিকে তাকিয়ে স্নিগ্ধা কে খোজছিলো।স্নিগ্ধার মা আতিয়া রহমান আসছে কিন্তু স্নিগ্ধা আসে নাই।সাফরানের বুকের ভেতরটা এক অসহ্য হাহাকারে স্নিগ্ধাকে ডেকে যাচ্ছে ক্রমাগত। সময়টা এমনো তো হতে পারতো,সাফরানের পাশে ফাহিমা নয় স্নিগ্ধা বসে আছে।ফাহিমার দিকে একটিবারের জন্যেও ঘুরে দেখেনি সাফরান।

—এটা কোনো এনগেজমেন্ট এর অনুষ্ঠান হলো।না আছে হৈ-হুল্লোড় না আছে নাচ গান।স্নিগ্ধা আপুটা এই সময়েই অসুস্থ হয়েছে।

স্নিগ্ধার অসুস্থতার কথা শুনে সাফরান শিউরে উঠলো।

“কী হয়েছে স্নিগ্ধার?”

সাফরানের কথায় সকলে হতভম্ব হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলো

—-I asked what happened to Snigdha?

সাফরানকে এতো চিন্তিত হতে দেখে আতিয়া রহমান বলে উঠলো “একটু সর্দি কাশি হয়েছে,আর শরীর’টা দূর্বল।তাই আমি রেস্ট করতে বলেছি।

আতিয়া রহমানের কথা শেষ হতে না হতেই স্নিগ্ধার আগমন ঘটলো।স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে সকলে অনেক অবাক হয়ে গেলো। গ্রে কালারের লেহেংগা খোলা চুলে স্নিগ্ধাকে আরো বেশি সতেজ ও স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে। সাফরান বিমোহিত হয়ে তাকিয়ে আছে,কিন্তু পর মূহুর্তে বাপ্পিকে দেখে সাফরানের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠলো। বাপ্পিও স্নিগ্ধার ড্রেসের কালারের সাথে ম্যাচিং করে পাঞ্জাবি পরে এসেছে।

স্নিগ্ধা আসায় সাহিল অনেক খুশি হয়েছে।স্নিগ্ধার বান্ধবী ফারজানা ও তিন্নি ও এসেছে।সবাইকে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে স্নিগ্ধা বললো ” সাফরান ভাইয়ার এনগেজমেন্ট আর আমি আসবো না তা কী হয়,আর তাই সাথে করে আমার ফ্রেন্ডসদের ও নিয়ে এসেছি,কারণ তোমরা সবাই বোরিং পাবলিক, এনগেজমেন্ট এর অনুষ্ঠান কম মনে হচ্ছে কারো মৃত্যু বার্ষিকী” কথাটা বলেই স্নিগ্ধা খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। ফাহিমা ঈর্ষান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে। ফাহিমার থেকেও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে স্নিগ্ধাকে। ফাহিমা মনে মনে বলতে লাগলো ” ভালোই হয়েছে এই থার্ড পার্টি’টা এসেছে এবার চোখের সামনে দেখুক সাফরান কে আমার হতে”

—তোমাদের দুজনকে অনেক সুন্দর মানিয়েছে মিস্টার এন্ড মিসেস আহমেদ।

স্নিগ্ধার কথায় ফাহিমা মুচকি মুচকি হেসে উঠে কিন্তু সাফরান ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে স্নিগ্ধার নজর এড়াতে চায়।

—আজ আমার ভাইয়ের এনগেজমেন্ট আর নাচ গান হবে না তা কী হয়,,,

স্নিগ্ধা ইশারা দিতেই সাহিল মিউজিক অন করে দেয়।মিউজিকের তালে তালে স্নিগ্ধা ও তার ফ্রেন্ডস রা নাচ্ছে।এদিকে সাফরান বাপ্পি ও স্নিগ্ধাকে এক সাথে নাচতে দেখে রাগে ফুলে উঠেছে।সাহিলো তাদের সাথে যেয়ে ডান্স করতে লাগলো। ফাহিমার বাবা ও মা তাদের সাথে যোগ দিলো।স্নিগ্ধা রাফিয়া আহমেদ কে টেনে নিয়ে আসে তাদের সাথে নাচার জন্য। ফাহিমা নিজে থেকেই নাচতে চলে আসে।কিন্তু সাফরানের এসব একদমই সহ্য হচ্ছে না।সাফরান স্নিগ্ধার হাত ধরে টেনে ছাদের দিকে নিয়ে যায়।সবাই ডান্স করায় ব্যস্ত ছিলো তাই কেউ খেয়াল করে না।

—কী করছো ভাইয়া ছাড়ো আমাকে।

—আর তুই কী করছিস?

—ডান্স করছিলাম।

—আমি তোকে বলেছিলাম?যে আমার বিয়েতে কোনো নাচ গান বাহিরের মানুষ allow করবো না।

—বা’রে আমি তোমার কাজিন হই সবাইকে নেমন্তন্ন করার অধিকার আমারো আছে।

সাফরান এবার স্নিগ্ধার হাত চেপে ধরে বললো “বাপ্পিকে কেনো ইনভাইট করলি?বাপ্পি কিভাবে তোর ফ্রেন্ড হয়?

—বাপ্পি তো আমার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে গেছে এখন।ছেলেটা অনেক ভালো।

—ভালো না,সেদিনই তোকে ওয়ার্ন করেছিলাম।ছেলেটার থেকে দূরে থাকতে,,,

স্নিগ্ধা সাফরানকে ধাক্কা মেরে নিজেকে মুক্ত করে নেয় ” আমাকে ওয়ার্ন করার তুমি কে?আমার যার সাথে ইচ্ছা আমি মিশুবো,তোমার কোনো কিছুতে আমি কোনো প্রশ্ন রাখিনি,তুমিও রাখবে না।

সাফরান আবারো স্নিগ্ধার হাত চেপে ধরে “অনেক বার বেরেছিস তুই,listen carefully তুই সারাজীবন আমার নজরেই থাকবি।তোর সাথে অন্য কাউকে দেখলে কেটে ওখানেই শেষ করে দিবো।

—- কেনো? তুমি জীবনে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আমি কেনো পারবো না?

—কারণ আমি তোকে ভালোবাসি,,,
সাফরানের কথা শুনে স্নিগ্ধা বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো মূহুর্তেই।তাজ্জব হয়ে সাফরানের দিকে তাকিয়ে আছে। সাফরানের চোখ থেকে অশ্রু ফোটা গড়িয়ে পরছে।

—আমি তোকে ভালোবাসি,কখন থেকে জানি না,কিন্তু সেই ছোট থেকেই তোর সব কিছু আমার ভালো লাগে,যতো বড় হচ্ছিলি ততোই তোকে হারানোর ভয় এসে জেকে ধরে আমাকে।আজ এই পরিস্থিতি আমাকে স্পষ্ট বলে দিচ্ছে তোকে ছাড়া আমি সাফরান অসম্পূর্ণ। আমি এতো চিন্তা আর নিতে পারছি না।

—তাহলে এ বিয়ে?

—এই বিয়েটা আমি বাধ্য হয়ে করছি কারণ আমার কাছে আর কোনো অপশন নেই।দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমার।না পারছি নিজের ভালোবাসার মানুষকে আপন করতে না পারছি এই বিয়েটা ভেঙে দিতে। সাফরান ডুকরে কেদে উঠলো। তার দিকে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে আছে স্নিগ্ধা। অনেক্ক্ষণ এভাবেই কেটে গেলো।স্নিগ্ধার কাছে এখন সব পরিষ্কার। সাফরান ফাহিমাকে ভালোবাসে না। সাফরানকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে আছে স্নিগ্ধা। দুজনে কাদছে।অনেক রকমের লাইটিং দিয়ে ছাদ’টা ডেকুরেট করা আছে। দুজনকে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য পুরো পরিবারের সামনে ধরা পড়ে।সাফরান ও স্নিগ্ধাকে নিচে কোথাও খুজে না পেয়ে সবাই ছাদে চলে আসে।

তাদের সবাইকে ছাদে দেখে সাফরান ও স্নিগ্ধা ঘাবড়ে যায়।রাফিয়া আহমেদ এগিয়ে এসে ছেলের গালে কষে থাপ্পড় বসিয়ে ‘দেয়।

থাপ্পড়ের শব্দে সকলে চমকে উঠে।

(চলবে)

গল্পটা সবার কাছে কেমন লাগছে কমেন্টস করে জানাবেন। সবার গঠনমূলক মন্তব্য আশা করবো। গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ। ধন্যবাদ সবাইকে ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here