যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি ১২

0
606

#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি

#লেখিকা_সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি

#পর্ব-১২

সাফরানের চোখে চোখ মিলাতে পারছে না স্নিগ্ধা। গতোরাতের ব্যাপারটা কোনো ভাবেই ভুলে যাওয়ার মতো না।জীবনের প্রথম কিস তাও এভাবে এমন একটা মানুষের সাথে যার সাথে স্নিগ্ধার কোনো প্রমময় সম্পর্ক নেই।কিন্তু তারপরেও অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে।নিজের অজান্তেই স্নিগ্ধা সাফরানকে ভালোবেসে ফেলেছে।কিন্তু স্নিগ্ধা চায় সাফরান তাকে নিজের মুখে বলুক,সে তাকে ভালোবাসে। এখন বাজে রাত ১২টা রাতের এই সময়টাই যত্তসব চিন্তা টেনশন ঘুড়ে স্নিগ্ধার মাথায়।হঠাৎ স্নিগ্ধার মায়ের কথা মনে হতেই বুকের ভেতর এক অন্যরকম অশান্তি কাজ করলো।কিছুতেই ঘুম আসছে না।
আজ কতো দিন হয়ে গেলো মা’কে দেখে না।স্নিগ্ধার ইচ্ছা হলো এখোনি যাবে বাড়িতে।কিন্তু এতো রাতে একা কীভাবে যাবে।আর সাফরান কে না বলে কোথাও যেতেও পারবে না। সারাদিন সাফরানের সামনেও যায়নি স্নিগ্ধা। গতোরাতের কথা মনে হতেই লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করে স্নিগ্ধার।

কিন্ত একমাত্র সাফরানই তাকে বাড়িতে দিয়ে আসবে।এতো রাতে নিয়ে যাওয়ার জন্যে হয়তো বকা ও দিতে পারে। রুমের দরজা খুলে স্নিগ্ধা সাফরানের রুমে উঁকি দিলো।দরজা অফ কিন্তু রুমের লাইট জ্বলছে। জানালা বন্ধ।স্নিগ্ধা ফ্লোরে শুয়ে গেলো।তারপর দরজার নিচ দিয়ে দেখার চেষ্টা করতে লাগলো।আর তখনি সাফরান দরজা খুলে ফেললো।স্নিগ্ধা কে এভাবে নিচে শুয়ে থাকতে দেখে বেশ অবাক হলো সাফরান।

—কি’রে চোরের মতো আমার রুমে কী দেখার চেষ্টা করছিলি?

—যাক চোরের মতো বলছো চোর তো বলো নাই তাই মাইন্ড করলাম না।

—আজাইরা কথা বলার সময় নাই।কাজ আছে আমার।এতোরাতে না ঘুমিয়ে আমাকে কেনো ডিস্টার্ব করছিস বল।

স্নিগ্ধা চোখে মুখে দুঃখী ভাব নিয়ে বললো “আমি বাড়ি যাবো”

সাফরান রাগী ভাবে তাকালো স্নিগ্ধার দিকে “ক’টা বাজে এখন?”

—মাত্র ১২ঃ১০ মিনিট। মাকে খুব মনে পড়ছে।

—সারা দিন পরে ছিলো বললি না আর এখন বলছিস রাত হলেই কী তোর উপর বাইরে যাওয়ার জ্বীন আছর করে?

—দিন’টা কীভাবে কেটে গেছে বুঝতেই পারি নি,,,

—কেনো কী এমন করেছিস দিনের বেলায়?

—কী করবো আর গতো রাতের কথা ভাব…..(কথাটা বলে স্নিগ্ধা জিহবায় কামর দিয়ে ফেলে)

—গতো রাতের কথা কী?কী হয়েছিলো গতোরাতে?

স্নিগ্ধা অন্য দিকে তাকিয়ে তোতলাতে তোতলাতে বলে “কি,ছু,,না”

সাফরান ধীরে ধীরে স্নিগ্ধার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।তা দেখে স্নিগ্ধা ভয়ে পিছিয়ে যায়,আর বিমের সাথে পিঠ ঠেকে যায় স্নিগ্ধার।সাফরান এবার স্নিগ্ধার একদম গা ঘেঁষে দাঁড়ায়।তারপর স্নিগ্ধার মুখের কাছে নিজের মুখ’টা নিয়ে আসে। ভয় ও লজ্জায় স্নিগ্ধা চোখ বন্ধ করে ফেলে।স্নিগ্ধার বুকের হার্টবিট উৎফুল্লতা প্রকাশ করছে।সাফরান স্নিগ্ধার কানের কাছে যেয়ে বলে “যা রেডি হয়ে আয়,আমি বাইক নিয়ে বাইরে আছি”

সাফরানের কথা শুনে স্নিগ্ধা চোখ মেলে তাকায়।বেশ লজ্জায় পরে যায় স্নিগ্ধা। ভেবেছিলো সাফরান আবারো তার ঠোঁটে হামলে পরবে।নিজের বোকামি দেখে নিজের উপরই রেগে যায় অনেক স্নিগ্ধা। স্নিগ্ধা হনহন করে রুমে চলে যায়।তারপর কিছু প্রয়োজনীয় বই আর পার্টস নিয়ে বের হয়।বাড়িতে দুই দিন থেকে আসবে।এখানে সাফরানের কাছে থাকলে স্নিগ্ধা নিজেই সাফরানকে প্রপোজ করে বসবে।অনুভূতি লুকাতে পারে না স্নিগ্ধা। আজকাল যা হচ্ছে স্নিগ্ধার সাথে সাফরানকে দেখলেই তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। স্নিগ্ধা বাইরে এসে দেখে সাফরান মোবাইল টিপছে।বাইকে গিয়ে বসে স্নিগ্ধা।সাফরান বাইক স্টার্ট দেওয়ার আগে স্নিগ্ধা কে ভালোভাবে ধরে বসতে বলে।তারপর দুজনে রওনা দেয়।সারাটা পথ দুজনে নিরব থাকলেও দুজনের মনের মধ্যে একে অপরকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। হিয়ামতির ব্রীজের উপর উঠতেই সাফরান বাইক থামালো। তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করে স্নিগ্ধাকে মোবাইলের ক্যামেরার দিকে তাকাতে বললো। স্নিগ্ধা বেশ অবাক হলো সাফরানের কর্মকান্ডে। কিন্তু ছবি যেন ভালো আসে তাই চেহারায় হাসি ফুটিয়ে এবং নানা রকম এক্সপ্রেশন দিয়ে ছবি তুললো। এই জায়গাটা দুজনের কাছেই অনেক পছন্দের আর এখন একেবারেই মানুষ জন নাই বললেই চলে। সাফরানের কেনো যেন স্নিগ্ধাকে নিয়ে একটা ভয় কাজ করছে মনের মাঝে।কিন্তু কেনো সেটাই বুঝতে পারছে না।আর তাই মনের চিন্তা’টা দূর করার জন্যেই স্নিগ্ধার সাথে কয়েকটা সেল্ফি তুলে নেয়। সেল্ফি তোলা হয়ে গেলে সাফরান বাইকে স্টার্ট দেয়।কিছুক্ষণের মধ্যে স্নিগ্ধার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় দুজনে। স্নিগ্ধার মা আতিয়া রহমান।এই সময়ে ঘুমিয়ে আছে।দরজা ও বন্ধ।স্নিগ্ধা সাফরানকে বলে “তুমি যেভাবে আমার রুমের ব্যাল্কনি দিয়ে আমার রুমে প্রবেশ করো সেভাবে আমিও উঠবো ভাইয়া।

—পাগল হয়ে গেছিস আমি ছেলে মানুষ কোনো ভাবে উঠে যাই।তুই পারবি না।

—আরে পারবো,তুমি আছো না।

স্নিগ্ধার কথায় সাফরান স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে থাকে। বারবার এই মেয়েটার কথার মায়ায় পরে যাচ্ছে সাফরান।

তাদের কথার মাঝেই আতিয়া রহমান দরজা খুলে দেয়।দুজনে বেশ অবাক হয়।স্নিগ্ধা দৌড়ে গিয়ে মা’কে জড়িয়ে ধরে বলে ” মা,আমরা আসছি তুমি কীভাবে জানো?

—আমার ঘুম আসছিলো না কিছুতেই।তোর কথা মনে পরছিলো।শুধু এপাশ ওপাশ করছিলাম।আর তখনি সাফরানের বাইকের আওয়াজ শুনে জানালার কাছে এসে দাড়াই তখনি তোদের দেখি।

সাফরান আতিয়া রহমান এর কাছে এসে সালাম জানায়।

–আসসালামু আলাইকুম ফুপিজান।

—ওয়ালাইকুমুস সালাম

—কেমন আছিস বাবা?

— আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুমি কেমন আছে?

–এইতো আল্লাহ রাখছে,,,

—তোমার মেয়ে তো আমাকে ঘুমাতেও দিচ্ছে না।এতোরাতে তোমার কথা মনে পড়ছে তোমাকে দেখবে এসব বলছে রাত ১২টায় এসে।

—এটা তো আগেরই পাগলী জানিস,তোদের অনেক জ্বালাচ্ছে তাই না।

—তা তো দেখতেই পাচ্ছো ফুপি।

—আচ্ছা আয় বাড়ির ভেতর।

—না ফুপি।আমি বাড়ি ফিরে যাই।কিছু আর্জেন্ট কাজ আছে।

—এতো রাতে কিসের কাজ।

—আছে কিছু দোকানের হিসাব।

—এতো রাতে তুই বাড়ি ফিরে যাবি।দরকার নেই।আজ এখানেই থাকবি

—ফুপি অন্যদিন আসবো।আজ যাই।তোমার মেয়ে কে দেখে রেখো।

সাফরান দুজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।দোকানের হিসাবে একটা গন্ডগোল হয়ে আছে।যা এখনি সমাধান করতে হবে।সাফরান বাইক নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয়।বাইকের পিছন সিটটা খালি খালি দেখাচ্ছে স্বাভাবিক কিন্তু সাফরানের মনটাও যেন খালি খালি লাগছে।একটা শূন্যতা এসে ঘিড়ে ধরেছে সাফরানকে।স্নিগ্ধা সাফরানের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যার অনুপস্থিতি সাফরানের জীবনকে নিমিষেই আনন্দহীন করে দেয়। বিস্বাদময় করে দেয়।সাফরান স্নিগ্ধা কে নিয়ে হাজারো কথা ভাবতে ভাবতে বাইক চালাচ্ছিলো।হিয়ামতি ব্রীজে কিছুদূর যাওয়ার পরেই।সাফরান একটা দৃশ্য দেখে চমকে উঠে। সাথে সাথে বাইক থামিয়ে দৌড়ে ব্রিজের দেওয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার হাত ধরে টান দেয় আর সাথে সাথে মেয়েটা সহো সাফরান ব্রিজের উপর পরে যায়।মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে সাফরান বিষ্ময়ে হতভম্ব হয়ে যায়। সাফরানের চক্ষুছানাবড়া হয়ে আছে।মুখ দিয়ে কোনো কথা ও আসছে না।প্রায় মিনিট পাচেক পর সাফরান ধমকের সুরে বলে উঠে “ফাহিমা তুই?”

সাফরানের কথায় ফাহিমা কান্না শুরু করে দেয়।

সাফরান চিৎকার দিয়ে বলে “চুপ কাদতে বলি নাই,আর ইউ ক্রাজি ফাহিমা?তুই এখনি এটা কী করতে যাচ্ছিলি?

—ভাইয়া প্লীজ আমাকে ছেড়ে দাও।আমার বাচতে ইচ্ছা হচ্ছে না একটুও। আমি এতো টেনশন এতো কষ্ট নিয়ে বেচে থাকতে পারবো না

সাফরান রাগ কন্ট্রোল করতে পারলো না কষে এক,,, থাপ্পড় বসিয়ে দিলো ফাহিমার গালে।ফাহমা গালে হাত দিয়ে নিঃশব্দে কাদতে লাগলো। তারপর বললো ” মারো তুমিও, সবাই মিলে আমাকে আঘাত করো,এক কাজ করো না তোমরাই মেরে ফেলো না আমাকে,আমার আর বেচে থাকতে ইচ্ছা হচ্ছে না।

সাফরান ফাহিমাকে আবারো থাপ্পড় দিতে যেয়েও কন্ট্রোল করলো নিজেকে।ফাহিমা কে কাছে টেনে বললো

—কী হয়েছে তোর কেনো পাগলামী করছিস?

—আমি বিয়ে করতে পারবো না অন্য কাউকে।
—তোর বাবার সাথে আমি কথা৷ বলেছি আমাকে তো বলছে,তোর মত না থাকলে ছেলে পক্ষকে না বলে দিবে।

—কিন্ত বাবা এমন করে নাই।বাবা জেনে গেছে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করতে চাই।কিন্ত বাবা চায় না তার সাথে আমার বিয়ে হোক।

—তোর বাবা না চাইলে চাইবে না আমি তো আছি,ছেলের নাম বল ঠিকানা বল,এখন উঠিয়ে নিয়ে আসছি।

—ছেলে তো রাজি হবে না ভাইয়া।

—কে বলেছে রাজি হবে না,আমার এতো সুন্দর বোন’টা এতো লক্ষী তুই,তোকে কে বিয়ে করতে চাইবে না?

—তুমি চাইবে ভাইয়া?

সাফরান যেন ফাহিমার কথা শুনতেও পেলো না।হতভম্ব হয়ে ফাহিমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে সাফরান। ফাহিমা আবারো বলে উঠলো “,তুমি চাইবে আমাকে বিয়ে করতে?ভালোবাসতে পারবে আমাকে?এতো গুলো বছর ধরে তোমাকে ভালোবেসে আসছি,তুমি কি কখনো বুঝতে পারো নাই ভাইয়া?

সাফরান ফাহিমার কথায় স্তম্ভিত হয়ে গেছে।

—কী বলছিস তুই?

—যা শুনছো।এতোদিন মুখ ফুটে বলিনি তাই বুঝতে পারো নাই। আজ যখন বলছি কিন্তু বুঝতে পারছো না।

—কিছু বুঝতে চাই না আমি তোকে বোনের নজরে দেখে আসছি সব সময় এসব কী বলছিস তুই ফাহিমা?

—কিন্ত আমি তো তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আসছি ছোট বেলা থেকে। অনেক ভালোবাসি আমি তোমাকে।প্লীজ আমাকে তোমার জীবনের সাথে জড়িয়ে নাও নাহয় আমাকে মরতে দাও।

সাফরান কথা হারিয়ে ফেলেছে।ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া এই মুহূর্তে সাফরান আর কিছু করতে পারছে না। সাফরানকে চুপ করে থাকতে দেখে ফাহিমা বললো ” জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো না,ভালোবাসতে পারবে না,কারণ তুমি তো স্নিগ্ধাকে ভালোবাসো। আর আমি বেচে থেকে তোমাকে অন্য কারো হতে দেখতে পারবো না তার থেকে আমি মরে যাই এটাই সবার জন্য ভালো হবে,ফাহিমা ব্রীজের দেওয়ালে উঠতে যেতেই সাফরান আবারো বাধা দেয় ফাহিমাকে,,,।

—আমি তোকে বিয়ে করবো।

সাফরানের কথা শুনে ফাহিমা নিচে নেমে আসে তারপর বলে উঠে “সত্যি?বিয়ে করবে তুমি আমাকে?”

—হ্যা আমি তোকে বিয়ে করবো।

ফাহিমা খুশিতে জড়িয়ে ধরে সাফরানকে।

—তুমি জানো ভাইয়া আমার বেচে থাকার কারণ এখন একমাত্র তুমি।তোমাকে ছাড়া আমি আমাকে কল্পনা করতে পারি না।

সাফরান মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। দুচোখ থেকে অশ্রুটোপ করে গাল বেয়ে পরছে ক্রমাগত। নিরবতা এবং অন্ধকারে সাফরানের চোখের পানিও ঢাকা পরে যায়। খুশিতে ফাহিমার চোখেমুখে ঝিলিক দিয়ে উঠছে।অবশেষে ফাহিমা স্নিগ্ধা ও সাফরান কে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছে।এবার শুধু বিয়েটা হয়ে গেলেই সাফরানকে চিরদিনের জন্য নিজের করে পাবে ফাহিমা। আজ সাফরান ও স্নিগ্ধা কে বাইরে যেতে দেখেই ফাহিমার মাথায় এই আইডিয়া টা আসে।সাফরানকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেই একমাত্র পটাতে পারবে।কারণ সাফরান কখনোই কারো ক্ষতি হোক এটা চাইবে না।

—————————-

স্নিগ্ধা ক্যাম্পাসের গেটে সাফরানের জন্য অপেক্ষা করে।কথাছিলো কলেজ ছুটি হলে সাফরান এসে স্নিগ্ধা কে নিয়ে যাবে।কিন্তু কলেজ ছুটি হওয়ার ২০ মিনিট হয়ে গেলো এখনো সাফরান আসছে না।বিরক্ত হয়ে স্নিগ্ধা চলে যেতে ধরে আর তখনি দেখে সাহিল সাফরানের বাইক নিয়ে তার দিকেই আসছে।

—কী রে তুই? সাফরান ভাইয়া কোথায়?

—কেনো আমাকে কী ভাই মনে হয় না?

—চুপ কর।তুই কেনো এসেছিস বল,ভাইয়া কোথায়?

—ভাইয়ার শরীর’টা তেমন ভালো না।আমাকে বললো তোমাকে নিয়ে যেতে,,,।

—কী হয়েছে ভাইয়ার?
—জানি না তো জিজ্ঞেস করি নাই।

সাহিলের কথা শুনে স্নিগ্ধার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।বাইকের পিছনে বসে বললো “সাবধানে চালাবি বাইক”

সাহিল ও স্নিগ্ধা কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে আসলো।স্নিগ্ধা সাফরানের রুমের সামনে যেতেই সাফরান দরজা বন্ধ করে দিলো।আকস্মিক সাফরানের এমন ব্যবহারে স্নিগ্ধা হকচকিয়ে গেছে।স্নিগ্ধা নিজের রুমে এসে এর কারন খুজতে লাগলো।কিন্তু সারাটাদিন সাফরান রুম থেকে বের হয় নাই।স্নিগ্ধা সাফরানকে রাতের খাবারের জন্য ডাকতে গিয়েও দেখে সাফরান ঘুমিয়ে পড়েছে। সাফরানের এমন ব্যবহারে স্নিগ্ধা বেশ অবাক হয়।সাফরান একদমই স্নিগ্ধার সামনে আসছে না।রাত দিন দোকানে পরে থাকে।সাফরানকে এভাবে নিজের থেকে দূরে যেতে দেখে স্নিগ্ধা ও কষ্ট পাচ্ছে।কী করে সাফরানের সাথে কথা বলবে স্নিগ্ধা।

(চলবে)

গল্পটা সবার কাছে কেমন লাগছে কমেন্টস করে জানাবেন।সবার গঠনমূলক মন্তব্য আশা করবো। ধন্যবাদ সবাইকে ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here