মোনালিসা অন্তিম পর্ব

0
1998

মোনালিসা
মৌমিতা_দত্ত
অন্তিম পর্ব

ঘুম চোখ খুলে বিছানায় উঠে বসতেই গতকাল রাতের ছবিটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে লিসার।
এবার বিছানা থেকে নেমে এসে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে গিয়ে সে দাঁড়ায়।
অদৃশ‍্য রাজীবের অবয়বকে নিজের পাশে কল্পনা করেই তার লজ্জায় মুখ লাল হয়ে ওঠে ।
আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের লাল মুখকে দেখতে অস্বীকার করে তার লজ্জিত চোখ জোড়া।
আয়না থেকে সরে এসে, সে জানালার গা ঘেঁষে দাঁড়ায় । তারপর নিজের বাঁ হাতের বাহুতে ডান হাত রেখে অনুভব করতে থাকে গতকাল রাতে রাজীবের তার হাত টেনে ধরার মুহুর্তটা।
হঠাৎ একটা সুন্দর গন্ধে তার মনটা ভরে ওঠে। আর এই গন্ধের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার চোখ জোড়া আবিষ্কার করে বিছানার পাশে রাখা একগুচ্ছ গোলাপ।
তার মাথার কাছে একগুচ্ছ ফুল রাখা ছিল। অথচ এতক্ষণ সে খেয়ালই করেনি! একথা ভেবে বেশ অবাক লাগে তার।
এবার ফুলের মালিকের খোঁজ না করেই , ফুলের টানে ফুলের দিকে সে ছুটে যায়।
গোলাপ গুলো হাতে নিয়ে প্রথমেই দু’চোখ বন্ধ করে ঘ্রাণ নেয় সে। তারপর চোখ বন্ধ অবস্থায় গোলাপ গুলোকে গালে ঠেকিয়ে বিছানার পাশে রেখে দেয়।
তারপরই তার নজরে পড়ে – একটা বড় মত কিছু র‍্যাপিং পেপারে মোড়ানো অবস্থায় বিছানায় রাখা।
র‍্যাপিং করা বস্তুটি আসলে কী ! সেটা দেখার কৌতুহল প্রবল হলেও – মনে মনে লিসা ভাবে, “যদি ফুল আর গিফটটা রাজীবের হয়! তাহলে হাত দেওয়াটা তার উচিত হবেনা।” আবার পরক্ষণেই তার মনে হয়, “ঘরটা রাজীবের হলেও, বর্তমানে ঘরটায় সে থাকে।
তাই এইঘরে কিছু থাকলে সেটা সে দেখতেই পারে।” নিজের মনের মতো একটা অর্থহীন যুক্তি দিয়ে নিজের মনকে বুঝিয়ে গিফটটা খুলতে শুরু করে সে।

গিফটটা খুলে দেখে – লিওনার্দো দ‍্য ভিঞ্চির অন‍্যতম শ্রেষ্ঠ কির্তী ‘মোনালিসা’ – র আদলের একটি ছবি। যা হাতে এঁকে ফ্রেমে বাঁধানো । আর ছবিটির একদম নীচের ডান দিকের কোণের অংশে ‘R’ – লেখা।
তার বুঝতে অসুবিধা হয়না যে, এ ছবির সৃষ্টিকর্তা রাজীব। কিন্তু, এ ছবি হঠাৎ রঙিন কাগজে র‍্যাপিং করে তার ঘরে রাখার মানে!
যখন সে নানান রকম মনগড়া ভাবনা ভাবতে ব‍্যস্ত, ঠিক সেই সময় তার নজর পড়ে বিছানার দিকে আর সে দেখতে পায় গোলাপগুচ্ছের পাশে পড়ে থাকা একটা চার ভাঁজ কাগজ।
হয়তো তারই লেখা কোনো চিঠি অসাবধানতাবশত পড়ে গেছে। এই মনে করে সে কাগজটা হাতে তুলে নেয়।
কিন্তু, কাগজটা হাতে তোলার পর সে আরও বেশি অবাক হয়ে যায়! কাগজের উপরের অংশে বড় বড় হরফে লেখা – মোনালিসা তোমার জন‍্য, লেখাটি দেখে।
জীবনে প্রথম তার জন‍্য কেউ চিঠি লিখল। একথা ভাবার সাথে সাথে লিসার চোখ আনন্দে চকচক করে ওঠে।
চিঠিটা খুলে সে পড়তে শুরু করে –

প্রিয়,
মোনালিসা

আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন একদিন ইতিহাস বই পড়ে লিওনার্দো দ‍্য ভিঞ্চির অসামান্য কির্তী ‘মোনালিসা’ ছবিটা সম্পর্কে জানতে পারি।
তখন অল্পবয়স। চোখের সামনে সেদিন এই রকম একটা ‘মোনালিসা’ – র ছবি বইয়ের পাতায় আঁকা দেখে মনে মনে হেসেছিলাম। সেই সময়ে ভেবেছিলাম, এরকম একটা ছবির জন‍্য একজন মানুষ কী করে অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী হতে পারে!
সেদিনের মুর্খামিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ‍্যেই আমি এই ছবিটা এঁকেছিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম আমার এই ছবিও একদিন পৃথিবী বিখ্যাত হবে।
কিন্তু, বড় হওয়ার সাথে সাথে ‘মোনালিসা’ সম্পর্কে যত আশ্চর্য তথ‍্য জানতে পারি ততই বুঝতে পারি নিজের মুর্খামির কথা ।
পাইন কাঠের উপর অঙ্কিত ‘মোনালিসা’ – র আশ্চর্য ও রহস্যময় ছবি ‘ল‍্যুভ জাদুঘর’ এই মানায় একথা ভেবে
একসময়ে নিজের মুর্খতা ঢাকার জন‍্য নিজের আঁকা অতি সাধারণ ছবিটা লুকিয়ে রেখেছিলাম।
আজ এতোদিন পর আমার মনে হচ্ছে আমার এই ঘর মানবী মোনালিসার ছোঁয়ায় ‘ল‍্যুভ জাদুঘরের’ মত হয়ে উঠেছে।
আজও ‘ল‍্যুভ জাদুঘরে’ ‘মোনালিসা’ – র রহস্যময় ছবি দেখে যেমন মানুষের বিস্ময়ের শেষ থাকেনা! ছবিতে ‘মোনালিসা’ হাসছে না কাঁদছে তা নিয়ে যেমন ভাবনার অন্ত থাকেনা।
ঠিক তেমন ভাবেই মানবী মোনালিসার রহস‍্যময়তায় আমি বিভোর। মানবী মোনালিসার হাসি, কান্নার মুহুর্তগুলো নিয়ে আমারও ভাবনার অন্ত থাকেনা।
মনের বদল ঘটে কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু, যুগে যুগে মোনালিসারা আকর্ষিত করে মানুষের মন, এটুকু বলতে পারি।
তাই আজ রহস্যময়ী এক মানবী মোনালিসার হাতে কাল্পনিক ‘মোনালিসা’ – র ছবি তুলে দিলাম।

শুধু ছবি নয়, আরও কিছু কথা আমি বলতে চাই।
সামনাসামনি দাঁড়িয়ে অনেক সময় সত‍্যি কথা বলাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব‍্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাই, চিঠিতে লিখছি – প্রথমেই জানাই গতকাল রাতের আচরণের জন‍্য আমি দুঃখিত।
দ্বিতীয়টা একটি প্রস্তাব, আচ্ছা! সব কথা , সব মেয়াদ ভুলে দুই প্রতিবেশীর কী একটাই ঠিকানা হতে পারেনা? একসাথে কী সারাজীবন কাটানো যায়না?
যদি তোমার উত্তর হ‍্যাঁ হয়, তাহলে অনুরোধ আজ সন্ধ‍্যেবেলা আমার ঘরে অপেক্ষা করো।

ইতি –
তোমার আপনি রাজীব

চিঠিটা পড়ে শেষ করার পর, চিঠির শেষের কথাগুলো বারংবার পড়ে চলে লিসা।
তারপর একসময় চিঠিটা বুকে চেপে ধরে অনুভব করতে থাকে অন্তরের অনুভূতি।
আসলে এ অনুভূতি যে একান্তই ব‍্যক্তিগত। হার্টের তীব্র স্পন্দন শুধু সন্ধির ইঙ্গিতের আভাস দিতে থাকে।

এদিকে সকাল থেকে দু’প‍্যাকেট সিগারেট শেষ। বিকেল চারটে বাজে, বলছে অফিসের ঘড়ির সময়। এক অদ্ভুত অস্থিরতায় জর্জরিত রাজীবের মন। অফিসে সারাক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলেও ,তার পাহারাদার মন দাঁড়িয়ে সেই লিসার দরজার সামনে।
চিঠির উত্তর যে কী হবে! হ‍্যাঁ হবে , নাকি না হবে! আর এই উত্তরের প্রভাব তার জীবনে আশীর্বাদ না অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে একথা ভেবেই দুশ্চিন্তায় তার কপালে ভাঁজ পড়ে।
আর সাথে তার হৃদস্পন্দনও স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে তীব্র গতিতে ভ্রাম্যমাণ।

সন্ধ‍্যেবেলা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে নিজের বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে না জানি কী উত্তর অপেক্ষা করছে ,সেকথা ভেবেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় রাজীবের।
কোনরকমে ঢোক গিলে মনে সাহস এনে নিজের ঘরের সামনে গিয়ে রাজীব দাঁড়ায় ।
ইতস্তত মনে ঘরে ঢুকেই সে দেখে কেউ অপেক্ষা করছে না। ঘর ফাঁকা। একরকম নিরাশ হয়েই গলার টাইটা খুলে বিছানায় বসে পড়ে সে।
কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকার পর তার নজরে আসে, ঠিক তার খাটের পাশে থাকা ছোট টেবিলের উপর একটা নতুন ফোন চার্জে দেওয়া ।
বিছানা থেকে উঠে কৌতুহল বশত টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে ফোনটা সে হাতে তুলে নেয়।

কোনো পাসওয়ার্ড না থাকায় ফোনটা অন করা মাত্রই ফোনের স্ক্রিনে লিসা আর তার বিয়ের একটা ছবি ভেসে ওঠে।
এবার চিরকালীন সব পুরুষের মত তার অনুপস্থিতিতে ফোনে চার্জ দিয়ে অন‍্য কারোর সাথে লিসা গল্পে মশগুল থাকে কিনা, তা দেখার জন‍্য নিমেষের মধ‍্যে গোটা ফোনে তল্লাশি চালাতে শুরু করে রাজীব।

প্রতিটি তল্লাশি শেষে হতাশ হয়ে শেষে ফোনের ম‍্যাসেজ বক্সের ড্রাফটে গিয়ে সে দেখে কতগুলো ম‍্যাসেজ সংরক্ষিত করে রাখা।

এবার ম‍্যাসেজগুলো সে পড়তে থাকে –

১. আঁধার রাতে , ঝড়ের দিনেও ধরতে পারি হাত,
সারাজীবন পাশে থেকে দাও যদি সাথ।

২. অনুভূতিতে বদ্ধ না হয়ে থাকো অনুভবে আবদ্ধ,
দুজনের ঠিকানা থাক একটিতেই সীমাবদ্ধ।

৩. দশ পা – এর দূরত্বে আড়িপাতি দেওয়ালে,
আলাদা মনের ঘরে আজও তুমিই আছো খেয়ালে।

৪. একই ঠিকানায় থাকতে পারি তোমার সাথে, হয়ে ‘রাজি’ ‘জীব’।

শেষের ম‍্যাসেজটা পরার পর মনের ভেতর এক অন‍্যরকম অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে তার চোখ জোড়া অস্থির হয়ে ওঠে , আর একজনের উপস্থিতি জানার জন্য।

এবার তাড়াতাড়ি ফোনটা টেবিলে রেখে পাশ ফিরতেই রাজীবের চক্ষুস্থির।
কয়েক হাত দূরত্বে আড়ষ্ট ভাবে দাঁড়িয়ে লিসা।

রাজীব তার দিকে এগিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাথে সাথে গোটা শরীর কেমন যেন অবশ হয়ে যায় লিসার। ম‍্যালেরিয়ার কাঁপুনি দেওয়ার মত তার পা দুটো থরথর করে কাঁপতে থাকে।
তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোনো কথা না বলে আলতো করে হাতটা ধরে বিছানায় এনে বসায় রাজীব।
রাজীবের হাতের ছোঁয়ায় সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে লিসার।
বিছানায় লিসার পাশাপাশি বসে রাজীব বলে ওঠে, “ফোনটা না রেখে নিজে অপেক্ষা করতে পারতে ?”

গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলেও ঢোক গিলে লিসা বলে ওঠে, “প্রতিবেশীর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে ঢোকা উচিত নয়! কারণ, কোনোকিছু চুরি হলে সবার আগে দোষ প্রতিবেশীর ঘাড়েই পড়বে।”

“কিন্তু, প্রতিবেশীর সবচেয়ে মূল‍্যবান জিনিসটাই তো আর এক প্রতিবেশী চুরি করে নিয়েছে।
শুধু একটাই প্রশ্ন – আজ হঠাৎ ফোন চার্জে দেওয়ার মানে? ” লিসার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে রাজীব।

“আসলে আমার এতোদিন ফোনটার প্রয়োজন পড়েনি। জ্ঞান হয়ে অবধি নিজের বলতে কাউকে পাশে পাইনি সেভাবে। তাই আমার খোঁজ খবর নেওয়ার বা আমি অন‍্যদের খোঁজ খবর নেবো ,এরকম কেউ আমার জীবনে এতোদিন ছিলনা। আর জোজো অনেক ছোট। তাই ফোন করে ওর অভ‍্যাস খারাপও আমি করতে চাইনি।
তাই বিয়ের পর এখানে আসার সময় ফোনের চার্জারটা সাথে আনিনি।
কিন্তু, আজ মনে হল – ফোনটার প্রয়োজন এখন থেকে পড়বে ! তাই এ ঘরে চার্জার টা নজরে পড়লো ,তাই চার্জে দিলাম। আপনার খারাপ লেগে থাকলে আমি দুঃখিত।” কথা কটা বলে বিছানা ছেড়ে উঠে ফোনটা নিতে গেলে তার হাতটা ধরে আবারও বিছানায় বসিয়ে দেয় রাজীব।

একটু ইতস্তত করে বিছানায় বসে লিসা বলে ওঠে, “কিন্তু, কী জিনিস চুরি করলাম আপনার! বুঝলাম না”

এবার লিসার ডান হাতটা ধরে নিজের বুকে রেখে রাজীব বলে ওঠে, “এই জিনিসটা। যেখানে সবার প্রবেশ নিষেধ ,শুধু একজন ছাড়া। আর সেই একজন হলে তুমি।
এই ঠিকানায় পারবে ভালোবাসার অট্টালিকা তৈরি করতে?”

এ কথা শুনে লিসার শ্বাস – প্রশ্বাসের মাত্রাও দ্বিগুণ হয়ে যায়। তার কাঁপতে থাকা ঠোঁট কিছু একটা জিজ্ঞাসা করতে গেলে তার ঠোঁটে হাত রেখে রাজীব বলে ওঠে, “চুপ ,আর কোনো কথা নয়।”

এইবলে লিসার ঠোঁট নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে এক গভীর চুম্বনের মাধ‍্যমে নিজের মনের সবটুকু না বলা কথা চালান করে দিতে থাকে লিসার মনে।

চোখ বন্ধ করে বিছানার চাদরকে আঁকড়ে ধরে পুরো মুহুর্ত টার সবটুকু উপভোগ করতে থাকে লিসার মন।

গভীর চুম্বনের পর যখন লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখ নিয়ে আর রাজীবের দিকে এক মুহুর্তের জন‍্যও তাকানোর সাহস নেই লিসার । সেই মুহুর্তে সেই ঘর বিছানা সব ছেড়ে কোনরকমে নিজের ঘরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার উপক্রম করে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় লিসা। তারপর সবে এক – দু’পা এগিয়েছে এমন সময় তার শাড়িতে হালকা টান দিয়ে তাকে বিছানায় বসিয়ে দেয় রাজীব।
তোলপাড় করা মনে প্রবল ভালোবাসার আলোড়নে নিজেকে সমর্পিত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা লিসার। তার হৃদস্পন্দনের গতি তখন দ্বিগুণ।
এদিকে লিসার বন্ধ চোখের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এলেমেলো চুলের সবগুলো একে একে সরিয়ে প্রাণ ভরে লিসাকে দেখতে থাকে রাজীব। আর লিসার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করে দিতে থাকে সে।
লিসার ঘাড়ের কাছের চুলের গোছা সরিয়ে হালকা চুম্বন করে সে।
গোটা শরীরে বিদ‍্যুৎ খেলে যায় লিসার। সে প্রাণপণে আঁকড়ে ধরে রাজীবকে।
বিনা আড়ম্বরেই সে রাতে দুটি মন ভালোবাসার সাগরে ডুব দেয়।
এক সাজানো গোছানো ফুলশয্যার রাতে একজনের অপেক্ষা করা আর এক অকাল সন্ধ্যায় অসময়ে সাজ – সজ্জা বিহীন এক খাটে পূর্ণতা পায়।
দুটি প্রাণী তখন নিজেদের জীবনের পরিপূর্ণতার হিসাবে মত্ত। যার সাক্ষী রাতের চাঁদ। আর যার প্রমাণ একজনের সিঁথির সিঁদুরের গন্তব্য বদল হয়ে আর একজনের গাল মুখে পাওয়া স্থান।

সমাপ্ত

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গল্প টা ভালোলাগলে গল্প নিয়ে দু এক লাইন মন্তব্য করে যাবেন । ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here