ভালোবাসার সাত রং শেষ পর্ব

0
1522

#ভালোবাসার_সাত_রং??
#Yanur_Akter_Eanya
#পাঠ-৫+Last part
১.২৫ বাজে, মাতাল অবস্থায় সিকদার বাড়িতে পা রাখলো ভোর!
আশিক সিকদার উপরে দাড়িয়ে সব দেখছেন!ছেলে এই অবনতি মানতে পারছেন না! রুবিনা সিকদার কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে আশিক সিকদার সাথে!

ভোর মাতাল অবস্থায় নিজের রুমে না গিয়ে পাশের রুমে চলে গেলো!
___________

আজ নিশি বিয়ে……..

নিশি আয়নার সামনে বসে অপলক দেখছে নিজেকে।বিয়েতে লাল বেনারসি পড়েছে নিশি কে লাল টুকটুকে বউ লাগছে!

নিশি কে দেখতে অবিকল তেমন টাই লাগছে যেমনটা ভোর চাইতো।ভোর বলেছিলো বিয়েতে নিশি কে লাল বেনারসি দিবে। তার নিশিকে সে লাল বঁধু সাজাবে। আজ সত্যি সত্যি নিশি কে লাল বধু লাগছে। একদম লাল অপ্সরী। আজ সব সৌন্দর্য নিশি কাছে হার মানবে। ওই চাঁদটাও আজ নিশি কে দেখে হিংসে করছে। এতো সুন্দর লাগছে দেখতে। নিশি যেনো আয়নায় কেবল নিজের পাশে ভোর কে দেখতে পাচ্ছে। যে সাজ ভোর জন্য গুচ্ছিত ছিলো আজ তা অন্যের জন্য সাজতে হলো।নিশি অনুভূতি গুলো যেনো শূন্য হয়ে গেছে।

যে দেখছে সেই যেনো চোখ ফেরাতে পারছে না!বাহিরে হইহুলোর পড়ে গেলো। সবাই চিৎকার করছে বর এসেছে বর এসেছে।

দুচোখে অসহায়ত্ব, হাহাকার,কষ্ট ছাড়া কিছু নেই! তবুও কি সুন্দর বউ সেজে মুখে হাসি নিয়ে বসে আছে।মেয়েটা পারেও সহ্য করতে।অন্য কেউ হলে হয়ত মরেই যেতো!

নিশি বিছানার মাঝে বসে আছে!নিশি অসস্থি লাগছে। তখনি ফোনটা বেজে উঠল।নিশি সমস্ত শরীর যেনো অসার হয়ে পরছে। কাপা কাপা হাতে ফোনটার দিকে তাকায়।ভোর হ্যা ভোর ফোন করেছে নিশিকে!নিশি এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরে।

ভোরঃআমি যখন তোমার নাম মাটিতে লিখলাম
বৃষ্টিতে ভিজে গেলো
আকাশে লিখলাম ,, আকাশ মেঘে ঢেকে গেলো
কিন্তু যখনই হৃদয়ে লিখলাম
ঠিক তখনই তুমি আমায় ভুলে গেলে

নিশিপাখি তুমি কি করে অন্য কারো হবে যেখানে আমার অবস্থান!তুমি তো আমার নিশিপাখি শুধু আমার!আমার বধু তুমি হবে আমার নাম কবুল বলবে!তুমি অন্য কারো হয়ে গেলে যে তোমার ভোর আর এই দুনিয়া থাকবে না!আমি এখন হাই ইস্পিরিডে গাড়ি ড্রাইভ করছি আমার গনতত্ত্ব নিজের মৃত্যু দিকে এগিয়ে যাওয়া!

নিশিঃ চুপ করো তুমি! কি বলছো ভোর তোমার মাথা ঠিক আছে? কোনো পাগলীমি তুমি করবে না!
আমার কথা শুনো ভোর!

ভোরঃশেষ একটা কথা রাখবে প্লিজ..

নিশির গলা দিয়ে শব্দ আসছে না কি বলছে ভোর? শেষ কথার মানে কি?

নিশিঃ ভোর আমার কথা শুনো

ভোরঃআগে তুমি শুনো!

নিশিঃ ব..বল……

ভোরঃ শেষ সময় টুকু পাশে থাকতে দিবে প্লিজ। তুমি কবুল বললেই চলে যাবো।

নিশিঃভোর

ভোরঃপ্লিজ……

নিশিঃ হুম…..

ভোরঃ যে আমার সবটা জুড়ে ছিলো আজকে পর থেকে সে অন্য কারো হয়ে যাবে!

নিশি ভিতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। তখনি সবাই রুমের দিকে আসে। কাজী এসেছে বিয়ে পড়াতে। হইচইয়ের শব্দ।

ভোরঃ তোমার কোন কথা বলতে হবে না আমি আছি!

সবাই নিশি কে ঘিড়ে বসল!কাজী সাহেব সবকিছু বলেই নিশির দিকে তাকিয়ে বললেন।

কাজীঃ বলেন আলহামুলিল্লাহ্ কবুল

নিশি চুপ করে রইল।গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।

ভোরঃনিশিপাখি বলো কবুল

নিশি চুপ করে আছে!মুখ দিয়ে কবুল উচ্চারণ করতে পারছে না!কেউ যেনো নিশি গলাটা টিপে ধরেছে হাজার চেষ্টা করে কবুল বলতে ব্যর্থ!নিশি মুখ দিয়ে কবুল না বলায় তাজ নিশি রুমে প্রবেশ করলো!নিশি মাথা হাত ভুলিয়ে বলো কবুল বলতে!

নিশি ভাই কে জড়িয়ে ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো তার পক্ষে এই বিয়ে করা সম্ভব নয়!নিশি মরে যাবে তা ওহ কবুল বলতে পারবে না!
তাজ খারাপ লাগছে!এই কয়দিনে নিশি সবটা সামনে থেকে দেখেছে কিভাবে গুমরে গুমরে মরছে!
তাজ সিদ্ধান্ত নিলো বোনকে আর কষ্ট পেতে দিবে না!বোন কে নিয়ে নিশি রুম ত্যাগ করে বরপক্ষের সামনে দাড়ালো তাজ!

বরপক্ষে কে সব সত্যি বলে তাজ! তাজ কথায় বরপক্ষ সবাই রেগে যায়!এখন বিয়ে বন্ধ হলে বরপক্ষ অপমান হবে!বরপক্ষের লোকেরা মানতে নারাজ হলে ও বর আদিত্য সবটা বুঝতে পারে এবং তাজ কে নিশ্চিত থাকতে বলে সবটা সে সামলে নিবে!

তাজ নিজেই নিশি কে ভোর হাতে তুলে দেয়!নিলয় হাইওয়ে তে এসেছে ভোর কে এ্যাক্সসিন্ডেন হাত থেকে বাচায়!তাজ কে নিশি বিয়ের কয়েকঘন্টা আগেই ভোর ব্যাপারে অনেক কিছু বুঝায় নিলয়! যার জন্য নিশি ব্যাপারটা গভীর থেকে ভাবে তাজ!নিলয় কথা দিয়েছে ভোর, নিশি মাঝে আলো আসবে না!

মানুষ মন থেকে কিছু চাইলে নাকি আল্লাহ তা পূরন করে! তার প্রমাণ আজ নিশি নিজেই।
হুম ভোর কে আপন করে পেয়েছে নিশি!আজ ভোর আর নিশি বিয়ে কাজী অফিসে সম্পূর্ণ হয়েছে!
নিশি, ভোর দুজনই খুব খুশী!নিলয় তাজ কে বিদায় দিয়ে নিশি,ভোর কে নিয়ে সিকদার বাড়ি ড্রয়িংরুমে দাড়ালো!রজনীকে ইশারা করলো নিশি কে ভোর রুমে রেখে আসতে সাথে বাড়ি সকল মেম্বার কে নিচে উপস্থিত থাকতে!

_________________________
ডির্ভোস শব্দটা মুখে নেওয়া খুব সহজ!তেমনি একটি সংসার থেকে বিচ্ছেদ হতে গেলে ডির্ভোস নামটা তুলতে হয়!র্ডিভোস দুটি মানুষ কে আলাদা করে দেয়!র্ডিভোস কথাটা মেয়েদের সাথে জুরে গেলে!পাড়া প্রতিবেশীদের এমন কি আপনজনরা সমালোচনা গ্রুন্জ তুলে!ডির্ভোস টা দুইজনে মতে হয় একজন মতে নয়!তাহলে ডির্ভোস শব্দ জন্য মেয়েদের একা কথা শুনানো হয় কেনো!যার সাথে মেয়েটা ডির্ভোস হয়েছে সেই ছেলেটাকে শুনানো উচিত নয় কি?

একটা ছেলে ডির্ভোস প্যাপারে সাইন করে!নতুন করে বিয়ে পিরিত বসলে সমস্যা নেই!কিন্তু একটা মেয়ে ডির্ভোস হলে তাকে দ্বিতীয়াবার বিয়ে দেওয়া হয়ে উঠে না!দ্বিতীয় বিয়ে দিতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়!মা,বাবা,ডির্ভোসি মেয়ে কে ঘরে রাখতে চায় না পাড়া প্রতিবেশী ভয়ে!লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া!

আজ আলো সিকদার বাড়িতে শেষ দিন!হ্যা আলো তার স্বামী ভোর সিকদার কে ভাঙ্গাচুরা সম্পক থেকে মুক্তি দিয়ে দিবে!

চোখে পানি মুখে মিথ্যে হাসি ঝুলিয়ে নিয়েছে আলো!কাপড় ব্যাগ এক হাতে আরেক হাতে ডির্ভোস প্যাপারসহ নিয়ে নিলয় সিকদার সামনে দাড়ালো আলো!

একটা সম্পকে বিশ্বাস, ভরসা,ভালোবাসা,অধিকার থাকতে হয়!সম্পক মজবুত থাকে আরো জোড়ালো হয় এই চারটি বৃদ্ধিতে!কিন্তু আমাদের সম্পক কোনো নাম দেওয়া আগেই, ভাঙ্গা হ্রদয় আর ভেঙ্গে দিয়েছে আপনার দুই ভাই!আপনার বড় কাজিন রাত সিকদার!বিয়ে আসরে থেকে চলে গিয়ে অসম্মান করে গেলেন তার মা,বাবা এবং আমাকে আর আমার বাবাকে!

______”আপনার চাচা!জনাব আশিক সিকদার নিজের সম্মান আর বন্ধু সম্মান বাচাতে!
বিয়ে দিলেন সিকদার বাড়ির ছোট ছেলে ভোর সিকদার সাথে!অথচ ভোর সিকদার এই বিয়েতে কোনো মত আছে কিনা জানার প্রয়োজনবোধ করেনি!এমনকি আমাকে বলা হয়নি আমি আতো সিকদার বাড়ির ছোট ছেলেকে বিয়ে করতে চাই কিনা!

রাত সিকদার চলে গেলো বিয়ে আসর ছেড়ে! সেখানে ভোর সিকদার ইন হলো!কনে একজনই ছিলো মাঝ থেকে বর বদল গেলো!একটা মেয়ের জন্য বিয়ে কথা পাকাপাকি হলে মেয়েটা এটা ভাবে যে তার বাবার বাড়ির যেভাবে ছিলো ভালো ছিলো!
বাবার বাড়ি পান্তা ভাতের সাথে কাচা মরিচ,পিয়াজ,নুন দিয়ে দুই চারটে ভাত খেলে ও শান্তিতে ছিলো!সেটাতে একটা অন্তত তৃপ্তি ছিলো!দিন শেষে পরিবারটা তার পাশে তো ছিলো”!

বাবা নামের বটবৃক্ষের ছায়াতো ছিলো!বাবার বাড়ির পর নাকি মেয়েদের
শ্বশুর বাড়ি যাবে সেখান সবাই কেমন হবে!আতো আমি শ্বশুর বাড়ি মানিয়ে নিতে পারবো তো!নিচের সাথে যেনো একটা লড়াই হয়!সব ধিতাদন্ড ভুলে বিয়েতে মত দেয় মেয়েটা!

প্রেম, ভালোবাসা সবার জীবনেই থাকে কম বেশি!আমি জানাতাম না ভোর সিকদার নিশি নামে কোনো মেয়ে কে ভালোবাসতো!এখনো সেই নিশি নামের মেয়ে কে ভালোবাসে!
যখন জেনে ছিলাম!তখন অলরেডি আমি ভোর সিকদার বিয়ে করা বউ!আল্লাহ নাম নিয়ে কালিমা মুখে নিয়ে তিন কবুল বলে ভোর চৌধুরী অর্ধাঙ্গিনী হয়ে গেলাম!বিয়ের রাতে বাসর ঘরে বউ সাথে দুটো কথাতো দূর!কোনো কারন ছাড়াই তাকে রক্তাক্ত করে!বউকে ভালোবেসে না হওক একজন বন্ধু হিসেবে তো সবটা বলতে পারতো!বন্ধু হিসেবে না পারলে একজন মানুষ হিসেবে তো বলতে পারতো!কিন্তু সেসব কিছু করেনি! দিনের পর দিন আঘাত করেছে!সেটা গায়ে হাত তুলে শারীরিকভাবে কিংবা কথার ভাষা ছুড়ি মতো তাক করে!

______প্রায় তিনমাস হয়ে এলো।ভোর করা সব অন্যায়, সব পাগলামি মুখ বুঝে সহ্য করেছি। মানুষ টা’ জন্য এক আকাশ ভালোবাসা জম্মানোর আগেই,এক আকাশ সমান ঘৃণা জম্মেছে! ভোর অসংখ্য তিক্ততার কারনে আলো নামের মেয়েটা অস্তিত্ব মরেই গেছে! নারী মন যে বড়ই নরম!নারী যেমন ভালোবাসা পেয়ে ভালোবেসে কাছের মানুষটা কে আগরে ধরতে জানে!তেমনি সময় সাথে সাথে নারী বদলে নরম থেকে পাথর হতে পারে সেই মানুষটা অবহেলা কারনে!

_____”মানব না মানব না করেও জোর করে গড়ে উঠা বিয়ের এই সম্পর্ক টা’কে মন থেকে গ্রহণ করে।নতুন পবিত্রা সম্পকটাকে জোড়া লাগতে সিদ্ধান্ত নিয়েছলাম!মানুষ টা’র ভাংঙ্গা হৃদয় ভালোবাসার বেড়াজালে আঁটকে দিয়ে নতুনভাবে গড়ে দেবো। কিন্তু বরাবরই তাঁর সব চেষ্টা বৃথাতে রূপান্তরিত হয়েছে।”

অশ্রুসিক্ত নয়ন দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সবার দিকে!নিলয়,আশিক সিকদার, রুবীনা সিকদার, ভোর সিকদার,রজনী সিকদার, ভোর আর রাতে আপন একমাএ ছোট বোন! রাত সিকদার আর তার বিয়ে করা বউ আখিঁ সিকদার রয়েছে!আলো কে বিয়ের আসরে ফেলে রেখে ভালোবাসা মানুষটাকে বিয়ে করেছে!বিয়ে না করলে হারাতে হতো!আলো সাথে রাত বিয়ে যেইদিন তখন সুইসাইড করে আখিঁ!তাই আলো কে ফেলে ভালোবাসা মানুষটা কে আগরে ধরে!সিকদার বাড়ির সবাই রয়েছে!ভোর মাথা নিচু করে রেখেছে!ভোর চেহেরাটা দেখতে পেয়ে আলো বুক টা হু’হু করে ওঠলো৷ মানুষ টা যে বড্ড পাষাণ তা সে এ ক্ষণেই বেশ টের পেয়ে গেছে। মরীচিকার পিছনেই এতোদিন ছুটে চলেছিলো সে। মরীচিকাই যে তাঁর ভবিতব্য। কান্না গলায় পাকিয়ে আসতে চাইছে!কিন্তু আজ আর আলো কাদবে না?কেনো কাদবে?কার জন্য কাঁদবে? এখানে কেউ তো তার আপন না সবাই পর!যাকে ঘিরে বাচার একটু আশা করেছিলো সেইতো সবটা শেষ করে দিয়েছে!সে বোধহয় বেশীই আশা করে ফেলেছিলো!

_______________

এই বিয়েটা না ভালোবাসার বিয়ে ছিলো আর না সে ছিলো তাঁর ভালোবাসার মানুষ!বিয়েটা হয়েছিলো একটা দূর্ঘটনা চক্রের মতো!লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া!

একবারো ভেবে দেখেননি আপনারা আজ আমার জায়গায় যদি আপনাদের বাড়ির মেয়ে থাকতো তাহলে আপনাদের অনুভূতি কি হতো?সেও তো কোন না কোন একদিন কারো ঘরের বউ হবে। আমার সাথে যা ঘটেছে তাঁর বিন্দু পরিমাণ কষ্টও যদি তাঁর ভাগ্যে জোটে আপনাদের সহ্য করার ক্ষমতা থাকবে তো? নিজেদের ঘরের মেয়ে বলে খুব গায়ে লাগবে নিশ্চয়ই? ক্ষমতার জোরে নিজের বাড়ির মেয়েকে সেভও নিশ্চয়ই করবেন? আর আমি পরের বাড়ির মেয়ে বলে সবটাই আমাকে দাঁত কামড়ে সহ্য করতে হবে। কারণ আমার তো ক্ষমতাবান বাবা নেই ক্ষমতাবান একটা পরিবার নেই! আমার বাবা যে খুবই সাধারণ একজন মানুষ’?

সকলে স্তব্ধ হয়েই রইল!আলো আর একটা বাক্যও উচ্চারণ করতে ইচ্ছে করলোনা৷ এবার সে মুক্তি নিয়ে মুক্তি দিয়েও যাবে। চিরকালের জন্য ত্যাগ করবে এই ঘর এই সংসার এই ভোর সিকদার কে। দুহাতে চিকন দুটো স্বর্ণের বালা খুলে ফেলো সাথে নাকের নাকফুল আর কানের দুল! ট্রিটেবিলের ওপর বালা, কানের দুল, নাকফুল রাখলো। রজনী চোখ বেয়ে অঝড়ে পানি ঝড়ছে।

নিশি ভোর বউ হয়ে বাড়িতে পা রাখলো যেইদিন সেইদিন এই ঘর সংসার ত্যাগ করলো আলো!কি করবে আলো তাকে যে কেউ চায় না তা তিনমাস হারে হারে বুঝতে পেরেছিলো!রজনী ছাড়া সিকদার বাড়ির কেউ আলো খবরটা রাখার প্রয়োজকটুকু করেনি সে বেচে আছে না মরে গেছে! রুবীনা সিকদার আলো কে অপচ্ছন্দ করে সেটা আলো বুঝতে পারে!তার দুই ছেলে কষ্টভোগে কারন আলো দোষী মানে!আলো সব পিছুটান ছেড়ে চলে গেলো পিছনে একবার তাকিয়ে চোখের পানিটুকু মুছে ফেলো!

আশিক সিকদার বুক অনুতাপের আগুনে পুড়ছিলো। কারণ তিনিও যে এক কন্যা সন্তানের বাবা। অনেক বড় অন্যায় হয়ে গেছে তাঁদের দ্বারা। নিজ স্বার্থে মগ্ন থেকে কখনোই এই মেয়ে বা এই মেয়ের পরিবারের কথা ভাবা হয়ে ওঠেনি। কখনো খেয়াল করেও খেয়াল করা হয়নি নিজ ছেলের বর্বরতা।নিজের সম্মান বাঁচাতে কারো মত না নিয়ে জোর করে বিয়ে মতো পবিত্র বন্ধ আটকে দিয়েছিলো!

বাড়ি সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে আলো নামে মেয়েটা দোষী নয় সে কোনো অপরাধ করেনি!

______________

সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে একদিন সবাইকে যেতে হবে কেউ আগে যাবে কেউ পরে যাবে এটাই পৃথিবীর নিয়ম!

আলো ঘর, সংসার সিকদার বাড়ি ছেড়ে যখন বাবা বাড়িতে পা রাখলো তখন নিজেকে আর সামলাতে পারেনি! বাবা বুকে মাথা রেখে খুব কেঁদেছিলো এবং সিকদার বাড়ি সব কিছু শেষ করে চলে আসা কথা ও শেয়ার করেছিলো!আলো বাবা মেয়ে এই পরিণতি মানতে পারেনি তাই সেই রাতেই ঘুমের ঘরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন!আলো কে পুরোপুরিভাবে এতিম করে চলে যান পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে!আলো সকালে নামাজ পড়ার জন্য বাবা কে ডাকতে এসে
বাবা কে মৃত পেয়ে ছিলো!
বাবা কে শক্ত করে জড়িয়ে নিরবে কেঁদেছিলো আলো!আজ থেকে আলো এই পৃথিবীতে কেউ রইল না আলো এখন এতিম কোথায় যাবে কি করবে কেউ জানে না!লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া!

৫ বছর______________

ভোর আলো কে ছেড়ে আসার সময় তিক্তক কথাগুলো বলে ছিলো তার জন্য ভোর মনে মায়া সহানুভূতি জম্ম নিলে ও ভালোবাসা জম্ম নেয়নি!
ভোর নিশি সুখেই আছে ##ভালোবাসার_সাত_রং?? রাঙিয়ে দিয়েছে তাদের জীবন হ্যা নিশি, ভোর তিন মেয়ে সন্তানের বাবা,মা হয়েছে!নিলয় আজ আলো কে খুজে বেড়ায় কোথায় আছে জানা নেই!আলো বাবা যেইদিন মারা যায় নিলয় খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিল আর জানাজায় সামিল হয়েছিলো! কিন্তু বাবা মৃত্যু শকট হয়তো আলো জন্য বেশি ছিলো তাইতো বাবা কবর দেওয়ার পর আলো আর পাওয়া যায়নি!আতো বেচে আছে তো প্রশ্ন নিলয় কে কুড়েকুড়ে খায়!ভাইয়ের জীবন বাচাতে গিয়ে আলো মেয়েটার সাথে বড্ড অন্যায় করে ফেলো!

[[সমাপ্ত ]]

আসসালামু আলাইকুম!গল্পটা অনেক লেট করেছি যার জন্য আপনারা আমার ওপর খুব রেগে আছেন!এত লেট করে গল্প দিলে আপনাদের পড়ার ইচ্ছে থাকে না এটা আমি মানি!কারন আমি একজন পাঠিক আমার পছন্দের গল্পগুলোর লেট হলে মন খারাপ আমার হয়!সেই হিসেবে আমি বুঝতে পারি আপনাদের রাগ হওয়া কারনটা!তাই গল্প শেষ করে দিলাম গল্পটা ভালো হয়নি শুরু কষ্টে ছিলো!আর শেষ এমনভাবে ভেবে রেখেছিলাম তাই সেভাবে শেষ করলাম!গল্পটা প্রচুর ভুল থাকে তার জন্য সরি!আমি আজ পর্যন্ত যত গল্প লিখলাম একটা ও ধীরে সুস্থে নয় বড্ড তাড়াহুড়ো করে শেষ করি!যার জন্য লিখা খাপছাড়া থাকে!আমার ব্যাস্ততা শেষ হলে নতুন গল্প নিয়ে হাজির হবো খুব ব্যাস্ত সময় যাচ্ছে এখন তাই গল্প দিতে এত লেট লতিফ!তার ওপর আমি খুব অলস গল্প আগা মাথা গুলিয়ে বসে থাকি!মাথা ঠাণ্ডা না হলে কিছু লিখতে পারিনা!
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটা পাশে থাকার জন্য!আর যারা আগের পাঠগুলো কি ছিলো ভুলে গেছেন তারা একটু কষ্ট করে প্রথম থেকে পড়ে নিন প্লিজ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here