বোরকাওয়ালি পতিতা ৫

0
606

____# বোরকাওয়ালি পতিতা
লেখক ————>> [#Ariyan Aran]
পাট —————>> [5]
★★★
হাসপাতালে পৌছানোর পরে.. বাচ্চাটা তার আপু কে দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরে কোলে উঠে পড়লো । কি ভালো বাসা দুই ভাই বোন এর মধ্য । বাচ্চাটা ওর বোন কে চুমু খেলো আর মেয়েটাও একি কাজ করলো ।..
আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখসিলাম তাদের ভালোবাসার এই রং টা.. ।
সত্ত্যি কি আজকের যুগে এমন মেয়ে আর একটাও আছে যে নিজের ভাই এর জন্য নিজের সতিত্ব কে বিলি করতে পারে ।
আমার জানা মতে আজকের যুগে এমন মেয়ে আর একটাও মেয়ে । এই গল্পে এই এক পিছই আছে ।
তার পর বাচ্চাটার চোখ পড়লো আমার ওপর…
বাচ্চাটা : আপু আপু ওই আংকেল টা কে. ‌বাচ্চাটার মুখে আংকেল শব্দ টা শুনে আমিতো থ.. মেরে গেছি
………….
বলে কি পুচ্চকু টা আমি আর আংকেল!
এখনো বিয়েই করলাম না….??
আর দাড়ি ও তো নেই ।..
সিওর হওয়ার জন্য গালে আর একবার. হাত দিয়ে দেখলাম দাড়ি ওঠছে কি না…!!
না কোনো দাড়ি নেই…??
তাহলে এই পুচকু টা আংকেল বলল কেনো ।
আর মেয়েটাও পারে বটে আমাকে আংকেল বলছে আর ও মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে ।
যা আজকে মনে হয় বুড়ো হয়ে গেলাম ।
মেয়েটা : ওই আংকেল টা তোমাকে দেখতে আসছে ।
(হেসে হেসে)
আমার আর কিছু করার নাই.. ‌ বাচ্চাটা তার আপু র কোল থেকে নেমে গেলো তারপর আমার কাছে আসলো
আমি হাটু গেড়ে তার সামনে বসলাম..
বাচ্চাটা : আংকেল আংকেল আপনি আমাকে সত্যি দেখতে আসছেন..??
আমি : হে তোমার জন্যই ত আসছি ।তার আগে তুমি আমাকে ভাইয়া বলে ডাকো । তোমার জন্য একটা গিফট আছে ।
বাচ্চাটা : কি গিফট আংকেল দেন না দেন.. না…
(আবদার)
আমি : উফফ আবার আংকেল ভাইয়া বলো তাহলে দিবো ।
(বিরক্তিকর)
বাচ্চাটা : আচ্চা দেন আগে দেন দেখি ।..
আমি: চোখ বন্ধ করো তোমার…???
বাচ্চা মানুষ ত তাই বলার সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলে । আমি একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়েছিলাম ।খেয়াল করছি মুচকি মুচকি হাসছে।…
আমি: এবার চোখ খুলো….
পকেট থেকে একটা কিটক্যাট বের করে তার চোখের সামনে দড়ি……!!
বাচ্চাটা: ওয়াও আংকেল….. এত বড় চকলেট…. এটা আমার জন্য ।
ধুর ছাই বাচ্চাটা ত মহা পাজি কিছুতেই কথা শুনছে না আবার ও আংকেল বলছে….! (মনে মনে)
আমি : হে এটা তোমার জন্য কিন্ত তোমাকে দিবো না..!!!
কথাটা শোনা মাতরো বাচ্চাটার মুখ টা কালো হয়ে গেলো ।মাতা নিচু করে দারিয়ে রইলো কোনো কথা বলছে না ।
আমি: আরে কি হলো তোমার… এমন মুখ ঘোমরা করে দারিয়ে রইলো কেন । এই চকলেট টা তোমার । তোমার জন্যই ত এনেছি ।কিন্ত তার আগে ভাইয়া ডাকো একবার ।
বাচ্চাটা খুশি হয়ে আমাকে জরিয়ে ধরে বলে…
বাচ্চাটা : সত্যি এটা আমার জন্য…. (মহাখুশি)
আমি : হমমমম তোমার জন্য কিন্ত এখন থেকে ভাইয়া বলে ডাকবা কেমন ।
কথাটা বলে বাচ্চাটার হাতে চকলেট টা ধরিয়ে দিলাম ।
সাথে সাথে বাচ্চাটা আমার গালে চুমু দিয়ে বলল‌..
বাচ্চাটা : থেনক্কু ভাইয়া । তুমি অনেক ভালো ।
আমি : তাই.. তুমি ও অনেক ভালো ।
বাচ্চাটা : আচ্ছা ভাইয়া এই চকলেট টা অনেক দামি তাইনা ।
আমি : বেশি না একটু ।
বাচ্চাটা : ওও আচ্ছা তাহলে এটা নিয়ে নেন এটা আমার লাগবে না ।…
আমি অবাক হয়ে গেলাম…..
আমি: কেনো কেনো চকলেট টা কি তোমার ভালো লাগে নাই ।
বাচ্চাটা: ভালো লাগছে কিন্ত আমার আপু বলছে দামি জিনিস আমাদের মত গরিবের কপালে নাকি ঝুটে না ।
আর চকেলট টা এত দামি এর টাকাও আপু দিতে পারবে না । তাই বলছি এটা নিয়ে নেন আমার একটা তেই হবে ।
বাচ্চা টা এমন একটা কথা শুনে আমার মাথা গুলাতে শুরু করলো । আমি একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটার মুখ খানি ও কালো হয়ে গেছে ।
সত্যি কতটা কষ্টে না এত দিন জিবন যাপন করছে । যা এই বাচ্চাটাও বুজতে পেরে গেসে টাকার মূল্য ।
দুনিয়া তে সব টাকার ই খেলা ।
হঠাৎ বাচ্চাটার ডাকে আবার ধ্যান ভাঙলো…..
বাচ্চাটা : ভাইয়া এই নাও আমার এটা লাগবে না । আমি এই একটাই খাবো ।
(মুখ ঘোমরা করে)
আমি : আরে এটার টাকা তোমাকে দিতে হবে না । দোকানদার তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি শুনে এমনি একটা দিয়ে দিছে । তুমি নাকি চকলেট খুব ভালো বাসো । তাই ত তোমার পছন্দের লাল চকলেট টা দিলো ।
বাচ্চাটা : সত্যি বলছো…..
(মহা খুশি হয়ে আর মুখে এক মায়াবি হাসি)
আমি : হমমমএ সত্যি.. এখন যাও গিয়ে শুয়ে আরাম করে খাও.. ‌..
বাচ্চাট : ওক্কে ভাইয়া..
বলেই সাথে সাথে আমার গালে আর একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে ওর আপুর কাছে চলে গেলো ।
ওর আপু মানে মেয়েটা তাকে বেডে বসিয়ে দিয়ে চকেলট খেতে বলল..
বাচ্চাটা মহা আনন্দে চকলেট খাচ্ছিলো ।.
মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ায় ।
বলল…..
মেয়েটা : চকেলট কখন কিনলেন আমি ত দেখলাম না ।
আমি : তোমাকে না বলেই কিনেছি বললে কি কিনতে দিতে । তাই না বলে লুকিয়ে কিনছি ।
মেয়েটা : ওও আচ্চা…
আমি: হুহ এখন.. চলো…??.
মেয়েটা : কোথায়…??
আমি : ডাক্তার এর কাছে । দেখি আর একবার কি বলে তা নিজের কানে শুনি ।…
মেয়েটাও আর কোনো আপত্তি করলো না তার ভাইকে বলে আসলো কোথাও যেনো না যায় আর যেনো দুষ্টামি না ।
আর বাচ্চাটা মাথা নাড়িয়ে হ্যা সুচক জবাব দিলো । কারন পুচকু টা চকলেট খাওয়ায় ব্যস্ত ।
আমি আর মেয়েটা । যেতে যেতে কথা বলছি ।.. কিন্ত ডাক্তার এর কেবিনে ডুকেই খেলাম এক ধাক্কা ।
অবাক হয়ে গেলাম….. কারন কেন জানেন…..
চলুন দেখা যাক…. ‌…
আমি : আসতে পারি স্যার ।…
ডাক্তার : হ্যা আসুন ।
ডাক্তার কে দেখেই আমি পুরো থ মেরে গেলাম কারন ডাক্তার টা আমার আব্বুর বন্ধু আর আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার ।
ডাক্তার : আরে এত দেখছি আলোক বাবা জিবন ।… তা এতদিন পর কই থেকে এলে..!!
আমি: আংকেল আপনি এখানে কিভাবে..??
ডাক্তার : এই ত ছয় মাস হলো বদলি হয়ে এসেছি । তা তোমার বাবার কি খবর সে এখন কেমন আছে । আর তুমি হঠাৎ কি মনে করে ….!??
আমার আর আংকেলের আলাপ দেখে মেয়েটা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে কোনো কথা বলে না ।
আমি: জ্বি আংকেল আব্বু ভালো আছে ।
আসলে হয়েছে কি আংকেল আমি ওর ভাইএর বেপারে একটু…….. জানতে চেয়েছিলাম । কি হয়েছে এর ভাই এর ।
(মেয়েটার দিকে ইশারা করে)
ডাক্তার : ওও এই কথা আচ্ছা বসো বলছি.. ।
দুইজনেই চেয়ারে বসে পরলাম ।
তারপর ডাক্তার আংকেল আমাকে সব খুলে বললেন ।
ডাক্তার : বেশি কিছু না একটা অপারেশনের করলে ঠিক হয়ে যাবে ।
আমি : আংকেল আপনি যা করার করুন যত টাকা লাগে আমি দেবো কিন্ত বাচ্চাটার যেন কোনো ক্ষতি না হয় ।
ডাক্তার : আচ্ছা চিন্তা করো না আমি পারসোনাল ভাবে এই বেপার টা হেনডেল করবো ।
আমি: তাহলে আংকেল আপনি যত তারাতারি সম্পভ অপারেশন টা শুরু করে দিন । আমরা তাহলে এখনউঠি ।
ডাক্তার : সেকি এই মাতরো ত এলে আর এখন ই বলছো উঠি । কিছু চা নাস্তা খেয়ে যাও ।
আমি: না আংকেল আজ না অন্য দিন..।
বলেই আমরা উঠে হাটা শুরু করলাম ।
মেয়েটার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে ছিলাম । ঘন কালো কুয়াশায় যেনো তার সুন্দর মুখটা ডেকে গেছে কোনো কথা বলছে । চুপচাপ ।
আমি কেবিন থেকে বের হওয়ার আগেই ডাক্তার আংকেল আমাকে ডাক দিলো ।
ডাক্তার : বাবা আলোক শুনো..
আমি আর মেয়েটা দুজনেই দারিয়ে পরলাম । পিছন ফিরে তাকিয়ে বললাম।জ্বি আংকেল বলুন.. ।
ডাক্তার আংকেল চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার কানের কাছে ফিস ফিস করে । বলছে….
ডাক্তার : বিয়ে টা করবে শুনি. ‌‌
(হাসি দিয়ে).
আমি: দেখি কি করা যায়……
ডাক্তার : চালিয়ে যাও বাবা তোমাদের দুইজনকে বেশ ভালো মানিয়েছে ।
আমি আর কিছু বললাম না
শুধু একটু হেসে চলে আসলাম ।
কিন্ত এদিকে মেয়েটার মন এখনো খারাপ হয়তো তার ভাই এর কথা ভাবছে ।
আমি: কি হলো কি ভাবছো ।
মেয়েটা চমকে গেলো…
মেয়েটা : কই কিছু না ত..
আমি : চুপচাপ যে কোন কথা বলছো না যে ।…
মেয়েটা : এমনি. ‌‌. ‌……
আর কোনো কথা বলল না আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করলাম না । কারন জানি এর মন ভালো নেই ।
পরের দুইজনে বাচ্চা টার কাছে গেলাম ।
আমি মেয়েটা কে বললাম ।….
আমি : শুনো আমি কিছুক্ষনের জন্য একটু বাসায় থেকে ঘুরে আসি । বাবার সাথে কিছু কথা আছে ত তাই ।.
মেয়েটা ওর ছোট ভাই এর পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো ।
মেয়েটা : আচ্ছা…
আর কিছু বললো না হয়তো লজ্জাবোধ কাজ করছে । তাই…..
আমি : আচ্ছা তাহলে আমি এখন আসি ।চিন্তা করো না আমি বিকাল হওয়ার আগেই চলে আসবো… ।
মেয়েটা : ওক্কে….
আমি ও আর কিছু না বলে বেরিয়ে পরলাম বাড়ির উদ্দেশ্য … গারিতে বসে বসে ভাবছি বাবা কে আজ সব কিছু খুলে বলবো তিনি নিশ্চয়ই আমার কথা রাখবেন ।
আর ও অনেক কথা ভাবতে ভাবতে বাড়িতে এসে পৌছালাম ।….
কিন্ত কে জানতো… যে
বাড়িতে আমার জন্য একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে…….. গেটে গিয়ে টুকা দিতেই দারোয়ান কাকা গেট খুলে দিলো….
আর সাথে একটা চিঠি আর বাসার চাবি ও দিলো ।…..
চলবে… ‌.
[ পাঠক পাঠিকাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে গল্পটার পাট বাড়িয়ে দিয়েছি]
__________♥♥ ধন্যবাদ ♥♥__________
আমি এত ভালো করে লিখতে পারিনি তাই পাঠকদের কাছে অন্য গল্পের মত ভাল নাও লাগতে পারে ! এ জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ??
আর যদি ভালো লাগলে অবশ্যই অবশ্যই লাইক ?কমেন্ট করে জানাবেন আর এড দিয়ে পাশে থাকবেন আশা করি !
আপনিও গল্প পড়েন আপনার ফ্রেন্ডদের গ্রুপে এড দিয়ে তাদেরকেও গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন!
নেক্সট পার্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ আমার গল্প পড়ার জন্য সবাইকে?⚘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here