বোরকাওয়ালি পতিতা ২

0
560

___বোরকাওয়ালি পতিতা
লেখক——–>> #Ariyan Aran
পাট ————>> [2]
★★
আমি পাগলের মত তার উপর ঝাপিয়ে পড়ি ।
তার সারা শরিরের গ্র্যান আমাকে পাগল করে ফেলছে ।
আমি ধিরে ধিরে তার ঠোটের দিকে অগ্রসর হতে থাকি । মেয়েটা চোখ বন্ধ করে ফেলে।
আমি সাথে সাথে তাকে লিপ কিস করে বসি । মেয়েটা কেপে উটে আমাকে জরিয়ে ধরে ফেলে আমি ও তার প্রতি পুরো নেশায় আক্রাত হয়ে পরলাম।
দুইজেন সুখের রাজ্য হারিয়ে গেসি ।
হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হলো…
আমার নেশা কেটে গেলো । আমি মেয়েটাকে ছেড়ে দেই ।
তার পর চেয়ে দেখি মোবাইল এ কল আসচ্ছে ।
মেয়েটা বলল
মেয়েটা : যদি কিছু মনে না করেন তাহলে ফোনটা ধরতে পারি ।
আমি : হমমম কিন্ত আমার সামনে কথা বলতে হবে ।
মেয়েটা আমার কথা শুনেই ফোন টা রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে সুন্দর একটা মিষ্টি কন্টে ভেসে আসলো একটা ছোট বাচ্চার আওয়াজ ।
বাচ্চাটা বলছে….
আপু আপু তুমি কোথায় আসো । কখন আসবে । আমার তোমাকে ছারা ঘুম আসছে না । তুমি তারা তারি আসো না আপু । আমার যে তোমাকে ছারা ঘুমাতে ভয় করে । (ফোনের স্পিকার ওন ছিলো)
কথাগুলো শুনে বুজতে পারলাম বাচ্চাটা মেয়েটার ভাই হয় ।
মেয়েটা বলছে….
তুমি এখন ও জেগে আছো । নাস আন্টি তোমাকে ঘুম পারিয়ে দেয়নি ।
বাচ্চাটা: দিয়েছিলো কিন্ত আমার ঘুম আসছিলো না তাই জেগে গেছি ।
মেয়েটা : ফোন কিভাবে করলে..??
বাচ্চাটা : নাস আন্টি করছে । আমার কথা বলতে ইচ্ছা করসিলো তাই তুমি তারাতারি আসো না আপু আমার তোমাকে ছারা ঘুম আসেনা ।
মেয়েটা : বাবু আমি ত কাজে আছি এখন আসতে পারবো না একটু পরে যাই তুমি ততক্ষন ঘুমাও । আমি তোমার জন্য আসার সময় চকলেট কিনে আনবো ।এখন লক্ষি ছেলের মত ঘুমিয়ে পরো আমি নাস আন্টিকে বলে দিচ্ছি যাতে তোমাকে গল্প শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয় ।
বাচ্চাটা : আপু লাল চকলেট আনবা । ওইটা অনেক মজা।
মেয়েটা : ঠিক আছে আনবো । এখন লক্ষি ছেলের মতো ঘুমিয়ে পর।
বাচ্চাটা : আচ্ছা আপু তারা তারি আইসো…. ।
বলেই ফোনটা টুটু শব্দ করেকেটে গেলে
আমি এতক্ষন সবকিছু চুপচাপ শুনছিলাম।
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল এবার আপনি শুরু করতে পারেন ।
কিন্ত বাচ্চাটার কথা শুনে আমার মনের প্রশ্নের পাহার আরো বড় হয়ে গেলো।
আমি মেয়েটা জিজ্ঞেস করলাম বাচ্চাটা কি হয় ও বললো ওর ভাই ।
আমার এবার জানার আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো।
তাই মেয়েটা বললাম ।
আমি: আচ্ছা যদি কিছু মনে না করেন কিছু কথা জানতে পারি ।
মেয়েটা : জ্বি বলুন ।
আমি : আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আপনার জিবনে বড় ধরনের ঝড় উঠেছে ।যার কারনে আপনি এই পথ টা বেছে নিলেন সেটা কি আমি জানতে পারি ।
মেয়েটা : আপনার এত জেনে কাম নাই যা করতে আসছেন তাই করে বিদায় হন।
এবার আমার মাথা গরম হয়ে গেলো একটু বললে কি হয় ।
তাই রেগে বললাম…….
আমি : আচ্ছা করবো না আমি চলে যাচ্ছি দেন আমার টাকা ফেরত দেন।
(কিছুটা ব্যাকমেল করে কারন আমি বুজতে পারসি মেয়েটা বিপদ এ পরছে)
মেয়েটা : প্লিজ এমনটা করবেন না আপনি চলে গেলে আমার ভাইয়ের চিকিৎসার টাকা জোগার করতে পারবো না । আর এত রাতে আমি আর কোনো কাস্টমার ও পাবোনা । প্লিজ এমন কইরেন না ।( ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে)
আমি : আচ্ছা আপনার ভাইয়ের কি হইসে আর আপনার ই বা কি হইসে যার কারনে আমি নিজের সতিত্ব নষ্ট করতেও পিছু পা হচ্ছেন না । সব কিছু খুলে বলুন আমাকে ।তাহলে আমি যাবো না ।
( এখনো কাদছে মেয়েটা)
আপনি সত্যি সব শুনতে চান (মেয়েটা)
হমমমম তার জন্য তো জিজ্ঞেস করছি।(আমি)
আচ্ছা তাহলে শুনুন…
মেয়েটা : আমার নাম মেহরিমা জাহান ।
আমি কুমিল্লার বাসিন্দা । এক বছর আগে মাধ্যমিক পাস করে কলেজ এ উঠছি । আমার বাবা একজন দিন মুজর ছিলেন. । আজ থেকে প্রায়ছয় মাস আগে । আমার মা বাবা দুইজন ই একটা কার একসিন্ডেট এ মারা যান । সেদিন থেকে আমার জিবনে দুঃখের ঝর নেমে আসে। যে লোকটা আমার মা বাবা কে গাড়ি চাপা দিয়েছিলো সে লোকটা অনেক ধনি ছিলো । আমাকে আর আমার ভাইকে ওনার সাথে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্ত….
আমার মামা আর মামি দুইজন খুব লোভি তারা ওই লোকটার কাছে থেকে টাকা নেয়. তারপর লোকটাকে চলে যেতে বলেন । আর তারপর মামি চকরান্ত করে বাবার সব জায়গা জমি নিজের নামে করিয়ে নিয়েছিলেন।
ওনারা ঠিক করেছিলেন আমাকে ওনাদের ছেলের সাথে বিয়ে দিবেন । কিন্ত ওনার ছেলে অনেক খারাপ লোক ছিলেন নেশা করতো ।
তাই আমি বিয়ে তে রাজি হইনি কিন্ত এতে করে ওনারা আমার খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন ।
বাদ্ধ্য হয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে কোনোমত পালিয়ে ঢাকা চলে আসি ।
ঢাকায় এসে এই ছোট রুম টা ভাড়া নেই ।
তারপর টিউশনি করে কোনোমতন দুই ভাইবোন খেয়ে রাত কাটাতাম ।
এভাবেই ভালো চলছিলো আমাদের ভাই বোনের জিবন । কিন্ত তাতেও দুঃখের একটু মায়া হলো না । আবার আমার জিবনে ঝড় তুলে দিলো ।
একদিন ছোট ভাই খেলতে খেলতে হঠাৎ করে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ।
পড়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম ।
ডাক্তার বলছে ওর নাকি মাথায় ছোট একটা টিউমার আছে । এটা অপারেশন এর মাধ্যমে বের করতে হবে ।
নাহলে দিন দিন আরো বেথা বাড়তে পারে আর তাতে ভাইটা মারাও যেতে পারে।
আমি ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করছিলাম কত টাকা লাগবে ।
ডাক্তার বলছে মিনিমাম এক থেকে দেড় লক্ষ্য টাকা লাগবে ।
কিন্ত আমি এত টাকা পাবো কোথায় এটাই ভেবে পারছিলাম না । চাকরি খোজার অনেক চেষ্টা করছি কিন্ত তারাও একই কাজ করতে চায় আমার সাথে । আমি রাজি হলে চাকরি দেবে না হলে দেবেনা।
কিন্ত আমি রাজি হয়না ।
দিন যেতে থাকে আর আমার ভাইটা মরনের সাথে লড়াই করতে থাকে ।
আপনি বলুন ওইটুকু একটা ছোট বাচ্চা কি করে পারবে এত ব্যাথা সহ্য করতে ।
তাই আর কিছু না ভেবে বেরিয়ে পরছি নিজের গায়ে পতিতার ছাপ লাগাতে ।
এতে আমার জিবন ধংস হলেও আমার
নিষ্পাপ ভাইটার জিবন বেছে যাবে ।
আমি ছারা এই দুনিয়াই ওর আর. আমার কেউ নাই ।
(কেদে কেদে সব কথা গুলো বললো)
মেয়েটার কথা শুনে আমার বুকের ভেতর টা দুমরে মুচরে গেলো ।
কেমন যেনো একটা কষ্ট অনুভব করলাম।
মানুষ এত নিষ্টুর কি করে হতে পারে
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা এখনো কাদছে ।
তার চোখের নোনা জল গুলো তার চোখের কাজলের সাথে মিলে একটা খেলা করছে ।
আমি তারা তারি করে পকেট থেকে রুমাল টা বের করে মেয়েটার হাতে দিয়ে বললাম
আমি: নেন এইটা দিয়ে চোখের পানি মুছুন । কাদলে আপনাকে একটু ভালো দেখায় না ।
মেয়েটা রুমাল টা হাতে নিয়ে চোখ মুছে কান্না করা বন্ধ করলো ।
মেয়েটা : আচ্ছা চলেন এখন ত আপনার যৈবিক চাহিদা পূরন করার পালা ।
আমি মেয়েটার এমন কথা শুনে সত্যি অবাক না হয়ে পারলাম না । কেউ এতটা নিচে নামতে পারে নিজের ভাইকে বাচানোর জন্য জানা ছিলো না ।
আমি মেয়েটার গলার শব্দে আবার বাস্তবে ফিরে এলাম ।
মেয়েটা : কি হলো আপনার কি ভাবছেন
আমি : আচ্ছা যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি….
মেয়েটা : জ্বি বলুন
আমি এর পর যা বলছি মেয়েটা তা শুনার জন্য মোটেও তৈরি ছিলো না ।
_________চলবে…
আর হে এতদুর যখন পরে এসেছেন তখন ছোট করে একটা লাইক কমেন্টকরে জানিয়ে দিবেন গল্পটা কেমন লাগলো । আপনার একটা লাইক কমেন্ট লেখকদের প্রেরনা জোগায় ।)
[[——>>
আমি এত ভালো করে লিখতে পারিনি তাই পাঠকদের কাছে অন্য গল্পের মত ভাল নাও লাগতে পারে ! এ জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ??
আর যদি ভালো লাগলে অবশ্যই অবশ্যই লাইক ?কমেন্ট করে জানাবেন আর এড দিয়ে পাশে থাকবেন আশা করি !
আপনিও গল্প পড়েন আপনার ফ্রেন্ডদের গ্রুপে এড দিয়ে তাদেরকেও গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন!
নেক্সট পার্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ আমার গল্প পড়ার জন্য সবাইকে?⚘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here