বোরকাওয়ালি পতিতা ৩+৪

0
797

# বোরকাওয়ালি পতিতা
লেখক ———>> [#Ariyan Aran]
পাট ————->> [4]
★★★
মেয়েটা কোনো কথা না বলে চুপচাপ বিছানার এক কোনে গিয়ে শুয়ে পরলো ।
খেয়াল করলাম মেয়েটা বালিশে মুখ লুকিয়ে কাদচ্ছে । আমার মন চাইছিলো ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলি ।
কেদো না আমি আছি তোমার পাশে ”
কিন্ত সেই অধিকার টুকু এখনো পাইনি ।
তাই আর কিছু না বলে । আমি একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে মাটিতে বিছানা পেতে শুয়ে পড়ি । এখনো কান্নার গুনগুন আওয়াজ শুনা যাচ্ছে…!!
কি করবো বুজতে পারছি না । এখন কি আমার ওকে সান্তনা দিয়া উচিৎ হবে ।
মনে মনে ভাবছি মেয়েটাকে এই ভাবে জোর করে বিয়া করা কি ঠিক হচ্ছে নাকি ।
না না যা করছি ঠিকই করছি ।
পতিতা হয়ে সমাজে বসবাস করার চেয়ে আমার বউ হয়ে থাকা অনেক ভালো । এমনি তেই মেয়েটা সব কিছু হারিয়ে নিস্ব । এখন তার শেষ সম্বল টা যদি হারিয়ে পতিতার পরিচয়ে জিবন কাটায় । তাহলে হয়তো বেশি দিন বাচবে না ।
আর এমনিতে আমি ওকে প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলছি । ও শুধু আমার ।ওকে যে করেই হোক আমার করে পেতে হবে । পৃথিবীর সমস্ত কিছু ত্যাগ করে হলেও আমি এই মেয়েটাকেই বিয়ে করবো ।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম টের ই পেলাম না ।
একটুপর……..
হঠাৎ একটা চিৎকারের শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙে গেলো । আমি রিতিমত ভয় পেয়ে লাফিয়ে উঠছি ।
উঠে দেখি মেয়েটা ভয়ে চুপসে গেসে ।
আমি ওর কাছে তারাতারি করে গিয়ে ওকে জরিয়ে ধরি ।
আর মেয়েটাও আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ফেলল ।
আমার বুজতে আর বাকি রইলো না যে মেয়েটা স্বপ্ন দেখে ভয় পাইছে ।
আমি : কি হলো কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখলে নাকি ।
মেয়েটা : আমার.. আমার.. ভাই.. আমার ভাই কোথায় ওকে দেখতে পাচ্ছি না ।
( কেদে কেদে)
বুজতে পেরেছি মেয়েটা ওর ভাইকে নিয়ে কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখেছে ।
আমি: তোমার ভাই হসপিটালে তুমি জানো না….?
মেয়েটার হুস ফিরলো এতক্ষন ভয়ে গোড়ের মধ্য ছিলো ।
হুস ফিরতেই আমাকে এক জোটকা দিয়ে সরিয়ে দিলো ।
তারপর তার কান্নার মাতরা আরো বেরে গেলো।
ইস কত সুন্দর লাগে কাদলে । একদম বাচ্চা দের মতো ।
কিন্ত এখন রোমান্স করার সময় নাই..
আমি : ওই কাদচ্ছো কেন কি হইসে…???
মেয়েটা : কিছুনা!
মেয়েটা তার চোখের পানি মুছে কান্না বন্ধ করে ।.
আমি : কি হলো বলো কি হইসে ।
মেয়েটা : আচ্ছা কিছু কথা বলার ছিলো ।
আমি : হে বলো কি বলবে ।
মেয়েটা : আপনি আমাকে সত্যি ভালোবাসেন । আর আমাকে কি সত্যি বিয়ে করতে চান ।
আমি : হে আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি । আর তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
মেয়েটা : কিন্ত আপনার পরিবার এর সবাই কি আমাকে মেনে নিবে ।
আমি: পরিবার বলতে তেমন কেউ নেই । আছে শুধু বাবা ।
বাবা তার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ।.
আর আমি সারাদিন ঘুরি ফিরি আর খাই
মেয়েটা : আর আপনার মা..??
আমি : শুনেছি ওনি নাকি আমার জন্মের পর মারা গেছেন । ছোটবেলা থেকেই বাবা আমার সব কিছুর দেখাশোনা করছেন ।
এইভাবে কথা বলতে বলতে ভোরের আযান দিয়ে দিলো ।
মেয়েটা আমাকে বলল…
মেয়েটা : আচ্ছা এখন আযান দিচ্ছে যান আপনি নামাজ টা পরে আসুন ।
আমি ভাবলাম কিছুটা দুষ্টামি করা যাক..
আমি : আসলে আমার না খুব ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাই ।
বলেই মেয়েটার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরলাম ।..
আর খেয়াল করলাম মেয়েটার মুখে একটা হাসির ঝলক ।
মেয়েটা : ওই কি করছেন যান নামাজ টা পরে আসুন আগে তারপর ঘুমাইয়েন।
আমি : না না আমি যাবো না আমি ঘুমাই তুমি পড়ো ।
মেয়েটা : আমি কোনো বেনামাজি পুরুষ কে বিয়ে করতে পারবো না । কারন যে তার সৃষ্টিকতা কে ভালো বাসতে পারে না । সে আমাকে কি ভালবাসবে । হু বুজেজি আপনি আমার সাথে মজা করছেন এতক্ষন । নেন আপনার টাকা নেন যান এখান থেকে আপনাকে বিয়ে ত দুর আপনার চেহারাও দেখতে চাইনা ।.
আমি সাথে সাথে উঠে পরলাম ওর দিকে করুন চোখে তাকিয়ে থাকলাম ।
আমি : এখন আমাকে এই ভাবে ব্যাকমেল করছো বিয়ের পর কি করবে শুনি ।
মেয়েটা : সেটা পরে ভেবে নিবো এখন যান ।
আমি : আচ্ছা যাচ্ছি
বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পরতে চলে গেলাম মসজিদে । নামাজ পরে আসে দেখি নাস্তা রেডি ।
মেয়েটা আমাকেই দেখেই বলল….
মেয়েটা : চলে আসছেন । বসুন নাস্তা টা করে নেন ।
আমি : নাস্তা বানালে কখন ।
মেয়েটা : এইত একটু আগে আপনি বসুন আমি বেড়ে দিচ্ছি ।
আমি মনে মনে খুশিতে নাচতাসি ।
বিয়ের আগেই হবু বউ এর হাতে রান্নার খাবো উফফ কি খুশিটাই না লাগছে ।
আমি গিয়ে টেবিলে বসে পরলাম
তারপর আমাকে খাবার বেড়ে দিয়ে দারিয়ে আছে ।
আমি : কি হলো তুমি খাবে না ।
মেয়েটা : হুমমম খাবো পরে আপনি আগে খেয়ে নেন ।
আমি: না তুমি বসো দুজনে এক সাথে খাবো ।
ওকে খাবার টেবিলে বসানোর জন্য ওর হাত ধরতে চিৎকার করে উঠলো । দেখলাম ওর চোখ বেয়ে নোনা পানি ঝরছে । কি হলো কিছুই বুজলাম না । খাবার টেবিল থেকে উঠে পরলাম । চোখ পরলো ওর হাতের উপর । দেখলাম অনেক খানি পুড়েছে ।
আমি: এটা কিভাবে হলো তোমার…
মেয়েটা : একটু সেকা লাগছে..??. সমস্যা নাই ঠিক হয়ে যাবে । যান আপনি খেয়ে নেন ।
আমি: সমস্যা নাই মানে । কত খানি পুড়ছে আর তুমি বলছো একটুখানি । ঔসধ লাগাও নিই ।
মেয়েটা : হমমমম লাগিয়েছি ।
আচ্ছা এখানে বসো..
আমি ওকে জোর করে টেবিলে বসালাম ।
তারপর ভাতের প্লেট টা হাতে নিয়ে ওকে খায়িয়ে দিতে শুরু করলাম। খেতে চাইসিলো না তাও জোর করে খাওয়াছি ।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে । দুইজনে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম..
গন্তব্য হসপিটাল যেখানে ওর ভাই চিকিৎসাধিন রয়েছে । যাওয়ার সময় মেয়েটা ওর ভাই এর জন্য একটা চকলেট কিনলো টাকা টা আমি দিতে চাইসিলাম কিন্ত ও দিতে দেয় নাই ।
পরে…..
দুইজনে হাসপাতালে পৌছে গেলাম ।
বাচ্ছা ছেলেটা ওর আপু কে দেখেই দৌড়ে এসে তার কোলে উঠে পরে ।
মেয়েটা তার ভাই এর গালে চুমু খেলো ।
বাচ্ছা টাও ওর বোন এর গালে পাপ্পি খেলো ।…
তারপর বাচ্চা টার চোখ পরলো আমার ওপর

________
বাচ্চাটা তার আপু কে জিজ্ঞেস করলো
বাচ্চাটা : আপু আপু ওই আংক্কেল টা কে..!!
মেয়েটা : ওই আংক্কেল টা তোমাকে দেখতে আসচ্ছে ।
বাচ্চাটা : ওও আমাকে দেখতে আসছে..
( হাসি দিয়ে)
এর পর বাচ্চা যে কথা বললো তাতে আমি আর মেয়েটা দুইজনে অবাক হয়ে গেলাম……..
চলবে……….
…..★★
[গল্প টা কেমন লাগলো তা মন্তব্য করে জানাবেন । ভালো লাগলে নেক্সট পাট ও তারাতারি পোস্ট করে দিবো শুধু আপনারা পাশে থাকুন]
আপনাদের কমেন্ট পেয়ে আমি মুগ্ধ তাই গল্পটা লিখতে রাতেই বাধ্য হলাম
আমি এত ভালো করে লিখতে পারিনি তাই পাঠকদের কাছে অন্য গল্পের মত ভাল নাও লাগতে পারে ! এ জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ??
আর যদি ভালো লাগলে অবশ্যই অবশ্যই লাইক ?কমেন্ট করে জানাবেন আর এড দিয়ে পাশে থাকবেন আশা করি !
আপনিও গল্প পড়েন আপনার ফ্রেন্ডদের গ্রুপে এড দিয়ে তাদেরকেও গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন!
নেক্সট পার্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ আমার গল্প পড়ার জন্য সবাইকে?⚘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here