বৈবাহিক চুক্তি পর্ব ১১ + ১২

0
1936

পর্ব ১১+১২
#বৈবাহিক_চুক্তি
#লিখাঃ Liza Bhuiyan
#পর্বঃ১১

অপরাহ্নের পর এখন গোধুলি লগ্ন চলছে,মাথার উপরের সূর্যটা অস্ত গিয়েছে সেকেন্ড কয়েক আগে তবে তার রেশ এখনো যায়নি। আবছা আলোয় চারপাশ ছেয়ে আছে, তবে পার্কে লাইটগুলো ইতোমধ্যে জলে উঠেছে। জনসমাগম এখন অনেকটা কম, তাই চারদিকে ফাকা বেঞ্চগুলো পড়ে আছে। এই মুহুর্তটা খুব ভালো লাগছে রুশির, না শীত না গরম কেমন একটা নাতিশীতোষ্ণ ভাব। তবে চারপাশে বায়ুপ্রবাহ কম বইলেও হৃদ মাঝারে ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোনের ন্যায় জড়োহাওয়া বইছে। একটা নারী নাকি সন্তান জন্ম পারলেই পরিপূর্ণ হয়, আদোও কি তাই! তবে এটা কেন বলে যে স্বামীর ভালোবাসা ছাড়া স্ত্রী অপূর্ণ। ওর সন্তান আছে আর তাকে আকড়ে ধরেই বেচে আছে কিন্তু দিনশেষে একটা মানুষকে তো চাই যে একান্ত নিজের হবে।রুহান ওর কাছে আবদারের ঝুড়ি খুলে বসতে পারে কিন্তু ওরও তো খুব ইচ্ছে করে কারো কাছে আবদার করতে। বাঙালি নারীদের চুড়ি খুব পছন্দের জিনিস, রুশির খুব ইচ্ছে ছিলো ওর সেই মানুষটা ওকে চুড়ি গিফট করবে আর নিজের হাতে পরিয়ে দিবে। মাঝেমাঝে খুব ইচ্ছে সেই মানুষটাকে দেখতে আর যখন খুজে পায়না তখন একরাশ অভিমান জমা হয়। এই অভিমানের ঝুড়ি ভারি হতে হতে এখন মনে সেই মানুষটাকে ও ঘৃণা করে কিন্তু কখনো কি করতে পেরেছে! তাহলে আজোও ভাবে কেন তার কথা।
রুহানের ধাক্কায় বাস্তবে ফিরে আসলো ও

“মাম্মা, আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই ”

” কি প্রশ্ন বাবা?”

” ওই বাচ্চাটি এত কালো কেন? “পাশের বেঞ্চের সামনে খেলতে থাকা একটা বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করে বললো কথাটি, পাশের বেঞ্চের দম্পতি ওদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, রুশির খুব লজ্জা লাগলো তাদের চাহনিতে সাথে রাগও উঠলো রুহানের উপর, অন্যসময় হলে হয়তো বুঝিয়ে দিতো কিন্তু এখন এমনিতেই মন খারাপ তাই রুহানকে ধমক দিয়ে বললো

” এসব কি কথা রুহান?স্যরি বলে ওকে,বলো…”

” বাট মাম্মা আমি সত্যিই বলছি ওতো কালোই ”
রুশির যেন মেজাজ বিগড়ে গেলো, কি বলছে কি এইসব তাই রুহানকে মারতে নিলেই সুজি হাত ধরে ফেললো তারপর বললো “আমি বুঝাচ্ছি, রিলাক্স ও একটা বাচ্চা ছেলে এতো বুঝে বলে নি।রুহান তুমি আমার কোলে আসো, শুনো সে কালো কেন তা আমি তোমাকে বলছি,
শুনো ও দেখতে কালো কিন্তু সুন্দর দেখো, কালোরঙ ও একটা সুন্দর রঙ। তাই ও সুন্দর এবং শুভ্র। তুমি জানো গড প্রথম কালো রঙের মানুষ বানিয়েছে এবং সে তার এই অসাধারণ সৃষ্টির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো। সে তাই একইরকম অনেকজনকে বানিয়েছে যাদের একটা সুন্দর হৃদয় আছে। তাই তাদের গড ভালোবাসে।

” তাহলে মাসি গড কি আমাদের ভালোবাসে না?”

” কেন বাসবে না? আমরাও তো তার সৃষ্টি ”

” তাহলে আমাদের ফর্সা কেন বানিয়েছে? ”

” এইতো ভালো প্রশ্ন করেছো, গড তার সৃষ্টিকে অনেক ভালোবাসতো তাই নিজে তাদের দেখার জন্য পৃথিবীতে আসতো, একদিন গড এই পার্কের মতো একটা পার্কের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। তখন দেখলেন একটা সুন্দর কালো মেয়ে একা একা বসে সাদা মৃত্তিকা দিয়ে পুতুল বানানোর চেষ্টা করছে, সে তার ছোট্ট সুন্দর হাতজোড়া মাটি দিয়ে পুরো একে ফেলেছে, তাই সে ওই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আরো কিছু মানুষ বানানোর কথা ভাবলেন এবং তাদের সাদা পেইন্ট করার চিন্তা করলেন। এভাবেই আমাদের বানিয়েছে, তাই আমরা সবাই একি গড এর ক্রিয়েশন আর বাহিরের রঙ আলাদা হলেও ভেতর থেকে আমরা সবাই কালো। দেখো তোমার মাম্মা তোমার থেকে কম ফর্সা তাই বলে কি সে সুন্দর নয়?”

” নো, মাম্মা ইজ বিউটিফুল ”

” তাহলে ওকে দেখো ও কিন্তু অনেক সুন্দর শুধু রংটা আলাদা, ইটস জাস্ট আ পেইন্ট বেবি কিন্তু সুন্দর সেই যার মনটা সুন্দর। কালো, সাদা, বাদামি সেটা ফ্যাক্ট নয় আর তোমার তো ব্লাক কালার পছন্দ তাইনা? ব্লাক ইজ বিউটিফুল বেবি ”

“ইয়েস মাসি, বুঝতে পেরেছি এটা জাস্ট একটা পেইন্ট কিন্তু আমরা সবাই একি”তারপর পাশে থাকা দম্পতির দিকে তাকিয়ে বললো ” রুহান ইজ স্যরি ”

রুশি তাকিয়ে আছে ওর ছেলের দিকে কত সহজে সব বুঝে গেলো, ও যদি না থাকতো তাহলে কি নিয়ে বাচতো রুশি?

🌸🌸🌸

সুজির ফোন পেয়ে রুশি তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে লিভ নিয়ে বাসায় ফিরে আসে, বাসায় ফিরে এসে সুজিকে কান্নারত অবস্থায় দেখে। ওর কলিজা মোচড় দিয়ে উঠে, রুহানের কিছু হয়নি তো।

” রুহান… রুহান.. ”

” রুহানকে খুজে পাচ্ছিনা এন”
রুশি ধপ করে মাটিতে বসে পড়েছে, ওর পুরো দুনিয়ায় যেন থমকে গেছে,রুহানকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে কি।

” এন, আমি যখন চাইল্ড কেয়ারে গিয়েছি তখন তারা বলে রুহানকে নাকি কেউ একজন অলরেডি পিক আপ করতে গেছে। তাই আমি বলেছি যে আপনারা এত ইরেস্পন্সিবল কি করে হতে পারেন? আমরা কেউই তো আসিনি তাহলে কি করে যে কারো হাতে তুলে দিতে পারেন তখন তারা বললো উনি আপনাদের নাম বলেছেন তাই আমি তার সাথে দিয়ে দিয়েছি ”

” কি করে তারা এটা করতে পারে, আমার বাচ্চাটাকে অন্য কারো হাতে তুলে দিবে? আমি কোথায় খুঁজবো এখন ওকে, কি করবো আমি এখন?” রুশি তাড়াতাড়ি উঠে দরজার দিকে দৌড়ে গেলো, আর সুজি একজনকে মেসেজ করে বললো ” কাজ হয়ে গেছে”

এই ছোট্ট মেসেজ টা দেখে কারো মুখে হাসি ফুটে উঠলো, অস্ফুট কন্ঠে বলে উঠলো ” সি ইউ সুন মিসেস রুশানি আনাম ”

#পর্বঃ১২

“হ্যান্ডসাম আংকেল, মাম্মা এখনো আসছেনা কেন? ”

” শুনো, তুমি আমাকে আংকেল বলবেনা, বা..মানে শুধু হ্যান্ডসাম বলবে ওকে??”

” কেন? মাম্মা বলে একটু বড়দের ভাইয়া, আরেকটু বড়দের আংকেল আর আরো বড়দের দাদু বলতে হয়। তো আপনি তো একটু বড়না আরেকটু বড় তাই না তাইতো আংকেলই বলতে হবে ”

” ওহ গড ছেলেকে কি কি যে শেখায় এই মেয়ে! ” বিড়বিড় করে বলে উঠলো লোকটি
” দেখো তোমাকে যেমন কেউ ইংরেজের বাচ্চা বললে ভালো লাগে না তেমনি আমাকেও কেউ আংকেল বললে ভালো লাগেনা”

“কেন প্রেস্টিজে লাগে? ” বলেই খিলখিল করে হেসে উঠলো রুহান।

“মানে?”

” আরে সুজি মাসিকে কারো সামনে মাসি বললে তার নাকি প্রেস্টিজে লাগে তেমন আপনাকেও আংকেল বললে প্রেস্টিজে লাগে তাই না?”

” হুম ঠিক তাই, তুমি বরং আমাকে এসকে বলে ডাকো ওকে?”

“ওকে মি. এসকে”

“তো চকলেট খাবে? ”

” নো, মাম্মা বলে চকলেট খেলে কেভিটি হয় আর পরে ডাক্তার এর কাছে গেলে সব দাত ফেলে দিবে আর আমি কিছু খেতে পারবো না”

“ওহ গড তাইতো! তাহলে কি খাবে তুমি ”

“উমম পিজা খাবো তবে মাম্মাকে বলোনা আমি খেয়েছি নাহয় খুনচুন দিয়ে পিটাবে তোমাকেও আমাকেও ”

রুহানের কথা শুনে চোখ বড়বড় করে আছে লোকটি

“খুনচুন কি?”ভ্রু কুচকে বললো

” আরে এটাও জানোনা বুদ্ধু, যেটা দিয়ে রান্না করে ”

“ওহ, রান্নার কাঠি, ভালো কি ভয়ংকর নাম খুনচুন, মনে হচ্ছে চুন খাইয়ে খুন করে দিবে” লোকটি বিড়বিড় করে বলে উঠলো

” পিজা অর্ডার করো ওর জন্য আর হ্যা হেলদি রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করবে”

” ওকে স্যার ”

বাচ্চাটিকে সোফা থেকে নিজের কোলে তুলে নিলো লোকটি তারপর দুজনে মিলে ফোনে গেমস খেলতে শুরু করলো। “লর্ড মোবাইল” খেলছে দুজনে, শত্রুপক্ষকে হারিয়ে দুজনেই একসাথে ইয়েস বলে উঠছে, দুজনের চোখে বিশ্বজয়ের হাসি।






রাস্তার একপাশের বেঞ্চে বসে আছে রুশি, ঠেলে কান্না আসছে ওর কিন্তু ও জানে এই মুহুর্তে কান্না করে কোনকিছুর সমাধান পাওয়া যাবে না তারচেয়ে বরং উপায় খুঁজতে হবে। এতোটা হেল্পলেস কখনো ফিল হয়নি এর আগে, যখন ওই লোকটি ফেলে গিয়েছিলো তখন আর না যখন বাড়িছাড়া হয়ে এই অচেনা শহরে পা রেখেছিল তখন কিন্তু এখন তার কলিজার টুকরোকে হারিয়ে ফেলেছে, কোথায় খুঁজবে ও। কাউকেই ঠিকমতো চিনে না তারউপর পুলিশ ও হেল্প করতে না করে দিয়েছে, চব্বিশ ঘন্টার পুর্বে নাকি নিখোজের এফআইআর লিখা যায় না। ঘড়ির কাটা নয়টার কোটায় অলরেডি পৌছে গেছে, এখন মধ্যরাত্রি বলা চলে, রাস্তার পাশের সোডিয়াম লাইটটা ঠিক জলছে। তখনি ফোনটা আওয়াজ করে কেপে উঠলো যা ধরার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা রুশির নেই। ধরবে না ধরবে করেও কি মনে করে ধরলো ফোনটা।অপরপাশ থেকে নিঃশ্বাসের আওয়াজ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না, ফোনটা রাখতে গিয়েও আবার কানের সাথে লাগালো রুশি, অপরপাশ থেকে বাচ্চার হাসির শব্দ আসছে। রুশি থমকে গেলো, এটা রুহানের আওয়াজ যা খুব চিনা ওর। কিছু বলতে যাবে তার আগেই একজন বলে উঠলো

” একটু পর একটা গাড়ি এসে থামবে তার মধ্যে উঠে পড়বে, যদি ছেলেকে দেখতে চাও তাহলে চলে এসো তাড়াতাড়ি ”

“কে আপনি, আর আমার ছে..”বুঝতে পারলো অপরপাশ থেকে ফোনটা খট করে কেটে গিয়েছে,রুশি থম মেরে বসে রইলো, কে হতে পারে এই লোক?কিছুক্ষণ বাদে একটি বিশাল গাড়ি এসে ওর সামনে থামলো, শো শো করে কয়েকজন কালো পোশাক পরিহিত লোক বেরিয়ে এলো গাড়ি থেকে। তার মাঝে একজন বলে উঠলো “মেম, দিস ওয়ে প্লিজ ”

ও আর দেরি না করে গাড়িতে উঠে বসলো, গাড়িটি একটি বিশাল হোটেলেরএর সামনে থামলো, গাড়ি থেকে নেমেই ও বডিগার্ডদের সাথে লিফটে ঢুকলো, বডিগার্ড সর্বোচ্চ নাম্বার ফ্লোরে যাওয়ার জন্য ক্লিক করলো, লিফট এসে থামলো সেই ফ্লোরে তারপর একটা রুমের দিকে নিয়ে গেল তাকে, বডিগার্ড দুজন বাইরে থেকেই ওকে ভেতরে যেতে বললো। ও ভিতরে ঢুকতেই ডাস্টবিনে কয়েকটি পিজার এর খালি পেকেট দেখলো, সামনে তাকিয়ে দেখে একটা লোকের কোলে রুহান বসে গেমস খেলছে আর দুজনের ঠোঁটেই সস লেগে আছে । এমনভাবে বসে আছে যে হঠাত এক দেখায় যে কেউ বাবা ছেলে বলবে এত মিল দুজনের মধ্যে আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে দুজনের চোখই বাদামি রংয়ের। আর রুহানতো কারো সাথে সহজে মিশে না অথচ কি সুন্দর মিশে গেছে লোকটির সাথে। লোকটিকে খুব পরিচিত মনে হলো ওর, কোথায় যেন দেখেছে! হ্যা এটাতো কালকের পার্কের সেই লোকটি, এখানে কি করছে তাও রুহানের সাথে?

” মাম্মা, তুমি আসতে এতো লেট করলে কেন? জানো কখন থেকে ওয়েট করছি তোমার জন্য? ”

রুহানের কথায় দুজনেরি চোখাচোখি হলো, রুশি চোখ পড়তেই দৃষ্টি অবনত করে ফেললো, কিছুক্ষণ পর আবার তাকালো দেখে লোকটি এখনো ওর দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে। ওর দিকে তাকিয়েই হাতের ইশারা করলো কাউকে আর প্রায় সাথে সাথেই রুহানকে নিয়ে একজন রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। রুশি কিছু বলবে তার আগেই লোকটি উঠে দাঁড়াল, ওর দিকে কিছুটা এগিয়ে এসে বললো

” রুশানি আনাম, দ্যা ফেমাস আরজে আনাম অফ কলকাতা”বলে কিছুটা ঝুকে গেলো ওর দিকে, ও পিছিয়ে যেতেই পারলো না তার আগেই খপ করে হাত ধরে ফেললো লোকটি “ছেলেকে কয়েক ঘন্টা খুজে না পেয়ে কেমন লাগালো তোমার ”

“মানে?” রুশি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে প্রশ্ন করলো, কিন্তু ওইপক্ষ থেকে উত্তর না আসায় নিজেই বললো ” আপনি আমার ছেলেকে এখানে নিয়ে কেন এসেছেন? আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি আপনাকে চিনিনা তাহলে আমাকে রাতবিরাতে এভাবে হেনস্থা করার মানে কি?”

” এই টুকু সময়েই এই অবস্থা? তাহলে চারটি বছর আমার কি অবস্থা হয়েছে সেটা ভেবেছ? তুমি তো তোমার সন্তান নিয়ে বেচে ছিলে আমি কি নিয়ে বেচে ছিলাম সেটা বলবে? আমিতো জানতামই না আমার একটা ছেলে আছে ”

রুশি দুইকদম পিছিয়ে গেলো,”মানে?”

পকেট থেকে কিছু একটা বের করলো সায়ান, তারপর রুশির হাত টেনে সেটা ওর হাতে দিলো, রুশি হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে এটা সেই চেইন আর আংটি যেটা ও বাংলাদেশে হারিয়ে ফেলেছিলো। ওতো ভাবতেই পারেনি এটা আবার ফিরে পাবে।

“এটা আমার মায়ের দেয়া আংটি, নেক্সট টাইম সাবধানে রাখবে যাতে হারিয়ে না যায় ”

রুশি অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এটা কি করে হতে পারে, এই আংটিটি ওর স্বামীর দিয়ে যাওয়া স্মৃতি যেটা মনের অজান্তেই আগলে রেখেছিল আর হঠাত করে হারিয়ে যাওয়াতে দুঃখ ও পেয়েছিলো কিন্তু হঠাত একটা লোক সামনে এসে নিজেকে এই আংটির মালিক দাবি করবে ভাবতে পারেনি। এই সামনে থাকা লোকটি আসলেই ওর স্বামী মানে রুহানের বায়োলজিক্যাল ফাদার!! যাকে দেখার জন্য এতোগুলা বছর অপেক্ষায় ছিলো সে আজ ওর সামনে!!

#চলবে

( নেক্সট না লিখে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে ভালো হতো, হয়তো ভালো করে লিখতে পারতাম, তাই গঠনমূলক কমেন্ট করলে খুশি হতাম, হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here