বৃষ্টিশেষে প্রেমছন্দ পর্ব ১৯

0
469

#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ?
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন

১৯.
হাসপাতালের চারিদিকে মৃদু গুঞ্জন। কারো কান্নার আহাজারি, কারোর হতাশতা, তো কারোর নিস্তব্ধ কষ্ট, কেউ অসুখী, কারোর যাওয়ার পালা, কারোর আসার বার্তা। আদর অপারেশন থিয়েটার থেকে মাত্র বের হলো। নিজের চেম্বারে এসেই শরীরটাকে এলিয়ে দিলো কালো রঙের চেয়ারটাতে। টেবিলের উপর এক হাত রেখে পেপারওয়েট ঘুরাতে ঘুরাতে কিছুক্ষণ নানান চিন্তা করলো।
একটু আগে অপারেশন থিয়েটারে ব্রেন টিউমারের এক পেসেন্ট ছিলো। মহিলাটির ততটাও বয়স নয়৷ অপারেশন শুরু করতেই আদর খেয়াল করলো মহিলাটির কপাল থেকে শুরু হওয়া দু গাছি চুল গুলো হুবহু টিকলির মতোন। কপালের মাঝবরাবর ছোট্ট একটা গুরু। মিনিট খানিকের জন্য আদর নির্বাক হয়ে পরলো। নিঝুম দ্বীপ থেকে বাড়ি এসেছে আজ প্রায় এক সপ্তাহ। এ কয়দিন ব্যস্ততায় টিকলিকে তেমন মনে না পরলেও হুট করে আজ ভীষণ বাজেভাবে মনে পরলো। অন্যমনস্ক আদর খুব কষ্টে দীর্ঘ সময় নিয়ে অপারেশন শেষ করে বের হলো।

,

সারাদিনের ব্যাস্ততাময় প্রহর শেষ করে বাড়ি ফিরতেই বুক পিঠ ছেয়ে যায় এক অনাবিল সুখে। শান্তির ঢেউ বয়ে যায় অন্তরপথে। এই তো…এখন আমার বিশ্রাম। একটু নিজের জন্য সময় পাওয়া গেলো। এবার একটু ঘুমোবো। রাত এগারোটা বাজে তখন। আদর ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এ বসতেই দেখলো সবাই তার জন্য অপেক্ষা করছে। প্লেট সোজা করতে করতে আদর বলল,

‘এখনো খাওনি কেনো তোমরা? রাত জেগে আমার জন্য অপেক্ষা করতে নিষেধ করেছি।’

আজিম খান খাওয়া শুরু করলেন। শান্ত শিষ্ট বুদ্ধিমান স্নেহের এক মাত্র বড় ছেলের উপর তিনি ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত। ছোট ছেলেকে অতিরিক্ত মাত্রায় আদর দিয়েছিলেন বলেই সে আজ ঠোঁটকাটা এবং সাথে কেয়ারলেস। কিন্তু বড় পুত্রও যে এমন ধারার হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেননি। থমথমে মুখে আজিম খান বলে উঠলেন,

‘বেশি চাপ? প্রায় প্রতিদিন দেরি করে আসছো যে?’

ক্লান্ত গলায় আদর বলল, ‘হুম বাবা। প্রচুর। তিন দিনের যে ছুটিতে ছিলাম। তার ধকল এই এক সপ্তাহ জোরালো ভাবে আমার উপর দিয়ে গেলো। ইনশাআল্লাহ কাল থেকে একটু ফ্রি হতে পারি।’

আজিম খান গুপ্তধন পেয়েছেন এমন খুশি খুশি গলায় বললেন, ‘সত্যি কালকে ফ্রি আছো?’

আদর চোরাচোখে তাকিয়ে বলল, ‘জি।’

আজিম খান গলা খাকারি দিয়ে বললেন, ‘তবে, আমার এক বন্ধুর সাথে কাল দেখা করতে যেও।’

ভ্রু কুচকে আদর প্রশ্ন করলো, ‘বন্ধু মানে? তোমার বন্ধুর সাথে আমি কেনো দেখা করতে যাবো?’

আর্দ্র ভদ্র বাচ্চার মতো খাচ্ছিলো। বাবার কথা শুনে সে শুধরে দিলো, ‘বাবা বলো বন্ধুর মেয়ের সাথে।’

আজিম খান কড়া চোখে তাকালেন। মনোয়ারা বেগমও নিশ্চুপে ধমক দিলেন। ভাইয়ের কথা শুনে নিয়েই আদর বিরক্তি ভঙ্গিতে বলল,

‘সিরিয়াসলি বাবা? আমি শুনেছি ছেলের বিয়ে দেওয়ার জন্য মায়েরা পাগল থাকে কিন্তু আমার বেলায় সব উল্টো।’

‘বিয়ে করলে তোমার সমস্যা কি?’

‘কোনো সমস্যা নেই। আই হেভ নো প্রবলেম। বাট দেয়ার ইজ আ বিগ প্রবলেম। আমি তাকে বউ হিসেবে দেখতেই পারবো না। বোন বোন ফিলিংস হবে আমার। কারণ আমি এমন কাউকে বিয়ে করবো যার উপর আগে আমার প্রেম প্রেম ভাব কাজ করবে।’

কথাগুলো বলতেই কেনো যেনো হুট করে টিকলির মুখখানা চোখে ধরা দিলো। আদর অপ্রস্তুত হলো বাবার সামনে এমন কথা বলায়। আজিম খান ভ্রু কুচকে খানিক চেয়ে থেকে বললেন,

‘ওকে এই মেয়ের সাথে কথা বলো। ঘুরো। প্রেম প্রেম ফিলিংস এমনিতেই আসবে।’

খাওয়া ছেড়ে উঠে পরলো আদর। মনোয়ারা বেগম দৌড়ে এলেন। শান্ত কন্ঠে আদর জবাব দিলো,

‘আমি আর খাবো না মা। আর বাবা, বিয়ের কথা আমি নিজেই তুলবো আমার মরজিমাফিক। সব বিষয় সবার উপর চাপিয়ে দিতে নেই। এইসব বিয়ে সম্পর্কিত বিষয় তো নয়ই। আমরা এডাল্ট। নিজের ইচ্ছের দাম তো আছে নাকি? আর একবার বিয়ের কথা তুললে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো আমি।’

আদরের কথা শেষ হতেই আদর নিজের ঘরে চলে গেলো। পুরো ডাইনিং টেবিল জুড়ে পিনপিন নিরবতা। যদিও আদর শান্ত শিষ্ট ভদ্র একটা ছেলে তবে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিংবা পছন্দের সই কিছু না হলে ওর ওই তীরের ফলার ন্যায় কথার আঘাতেই মানুষকে আধমরা করে দিবে। আর্দ্র বিরক্তিতে চু শব্দ করে বলল,

‘কি দরকার ছিল বাবা? ভাইয়ার বিয়ে ভাইয়াকেই বলতে দেও না। বিয়ের সময় এলে সে নিজেই বলবে।’

_____________________________

মন খারাপের মুখে বসে ছিলো টিকলি। টায়রা বসেছিলো একটু দূরে। টিকলি বলল করুণ গলায়,

‘আমার ভালো লাগছে না টায়রা।’

টিকলির দিকে তাকিয়ে টায়রা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলো, ‘কি করবো বল?’

টিকলি ঠোঁট কামড়ে তাকালো ঘরের দরজার দিকে। নিঝুম দ্বীপ থেকে আসার পর ওরা দুইদিন ওদের বান্ধবীদের বাসায় ছিলো। বাড়ি ফেরার আজ পাঁচদিন। এই পাঁচদিনে শায়লা আক্তার বকা-ঝকা করার পর দুই মেয়ের সাথে কথা বললেও কথা বলছেন না জামিলুর রেজা। টিকলির বড্ড অসহায় লাগে। দুনিয়াদারি অন্ধকার দিয়ে আসে। বাবা কথা না বললে পৃথিবীকে পানিশূন্য মনে হয়। চন্দ্র সূর্য বিহীন মনে হয়। বাবার সাথে কথা বলতে পারছে না এর চেয়ে জঘন্য সময় আর কি হতে পারে? ভেতরটা খচখচ করছে। চাপা শ্বাসে বুক উদ্বেল। টিকলি হঠাৎ উঠে দাড়ালো। বলল,

‘চল টায়রা বাবার কাছে যাবো।’

টায়রার কাছে মার চেয়ে বাবা একটু বেশি আপন। বাবা তাদের ছায়া। মাথার উপর শক্ত আচ্ছাদন। তবে বাবার চেয়ে মা খুব বেশি প্রিয়। টায়রাও উঠে দাঁড়িয়ে ভীতু গলায় বলল,

‘সত্যি যাবি?’

‘হুম চল।’

টিকলি হেটে গেলো। টায়রা বোনের পেছন পেছন লুকিয়ে চুরিয়ে এলো কোনোমতে। বাবা-মায়ের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে চির পরিচিত অভ্যাস, নখ কামড়াতে শুরু করলো টিকলি। ভয়ে বুকে ঢিপঢিপ শব্দ হচ্ছে। মাথা ক্রমশ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মা ঘুমোচ্ছে। ইশশ…এই সময়েই ঘুমোতে হলো। কিছু হলে মা বাচিঁয়ে দিতো। বাবাকে গিয়ে বলবে কি? টায়রা প্রশ্ন করলো,

‘কিরে আপু যাস না কেনো?’

টিকলি নখ কামড়াতেই চোখ পাকিয়ে তাকালো। দাঁত কিড়িমিড়ি করে বলল, ‘বিপদের সময় আপু? কেনো তুই যা। কি সুন্দর এখন আপু ডাকা হচ্ছে! পল্টিবাজ মেয়ে একটা!’

টায়রার থেকে চোখ সরিয়ে ধুরুধুরু বুক নিয়ে টিকলি দরজায় নক করে বলল,

‘বাবা আসবো?’

উপন্যাসের পাতা থেকে মুখ ঘুরিয়ে দৃষ্টি দরজায় স্থাপন করলো জামিলুর রেজা। টিকলি স্বভাবও পেয়েছে একদম বাবার মতো। বাবার মতোই বই পড়া স্বভাব তার। অন্যদিকে বই দেখলে টায়রার জবাব,

‘নিজের একাডেমিক বই পড়ি না। আর তোমার এই বা* ছা* বই পড়তে যামু? খায়ে দায়ে কাম নাই আর আমার।’

জামিলুর রেজা গম্ভীর গলায় বললেন, ‘এসো।’

কাঁপা কাঁপা পায়ে ভেতরে এলো দুই বোন। বোনের নীল উড়নার কোণা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলো টায়রা। জামিলুর রেজা বললেন,

‘বসো দুজন।’

টিকলি বসলো বাবার পাশে। টায়রা অন্যপাশে বসলো। কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতার পর জামিলুর রেজা বললেন,

‘কি বলতে চাও?’

টিকলি গলা পরিষ্কার করে মাথা নিচু করে বলল, ‘বাবা আই এম সরি।’

টায়রাও মাথা নিচু করলো। বলল, ‘আই এম অলসো সরি বাবা। আসলে হয়েছিল কি….’

জামিলুর রেজা হাত তুলে বললেন, ‘কৈফিয়ত দিচ্ছো কেনো? আমি তোমাদের কৈফিয়ত দিতে বলিনি। যদি এতোই আমাদের কথা ভাবতে তবে এই কাজ করতে না।’

টিকলি হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ‘কিছু করার ছিলো না বাবা। আমি তোমাকে বারন করেছিলাম। আমি বিয়ে করতে চাইনি। তুমি জোরাজোরি করলে। তাই বাধ্য হয়ে…’

জামিলুর রেজা সূক্ষ্ম কণ্ঠে বললেন, ‘তোমার কি বিয়ে হবে না কখনো? বিয়ে করবে না? সেই বিয়েটা এখন করলে কি সমস্যা?’

‘এখন না করলে কি সমস্যা?’

‘তর্ক করো না টিকলি।’

নাথা নত করে টিকলির উত্তর, ‘সরি বাবা। তর্ক করতে চাইনি।’

জামিলুর রেজা গম্ভীর সুরে বললেন, ‘আমি দেখাতে চাই সেই লোককে যে, তাদের ছেলের চেয়েও ভালো ছেলের কাছে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দিতে পারি এবং খুব তাড়াতাড়ি।’

টায়রা ভাবুক গলায় প্রশ্ন করলো, ‘কাকে দেখাতে চাও বাবা?’

‘যে আমায় ফোন দিয়ে আমার মেয়ে সম্পর্কে বাজে কথা বলেছে। বলেছে আমার মেয়ে নাকি পনেরো দিনের…ছি ছি ছি! বলতেও আমার মুখে বাধে। অশিক্ষিত লোক একটা। ‘

টিকলি কথা ঘুরানোর চেষ্টা করলো, ‘বাবা আমাদের মাফ করে দেও। আসলে এতোটাই টেনসড ছিলাম যে কি করবো ভেবে উঠতে পারিনি। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।’

জামিলুর রেজা মিনিট খানিক তাকিয়ে থেকে ভাবলেন। এরপর বললেন, ‘বিয়ে করবে?’

টিকলি অসহায় চোখে তাকালো। টায়রা বলল, ‘বাবা তুমি কি সামহাও ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছো? আর আমি বুঝতে পারছি না, বিয়ে বিয়ে করে এতো পাগল হচ্ছো কেনো তুমি?’

‘কারণ টা একটু আগে বলেছি। এককথা বলতে বার বার ভালো লাগে না।’

টিকলি অসহায় অসহিষ্ণু গলায় বলল, ‘বাবা, আমি এখন বিয়ে করতে চাইনা। আমি বিয়ে করবো আর আমার একটা মতামত আছে না বলো? আমি মন থেকে রাজি না বাবা। প্লিজ…’

জামিলুর রেজা হতাশ চোখে তাকালেন মেয়ের দিকে। টায়রা ছলছল চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সে প্রচুর কাদতে পারে। কাদার এক্টিং এ সে এক্সপার্ট। এইদিক থেকে টিকলি খুব শক্ত। খুব কম কাদে সে। বুক পুড়ে খানাখানা হয়ে গেলেও চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরবে না। চোখেই রয়ে যাবে।

টায়রা বলল ধরা গলায়, ‘বাবা আপুকে মাফ করে দেও।’

মেয়ের কন্ঠে গলে গেলেন জামিলুর রেজা। দুই মেয়েকে দুই হাত দিয়ে বুকে টেনে নিলেন। মেয়েদের মাথায় চুমু খেয়ে বললেন, ‘ ব্ল্যাকমেইল!’

টায়রা হাসলো। শায়লা আক্তার ঘুম থেকে উঠে পরেছেন তখন। বাবা মেয়ের ভালোবাসা দেখছিলেন অন্যরকম মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপটে। জামিলুর রেজা বললেন, ‘কাজ হাসিলের সময় কি ইমোশনাল তাই না? চোখে পানি আবার সাথে আপুও।’

টায়রা শব্দ করে হাসলো। টিকলি নিরবে হেসে বাবার দিকে তাকালো। তারপর মাকে কাছে টেনে বলল,

‘বাবা-মা আমি না তোমাদের খুব ভালোবাসি। এতো তাড়াতাড়ি পর করে দিও না। আমি সারাজীবন তোমাদের সাথে থাকতে চাই।’

প্রিয় মায়ের চোখ জলে সিক্ত হলো। তিনি মেয়ের মাথায় চুমু খেয়ে বললেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো না। এই টিকলির বাবা আর কোনো পাত্র দেখো না তো তুমি। আমার রাজ্যের রাজকন্যারা হারিয়ে গেলে আমি রাজ্য দিয়ে কি করবো?’

_______________________________

বারান্দার লতা পেচানো দোলনাটিতে বসে ছিলো টিকলি। এক কোণায় খাচায় বন্দি দুটি ময়না পাখি বুলি আওড়াচ্ছিলো,

‘টিকলি… টিকলি….টায়রা…টায়রা।’

টিকলি স্মিত হাসলো। শেষ আকাশের মাথায় ফুটে উঠেছে লাল হলুদ বেগুনি রশ্মি। একটু আগেই থেমেছে ঝুম বৃষ্টি। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই মন খারাপ হলো টিকলির। বুক ভার হলো। বিষন্নতার বাশির সুর বয়ে গেলো। সেই মন খারাপ ক্রমাগত রূপান্তরিত হলো হৃদয় ব্যথায়। কি অসহ্যকর ব্যথা! তবুও টিকলি কাদলো না। শুধু চোখের কোণায় জলেরা হানা দিয়ে আবার একা একাই মিশে গেলো স্বর্ণ খচিত ওই আকাশটাতে। ওই স্বর্ণালি আকাশটাতে যেনো ভেসে উঠলো মনচিঠির লেখাগুলো। যেগুলো একয়দিনে খুলে পড়বার সাহস হয়নি টিকলির। তবে এখন পড়বে। পড়তে ইচ্ছে করছে। চোখের কোণা অশ্রুসিক্ত করে পড়তেই থাকবে। টিকলি পড়লো। গভীর নিবিড় প্রগাঢ় অনুভবে মনকে রাঙিয়ে সে পড়লো বিরবির করে। ভারী গলায়। উত্তাল নিঃশ্বাসে,

“ভালোবাসা তটিনী। গাঙ ভাসা রঙিন। স্রোতস্বিনী বেয়ে চলা পাহাড়িময় ঢাল। প্রবাহিণী জলধি। আবার কখনো মরা শঙ্খচিল। বেদনার সুর। কান্নার ধ্বনি। আবার কখনো গোলাপের ন্যায় মসৃণ, ভেজা, স্নিগ্ধ, মোলায়েম। ভোমররা ঘুরে মদু আহরণ করতে চায়। কেড়ে নিতে চায় ফুটন্ত ভালোবাসা কে। আবার ঈগলের মতো কখনো নির্দয়। ছু মেরে নিয়ে চলে যায় ভালোবাসাকে। তার তীক্ষ্ণ চোখে রাগ ঝরে। ভালোবাসার মলিনতা উড়ে রোষাগ্নি হয়। রোষানলে পুড়ে তখন ছারখার হয়ে যায় এই বুক। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের গর্জনে কেঁপে উঠে হৃদয়কূল। কানে লাগে, সিংহের মতোন গর্জন। যে গর্জন টেনে হিচড়ে বুক থেকে নিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসা নামক আদরকে। হ্যাঁ, ভালোবাসা নামক আদরকে!”

টিকলি চোখ বন্ধ করলো। এরপর অনেকদিন বাদে কিছু না পাওয়ার বেদনার দু’ফোটা পানি পরলো নয়ন বেয়ে ঠোঁটের উপর। ঠোঁট অভিযোগ করলো, ‘কাদছিস কেনো? কাদিস না। তুই কাদলে আমার উপর নোনতা স্বাদ অনুভব হয় রে।’

চলবে❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here