বৃষ্টিশেষে প্রেমছন্দ পর্ব ৪৯

0
590

#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন

৪৯.
টিকলি বিস্ফোরিত চোখে তাকালো৷ নিভা অবাক গলায় বলল, ‘অ্যাই তুই কি গাইলি?’

টায়রা উত্তর দিলো না। মুখে ক্রিম লাগাতে ব্যস্ত হয়ে উঠলো। নিভা বড় বড় চোখ করে আবার বলল, ‘তুই আমাকে দেখে গাইলি? আমি তোর সতিন?’

টায়রা মুখ টানা মেরে দিলো। টিকলি নিভাকে চেপে ধরে ভ্রু নাচিয়ে বলল, ‘তুই আর্দ্র ভাইয়াকে বিয়ে করছিস? মত আছে তোর?’

নিভা চুপ হয়ে কুকরিয়ে গেলো। আড়চোখে টায়রার দিকে তাকিয়ে কথার উত্তর দিলো না। উল্টে তুতলিয়ে বলল, ‘আমি একটু ছাদে যাই।’

টিকলি নিভাকে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে আয়েশ করে বসলো। টায়রা ভ্রু কুচকে তাকালো। মুচকি হেসে টিকলি বলল, ‘যা।’

নিভা চোখ মুখ কুচকে বলল, ‘গেলাম।’

টিকলি ঠোঁট টিপে বলল, ‘যাবি তো। তুই যে এতো ঘন ঘন বাসায় কেনো আসছিস সেটা কি আমি বুঝিনা?’

,

বাতাসের ছন্দে মিলেমিশে একাকার তখন বেলাশেষের পাখিদের কূঞ্জন। পরিষ্কার নীল আকাশ নরম রোদের সাথে ক্লান্ত। সূর্য ডোবার পরিকল্পনায় লাল হলুদ আলোয় নিজেদের রাঙাতে ব্যস্ত পশ্চিমা আসমান। ছাদে লাগানো ছোট ছোট সবজি গাছগুলো নরম রোদ আর হালকা বাতাসে দুলছে নিজ দায়িত্বে। নিভা ছাদে পা রাখতেই দেখলো রাহুল সিগারেট খাচ্ছে। দু’ পা এগিয়েও আবার পিছিয়ে গেলো। নারীত্ব বোধটা মাথা চাড়া দিয়ে জেগে উঠলো। এই মুহুর্তে রাহুলের সাথে যেচে কথা বলাটা বিশাল বড় এক বেহায়াপনা সাথে অনেক বড় অন্যায়। তাছাড়া কিবা কথা বলার আছে নিভার? আর যাই হোক নিজের আত্মসম্মান ছিন্ন করতে পারবে না সে। ভালোবাসার জন্য কারণে অকারণে নির্লজ্জ হওয়া যায় কিন্তু নিজের আত্মসম্মান খোয়ানো যায় না কোনো অবস্থাতেই। ভালোবাসার জায়গায় এসেই নারীদের আত্মসম্মান প্রবল হয়ে উঠে।

নিভা ঘুরে দাড়াতে যাবে তখনই রাহুলের সাথে চোখাচোখি হলো। বিচলিত হয়ে রাহুলের হাত ফসকেই সিগারেট টা মাটিতে পড়ে গেলো। মিনিট খানিক আশ্চর্য দৃষ্টিতে সিগারেটের দিকে তাকিয়ে থেকে পা দিয়ে পিষে ফেলা হলো। নিভা ঘুরে দাঁড়িয়ে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই রাহুলের মনে পড়লো সে অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলো। রাহুল হালকা আওয়াজে বলল,

‘অভিনন্দন।’

নিভা অবাক দৃষ্টিতে নির্বাক হয়ে ঘুরে দাড়ালো। রাহুল প্যান্টের পকেটে হাত গুঁজে দাঁড়ালো। নিভা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি কারণ?’

‘আগামী নতুন দিনের জন্য অভিনন্দন।’

‘আপনাকেও।’ নিভা ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েও থেমে গেলো। পেছন ফিরে জিজ্ঞেস করলো, ‘বিয়েটা আপনি করছেন ই তাহলে?’

রাহুল কাধ ঝাঁকিয়ে উত্তর দেয়, ‘করবো না বলেছিলাম নাকি আপনাকে?’

নিভা তাক লাগা গলায় বলল, ‘আপনি কি এখনো কিছু জানেন না।’

রাহুল বুঝলো না বরং আরো উল্টো বুঝে বলল, ‘এ পৃথিবীর সবাই কি সব জানে? সব জানলেই কি বিয়ে করতে হবে না? আপনি তো কত কিছুই জানেন। তাই কি বিয়ে করছেন না?’

নিভা বিস্মিত হলো। বিরবির করে বলল, ‘আনবিলিভেবল।’

রাহুল ভ্রু কুটি করে তাকালো। নিভা আচমকা বলল, ‘দেখুন আপনি এই বিয়ে করবেন না প্লিজ। আপনি এই বিয়ে করতে পারেন না৷ এই বিয়েটা করলে তিন তিনটে জীবন নষ্ট হবে। আমি আপনাকে এক্সপ্লেইন করছি সব। আপনি একটু শুনুন।’

রাহুল ভাবলো তিনটে জীবন মানে ওর, টিকলির আর নিভার কথা বলছে। তাই রাহুল হাত সামনে এনে নিভাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,

‘কিচ্ছু এক্সপ্লেইন করতে হবে না নিভা। আমার জীবন নষ্ট হবে না। আমি টিকলিকে ভালোবাসি। আমার জীবন নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ ই নেই। আর টিকলি আমাকে ভালোবাসে কিনা জানিনা কিন্তু নিশ্চয়ই ওর বিয়েতে অমত নেই। আর বাকি রইল আপনার কথা। আপনি যেমন দু’দিনের মাঝেই বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেছেন ঠিক তেমনি দু’দিনের মাঝে এই পাগলামি গুলোও ভুলে যাবেন। এতোটা বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সুখে থাকুন।’

নিভা বিস্ময়ে কথা বলতে পারলো না। স্তম্ভিত হয়ে গেলো। ও বলল কি আর রাহুল বুঝলো কি! তিনটে জীবন মানে তো রাহুল আদর আর টিকলির কথা বুঝিয়েছিলো। ওর নিজের কথা তো বাদ ই দিয়েছিলো। ব্যথিত নয়নে রাহুলের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো নিভা। এরপর কি আর কিছু বলার থাকতে পারে? এই ছেলেটা ঠিক কতটা গর্ব করে বলছে, ওর জীবন নষ্ট হবে না। অথচ দিন শেষে একমাত্র ওর জীবনটাই ভয়াবহ নষ্ট হয়ে যাবে। কালো দূর্যোগ নেমে আসবে ওর স্বপ্নভূবনে। নিভা স্থির পায়ে চলে যেতে গেলেই রাহুল হঠাৎ বলে উঠলো,

‘আমি ভুল মানুষকে নিজের আপন বন্ধু ভেবেছিলাম। খুব ভালো বন্ধু ভেবে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত সব কথা শেয়ার করে জীবনের মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছিলাম। আর এই ভুল আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভুল।’

নিভার চোখ জোড়া জ্বলজ্বল করে উঠলো। আহ কি কষ্ট! তীরের মতো ছুটে এসে বিধলো নিভার হৃদয়ের প্রগাঢ় গহনে। এতো কষ্ট! এতোটা কষ্ট! কেনো? নিভার চোখ ফেটে কান্না আসতে চাইলো। রাহুলের কলার চেপে চিৎকার করে কেঁদে জানতে ইচ্ছে করলো,

‘ভালোবাসা এতোটা খারাপ? শুধুমাত্র ভালোবেসে ফেলেছিলাম বলেই আমি আজ আপনার কাছে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভুল? তবে কি আপনি ভুল নন? আপনিও তো ভালোবাসেন। আমার থেকেও পাগলের মতো টিকলিকে ভালোবাসেন। ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছেন। তবে আপনি কেমন ভুল? কেনো এতো স্বার্থপর আপনি? নিজেরটা ছাড়া কিছু বুঝেন না তাইনা? কথা বলার আগে ভাবেন না? একবার এই কথাগুলোর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেখুন তো কেমন লাগে!’

,

নয়নকে রাহুল ডেকে পাঠিয়েছিলো আগেই। একা একা সিগারেট খেতে ভালো লাগে না। একটা সঙ্গী দরকার। সুখ দুঃখের আলাপ করতে করতে যার সাথে মজা করে সিগারেট খাওয়া যাবে। নয়ন জানে রাহুল ছাদে আছে। কিন্তু ছাদে গিয়ে দেখে নিভা আর রাহুল একসাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। নয়ন টাস্কি খেয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বিরবির করলো,

‘শালা! তোর চরিত্র এতো খারাপ হইছে কবে? একটারে বিয়ে করবি তার বান্ধবীর সাথে আবার লাইন মারবি? আমার যত শত পোড়া কপাল!’

টিকলি টায়রার ঘরের দরজায় গিয়ে নক করলো নয়ন। টিকলি শোয়া থেকে উঠে বসলো। হাসি হাসি মুখ করে বলল, ‘নয়ন ভাই আপনি? আসুন না ভাইয়া আসুন।’

টায়রা ধমক দিয়ে বলল, ‘স্টপ।’ নয়ন সাথে সাথে থেমে দাঁড়ালো। টায়রা ভ্রু নাচিয়ে বলল, ‘কি চাই? মেয়েদের ঘরে উঁকিঝুঁকি?’

নয়ন বোকা বোকা চেহারায় হেসে বলল, ‘কোথায় উঁকি দিলাম? অনুমতি নিয়েই তো ডুকলাম।’

টিকলি বলল, ‘ভাইয়া ওর কথা রাখেন। আপনি বসেন।’

নয়ন গিয়ে বিছানার কোণায় বসলো। টায়রা বিরবির করে পা গুটিয়ে বসলো। এরপর নয়নের দিকে গোয়েন্দা চোখে তাকিয়ে বলল,

‘আচ্ছা কাহিনি কি বলেন তো! আপনারা সবাই আমাদের বাসায় এসে ভিড় জমিয়েছেন কেনো? বরপক্ষ কনেপক্ষের বাড়িতে! বিষয়টা ভিষণ উইয়ার্ড সাথে লজ্জাজনক।’

নয়ন কাশলো। সচেতন কণ্ঠে বলল, ‘পরসু মানে হলুদের দিন সকালেই আমরা বরপক্ষ চলে যাবো।’

নয়ন টায়রার থেকে চোখ সরিয়ে টিকলির দিকে তাকালো। টিকলিকে বিষন্ন মনে চিন্তা করতে দেখে প্রশ্ন করলো, ‘বিয়ের কনে এমন মনমরা কেনো?’

টিকলি দাঁত বের করে হেসে বলল, ‘বিয়ের কনে যে তাই!’

নয়ন দুঃখী দুঃখী ভাব নিয়ে বলল, ‘কি আশ্চর্য! বিয়ে যারা করে তারাও মনমরা। বিয়ে যারা না করে তাদেরও মনমরা!’

টিকলি ভ্রু উপরে তুলে বলল, ‘হঠাৎ এই কথা? বিয়ে করতে ইচ্ছে করে?’

‘শুধু ইচ্ছে করে….’

‘তবে? আর কি কি ইচ্ছে করে?’

‘ওই বিয়ের পর যা যা ইচ্ছে করে আরকি!’

টিকলি গলা ঝেড়ে কাশলো। বিরবির করে বলল, ‘কি নির্লজ্জ!’

নয়ন এবার টায়রার দিকে তাকিয়ে খুশি খুশি গলায় বলল, ‘দেখুন, রাহুল আর টিকলি বিয়ে করে ফেলছে ওদিকে আর্দ্র ভাই আর নিভা বিয়ে করে ফেলছে। এ সুযোগে আমরা দুজনও বিয়ে করে ফেলি চলুন। আপনাকে আমার প্রথম দিন থেকেই ঝাক্কাস লাগে! দিল কাইরে নিছেন এক্কেরে!’

টিকলি টায়রা বিস্ফোরিত চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। হাত মুঠো করে ঘুষি দেখিয়ে টায়রা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

‘এটা কি?’

নয়ন ঢোক গিলে বলল, ‘ঘুষি!’

টায়রা দরজা ইশারা করে বলল, ‘আপনি এই মুহুর্তে আমার রুম থেকে বের হবেন নাকি এটা খেয়ে তক্তা হবেন?’

নয়ন না বুঝে বলল, ‘হ্যাঁ?’

টায়রা উঠে বসে চুলকানির লাঠি হাতে নিয়ে বলল, ‘তোর হ্যাঁ এর আমি গুষ্টি কিলাই। যাবি নাকি!’

নয়ন তাড়াতাড়ি নেমে দাঁড়ালো। দরজার কাছে গিয়ে বলল, ‘সত্যি চলে যাবো? আর কিছুক্ষণ থাকি? আর একটু হলেই আমাদের বিয়ের পাকা কথা হয়ে যেতো। তাছাড়া আমি আপনাদের অতিথি…’

নয়নের কথা শেষ হওয়ার আগেই টায়রা বাড়ি ভাঙা চিৎকার দিলো, ‘গেট লস্ট।’

___________________________

আর দুদিন পর রাহুল আর টিকলির বিয়ে। ওইদিকে আর্দ্র আর নিভার বিয়ে। এই মুহুর্তে আদর এবং রাহুল মুখোমুখি বসে আছে। রাহুলই প্রথম কথা বলল,

‘ভালো আছেন ভাই?’

আদর জোরপূর্বক বলল, ‘হুম।’ পরিপেক্ষিতে জিজ্ঞেস করলো না তুমি কেমন আছো। রাহুল একটু অপ্রস্তুত হলো। বলল, ‘কি খাবেন ভাই? বলেন অর্ডার দেই।’

‘আমি দুজনের জন্য কফি অর্ডার দিয়েছি। আর কিছু খাবো না। তুমি যদি খাও তবে অর্ডার দেও।’

‘বাড়ি থেকে খেয়ে বের হয়নি ভাই। খিদে লেগেছে। শুধু কফি খেয়ে পেট ভরবে না।’

রাহুল হেসে হেসে বলল। এদিকে আদর কাল দুপুরে খেয়েছিলো। এরপর থেকে না খাওয়া। আদর দাঁত কিড়িমিড়ি করলো। এই ছেলেটার সমস্যা কি? না জেনে শুনে কীভাবে একটা ছেলে ঢ্যাং ঢ্যাং করে বিয়ে করতে পারে?

‘তুমি যে বিয়ে করছো মেয়ের মতামত নিয়েছো?’

রাহুল বিস্মিত ভঙ্গিতে বলল, ‘আপনাকে তো বলেছিলাম ভাইয়া মেয়ে আমার কাজিন। মেয়ের পায়ের আঙ্গুল থেকে মাথার চুল পর্যন্ত সবকিছুই আমি জানি। মতামত নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

আদর স্মিত হাসলো। কফি এসে গেছে। কফিতে চুমুক দিতেই রাহুল বলল,

‘আর তাছাড়া মেয়ের পরিবার থেকে প্রস্তাব এসেছে। আর আমার ফুফা তার মেয়েদের বিষয়ে ভীষণ কন্সার্ন। মেয়ের মতামত না নিয়ে নিশ্চয়ই প্রস্তাব টি দেননি। তাই আলাদা ভাবে বিয়ের মতামত চেয়ে মেয়েকে লজ্জায় ফেলার কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছিনা। যতোই হোক আমরা কাজিন। এতোদিন ভাই বোন নজরেই দেখে এসেছি হুট করে জামাই বউ এ কনভার্ট হওয়া একটু কম্পলিকেট। মানিয়ে নেওয়ার জন্যও সময় প্রয়োজন।’

আদর কফির মগ টেবিলে শব্দ করে রাখলো। ধীরে সুস্থে বলল, ‘তুমি খুব বুঝমান রাহুল। কিন্তু এতোটা বুঝমান হয়েও ভিষণ নির্বোধের মতো কাজ করে ফেলছো।’

রাহুল ভ্রু কুচকে তাকালো। একটু শক্ত কণ্ঠে বলল, ‘ভাইয়া আপনি ঠিক কি বলতে চাইছেন?’

‘আমি এটাই বলতে চাইছি যে, ভাই বোন থেকে জামাই বউ হওয়া একটু কম্পলিকেটেড। সময়ের প্রয়োজন। তুমি ই বললে। তাহলে এটা বুঝতে পারছো না? মেয়েটার অনেক কথা থাকতে পারে যা এই জড়তা গুলোর জন্য বলতে পারছে না।’

রাহুল সতর্ক দৃষ্টিতে তাকালো, ‘আপনি এসব কেনো বলছেন ভাই?’

আদর জোরে শ্বাস ফেলল। দু’আঙ্গুল দিয়ে কফির মগ ঘুরাতে ঘুরাতে বলল, ‘আমি সবসময় সরাসরি কথা বলে এসেছি রাহুল। তুমি ঠিকমতো চেনো আমাকে। তোমার সাথে অনেক গুলো বছর কাটিয়েছি আমি। তুমি আমার খুব আদরের ছোট ভাই। তোমার সাথে এসব বলা লজ্জাজনক কিন্তু তবুও আমি নিরুপায়।’

রাহুলের নিঃশ্বাস আটকে এলো। রুদ্ধকণ্ঠে বলল, ‘সরাসরি কথায় আসুন আদর ভাই। হেয়ালি করবেন না।’

আদর ভীষণ বড় আকারের দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আস্তেধীরে বলল, ‘আমি টিকলিকে ভালোবাসি রাহুল।’

চলবে❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here