বিরহ শ্রাবণ পর্ব ৯

0
934

#বিরহ_শ্রাবণ
#পর্ব_৯
#লেখিকা:সারা মেহেক

স্বাভাবিকভাবে ওয়ার্ডে ঢুকেই একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হলাম আমরা। দেখলাম অভ্র ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে বেশ ক’জন স্বাস্থ্যবান লোক। তাদের পোশাক পরিচ্ছদ ও মুখের অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে তারা গু’ণ্ডা সদৃশ কেউ। অবশ্য আমার এ অনুমানকে তারা মুহূর্তেই সত্য প্রমাণিত করলো অভ্র ভাইয়ের শার্টের কলার চেপে ধরে।
অভ্র ভাইকে ঘিরে দাঁড়ানো চারজন লোকের মধ্যে একজন অভ্র ভাইয়ের শার্টের কলার চেপে ধরে ক্ষি’প্র কণ্ঠে বললেন,
” তোকে যা বলছি তা করতে সমস্যা কোথায়? এ রোগীক পরেও দেহা যাবে। আগে আমাদের লোক দেখবি তারপর।”

লোকটির ভয় দেখানো চাহনি ও কণ্ঠস্বরে অভ্র ভাই মোটেও ভয় পেলেন না। বরং দৃঢ়তা এবং কাঠিন্যের সহিত বললেন,
” আমি একজন ডক্টর। আমার কাছে সব রোগীরই অধিকার সমান। আপনাদের লোকের অবস্থা এই রোগীর তুলনায় যথেষ্ট ভালো। একজন নার্সকে বলে উনাকে ড্রেসিং করিয়ে দিলে হয়ে যাবে। এখন ছাড়ুন আমাকে। ”

লোকটি অভ্র ভাইকে ছাড়লো না৷ বরং পূর্বের চেয়েও জোর গলায় হিং’স্র’তার সহিত বললেন,
” এ ডাক্তার! যা বলতেছি তাই কর। আমাদের সাথে লাগতে আসিস না৷ আমাদের লোককে তুই দেখে ঠিক করবি। তা না হলে এখানকার একটা রোগীরেও আস্ত রাখবো না আমি। ”

অভ্র ভাই পূর্বের ন্যায় বললেন,
” রাস্তায় মা’রপি’ট করা লোকদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সহানুভূতি হয় না। মন চায় না তাদের সেবা করি। কিন্তু এই ডাক্তারি পেশা আমাকে তা শেখায়নি। বরং সব রোগীকেই সমান অগ্রাধিকার দিতে শিখিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পেশেন্টদের বেশি দেখভাল করা শিখিয়েছে। সে হিসেবে আমার সামনে এক্সিডেন্টের পেশেন্ট আছে, যার অবস্থা খুব একটা ভালো না। আপাতত তাকেই চিকিৎসা দেওয়া আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। ”

লোকটি এবার অভ্র ভাইয়ের কলার ছেড়ে দিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে হিং’স্র’তাপূর্ণ মুখশ্রী নিয়ে ক্ষি’প্ততার সহিত অভ্র ভাইয়ের গালে এক ঘু’ষি দিলেন। অমনিই ওয়ার্ডে হইহট্টগোল শুরু হয়ে গেলো। ভয়ে তটস্থ রোগী, ওয়ার্ডবয়, নার্সরা চিৎকার করলো, যে যার মতো নিরাপদ স্থানে ছুটে গেলো। বেডে শুয়ে থাকা দূর্বল রোগীরা ভয়ে কাচুমাচু হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিলো। অভ্র ভাইয়ের উপর আক্রমন দেখে প্রোজ্জ্বল ভাই আমাকে রেখেই ওদিকে তেড়ে গেলেন। পিছন হতে গার্ডও চলে এলেন।
এসব হইহট্টগোলপূর্ণ, চিৎকার চেঁচামেচিপূর্ণ পরিবেশ দেখে আমার ভেতরে প্রচণ্ড অস্বস্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি হলো। শরীরে অস্থিরতা বাড়তে লাগলো। হাত-পায়ে ঘাম ছুটে ঠাণ্ডা হয়ে এলো। গলা শুকিয়ে এলো। ওদিকে প্রোজ্জ্বল ভাই, অভ্র ভাই ও লোকগুলোর মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। গার্ডটা তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন৷ আমি চোখের সম্মুখে এ দৃশ্য ঘটতে দেখে অসহ্যকর ভয়ে অল্পবিস্তর কাঁপছি। সম্মুখে চলমান এ ঘটনা আমার ভেতরটা নাড়িয়ে দিলো। চোখের সামনে নিয়ে এলো অতিতের কিছু দুঃসহ স্মৃতি। আমি আর নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারলাম না৷ ভোঁ চক্কর দিয়ে আমার মাথা ঘুরতে লাগলো। কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই আমার চারপাশ অন্ধকার হয় এলো।

———–

পিটপিট করে চোখ মেলে তাকালাম আমি। কয়েক সেকেন্ড সময় নিলাম, কোথায় আছি তা বুঝার জন্য। মাথার উপরে শুভ্র দেয়ালে সেঁটে দেওয়া রঙবেরঙের অনেক তারা দেখে বুঝতে বাকি রইলো না আমি আমার রুমেই শুয়ে আছি। স্বস্তি পেলাম খানিক।

দূর্বল চাহনিতে ঘাড় ঘুরিয়ে বাম পাশে তাকালাম। অতঃপর ডান পাশে তাকাতেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম। পাশ ফিরে দেখলাম প্রোজ্জ্বল ভাই আমার দিকে নিষ্পলক চেয়ে আছে। তবে এ নিষ্কম্প চাহনিতে রয়েছে উদ্বিগ্নের ঝলক৷ উনি খানিক বিচলিত গলায় জিজ্ঞেস করলেন,
” ঠিক আছিস তো? বেটার ফিল করছিস এখন?”

প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের প্রশ্নে আমি দ্বিধাগ্রস্ত চাহনিতে উনার পানে চাইলাম৷ চিন্তা করলাম, আসলেই কি আমি ঠিক আছি? শরীরের অবস্থাটা একটু পর্যবেক্ষণ করা দরকার। খানিক সময় নিয়ে নীরবে নিজের শারিরীক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলাম। অতঃপর মৃদু হেসে প্রোজ্জ্বল ভাইকে বললাম,
” হ্যাঁ। এখন আগের চেয়ে অনেক বেটার ফিল করছি। ”

তৎক্ষণাৎ উনি আমার কপালে হাতের উল্টো পিঠ আমার কপালে রাখলেন। নিমিষের জন্য ভ্রুজোড়া কুঞ্চিত করে আমার দিকে চাইলেন। অতঃপর হাত সরিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,
” যাক, জ্বর আসেনি তোর। আমরা তো তোকে নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম৷ ”

” কেনো? আমায় নিয়ে এতো টেনশন করার কি আছে?”

” টেনশন করবো না মানে! ওভাবে হুটহাট অজ্ঞান হয়ে পড়লে কার টেনশন হবে না বল?”

আমি আপাতত আর কথা বাড়ালাম না৷ এভাবে শুয়ে কথা বলতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিলো বলে দুপাশে দু হাত ঠেকিয়ে উঠতে নিলাম৷ কিন্তু শরীর খানিক দূর্বল হওয়ায় উঠতে কষ্ট হচ্ছিলো। ফলে প্রোজ্জ্বল ভাই আমায় উঠে বসতে সাহায্য করলেন। আমার হাত ধরে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে নিজেও চেয়ারে বসে পড়লেন। বললেন,
” তোর শরীরটা বেশ দূর্বল মনে হচ্ছে চন্দ্রিমা। একটু ডাবের পানি খাবি?”

এ মুহূর্তে খাওয়ায় অরুচি বোধ করায় বললাম,
” না প্রোজ্জ্বল ভাই। আমার এখন কিছু খেতে মন চাইছে না৷ আগে বলুন, ওদিকের অবস্থা কি?”

” কোন দিকের অবস্থা? ” প্রোজ্জ্বল ভাই আমার প্রশ্ন ঠিকই বুঝলেন। তবে ব্যাপারটা আড়াল করতে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম,
” এমনভাব ধরেছেন যেনো জানেন না আমি কি নিয়ে জিজ্ঞেস করছি! হসপিটালে কি অবস্থা? অভ্র ভাই ঠিক আছে তো? আর হ্যাঁ, আপনার কিছু হয়নি তো আবার?”

প্রোজ্জ্বল ভাই ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লেন। আমার এতো প্রশ্নের চাপে যে উনি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে তা বলা বাহুল্য। উনি ঈষৎ উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” এসব জানা কি খুব জরুরি তোর জন্য? এমনিতেই হসপিটালে মা’রামা’রি দেখেই তুই অজ্ঞান হয়েছিলি। সে হিসেবে এসব ভুলে যাওয়া বেটার না?”

আমি খিটখিটে গলায় বললাম,
” উফ, প্রোজ্জ্বল ভাই! আপনি বলুন তো আমায়। ”

প্রোজ্জ্বল ভাই প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছাড়লেন। বললেন,
” হসপিটালে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আর অভ্রেরও তেমন কিছু হয়নি। শুধু গালে ঘুষি মারায় একটু রক্ত জমে গিয়েছে যাস্ট। ”

” আর আপনার?”

” আমার কিছু হয়নি। ” এই বলে প্রোজ্জ্বল ভাই অন্যদিকে চাইলেন। বুঝলাম, উনি আমার নিকট হতে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমিও যে না জেনে উনায় ছাড়ছি না!
আমি হাত বাড়িয়ে প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের থুতনি ধরে মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে আনলাম৷ অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে উনার পুরো মুখশ্রীতে একবার চোখ বুলিয়ে আনতেই লক্ষ্য করলাম, উনার ঠোঁটের পাশে লাল হয়ে আছে। ফর্সা গালে আঘাতের লাল চিহ্ন বেশ ভালোভাবেই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে এখন। গালের দাঁড়ির জন্য উনার ঠোঁটের পাশে এ আঘাতের চিহ্ন পূর্বে তেমন দৃষ্টিগোচর হয়েছিলো না। এক নজরে এ আঘাতের চিহ্নটা লক্ষ্য করার মতোও না৷

উনার ঠোঁটের পাশে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমি দাপটের সহিত জিজ্ঞেস করলাম,
” মা’র খেয়ে নিজের ফর্সা গালটা তো টমেটো বানিয়ে ফেলেছেন! নিজের শরীরের নেই ঠিক। আবার আসছে আমার খেয়াল নিতে!”

প্রোজ্জ্বল ভাই কথা বললেন না। থুতনি হতে আমার হাত হটিয়ে দিয়ে উদ্বিগ্ন গলায় বললেন,
” আমার শুধু গালটা লাল হয়েছে। আর তোর? আমি জানি, তখন তুই ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলি। এখনও কি সেসব ভুলতে পারিসনি চন্দ্রিমা?”

প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের প্রশ্নে আমি মিইয়ে এলাম। তবে উনি যেনো আমায় নিয়ে বেশি চিন্তা না করেন সে কারণে সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে এ মুহূর্তে চটপটে মেজাজের প্রমাণ করে বললাম,
” আপনি এতো চিন্তা করেন কেনো আমাকে নিয়ে? আমি ঠিক আছি। ঐ হঠাৎ হঠাৎ এসব দেখলে একটু মনে পড়ে। তাছাড়া আমি একদম ঠিকঠাক। ”

প্রোজ্জ্বল ভাই মুহূর্তেই আমার কথায় দ্বিমত পোষণ করে বক্র কণ্ঠে বললেন,
” খুব জানি তোর ঠিকঠাক অবস্থা। উপরে ফিটফাট আর ভেতরে সদরঘাট! একদম এমন তুই৷ ”

আমি তৎক্ষনাৎ ভেঙচি কেটে কথা আবারো অভ্র ভাইয়ের দিকে নিয়ে এলাম। জিজ্ঞেস করলাম,
” ঐ লোকরা কি কারণে মা’রামা’রি শুরু করেছিলো? ”

” আর বলিস না। সরকারি হাসপাতালে এসব গু’ণ্ডা প্রজাতির লোকরা ডাক্তারদের একেবারেই সম্মান করে না। মাঝে মাঝে সাধারণ রোগীর লোকদের কাছেই সম্মান পাওয়া যায় না। আর এ তো রাস্তার গু’ণ্ডা।
ঐ দলের একটা লোক কার সাথে যেনো মা’রামা’রি করে ঠোঁট মুখ ফাটিয়ে এনেছিলো। সেজন্য চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে চলে এসেছিলো। অভ্র তখন এক্সিডেন্টের একটা পেশেন্টের রক্ত বন্ধ করতে, ব্যান্ডেজ করতে ব্যস্ত। আর কিছুক্ষণ পরেই ঐ লোককে ওটিতে পাঠানোর কথা। কিন্তু এর মধ্যে গু’ণ্ডাগুলো এসে অভ্রকে জোর করতে থাকে যে, এক্ষুনি তাদের লোকের চিকিৎসা করতে হবে। তুইই বল, এ মুহূর্তে এক্সিডেন্টের ঐ লোকের জরুরি চিকিৎসা করবে না কি মা’রপি’ট করে নাকমুখ ফাটিয়ে আনা লোকের চিকিৎসা করবে? ঐ লোকের কিন্তু নার্স দিয়েই কাজ চালানো যেতো। কিন্তু ব’দমা’শগুলো নার্সের হাতে চিকিৎসা নিবে না। ব্যস তারপর তো মা’রামা’রি শুরু হলো। ”

আমি কিছুটা চিন্তিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
” এমন কি এই প্রথম?”

” না। মাঝে মাঝেই এমন হয়। কিছু গরম টেম্পারের লোকগুলো তো ডাক্তার, ওয়ার্ড বয়দের উপর হুটহাট হাত উঠিয়ে দেয়!
মা’রামা’রি দেখে তোর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া নিয়ে বাবা বেশ টেনশনে আছে। ”

” টেনশন কি কারণে?”

” এই যে, মেডিকেলে যাওয়ার পর এমন টাইপের কিছু দ্বিতীয়বার দেখলে তুই আবারও না অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাস।”

প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের কথায় আমি নিঃশব্দে হাসলাম। হঠাৎ মামির কথা মনে আসতে জিজ্ঞেস করলাম,
” মামির কি অবস্থা? মামি কোথায় এখন? সুস্থ আছে তো?”

প্রোজ্জ্বল ভাই আমার প্রশ্নে সন্দেহ ভরা চাহনিতে চেয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” তুই কিভাবে জানিস, মা অসুস্থ?”

আমি বিস্ময়ে, চিন্তায় আঁখিজোড়া বড় বড় করে জিজ্ঞেস করলাম,
” সত্যিই মামি অসুস্থ? এখন কি অবস্থা? আমি গিয়ে দেখে আসি। ”
এই বলে আমি উঠতে নিলাম। কিন্তু প্রোজ্জ্বল ভাই আমার হাত ধরে আটকে বললেন,
” মা এখন ঠিক আছে। ঘুমাচ্ছে। তোর এ অবস্থা দেখে প্রেশার হাই হয়ে গিয়েছিলো। আমি ওষুধ খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে বলেছি। ”

উনার কথা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম আমি। বললাম,
” জানতাম মামির প্রেশার আবারো হাই হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উনি একটু হাইপার হলেই হয়েছে! সামান্য অসুস্থ মানুষের থেকেও উনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ”

প্রোজ্জ্বল ভাই হাসলেন। উনার সাথে যোগ দিলাম আমিও। মামির এ হাইপার হয়ে যাওয়া, প্রেশার বেড়ে যাওয়া নিয়ে যে কত কাহিনি আছে তা ভাবতেই আপনাআপনি হাসি চলে আসে।

ক্ষণিকের মাঝেই প্রোজ্জ্বল ভাই হাসি থামালেন। বললেন,
” তুই একটু রেস্ট নে। আমি বাবাকে আর অভ্রকে জানিয়ে দেই তোর জ্ঞান ফিরেছে। আর তুই সুস্থ আছিস। ”
এই বলে প্রোজ্জ্বল ভাই ফোনে ডায়াল করতে করতে চলে গেলেন। আমিও শুয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম। এভাবে যে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম তার ঠিক নেই।

———

ছাদ থেকে কাপড়চোপড় উঠিয়ে একটু হাওয়া খেতে রেলিঙ ঘেঁষে দাঁড়ালাম। চারপাশে শীতল শান্ত পরিবেশ। কিন্তু হঠাৎ করেই সে শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠলো। চারপাশে হইহট্টগোল শোনা গেলো। চিৎকার চেঁচামেচি শোনা গেলো। আমার উৎসুক চাহনি গিয়ে ঠেকলো আমাদের বাড়ির গেটের উপর।
দূর হতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে শুনতে ক্রমশ সে শব্দ অতি নিকটে অনুভূত হলো। দেখলাম গেট হতে বেশ কয়েক কদম দূর থেকে কেউ একজন ছুটে আসছে। তার পিছে দা নিয়ে ছুটে আসছে গুটিকয়েক লোক। প্রত্যেকের জবানে হিং’স্র’মূলক বুলি। বুঝা যাচ্ছে লোকগুলো সামনের সেই মানুষটাকে মারতে ছুটে আসছে। এদিকে সেই মানুষটা প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে। তার পরনের শার্ট র’ক্তে ভিজে জবজবে হয়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠলাম আমি৷ কিন্তু জখম ব্যক্তিটির চেহারা যখন উপর হতে দেখলাম তখন যেনো আমার পুরো দুনিয়া চক্কর দিয়ে উঠলো। রক্তে জর্জরিত ব্যক্তিটি আর কেউ নয় বরং…………
®সারা মেহেক

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here