বিন্দু থেকে বৃত্ত ৪১

0
2447

#বিন্দু_থেকে_বৃত্ত
#পার্ট_৪১
জাওয়াদ জামী

তাওহীদ গালে হাত দিয়ে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেই মা কোনদিন ওর গায়ে হাত তোলেনি, আজ সেই মা ওকে এতগুলো চ’ড় মারল!

” আজ মনে হচ্ছে, তোকে জন্ম দিয়ে আমি পাপ করেছি। যে বড়মার হাত ধরে হাঁটতে শিখেছিস, যে বড়মা নিজের মুখের খাবার তোকে খাইয়েছে, যে বড়মার কাছে তোর হাতেখড়ি হয়েছিল, আজ তোর সামনে তোর বউ সেই মানুষটাকে ইন্ডাইরেক্টলি অপমান করছে, তার বংশ পরিচয় নিয়ে কথা তুলছে, আর সেগুলো তুই বসে বসে উপভোগ করছিস! আমারই ভুল হয়েছে পরের মেয়েকে থা’প্প’ড় দিয়ে। সে-তো অন্য বাড়ির মেয়ে, এসব কিছুই জানেনা। সে বলতেই পারে, যেহেতু তার শিক্ষার অভাব আছে। কিন্তু তুই কিভাবে বড়মার অপমান সহ্য করতে পারলি?
তোকে তো আমরা সঠিক শিক্ষা দিয়েই বড় করেছি? তবে কি আমাদের শিক্ষায় ভুল ছিল? এই থা’প্প’ড়’গু’লো আমার অনেক আগেই তোকে মা’রা দরকার ছিল। তাহলে অন্তত আজ এই দিন দেখতে হতোনা। আমার ছেলের বউ তার শ্বশুর বাড়ির সবাইকে অসম্মান করতোনা। আর আমি কি-না এতদিন ভেবেছি, ভালোবাসা দিয়ে সব ঠিক করব! তোরা ভালোবাসা পাবার যোগ্যই না। কান খুলে তুই আর তোর বউ শুনে রাখ, একটু আগে যে কুহুকে তোর বউ অপমান করল, সেই কুহু আমার ছোট ছেলের বউ হবে। আর সে শিক্ষাদীক্ষায়, আচার-আচরণে কিংবা বংশ পরিচয়ে তোর বউয়ের থেকে হাজারগুনে ভালো। আর সবশেষে বলছি, এক্ষুনি তুই তোর বউকে নিয়ে এ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবি। যে ছেলের বউ আমার বড় বোন সমতুল্য জা’কে অপমান করেছে, আর আমার ছেলে বসে বসে সেগুলো উপভোগ করেছে, সেই পাপীদের মুখ আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেখতে চাইনা। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও তোরা আমাকে দেখতে আসবিনা। ”

‘ কুঞ্জছায়া’র ড্রয়িংরুমে বিরাজ করছে শ্মশানের নিরবতা। সানাউল রাশেদিন স্ত্রীর দিকে ব্যথিত চোখে তাকিয়ে আছেন। শফিউল রাশেদিনের মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে রয়েছে। তার ছেলে ও ছেলের বউ আজ তাকে সবার সামনে চরমভাবে অপমান করেছে। যে বড় ভাবিকে তিনি মায়ের পরে স্থান দিয়েছেন, তাকে আজ তার ছেলে কাঁদিয়েছে। এই লজ্জা মৃত্যুর সমতুল্য।
আয়েশা সালেহা কাঁদছেন। কি থেকে কি হয়ে গেল।
সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলেও স্বাভাবিক আছে তাহমিদ। কোন বিকার ওর মাঝে লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। সিঙ্গেল সোফায় শরীর এলিয়ে দিয়ে, হাসিমুখে উপভোগ করছে সামনের দৃশ্য।
নীরার কথা শুনে ওর মাথায় আ’গু’ন ধরে গিয়েছিল। প্রতিবাদ করতে দাঁড়ানো মাত্রই ওর মা গিয়ে নীরাকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে ও এসব নীরবে সহ্য করবে এমনটাও নয়। আগে সবাই যা বলার বলে নিক। তারপর নাহয় লাষ্ট ফিনিশিং তাহমিদই করবে।

মায়ের মুখে এতগুলো কথা শুনে তাওহীদের হুঁশ আসে। এসব কি বলল মা! আমাকে এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলছে!

” মা, তুমি এসব কি বলছ! আমি মানছি নীরা ভুল করেছে। ভুল আমিও করেছি। আমি বড়মার পা ধরে ক্ষমা চাইব। প্রয়োজনে নীরাও বড়মার পায়ে ধরবে। তবুও তুমি এসব বলোনা, মা। ”

” তাওহীদ তোমার মা’ র সাথে আমি একমত। তোমার বিয়ের পর থেকেই আমি লক্ষ্য করেছি, নীরা আমাদের কাউকেই তেমন পছন্দ করেনা। কি অপরাধ করেছি, সেটা আমাদের জানা নেই৷ তাই ভালো হয়, চিরতরে তুমি এই বাড়ির সাথে সম্পর্ক ঘুচাও। তোমার যা যা প্রাপ্য তার সবটাই আমি তোমাকে দিয়ে দিব। আমি এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তুমি তোমার ভাগের সকল সম্পত্তির দাম অনুযায়ী টাকা পাবে। আমিও চাইনা তুমি ভবিষ্যতে এ বাড়িতে পা রাখ। তাই আমার যা কিছু তুমি পাবে, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সেই পরিমাণ টাকা তুমি শীঘ্রই পেয়ে যাবে। ” শফিউল রাশেদিনের সিদ্ধান্ত শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেছে।

” বাবা, আমার কোন টাকার প্রয়োজন নেই। আমার শুধু তোমাদের প্রয়োজন। তুমি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিওনা, প্লিজ। ” তাওহীদ হাতজোড় করে অনুরোধ করছে।

” তোমার জীবনে আমাদের কোন প্রয়োজনিয়তা নেই। তুমি স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সুখী থাক। যেটা তোমার স্ত্রী চায়। একজন স্বামী হিসেবে স্ত্রীকে সুখী করা তোমার কর্তব্য। আমার আর কিছুই বলার নেই। তোমরা এখন আসতে পার। ”

তাওহীদ দৌড়ে গিয়ে বড়মার পায়ে পরে।

” বড়মা, সন্তান কোন ভুল করলে বাবা-মাকেই তাদের সেই ভুল সংশোধন করে দিতে হয়। প্রয়োজনে শাস্তিও দিতে হয়। আমার ক্ষমাও বাবা-মা’ই করতে পারে। আমি ভুল করেছি বড়মা। আমাকে এই শাস্তি বাদে যেকোন শাস্তি দাও। আমার কোন আপত্তি নেই। তবুও এই বাড়ি থেকে আমাকে দূরে থাকতে বলোনা। ” তাওহীদ ডুকরে কেঁদে উঠে।

নীরা তাওহীদের কান্না দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। ওর একটা সামান্য কথায় যে এতকিছু ঘটবে, তা ওর কল্পনায়ও ছিলনা। কিন্তু নীরা জানেনা ওর কাছে যেই কথা সামান্য, এই বাড়ির সকলের কাছে তা ক্ষমাহীন অপরাধ।

” ওঠ, বাবা। তুই কাঁদছিস কেন! তোর বাবা-মা কি বলল না বলল, তাতে এভাবে রিয়্যাক্ট করছিস! রেগে গেলে বাবা-মা এমন অনেক কিছুই বলে। তুই আ…….” আফরোজা নাজনীন কথা শেষ করতে পারেননা৷ সানাউল রাশেদিন তাকে টেনে নিয়ে যান নিজের রুমে৷

” তোমাকে ওদের ভেতর কথা বলতে কে বলেছে? আরও অপমানিত হতে চাও? এত মহান হওয়ার দরকার কি? জীবনে কি পেয়েছ মহানুভবতা দেখিয়ে! ” সানাউল রাশেদিন তার স্ত্রীকে রুমে নিয়ে যেতে যেতে কথাগুলো বললেন।
আসলে তিনি তার প্রানপ্রিয় স্ত্রীর এরূপ অপমান সহ্য করতে পারেননি।

” তুমি খুশি? বড়মাকে চুড়ান্ত অপমান হতে দেখে? তুমি কেমন পুরুষ? যে তার স্ত্রীকে শাসন করতে পারেনা। একজন পুরুষের কাছে মা এবং স্ত্রীর আসন আলাদা। তোমার স্ত্রী তো সেই হিসেবই ভুল করেছে। যে মেয়ে একজন মা আর একজন স্ত্রীর সম্পর্কের সমীকরণ করতে পারেনা, সে কি আদৌ কারও স্ত্রী হওয়ার যোগ্য! কিছুদিন আগে অব্দি ভেবেছি, তোমার সাথে দেখা হলে তোমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিব ভুল আর সঠিক। আজ সেই দিনও এসেছে। কিন্তু জানো আজ রুচিতে বাঁধছে তোমার সাথে কথা বলতে। যে পুরুষ স্ত্রীর ব’র্ব’র আচরণের সাথ দেয়, সে সত্যিকারের পুরুষ কিনা তাতে আমার সন্দেহ আছে। তবে তোমার স্ত্রীকে একটা কথা পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দাও, কুহুকে নিয়ে ভবিষ্যতে আর একটা ক’টু’বা’ক্য উচ্চারণ করলে, আমি তার জিভ কে’টে ফেলব। আর রইলো বড়মার বিষয়, সে আমার কাছে মায়ের থেকেও বেশি। তাই এই ভুল ভবিষ্যতে আর যেন না হয়। ”
তাহমিদের গলায় কিছু একটা ছিল যা শুনে নীরার অ’ন্ত’রা’ত্মা কেঁ’পে ওঠে।

” তুমি এখনও দাঁড়িয়ে আছ! তোমাদের লাগেজ নিয়ে এখুনি বেরিয়ে যাও। ” কথাটা বলেই শফিউল রাশেদিন তার মায়ের রুমের দিকে পা বাড়ান। যেখানে কিছুক্ষন আগে কুহু গেছে।

” মা, তুমি এভাবে চুপ করে থেকোনা। বাবাকে বোঝাও। আমি তোমাদের না দেখে থাকতে পারবনা। ”
তাহমিনা আক্তার নিশ্চুপ।
” আহ্ তাওহীদ, কি শুরু করেছ বলতো? তারা চাননা আমরা এই বাড়িতে থাকি। তবে তোমার কিসের এত টান! আমি লাগেজ নিয়ে আসছি, এক্ষুনি বেরোব। তোমার এত আদিখ্যেতা কিসের তা আমি ভেবে পাইনা। সেই তো টিপিক্যাল একটা পরিবার। তবুও সবার কিসের এত অহংকার তা আজও বুঝলামনা। ” নীরা কথার মধ্যে দিয়ে তাওহীদকে উ’স্কে দেয়।

” আমাদের এই টিপিক্যাল পরিবার নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। এখানে সবার প্রতি সবার শ্রদ্ধাবোধ আছে, ভালোবাসা আছে, একতা আছে। আর বিপদে পাশে থাকার প্রবনতা। যেগুলো তোমার মত মেয়ের সাথে যায়না। তুমি শুধু ভাঙতেই শিখেছ। গড়ার মধ্যেও যে সুখ আছে তা তুমি জানোনা। তবে ভাঙতে ভাঙতে এমন যেন না হয় , যেখানে নিজেরই কোন ঠাঁই থাকবেনা। ” তাহমিদ না চাইতেও বলে।

” তাহমিদ, তুই মা’কে একটু বুঝা। মা কবে থেকে এতটা নি’ষ্ঠু’র হল! আমার মেয়েটা তোদেরকে খুব ভালোবাসে। এখানে না আসলে ও কষ্ট পাবে। ওকে আমাদের বেঁধে রাখার সাধ্য নেই। ”

” দোয়া করি, তোর মেয়ে যেন তার মায়ের মত না হয়। আর যাই করিস, ওকে সুশিক্ষা দিস। তবে কি জানিস, মায়া কাটাতে হলে একবারে গোড়া থেকেই কাটাতে হয়। নতুবা সেই গোড়া থেকেই নতুন করে মায়ার জন্ম নেয়। আমিও চেষ্টা করব একবারে গোড়া থেকে মায়া কাটানোর। যে মায়া সারাজীবন শুধুই ভোগাবে, লাভ কি সেই মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে? আর কি বললি? আমি নি’ষ্ঠু’র হলাম কবে থেকে? নি’ষ্ঠু’র আমি হইনি। আমি শুধু মা হওয়ার পাপমোচন করছি। এতেই যদি আমি নি’ষ্ঠু’র উপাধি পাই, তাতে আপত্তি নেই। ” এতক্ষণে কাঠিন্যের মুখোশ খুলে যায়, তাহমিনার মুখ থেকে। হু হু করে কেঁদে উঠেন তিনি।
এতকিছুর পরও নীরার মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই দেখে তার কষ্ট আরও দ্বিগুণ হয়।

কুহু বিছানায় বসে কাঁদছে। কেন তার সাথেই সবসময় এমন হয়। আজ মনে হচ্ছে, ছোটমা সব সময় অপয়া বলত, তা সে ঠিকই বলত। অপমান যেন কিছুতেই ওর পিছু ছাড়েনা।

” কুহু মা, বিকেল হয়ে গেছে অথচ তুমি আমাকে চা দিলেনা। দুইদিন পর চলেই যাব। এই দুইটা দিন কি তোমার হাতের চা পান করতে চাইলে খুব অপরাধ হবে। ” শফিউল রাশেদিন কুহুর মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
কুহু উনার আগমন টের পেয়েই চোখের পানি মুছে নেয়।

” এখনই চা পান করবেন, আংকেল? ” আসলে কুহু এখন বাইরে যেতে চাচ্ছেনা। ড্রয়িংরুমে সবাই বসে আছে। এখন সেখানে যেতে ওর মন সায় দিচ্ছেনা।

” আমি তোমার আংকেল হই! জানতো মা, বড় সাধ করে বড় ছেলের বিয়ে করিয়েছিলাম। একটা মেয়ের আফসোস সব সময়ই ছিল। ভেবেছিলাম বড় ছেলের বউ আসলে তাকে আমি মেয়ের মত করে রাখব। কিন্তু দুর্ভাগ্য সে বউমা হয়ে থাকতে চাইল। মেয়ে আর হলোনা। তারপর ফাইনালি যখন জানলাম তুমিই আমার ছোট ছেলের বউ হচ্ছ, তখন ভিষণ খুশি হয়েছিলাম। এবার একটা মেয়ে সত্যিই পাব। কিন্তু তুমিও দেখছি আমাকে আগে থেকেই পর ভাবছ! আমার বাবা ডাক শোনার ইচ্ছে, কিন্তু তুমি আংকেল ডাকছ! ”
কুহু শফিউল রাশেদিনের এমন কথায় বেশ বিব্রত হয়। তিনি বাবা ডাকতে বলছেন। কিন্তু বিয়ের আগে এরূপ সম্ভাষণ ও কিভাবে করবে। একটু লজ্জাও লাগছে।
শফিউল রাশেদিন বুঝতে পারছেন কুহুর তাকে বাবা ডাকতে প্রথম প্রথম লজ্জা লাগবে। তাই তিনি কুহুর লজ্জা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন।

” থাক মা, তোমার যদি আমাকে বাবা ডাকতে সমস্যা হয়, তাহলে আমাকে বাবা ডাকতে হবেনা।তোমাকে জোড় করার অধিকার আমার নেই। তুমি বরং বাবা না ডেকে, চা-ই নিয়ে আস। ”
শফিউল রাশেদিনের এমন কথা শুনে কুহুর বেশ কষ্ট হয়।
তিনি তো শুধু বাবা ডাকটাই শুনতে চেয়েছেন। এটাতো অন্যায় নয়। বেশ কিছুক্ষণ দ্বিধার দোলাচালে দুলে কুহু মুখ খোলে,

” আপনি একটু অপেক্ষা করুন, বাবা। আমি চা নিয়ে আসছি। ”
কুহুর মুখে বাবা ডাক শুনে শফিউল রাশেদিনের মুখে সুখের হাসি ফুটে। একটুআধটু অভিনয় থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে মাঝেমধ্যে এমন অভিনয় করা যেতেই পারে।

” মাগো, তুমি তোমার মা’কে, মানে তাহমিনাকে একগ্লাস লেবুর শরবত করে দিও। তাহলে তার গরম মাথা ঠান্ডা হবে। ” আসলে শফিউল রাশেদিন কুহুর মন ভালো করতে চাচ্ছেন।

” আচ্ছা, বাবা। ” কুহু হেসে জবাব দেয়।
শফিউল রাশেদিন কুহুর মুখে পুনরায় বাবা ডাক শুনে ওকে বুকে জরিয়ে নেন। কেঁদে উঠেন হুহু করে। অনেকদিন পর আজ যেন তার বুক জুড়ালো।

কুহু ড্রয়িংরুমে পা রাখতেই দেখল সেখানে তাওহীদ, তাহমিদ এবং তাহমিনা আক্তার, নীরা দাঁড়িয়ে আছে। তাওহীদ বারবার তার মা’কে কিছু বোঝাতে চাইছে। কিন্তু তাহমিনা আক্তার তার ছেলের কথা শুনতে ইচ্ছুক নন।
কুহু দ্রুতপায়ে রান্নাঘরে আসে। চুলায় পানি বসিয়ে দেয়।
তাহমিদ আঁড়চোখে কুহুকে রান্নাঘরে যেতে দেখল। কুহুকে দেখেই ওর ঠোঁটে হাসি ফোটে। মেয়েটার জন্য বড্ড চিন্তা হচ্ছিল।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here