গল্পঃ #বাবার_ভালোবাসা।
পর্বঃ০৬
লেখাঃরাইসার_আব্বু।
– নিলয় তুমি তো জানে আমি প্রেগনেন্ট আমার গর্ভে তোমার সন্তান বড় হচ্ছে। তুমি আমাকে রেখে অন্য আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছো?
– আরে আনিশা। সুইট হার্ট আমার! আমি তো তোমাকে বিয়ে করেছি। তুমি চাও না আমরা অনেক টাকার মালিক হয়। সেজন্য করিম চৌধুরির মেয়েকে প্রেমের জালে ফাসিয়ে বিয়ে করে সব সম্পত্তি আমাদের নামে করে নিবো। তারপর ডির্ভোস দিয়ে দিবো। আর তোমাকে নিয়ে সংসার করবো বেবী। আর এজন্য কথাকে ছুঁইয়ে পর্যন্ত দেখিনি। যেন বুঝতে পারে ওকে অনেক লাভ করে। ‘সত্যি বাবু ইউ আর গ্রেট’ এ কথা বলে আনিশা নিলয়কে জড়িয়ে ধরে।
– মুহূর্তের মাঝে কথার চোখ দু’টি ঝাপসা হয়ে আসছে। যে নিলয়কে এতোটা ভালোবাসতো আজ সে নিলয় অন্য একটা মেয়ের বুকে। নিলয় এতোটা খারাপ জানা ছিল না। পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। বারবার রাজের কথা গুলো কানে ভেসে আসছে! ম্যাডাম নিলয় ছেলেটার চরিএ ভালো না।
– সত্যিই সেদিন কখাগুলো বিশ্বাস না করে অনেক বড় ভুল করতে যাচ্ছিলাম। রাজ কী আমায় ক্ষমা করবে। না এখানে আর এক মুহূর্ত নয়।
– অফিস থেকে বের হয়ে সোজা বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলো কথা। আজ আর অফিসে যেতে মন চাচ্ছে না তার । তাই, অফিসে ফোন করে বলে দিলো ‘ আজ আর অফিসে যাবো না।
– বাসায় এসে দেখে কথার বাবা কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে!
– কথা কিছু না কিছু না বলে দু’তলায় চলে গেল। বুকের ভেতরটা কেমন যেন খাঁ খাঁ করছে। খুব করে কান্না পাচ্ছে কথার হঠাৎ কে যেন বলল’ বন্ধু আমি তোমাকে মম ডাকি? ‘
– রুমের দিকে চেয়েই দেখে কেউ নেই! মুহূর্তের মাঝে রাইসার মায়াবী মুখটা ভেসে ওঠে! ফোনের গ্যালারি ঘেটে দেখলাম রাইসার তিনটা পিক! কি সুন্দর চাহনী। কথা মনে মনে ভাবছে ‘ আমি কেমনে করে ছোট্ট মেয়েটাকে সেদিন মারলাম। না আমার সাথে যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।
-হঠাৎ ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বাজছে! ফোনের দিকে চেয়ে দেখি, নিলয় ফোন করেছে। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফোনটা ধরলাম’ হ্যালো বেবী! তুমি কেমন আছো? তোমাকে না বড্ডবেশি মিস করছি। জানো আজ তোমার জন্য একটা শাড়ি কিনেছি। তুমি না নীল শাড়ি পছন্দ করো।
– আজকে সকালে ফোন দেয়নি বলে রাজকুমারী বুঝি রাগ করেছে? আচ্ছা আমি কান ধরছি কেমন? মহারাণী এমন ভুল আর হবে না। আচ্ছা এই অধম তোমার হাতের স্পর্শ পেতে চাই।কি হলো বেবী কথা বলছো না কেন? আমি কিন্তু এখনো লাঞ্চ করিনি ।
– চরিএহীনটার কথা আর শুনতে ইচ্ছে করছিলো না। ফোনটা কেটে দিয়ে নাম্বারটা ব্লকে রেখে দিলাম।
– চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে। বুক ফেটে কান্না আসছে। বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদছি। এমন সময় বাবা দরজায় নর্ক করে বলল’ মা আসবো?
– চোখের পানি মুছে বললাম ‘ হ্যাঁ বাবা আসো।
– বাবা রুমে এসেই বলল’ মামনি দেখতো তোর বিয়ের কার্ডগুলো কেমন হয়েছে?
– আর শোন, তোর বন্ধু-বান্ধব কেউ যদি বাদ পড়ে তুই ইনভাইট করে দিস।
– আমি কিছু বলছি না চোখ দিয়ে পানি পড়বে পড়বে ভাব।
– মামনি একটা কথা বলি?
– মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলাম।
– মামনি, তুই কিছু মনে না করলে ‘ রাজ আর তার মেয়েকে ইনভাইট করতে চাই’! তুই রাগ করবি না তো? সত্যি বলতে রাজ ছেলেটাকে দেখলে আমি যেন কেমন হয়ে যায়। আর ছোট্ট মেয়েটার খুঁনশুটিগুলো খুব ভালো লাগে। মামনি তাহলে একটা কার্ড তাদেরকেও দিবে?
– আমি আর থাকতে পারলাম না। বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
– কি হলো মা কাঁদছিস কেন?
– বাবা আমি এ বিয়েটা করবো না। তুমি যেভাবে হোক বিয়েটা ভেঙে দাও।
– কি বলছিস এসব? বিয়ের কার্ড ছাপা হয়ে গেছে। আজ বাদে কাল বিয়ে এ মুহূর্তে বিয়ে কেমনে ভাঙবো? আর তোরা দুজন-দুজনকে পছন্দ করে বিয়েতে মত দিয়েছিস।
– আমি কিছু শুনতে চাই না। আমি শুধু জানি আমি বিয়েটা করবো না বাবা। বাবা আমি মরে যাবো তাও ওই চরিএহীন নিলয়কে বিয়ে করবো না।
– কি করেছে নিলয়?
– এই দেখ বাবা, মোবাইলে তুলা ভিডিওটা দেখিয়ে দিলাম। বাবা কিছু বলল না। বুকে জড়িয়ে নিল আমায়।
– কি হলো মা বাবার বুকে কাঁদছিস? তোর বিয়ে ওরকম লম্পট ছেলের সাথে হবে না। এবার হাসবি তো?
– ওহ্ বাবা ইউ আর গ্রেট বাবা।
– রাত্রে ফ্রেশ হয়ে এশার নামায পড়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে ঘুমালাম।
– পরের দিন সকালে বাবা জানালো বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
– বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম’ ওহ্ বাবা সত্যি তুমি অনেক ভালো। ‘
– তাই বুঝি?
– হুম তাই।
– সকাল বেলা ঘুম ভেঙে দেখি রাইসা নেই! বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে ওঠলো। কারণ প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই রাইসাকে বুকে খুঁজে পায়। কিন্তু আজ নেই! তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বের হয়ে বার্থরুমে দেখলাম সেখানেও নেই। আমি বাম পা টা ভালো করে নাড়াতে পারছি না। সেদিন ভাঙা পায়েই ব্যাথা পেয়েছিলাম। পা টা অনেক ফুলে গিয়েছে। এদিকে রাইসাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। কয়েকটা ডাক দিলাম তারপরও রাইসার কোন সাড়া নেই। খুব ভয় হচ্ছে। রাইসার কিছু হলে আমি বাঁচবো না। হঠাৎ কিচেনে কিছু পড়ার আওয়াজ হলো। তাড়াহুড়ো করে কিচেনে গিয়ে দেখি, ময়দা দিয়ে কিচেনের অবস্থা শেষ। কলিজার টুকরাটাকে দেখলাম রুটি বানানোর চেষ্টা করছে। আমি দরজার দাঁড়িয়ে আছি এ দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সারা শরীর ময়দায় ছড়াছড়ি!
– রাইসা মা আমার এখানে কি করছো?
– কথা বলো না তো! দেখ না বাবাই এর জন্য রুটি বানাচ্ছি।
– আমি রান্না ঘরে ঢুকে রাইসাকে থাপ্পর মারলাম!
– বাবাই তুমি আমাকে মারলে?
– আমাকে না বলে তোকে কিচেনে কে আসতে বলছে? আর গ্যাসের চোলা জ্বালিয়েছিস। যদি কোন দুর্ঘটনা হয়ে যেত। শরীরের কি অবস্থা করেছিস।
-রাইসা গালে হাত দিয়ে অভিমানী সুরে বলল’ হোক দুর্ঘটনা! তুমি জানো না তোমার কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না! তুমি কাল ব্যথা পেয়েছ আমি দেখেছি তুমি হাঁটতে পারো নি ঠিকমতো। আর এ শরীর নিয়ে সকালে নাস্তা কিভাবে বানাবে?তাই আমি নাস্তা বানাতে এসেছি। কিন্তু দেখ বাবাই আমি রুটি বানাতে পারছি না।
– তোকে কিচেনে আসতে বলছি? আজ যদি তোর কিছু হয়ে যেত? তাহলে আমি মরেই যেতাম।তুই যে আমার কলিজার টুকরা। বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন!
– সরি বাবাই আর এমন হবে না। তুমি মরার কথা বলো না প্লিজ বাবা! এই যে আমি কান ধরলাম। এবার বুকে নিবা না বাবাই?
– রাইসাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে। যে গালে থাপ্পর দিয়েছিলাম সেখানে একটা চুমু দিয়ে বললাম’ মা’রে তোকে থাপ্পর দিয়েছি তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস তাই না?
– রাইসা আমার গালে চুমু দিয়ে বলল’ না বাবাই! তুমি না আমার বাবাই। তুমি কষ্ট পেলে আমি কষ্ট পায়।
– আচ্ছা তুমি হোমওয়াক রেডি করো আমি নাস্তা বানাই।
– আচ্ছা বাবাই।
– সকালে নাস্তা শেষ করে রাইসাকে স্কুলে দিয়ে যখন অফিসে যাচ্ছিলাম। হোটেল নিউ মার্কেট জ্যামে আকটে যায়। জ্যামের মাঝে অটোতে বসে আছি। আর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি।
– আফা বকুল ফুলের মালা একটা নেন না । যা তো বিরক্ত করিস না।
– আফা আজ সারাদিনে ফুল বিক্রি হয়নি। আফা বিশ টাকা লাঘবো না, দশটাকা দিয়েন। আমার ছুডো ভাইটাকে নিয়ে পাউরুটি কিনে খাবো। দেখতো অর্পিতা কেমন লাগে! এসব টোকাই দেয় জ্বালায় রাস্তাঘাটে বের হওয়া যায় না। যাও তো আমার ফুল লাগবে না।
– ড্রাইভার গাড়ির লুকিং গ্লাস তুলে দাও!
– এই সাথি দেখতো অটোতে সেদিনের কথার বার্থডে পার্টিতে গান গাওয়া ছেলেটা।
– ড্রাইভার কাঁচ নামাও তো দেখি। হুম দোস্ত রাজ। তুই আমার গাড়ি করে যা আমি অটোতে করে যাবো। সাথি গাড়ি থেকে নেমে পড়ল।
– এদিকে আমি গাড়িতে বসে ভাবছি,যতক্ষণ গাড়িতে বসে আছি ততক্ষণ হাঁটলেও অফিসে পৌঁছে যেতাম।
– স্থির করলাম, হেঁটেই চলে যাবো অফিসে পাঁচ মিনিটের রাস্তা। তাই অটো ওয়ালা ভাইকে ভাড়া দিয়ে নেমে পড়লাম।
– সাথি অর্পিতাকে ফোন দিয়ে বলল’ দোস্ত আমার নার্ভাস লাগছে!
– তর নার্ভাস লাগছে! কথাটা হাস্যসকর মনে হচ্ছে শোন তোর গায়ককে বল, নিরিবিলি পরিবেশে তার গান শুনতে চাস।
– আচ্ছা দোস্ত ধন্যবাদ। সাথি ফোন রেখে যখন আমাকে ডাক দিবে এমন সময় সাথি দেখলো ফুল ওয়ালা সে মেয়েটা আমার কাছে।
– আমি হেঁটেই রওয়ানা দিচ্ছে। হঠাৎ পিছন থেকে বলল ‘ স্যার একটা ফুল নেন না। ‘ ম্যাডামকে দিবেন ম্যাডাম অনেক খুশি হবে। মাএ বিশ টাকা স্যার!
– আমি পিছনে ফিরে দেখি একটা মেয়ে ১০ বছর হবে সাথে ছোট্ট একটা ছেলে বয়স ছয়েক হবে। মেয়েটা উষ্কো-খুশকো চুল! আমি মেয়েটাকে বললাম, আপু তোমার ম্যাডাম নেই তো!
– স্যার নেন না দশটাকায় দিবো। আজ সকাল থ্যাইকা একটা ফুলও বিক্রি করিনি। নেন না স্যার দশটাকা দিয়েন, ভাইরে নিয়ে পাউরুটি খাবো।
– সাথি রাগ হচ্ছে, এই ঝামেলার জন্য রাজের সাথে কথা হচ্ছে না। অনেকটা দূর থেকে দেখছে রাজকে।
-স্যার নিবেন না?
– আমি কিছু বলছি না।
– মেয়েটা তার ছুটো ভাইকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। হয়তো আবার কাউকে বলবে একটা ফুল নেননা ভাই! খুব ক্ষিদে লাগছে!
-এই যে আপু কোথায় যাচ্ছো। আমি ফুল কিনবো।
– মেয়েটা পিছু ফিরে তাকালো, মুখে হাসির ঝিলিক।
– কয়টা নিবেন স্যার?
– একটাও না!
– মেয়েটার মুখ মুহূর্তে আষাড়ের আকাশের মতো হয়ে গেল!
– আমি মেয়েটাকে বললাম চল, আগে তোদের খাওয়াবো তার পর ফুল নিবো। সামনে একটা হোটেলে নিয়ে গেলাম। উয়েটার ওদের দেখেই বললো যাও যাও এখানে কেন আসছো। মেয়েটা তার ভাইকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। কি হলো খাবে না?
– এই যে ভাইয়া ওরা খেলে আপনার কোন সমস্যা? আর ওদের টাকা আমি দিব।
– সরি স্যার!
– খাবার মেনুটা দাও!
– খাবার মেনুটা দেখে বিরিয়ারি অর্ডার দিলাম। ছোট্ট মেয়েটা তার ভাইকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। বোনটা একবারো বিয়িরানি মুখে দেয়নি। মনে হচ্ছে ভাইয়ের খাওয়ার মাঝেই সে নিজের খাওয়ার স্বাদ ভোগ করছে ।
-আমি এক প্লেটে আরেক প্যাক বিরিয়ানি নিয়ে মেয়েটার মুখের কাছে ধরতেই দেখলাম মেয়েটার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
– কি হলো কাঁদছিস কেন?
– স্যার আপনাকে ভাইয়া কইয়া ডাকি?
– হুম আমি তো তোর ভাইয়াই হই! আচ্ছা এবার হা কর।
– জানো ভাইয়া জীবনের প্রথম বিরিয়ানি খাইলাম। আগে শুধু নামই শুনেছি। তুমি অনেক ভালো মানুষ।
– এদিকে সাথি রেস্টুরেন্টের একপাশে বসে সব দেখছে। হঠাৎ সাথি পাশে থাকা একটা মেয়ে তার বলে ওঠল তার বান্ধবীকে ‘ দোস্ত দেখ,প্রকৃত মানুষ। এসব ছেলেকে যে মেয়ে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাবে সেই ভাগ্যবতী।
– সাথি মনে মনে বলছে ‘ এই যে আপু চাইয়া থাইকা লাভ নাই! ওটা আমার।
– এদিকে মেয়েটা আর ছোট্ট ভাইটাকে খাইয়ে, বিল দিয়ে বের হতে সময় বললাম’ আপু তোমার নাম কী?
– রিত্ত! আর আমার ছোটভাই নাজমুল।
– আচ্ছা আপু আমার অফিসে যেতে লেট হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা রেখ। আর তোমার বাসা যখন এখানেই আবার দেখা হবে।
– অফিসে আসতে আসতে পাঁচমিনিট লেট হয়ে যায়।
– অফিসে গিয়ে বসতেই কথা ম্যাডাম ডেকে পাঠালো।
– আমি একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ম্যাডামের রুমে যেতেই ম্যাডাম বলল ‘ একি তোমার পায়ে কি হয়েছে?
– তেমন কিছু না সামান্য ব্যথা! আর এই যে ম্যাডাম ফাইল। সব কাজ কমপ্লিট!
– আচ্ছা বলো না কি হয়েছে পায়ে। আর সমস্যা থাকলে ফোন করে বললেই হতো। অফিসে কেন আসলে।
– ম্যাডাম এটা তো সরকারি অফিস বা নিজের অফিস নয়। কথাগুলো আপনিই বলেছিলেন।
– কথা কিছু না বলে মাথা নিচু করে ফেলে!
– আমি নিজের ডেস্কে এসে পড়ি।
– কথা রুমে বসে বসে প্রজেক্টের কাজ করছে এমন সময় দেখে ফোনটা বাজছে। ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠে বলল’ হ্যালো কথা চৌধুরি! আপনার মেয়ে পরীক্ষায় ফাস্ট হয়েছে। আপনি রাইসাকে নিয়ে যাওয়ার সময় মার্কলিস্ট নিয়ে যাবেন। তার বাবার ফোন অফ পাচ্ছি।
– কথা ফোনটা রেখেই গাড়ি নিয়ে রাইসার স্কুলে চলে যায়। কেমন জানি সত্যি সত্যি মা’র ফিলিংস হচ্ছে।
– কথা প্রিন্সিপাল ম্যামের রুমে বসে আছে। কথা চৌধুরি ‘ আপনার মেয়েটা সত্যি হাজারে একটা! ক্লাসে শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছুকেই ফাস্ট! আমাদের স্কুলের এ বছরে শেষ্ট শিষ্টাচার পুরস্কারটা আপনার মেয়ে পেয়েছে। ছোট্ট হয়েও বেস্ট অব লাক।
-ধন্যবাদদ ম্যাম। রাইসা কথার কুলে বসে বসে সব শুনছে।
– রাইসাকে নিয়ে স্কুল থেকে বের হতেই ‘ আন্টি আপনাকে একটা কথা বলি?’
– হ্যাঁ মামনি বলো!
– আপনি কোনদিন আর স্কুলে আসবেন না। আর হ্যাঁ ম্যামকে বলে দিবেন আপনি আমার মম নন। গরীবকে করুণা করেছিলেন। স্কুলে ম্যামকে বললে আপনি লজ্জা পেতেন। তাই বলিনি।
– কথা রাইসাকে অফিসে নিয়ে নামিয়ে দেয়।
– কথা তার রুমে গিয়ে দেখে ‘ সাথী বসে আছে।
– কিরে দোস্ত এখানে বসে আছিস কেন?
– দোস্ত আমাকে একটা উপকার করতে হবে?
– কি উপকার?
– প্রমিজ কর করবি?
-আগে বল কি বলবি?
– দোস্ত আমি রাজকে ভালোবাসি। আর তুই রাজকে বলবি সাথি তোমাকে ভালোবাসে। বল বলবি?জানিস ওকে আমি সত্যিই অনেক
চলবে””””””
বিঃদ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।