বাবার ভালোবাসা পর্ব-৫

0
1165

গল্পঃ #বাবার_ভালবাসা।

পর্বঃ০৫

লেখাঃ #রাইসার_আব্বু।

– দেখ বাবা এই দুধ-কলা দিয়ে পোষা কালসাপটা বলছে নিলয়ের চরিএ খারাপ।ছোট মেয়েটাকে ঘটক বানিয়ে পাঠিয়েছে মা বানাতে।
– আঙ্কেল কথা ম্যাডামের কথা শুনে বলল ‘ রাজ তুমি বেরিয়ে যাও। তোমার ওই শয়তানী মুখটা দেখিয়ো না। এই ছিল তোমার মনে?
– আমি উপরে গিয়ে দেখি রাইসা কাঁদছে।
– এই কাঁদছিস কেন?
– বাবাই বন্ধুকে বলেছিলাম আমার মম হবেন? বন্ধু আমাকে বকা দিয়েছে।
– আমি রাইসার মুখে এমন কথা শুনে রাইসার গালে চড় বসিয়ে দিলাম।
– বাবাই তুমি আমাকে মারলে? সবার মম আছে আমার মম নাই। বাবাই আমাকে একটু বুকে নিবে? আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে বাবাই!
– তোকে না বলছি আমিই তোর মম আমিই তোর বাবাই। অন্যকে কেন মম ডাকতে চাস এর পর যদি কাউকে মন ডাকিস। দেখিস আমি গাড়ির নিচে পড়ে মরে যাবো।
-বাবাই এই আমি তোমার গা ছুয়ে প্রমিজ করছি। তুমি কাউকে মম বলতে না বললে আর কাউকে মম ডাকবো না। বাবাই তুমি মরার কথা বলো না আর কখনো। তুমি না আমার বাবাই! বাবাই তুমি কাঁদছো কেন? রাইসা আমার চোখের পানি মুছে দিচ্ছে। আর হেঁচকি দিয়ে কাঁদছে।
– বাবাই আমাকে একটু বুকে নিবা?তোমার বুকে যেতে খুব ইচ্ছে করছে।
-ফ্লরে হাটঁগেড়ে বসে রাইসাকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলাম।
– বাবাই আমরা কি এখান থেকে চলে যাবো?
– হুম মামনি আমরা এখান থেকে চলে যাবো! তুমি তোমার কাপর-চোপড় বই-খাতা ব্যাগে নাও!

-আচ্ছা বাবাই, আমি কি আন্টির সাথে কথা বলতে পারি?
– আচ্ছা যাও।
– রাইসা ম্যাডাতের রুমে দু’বার নর্ক করতেই দরজা খুলে দেয়।
-আসসালামু আলাইকুম আন্টি!
– বন্ধু তুমি আমাকে আন্টি ডাকছো কেন?
– সরি আন্টি। এখনকার বন্ধুত্ব সমানে সমানে হয়। বাবা বলেছে আমরা তো গরীব। আমাদের বন্ধু হচ্ছে আল্লাহ। আল্লাহ নাকি আমাদের খুব ভালোবাসে তাই ভালবাসার পরীক্ষা নিচ্ছে। আন্টি আমরা চলে যাচ্ছি। আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন । আমার বাবাকে ক্ষমা করে দিয়েন। বাবাই কাঁদলে না আন্টি, আমার খুব কষ্ট হয়! জানেন আন্টি সেদিন বিয়ে বাড়িতে নিজের মমই মেয়ে বলে স্বীকৃতি দেয়নি আর আপনি তো বন্ধু! আচ্ছা আসি। আপনাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। ক্ষমা করে দিয়েন। আর হ্যাঁ নিজের কেয়ার নিবেন।

– রাইসা কথাগুলো বলে যখন রুম থেকে বের হচ্ছে তখন কথা বলে ওঠে’ বন্ধু দাঁড়াও! রাইসা আর পিছন দিকে তাকায়নি। পিছনে তাকানোর কোন অধিকার নেই সেটা ছোট্ট মেয়েটাও বুঝতে পারে।

– বাবাই চলো। রাইসাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নতুন একটা বাসায় উঠি!

– কথার মনটা আজ কেমন যেন করছে। মনে হচ্ছে আপন কেউ চলে গিয়েছে। বারবার রাইসার মুখটা ভেসে ওঠছে। কেন এমন লাগছে কথা ভাবতে পারছে না এমন সময় দরজার কে জানি বারবার নর্ক করছে।
– কথা গিয়ে দরজা খুলে দিতেই, দেখে দরজার বাহিরে সাথি দাঁড়িয়ে আছে!
– কিরে দোস্ত! কিছু না বলে?
– জবাবদিহি করবি না ভেতরে আসতে বলবি?
– আরে না ভেতরে আস। তো কেমন আছিস বল?
– হ্যাঁ ভালো। তুই?
– ভালো। আঙ্কেল কোথায় গিয়েছে?
-অফিসে মিটিং আছে নাকি সেখানে গেল। তুই কি কাউকে খুঁজছিস দোস্ত?
– আরে না। কিন্তু তোদের বাসায় যে, একটা ছোট্ট মেয়ে থাকতো। দেখতে খুব মায়াবী। মেয়েটা কোথায়?
– সাথির মুখে রাইসার কথা শুনে কথার মনটা হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়!
– কি হলো বলছিস না কেন?
– তারা সকালে চলে গিয়েছে?
– চলে গিয়েছে মানে?
– হুম বাসা থেকে চলে গিয়েছে।
– কোথায় গিয়েছে বলতে পারবি কথা?
– বলে যায়নি।
– ওহ্ আচ্ছা দোস্ত আমার তাড়া আছে আজ আমি আসি।
– কি হলো, হঠাৎ করে আসলি হঠাৎ করে চলে যাচ্ছিস চা টা খেয়ে যা।
– অন্যদিন আজকে নয়। সাথি হনহনিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়ল।

– সাথির ব্যবহার কেমন যেন লাগছে। এমন সময় কথা দেখল তার ফোনে পরিচিত সেই নাম্বার!
– ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মিষ্টি কন্ঠে বলে ওঠল! ‘ আমার জানপাখিটা কেমন আছে? আমি জানপাখিটাকে বড্ডবেশি মিস করছি।
– হুমম তোমাকে ছাড়া ভালো থাকি কি করে? আচ্ছা নিলয় ! তুমি কি বিয়ের পরও এভাবে প্রতিঘন্টায় ফোন করে আমার কেয়ার নিবে?
-হুমম কেয়ার যে আমাকে নিতেই হবে। তুমি যে আমার ভালোবাসা । জানো তোমাকে নিয়ে কতস্বপ্নের বীজ বুনিয়েছি। আর সে স্বপ্ন পূরণ হবে আর মাএ কয়েকটা দিন। লাভ ইউ জানপাখি।
– লাভ ইউ টু।
– আচ্ছা এখন রাখি।
– ওকে!
– কথা ফোন রেখে মনে মনে ভাবে সে ঠিকই করেছে। কারণ ছোটলোকটা নিলয় সম্পর্কে এতো বাজে কথা বলার সাহস কিভাবে হয়? যাই হোক এখন একটু ঘুমিয়ে নেয়।

– আচ্ছা বাবাই, আল্লাহ কী আমাদের সত্যি পরীক্ষা করছেন?
– হ্যাঁ মামনি! আল্লাহকে বলো তো বাবাই যেন তোমাকে কষ্ট না দেয়। জানো বাবাই তোমাকে কেউ মারলে আমি ব্যথা পায়।
– আরে পাগলী মেয়ে আমরা গরীব তো এজন্য বড়লোকেরা আমাদের মানুষ ভাবে না। তাই মারে। আচ্ছা খাবি চল!
– বাবা আমি ডিমভাজি দিয়ে খাবো।
– আচ্ছা মা উয়েট কর ভেজে নিয়ে আসছি!
– আমি ডিমভাজি করার সময় অসাবধানতাবশত গরম তেল হাতে এসে পড়ে। সাথে সাথে শরীর চামড়া জলসে যায়!
– ডিমভাজি করে নিয়ে যখন রাইসার খাইয়ে দিতে যায়। তখন রাইসা হাতে ফুসকা দেখে ফেলে।
– বাবাই তোমার হাতে কি হয়েছে?
– কিছু না মামনি।
– বাবাই তুমি যদি না বলো তাহলে খাবো না।
– আচ্ছা বলছি! ডিমভাজতে গিয়ে তেলের ছিঁটা লাগছে!
– দেখি খাবারের প্লেটটা।
– কেন মামনি?
– বলছি দাও!
– আচ্ছা নাও।
– রাইসা প্লেটটা হাতে নিয়ে আমার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে! রাইসার খাবার তুলে দেওয়া দেখে মার কথা মনে পড়ে যায়। খাওয়া শেষ হলে পরের দিন রাইসাকে নিয়ে যখন স্কুলে যাচ্ছি এমন সময় একটা ব্ল্যাক কালালের গাড়ি সামনে এসে দাঁড়ালো।
– গাড়ি দাঁড় করানো দেখে অনেকটা বিস্মিত হলাম। হঠাৎ গাড়ি থেকে একটা মেয়ে বের হয়ে আমাদের দিকে আসছে! মুখটা অনেকটা পরিচিত লাগছে।
– মেয়েটা সামনে এসে বলল’ আপনারা স্কুলে যাচ্ছেন? চলুন আপনাদের লিফট দেয়। ‘
– আমরা হেঁটেই যেতে পারব। আর আপনি কে?
( রাইসা)
– জানি হেঁটে যেতে পারবে। তবুও চলো। আর আমি তোমার কথা আন্টির ফ্রেন্ড! হাই মিঃ রাজ!
– আন্টি হাই না বলে সালাম দেন।
– আচ্ছা আসসালামু আলাইকুম!
– ওলাইকুম সালাম। আপু আমরা আসি, স্কুলে লেট হয়ে যাচ্ছে।
– এই যে মিঃ রাজ আপনি আমাকে আপু কেন ডাকেন। সাথি বলেন সাথি! নইলে পা ভেঙে দিবো। এখন গাড়িতে উঠেন!
– এক প্রকার জোর করেই গাড়িতে উঠিয়ে নিল। স্কুলের সামনে এসে বলল’ আমরা কি বন্ধু হতে পারি? ‘
– অামি কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। সাথি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আজ সাথির নিজের কাছে নিজেকে কুৎসিত লাগছে। আসলে সে কি দেখতে খারাপ! যার জন্য বন্ধুত্ব করা যায় না।

– দুপুরে যখন রাইসাকে নিয়ে রিক্সা করে, বাসায় ফিরছিলাম। এমন সময় রাইসা বলল’ বাবাই চলো না আজকে আইসক্রিম খাবো।
– আচ্ছা সামনের একটা রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে কেমন?
– তবে শর্ত আছে?
– কি শর্ত মামনি?
– টাকা আমি দিবো! কারণ আমি যে তোমার মা।
– তাই বুঝি আমার মা টা টাকা কোথায় পেল?
-টিফিনের টাকা জমিয়েছি। তোমাকে নিয়ে খাবো বলো।
– রাইসার কথাতে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। চোখের পানি মুখে রাইসার কপালে চুমু এঁকে দিলাম।
– সামনে রেস্টুরেন্টে নেমে গিয়ে আইসক্রিম আর রাইসার কুল্ড কফি অর্ডার করলাম। রাইসাকে খাইয়ে দিচ্ছে আইসক্রিম! হঠাৎ বুঝতে পারলাম রাইসা কাঁদছে। কারণ রাইসার চোখ থেকে পানি পরছে।
– আমার মা টা কাঁদে কেন?
– বাবাই ওই দিকে দেখ।
– আমি তাকিয়ে দেখি মৌ সাইফ সাহেবকে খাইয়ে দিচ্ছে! দুজন দুজনের হাতে হাত রেখে সুখের মুহূর্ত পার করছে। হঠাৎ হারিয়ে গেলাম অতীতে। এমন একটা দিন ছিল না মৌকে তুলে খাইয়ে না দিতাম। হঠাৎ মৌ এর চোখ পড়ল আমাদের দিকে!
– রাইসা মৌ এর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। আর নিরবে চোখের পানি ফেলছে।
– মৌ খাবার শেষ না করেই। সাইফ কে কি যেন বলে দু’জনেই উঠে পড়ল!
– আমাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার আগে সাইফ চৌধুরি বলল’ ছোটলোকদের জ্বালায় রেস্টুরেন্টে এসেও খাওয়া যাবে না মৌ! চলো এখানে আর নয়। হুম সত্যি বলেছে! ( মৌ)
– বাবাই আমরা কি সত্যিই ছোটলোক?
– রাইসার প্রশ্নের কোন উওর আমার কাছে নেই। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে সোজা বাসায় এসে পড়লাম।
– রাতে এশার নামায পড়ে। দু’খানা হাত তুলে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে বললাম’ হে প্রভু আমি যে আর পারছি না। মেয়ের দিকে তাকাতে পারি না। এদিকে এ অবস্থায় কেউ চাকরিও দিচ্ছে না। কথা ম্যাডামরা করুণা করে যে চাকরিটা দিয়েছে সেটাও চলে গেল। ও আল্লাহ তুমি একটা পথ তৈরি করে দাও না! পৃথিবীর সবাই ফিরিয়ে দিলেও তুমি তো তোমার বান্দাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে পারো না। মোনাজাত শেষ করে যখন রুমে আসছি তখন দেখি ফোনটা বাজছে!
– ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে কথা ম্যাডামের বাবা ‘ করিম চৌধুরি বলল, রাজ আমি চাই তুমি অফিসে কাল থেকে জয়েন করো। আর হ্যাঁ কথার কোন কথায় কষ্ট পেয়ো না। আর তোমাকে চাকরিটা শুধু ফিরিয়ে দিচ্ছি আমার মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্য। আচ্ছা কাল থেকে অফিসে এসো। আমি কথাকে বলে দিচ্ছি।
– পরের দিন রাইসাকে স্কুলে দিয়ে যখন অফিসে যায়। তখন অফিসের পিয়ন বলল ‘ ম্যাডাম আপনাকে তার রুমে যেতে বলেছে। ‘
– আচ্ছা তুমি যাও আমি যাচ্ছি।
– ম্যাডামের রুমে গিয়ে নর্ক করতেই ভেতরে যেতে বলল!
– হ্যালো মিঃ রাজ ঠিকঠাক অফিসের কাজ করবেন। আর হ্যাঁ বাবার জন্য আপনাকে চাকরিতে পুনবহাল করা হলো। সো এমন কিছু করবেন না যেন আপনাকে অপমান করে বের করে দিতে হয়। আর হ্যাঁ আপনার মেয়ের মা বানানোর মতো কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে ভুলে যাবেন। আর আমার নিলয়ের বিষয়ে কখনো কোনদিন যদি কারো সামনে বা আমার সামনে খারাপ কিছু বলেন তাহলে জুতোপিটা করবো ।
– ম্যাডাম, আর হবে না। আর রাইসার ছেলেমানুষির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। ওমন ভুল আর জীবনেই হবেনা।
– আচ্ছা এবার আসেন।
– আমি আমার রুমে গিয়ে, শুধু আকাশের দিকে মাথা তুলে বললাম ‘ হে আল্লাহ আর কতো কথা শুনাবে?’
– দিনগুলি হাসি-কান্না মিলিয়ে ভালোই চলছে।

– প্রতিদিনের মতো, রাইসাকে স্কুলে দিয়ে রিক্সা করে অফিসে আসার সময় রিক্সা ভাঙার পড়ে উল্টে যায়। অনেকটা ব্যাথা পায় বিশেষ করে ভাঙা পায়ে আবারো ব্যথা লাগে। পা অনেকটুকু খলসে যায়। পা ব্যান্ডেল করে অফিসে যেতে যেতে ১১ টা বেজে যায়। অফিসে গিয়ে বসতেই ম্যাডাম ডেকে পাঠায়। ম্যাডামের অনুমতি নিয়ে যখন তার রুমে যায়। ক্ষানিকটা চমকে যায়। কারণ আমার দেখায় আজ ম্যাডাম প্রথম শাড়ি পড়েছে। কালো পাড়ের নীল রঙের তাঁতের শাড়িতে ম্যাডামকে অপরূপা লাগছে।
– কি হলো, রাজ তাকিয়ে আছেন কেন? আর কয়টা বাজে দেখছেন?
-জ্বি ম্যাডাম। ১১ টা!
– আপনার অফিস কয়টায়?
– ৯.৪৫ এ।
– ঠাস! লজ্জা করে না লেট করে অফিসে আসতে। এখানে আপনাকে বেতন দিতে হয়। এরপর কোনদিন যদি লেট করে আসেন ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো। এখন আসতে পারেন।

– ম্যাডামের রুম থেকে বের হয়ে আমার ক্যাবিনে এসে বসলাম!

– কথা আজ শাড়ি পড়েছে। শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে, টিপ সাথে চোখের ব্রু জোড়ায় ঘন করে কাজল দিয়েছে। কথা মনে মনে স্থির করে নেয় আজ নিলয়কে সারপ্রাইজ দিবে। সামনে শুক্রবারে বিয়ে। বিয়ের আগে যেন বউসাজে কথাকে দেখে চমকে যায়। যেই ভাবা সেই কাজ। কথা গাড়ি করে নিলয়ের অফিসে চলে যায়!
– অফিসে গিয়ে সরাসরি নিলয়ের রুমে যখন ঢুকবে তখন দেখতে পায় দরজাটা হালকা খুলা ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে।
– নিলয় তুমি তো জানে আমি প্রেগনেন্ট আমার গর্ভে তোমার সন্তান বড় হচ্ছে। তুমি আমাকে রেখে অন্য আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছো?
– আরে আনিশা। সুইট হার্ট আমার! আমি তো তোমাকে বিয়ে করেছি। তুমি চাও না আমরা অনেক টাকার মালিক হয়। সেজন্য করিম চৌধুরির মেয়েকে প্রেমের জালে ফাসিয়ে বিয়ে করে সব সম্পত্তি আমাদের নামে করে নিবো। তারপর ডির্ভোস দিয়ে দিবো। আর তোমাকে নিয়ে সংসার করবো বেবী। আর এজন্য কথাকে ছুঁইয়ে পর্যন্ত দেখিনি। যেন বুঝতে পারে ওকে অনেক লাভ করে। সত্যি বাবু ইউ আর গ্রেট এ কথা বলে আনিশা নিলয়কে জড়িয়ে ধরে।
– মুহূর্তের মাঝে কথার চোখ দু’টি ঝাপসা হয়ে আসে।

চলবে””””

বিঃদ্রঃভুলক্রুটি ক্ষমাুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here