বাবার ভালোবাসা পর্ব-৭

0
1097

#বাবার_ভালোবাসা।

পর্বঃ০৭

লেখাঃরাইসার_আব্বু।

– আপনি কোনদিন আর স্কুলে আসবেন না। আর হ্যাঁ ম্যামকে বলে দিবেন আপনি আমার মম নন। গরীবকে করুণা করেছিলেন। স্কুলে ম্যামকে বললে আপনি লজ্জা পেতেন। তাই বলিনি।
– কথা রাইসাকে অফিসে নিয়ে নামিয়ে দেয়।
– কথা তার রুমে গিয়ে দেখে ‘ সাথী বসে আছে।
– কিরে দোস্ত এখানে বসে আছিস কেন?
– দোস্ত আমাকে একটা উপকার করতে হবে?
– কি উপকার?
– প্রমিজ কর করবি?
-আগে বল কি বলবি?
– দোস্ত আমি রাজকে ভালোবাসি। আর তুই রাজকে বলবি সাথি তোমাকে ভালোবাসে। বল বলবি?
-রাজ তো বিবাহিত। একটা মেয়েও আছে। কীভাবে সম্ভব বল। শুন না দুস্ত তুই দেখতে অনেক ভালো। রাজের চেয়ে অনেক ভালো ছেলে পাবি।
– নারে দোস্ত রাজকেই আমার চাই। আর যতটুকু জেনেছি রাজের স্ত্রী নেই। মারা গিয়েছে।
– আচ্ছা দোস্ত আমি বলব। এবার খুশি?
– লাভিউ দোস্ত আমি জানতাম তুই আমাকে হেল্প করবি। জানিস কথা রাজ আমার আজ চোখ খুলে দিয়েছে। তারপর রেস্টুরেন্টের সব ঘটনা খুলে বলে সাথি।
– ওহ্ এটাই বুঝি প্রেমে পড়ার কারণ?
– হুম বলতে গেলে তাই। আমি কয়েকদিন আর ঘুমাতে পারিনি। দোস্ত বলবি কিন্তু মনে করে।
– আচ্ছা বলবো নি।
– আসি তাহলে!
– আচ্ছা!
– এদিকে রাইসাকে অফিসে দেখে চমকে ওঠলাম!
– মামনি তোমার স্কুল তো আরো দেরীতে ছুটি হওয়ার কথা! এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে আসলে?
– বাবাই আজ আমাদের রেসাল্ট দিয়েছে। আমি পরীক্ষায় ফাস্ট হয়েছি বাবাই। আর কথা আন্টি আমাকে, নিয়ে এসেছে।
– বাবাই তুমি বুঝি মন খারাপ করেছে আন্টির সাথে আশার কারণে। বাবাই আমি আসতে চাইনি। বাবাই আমি ফাস্ট হয়েছি আমায় বুকে নিবা না?
– হুম মা আসই। আজ আমার কষ্ট সার্থক।
– রাইসাকে বুকে নিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিলাম। হঠাৎ দরজার ওপাশে কারো উপস্থিতি টের পেলাম। চেয়েও দেখি কথা ম্যাডাম। হাতে একটি মেডেল।
– আমি আসতে পারি?
– জ্বি ম্যাডাম। আপনার অফিস অনুমতি নেওয়ার কি আছে?
– তাহলেও সৌজন্যতা বোধ বলে একটা বিষয় আছে তো।
-আচ্ছা বাদ দেন। কিছু বলবেন আমায়?
– রাজ আমাদের রাইসা পরীক্ষায় ফাস্ট হয়েছে।
– ম্যাডাম কোথাও যেন একটা ভুল বললেন না। রাইসা শুধু আমার। গরীব বাবার গরীব মেয়ে।

– সরি!
– ইটস ওকে।
– এই যে রাইসার মেডেল।
– ধন্যবাদ।

-রাজ বিকেলে আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে?
– সরি ম্যাডাম।
– আচ্ছা রাজ আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?
– আশ্চর্য কিসের ক্ষমা?
– ওই যে সেদিন চড় মেরেছিলাম।
– আরে ম্যাডাম ওটা আপনি এখনো মনে রেখেছেন। ভুলে যান, আমরা গরীব তো ওসব খেয়ে অভ্যাস আছে। আর আপনি সেদিন ঠিক কাজটাই করেছিলেন। চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন আমি কে?
– রাজ প্লিজ আর বলো না। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আর তোমার কথাই ঠিক। নিলয় সত্যি প্লে বয়।
– আমি কিছু না বলে মুচকি হাসলাম।
– রাজ ক্ষমা করেছো তো আমায়?
– হুম! এবার আমি আসি।
– অফিস শেষ করে বাসায় এসে রাইসার পছন্দের খাবার রান্না করে যখন বাবা-মেয়ে খেতে বসেছি। এমন সময় রাইসা বলল’ বাবাই, আজ মম থাকলে অনেক খুশি হতো তাই না?’ আমি যে ফাস্ট হয়েছি! আচ্ছা বাবাই আমাকে কি মম কুঁড়িয়ে পেয়েছিল?
এই জন্য আমাকে তোমার কাছে রেখে চলে গিয়েছে। জানো বাবাই, আজকে রাফির মা যখন রাফিকে টিফিন খাইয়ে দিচ্ছিল তখন আমার মমের কথা খুব মনে পড়ছে। রাফিকে ওর মম কত্তো ভালোবাসে। ওকে আদর করে খাইয়ে দিয়ে কুলে তুলে নিয়ে কপালে পাপ্পি দেয়। জানো বাবাই সবাই বলে আমার মম নেই।
– রাইসার কথা শুনে দু’চোখ বেয়ে পানি ঝরছে। বুকের ভেতরের কষ্টটা নতুন করে ভেসে ওঠছে। মৌ এর কথা খুব মনে পড়ছে। রাইসা যখন মৌ এর গর্ভে। তখন মৌ বলেছিল’ জানো রাজ আমার মেয়ে হলে, কখনো তার চোখে জল আসতে দিবো না। আমার মেয়ের খাবার চামচ হবে আমার হাত। আজ সে মৌ রাইসাকে রেখে চলে গেছে। ছিন্ন করেছে আমার পবিএ ভালোবাসাকে।
– বাবাই তুমি কাঁদছো। কেঁদো না বাবাই। আমি এই কান ধরছি। সরি বাবাই আমার ভুল হয়ে গেছে। মনে ছিল না মমের কথা বলে ফেলছি।

– বাবা হা করো তোমায় খাইয়ে দেয়! আর কেঁদো না তো। হা করো না!
– আচ্ছা! মায়ের মতো পরম যত্নে রাইসা খাইয়ে দিচ্ছে। মুহূর্তের মাঝে শত কষ্ট ভুলে গেলাম।

– রাতে এশার নামায পড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম।

– ফজরের আযান শুনে ঘুম ভাঙল। ঘুম থেকে উঠে নামায পড়ে কিচেনে চলে গেলাম। ব্রেকফাস্ট রেডি করে রাইসাকে স্কুলে চলে গেলাম। লাঞ্চ টাইমে পিয়ন বলল ম্যাডাম তার রুমে ডেকেছে। আমি ফাইলের কাজ শেষ করে ম্যাডামের রুমে যেতেই ম্যাডাম বসতে বললো।
– রাজ কেমন আছো?
– আলহামদুলিল্লাহ ম্যাডাম ভালো আপনি?
– ভালো। লাঞ্চের টাইম হয়ে গিয়েছে। লাঞ্চ করবে না?
– জ্বি ম্যাডাম। এই তো ক্যান্টিনে যাচ্ছিলাম। পিয়ন বললো আপনি ডেকেছেন।
– চলো না একসাথে লাঞ্চ করি?
– সরি ম্যাডাম। গরীবের পেটে ঘি হজম হয় না।
– সত্যি লাঞ্চ করবে না আমার সাথে?
– সরি ম্যাডাম। আমি আসি।
-আমি ম্যাডামের রুম থেকে বের হওয়ার আগেই খাবারগগুলো ফ্লুরে ছুঁড়ে মারল।
– আমি আর পিছু ফিরে তাকালাম না। জানি এটা ধনীদের আবেগ। আমি ক্যান্টিনে বসে যখনি হাত ধুইয়ে খেতে বসবো। এমন সময় কথা ম্যাডাম আমার টেবিলে এসে বসল। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ম্যাডাম ক্যান্টিনে।
– আমি না খেয়েই যখন উঠে পড়ব এমন সময় কথা ম্যাডামের হাতটা আমার হাতের উপর পড়ল।
– রাজ মালিক – শ্রমিক কি একসাথে খেতে পারে না। ইসলাম কি আমাদের এ শিক্ষা দেয়?
– আমি ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে দেখি ম্যাডামের চোখে পানি টলমল করছে।
– আমি কোনরকম খাওয়া শেষ করে। স্কুলে চলে গেলাম। রাইসাকে বাসায় রেখে আসতে চাইলেও, আমার সাথে জেদ করে অফিসে এসে পড়ল। আমি অফিসের জরুরি একটা ফাইলের কাজ করছি। আর রাইসা অফিসের বাকি কলিগদের সাথে গল্প করছে।

– ফাইলটা রেডি হয়ে গেলে আমি কথা ম্যাডামকে দিয়ে আসতে যায়। কথা ম্যাডামের রুমে ঢুকতেই জুড়ে-সরে একটা ধাক্কা খায়। হাতে থাকা ফাইলটা ছিটকে পড়ে যায়। আর আমার উপর কেউ একজন পড়ে। চেয়েই দেখি সাথি।

– মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। আমি উঠতে পারছি না। হঠাৎ সাথি যা করলো তার জন্য মুটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সাথি তার ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁটে লাগিয়ে দেওয়ার আগেই সাথিকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলাম। সাথির ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁট স্পর্শ না করলেও গাল স্পর্শ করে যায়।

– সাথি আমার উপর থেকে ওঠে উড়না ঠিক করছে। আর কথাকে বলছে ছিঃ লজ্জা করে না অসভ্যতামি করতে। দোস্ত দেখ তোর অফিসের কর্মচারী আমাকে কিস করতে চাই! জোর করে আমার এ বলে কান্না করে দেয়।
-কথা আমার দিকে তাকিয়ে দেখে আমার গালে লিপিস্টিক লেগে আছে ।

– আমি কোন রকম উঠে দাঁড়াতেই কথা আমার গালে কয়েকটা চড় বসিয়ে দিয়ে বলল’ ছিঃ লজ্জা করে না। মেয়েদের সাথে অসভ্যতামি করতে? তোরা সত্যি পুরুষজাত মেয়েদের পেলে নিজেকে কন্টোল করতে পারিস না? লিপিস্টিকের উষ্ণ ছোঁয়া পেতে এতোই ইচ্ছা তাহলে পতিতালয়েই যেতে পারিস।
– ম্যাডাম আপনি ভুল করছেন!
– আবার মুখে মুখে তর্ক! এই বলে আবারো চড় বসিয়ে দেয় কথা।
– এমন সময় রাইসা দৌড়ে কথার পা জড়িয়ে ধরে বলে ‘ আন্টি আমার বাবাকে আর মেরো না। আমাকে মারো। তবু বাবাইকে মেরো না। আমার বাবা খুব ভালো। বাবাইকে মেরো না। তবু জানো আমার বাবাইকে মারলে আমি ব্যাথা পায়।
– কথা ম্যাডামের চিল্লাচিল্লিতে অফিসের সবাই জড়ো হয়ে যায়।
– কথা এসব কি বলছিস( সাথি)
– তুই চুপ কর দোস্ত। এতোটা নিলজ্জ বেহায়া। আগে ভাবতাম অনেক ভদ্র। কিন্তু আজ নিজে যা দেখলাম তা দেখে থুথু দিতে ইচ্ছা করছে।
আমি আর কোন চরিএহীনকে দেখতে চাই না। যে অপরাধ করেছিস। এজন্য পুলিশে দেওয়ার ধরকার ছিলো। কিন্তু তোর ছোট্ট মেয়েটার কথা ভেবে পুলিশে দিলাম না।
– একটা মেয়েকে নিয়ে পড়ে গিয়ে লিপিস্টিকে স্বাদ নেওয়া ছিঃ নিজের চোখে না দেখলে কোনদিন বিশ্বাস করতাম না।

– রাজ ভাইয়া আপনাকে ফেরেশতার মতো মনে করতাম। মনে নে ভাইয়ের আসন দিয়েছিলাম। আর সেই আপনি কিনা ম্যাডামের বান্ধবীর সাথে । আপনার গালে লিপিস্টিক না থাকলে তো বিশ্বাসই করতাম না। শেষমেষ আপনিও!

– নীলিমার কথা শুনে চোখের পানি অঝরে পড়তে লাগল। দু’টা গালে পাঁচ আঙুলের ছাপ বসে গেছে। বুক ফেঁটে কান্না আসছে।
– আপনারা সবাই শুনেন। দেখেন আমার বাবা কান্না করছে। ও আন্টি তুমি আমাকে মারতে! আমার বাবাকে কেন মারলে। আমার বাবা কোন দোষ করতে পারে না। আমার আল্লার কাছে বিচার দিলাম ‘ আমার বাবাকে যারা মেরে কাঁদিয়েছে! আল্লাহ তাদের বেশি কাঁদাবে। হুঁ! বাবা চলো।
– আমি দু’চোখে কিছু দেখছি না। দু’চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। আশে-পাশে ছিঃছিঃ শব্দ শুনছি।
– আরিফ সাহেব তো মুখ ফুটে জুড়ে-সরেই বলে ফেলল’ নিজেও তো মেয়ের বাবা। ছিঃ বিবেকে বাঁধলো না।
– আমি মনে মনে বলছি হে আল্লাহ আর কতো কষ্ট দিবে? আমাকে কষ্ট দিয়ে যদি তোমার ভালো লাগে আরো বেশি কষ্ট দাও! রাইসাকে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অফিস থেকে বের হলাম।
সন্ধ্যায় বাসায় এসে বাবা -মেয়ে দু’জন দু’জনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলাম।
– সন্ধ্যায় রাইসাকে খেতে বললেও রাইসা কিছু খেলো না।
– এশার আযান হলে, ওযু করে যখন নামাযে দাঁড়ায়। আমার পিছনে আরো একজনের উপস্থিতি টের পায়। সেটা যে অন্য কেউ না আমার সাত বছর বয়সী মা রাইসা ছাড়া।
– নামাযের মোনাজাতে যখন চোখের পানি ফেলছি। তখন খুব অগোছালো ভাবে রাইসা তার ছোট্ট হাত মোবারক আল্লাহর কাছে তুলে বলছে। ও আমার আল্লাহ। কেমন আছো তুমি? জানো আল্লাহ আমি ভালো না। জানো আমার বাবাইকে পঁচা আন্টি মেরেছে। আমার বাবা না খুব কাঁদছে। আমার বাবাকে আর কষ্ট দিয়ো না। আমাকে কষ্ট দিতে পারবে না? আমাকে কষ্ট দিয়ো। এই দেখ আল্লাহ আমি কাঁদছি। আমার কান্না করলে কেউ আদর করে না বাবা ছাড়া তুমিও কি আদর করবে না আমায়? আমার বাবাইকে আর কষ্ট দিয়ো না। তুমি তো রহিম-রহমান। আমার বাবাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে কাঁদাবা বলে দিলাম। আমিন।
– রাইসা মোনাজাত শেষ করে চলে গেল।
– আমি নামায শেষ করে, রুমে যেতেই ফোনটা বেজে ওঠল!
– ফোনটা ধরে সালাম দিতেই ওপাশ থেকে অপরিচিত কন্ঠে কেউ একজন বলল’ আপনি কি মিঃ রাজ?’
-জ্বি!
– আপনি যে ম্যাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিত ইন্টারভিউ দিয়ে গিয়েছিলেন। আপনার চাকরিটা হয়ে গেছে। পরশু থেকে জয়েন করবেন। -ধন্যবাদ!
– আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে ঘুমিয়ে গেলাম।
-ঘুম ভাঙল করিম আঙ্কেলের ফোন পেয়ে। আঙ্কেল অফিসে যেতে বলছে। মনে মনে ভাবলাম আঙ্কেলের কথামতো অফিসে গিয়ে রিজাইন লেটার টা জমা দিয়ে আসবো।
– সকালবেলা অফিসে গিয়ে কথা ম্যাডামের রুমে ঢুকার সময় , সাথি বের হয়ে গেল। দেখলাম সাথির চোখে পানি। আমি দরজার দাঁড়িয়ে বললাম ‘ম্যাডাম আসবো?’
– কথা ম্যাডাম ছলছল দৃষ্টিতে মাথা নাঁড়িয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিল।

-আমি রুমে ঢুকতেই ম্যাডাম বসতে বলল।
– রাজ তোমার সাথে কিছু কথা ছিল। আমি সাহস পায়নি তোমাকে আসতে বলার তাই বাবাকে দিয়ে বলিয়েছি।
– আপনার বলার আগে আমার কিছু কথা বলার আছে। ম্যাডাম প্রথমত আপনাকে ধন্যবাদ বিপদের সময় আপনার বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য। তার পর অফিসে চাকরি দেওয়ার জন্য। তবে আমি আপনার সম্মানন রাখতে পারিনি। আর কোন চরিএহীনের পক্ষে সম্মান রাখা সম্ভবও না।
– রাজ আমাকে বলতে দাও।
– আপনি যা বলবেন তা আমি জানি। আপনি চাননা কোন চরিএহীন আপনার অফিসে কাজ করুক। এতোদিন দয়া দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। এই নেন আমার রিজাইনলেটার। আসি।
– আমি চেয়ার থেকে উঠে যখনি রুম থেকে বের হবো তখন পা দু’টো সড়াতে পারছি না। নিচের দিকে চেয়ে দেখি কথা পা দু’টি জড়িয়ে ধরে আছে।

চলবে”””””””’

বিঃদ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here