পুষ্পের_হাতে_পদ্ম (পর্ব- ০২)

0
2360

পুষ্পের_হাতে_পদ্ম (পর্ব- ০২)
– সুমাইয়া বিনতে আ. আজিজ

পরের দিন ভাবি পুষ্পকে নিজের মতো করে ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দিলেন। বুঝালেন পুষ্পর দাদিও। কিন্তু সেসবের দিকে মনোযোগ দেয়ার সময় কোথায় তার? সে তো এখনো আকিবের ধান্দাতেই রয়েছে। আকিবের সাথে যোগাযোগ করার ফন্দি আঁটছে মনে মনে। কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠছে না কোনোভাবে। সারাক্ষণ সাথে কেউ না কেউ থাকবেই। বিশেষ করে তাকবির। ছেলেটা ওকে চোখে হারায়। পুরুষ মানুষ হয়েও এত ঘরের কোণে বসে বসে শুধু বউয়ের চেহারা দেখার এত ধৈর্য্য কই পায় সেটা পুষ্পর বুঝে আসে না। কখনো বাড়ির বাইরে বেরও হয় না। কিংবা বাড়ি থেকে বাইরে বের হলেও ওকে সাথে নিয়েই বের হয়। কী অদ্ভুত নির্লজ্জ এই লোকটা! লাজ-শরমের বালাই নেই বললেই চলে।

এরপর আরো দুইদিন চলে গেল। দাদিও চলে গিয়েছেন গতকাল। ভেতরটা ক্রমশই ভারী হয়ে আসছিল পুষ্পর। বিষন্নতায় ভেতরটা ছেয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এই বিষন্নতা দাদি চলে যাওয়ার জন্য নাকি আকিবের জন্য সেটা তৎক্ষনাৎ টের পেল না সে।

টের পেল রাতে। যখন তাকবির ওর সাথে কোনোরকম দুষ্টুমি, ফাযলামী না করেই চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল তখন। তাকবির গত দুইদিন ধরেই এরকম করছে। সেদিনের পর থেকে তাকবির ওর সাথে ভালো করে কথা পর্যন্ত বলেনি। এমনি দূর থেকে তাকিয়ে থাকে, সবার সামনে স্বাভাবিক ব্যবহার করে। অথচ ঘরে আসলে সম্পূর্ণ অন্য এক মানুষ হয়ে যায়। যেন সে এত এত দূরের কেউ!

আচ্ছা! তাকবির তো কাছের কেউ কখনো ছিল না। সে দূরের মানুষ, দূরে দূরেই থাকে। এতে তো বরং পুষ্পর খুশি হওয়ার কথা। সে তো এটাই চেয়েছিল মনে মনে। কিন্তু তা না হয়ে এটার জন্য এত অভিমান ভর করে কেন ওর কিশোরী মনে? কেন ওকে নানানভাবে জ্বালাতন না করার জন্য ওর বুক ফেটে কান্না পায়? কেউ বার বার মনে হয় যে, ওই মানুষটা কাছে আসুক? একটু জ্বালাতন করুক!

পুষ্প পাত্তা দিবে না। একটুও পাত্তা দিবে না তাকবিরকে। তবুও তাকে বার বার পুষ্পর পিছু পিছুই ঘুরঘুর করতে হবে, ওকে খোঁচাবে, সারাক্ষণ জ্বালাবে। কেন সে ওর পেছনে ঘুরঘুর করে না সারাক্ষণ? ও পাত্তা দেয় না বলে তাকে পিছপা হতে হবে? কেন? পুষ্প ওর বউ লাগে না? বউ পাত্তা না দিলেও তো বউয়ের পেছনে ঘুরঘুর করতে হয়। এ যে এক অলিখিত অবশ্যকরণীয় বিধান!

ইশ! এসব কী ভাবছে পুষ্প? এত উল্টা পাল্টা পাগলামি মার্কা চিন্তা মাথায় ভর করছে কেন হঠাৎ? কী চাচ্ছে ওর মন? মনকে বারবার প্রশ্ন করার পর মন উত্তর দিলো যে, সে তাকবিরের সঙ্গ চায়। চোখের সামনে তাকবিরের এই অবহেলা সে কিছুতেই মানতে পারছে না। সেদিনের ওই ব্যবহারে সে নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পেয়েছে?

এরপর পুষ্পর কী হল তা সে নিজেও জানে না। সে হুট করেই বিছানায় কপালের উপর হাত রেখে চিত হয়ে শুয়ে থাকা তাকবিরের প্রশস্ত বুকে জীবনের প্রথমবারের মতো নিজের মাথাটা রেখে তাকবিরকে জাপটে ধরে আহ্লাদিত স্বরে বলল, “এমনে রাগ কইরা আছেন ক্যান আমার উপর? আমার যে কষ্ট লাগতাছে বুঝেন না?”

বিয়ের পর তাকবির দুইমাস বাড়িতে ছিল। এই দুইমাসে পুষ্পর ভেতর অনেক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল। তাকবিরের আদর-ভালোবাসায় আকিবের কথা খুব একটা মনেও পড়ত না। অবশ্য সারাক্ষণ তাকবিরের এমন আনাগোনায় আকিবের কথা মনে করার সুযোগ কোথায়?

মনে মনে যে নেতিবাচক প্রতিজ্ঞা করে এই বাড়িতে পা রেখেছিল সে, সেই প্রতিজ্ঞাও শেষ পর্যন্ত পূরণ করার সাধ্য হয়ে উঠেনি। শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর, জা সবাই ওর প্রতি এত বেশি অমায়িক ছিল যে, ওই মানুষগুলোর সাথে একটা সময়ের পর মুখ গোমড়া করে কথা বলতে ওর নিজেরই খারাপ লেগেছে৷ এতগুলো মানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা ওর পক্ষে রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।

বিয়ের এই দুই মাসেও মুন্নি ওকে রান্নাঘরের আশেপাশে ঘেঁষতে দেয়নি। শুধু রান্নাবান্নাই না; অন্য কোনো কাজেও ধরতে দেয়নি। তার এক কথা, “এখন তোমার কাজ করা লাগব না। যে কয়দিন আমার দেবর আছে, সেই কয়দিন ওর সামনে থিকা এক সেকেন্ডের জন্যও সরবা না। কাজ কাম যা আছে আমিই করতে পারমু।”

শাশুড়ির মুখেও একই কথা। উল্লেখ্য যে, মুন্নির বর তাইমুম বিশেষ কোনো চাকরি-বাকরি করতো না। বাজারে মুদির দোকান আছে একটা; সেইটাই দেখাশোনা করতো। সে আবার একটু উড়নচণ্ডী স্বভাবেরও ছিল। সংসারের ভালো-মন্দের দিকে খুব একটা নজর দিত না সে। সংসার খরচের সিংহভাগ টাকা ইতালি থেকেই আসত। যার জন্য তাকবিরের একটা আলাদা কদর ছিল বাড়িতে। আর পরবর্তীতে তাকবিরের সূত্র ধরে পুষ্পও সেই বাড়তি কদরের ভাগীদার হয়েছিল। পুরো সংসারের রাজা-রানি যেন ওরা দুজনেই ছিল।

দেখতে দেখতে তাকবিরের চলে যাওয়ার দিন যত ঘনিয়ে আসছিল, পুষ্পর বুকের অদৃশ্য অভিমানী পাথরটা ততই যেন ভারী হচ্ছিল। এতদিনে সে তাকবিরকে ঠিক কতখানি ভালোবাসতে পেরেছে তা সে জানে না। তবে এতটুকু জানে যে, তাকবিরের সঙ্গ ওর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। পুষ্পর কিশোরী মনের অনেকখানি জায়গা ইতোমধ্যে দখল করে নিয়েছে তাকবির নামক মানুষটা।

চলে যাওয়ার আগের রাতে পিচ্চি ওই পুতুলটা তাকবিরকে জড়িয়ে ধরে সে কী কান্না! পিচ্চিটা পিচ্চিদের মতোই কান্না করছিল। সে কি আর তাকবিরের কোনো বুঝ মানতে চায়!

পুষ্পর এমন কান্নাকাটিতে তাকবিরের খারাপ লাগছিল, আবার ভালোও লাগছিল। অদ্ভুত এক মিশ্র অনূভুতিতে ভেতরটা আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিল তার। যে মেয়েটা একটা সময় তাকে সহ্যই করতে পারত না, সে কি-না আজ এভাবে অবুঝ বাচ্চাদের মতো চিৎকার করে কাঁদছে তার আসন্ন বিরহে! এ যে তার পরম পাওয়া!

পুষ্পর অসহ্য উষ্ণ অশ্রুধারায় সিক্ত হচ্ছিল তাকবিরের বুকের ভেতর ও বাহির; উভয়ই। বুকের জমিন থেকে পুষ্পর ক্রদনরত মুখখানি আলতো করে উঠিয়ে উষ্ণ ওষ্ঠের স্পর্শে শুষে নিচ্ছিল পুষ্পর সমস্ত তরল, বহমান অশ্রু নামক অভিমান। পুষ্পর ঠোঁটের অমৃত স্বাদ গ্রহণ করতে করতে পিচ্চি পুতুল পুতুল বউটাকে কোলে তুলে এনে বিছানায় শুইয়ে দেয় তাকবির। এরপর শেষবারের মতো সে তা পুতুল পুতুল বউটাকে নিয়ে ডুব দেয় অমৃত ভালোবাসার বিশাল মহাসাগরের এক গহীন গহ্বরে।

তাকবির চলে গিয়েছে সাতদিন হলো আজ। এরমধ্যে নাওয়া-খাওয়া সব ভুলে বসেছে পুষ্প। এক বেলা জোর করে কেউ খাওয়ায় তো দুই বেলাই না খেয়ে থাকে। দুপুরের গোসল করতে করতে বিকেল হয়ে যায়। সারাক্ষণ শুধু মন ভার করে বসে থাকে। হুটহাট কান্না করে উঠে।

তাকবিরের মতো করে কেউ ওকে কখনো ভালোবাসেনি, আদর করেনি। তাকবিরকে প্রতিটা মুহূর্তে মনে পড়ে ওর। যেদিকেই তাকায় শুধু তাকবিরকেই দেখতে পায়। ঘরের ভেতরে দমটা আরো বেশি বন্ধ হয়ে আসে। এই ঘরটাতে তো ওই মানুষটার স্মৃতি সবচেয়ে বেশি। তার সমস্ত দুষ্টুমি, আদর-আহ্লাদ, ভালোবাসা, মান, অভিমান; সব, সব এই ঘরের আনাচে-কানাচে লেপ্টে আছে। কীভাবে এই ঘরে ওই মানুষটাকে ছাড়া ওর মন টিকবে? সে-বিহীন একেকটা রাতকে ওর সহস্র বছরের সমান মনে হয়। এত কষ্ট কষ্ট লাগে কেন? অথচ এই মানুষটাকেই প্রথম দিকে কত অবহেলা, কত অবজ্ঞা করেছে ও!

একটু পর পর তাকবিরকে ফোন দিয়ে শুধু কান্নাকাটি করে পুষ্প। ওর ভালো লাগে না, কিচ্ছু ভালো লাগে না।

পুষ্পর এমন অবস্থা দেখে তাকবির ওকে বলল বাবার বাড়ি গিয়ে কয়েকদিন থেকে আসতে। সেখানে গেলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। বাড়ির অন্য সবাইও তাকবিরের কথা সমর্থন করে পুষ্পকে নিয়ে ওর বাবার বাড়ি রেখে আসলো।

বাবার বাড়ি যাওয়ার পরের দিনই তাকবিরকে নিয়ে পুষ্পর সদ্য গড়ে তোলা মাখামাখা ভালোবাসাময় পৃথিবীটাকে তাসের ঘরের মতো তছনছ করে দিতে আমাদের আকিব ভাই ফোন করল পুষ্পর নতুন নাম্বারে।

দুইবছরের ছোট্ট ভাইঝির সাথে ফ্লোরে বসে খেলছিল পুষ্প। ফোনটা হাতের কাছেই ছিল। রিংটোন শুনে ফোনের স্কিনের দিকে তাকাতেই আকিবের ফোন নাম্বার স্ক্রিনের উপর ভাসতে দেখে ওর বুকটা ধক করে উঠল।

আকিব ফোন দিয়েছে ওকে! আজকাল তো পুষ্পর ওর কথা মনেই পড়ে না। এখন তো তাকবিরকে নিয়েই সারাক্ষণ বিভোর থাকে সে। হঠাৎ করেও কখনো আকিবের কথা মনে পড়ে না। কিংবা মনে পড়লেও কষ্ট লাগে না একটুও। বিয়ের পর প্রথম কয়েকদিন আকিবের সাথে কথা বলার জন্য সবসময় মন আকুপাকু করলেও সময়ের ব্যবধানে সেটাও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তাকবিরের সংস্পর্শে আসার পরে আর কখনো আকিবের সাথে কথা বলতেও তো ইচ্ছে করেনি।

কিন্তু এখন ওর ফোনকল দেখে ভেতরে কেমন যেন একটা তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিছু কান্না গলায় দলা পাকিয়ে আসছে। এতদিন পর আকিব ওকে ফোন করেছে? কেন ফোন করেছে সে? আর এই ফোন নাম্বারই-বা সে পেল কই?

পুষ্প কি ফোন রিসিভ করবে? কিভাবে রিসিভ করবে? কিভাবে কথা বলবে সে আকিবের সাথে? কোন মুখে কথা বলবে? সে যে আকিবকে ঠকিয়েছে। খুব বাজে ভাবে ঠকিয়েছে, খুব! এরপরেও কি আকিবের সাথে কথা বলার কোনো মুখ আছে তার?

এরকম সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে ফোনটা একাই কেটে গেল। সাথে সাথে আবারো বেজে উঠল। এবার আর দেরি করল না পুষ্প। কাঁপা কাঁপা হাতে রিসিভ করে ফোনটা কানের কাছে ধরল সে।

তিন মাসেরও অধিক সময় পর আকিবের কণ্ঠস্বরটা শুনতে পাচ্ছে পুষ্প। আকিব ‘হ্যালো, হ্যালো’ করে যাচ্ছে। কিন্তু পুষ্প কোনো কথা বলছে না। এই মুহূর্তে সে তার বুকের ভেতরে হানা দেয়া উথাল-পাথাল ঝড়ের কবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত।

“কী হইলো? কথা কও না ক্যান? ট্যাকাওয়ালারে বিয়া কইরা ভালোই নিজের দাম বাড়াইছ দেখি! কথাই কইতাছ না!” পুষ্প চুপ করে থাকায় টিপ্পনী কেটে কথাটুকু বলল আকিব।

টিপ্পনীটা কাজে লাগলো। পুষ্প এবার কাঁপা কাঁপা স্বরে জিজ্ঞেস করল, “ভালো আছ তুমি?”

পুষ্পর কণ্ঠস্বর শুনে আকিব আবেগী হয়ে পড়লো। তার বলতে ইচ্ছে করলো যে, ভালো নেই সে পুষ্পকে ছাড়া। গত তিনমাসে একটা দিনও সে তিনবেলা পেট পুরে খেতে পারেনি। পেটে ক্ষুধা থাকা স্বত্ত্বেও গলা দিয়ে খাবার নামতে চায়নি। গত তিনমাসে একটা রাতও সে শান্তিমতো ঘুমাতে পারেনি। চোখ বন্ধ করলেই পুষ্পর পুতুল পুতুল মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। একেকটা রাত সে পার করেছে নরকের যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে।

এসব বলতে গিয়েও থেমে যায় আকিব। পুষ্পর প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে কণ্ঠস্বরে অভিমান ঝড়িয়ে বলে, “যেমনে ভালো রাইখা গেছ তেমনে ভালোই আছি।”

পুষ্প যতটুকু বুঝার বুঝে গেল। হঠাৎ-ই যেন কান্নায় তার বুকটা ভারী হয়ে এলো। আশেপাশে মানুষ আছে কি-না সেটা চোখ বুলিয়ে দেখে কান্নাভেজা স্বরে সে আকিবকে বলল, “আমারে ক্ষমা কইরা দিয়ো তুমি। আমি ইচ্ছা কইরা বিয়েটা করি নাই। বিয়ের আগে তোমার সাথে অনেকবার যোগাযোগ করতে চাইছি। কিন্তু সুযোগ পাই নাই। বাধ্য হইয়া বিয়েটা করছি আমি। বিশ্বাস করো, তোমারে ঠকানোর কোনো ইচ্ছা ছিল না আমার।”

একদমে পুরো কথাটা শেষ করে পুষ্প থামল। সে এখন কাঁদছে। সে জানে, এই মানুষটা বখাটে হলেও তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। মানুষটা যে তাকে ছাড়া কতটুকু ভালো আছে সেটাও পুষ্প আঁচ করতে পারে। অথচ সে কতটা স্বার্থপর একটা মেয়ে। যেখানে আকিব তার বিরহে কাতর, সেখানে সে স্বামীর আদর-সোহাগে সিক্ত এক সুখী রমণী। কতটা স্বার্থপর সে, কতটা!

প্রথম দিন প্রায় আধাঘণ্টার মতো কথা হয় ওদের৷ পুরো কথোপকথনের একপাশ জুড়ে ছিল পুষ্পর অপরাধবোধ প্রকাশ, আর অন্যপাশ জুড়ে ছিল আকিবের অভিমানী বুলির ফুলঝুরি।

কথার এক পর্যায়ে পুষ্প জিজ্ঞেস করেছিল, “আমার নাম্বার তো এইটা নতুন। কই পাইলা এইটা?”

“কই পাইলাম সেই ইতিহাস এখন কইতে পারমু না।” এতটুকু বলে আকিব মুহূর্তখানেক সময়ের জন্য থেমে পরমুহূর্তে রহস্যময় ভঙ্গিতে বলেছিল, “তয় এত কষ্ট কইরা তোমার নাম্বার জোগাড় কইরা তোমারে ফোন ক্যান দিছি সেইডা তো বুঝছ?”

পুষ্প ঝট করে উত্তর দিলো, “না বুঝার কী আছে? কথা বলার জন্যে নাম্বার জোগাড় করছ।”

আকিব একগাল হেসে বলেছিল, “হ, ঠিক ধরছ। তয় একবেলা কথা কওয়ার জন্য না। তোমার সাথে এক বেলা কথা কইয়া মন ভরে না। প্রতিদিন বেশি না, একবার কইরা এক মিনিটের ফোন দিমু তোমারে। ওই এক মিনিটে তোমার কণ্ঠটা শুইনাই রাইখা দিমু ফোন। প্লিজ তুমি না কইরো না।”

আকিবের এমন আবেগী কথা শুনে পুষ্পও আবেগী হয়ে পড়ে। চোখের কোণে আবারও এক বিন্দু অশ্রু জমা হয়।
ইশ, ঠিক কতখানি ভালোবাসলে একটা মানুষ এমন আবদার করতে পারে?

চলবে ইন-শা-আল্লাহ…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here