দৃষ্টিনন্দনে তুমি পর্ব ১৭

0
383

#দৃষ্টিনন্দনে_তুমি
কলমে:লাবণ‍্য ইয়াসমিন
পর্ব:১৭

শপিং করতে এসেছে হৈমন্তী। সঙ্গে অরিন,আরাফাত আর মাসুদ আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে মাসুদের শশুর বাড়ির লোকজন চলে আসবে। মূলত বিয়ের শাড়ি গহনা এখনো কেনা হয়নি। আজকের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করতে হবে। অরিনের শরীর এখন বেশ ভালো। হৈমন্তী ওর খেয়াল রাখছে। সব সময় বাড়িতে বসে থাকলে অসুস্থতা বাড়বে তাই হৈমন্তী ওকে জোর করে নিয়ে এসেছে। আরাফাত ওদেরকে কফি হাউজের পাশে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মাসুদের হবু বউ রেনুকা ফোন দিয়েছিল ওদেরকে এগিয়ে আনতে হবে। যাওয়ার আগে ওদের দুজনকে কোথাও যেতে মানা করে গেলো। হৈমন্তী কফি অর্ডার দিয়ে অরিনকে নিয়ে বসতেই হঠাৎ দূরের একটা টেবিলের দিকে নজর পড়লো। আবিরের মতো একজন বসে আছে। ভদ্রলোকের সামনে একটা মেয়ে বসে আছে। কিছু একটা নিয়ে মেয়েটা হেসে কুটিকুটি হচ্ছে। হৈমন্তী ঠোঁট কামড়ে অরিনের দিকে তাঁকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে ইশারা করলো। অরিন ফিসফিস করে বলল,

> ওটা ভাইয়া না?

হৈমন্তী উত্তর দিল না সোজা হাটা ধরলো। একেবারে আবিরের পাশের সিটে গিয়ে বসে পড়লো। আবিরের হাসি উবে গেলো হৈমীকে দেখে। তাঁতে হৈমন্তীর ভাবান্তর হলো না। অকপটে নিজের হাতটা আবিরের সামনে তুলে ধরে বলল,

> দিন।

আবির ভ্রু কুচকে ফিসফিস করে বলল,

> কি দিব?

> অটোগ্রাফ দিন। সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন দেখা সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না। ফোন নাম্বার পযর্ন্ত নেই। ওই আপনার বউয়ের প্রতি ভালোবাসা?

আবিরের ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠলো হৈমন্তীর কথা শুনে। অরিন ভয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আবিরের আশে বসা মেয়েটার চোখেমুখে কৌতূহল খেলা করছে। হৈমন্তীর সেদিকে কোনো হেলদোল হলো না। হাত বাড়িয়েই আছে। আবির আলগোছে ওর হাতটা ধরে পকেট থেকে লাল রঙের পেন টা বের করে কিছু একটা লিখে হাত ছেড়ে দিলো। হৈমন্তী হাতের মুঠো বন্ধ করে বলল,

> সরি আপনাদের মিটিংয়ে লেট করিয়ে দেওয়ার জন্য। আসছি তাহলে।

হৈমন্তী কথা শেষ করে উঠতে গেলো কিন্তু আবির বাধা দিয়ে বলল,

> আরে যাচ্ছেন কোথায়? আলাপচারিতার একটা বিষয় আছে না?

হৈমন্তী লাজুক হেসে বলল,

> নিশ্চয়ই। সে আপনার মর্জি।তো করিয়ে দিন আলাপ।

আবির পাশের মেয়েটাকে দেখিয়ে বলল,

> আমার ওয়াইফ হৈমন্তী মির্জা। আর হৈমী এটা আমার ফ্রেন্ড ফারিয়া। অনেকদিন পরে দেখা হলো তাই এখানে বসলাম কফি খেতে। কিন্তু এখন আর কফি খেতে মন চাইছে না। চলো শপিং করি তোমাদের সঙ্গে।

হৈমন্তী মিষ্টি হাসলো কিন্তু পাশের মেয়েটার চোখমুখ কেমন শুকনো লাগলো। হয়তো আবিরের বিয়ের বিষয়ে তেমন একটা জানেনা। মেয়েটা কৌতূহল কাটিয়ে উঠতে না পেরে বলল,

> আবির মেয়েটার বয়স একটু বেশিই কম না? বাচ্চাদের মতো লাগছে। এইটুকু একটা মেয়েকে বিয়ে করতে তুই জেনে শুনে রাজি ছিলি?

আবির মেয়েটার কথা শুনে রুষ্ট হলো। ও মুখটা কালো করে বলল,

> তোর চোখ খারাপ হয়ে গেছে।। এমনিতেই বউ আমার পাত্তা দিচ্ছে না তারপর তুই আবার খোঁচা দিচ্ছিস। তোর সঙ্গে দেখি আমার আর যোগাযোগ রাখা হবে না। আমার বউকে ভাংচি দিয়ে আমাকে বিধবা করার পাইতারা করবি। দূরে থাক আমার বউয়ের থেকে। এই চলো।

মেয়েটা হতভম্ব হয়ে গেলো আবিরের কথা শুনে। আবির সোজাসাপ্টা ওকে অপমান করে দিলো কিন্তু ওতো মিথ্যা বলেনি। হৈমন্তী মেয়েটার দিকে তাঁকিয়ে লাজুক হেসে বলল,

> কিছু মনে করবেন না। উনি আমাকে নিয়ে একটু সিরিয়াস থাকেন। আজ যাচ্ছি পরে দেখা হবে।

হৈমন্তী দাঁড়িয়ে পড়লো। আবির টেবিলের উপর থেকে ফোনটা তুলে নিয়ে অরিনের দিকে এগিয়ে এসে বলল,

> শরীর কেমন এখন? খেয়েছিস কিছু? ভাইয়ের উপরে রাগ করিস না। সব ঠিক করে ফেলব শুধু দুটো দিন অপেক্ষা কর।

অরিন কিছু বুঝতে পারলো না। তবুও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো। আরাফাত এখনো আসেনি দেখে আবির ওদের দুজনকে নিয়ে শপিংমলে গিয়ে ঢুকলো। হৈমন্তী মানা করেছিল কিন্তু ও শুনলো না। দুটো ফোন কিনে দুজনের হাতে ধরিয়ে দিলো। নিজের ফোন থেকে একটা সিম খুঁলে হৈমন্তীর ফোনে লাগিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলল,

> ভাবছি চুটিয়ে বউয়ের সঙ্গে আগে প্রেম করবো। তারপর বাড়িতে তুলবো। বউ আছে প্রেম নেই। ছ‍্যাকা ছ‍্যাকা ফিলিংস নিয়ে কাজ নেই।

হৈমন্তী ভ্রু কুচকে বলল,

> ডাকাতদেরর দিয়ে ডাকাতি হয় প্রেম হয়না।

> কি বলো আমি তো প্রেম সমুদে ভাসে যাচ্ছি। বয়স হচ্ছে আর কতকাল অন্ধ সেজে থাকবো। ভং ধরা এবার শেষ হওয়া দরকার।

> আমার ভাইয়া দেখলে আপনার ভঙচং সব ছাড়িয়ে দিবেন এক মিনিটে।

> তাঁকে বলে দিবা, দিন আমারও আসবে। বউয়ের বিরহে আমি শুকিয়ে যাচ্ছি অভিশাপ লাগবে।

আবিরের কথা শুনে হৈমন্তী মুখ বাঁকিয়ে বলল,

> আজেবাজে কথাবার্তা না বললে আপনার পেটের ভাত হজম হয়না জানি। দুদিন দেখা হয়নি তাই মন খারাপ ছিল এই যা। কিছু হয়নি আমার। যাচ্ছি এবার।

হৈমন্তী কথাট বলে অরিনের হাত ধরে টেনে বেরিয়ে আসতে গেলো কিন্তু পারলো না। আবির গিয়ে দুজনের হাতে দুটো প‍্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলল,

> খুব দ্রুত দেখা হচ্ছে। সাবধানে থাকবে।

আবির কথা শেষ করে ওদের দুজনকে কফি হাউজের সামনে রেখে চলে আসলো। ডাক্তার মানুষ ইচ্ছে করলেই সময় নষ্ট করা যায় না। কিছু সময়ের জন্য বাইরে এসেছিল তবুও লেট হয়ে গেলো। ও বের হতেই আরাফাত আর মাসুদ এসে হাজির হলো। হৈমন্তীর হাতে প‍্যাকেট দেখে প্রশ্ন করতেই ও বলে দিল আবিরের কথা। আরাফাত চুপচাপ শুনলো। কিন্তু কিছু বলল না। দুদিন আগে আবিরকে কাছ থেকে দেখেছে লোকটা খারাপ না। বেশ ভালো। একদম বোনের উপযুক্ত কিন্তু তবুও কথা থেকেই যায়। বিয়ে শুধু একটা ছেলের সঙ্গে মেয়ের হয়না। পুরো পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনকে পাঠালে যেকোনো সময় লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরবে। ওকে চিন্তিত থেকে মাসুদ বারবার জিঞ্জাসা করলো কিন্তু ও উত্তর দিল না। সেদিন বেশ কিছু কেনাকাটা করে ওরা বাড়িতে ফিরলো। হৈমন্তী বেশ খুশী ফোনটা পেয়ে। চয়নিকা আছে ননদকে খোঁচা দিয়ে লজ্জা দেওয়ার তালে। ভাবি গুলো জানি এমনিই হয়। মির্জা বাড়িতে আনন্দের ফোয়ারা বয়ছে। অন‍্যদিকে কাজীদের বাড়িতে ঝামেলার শেষ নেই।
☆☆☆
নির্জন রাস্তায় হেঁটে চলেছে রাসেল। ক্লাবে এসেছিল ফেরার সময় বাইকটা আর খুঁজে পাচ্ছে না। হয়তো চুরি হয়েছে। সকালে থানায় ডাইরি করবে বলে ঠিক করে নিলো। নাইট ক্লাবে বন্ধুর জন্মদিন পালন করেছে। সেখান থেকে দু গ্লাস বিয়ার খেয়েছে। নেশা পুরোপুরি হয়নি তবে মাথাটা ঝিমঝিম করছে। গাড়িটা খুঁজতে গিয়ে নেশাটা ভালো জমেনি বলে আক্ষেপ হচ্ছে। ওরকম গাড়ি ইচ্ছে করলে ও দশটা কিনতে পারবে তবুও হারানো জিনিসের প্রতি একটা মমতা কাজ করে। চোরকে ও একগাদা গালিগালাজ করেছে। অভিশাপ দিয়েছে যদিও এসবে চোরের কিছু হবে কিনা নিশ্চয়তা নেই। রাস্তায় লোকজন নেই বললেই চলে। রাত অনুমানিক তিনটা হবে। হাতে ঘড়ি নেই ফোনট বন্ধ হয়ে পকেটে পড়ে আছে। চলতে গিয়ে পায়ের সঙ্গে পা লেগে হোচট খেয়েছে দুবার। তবুও থামলে চলবে না। দুর্বল লাগছে। কিছুদূরে এগিয়ে এসে হঠাৎ গোরস্থান মোড়ে এসে রাসেল থমকে গেলো। দূরে গোরস্থানের গেটের সামনে একজন দাঁড়িয়ে আছে। ওর ভ্রু কুচকে হাটা ধরলো। গেটের কাছাকাছি আসতেই বুঝলো কোনো মেয়ে সাদা শাড়িতে ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে আছে। রাসেল পাত্তা দিলো না। হাটাও থামালো না। মেয়েটার এবার ওর পিছু নিলো। রাসেল থামলে মেয়েটা থামে। রাসেল হাটলে মেয়েটা হাটে কি এক্টা অবস্থা। ওর এবার মেজাজ খারাপ হলো টানপায়ে মেয়েটার সামনে এসে বলল,

> কি চাই তোমার? পিছু নিয়েছো কেনো? আর যাইহোক ভুত সেজে ভয় দেখানোর চিন্তা করোনা। আমি এসব বিশ্বাস করি না।

মেয়েটা উত্তর দিলো না কিন্তু মাথার ঘোমটা ফেলে দিলো। ল‍্যাপপোস্টের আলোতে মেয়েটার মুখ চকচক করে জ্বলে উঠলো। রাসেল সেদিকে তাঁকিয়ে চমকে উঠে ফিসফিস করে বলল,

> অরুনী তুমি? তুমি না মারা গিয়েছিলে? প্লিজ আমাকে কিছু করো না। আমি চাইনি তুমি সুইসাইড করো। আমি তো চেয়েছিলাম তুমি বাধ্য হয়ে আমাকে বিয়ে করো তাই জোরজবরদস্তির করেছিলাম। খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ভালোবাসতাম খুব বিশ্বাস করো।

রাসেল একদমে কথাগুলো বলে থামলো।মেয়েটা বাঁকা হেঁসে বলল,

> সত্যিই ভালোবাসা ছিল? ভালোবাসা থাকলে কিভাবে করতে পারলি ওসব? আমি আরাফাতকে ভালোবাসতাম। তুই সবটা জানতি তবুও আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করলি। বোন হতাম তোর। বোনের সঙ্গে খারাপ কাজ করতে লজ্জা করলো না?

রাসেল ঢোক গিলে ফিসফিস করে বলল,

> তোমাকে কখনও আমি বোনের চোখে দেখিনি। পছন্দ করতাম, বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে আমি সহ‍্য করতে পারিনি। তাই ভেবেছিলাম যদি তোমার চরিত্রে দাগ লাগিয়ে দিতে পারি তাহলে তুমি সহজে রাজি হবে। আমি তো বলেছিলাম বাচ্চার দায়িত্ব নিতে রাজি আমি।

মেয়েটা হাসলো খুব গম্ভীর সেই হাসি। রাসেল কেঁপে উঠলো মেয়েটার মুখের দিকে তাঁকিয়ে। মৃত্যুর পরে কি মানুষ ফিরে আসে তাও এতদিন পরে?ওর ছোট মাথায় এসব ঢুকলো না। প্রচণ্ড মাথায় যন্ত্রণা শুরু হলো। মনে হলো ক্ষমা চাওয়া দরকার তাই হাত জোড় করে বলল,

> ক্ষমা করে দাও প্লিজ।

> আচ্ছা ক্ষমা করলাম।

মেয়েটা আশেপাশে তাঁকিয়ে চিৎকার করলো সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বেরিয়ে আসলো। হৈমন্তী আর আরাফাত দৌড়ে গিয়ে অরিনকে জড়িয়ে ধরলো। রাসেল চোখ বড়বড় করে তাঁকিয়ে আছে। দূরে আবির দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে। কি হচ্ছে এখানে কিছুই বুঝতে পারলো না। রাসেলকে অবাক হতে দেখে হৈমন্তী এগিয়ে এসে বলল,

> প্রথম থেকেই আপনার উপরে আমার সন্দেহ ছিল। আজকে যখন ডাক্তার সাহেব ফোন দিয়ে বললেন আমি একটুও অবাক হয়নি। আপনার দ্বারা এসব হওয়া স্বাভাবিক। উনি ডাক্তার মানুষ সবটা বোঝেন। আপনার ডি এন এ টেস্ট করেছেন। বাচ্চার সঙ্গে মিলে গিয়েছিল কিন্তু আপনার মুখ থেকে সবটা জানার জন্য এই নাটকটা আমরা সাজিয়েছি। এবার সবার সামনে আসব অরুনি আপুর মৃত্যু রহস্যটা।

রফিক এতক্ষণ দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। হৈমন্তীর কথা শেষ হলো না ও এসে রাসেলের গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো। প্রিয় বোনের মৃত্যু ও সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। এতদিন আরাফাতকে দোষারোপ করছিল। অরিন চোখের পানি ফেলছে। হৈমন্তী আবারও ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। কাজীদের বাড়িতে এখনো কাউকে জানানো হয়নি। আবির শুধু রফিককে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। সন্ধ্যায় হৈমন্তীকে ফোন করেছিল। হৈমন্তীর সঙ্গে পরামর্শ করে আরাফাতকে বুঝিয়ে এখানে নিয়ে এসেছে। আরাফাত এবার বুঝতে পারলো অরুনি হঠাৎ করে কেনো ওর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ওকে সবটা বললে ওতো সব মেনে নিতে রাজি ছিল। ওর ভালোবাসা এতটা ঠুনকো ছিল না। মেয়েটা ভূল করেছে। একা একা থাকতো ভূল সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল না। আবির রাসেলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ওদের সবাইকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে বাড়িতে ফিরলো। আরাফাত ওকে থেকে যেতে বলেছিল কিন্তু ও থাকলো না। এখনো বহু কাজ বাকী আছে। রফিককে ও অরিনের সঙ্গে রেখে আসলো। ছেলেটা অযথা কান্নাকাটি করছে। বোনের কাছাকাছি থাকলে মন ভালো থাকবে।
____________________
সকাল হতেই কাজীদের বাড়িতে শোরগোল পড়ে গেলো রাসেল থানায় আছে। জুলেখা কাজী বাড়ি মাথায় তুলছে। উনার সোনার টুকরো ছেলেকে কেনো পুলিশ ধরেছে উনি মেনে নিতে পারছেন না। আবির চুপচাপ সব দেখছে কোনো উত্তর করছে না। মহিত উপর মহলে ফোন দিচ্ছে। উকিলের সঙ্গে কথা বলছে। আসমা বেগম মোটামুটি সবটা জানেন উনি কোনো প্রতিক্রিয়া করছেন না। গোলনাহার বানু ছেলেদের কাছে রিকুয়েস্ট করছেন রাসেলকে ছাড়িয়ে আনতে। আটটার পর ছাড়া থানায় যাওয়া সম্ভব না তাই উনারা চুপচাপ আছেন। সবটা সবার সামনে আসলে কি হবে এটাই এখন দেখার বিষয়। আবির নিজে থেকে কিছুই বলবে না বলে ঠিক করেছে। থানায় সব প্রমাণ দেখানো আছে। আবির বহুদিন এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ও কিছুতেই রাসেলকে ছাড়বে না। দরকার হলে পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে রাসেলের শাস্তি হয় সেই ব‍্যবস্থা ও করবে। ফুপির গলাবাজি ও এক মূহুর্তে বন্ধ করে দিতে পারে কিন্তু দিতে চাইছে না। সবে তো শুরু হয়েছে সামনে উনার জন্য আরও কিছু অপেক্ষা করছে।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here