তোর নামের রোদ্দুর২ সূচনা পর্ব

0
3714

-পেটের বা পাশের এইখানটায় থাকা ডট চিহ্নটা বাসাভর্তি মানুষজনকে দেখানোর খুব শখ জেগেছে আপনার মিস ইনসিয়া সারাহ্?শাড়ি সামলাতে পারবেন না,পরেছেন কেনো?এমনিতেও তো শুদ্ধ তার শ্যামাপাখিতে আসক্ত।এখন তবে আরো এসব কাজের মানে কি?

গলার আওয়াজ শুনে গলা শুকিয়ে আসলো আমার।এতোক্ষন মুখ চেপে ধরা হাতটাকে ছাড়াতে ব্যস্ত থাকলেও দুহাত কোমড়ে চলে গেলো।যেইখানটায় তিল আছে ঠিক সেইখানটায় এক আঙুল ঠেকিয়ে আছেন এই শক্ত হাতের অধিকারী।ভরা বিয়ে বাড়িতে সবে রেডি হয়ে বেরিয়েছিলাম রুম থেকে।আচমকাই কেউ একজন কোমড়ে থাকা সরু চেইনের মতো বিছাটা পিছন থেকে টানতে টানতে আবারো রুমে নিয়ে আসে আমাকে।চেচাতে যাবো ঠিক তখনই আরেকহাতে মুখ আটকে দেয় আমার।কে হতে পারে ভেবে এতোক্ষন হাসফাস করলেও এখন কন্ঠস্বর শুনে বুঝতে বাকি রইলো না ইনি আমার ভয়ের সেই একমাত্র কারন।সেজোকাকুর অতিমাত্রার একগুয়ে আর জেদী স্বভাবের একমাত্র ছেলে।ইরহাম আজাদ শুদ্ধ!

চরম অবিশ্বাস নিয়ে হাত পেটের কাছে নিতেই সরে গেলো আঙুল।অন্ধকার ঘরে এখন ঠিক সেই মানুষটা কি না তার সন্দেহ দানা বেধেছে মনে।এতোগুলো বছরে একটাবার আসেননি উনি শেহনাজ মন্জিল,না ওনাকে নিয়ে কোনো কথা হয়েছে এ বাসায়।আজ কোথা থেকে আসবেন উনি?কিন্তু নামটা তো তাই বললেন।শুদ্ধ!আবারো মুখ ধরে রাখা হাত ছাড়াতে নড়াচড়া করতে করতে বললাম,

-উম্!ছ্ ছাড়ুন!

কথা বোধগম্য হয়েছে কি না মানুষটার কে জানে?মুখ আটকে দিয়ে আছেন।
একে তো অন্ধকার!তার উপর এভাবে কেউ ধরে আছেন আমাকে!কোনো ছেলেমানুষ!আর যদি উনি শুদ্ধ ভাইয়াই হয়ে থাকেন?তবে তো….কিন্তু উনি কেনো আমার সাথে এমন ব্যবহার করতে যাবেন?হুট করে উনি এ বাসায় আসবেনই বা কোথা থেকে?লোকটা পিছন থেকে আবারো বিছা ধরে টান লাগালেন।তার বুকের সাথে পিঠ ঠেকে গেলো আমার।কানের কাছে মুখ এনে দাতে দাত চেপে বললেন,

-শাড়ি পরার আগে মনে ছিলো না?

না।অন্য কেউ নয়।উনি শুদ্ধ ভাইয়াই।জমে গেলাম আমি।কেনো এসেছেন উনি আবার?সবটা তো ঠিকই ছিলো।স্বাভাবিকভাবেই চলছিলো সবটা।তাহলে?সেদিনের মতো আবারো কি এলোমেলো করে দিতে এসেছেন আমার জীবন?শুদ্ধ ভাইয়া আমার চুলে নাক ডুবিয়েছেন।তার হাত আমার হাতের কব্জি থেকে কনুইর উপর অবদি স্লাইড করিয়ে শান্তভাবেই বললেন,

-শুনেছি,কাল হলুদ সন্ধ্যায় ছোটহাতা জামা পরেছিলি তুই?

তার এমন স্পর্শ!এই শান্ত আওয়াজ!ভয়,অস্বস্তি একসাথে কাজ করছে।নতুন চিন্তা জুটলো,এসব উনি কি করে জানেন?কনুইর উপরের ছোট হাতা জামা পরি না আমি।আগেরদিন হওয়া সিফাত ভাইয়ার হলুদ সন্ধ্যায় মামীর দেওয়া একটা হলুদ জামা ম্যাচড্ ছিলো বলে আর কিনি নি।ওইটাই পরেছিলাম।যদিও ইতস্তত লাগছিলো।তবুও ভালোমতোই মিটে গিয়েছিলো অনুষ্ঠান।এখন তাতে ওনার কি?সহ্য হচ্ছে না তার স্পর্শ আমার।ছাড়ছেন না কেনো আমাকে?সরছেন না কেনো উনি?উনি বা হাতের আঙুলগুলো ছুইয়ে দিতেই চেচিয়ে বলে উঠলেন,

-আংটি কোথায় তোর?

এমনিতেও ভয়ে কাপছিলাম।আংটির কথা শুনে আতকে উঠলাম আমি।উনি আরো জোরে চেচিয়ে বললেন,

-আংটি আঙুলে নেই কেনো তোর?সে ইট ড্যামিট!

মুখে রাখা ওনার হাত আরো শক্ত।আমার হাতের জোড় কমে এসেছে এবার।মনে আছে তার আংটির কথা?দু বছর আগের সেই ঘটনার কথা?টুপ করে গাল বেয়ে দু ফোটা পানি পরলো আমার।এ বাসায় সবচেয়ে কম আসা মানুষটা,কাজিনদের মধ্যে সবচেয়ে রাগী লোকটা,যার চোখের দিকেও তাকাতে ভয়,যার বাকা হাসি দেখবো না বলে ঘরবন্দি করে রাখতাম নিজেকে,যাকে যমের মতো ভয় পেতাম,এখনও পাই,সেই লোকটার সাথেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে জরিয়ে গিয়েছিলো সেদিন আমার জীবন।উলোটপালোট হয়ে গিয়েছিলো সবটা।

ঝারা মেরে সরিয়ে দিলেন শুদ্ধ ভাইয়া আমাকে।হয়তো চোখের জল তার হাত স্পর্শ করেছে।একবিন্দু আলো নেই ঘরে।সুইচ কোনদিক,তাও বুঝতে পারছি না।দরজাও লক।নইলে বাইরের আলো আসতো।ফুপিয়ে কাদছি‌ শুধু।আওয়াজ আসলো,

-এতোদিন আসিনি।আজ থাকতে পারিনি।নিজের অস্তিত্বকে জানান দিতে আসলাম।কাউকে বোঝাতে আসলাম,সে শুধুই আমার।

কান্না থামলেও বিস্ময় কমলো না।বরং বেড়ে গেলো আরো বেশি করে।উনি গম্ভীরভাবেই বললেন,

-চুপচাপ শাড়ি পাল্টে বাইরে আয়।আমার স্পর্শকে অপমান করতে যদি আর একফোটা চোখের পানি ফেলেছিস তো শুদ্ধর চেয়ে খারাপ কেউ হবে না!

তাড়াতাড়ি চোখ মুছে নিলাম।দরজা খোলার শব্দ অনুসরন করতেই সেদিক ফিরলাম।বাইরের একফালি আলোতে বেরিয়ে যেতে দেখলাম সেই লম্বামতোন মানুষটার পিছনের অবয়বকে।খয়েরী রঙের পান্জাবীর ডান হাতের হাতাটা বা হাতে টানতে টানতে বেরিয়ে গেলেন উনি।দু সেকেন্ড শুধু দৃষ্টিগোচর হলো তার সে অতিরিক্ত ফর্সা হাতটা।

মাথা ধরে ধপ করে বেডে বসে পরলাম।উনি সত্যিই এসেছেন তারমানে।এরপর কি ঘটতে চলেছে আমার জীবনে?তবে কি আবারো নতুন কোনো ঝড় আসতে চলেছে?যাতে সবেমাত্র গুছিয়ে তোলা হাসিখুশি জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে আমার?

-কিরে ইনসু?অন্ধকারে যার ফোবিয়া,তার ঘর অন্ধকার কেনো?

যীনাত আপু এসে রুমের লাইট জ্বালিয়ে দিলো।এতোক্ষনে শুদ্ধ ভাইয়ার হঠাৎ উপস্থিতির ঘোর থেকে বেরোলাম আমি।তার কথামতো একফোটা চোখের পানি পরেনি আর আমার।কিন্তু ভয়ে দম মেরে বসে আছি।শুধু মনে হচ্ছে,এরপর কি?যীনাত আপু আয়নায় চুল সেট করতে করতে বললো,

-এ আবার কোন নাটক?ওভাবে কেনো বসে আছিস তুই?

…..

-ইনসু?কথা বলছিস না কেনো তুই?

…..

-তাপসী আপু সিফাত ভাইয়ার শেরওয়ানী কোথায় রেখেছে খুজে পাচ্ছে না।এখন বলছে,কাল তোকে বেশি হলুদ লাগিয়েছিলো বলে তুই সেই শোধ তুলতে শেরওয়ানিটা সরিয়েছিস।যাতে ওর উপর দায় পরে,আর সবাই বকাবকি করে ওকে।আমারও তোর উপর অগাধ বিশ্বাস।এসব তোরই কাজ।কোথায় রেখেছিস ওটা?

……

এবার ও পাশে দাড়িয়ে কাধে হাত রেখে ঝাকিয়ে বললো,

-এমন চুপ করে আছিস কেনো?কি হয়েছে?

…..

-কি হচ্ছে টা কি?এই সাইলেন্ট মোড আর কতোক্ষন?

না।আর ভালো লাগছে না কিছু।চেচিয়ে বলে উঠলাম,

-কেমন বোন তুমি?চেহারা দেখে বোঝো না?কান্না করেছি আমি!

যীনাত আপু এতোক্ষনে বড়বড় করে তাকালো আমার দিকে।তারপর সারা রুমে চোখ বুলালো ও।একটু চুপ থেকেই শব্দ করে হেসে দিলো।গায়ে ।যাকে আমি আমার সবটা বলি,যাকে সবচেয়ে কাছের ভাবি,সেই মানুষটার কাছে আমার এই দশা মজা মনে হচ্ছে!এরথেকে বড় শোক আর কি?

-বুঝলাম!

কোমড় জরিয়ে ধরলাম আপুর।কিছুক্ষন আগে শুদ্ধ ভাইয়ার স্পর্শ,কথা,কাজগুলো মনে পরতেই শিউরে উঠছি বারবার।আপু মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,

-এমনিতেও অন্ধকারে ভয় পাস।সুইচ হাতড়াতে গিয়ে হলুদের বাটিটায় হাত লাগিয়েছিস।সেটা শাড়ি সহ সারা হাতে মাখামাখি।জীবনে শাড়ি পরিস নি।আজ প্রথমবার পরে ফুল টু রেডি হওয়ার পরও এইভাবে সাজটা নষ্ট!এই নিয়ে বুচি কেদেছে।তাইতো?

বিস্ফোরিত চোখে মাথা তুলে তাকালাম ওর দিকে।সারাহাতে হলুদ মানে?শাড়িতে হলুদ মানে?বেডে বসেই স্লো মোশনে ঘাড় ঘুরিয়ে সোজা আয়নায় তাকালাম।সত্যিই হাতজুড়ে হলুদ।শাড়িতেও লেগে আছে।পাশের ওয়ারড্রোবের উপরে রাখা হলুদের বাটি।তারমানে শুদ্ধ ভাইয়াই তখন হলুদ মেখেছেন হাতে আমার।শাড়িটাও এভাবে নষ্ট করে দিয়ে গেছেন উনি!

হতভম্ব হয়ে হাত তুলে হলুদটার বাস্তবতা পরখ করতে যাচ্ছিলাম।যীনাত আপু হাত ধরে ফেলে বললো,

-ওয়াও ইনসু?আংটি টা তো খুব সুন্দর!

আরেকদফা ঝটকা।আঙুলে সেই আংটি।দু বছর আগে যেটা আমার আঙুলে নিজের স্থান করিয়ে নিয়ে আমার মন থেকে আব্বুর প্রতি তীব্র ভালোবাসার জায়গাটাকে নষ্ট করে দিয়েছিলো।আমারই নিজের পরিবারের কিছু সদস্যদের প্রতি অভিমানের পাহাড় তৈরী করেছিলো,যা কল্পনাতেও অসম্ভব ছিলো আমার জন্য।প্রিয় একজন তো পৃথিবীতেই নেই,তবুও আমার সাথে হওয়া ঘটনার জন্য মনেমনে আজও অভিযোগ আমার তাকে নিয়ে।হয়তো এ দু বছরে অনেকটাই স্বাভবিক হতে পেরেছি,কিন্তু ভুলতে পারি নি।তবে ভোলার চেষ্টায় তো ছিলাম।ভুলেও যেতাম সময়ের সাথে।ভুলতাম তো?

-চুপ কেনো তুই?একদম হীরের মনে হচ্ছে পাথরটা।কবে কিনেছিস?কতো দিয়ে?কোথায় থেকে?দেখাস নি আমাকে কেনো তুই?

কিনেছি?কতো দরে কিনেছি?এটা হতে পারতো আমার জীবনের সবচেয়ে অমুল্য জিনিস আপু।সবচেয়ে অমুল্য।হীরের মতো?এটা তো হীরের আংটিই।তোমাদের ভাষ্যমতে‌ সবচেয়ে বড়লোক মামার একমাত্র ছেলে ইরহাম আজাদ শুদ্ধর হাত থেকে পরা আংটি,হীরের তো হতেই হবে।দেখাই নি কেনো তোমাদের?সবটা বললেও এতোবড় বিষয়টা কেনো জানাই নি তোমাকে?কি বলে দেখাতাম আপু?ঠিক কোন সিচুয়েশনে এই আংটি হাতে উঠেছিলো আমার?ঠিক কেনো এই আংটি পরেছিলাম দু বছর আগে আমি?কেনো কিছুক্ষন আগ অবদিও এটা কাছে রাখি নি নিজের?ঠিক কেনো এটা কোনো দোয়া আর সম্মতির লক্ষন না হয়ে অভিশাপ আর সময়ের দাবী বলে আমার কাছে ঘৃনার বস্তু হয়ে আছে?ঠিক কেনো আপু?কেনো?উত্তর নেই আমার কাছে।বিশ্বাস করো!উত্তর নেই!

-যীনাত আপুউউউউ!

-এসেছে।আরেক ফাটাস্পিকার!কি হয়েছে?চেচাচ্ছিস কেনো?

-আপুউউউ!জানো?শুদ্ধ ভাইয়া এসেছে!আজ এতোগুলো দিন পর আবারো শুদ্ধ ভাইয়া এসেছে শেহনাজ মন্জিলে!

ইরাম একপ্রকার লাফাতে লাফাতেই পাশে এসে দাড়ালো।আমি পা গুটিয়ে হাটু জরিয়ে আরো গুটিসুটি হয়ে বসলাম।যীনাত আপু চকচকে চোখে ইরামের দিকে তাকিয়ে বললো,

-কি বলছিস তুই ইরু?শুদ্ধ এসেছে?এ বাসায় শুদ্ধ এসেছে?

-হ্যাঁ।তবে আর বলছি কি!গিয়ে দেখো!বাইরে আব্বু,সেজোকাকু,মেজোকাকু সবার সাথে বসে কথা বলছে শুদ্ধ ভাইয়া।দীদুনের গলা জরিয়ে বসে আছে একদম!

-সত্যি বলছিস?এর আগে তো সেই দু বছর আগে দেখেছিলাম ওকে।তাও শেহনাজ মন্জিলে না।হসপিটালে।নানুভাই অসুস্থ্য ছিলো তখন।ছেলেটাকে বুঝি না।বছর পাঁচেক আগে তো সবটাই ঠিক ছিলো।এ বাসায় আসতো,হাসি ঠাট্টা করতো সবার সাথে।কি এমন পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পরলো যে এতোগুলো দিন আসেনি এখানে?আজ আসলো তো আসলো,বিয়ের দিনেই।কে জানে দুটো দিন থাকবে কি না আদৌও!

-আরে,সেজোমা বলেছে।এবার থাকবে সবাই মিলে কয়েকদিন।

-তাই নাকি?গ্রেট!চল তবে।দেখা করে আসি।আজ পচাবো ওকে,কেনো আসেনি এতোদিন,সেজোমামা,মামী আগে আসলেও ও এতো দেরীতে বিয়েতে কেনো আসলো?

হাসি ফুটলো যীনাত আপুর মুখে।কিন্তু আমার হৃদস্পন্দন বাড়ছে।খামচে ধরে আছি শাড়ি।আমার দিকে ফিরে তাকাতেই আবারো বিরক্তির মুখ করলো আপু।চুলে টান মেরে বললো,

-এই মেয়েটা এখনো ওভাবেই আছে।চল যা!এসব হলুদটলুদ মুছে চেন্জ কর তাড়াতাড়ি।

কাদোকাদোভাবে তাকালাম ওর দিক।ও চোখ রাঙিয়ে ওয়াশরুমের দিকে আঙুল তাক করলো।আরো জাপটে ধরলাম হাটু আমি।আপু হাত টান মেরে বললো,

-যা না ইনসু!লেইট হচ্ছে তো!আর শোন?বাইরে শুদ্ধকে দেখে অতো ভয় পেতে হবে না।কেনো যে এমন করিস তুই কে জানে!যে মেয়েটা নিজের বাবা ছাড়া অন্যকাউকে একচুলও ছাড় দেয় না,সে শুদ্ধর মতো এতো মিশুক ছেলেটাকে এতো ভয় পায়।আজব দুনিয়া!আজ এতোগুলো বছর পর এ বাসায় এসেছে।এখন অন্তত ব্যবহারটা স্বাভাবিক কর।আল্লাহ মালুম তোর এতো ভয়ের কারন কি!আমার তো মনে হয় তোকে ভয় পেতে দেখেই হয়তো এ বাসায় আসতো না ছেলেটা!তাড়াতাড়ি আয়!আসছি আমরা।

গরগর করে বলে দিয়ে ইরাম,যীনাত আপু দুজনেই‌ বেরিয়ে গেলো।কপালে চিন্তার ভাজ পরে রইলো আমার।শুদ্ধ ভাইয়া হঠাৎ আবারো এ বাসায় আসলেন!সবাইমিলে কয়দিন থাকবেন?শুদ্ধ ভাইয়াও?কেনো?কি বলে গেলেন উনি?নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে এসেছেন?কেউ তার তা জানাতে এসেছেন?এসব বলার কারন কি?কি ঘটতে চলেছে আমার জীবনে তার এই আকস্মিক আগমনে?

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
সূচনা পর্ব
লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা

(আসসালামু আলাইকুম।
আপনাদের ইচ্ছায় ফিরলাম সিয়া শুদ্ধকে নিয়েই।সিজন ১ এর সাথে কোনো সম্পর্ক‌ নেই।সিজন ২ লেখার অভিজ্ঞতা নেই তেমন আমার।তাই মিল থাকবেই খানিকটা।খানিকটা।কাহিনীবিস্তৃতিতে আপনারাও তা বুঝতে পারবেন।মতামত অনুসারে পরের পর্বগুলো বড় করেই দেবো ইনশাল্লাহ।হ্যাপি রিডিং?)

ওহ্!কথা হলো….
#চলবে_কি????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here