তোর নামের রোদ্দুর২ পর্ব 10

0
1558

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
#লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্বঃ১০

এখনো ওভাবেই রাগ নিয়ে দাড়িয়ে শুদ্ধ ভাইয়া।আমার মতো বাকিসবও অবাক চোখে তাকিয়ে তার দিকে।বিস্ময় কাটাতে ইশান ভাইয়া বললো,

-কি হলো শালাবাবু?গানটা গাইতে দিলে না কেনো ওকে?

শুদ্ধ ভাইয়া চুপ।তাপসী আপু বললো,

-হ্যাঁ।কিরে শুদ্ধ?এভাবে গিটার কেড়ে নিলি কেনো ইনসুর কাছ থেকে?

এবার যীনাত আপুও বললো,

-শুদ্ধ?থামিয়ে দিলি কেনো ইনসুকে তুই?

উনি ওভাবেই চুপ করে আছেন।প্রচন্ড রাগ লাগলো আমার।উঠে দাড়িয়ে বললাম,

-সমস্যা কি আপনার?হুট করে কোথা থেকে উদয় হয়ে এভাবে আমার থেকে গিটারটা ছিনিয়ে নিলেন কেনো?

উনি রাগ নিয়ে গিটারটা উচু করে ধরতেই তামিম ভাইয়া ধরে ফেললো ওনাকে।রিফাত ভাইয়া এসে গিটারটা ছাড়িয়ে নিলো ওনার হাত থেকে।উনি চুল উল্টে ধরে ধপ করে বসে পরলেন ঘাসের উপর।আমি বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছি।হলোটা কি এর?এমন করছে কেনো?ইমরোজ ভাইয়া বললো,

-এমন করছিস কেনো তুই শুদ্ধ?পাগল হয়ে গেছিস নাকি?

উনি মাথা তুলে চেচিয়ে বললেন,

-হ্যাঁ।হ্যাঁ।পাগল হয়ে গেছি।আরো পাগল হয়ে যাবো।পুরো দুনিয়াকে উল্টেপাল্টে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেবো সবজায়গায়!

-কেনো?হয়েছে টা কি?হঠাৎ করে তুই…

-আগে ওকে এইটা জিজ্ঞাসা করো,হোয়াট দ্যা হেল ডিড শি মিন বাই এ পৃথিবী ছেড়ে চলো যাই!

উনি এতোটা জোরে চেচিয়েছেন যে উপস্থিত সকলেই কমবেশি কেপে উঠেছে।আমি হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে।কি বলবো,কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।আস্তে ধীরে ঘাড় ঘুরিয়ে বাকিসবার দিকে তাকালাম।ইরাম বাদে বাকি সবাই ঠোট টিপে হাসছে।কিছুক্ষন পিনপতন নিরবতা।ইশান ভাইয়া এগিয়ে শুদ্ধ ভাইয়ার কাধে হাত রেখে বললো,

-রিল্যাক্স শালাবাবু।ইট ওয়াজ আ লিরিক্স।গানের কথা ছিলো জাস্ট ওগুলো।

শুদ্ধ ভাইয়া নিচদিক তাকিয়ে জোরেজোরে শ্বাস নিচ্ছেন।যীনাত আপু বললো,

-শুদ্ধ?লিসেন,ও তো পুরোটা কমপ্লিটও করেনি।তুই গাইতেই দিসনি ওকে পুরোটা।সো কাম ডাউন!রিল্যাক্স!

শুদ্ধ ভাইয়া দিশেহারার মতো একবার ওদের দিকে,একবার আমার দিকে তাকালেন।আমি জমে দাড়িয়েই আছি।ওনার এইসব ব্যবহার মাথায় ঢুকছে না আমার।কি চাচ্ছেন টা কি উনি?তামিম ভাইয়া বলে উঠলো,

-উফ্!কিএক্টাবস্তা!অল্পের জন্য আমার গিটারটা বেচেছে!নইলে যে কি হতো আজ!সবটা এই ইন্….

ইমরোজ ভাইয়া বললো,

-ঠিক!আর এই মোমেন্টাকে ভোলানোর জন্য এবার শুদ্ধকে গান গাইতে হবে।

শুদ্ধ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে শান্তভাবে বললেন,

-মুড নেই আমার এখন।

ইশান ভাইয়া শুদ্ধ ভাইয়ার কানে কিছু বললেন।কথাটা শুনে নিমিষেই ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো তার।তামিম ভাইয়ার কাছ থেকে গিটারটা কোলে নিলেন উনি।জিভ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে যীনাত আপুকে বললাম,

-আ্ আমার ঘুম পাচ্ছে।আ্ আসছি আমি।

ও খপ করে হাত ধরে আটকে দিলো আমাকে।ইরাম বললো,

-এই নাটকটা দশমিনিট আগেও করেছো।আসবে না বলে!আলিফ ভাইয়া ভুল বলে না।আসলেই একটা নাটকবাজ তুমি!

রাগী চোখে তাকালাম ওর দিকে।যীনাত আপু বললো,

-ইরু!থাম।ইনসু?এখন যাস না।শুদ্ধ গান গাইবে।ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং হবে দেখিস!

-আমার কোনো ইন্..

-চুপ!থাকবি তুই!

আমি হতাশার শ্বাস ত্যাগ করে বসেই রইলাম।কথা বাড়াই নি আর।শুদ্ধ ভাইয়ার দিকে তাকালাম একবার।সত্যিই গান গাইবেন উনি?উনি গিটার বাজিয়ে আমার দিক তাকিয়ে মুচকি হেসে গাইতে লাগলেন,

” দেখলে তোকে,বদলায় দিন
বদলায় রাত,বদলায় ঘুম
সঙ্গে সময়…
সন্ধ্যে হলে,বন্ধ ঘরে
মনে পরে,তোরই কথা
এমনই হয়…
কেনো যে তোকে
পাহাড়া পাহাড়া দিলো মন
কেনো রে এতো
সাহারা সাহারা সারা দিন
কেনো যে তোকে
পাইনা পাইনা মনে হয়
সারাটা দিন…(ii)

হুম…চাঁদেরই ঝর্না যেমন
ভেজায় পাহাড়
ততোটা আদর আছে
তোকে দেওয়ার
দেখে যা ইচ্ছে কতো,আকাশ ছোয়ার
কেনো যে তোকে……সারাটা দিন(ii)

একটাবারও তাকাইনি তার দিকে।নিচদিক তাকিয়ে হাত কচলিয়েছি শুধু।গান শেষে সবাই হাততালি আর বাহবা দিচ্ছিলো।আড়চোখে তাকাতেই সে মানুষটার চোখে চোখ পরে গেলো একদম।জানি না মনে হচ্ছিলো গান গাওয়ার পুরোটা সময়ও উনি আমার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন।অস্বস্তি হচ্ছিলো।ইমরোজ ভাইয়া বললো,

-ফাটিয়ে দিয়েছিস শুদ্ধ!অস্থির ছিলো!

ইশান ভাইয়া বললো,

-ঠিক বলেছো ইমরোজ!আউটস্ট্যান্ডিং গলা তোমার শুদ্ধ!চাইলে গায়ক টায়ক হতেই পারতে!ট্রাই করো না কেনো?

তামিম ভাইয়া বললো,

-ওসব তো ঠিক আছে।কিন্তু তোর গানের এই তোকে টা কে শুদ্ধ?

এবার মাথা তুলে তাকালাম আমি।কেমন যেনো অস্থির লাগছে।হাত পা ঘেমে উঠছে একদম।শুদ্ধ ভাইয়া মুচকি হাসছেন নিচদিক তাকিয়ে।ইশান ভাইয়া বললো,

-উমমমমম্!কারেক্ট তো!জীবনে প্রথম একটা ঠিক কথা বলেছো আপন শালাবাবু।দাও শুদ্ধ,উত্তর দাও এই প্রশ্নের।কে সে?আছে নাকি?শালাবাবুউউউ?

তাপসী আপুও বললো,

-সত্যিই তো!শুদ্ধ?বলতো!প্রেমট্রেম করিস নাকি তুই?

রিফাত ভাইয়া বললো,

-আরে আরে গানের কথাটা তো শোনো তাপসী আপু!পাইনা পাইনা মনে হয়!তারমানে বেচারা ছেকাটেকা খেয়েছে হয়তো!

-শুদ্ধ?ছেকা?লাইক সিরিয়াসলি গাইস?ওর পিছনে হাজারটা মেয়ের লাইন পরে।আর তোরা বলছিস ও ছেকা খাবে?যে মেয়ের দিকে তাকাবে,ওর জীবন ধন্য।

যীনাত আপুর কথায় চোখ নামিয়ে নিলাম।ভালোলাগছে না এসব আলোচনা।যীনাত আপু আবারো বললো,

-তা শুদ্ধ?এবার নামটা তো বল!

শুদ্ধ ভাইয়া মুচকিমুচকি হাসছেন শুধু।মাটিতে বসা অবস্থায় কোলের গিটারটা সরিয়ে ঘাসের ডগা ছিড়লেন উনি।একপলক আবারো আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-কোনটা বলবো?

ইশান ভাইয়া বিস্ময় নিয়ে বললো,

-কি বলো শালাবাবু?কয়টা নাম?

-অনেকগুলোতে ডাকি।

ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো আমার।ওড়না খামচে ধরলাম।দম বন্ধ লাগছে।উঠেও যেতে পারবো না।কিন্তু এমনই বা কেনো লাগছে?ইশান ভাইয়া আবারো বললো,

-ওয়াহ্!ভালোবেসে কতো নামে ডাকে!দিল খুশ হো গ্যায়া!সবগুলোই বলো।

শুদ্ধ ভাইয়া মৃদ্যু হেসে বললেন,

-শ্যামাপাখি।

যীনাত আপু বললো,

-ওয়াহ্!কারন?

-তার স্নিগ্ধ,মায়াবী মুখ আর আওয়াজে এটাও মনে পরে আমার।

ইমরোজ ভাইয়া হাতে তালি বাজিয়ে বললো,

-বাহ্!বাহ্!তালিয়া গাইস!

সবাই হেসে তাই করলো।তামিম ভাইয়া বললো,

-নেক্সট!

শুদ্ধ ভাইয়া হাত পিছনে দিয়ে হেলান দিয়ে বসে বললেন,

-রোদ্রময়ী।

ইশান ভাইয়া বললো,

-কারন?

-তার নামের রোদ্দুরে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি।আর কিই বা নাম দেবো তাকে?

-ওকে।নেক্সট!

-এইচ ডব্লিউ।

তাপসী আপু কপাল কুচকে বললো,

-এটা আবার কেমন নাম?

ঠোট টিপে হাসছেন শুদ্ধ ভাইয়া।রিফাত ভাইয়া হাত তুলে বলে উঠলো,

-আমি জানি!আমি জানি গাইস!এর ফুলফর্ম হলো হোমওয়ার্ক।তাইনা শুদ্ধ?

জোরেসোরে হেসে দিলো সবাই।শুদ্ধ ভাইয়া বললেন,

-কারনগুলো অন্যদিন বলবো।আরেকটা তো শোন!

ইশান ভাইয়া বললো,

-আরে তুমি বলতে থাকো শালাবাবু,আমরা শুনছি।

-হাইফ!

যীনাত আপু বললো,

-এটা কি ধরনের নাম?আমার মাথা ঘুরছে ভাই!

আগামাথা কিছুই বুঝছি না আমিও।তবে কোথাও লাগছে কথাগুলো।অস্থিরতা কাটাতে এদিকওদিক তাকাচ্ছি শুধু।শুদ্ধ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-স্পেশাল ওয়ান!এটার কারন শুধু আমি সেই জানবে।

সবাই আগ্রহ নিয়ে একসাথে বললো,

-কি?

-মিস ডট ডট ডট!নো মোর কোশ্শেনস্ প্লিজ!এটার কারন বলছি না এখন।ইনফ্যাক্ট তোমাদেরকে কখনোই বলবো না।যেদিন সে তার জানামতে মিসেস ডট ডট ডট হবে,সেদিনই,শুধু তাকেই বলবো,ব্যাখা দেবো সবগুলো নামের।

রিফাত ভাইয়া মাথা ধরে বলে উঠলো,

-আমারে কেউ ধর ভাই!আমি এখন সেন্সলেস হয়ে যাবো!

সবাই হাসাহাসি করছে।আর আমার হাসিটাই গায়েব হয়ে গেছে।কিছুক্ষন আগে শুদ্ধ ভাইয়ার বলা কথাগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।ওগুলো থেকে বেরোতেই পারছি না।যীনাত আপু বলে উঠলো,

-গাইস!লেটস্ প্লে মিউসিক্যাল চেয়ার!

-আরেহ্ না আপু!এই খেলাটায় ইনসুকে কেউ হারাতে পারে না।এটা খেলবো না আমি!

তামিম ভাইয়ার কাছে নাম শুনে ধ্যান ভাঙলো আমার।সবার দিকে তাকিয়ে শুদ্ধ ভাইয়ার দিকে আবারো তাকালাম।সে হেসে বললো,

-তাই নাকি?সিয়া সবসময় জিতে যায় বুঝি?

ইরাম বললো,

-হুম।চিটিংয়ে ইনসু আপু ইজ বেস্ট!

ওরা হাসলো আবারো।আমি কটমটে চোখে ইরামের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবো তার আগেই শুদ্ধ ভাইয়া বলে উঠলেন,

-ওকে দেন!চ্যালেন্জ রইলো!যদি আজ সিয়া আমাকে হারাতে পারে,তোমরা বা ও,যা বলবে তাই।

চকচকে চোখে তাকালাম আমি।এই খেলায় হারিনি আজ অবদি।আজও হারবো না।ওনাকে তো হারাবোই আজ আমি!হাজারটা নামে কাউকে ডাকা পাব্লিকটাকে আজ জব্দ করবো!একদম উচিত শিক্ষা যাকে বলে!
ভাব নিয়ে উঠে দাড়ালাম।চেয়ার সাজিয়ে মিনি স্পিকারে গান বাজিয়ে শুরু হলো খেলা।ইরাম উল্টোদিক হয়ে গান বাজাচ্ছিলো।শুদ্ধ ভাইয়া বাদে একেরপর এক বাকি সবাই আউট হয়ে যাচ্ছে অনবরত।যেনো হারার পাল্লা লাগিয়েছে সবগুলো।কিন্তু আমি তো হাল ছাড়ছি না!আজও আমিই জিতবো!শেষ রাউন্ডে‌ ইশান ভাইয়াও আউট হয়ে গেলো।ওরা সবাই সাইডে দাড়িয়ে আমাকেই চিয়ার আপ করছে।এবার একটা চেয়ার।শুধু আমি আর শুদ্ধ ভাইয়া।জেতার হাসি ঝুলিয়ে ভাব নিয়ে দাড়ালাম।শুদ্ধ ভাইয়া রাগ নিয়ে বললেন,

-ওভাবে হাসবি না খবরদার!

-মানেহ্?

-তুই এভাবে তাকিয়ে থাকলে আর হাসলে আমি খেলায় কনসেনট্রেট করতে পারবো না।ডোন্ট ডু দিস!চিটিং করবি না একদম!

বাকা হাসলাম।ঠিক এটাই‌ করবো এখন আমি।ইরাম টাইগার শ্রফের “রাতভার” গান লাগিয়েছে।আমি ওভাবেই শুদ্ধ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে হাসছি।উনি যে খুব ইতস্তত করছেন তা বেশ বুঝতে পারছি।আরো আনন্দ লাগছে আমার।উনি এভাবে গুটিয়ে গেলে আমিই জিতবো!তারপর ওনাকে…হু হা হা!মনে মনে জেতার সেলিব্রেশন শুরু আমার।

হুট করেই থেমে গেলো গানটা।বাস্তবে ফিরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুদ্ধ ভাইয়া চেয়ারটাতে বসে পরেছেন।তব্দা মেরে দাড়িয়ে রইলাম আমি।এটা কি হলো?কিভাবে হলো?এতোবছরের রেকর্ড ভেঙে গেলো আমার।তাপসী আপু বিরক্তি নিয়ে বললো,

-ধুরু!আজও শুদ্ধকে ফাসাতে পারলাম না।তুই হেরে গেলি ইনসু?

রাগে গায়ে আগুন ধরে গেলো আমার।মাটিতে পা ছুড়লাম একবার।শুদ্ধ ভাইয়া চেয়ারটাতে পায়ের উপর পা তুলে বিশ্বজয়ের হাসি দিয়ে বসে আছেন।বাকিসবেরই মাথায় হাত।শুদ্ধ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়েই চেচিয়ে উঠলেন,

-গাইস!পশ্চিম আকাশে তারা খসেছে!

সবাই সেদিকে তাকালো।আমিও খুজতে লাগলাম।আচমকাই হেচকা টানে শুদ্ধ ভাইয়া তার কোলে বসিয়ে নিলেন।নড়াচড়া করতে গেলেই জাপটে ধরে ফিসফিসিয়ে বললেন,

-তোর সাহসের তারিফ করতে হয় সিয়া।এখানে আমি বসে,আর তুই কিনা খসে পরা তারা দেখতে চোখ সরিয়ে নিলি?এনিওয়েজ!ইউ আর অলওয়েজ উইনার মাই লেডি!জিতে গিয়েও হেরে যাই বারবার তোর কাছে।আর হেরে গেলেও,আমিই জয়ী।আজীবন এভাবেই হারতে রাজি এই শুদ্ধ।আজীবন!

উনি ছেড়ে দিলেন আমাকে।উঠে দাড়াতেই উনিও উঠে একটু ঠোট কামড়ে হেসে বাসার ভেতরে চলে গেলেন।ধপ করে ওই চেয়ারেই বসে পরলাম আমি।সামনে দাড়ানো মানুষগুলো এখনো উল্টোদিক ঘুরে।ইরামকে মনে হলো যীনাত আপু সামনে নিয়ে গলা জরিয়ে ধরে রেখেছে।কি কি বলে গেলেন শুদ্ধ ভাইয়া?হেরে গিয়ে জিতে যান,জিতে গিয়েও হেরে যান,যে সবকিছুতে জিতে অভ্যস্ত,সে বলে গেলো সে নাকি আজীবন হারতে রাজি!মাথার উপর দিয়ে গেছে সবগুলো কথা।এইমুহুর্তে সন্দেহ হচ্ছে,আমার মাথায় কি তবে সত্যিই গোবরপোড়া!

#চলবে….

[আসসালামু আলাইকুম ডিয়ার রিডার্স,

শুদ্ধ সিয়ার ” নাচা” নিয়ে রাগ করেছিলো?আলিফের সাথে ” কথা বলা” নিয়ে রাগ করেছিলো?” গান গাওয়া” নিয়ে রাগ করলো?আপনারা যারা গল্পটির রেগুলার পাঠকপাঠিকা,একটু এগুলোর উত্তর দিয়ে যাবেন প্লিজ।অনেকেই,মানে অনেকেই শুদ্ধর‌ ফিল করা(নাচতে গিয়ে সিয়ার গলা জরানো),জেলাসি(আলিফের সিয়ার চুল কানে গুজতে যাওয়া),আর ভয়কে(গানের লিরিক্স) বাড়াবাড়ি বা ভালোবাসার নামে কর্তৃত্ব ফলানো বলেছেন।কিন্তু এগুলোর একটার জন্যও তো শুদ্ধ শাস্তি দেয়নি সিয়াকে।আপনারা তো অনেক গল্পই পড়েন,বাড়াবাড়িটা কতোদুর গরায় তার ধারনা আছে আপনাদের।সত্যিই কি এগুলো বাড়াবাড়ি?আমি কি তবে লেখনিতে এই কারন আর অনুভুতিগুলো বোঝাতে ব্যর্থ?এ প্রশ্নটা আমার রইলো আপনাদের কাছে।ভুলত্রুটি মাফ করবেন।
হ্যাপি রিডিং?]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here