তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা ১১..

0
2172

#তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা
১১..
#WriterঃMousumi_Akter

—বিহান ভাই এর মৃদু হাসি দেওয়া মুখটা সাথে সাথে বিলীন হয়ে গেলো।আমি উল্টা দিকে ঘুরে ওখান থেকে দ্রুত ছুটে আসার ট্রাই করি।বিহান ভাই দাঁতে দাঁত চেপে আমাকে বলেন what the hell rubbish. তুই আমাকে তোহার হয়ে প্রপোজ করলি।।আমি কোনো কথা না বলে জান বাঁচানোর জন্য ওখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু পা আর আগাইতে পারলাম না।বিহান ভাই আমাকে বললেন দাঁড়া বলছি।দাঁড়াবি নাকি আমি এগিয়ে আসবো।আমার আর পা চালানোর সাহস হলো না থমকে গেলাম আমি।আমি বিহান ভাই এর দিকে ঘুরে দাঁড়ালাম।

বিহান আমার কাছে এসে ভ্রু নাচিয়ে বললেন দিয়া একটা জিনিস ভাবছি। আমি আস্তে করে মাথা উচু করে বললাম,,কি ভাবছেন বিহান ভাই।বিহান ভাই বলেন দিয়া আমি ভাবছি যে তোকে যদি এখান থেকে একটা লাথি মারি ফুটবলের মতো ঠিক কতদূর যাবি।দেখ তুই আমার হাটু অবধি হবি।আমার মতো এত বড় একটা মানুষের লাথি খেলে তুই কি বাংলাদেশে থাকবি নাকি আটলান্টিক সাগর পার হয়ে সোজা উপারে গিয়ে পড়বি।আমি কপাল কুচকে উনার দিকে তাকালাম উনি কি সত্যি আমাকে লাথি দেওয়ার প্লান করেছেন নাকি।উনার মতলব ঠিক লাগছে না আমার।আমার সামনে বরাবর হিংস্র সিংহের মতো বুকে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন।আমি কি বলবো ঠিক বুঝছি না।এমনিতেও ইজ্জত আজ অবশিষ্ট কিছু থাকবে না সেটা জেনেই এমন ইজ্জত হরণের যুদ্ধে আমি নেমেছি।

বিহান ভাই আমাকে বলেন দিয়া তোর মতলব টা কিরে? আমার পুচকি এংরি বার্ড এর লাভার কে এত কষ্ট দিতে চাস কেনো?তুই কি জানিস আমার হার্টবিট কত ভোল্টেজ এ চলে সে সামনে এলে।শুধু সে শুনতে পাই না এটাই সমস্যা। স্রোতোশিনীর এই পাগল লাভার টা কে অন্য কোনো মেয়ে প্রপোজ করলে কত টা কষ্ট হয় জানিস।।বিহান ভাই উনার হার্ট বরাবর আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলে দেখ,আমার এখানের স্পন্দন গুলো শুধু তার জন্য।আমার হার্ট এর চারপাশে রাউন্ড আকারে ঘুরছে সে।আমি ভুলেও তার ভালবাসার এতটুকু ভাগ অন্য কাউকে দিতে চাই না।আর তুই সেই চেষ্টাই করলি। এর জন্য তোকে আজ শাস্তি পেতেই হবে দিয়া।।বিহান ভাই খুব শান্ত গলায় কথা গুলো বলছিলেন।মনে হচ্ছিলো উনি যেনো গভীর ভাবে কাউকে অনুভব করছিলেন আর কথা গুলো বলছিলেন।

উনার রাগ দু’রকমের এক প্রচুর ভাঙাচুরা করেন।দুই দাঁতে দাঁত চেপে রেখে শাস্তি দেন।আমার কাছে ওই মুহুর্তে কোনো কথাই ছিলো না।দ্রুত বলে আমি বলে দিলাম হুম তোহা আপু বলেছেন আপনাকে প্রপোজ দিতে। আর আপনিও তো আমাকে বলেছেন তোহা আপুকে ভালবাসেন।বিহান ভাই সন্দিহান দৃষ্টি নিয়ে বলেন কবে বলেছি।তোহা আপু বললো বলেছেন।ভয়ের চোটে ঠাস করে মিথ্যা বলে মারাত্মক এক ধরা খেলাম।বিহান ভাই বলেন তোর তোহা আপুর কথা ভাবার জন্য আমার এক্সট্রা টাইম নেই। তোর ওই মেন্টাল জাতগুষ্টির কাউকে আমার ভাল লাগে না শুধু আমার শ্বশুরের মেয়ে ছাড়া।দেখ দিয়া তোর ফ্যামিলি তে আমার বাচ্চা বউ টা আছে বলেই ঘুরে ফিরে রাগ কন্ট্রোল করে তোদের সাথে বার বার আসি।নইলে আমি কখনোই তোদের এসব ফাউল আড্ডায় জয়েন হতাম না।আমার পড়ার কত চাপ জানিস।আমি লেখাপড়ার সময় পৃথিবীর কোনো দিকে মন দেই না শুধু মাত্র আমার বউ আজ এখানে এসছে তাই আমাকে বাধ্য হয়ে আসতে হলো।না হলে কে কোনদিক থেকে নজর দিবে বই সামনে থাকলেও আমার পড়া হতো না।দেখলি দিয়া ও আমার লেখাপড়ার বারোটা কিভাবে বাজাচ্ছে।

আমি বললাম এই পার্কে কোথায় আপনার বউ দেখান তো দেখি কত সুন্দরী দেখি।এইজন্য আপনি এসছেন নইলে আর আসতেন না আমি শিওর।
বিহান ভাই বলেন তোর মতো গাধী কোনদিন এসব বুঝবে না।আমি বললাম দেখুন আপনার এসব হাবিজাবি কথা কোনদিন ই বুঝি না আমি।।

বিহান ভাই বলেন ওখানে গিয়ে সবার মাঝে ৫০ বার কান ধরে উঠবস করবি।

আমি বললাম ইম্পসিবল।আমি কিছুতেই কান ধরে উঠবস করবো না।দেখুন পার্কে কত গুলা ছেলে আছে ওরা কোচিং এ গিয়ে আমাকে দেখে হাসবে।পার্ক শুদ্ধু মানুষ আমাকে কি ভাববে।

বিহা ভাই রনচন্ডী মুডে বলেন,,ওহ আচ্ছা! আচ্ছা! ছেলেদের ইমপ্রেস করতে পার্কে এসছিস তুই।

বিহান ভাই খেয়াল করে দেখলো দুইটা ছেলে অনেক্ষণ ধরে রোজ নিয়ে ঘুরঘুর করছে আমাকে প্রপোজ করবে বলে।

বিহান ভাই বলেন,,তুই যদি কান ধরে উঠবস না করিস আমি ওখানে গিয়ে সবাইকে বলবো তুই আমাকে এই ফুল গুলো দিয়ে প্রপোজ করেছিস।তাহলে কি ব্যাপার টা ভাল হবে দিয়া।

আমার অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।আমি বললাম মিথ্যা বলবেন কেনো?বিহান ভাই বলেন মিথ্যা কিসের মিথ্যা তুই তো প্রপোজ ই করেছিস।ওকে চল গিয়ে বলি।রাগে মনে চাচ্ছে বিহান ভাই এর গলা টিপে ধরি।গলা টিপে চোখ মুখ উল্টে দেই।তোহা তোহা তোর মতো বোন ছিলো বলে আজ আমার কপালে এত দুর্গতি।আমি কি ডেট এক্সপায়ার গাঞ্জা সেবন করে বিহান ভাই এর সাথে লাগতে এসছিলাম।চল দিয়া ভালবাসা দিবসের দিন গুষ্টি সহ মানুষের সামনে নিরবে কান ধরে উঠবি আর বসবি।

উনি শুধু এটুকু করে থামলেই হতো উনার নাম তো বিহান মানুষকে এমন নাজেহাল করে ছাড়েন কেউ দ্বীতীয়বার ভুলেও উনার বিপরিতে যান না।মানুষকে কথার প্যাচে ফেলে তার বাপ দাদার নাম ভুলিয়ে দেওয়া মানুষ উনি।

বিহান ভাই পার্কের ওই ছেলে দুইটা কে ডাকলেন।পার্ক টা আমাদের এলাকার ই।সো বিহান ভাই এখানকার ফেমাস পারসন ইয়াং জেনারেশন এর চিনে না এমন কেউ নেই।ছেলের দামি ক্যামেরা, দামি বাইক,দামি ফোন,দামি ল্যাপটপ চেহারায় কারো থেকে কমতি না তাছাড়া বোর্ড স্ট্যান্ড করেছিলেন ইনি ইন্টার এ।বোর্ডে হায়েস্ট মার্ক পেয়ে সকলের মুখে মুখে উনার নাম ই হয়ে গেছিলো।

ছেলে দুইটা বিহান ভাই এর কাছে এসেই বলে বিহান ভাইয়া ভালো আছেন।আপনি এ পার্কে।আপনাকে তো কোনো পার্কে দেখা যায় না।

বিহান ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বলেন না আসতে চাইলেও মানুষ টেনেটুনে নিয়ে আসছে।
আচ্ছা এই মেয়েটাকে তোমাদের মাঝে কে প্রপোজ করবা।

ছেলে দুইটা কি বলবে বুঝতে পারছে না।বিহান ভাই বলে ঘাবড়ে যেও না।ছেলে দুইটা জানে বিহান ভাই আমার কাজিন।ছেলে দুইটা মাথা নিচু করে আছে। বিহান ভাই বলে,, এই মেয়েটা তো আমাকে মাত্র ই প্রপোজ করছে।আমি রিজেক্ট করে দিয়েছি।

তোমরা যদি প্রপোজ করো কাল থেকে তোমাদের কোচিং অফ।কোচিং এর টিচার কে বলে দিবো তোমাদের বের করে দিতে।ছেলে দুইটার কাঁদো কাঁদো অবস্থা বিহান ভাই ভুল হয়ে গিয়েছে আমাদের ক্ষমা করে দিন।আমরা মজা করছিলাম।বিহান ভাই বলেন ওকে আমার সাথে চলো।আর ক্ষমা করতে পারি এক শর্তে কাল আমাকে লিস্ট দিবা কে কে এই মেয়েটাকে ফলো করে কোচিং এর।আর এ কোন কোন ছেলের সাথে মিশে।সাথে সাথে গোয়েন্দা দুইটা ঠিক করে দিলো।

বিহান ভাই এর হাতে ফুলের স্টীক দেখে সবাই তো অবাক।অপরাধীর মতো হেঁটে আসছি আমি।বিভোর ভাই বলেন কিরে বিহান কিসের ফুল এগুলা।বিহান ভাই আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলে দিয়া কান ধরে উঠবস কর।সবাই তো অবাক দিয়া আবার কি অন্যায় করলো বিহান কান ধরে উঠবস করাবে কেনো?আলিপ ভাই বলে বিহান ভাই দিয়ার হয়ে আমি উঠবস করছি কিন্তু দিয়া কে ছেড়ে দিন।বিহান ভাই ভ্রু কুচকে আলিপের দিকে তাকিয়ে বলেন ওকে কান ধরে উঠবস করো।আলিপ কান ধরে উঠবস করছে।আলিপের কান ধরে উঠবস শেষ হলে বিহান ভাই বলেন দিয়া এবার শুরু কর।সবাই বলে মানে দিয়ার হয়ে না আলিপ উঠবস করলো না।বিহান ভাই বলেন আলিপের পেট এর মেদ বেড়ে গিয়েছে তাই আলিপ কে ব্যায়াম করালাম।দিয়া শুরু কর।বিভোর ভাই বলে বিহান দিয়া এখন বড় হয়ে গিয়েছে।বিহান ভাই বলেন দিয়ার এখনো হাফপ্যান্ট পরার বয়স আমার কাছে ও পুচকি ই আছে।

চুপচাপ কান ধরে উঠবস করছি সবার মাঝে।বিহান ভাই ফুল গুলো পার্কের বাচ্চাদের ডেকে একটা একটা করে ভাগ করে দিলেন।তোহা আপু সংকিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বিহান ভাই এর দিকে।তোহা আপুর তো দিল টুট গাইয়া।বিহান ভাই একটা বার ও ফিরে তাকিয়ে দেখছেন না।।আলিপ ভাই বলে বিহান ভাই আপনার হাতের ফুল পাওয়ার জন্য কত মেয়ে অধীর আগ্রহে বসে থাকে আর আপনি কিনা বাচ্চাদের ফুল দিচ্ছেন।বিহান ভাই বলেন কই কেউ তো পাগল না।পাগল হলে পাগবা কয়েক টা সিট বুকিং হতো।

মেহনুবা আপু ভলে বিহান ভাই দিয়ার অপরাধ কি?

বিহান ভাই বলেন, দিয়াকে কেউ প্রপোজ করছে না বলে ওই ফুসকাওয়ালা ছেলেকে প্রপোজ করেছে।এই ফুল গুলা দিয়ে কি সুন্দর প্রেম নিবেদন করছিলো ভাজ্ঞিস আমি দেখে ফেলছি।এইজন্য বোন পরিচয় দেই না আমি।ফুল গুলা আমি নিয়ে এসছি আর বিতরণ করছি বাচ্চাদের মাঝে।ভেবে দেখো মান সম্মান সব শেষ করে দিচ্ছিলো।যতই হোক আমার ফুপ্পির মেয়ে।সবাই তো আমাদের ও ছিঃছি করতো।আমি ফুপ্পি কে বলে দিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করছি।বিহান ভাই ছেলে দুইটা কে বলে এই তোমাদের সামনে না দিয়া ফুসকাওয়ালাকে প্রপোজ দিছে।ছেলে দুইটা বলে হ্যা আমাদের সামনেজ দিছে।আমি ছেলে দুইটার দিকে একবার তাকালাম মাত্র রাগে।

কেউ যে বিহান ভাই কে বলবে দিয়াকে শাস্তি দিও না সে সাহস কারোর ই নেই।পার্ক ভর্তি মানুষের সামনে কান ধরে উঠবস করছি।মানুষ যে কি বিশ্রি ভাবে হাসছে।আমার মনে হচ্ছে এর চেয়ে উনি আমাকে মেরে ফেলতেন সেটাই ভালো হ তো।ছেলেরা কি ভয়ানক ভাবে তাকিয়ে আছে।

কান ধরে উঠবস করে একা একা মুখ ফুলিয়ে বাসায় চলে এলাম।

রাত এগারো টার দিকে দাঁড়িয়ে আছি ছাদের রেলিং ধরে। মন প্রচন্ড খারাপ।সত্যি বিহান ভাই আমাকে ভালবাসেন না এটা আমি স্পষ্ট আর ক্লিয়ার।আকাশের দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলছি। আমাকে ভুলে যেতে হবে বিহান ভাই কে।যেভাবেই হোক ভুলে যেতেই হবে। এমন সময় মাথার চুল টেনে ধরলো পেছন থেকে কেউ।পেছনে তাকিয়ে দেখি বিহান ভাই।উনাকে প্রচন্ড নারভাস লাগছে।চোখ,মুখ ঘেমে নেয়ে লাল হয়ে আছে।এসেই আমার ওড়না দিয়ে মুখটা মুছলেন।কি বলবো আমি বুঝতেছিনা না। অচেতন নজরে তাকিয়ে আছি উনার দিকে আর ভাবছি তুমি তো আমার নও।

এমন সময় বিশাল বড় একটা চকলেট বক্স দিয়ে বলে,, হ্যাপি চকলেট ডে পুচকি।

অনেক বড় দুইটা টেডি দিয়ে বলে,, হ্যাপি টেডি ডে পুচকি।।।

এক গুচ্ছ গোলাপ এগিয়ে দিয়ে বলেন এক হাজার গোলাপ আছে এখানে হ্যাপি রোজ ডে অবুঝ বালিকা।।।

আমার মুখে একটা ফুঁ দিয়ে বলেন
আর রইলো কিস ডে আর হাগ ডে।

আমি কখনোই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্বাসী না।
মানুষের কাছে যেটা প্রিয়তমার ভালোবাসা, আমার কাছে সেটা আমার সম্মান।
যেসব পুরুষ মানুষ বিয়ের আগে তার প্রেমিকার কোমড়,পেট,বুকের অগ্রভাগ ছুঁয়ে দেখতে চায়,সে কখনোই ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়েনি,বরং তার কাছে তোমার শরীর প্রথম আকর্ষণ।

এসব মানুষ তোমাকে নিরদ্বির্ধায় বলে দিবে,আমি তোমার মনকে ভালোবাসি,তোমার শরীরকে নয়।
কিন্তু এরাই দিনশেষে তোমার শরীর ছুঁয়ে ভালোবাসা মেটাতে চায়।

তোমাকে যে সত্যিকারের ভালোবাসে তার কথায় কখনোই তোমার অস্বস্তি বোধ হবে না।

যে প্রেমিকের ভালোবাসা পেতে, তার মন রক্ষার্থে তোমাকে তোমার গোপনীয়তা হস্তক্ষেপ করতে হয়,
সে কখনোই তোমার জন্য কল্যাণকর নয়।
এসব মানুষই খুব সহজে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে।

সম্পর্কে সম্মান আর ভালোবাসা থাকাটা অবশ্যই জরুরি,
কিন্তু সেই ভালোবাসার অজুহাত দেখিয়ে প্রেমিকাকে ভোগ করার নাম নিঃস্বার্থ ভালোবাসা না।

প্রেমিকার নগ্ন দেহ কখনোই ভালোবাসা মেটাতে পারে না,
প্রেম নামক সম্পর্ককে পবিত্রতা রাখতে শিখুন।

একটা কথা সবসময় মনে রাখবে
হারাম সম্পর্ক কখনোই টিকে না, সেখানেই যতই ভালোবাসা থাকুক।
তাই নিজেকে সংযত করতে শিখতে হবে বিপরীতে থাকা মানুষটিকে সম্মান করতে শিখতে হবে।
প্রেমিকাকে বিয়ের আগে বউ ভেবে শরীর উপভোগ করাকে ভালবাসা বলে না।

মেয়ে মানুষের সম্মান পৃথিবীর সবকিছুর থেকে দামী।

মনে রাখবে
ভালবাসা দিবস মানেই কিস, হাগ, রুম ডেট এগুলা নয়।

ছুঁয়ে দেখার মানে ভালোবাসা না,
বরং ধৈর্য ধরে হালাল ভাবে জীবন সঙ্গী করে,
একসাথে পথচলার নামই ভালোবাসা।

তবে প্রেমিকাকে ভালবেসে জড়িয়ে ধরাই যায় চুম্বন ও করা যায় তবে তাতে মাদকতার নেশা থাকলে হবে না।যে চুম্বন যে স্পর্শ বার বার বিছানায় টানে সে স্পর্শ কে আমি ঘৃণা করি।

কপালে ঠোঁট স্পর্শ করানোর মাঝে গভীর ভালবাসা থাকে তবে তার জন্য এসব দিবস ঠিক করা লাগে না পাগলি।

আজ কত শত মেয়ে ইজ্জত হারাবে প্রেমিকের কাছেই ধর্ষিত হবে তার ঠিক নেই।

কিস আর হাগ ডে ক্লিয়ার দিয়া।

আর বাকি রইলো আজকের ভালবাসা দিবসের গিফট ওটা আমি নিচে গিয়েই পাঠাচ্ছি।তোর সামনে দিতে লজ্জা পাবো।

বিহান ভাই আজ ও ছাদে এসছেন মই বেয়ে।উনি নিচে যেতেই তোহা আপু আর রিয়া আসে ছাদে।

এমন সময় নিচ থেকে একটা পার্সেল ছুড়ে মারে কেউ।পার্সেল এর গায়ে লেখা ইতি তোমার ভুত।তোহা আপু পার্সেল টা তুলেই নিচে ছুড়ে মারে সাথে সাথে।তোহা আপু আমাকে বলে দিয়া বিহান ভাই জানার আগে ফেলে দিলাম।নইলে আবার তোকে শাস্তি দিবে।

আমার ফোনে একটা মেসেজ এলো। কি মেসেজ দেখার আগেই তোহা আপু ডিলিট করে দিলো।তোহা আপু বলে দিয়া গিরগিটির মেসেজ ছিলো।কয়েক টা গালি দিয়ে দিয়েছি রিপ্লে তে।।।

আমার সাড়ে সর্বনাশ আবার তোহা আপু করে দিলেন।

কিছুক্ষণের মাঝে আবার মেসেজ এলো।
আমাকে জ্বালাও পুড়াও শেষ করে দাও।আগে যদি জানতাম ভালবাসায় এত দহন এত গভীর ভালবাসায় ডুব দিতাম না।

রিপ্লে দিতে যাবো ব্লক।ফেসবুক,হোয়াটস এপ,নাম্বার সব ব্লক।সাডেন কি হলো মানুষ টার এভাবে ব্লক ই বা দেওয়ার কারণ কি?

বিহান ভাই কে কোনো ভাবেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।তোহা আপু মেসেজ দিছে তাকেও ব্লক দিছে।

আজ ১৪ দিন হয়ে গেছে বিহান ভাই এর খোজ নেই পাত্তা নেই।

চলবে,,।।

(অবশ্যই সবাই কমেন্ট করবে। কোন অংশ টুকু ভাললেগেছে সে অংশ কমেন্টে জানাবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here