ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ পর্ব ৩১+৩২ শেষ

0
914

#ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ
#লেখিকা : সামিয়া ইমাম নূর
#পর্ব : ৩১+৩২(শেষ)

৩১.
ছলছল চোখে কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে এক সময় আরিয়ান ধরা গলায় বলে ওঠল,

আরিয়ান – Is my punishment not over yet?. And how much will you punish me? I admit that I misunderstood you without listening to you that day, I heard a lot of things. I made a mistake and I regret it. And those for whom this distance has been made between us have got the result of their deeds on the same day. Principal expelled them from unvarsity. They agreed to apologize to you but you did not go to varsity then. So they were not forgiven. But I have not had the opportunity to apologize even once for so long from the same house. But I have tried a lot to believe in talking to you. But I didn’t get a chance in any way and today I was forced to take this opportunity. Please forgive me this time. For the sake of our future children.
(এখনও কি আমার শাস্তির পরিমাণ শেষ হয়নি? আর কত শাস্তি দেবে আমায়? আমি মানছি আমি সেদিন তোমার কথা না শুনেই তোমায় ভুল বুঝেছিলাম, অনেক কথা শুনিয়েছিলাম। আমি ভুল করেছি আর তার জন্য আমি অনুতপ্ত। আর যাদের জন্য আমাদের মধ্যে এই দুরুত্ব তৈরী হয়েছে তারা সেদিনই তাদের কর্মের ফল পেয়ে গেছে। প্রিন্সপাল তাদের ভার্সিটি থেকে বের করে দিয়েছে। তারা তোমার কাছে ক্ষমা চাইতেও রাজী হয়েছিল কিন্তু তুমি তো তারপর আর ভার্সিটিতেই যাওনি। তাই ওরাও আর ক্ষমা পায়নি। কিন্তু আমি তো একই বাড়িতে থেকেও এতদিন একবারের জন্যও ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটাই পেলাম না। কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমার সাথে কথা বলার। কিন্তু কোনোভাবেই সুযোগ না পেয়ে আজ বাধ্য হয়ে এইভাবে সুযোগ নিলাম। প্লিজ এইবার আমায় ক্ষমা কর। তোমাকে আমাদের ভবিষ্যৎ ছেলেমেয়ের দোহাই।)

মাধূর্য কি এবার কাঁদবে নাকি হাসবে ভেবে পাচ্ছে না। আরিয়ানের শেষের কথাটা শুনে মাধূর্যর কিছুটা লজ্জা লাগার পাশাপাশি হাসিও পেয়ে গেল কিন্তু এত সহজে সে এবার গলতে চাইছে না। তাই সে কোনরকমে নিজেকে সামলানোর জন্য এক প্রকার জোর করেই আরিয়ানের সামনে থেকে ওঠে যেতে নিলে আরিয়ানও শক্ত করে আবার মাধূর্যকে চেপে ধরে। এই অবস্থায় মাধূর্য আরিয়ানের সাথে এক প্রকার ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে একপর্যায়ে মাধূর্যর হাতে টান খেয়ে আরিয়ানের পরনের তোয়ালে খুলে মাধূর্যর হাতে চলে আসে আর হঠাৎ এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় মাধূর্য আর আরিয়ান দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে যায়। আরিয়ান দ্রুত বিছানার চাঁদর টেনে নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেয় আর মাধূর্য ধীরে ধীরে নিজের হাতটা উপরের দিকে তুলে তোয়ালেটার দিকে একবার চোখ বুলিয়েই আ…… করে স্বজোরে এক চিৎকার দিয়েই তোয়ালেটা আরিয়ানের মুখে ছুড়ে মেরে উল্টোদিকে ঘুরে বলে ওঠল,

মাধূর্য – নিজের তোয়ালেটাও ঠিকমতো সামলাতে পারেন না? ছি!

আরিয়ান মুখ থেকে তোয়ালেটা সরিয়ে দুষ্টু হেসে মাধূর্যর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,

আরিয়ান – এখন থেখে নাহয় থুমিই সামলে দিও? কিন্তু আমায় থুমি এঠা বলো থো? থুমি ঐ দিখে গুরেহ আছ খেন? যা দেখার থা থো দেখেই নিয়েছ। থাহলে এখন আর মুখ গুরিয়েহ রেখে খি লাভ সোনা পাখি?

মাধূর্য লজ্জায় এবার নিজের জ্বিহ্ব কামড় দিয়ে ধরল। মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে আরিয়ানের দিকে ফিরে দাঁড়াল। মুখে তার লজ্জার আভা, লজ্জায় আরিয়ানের দিকে তাকাতেই পারছে না সে। আরিয়ান মুচকি হেসে নিজের গায়ে থাকা বিছানার চাঁদরের মধ্যে মাধূর্যকেও জড়িয়ে নিল। সব মান অভিমান দূরে ঢেলে আবার তারা দুজন দুজনকে কাছে টেনে নিল। ইংরেজ সাহেবের মুখে ফুটে ওঠল বিজয়ের হাসি আর তার বাঙালী বধূর মুখে সেই চীরচেনা লজ্জার রক্তিম আভা।

পাঁচ বছর পর,

বর্তমানে আরিয়ানের পরিবার বাংলাদেশে আছে তবে এবার তাদের সাথে রয়েছে তাদের পরিবারের নতুন দুজন সদস্য আরিয়ান আর মাধূর্যর টুইন বেবি প্রিন্স আরিশান এবং আরিশা আরিয়ান। এই পাঁচবছরে অবশ্য আরও কয়েকবার তারা বাংলাদেশে এসেছিল তবে তখন বাচ্চাদুটো অনেক ছোট ছিল। আর এই পাঁচ বছরে আরও অনেক কিছুই চেন্জ হয়েছে। যেমন আরিয়ান এখন বাংলাদেশী কালচার এবং ভাষা, খাবার-দাবার অনেকটাই আয়ত্ত করে নিয়েছে। মাধূর্য নিজে দায়িত্ব নিয়ে আরিয়ানকে এই সব শিখিয়েছে আর এইসবে অভ্যস্ত করে তুলেছে। তাই আরিয়ানও এখন বাংলাদেশের প্রতি অনেকটাই দুর্বল। সে তার শিকড়টাকে ভালোভাবেই চিনে নিয়েছে আর সেই জন্য এখন সেও তার বাবার মতোই চায় তার ছেলেমেয়েরা যেখানেই থাকুক বা বড় হোক না কেন, তারা যেন তাদের শিকড়টাকে না ভুলে এবং অবহেলা না করে। এই জন্য আরিয়ান একটা সিদ্ধান্তও নিয়ে নিয়েছে। আর সেটা হল, তারা সবাই বছরে ছয়মাস থাকবে লন্ডনে আর ছয়মাস থাকবে বাংলাদেশে। আর সেই জন্য আরিয়ান বাংলাদেশে একটা প্রজেক্টও হাতে নিয়েছে আর সেটা হল, আরিয়ান এখানে একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে এবং তার জন্য কাজও শুরু করে দিয়েছে সে অলরেডি। ঐদিকে লন্ডনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির জবটাও সে অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে আর এখন সে নিজের বিজনেস করছে। মাধূর্যও এর মধ্যে তার পিএইচডি কমপ্লিট করেছে। যাই হোক, দেশে এখন নবান্নের উৎসব চলছে পুরোদমে। শীত আসব আসব করছে। আরিশান আর আরিশা এবং রাহার মেয়ে রুবি কে একসাথে খাইয়ে-ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে মাধূর্য আর রাহা ড্রয়িংরুমে বসে গল্প করছে আর আরিয়ান ঘরে ল্যাপটপে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। কাজ করতে করতে কিছুটা বোর হয়ে গিয়ে আরিয়ান ল্যাপটপটা বন্ধ করে ওঠে গিয়ে দরজার সামনে থেকে দাঁড়িয়ে মাধূর্যকে ডাকতে শুরু করে। মাধূর্য আরিয়ানের ডাক শুনে রাহাকে বলে,

মাধূর্য – দেখ তোর ইংরেজ ভাই কিভাবে বাংলা গলা করে মাইকিং করছে। এত জোড়ে ডাকতে হয় বল তো? মনে হচ্ছে আমি কোথাও হারিয়ে গেছি আর উনি মাইকিং করে আমাকে খুঁজছে।

রাহা – ??? সত্যিই মাধূর্য, তুই এইসব আজগুবি কথাবার্তা কিভাবে যে বলিস? যা গিয়ে দেখ কেন ডাকছে তোকে ব্রো। হয়ত কোনো প্রয়োজনে ডাকছে, গিয়ে দেখে আয়।

মাধূর্য – হুম যাচ্ছি।

বলেই মাধূর্য ওঠে গিয়ে নিজেদের ঘরের দিকে যেতে লাগল আর আরিয়ানের উদ্দেশ্যে বলতে লাগল,

মাধূর্য – আরে আসছি আমি, শুধু শুধু চেঁচিয়ে গলাটাকে ফাটা বাঁশের মতো করবেন না তো।

মাধূর্যর কথা ঘরের সামনে থেকে শুনতে পেয়ে আরিয়ান চুপ হয়ে গেল। মাধূর্য ঘরের সামনে গিয়ে দেখে আরিয়ান দরজায় হেলান দিয়ে হাতদুটো ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে। মাধূর্যকে দেখেই ভ্রু কু্ঁচকে বলল আরিয়ান,

আরিয়ান – আমি বাংলা গলা করে মাইকিং করি? আর কি যেন বলছিলে? আমার গলা ফাটা বাঁশ, তাই তো?

মাধূর্য কৃত্তিম হেসে বলল,

মাধূর্য – হি হি??, কই না তো? আমি আবার কখন বললাম এই সব? আপনি ভুল শুনেছেন হয়ত। ???

আরিয়ান সোজা হয়ে এবার ধীরপায়ে মাধূর্যর দিকে এগুতে লাগলে মাধূর্য একটা শুকনো ঢুক গিলে আরিয়ানের থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা মিথ্যা অভিনয় করে আরিয়ানের পিছনের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠল,

মাধূর্য – আরে মম, কিছু বলবেন?

মাধূর্যর দুষ্টুমির ফাঁদে পা দিয়ে আরিয়ানও পিছনের দিকে তাকায় কিন্তু পিছনে কেউই নেই আর সেই ফাঁকে মাধূর্য পালানোর চেষ্টা করেও ধরা খেয়ে যায় কারণ আরিয়ান দ্রুত তার লম্বা হাত দিয়ে খপ করে মাধূর্য কে ধরে নেয়। মাধূর্য তো ধরা খেয়ে কাঁদোকাঁদো অবস্থা। সে ভাবছে না জানি আরিয়ান আবার কি করে বসে এখন? আরিয়ানও মেকি হেসে বলে ওঠল,

আরিয়ান – কি সোনাপাখি? পালিয়ে যাবে কোথায় হুম?

৩২.
মাধূর্য – প্লিজ আরিয়ান, আমার ভুল হয়ে গেছে। এবারের মতো ক্ষমা করে দিন কিন্তু প্লিজ, এই ভর দুপুরে আপনার রোমেন্টিক পানিশমেন্টগুলো দিবেন না!

আরিয়ান দুষ্টু হেসে বলল,

আরিয়ান – কি যে বলো না? এরকম করলে হয়? তোমাকে ডেকেছিই তো রোমেন্টিক পানিশমেন্ট দেয়ার জন্য।

মাধূর্য – মানে? আমি কি এমন দোষ করলাম আবার যার কারণে আপনি আমাকে এই ভর দুপুরে আপনার ঐসব সো কল্ড রোমেন্টিক পানিশমেন্ট দিতে ডেকে আনলেন?

আরিয়ান – বাহ রে! এই যে ভর দুপুরে নিজের এই sweet-cute and most handsome বরটাকে একা ঘরে ফেলে রেখে অন্য একজনের সাথে গিয়ে বসে বসে গল্প করছ এটা কি দোষ নয়? তোমার বরের বুঝি ভয় করেনা একা ঘরে থাকতে?

মাধূর্য চোখজোড়া ছোট করে বলল,

মাধূর্য – হয়েছে শেষ আপনার ড্রামাবাজি? এত ড্রামাবাজি কোথা থেকে শিখেছেন আপনি?

আরিয়ান মুচকি হেসে বলল,

আরিয়ান – কেন, তোমার থেকে? তুৃমিই তো শিখিয়েছ এসব। তুমিও ড্রামাবাজি কর আর আমিও করি তবে পার্থক্য টা হল, তুমি আমার থেকে পালানোর জন্য ড্রামাবাজি কর আর আমি তোমার কাছে থাকার জন্য ড্রামাবাজি করি। বুঝলে বাঙালী বধূ?

মাধূর্য মুচকি হেসে বলল,

মাধূর্য – হুম বুঝেছি মি. ইংরেজ সাহেব।

আরিয়ান – তাহলে এবার পানিশমেন্ট এর জন্য তৈরী হও।

মাধূর্য নাক ফুলিয়ে ন্যাকা কন্ঠে বলল,

মাধূর্য – না!

আরিয়ান – না বললে শুনছি না।

বলেই আরিয়ান মাধূর্যর কোমর চেপে ধরে যেই তার ঠোঁটের দিকে এগুতে লাগে অমনি তিনটা বাচ্চা কন্ঠ একসাথে বলে ওঠল, Wow, how romantic scene! আরিয়ান দ্রুত মাধূর্যকে ছেড়ে দিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই দেখে তার দুই ছেলেমেয়ে আর রাহার মেয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর তাদের মুখে দুষ্টু হাসি লেগে আছে। মাধূর্য ও লজ্জায় দ্রুত আরিয়ানের থেকে সরে দাঁড়ায় আর আরিয়ান বাচ্চাদের দেখেই নিজের মাথার পিছনে হাত রেখে উল্টোদিকে ফিরে স্লো ভয়েজে বলল,

আরিয়ান – কাম সারছে!

মাধূর্য দ্রুত সিচুয়েশন পাল্টাতে বাচ্চাদের কাছে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলল,

মাধূর্য – এই বাচ্চারা তোমরা এখানে কি করছ? তোমাদের না ঘুম পাড়িয়ে এলাম? ঘুমোও নি তোমরা?

মাধূর্যর ছেলে আরিশান বলল,

আরিশান – আমরা ঘুমোচ্চিলাম থো মম, খিন্তু হঠাৎ আমাদের খুভ জোর হিসু পেয়ে ঘেল থাই হিসু খরতে ওঠেচি।

মাধূর্য ভ্রু কুঁচকে বলল,

মাধূর্য – what? এই ছেলে, তোমরা কি আমাকে বোকা পেয়েছ? হিসু পেলে নাহয় একজনের পাবে মানলাম কিন্তু তাই বলে কি তিনজনেরই একসাথে
হিসু পেয়েছে, হুম?

এবার আরিশা দ্রুত বলে ওঠল,

আরিশা – No mom, শুধু আরিশানের হিসু পেয়েছে, আমার থো পিপাসা পেয়েছে আর রুবির খি জেন পেয়েছ? এই রুবি! থোমার যেন খি পেয়েছে?

রুবি আমতা আমতা করে বলল,

রুবি – আম…. আমার তো ইয়ে পেয়েছে মামানি।???

মাধূর্য ভ্রু নাচিয়ে বলল,

মাধূর্য – ইয়ে মানে কিয়ে?

রুবি – ইয়ে মানে আসলে আমি ভুলে গেছি মামানি। পড়ে মনে করে বলব। হ্যাঁ? ???

বলেই রুবি পিছন ঘুরে দিল এক দৌড় আর সেই সাথে আরিশান আর আরিশাও দৌড় লাগাল রুবির পেছনে পেছনে। আসলে মাধূর্য যখন ঘুম পাড়িয়ে আসে তাদের তখন তারা তিনজনেই প্ল্যান করে ঘুমের ভান ধরে থাকে আর মাধূর্য ওদের ঘর থেকে চলে গেলেই তিনটা মিলে চুপিচুপি বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে বাগানে চলে যায় খেলার জন্য। খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে তিনজন আবার নিজেদের ঘর থেকে খেলনা নিতে এসেই দেখে সামনে মাধূর্য আর আরিয়ানকে। যাই হোক, ওরা উল্টোদিকে দৌড় দিলে মাধূর্যও ওদের পিছনে ছুটতে নিলে আরিয়ান খপ করে আবার মাধূর্যকে পিছন থেকে ধরে ফেলে আর বলে,

আরিয়ান – শুধু শুধু ওদের পিছনে দৌড়িয়ে নিজের এনার্জি নষ্ট কর না তো বউ। তারচেয়ে বরং ওদেরকে ওদের কাজ করতে দাও আমরাও আমাদের কাজ করি চলো।

বলেই আরিয়ান মাধূর্যকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটা দিল আর মাধূর্য তার থেকে বাঁচার জন্য নানা বাহানা করতে লাগল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না বরং আরিয়ানের কাছে আত্নসমর্পণ করতে হলো তাকে।(সমাপ্ত)

[এই গল্পের কাহিনী, চরিত্র এবং সময় কাল্পনিক। তাই কোনোরকম ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। যারা এতদিন কষ্ট করে সময় নিয়ে গল্পটি পড়েছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ নতুন কোনো গল্প নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আর প্লিজ গল্পটা কেমন হল গঠনমূলক কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here