অবহেলায় ভালোবাসা? পর্ব-৮

0
437

#অবহেলায়_ভালোবাসা
#লেখকঃRabi_Al_Islam
#পর্বঃ৮
ছেলেগুলোকে আগে কখনও দেখেছি বলে মনে হয়না। ওদের সাথে আমাদের কিসের শত্রুতা যে আমাদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করবে

মানছি আমাদের শত্রু অনেক। কিন্তু সবাইকে তো আমরা চিনি। আর ওই ছেলেগুলোকে আমরা কেওই চিনি না তাহলে ওরা আমাদের কেনো মারতে আসবে। এর আগে ওদের সাথে কখনও দেখা হয়েছে বলে মনে হয়না

এসব রিয়ান,আয়ান, আবিরের কাজ না তো। ওরা হয়তো অন্য লোক পাঠিয়ে আমাদের মারার পরিকল্পনা করেছিলো যাতে ওদের কেও সন্দেহ না করতে পারে

রবি কিছু বলছে না চুপ করে আছে। ও ভেবে পাচ্ছেনা এসব কে করতেছে। এই প্রথম ওকে চলে আসতে হলো। ছেলেগুলোকে এর ফল পেতে হবে

পিছন থেকে যে এর বিরুদ্ধে কলকাঠী নাড়ছে তাকে খুজে বের করতে হবে। আমাদের সন্দেহ কেবল রিয়ান,আয়ান আর আবিরের উপর

এর ভিতরে কলেজের সবাই জেনে গেছে রবি আর ওর বন্ধুদের কেও মেরে ফেলতে চাইছিলো ওরা সেখান থেকে চলে না আসলে এতখনে হাসপাতালে থাকতো সবাই

মেঘা দিশাকে বলল, দেখলি তো আমার কথাই সত্তি হলো। ওরা এতটাই খারাপ যে ওদের মেরে ফেলতে চাইছে কেও। এখনও বলছি সাকিবকে ভুলে যা ও তোর যোগ্য না

দিশা মেঘাকে বলল, তুই একটু চুপ করবি। আমি টেনশনে আছি আর তুই উল্টা- পাল্টা বলে যাচ্ছিস। তোর মনে কি একটুও মায়া নেই। রবি ভাইয়া তোকে এতটা ভালোবাসে এতদিন তোর পিছু পড়ে আছে তার জন্য একটুুও চিন্তা হয়না তোর?

– যাকে আমি ভালোইবাসি না তারজন্য চিন্তা হবে কেনো? যেমন কর্ম করবে তেমন ফল পাবে। ও নিজেই একটা গুন্ডা আর ওদের শত্রু থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রিয়ানের সাথে তো এমন হচ্ছেনা। হবেই বা কেনো রিয়ান তো আর ওদের মত না। আর তুই এমন একটা ছেলেকে কিভাবে ভালোবাসতে পারিস।

– একদিন বুঝতে পারবি কে খারাপ আর কে ভালো। তুই রিয়ানকে যতটা মহান ভাবছিস রিয়ান ততটা মহান না। রিয়ানকে আমার খারাপই মনে হয়

– তুই নিজে বললে তো আর হবেনা। সবাই জানে কে ভালো আর কে খারাপ

– একদিন তুইও জানতে পারবি

দিশা সাকিবের কাছে এসে বলল, তুমি ঠিক আছো তো? কি হয়েছিলো?

– কেও আমাদের মারার চেষ্টা করছিলো। আমরা চলে না আসলে অনেক বড় অঘটন ঘটে যেতো। রবি আসতে চাইছিলো না। ওকে জোর করে নিয়ে এসেছি

– কে তোমাদের মারতে চাইবে?

– সেটাই তো বুঝতে পারছি না। ছেলেগুলোকে এর আগে কখনও দেখিনি। ওদের হয়তো কেও ভাড়া করেছিলো আমাদের মারার জন্য

– কে করবে এমনটা?

– রিয়ান, আয়ান আর আবির এই তিনজনকে সন্দেহ হয় আমাদের। সব জানতে পারবো আমরা। ওদেরকে ছেড়ে দিবো না আমরা। এর প্রতিশোধ তো নিবো

– কোন প্রতিশোধ নিতে হবেনা। আজকের পর আর ঝামেলায় জড়াবে না। খবরটা শুনে আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম। যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো

– ওদেরকে না মেরে আমার কিছু হবেনা। ওদেরকে এর ভয়ংকর শাস্তি দিবো।

রিয়ানকে ওর বন্ধু্রা এসে বলল, দোস্ত আজকে রবিরা অল্পের জন্য বেঁচে গেছে। তা না হলে এতখনে ওদের জানাযা হয়ে যেতো। ভালোই প্লান করেছিস তুই আয়ান ভাইয়া আর আবির ভাইয়া মিলে

আমাদের লোকদের রবিকে মারার সাহস নেই তাই দূর থেকে নিয়ে এসেছিস। আজকে যদি রবি উপরে চলে যেতো তাহলে সব ক্ষমতা আমাদের হয়ে যেতো। ওই রবির কই মাছের প্রান

– কিন্তু আমি তো কিছুই করিনি। এটা আয়ান আর আবির ভাইয়ার প্লান কিনা তা জানি না। তাদের প্লান হলে তো আমি জানতাম। আমরা ছাড়া রবিকে আর কে মারতে চাইবে?

– কি বলিস তোরা না করলে এটা কার কাজ। এই শহরে রবিকে মারার মত কেবল তোরাই আছিস। তোরা না হলে এটা কে করবে? আর ছেলেগুলো নাকি অন্য শহরের । কেও একজন আছে যে পিছন থেকে সব খেলা খেলছে

কিন্তু রবির কিছু হলে তো আমাদের লাভ। আর কারও কি লাভ হতে পারে?

– সে যার লাভই হউক না কেনো রবিকে মারতে পারলে তো আমাদেরই ভালো হবে। কে এসব করতে চাইছে তা জেনে আমাদের কি কাজ। আমাদের তো শুধু রবিকে নিয়ে ভাবতে হবে

ওর জন্য সব কলেজে আমাদের ড্রাগ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে

আয়ান আবিরকে বলল, দোস্ত খবর টা শুনেছিস?

– হ্যা শুনলাম কিন্তু আমরা ছাড়া রবিকে আর কে মারতে চাইবে। রবির কিছু হলে সব সন্দেহ আমাদের উপর পড়বে। ওর ছেলেরা আমাদের ছাড়বে না। আর কেও একজন এটারই সুযোগ নিতেছে

– কে হতে পারে? আর ছেলেগুলোও নাকি অন্য শহরের?

– সেটাই তো। এর পিছনে কে আছে? যেই থাক না কেনো আমাদের জন্য ভালোই হবে। রবির জন্য আমাদের ক্ষমতা কমে যাইতেছে

– তোমাকে আর কতবার বলবো ওই রবির সাথে মিশো না। আজ যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো তাহলে আমার কি অবস্থা হতো একবার ভেবে দেখেছো?

– দেখো আমি তোমাকে আগেও বলেছি রবি আমার ভাইয়ের মত। আমি ওর থেকে দূরে থাকতে পারবো না। আর আমার কিছুই হবেনা। তুমি অযথাই চিন্তা করতেছো

– তোমার কি মনে হয় আজকে তোমরা বেঁচে ফিরতে পারতে? সমস্যা শুধু রবিকে নিয়ে তোমরা কেন এর ভিতরে জড়াবে?

– রবির সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা। আজকে যদি আমাদের সাথে এমন হতো তাহলে রবি আমাদের কখনই ছেড়ে যেতো না তাই আমরাও রবিকে ছেড়ে যাবোনা

– আমার কথাটা বুঝার চেষ্টা করো প্লিজ

– প্লিজ মিম আমাকে জোর করো না। আমি রবিকে ছাড়া থাকতে পারবো না

– তাহলে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে সাব্বির?

– কি বলছো এসব। তোমরা দুজনেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদের দুজনকেই আমার চাই। আমি দুজনের কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না

– যদি বলি একজনকে বেছে নাও তাহলে?

– তুমি এমনটা কিভাবে বলতে পারলে? তুমি না আমাকে ভালোবাসো

– উত্তর দাও

সাব্বির কিছুখন ভেবে বলল, আমি রবিকে ছাড়তে পারবো না। এটা শুনে মিম বলল, আচ্ছা তাহলে আমাকে ভুলে যেও

রবি মেঘাকে বলল, জানপাখি আজকে অল্পের জন্য তোমার ইচ্ছাটা পূরন হয়নি। তুমি মন খারাপ করেছো তাইনা জানপাখি

চলবে—

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here