অপরিচিত পর্বঃ ১২

0
966

অপরিচিত পর্বঃ ১২
লেখিকাঃ তাহমিনা তমা

কি হলো দাদুভাই কিছু বলছো না যে ? আছে নাকি আমার নাতবউ ?

মেহরাব জোর করে মুখে হাসি টেনে বললো, নেই দাদাজান।

মুজাহিদ সাহেব খুশি হয়ে বললেন, যাক তাহলে নিজের হাতে নাতিকে বিয়ে করাতে পারবো। ছেলের বেলায় যে ইচ্ছে অসম্পূর্ণ ছিলো সেটা নাতি দিয়ে পূরণ করবো।

মেহরাব কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো দাদাজানের মুখের হাসি দেখে। হঠাৎ আরফার বলা রিপোর্টের কথা মনে পরে তাই বললো, দাদাজান তোমার হসপিটালের রিপোর্টগুলো কোথায় সেগুলো একটু দেখতে হবে আমাকে।

মুজাহিদ খান বললো, সেসব আবার কেনো দেখতে হবে এখন আমি ভালো আছি।

মেহরাব বললো, প্রয়োজন আছে তুমি বলো কোথায় আছে ?

মুজাহিদ খান বললো, সে তো আমার আলমারিতে আছে।

মেহরাব উঠে দাঁড়িয়ে বললো, ঠিক আছে আমি গিয়ে দেখে নিচ্ছি।

মুজাহিদ খান বললো, এখন আর গেস্ট রুমে যেতে হবে না, তোমার রুম ঠিক করা হয়ে গেছে আর আমি রহমানকে দিয়ে তোমার জিনিসপত্র তোমার রুমে পাঠিয়ে দিয়েছি।

মেহরাব ঘুরে তাকিয়ে বললো, ওকে আমি আমার রুমে যাচ্ছি।

মেহরাব দাদাজানের আলমারি থেকে রিপোর্টগুলো নিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো। রুমে গিয়ে বেশ অবাক হলো একদম মেহরাবের পছন্দ মতোই সাজানো হয়েছে রুমটা। রুমটা ঘুরে দেখে রিপোর্ট নিয়ে সোফায় বসে পড়লো। রিপোর্টের একটা একটা একটা পাতা উল্টে যাচ্ছে আর মেহরাবের বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠছে। মুজাহিদ খানের হার্টের অবস্থা খুবই খারাপ সামান্যতম এক্সাইটমেন্ট উনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, শরীরের রক্ত নষ্ট হয়ে গেছে, দুটো কিডনির অবস্থায় সূচনীয় আরো অনেক সমস্যা। রিপোর্ট দেখে মেহরাবের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো। কিন্তু সমস্যাগুলো দেখে মেহরাবের সন্দেহ হতে লাগলো কারণ এসব সমস্যা দীর্ঘদিন একটা বিশেষ ধরনের ড্রাগস নেওয়ার কারণে হয়। এই ড্রাগস নিলে মানুষের নেশা হয় না কিন্তু ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ে। আর দাদাজান একদম লাস্ট স্টেজে এসে দাঁড়িয়েছে। তারমানে আরফা মিথ্যা কিছু বলেনি মেহরাবকে। এসব চিন্তায় মেহরাবের মাথা হ্যাং হয়ে আসছে। কিছুতেই বুঝতে পারছে না দাদাজান ড্রাগস কেনো নিবে। এই অবস্থায় মুজাহিদ খানকে যতটা হাসিখুশি রাখা যায় তত ভালো। মেহরাব কিছু একটা চিন্তা করে রিপোর্টগুলোর ছবি তোলে তার মমের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে নিচে গেলো।

কী দেখলে দাদুভাই ?

মুজাহিদ খান নিজের অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানে না। ডক্টর ইশতিয়াক তাকে কিছুই বলেনি।

মেহরাব মুচকি হেঁসে বললো, এই বয়সেও অনেক স্ট্রং আছো তুমি দাদাজান।

থাকতেই হবে মুজাহিদ খান বলে কথা। যার কথায় বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খায়।

মেহরাব জোর করে হাসার চেষ্টা করে বললো, হুম ঠিক বলেছো।

আচ্ছা দাদুভাই চলো ডিনার করে নেবে অনেক রাত হয়ে গেছে। আজ সারাদিন অনেক ধকল গেছে তোমার খেয়ে রেস্ট নিবে।

মেহরাব কিছু না বলে ইশারায় হ্যাঁ বুঝালো। ডাইনিং টেবিলে বসতেই নানা আইটেমের বাঙালী খাবার সাজানো দেখলো মেহরাব। মেহরাব সবসময় হালকা খাবার খেয়েই অভ্যস্ত তাই এতো খাবার দেখে একটু অস্বস্তি হচ্ছে।

মুজাহিদ খান খাবার নিয়ে মুখে দিতে গেলে মেহরাব বলে উঠলো, এক মিনিট দাদাজান।

খাবার মুখে দিতে গিয়ে থেমে গেলো মুজাহিদ খান আর মেহরাবের দিকে তাকিয়ে বললো, কী হয়েছে দাদুভাই খাবার পছন্দ হয়নি তোমার ?

মেহরাব বললো, না না তেমন কিছু না। আমি বলছিলাম তুমি অসুস্থ তাই এসব লাইট খাবার তোমার জন্য ক্ষতিকর। তুমি ভেজিটেবল সুপ খাবে আমি এখনই বানিয়ে দিতে বলছি।

মুজাহিদ খান বললো, প্রথম দিনেই ডাক্তারি শুরু করে দিলে।

মেহরাব মুচকি হেঁসে বললো, ডাক্তার তো তাই ডাক্তারি সব সময়ই করতে হয়।

মলিন মুখে মুজাহিদ খান বললো, জানো তো দাদুভাই মেহেক মা যতদিন ছিলো আমার খাবার দাবারের দিকে খুব খেয়াল রাখতো ততদিন একদম সুস্থ ছিলাম। তোমরা চলে যেতেই একটু একটু করে দুর্বল হতে লাগলাম।

মেহরাব মনে মনে বললো, আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে এই খাবারেই কোনো সমস্যা আছে। এই খাবার ল্যাবে টেস্ট করলেই সব বুঝা যাবে। কিন্তু টেস্ট করবো কোথায় ? এখানে কে শত্রু আর কে বন্ধু বুঝার উপায় নেই।

মেহরাবের হঠাৎ নিজের বন্ধু দিয়ানের কথা মনে পড়লো৷ কানাডা থেকে মেহরাবের সাথেই ডাক্তারি শেষ করে বাংলাদেশে চলে এসেছে৷ মেহরাব ঠিক করলো দিয়ানের সাহায্যই নিবে। সব খাবার রেখে মুজাহিদ খানকে ভেজিটেবল সুপ আর নিজে ফ্রিজ থেকে ব্রেড বাচার নিয়ে খেয়ে নিলো৷ মুজাহিদ খানকে বললো এসব খাবার খেতে অভ্যস্ত নয় আসতে আসতে শিখে নিবে। তাই মুজাহিদ খানও আর কিছু বললো না। সবার আড়ালে সব খাবারের একটু একটু স্যাম্পল নিয়ে দিয়ানের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করলো।

স্যার মেহরাব খান মনে হয় কিছু সন্দেহ করেছে।

মানে ?

স্যার আজকে ড্রাগ মিশানো খাবার দিতে পারিনি মুজাহিদ খানকে। কারণ সে খাবার মেহরাব খান নিজেও খায়নি আর মুজাহিদ খানকেও খেতে দেয়নি।

Whatttt ?

জী স্যার আমি একদম ঠিক বলছি। মনে হয় কিছু সন্দেহ করেছে।

একদিনে কীভাবে সন্দেহ করলো ? আর এক কাজ কর ড্রাগ এখন আর দিতে হবে না ঐ বাড়িতে যতো ড্রাগ আছে সব পাঠিয়ে দে। মাথা কাজ করছে না হঠাৎ করে এ মেহরাব খান কোথা থেকে উদয় হলো সেটাই বুঝতে পারছি না এখনো। তার ওপর আবার গোয়েন্দাগিরি শুরু করলো নাকি ?

স্যার একটা কথা বলবো ?

হ্যাঁ বলো বলবে না কেনো ? বলে আমায় উদ্ধার করো।

স্যার মেহরাব খানকে দেশে আনার পিছনে আপনার হসপিটালের ডক্টর আরফার হাত আছে। আর হাত আছে কী বলছি, বলতে পারেন সেই খুঁজে এনেছে।

Whatttttt ?

জী স্যার আজ দুপুরে এই বাড়িতে এসেছিলো তখনই জানতে পারলাম।

ওকে তোমাকে যে কাজ দিলাম সেটা করো আমি দেখছি এই আরফাকে।

এপাশ থেকে ফোন কেটে দিতেই দেয়ালের দিকে ছুঁড়ে দিলো ফোনটা টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। রাগে ফুসফুস করছে ইশতিয়াক। মাত্র কয়েকদিনের জন্য তার বাবা দেশের বাইরে গেছে আর এতো কিছু হয়ে গেছে। আজ রাতেই চলে আসবে এসব জানলে তাকে আস্ত রাখবে না তার বাবা। আরফার কথা মনে হতেই রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো ইশতিয়াকের।

দাতে দাত চেপে বলে উঠলো, আমি তোমাকে মানা করেছিলাম আরফা কিন্তু তুমি নিজের বিপদ নিজে ডেকে এনেছো। তোমার মতো সামান্য একটা মেয়ের জন্য আমার বাবার এতো বছরের চেষ্টা বিফলে যাবে সেটা কীভাবে মেনে নিবো। অনেক বড় ভুল করেছো তুমি আরফা যার মাশুল তোমাকে দিতে হবে।

১১

প্লেটে খাবার নিয়ে নেড়ে যাচ্ছে আরফা। খিদে মরে গেছে খেতে ইচ্ছে করছে না তার। আজ অনেক বছর পর পুরনো ক্ষতটা তাজা হয়ে উঠেছে। খুব কী প্রয়োজন ছিলো অতীতটা সামনে এসে দাঁড়ানোর ?

মেয়েকে অন্যমনস্ক দেখে তাইয়েবা বললো, কী রে আরফা, বললি খুব খিদে পেয়েছে এখন তো একটা দানাও মুখে দিচ্ছিস না ?

আরফা হটাৎ মায়ের কথায় খানিকটা কেঁপে উঠলো আর বললো, এখন খেতে ইচ্ছে করছে না।

তাইয়েবা ব্যস্ত হয়ে বললো, কেনো রান্না ভালো হয়নি ?

আরফা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললো, আমি রুমে যাচ্ছি একটু রেস্ট নিবো মাথা ব্যাথা করছে।

তাইয়েবা কিছু বলার আগেই আরফা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। তাইয়েবা মেয়ের ব্যবহারে অনেকটা অবাক হলো৷ আজ অনেক বছর পর আরফাকে এমন উদাসীন দেখলো তাই আবার চিন্তা ভড় করলো তাইয়েবার মাথায় কী হয়েছে মেয়ে কে জানে। আরফা রুমে গিয়ে বেলকনির বেতের চেয়ারটাতে পা উঠিয়ে বসলো। টবের বেলি গাছটায় ফুল ফুটেছে অনেকগুলো বেশ গন্ধ ছড়িয়েছে বেলকনিসহ সারা রুম জোরে। ফুলগুলোর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরফা আর চোখ থেকে টপটপ পানি পড়ছে। রুমান এতো কিছু বলে চলে যাওয়ার পরও তাকে খোঁজার কম চেষ্টা করেনি আরফা। অন্ধের মতো ভালো যে বেসেছিলো। সেই রুমান আজ এতো বছর পর বলছে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। রুমানা নামে কেউই নেই আরফার সাথে ব্রেকআপ করার জন্য একটা কৃত্রিম চরিত্র বানিয়েছিলো রুমান। আরফাকে ফিরে চায় তার জীবনে কিন্তু আরফার জীবনে তো অতীতের কোনো জায়গা নেই। অনেক কষ্টে নিজেকে গড়ে তুলতে আর কেউ পারবে না তাকে ভেঙে দিতে। রুমে থাকা ফোনটা বিকট শব্দে বেজে চলেছে। আরফার ঘোর কাটলে নিজের চোখে পানি অনুভব করে অবাক হলো পরক্ষণেই তাচ্ছিল্যের হাসি ফোটে উঠলো ঠোঁটের কোণে কার জন্য কাঁদছে ভেবে। চোখের পানি মুছে রুমের দিকে পা বাড়ালো। ফোন হাতে নিয়ে দেখলো মেহরাব কল দিয়েছে মেসেঞ্জারে। মেহরাবের কল দেখে কপাল কুঁচকে গেলো আরফার।

গলা পরিষ্কার করে রিসিভ করে বললো, আসসালামু আলাইকুম।

মেহরাব শান্ত গলায় বললো, ওয়ালাইকুম আসসালাম,,, সরি এন্ড থ্যাংকস ।

আরফা অবাক হয়ে বললো, কেনো ?

আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম এবং শপিংমল থেকে একা যেতে বলার জন্য সরি আর বাংলাদেশে আসতে বলার জন্য থ্যাংকস।

আপনার সরি বা থ্যাংকস পাওয়ার আশায় আপনাকে আসতে বলিনি। আমার মনে হয়েছিলো স্যারের বিপদ আর সে আমাকে আপন ভেবে হেল্প চেয়েছে ফিরিয়ে কীভাবে দিতাম।

এতোক্ষণ কান্না করার জন্য আরফার গলা অনেকটা ভারী ভারী লাগছে। সেটা মেহরাব বুঝতে পেরে বললো, আপনার গলাটা এমন লাগছে কেনো ?

আরফা থতমত খেয়ে বললো, কোথায় কিছু হয়নি আমার গলা ঠিকই আছে।

মেহরাব বললো, কিন্তু,,,

মেহরাবের কথা শেষ করার আগেই আরফা বললো, রাখছি আল্লাহ হাফেজ।

মেহরাব কিছু বলার আগেই আরফা কল কেটে দিলো।

মেহরাব নিজে নিজেই বললো, এজন্যই আমি কাউকে সরি বা থ্যাংকস বলতে চাই না। কোথায় নিজের ইগো সাইডে রেখে ধন্যবাদ দিলাম আমাকে কিনা অপমান করলো। এই মেয়ের সাথে তো আর কথাই বললো না আমি, যত্তসব।

এভাবে কল কেটে দেওয়ায় মেহরাব অনেকটা অপমানিত বোধ করেছে। তবে আরফার গলা শুনে মেহরাবের কেনো জানি মনে হচ্ছে আরফা কান্না করেছে কিন্তু কেনো ? চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে মেহরাব ঘুমিয়ে পড়লো সকালে তার অনেকগুলো কাজ আছে৷ ভাগ্য ভালো দিয়ানের সাথে কনট্যাক্ট ছিলো তাই কাজটা সহজ হয়ে গেছে। মেহরাব বাংলাদেশে এসেছে শুনে দিয়ান চরম অবাক হয়েছে সাথে খুশি সকালেই দেখা করতে আসবে বলেছে।

সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাটলো আরফার। ঘুম ধরা দিলো না চোখে। ফজরের আযান শুনে নামাজটা পরে ছাঁদে চলে গেলো। বাড়িটা দশ তলা আর আরফা ছয়তলা ফ্ল্যাটে থাকে। ছাঁদে খুব একটা আসা হয় না আরফার। সময় বা ইচ্ছা কোনোটাই হয়ে উঠে না। পূর্ব আকাশটা রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে একটু পরই হয়তো লাল টকটকে একটা সূর্য উঁকি দিবে। গায়ের চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে ছাঁদের পূর্ব পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যদয় দেখতে লাগলো। আজ চারপাশটা পরিষ্কারই লাগছে হয়তো কুয়াশা পড়বে না। দেখতে দেখতে পুরো সূর্যটাই উঠে গেলো আর মিষ্টি রোদ লাগছে গায়ে। গ্রামে থাকলে হয়তো পাখির কিচিরমিচির শোনা যেতো কিন্তু এখানে শোনা যাচ্ছে কাকের কাকা তবু মন্দ লাগছে না আরফার সারারাত ভারী হয়ে থাকা মনটা এখন একটু হালকা লাগছে। আরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেখা করবে রুমানের সাথে। রুমানকে তার কাজের জবাব দেওয়ার সময় হয়েছে।

বেশ বেলা করেই ঘুম ভাঙলো মেহরাবের। ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতেই দেখতে পেলো ড্রয়িংরুমে কয়েকজন বসে আছে মুজাহিদ খানের সাথে।

মেহরাব সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে মুজাহিদ খান একজনকে দেখিয়ে বললো, দাদুভাই এ হচ্ছে হাসান মাহমুদ আমাদের কোম্পানির ম্যানেজার। এতোবছর ধরে আমাকে সাহায্য করে আসছে বিজনেস সামলাতে। আর হাসানের ছেলে ইশতিয়াক সামলাচ্ছে হসপিটাল সেও ডক্টর। আর উনারা কোম্পানির আরো ইমপ্লান্ট কিছু পোস্টে আছে আর উনি আমার এডভোকেট আব্দুল মান্নান। আমাদের প্রোপার্টির সব কাজ উনিই করে। আর আপনারা হয়তো বুঝতেই পেরেছেন এ হচ্ছে আমার নাতি মেহরাব খান।

মেহরাব সবার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বললো, Nice to meet you all.

হাসান মাহমুদ বললো, Nice to meet you too sir.

মেহরাব বললো, আমি আপনার স্যার নই আপনার স্যার তো দাদাজান।

এ কথা শুনে মুজাহিদ খান বললো, আমি নই আজ থেকে তুমিই এদের সবার বস।

মেহরাব না বুঝে বললো, মানে বুঝতে পারলাম না।

মুজাহিদ খান বললো, আগে এখানে বসো।

মেহরাব কথা মতো দাদাজানের পাশে বসে পড়লো আর দাদাজান বললো, আমি এদের সবাইকে এখানে ডেকেছি কারণ আজ তোমার সবকিছু তোমার নামে লিখে দিবো মানে খান বংশের সমস্ত সম্পত্তির মালিক আজ থেকে তুমি।

এটা শুনে মেহরাব অবাক হয়ে তাকালো দাদাজানের দিকে আর একজন কটমট করে তাকিয়ে আছে মেহরাবের দিকে। মনে হচ্ছে পারলে এখনই খুন করে ফেলবে।

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here