অপরিচিত পর্বঃ১০

0
1002

অপরিচিত পর্বঃ১০
লেখিকাঃ তাহমিনা তমা

সিনথিয়া আমার ফাইলটা রেখে গিয়েছি। কোথায় রেখেছি দেখেছো তুমি ?

সিনথিয়ার হাসবেন্ড সিহাব অফিসের ফাইল বাসায় ফেলে রেখে গেছে। সেটা নিতে এসে সিনথিয়াকে ডেকে যখন সাড়া পেলো না তখন ফাইল রেখে সিনথিয়াকে খুঁজতে লাগলো হন্নে হয়ে। জানলার সামনে অন্যমনস্ক হয়ে বসে থাকতে দেখে চুলের মুঠি ধরে দাঁড় করিয়ে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো সিনথিয়ার গালে।

সিহাব দাঁতে দাঁত চেপে বললো, আবার সেই নগরের কথা ভাবছিস তুই ?

আকষ্মিক আক্রমনে ভড়কে গেলো সিনথিয়া। বুঝতে বেশ সময় লাগলো কী হয়েছে ? যখন বুঝতে পারলো চোখ দুটো টলমল করে উঠলো পানিতে।

সিহাব আবার বললো, কী হলো কথা বলছিস না কেনো ? তোকে বলেছিলাম না আমি যেনো কখনো ঐ মেহরাবের কথা তোকে চিন্তাও করতে না দেখি। আবার ভাবছিলি কীভাবে পালিয়ে যাওয়া যায় তার কাছে ? এই সিহাব ছাড়া তোর জীবনে আর কেউ নেই কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নে ভালো করে। আবার কখনো যদি দেখি তোকে ঐ নাগরের কথা চিন্তা করতে তাহলে খুন করে ফেলবো তোকে।

সিহাব কথাগুলো বলে সিনথিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ডাইনিং টেবিলের ওপর থেকে ফাইলটা নিয়ে হনহনিয়ে চলে গেলো। এদিকে সিনথিয়া ফ্লোরে হাটু মুড়ে বসে চোখের জল ফেলতে লাগলো। সিহাবকে মেহরাবের কথা খুলে বলাই আজ সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জীবনের। সিনথিয়া কানাডা থেকে বাড়ি ফিরে দেখে তার বাবার অবস্থা একদমই ভালো নয়। সে দূরে ছিলো বলে তাকে স্পষ্ট করে বলা হয়নি শুধু অসুস্থতার কথা বলে আনা হয়েছে। মৃত্যু শয্যায় শুয়ে সিনথিয়ার হাত ধরে তার বাবা বলেছিলো সিনথিয়ার ফুপিকে সে কথা দিয়েছে তার ছেলের সাথে সিনথিয়ার বিয়ে দিবে। তার যেনো কথার খেলাপ না হয়। ছোটবেলা থেকেই সিনথিয়ার ফুপাতো ভাই সিহাব তাকে ভালোবাসে কখনো বলা হয়ে উঠেনি। ছেলের মনের কথা বুঝতে পেরে ভাইয়ের কাছে তার মেয়েকে চেয়ে বসেন সিনথিয়ার ফুপি। সিনথিয়ার বাবাও বোনকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি। আর সিনথিয়াও পারেনি মৃত্যু শয্যায় থাকা বাবার কথার অবাধ্য হতে। কিন্তু বাসর রাতে সিনথিয়া সব খুলে বলে সিহাবকে এতে লাভ কিছু হয়নি বরং তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে। সিহাব সিনথিয়াকে পাগলের মতো ভালোবাসে তাই সয্য করতে পারেনি এসব। পাগলের মতো আচরণ শুরু করে তার সাথে। বিয়ের এতো বছর পার হয়ে গেছে একটা পরীর মতো মেয়েও আছে চার বছরের তবু সিহাবের মনে হয় সুযোগ পেলেই সিনথিয়া তাকে ফেলে মেহরাবের কাছে চলে যাবে। এক মুহুর্তের জন্য অন্যমনস্ক সয্য করতে পারে না সিনথিয়াকে। সিহাবকে ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখার অনুমতি নেই সিনথিয়ার। সিকিউরিটি গার্ডকে বলে রাখা হয়েছে সিনথিয়াকে বাইরে যেনো যেতে দেওয়া না হয়। সিনথিয়াও কখনো বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেনি। সিহাবকে নিজের নিয়তি মেনে নিয়েছে কিন্তু সিহাব পারেনি সিনথিয়াকে বিশ্বাস করতে।

গাড়িতে বসে সীটে হেলান দিলো সিহাব। চোখ থেকে টপটপ পানি গড়িয়ে পড়ছে। যে হাতে সিনথিয়াকে মেরেছে সেই হাতের দিকে একবার তাকালো। গাড়ির জানলার কাঁচে সজোরে একটা ঘুসি মারতেই ঝরঝর করে ভেঙে পড়লো জানলার কাঁচ আর সিহাবের হাত কেটে গড়িয়ে পড়ছে টকটকে লাল রক্ত।

সিহাব ভেজা গলায় আনমনে বলে উঠলো, তোমার চিন্তাতেও আমি ছাড়া কেউ আসুক সেটা সয্য করতে পারি না আমি সিনথিয়া। আমার ভালোবাসা কখনো তুমি দেখতে পেলে না।

সিহাব গাড়ি নিয়ে অফিসে চলে গেলো। অফিসের সিকিউরিটি গার্ডকে জানলার কাঁচ ঠিক করার ব্যবস্থা করতে বলে ভেতরে চলে গেলো।

১০

খান ভিলার গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেহরাব। বাড়িটা আগের মতোই আছে তবে আশেপাশের সব পাল্টে গেছে। তবে নিজের কাটানো শৈশব ভেসে উঠলো চোখের সামনে। বাড়িটা দেখে একদমই পুরোনো মনে হচ্ছে না তবে গেইটের ভেতরের গার্ড দেখে কপাল কুঁচকে গেলো মেহরাবের। এতো গার্ড কেনো রাখা হয়েছে বুঝতে পারছে না। গেইট ঠেলে ভেতরে যেতে গেলে গার্ড তাকে আটকে দিলো।

গার্ড একবার মেহরাবের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিলো তারপর কপাল কুঁচকে বললো, কাকে চাই এভাবে কোথায় যাচ্ছেন ?

মেহরাব নিজেকে সংযত করে বললো, মিস্টার মুজাহিদ খানের সাথে দেখা করতে চাই। তাকে গিয়ে বলুন কানাডা থেকে মেহরাব খান এসেছেন তার সাথে দেখা করতে।

খান বাড়ির পুরনো কাজের লোক রহমান গার্ডেনে এসেছিলো গাছে পানি দেওয়া হয়েছে কিনা দেখতে। সে যেদিকে নজর না দিবে সেদিকেই কোনো কাজ হবে না। গেইটের এপাশ থেকে মেহরাবের বলা কথায় তার পায়ের গতি থেমে গেলো। যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখানেই থেমে গেলেন। অনেক কৌতুহল আর উৎসাহ নিয়ে ধীরে ধীরে পিছনে ফিরে ধীর গতিতে গেইটের দিকে যেতে লাগলো।

গার্ড বললো, স্যার এখন কারো সাথে দেখা করতে পারবেন না। স্যার এখন অসুস্থ আছে।

মেহরাব কিছু বলবে তার আগেই রহমানকে দেখে তার কথা গলা পর্যন্ত এসেই থেমে গেলো। রহমান টলমলে চোখে তাকিয়ে আছে মেহরাবের দিকে। বাবা-মা দুজনের সাথেই অনেক মিল আছে মেহরাবের চেহারায়।

মেহরাব ক্ষীণ গলায় বললো, রহমান দাদু,,,!

রহমান অনেকটা দৌঁড়ে চলে গেলো মেহরাবের সামনে আর কান্নাভেজা গলায় বললো, ছোট সাহেব আপনি ?

মেহরাব কিছু না ভেবেই রহমানকে জড়িয়ে ধরলো আর বললো, কেমন আছো রহমান দাদু ?

রহমান কাঁদতে কাঁদতে বললো, আমি ভালো আছি ছোট সাহেব কিন্তু বড় সাহেব একদম ভালো নেই।

গার্ডগুলো হা করে তাকিয়ে দু’জনকে দেখে যাচ্ছে। যে গার্ড মেহরাবকে আটকে ছিলো সে রহমানকে বললো, রহমান চাচা আপনি উনাকে চেনেন ?

রহমান চোখ মুছতে মুছতে বললো, এ বাড়ির মালিককেই বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছো না তুমি ? বড় সাহেব জানলে আজ তোমার চাকরি থাকে নাকি দেখো ?

গার্ড অবাক হয়ে বললো, মালিক মানে ?

রহমান হাসি মুখে গর্ব করে বললো, এই মেহরাব খান কে জানো ? মেহরাব হেলথ কেয়ার হসপিটাল, মেডিকেল কলেজ, খান গ্রুপ অব কোম্পানি আর এই বাড়ির একমাত্র উত্তরাধিকারী। বড় সাহেবের নাতি।

এ কথা শুনে গার্ড ভয় পেয়ে গেলো আর মেহরাবের সামনে হাত জোর করে বললো, স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আপনাকে চিনতে পারিনি বড় স্যারকে বলবেন না প্লিজ।

মেহরাব মুচকি হেঁসে বললো, ইট’স ওকে।

রহমান বললো, ছোট সাহেব চলুন ভেতরে চলুন। বড় সাহেব সারাদিন শুধু আপনাদের কথাই বলে। কিন্তু ছোট সাহেব, বউমা আসেননি ?

এ কথা শুনে মেহরাবের মুখের হাসি থেমে গেলো আর গম্ভীর গলায় বললো, না মম আসেনি।

রহমানেরও মুখ মলিন হয়ে গেলো এ কথায়। হঠাৎ মেহরাব আবার বললো, আচ্ছা রহমান দাদু আপনি তখন থেকে আমাকে ছোট সাহেব কেন বলে যাচ্ছেন ? ছোটবেলায় দাদুভাই বলতেন মনে নেই ?

রহমান মুচকি হেঁসে বললো, তখন তো ছোট ছিলেন তাই দাদুভাই বলেছি কিন্তু এখন তো বড় হয়েছেন তাই ছোট সাহেব বলছি।

মেহরাব কড়া গলায় বললো, আমি যত বড়ই হই আপনি আমাকে দাদুভাই বলেই ডাকবেন মনে থাকবে ?

রহমান খুশি হয়ে বললো, ঠিক আছে দাদুভাই।

মেহরাব মুচকি হেঁসে বললো, এবার ঠিক আছে। ছোটবেলার ঘোড়া বানিয়ে যার পিঠে খেলেছি তার থেকে ছোট সাহেব ডাক শুনতে পারবো না।

মেহরাবের ব্যবহারে মনটা ভরে গেলো রহমানের। মনে মনে মেহেকের শিক্ষার প্রশংসা করলো। বাড়ির ভেতরে গিয়ে মেহরাব বুঝতে পারলো বাইরে পরিবর্তন না হলেও ভেতরে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। মেহরাব ড্রয়িংরুমে এসে চারদিকে দেখতে লাগলো। কত স্মৃতি এই বাড়িতে জড়িয়ে আছে। বাবার সাথে মায়ের সাথে তারপর দাদাজান, রহমান দাদু সব যেনো চোখের সামনে আবার ভেসে উঠছে। হঠাৎ সিড়ি দিয়ে কারো নামার আওয়াজে মেহরাব সেদিকে তাকালো। মেহরাবের ভেজা চোখগুলো আবার ঝাপসা হয়ে এলো। তার সামনে এতোগুলো বছর পর তার দাদাজান। আগের মতো সেই তেজ নেই চেহারায়, বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছে, মাথার চুল বা মুখের দাঁড়িতে হাজার খুজেও হয়তো একটা কাঁচা পাওয়া যাবে না। একহাতে লাটি ভড় দিয়ে অন্যহাতে সিড়ির রেলিং ধরে নিচে নেমে আসছে।

নামতে নামতে বললো, কই রে রহমান এক কাপ চা দে দেখি চা ছাড়া কী ভালো লাগে বল ?

এতোবছর পর দাদাজানের আওয়াজ শুনে মেহরাবের চোখে টলমল করতে থাকা পানিটা এবার গড়িয়েই গেলো। অস্ফুটস্বরে বলে উঠলো, দাদাজান।

মেহরাবের এই অস্ফুটস্বরে দেওয়া ডাকটা যেনো বিকট শব্দে আঘাত করলো মুজাহিদ খানের কানে। চমকে সামনে তাকিয়ে এক সুদর্শন যুবককে দেখতে পেলেন যার মুখের আদল অনেকটা তার ছেলে মাহতাব খান আর তার নিজের মতো। একহাতে লাঠি ধরে অন্যহাতে চোখের চশমাটা খুলে একটু পরিষ্কার করে আবার চোখটাও একটু পরিষ্কার করে চশমাটা পরে সামনে তাকালেন। নাহ সে ভুল দেখছে না তার সামনে সেই যুবকটা সত্যি দাঁড়িয়ে আছে। আতংকিত কন্ঠে চিৎকার করে বলে উঠলো, দাদুভাই ,,,, তুমি কী আমার দাদুভাই ?

মেহরাব আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না। হাতের ব্যাগটা ফেলে দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জাপ্টে ধরলো নিজের দাদাজানকে অনেকটা শব্দ করে কেঁদে উঠে বললো, হ্যাঁ দাদাজান আমি তোমার দাদুভাই মেহরাব।

মেহরাবের কথা শুনে মুজাহিদ খানের হাতের লাঠিটা বিকট শব্দে ফ্লোরে পরে গেলো আর সে মেহরাবকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কাঁদতে লাগলেন আর বলতে লাগলেন, এই কে কোথায় আছিস দেখে যা আমার নাতি ফিরে এসেছে আর দাদুভাই চলে এসেছে আমার কাছে। ও দাদুভাই তুমি কোথায় ছিলে এতো দেরি কেনো করলে আসতে৷ আমি যে বছরের পর বছর ধরে তোমাদের পথ চেয়ে বসে আছি।

বেশ অনেকটা সময় দু’জনেই কান্না করলো তারপর একটু শান্ত হলো।

মেহরাবের মুখটা ধরে সারা মুখে কয়েকটা চুমু দিয়ে বললো, দাদুভাই আমার মেহেক মা কোথায় সে কোথায় তাকে তো দেখছি না।

দাদাজানের প্রশ্নে কিছু সময় চুপ করে গেলো মেহরাব তারপর বললো, মম আসেনি দাদাজান।

মেহরাবের কথা শুনে মুজাহিদ খানের হাসিটা মলিন হয়ে গেলো আবার। এদিকে মুজাহিদ খানের চিৎকারে বাড়ির সব সার্ভেন্ট একসাথে হয়ে গেছে ড্রয়িংরুমে। সবাই মেহরাবের দিকে তাকিয়ে আছে কেউ কিছু বুঝতে পারছে না।

হঠাৎ মুজাহিদ খান বলে উঠলো, রহমান যা তো বাড়ির সব গার্ডদেরও ডেকে নিয়ে আয়।

রহমান জী সাহেব বলে চলে গেলো আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব গার্ড নিয়ে হাজির হলো ড্রয়িংরুমে। সব সার্ভেন্ট আর গার্ড লাইন ধরে দাঁড়িয়ে গেলো আর মুজাহিদ খান মেহরাবের পরিচয় দিলো সবার সামনে। বললো আজ থেকে মেহরাবই তাদের স্যার। সব বলা শেষে যার যার কাজে চলে যেতে বললো এরপর মেহরাবকে বললো, দাদুভাই এবার তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো।

মেহরাব ব্যাগটা হাতে নিয়ে বললো, জী দাদাজান।

মুজাহিদ খান বললো, ওটা তোমার নিতে হবে না আমি কাউকে বলছি তোমার রুমে দিয়ে আসতে। ও তুমি তো এখন তোমার রুমে যেতে পারবে না তুমি বরং এখন গেস্ট রুমে যাও আমি এখনই তোমার রুম পরিষ্কার করে দিতে বলছি।

মেহরাব বললো, কেনো দাদাজান আমার রুমে কী সমস্যা ?

মুজাহিদ সাহেব মুচকি হেঁসে বললো, তোমার রুমটা তো এখনো তেমনই আছে সেই সাত বছরের বাচ্চার রুম। তুমি তো আর তেমন নেই বড় হয়ে গেছো তাই রুমটাও তেমন করতে হবে।

মেহরাব আর কিছু না বলে রহমানের দেখিয়ে দেওয়া গেস্ট রুমে চলে গেলো আর মুজাহিদ সাহেব সন্ধ্যার আগে মেহরাবের রুম ঠিক করে দিতে বললেন।

মেহরাব একটা শাওয়ার নিয়ে এসে বেডে শুয়ে পড়লো। অনেক ক্লান্ত লাগছে তার আজ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তাকে। মেহরাবের আবার আরফার কথা মনে পড়ে গেলো। রাগে মুখটা লাল হয়ে গেলো মেহরাবের।

উঠে বসে বিড়বিড় করে বললো, কতো বড় ফাজিল মেয়ে আমার সুস্থ দাদাজানকে বলে কিনা মৃত্যুর আগে আমাকে দেখতে চান। একে আমি একবার হাতের কাছে পাই তারপর বুঝাবো মজা।

এদিকে আরফা অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে নিজের কেবিনে গিয়ে হালকা ফ্রেশ হয়ে নিলো। এটা তার লাইফের ফাস্ট অপারেশন ছিলো। না না অপারেশনটা সে করেনি করেছে সিনান স্যার আরফা শুধু সাহায্য করেছে। আরফাকে হাতেকলমে শেখানোর জন্যই অপারেশনে সাথে নেওয়া হয়েছে৷ আরফা আজ প্রচন্ড নার্ভাস ছিলো তবে অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে তাই এখন মনটা ভালো লাগছে। আজ আরফার আর কোনো কাজ নেই তাই ভাবলো আজ খান ভিলায় যাবে৷ পার্স থেকে খান ভিলার ঠিকানা বের করে দেখে নিলো আরফা। আরফা কী ভেবে ল্যাপটব বের করে মেহরাবকে আবার একটা ম্যাসেজ করলো।

স্যার মেহরাব খান দেশে এসে গেছে আর খান ভিলায়ও পৌছে গেছে।

Whattttt ?

জী স্যার একটু আগেই খান ভিলায় এসেছে।

নো নো এটা কিছুতেই হতে পারে না। মেহরাব যদি বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করে তাহলে সে খবর আমার কাছে কেনো আসবে না।

স্যার আমার মনে হয় হুট করে এসেছে তাই আপনি জানতে পারেননি।

এপাশ থেকে রাগে ফুসফুস করতে করতে কল কেটে দিলো। রাগে ফোন আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেললো। কী করবে হুঁশ পাচ্ছে না।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here