অনন্যময়ী সানজিতা_তুল_জান্নাত পর্ব_৩৯

0
5633

অনন্যময়ী
সানজিতা_তুল_জান্নাত
পর্ব_৩৯

খাওয়া শেষ হলে রিশাদ অনিকে পানি খাইয়ে দেয়। রিশাদ অনিকে রেখে প্লেট নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যায়। প্লেট রেখে হাত ধুয়ে বেরিয়ে এসে দেখতে পায় রিশাদ অনি পুনরায় টেবিলে মাথা দিয়ে চোখ বুজে রেখেছে।

রিশাদ অনির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। বিড় বিড় করে বলেঃ

–“ঘুমকাতুরে পাগলি। একবার ঘুম পেলে দুনিয়াদারির আর কোন খেয়াল থাকে না।”(রিশাদ)

রিশাদ অনির কাছে গিয়ে অনির নাম ধরে ডাকে।

–“অনন্যময়ী!চলুন ঘুমাবেন। এখানে বসে বসে আর ঘুমাতে হবে না।”(রিশাদ)

অনির কোন সাড়া শব্দ পায়না। রিশাদ অনির কাঁধে হাত রেখে হালকা করে ঝাঁকুনি দেয়।
অনি নড়েচড়ে ওঠে।

–“কি হয়েছে?আপনার খাওয়া শেষ?”(অনি)

–“আমার তো খাওয়া শেষ। এখন উপরে চলুন ঘুমাবেন।”(রিশাদ)

–“ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।”বড় করে হাই তুলে কথাগুলো বলে অনি।

বলেই অনি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করে। ঘুমের ঘোরে তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নেয়। অনিকে পড়ে যেতে দেখে রিশাদ সাথে সাথে তাকে সামলে নেয়।

রিশাদ অনির কোমড় পেঁচিয়ে ধরে অনিকে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। অনি রিশাদের উপর পুরো শরীরের ভর ছেড়ে দেয়। অনির ভারে রিশাদ কয়েক পা পিছিয়ে যায়।

অনিকে সোজা করে দাঁড় করালে অনি রিশাদের
কাঁধে মাথা রেখে আস্তে আস্তে পা ফেলে হাঁটতে থাকে। রিশাদ অনিকে বিছানায় শুইয়ে দিতে নিলে অনি একেবারে বিছানার মাঝ বরাবর ধপ করে শুয়ে পড়ে।

রিশাদ অনিকে সরাতে না পেরে হতাশ হয়ে অনির পাশেই কোনমতে শুয়ে পড়ে। অনি ঘুমের ঘোরে রিশাদের বাহুর উপর মাথা রেখে।

অনির এমন কাজে রিশাদ বেশ অবাক হয়।তবে অবাক হলেও সে অনিকে সরানোর চেষ্টা করে না। যেন এমন কিছুই সে চাইছিল।

অনি সব সময় রিশাদের থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখেই থাকে। আজ ঘুমের মাঝে এভাবে তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তাদের মধ্যে দূরত্ব নেই বললেই চলে।

রিশাদ অনির দিকে তাকায়। চোখমুখ কেমন কুঞ্চিত হয়ে আছে। গাল দুটোও কেমন ফুলিয়ে রেখেছে। মনে হচ্ছে কোন কারণে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে।

অনিকে পর্যবেক্ষণ করে রিশাদ দেখতে পায় অনির এলোমেলো চুলগুলো সব পিঠের নিচে চলে এসেছে। চুলে টান পরার জন্যই তার ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে।

রিশাদ এক হাত দিয়ে অনির চুলগুলো আস্তে আস্তে ঠিক করে দেয়। এই প্রথম সে অনির এত কাছাকাছি এসে এভাবে তার চুলে হাত দিয়েছে। অনির দীর্ঘ ঘন কালো চুল দেখে রিশাদ প্রথম দিনেই বেশ অবাক হয়েছিল। অন্যসব কিছুর মতো অনির চুলগুলোও তার নজর কেড়েছে। যা সে টেরই পায়নি।

রিশাদ সাবধানে অনির চুলগুলো সরিয়ে দেয়।আনমনেই রিশাদ অনির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। অনির চোখে মুখে প্রশান্তির ছায়া পড়ে। রিশাদের মস্তিষ্কে কি চলছে তা এই মূহুর্তে বোঝা মুশকিল। অনির দিকে ঘোর লাগানো দৃষ্টি তার।

কিছু সময় যাওয়ার পর রিশাদ এসব উদ্ভট কল্পনাগুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে ঘুমানোর চেষ্টা করে।সারাদিনের ব্যস্ততা ও ক্লান্তির জন্য অল্প সময়ের মধ্য রিশাদের চোখ জুড়ে নেমে আসে রাজ্যের ঘুম। আজ নিজেকে কেমন পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে। তার মন জুড়ে প্রশান্তি হাওয়া বয়ে যায়।

ভোরবেলা ঘুম ভেঙে যায় অনির। ঘুম থেকে জাগা পেয়ে নড়তে চড়তে পারছে না সে। কিছু একটা জাপটে ধরে আছে তাকে। পুরো ব্যাপারটা বুঝে উঠতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে তার। রিশাদ তাকে এভাবে জাপটে ধরে আছে উপলব্ধি করার পর যেন সে আকাশ থেকে পড়ে।

রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো পুরোপুরিভাবে তার মনে নেই। তবে আবছা আবছা মনে আছে। রিশাদ তাকে নিজ হাতে তুলে খাইয়েছে। ভাবতেই শিহরণ বয়ে যায়। দিদা জাহানারা বেগম আর কিছু বিশেষ দিনগুলোতে আশরাফ খান ব্যতীত আর কেউ তাকে এভাবে যত্ন করে খাইয়ে দেয়নি। মুচকি হাসে অনি।

রিশাদের বাহুডোরে আবদ্ধ অবস্থাতেই শুয়ে থাকে অনি। নানান কল্পনা জল্পনা এসে ভিড় জমায় অনির মাথায়। সব কল্পনাগুলোই রিশাদকে ঘিরে। রিশাদের প্রতি নাম না জানা বিরল অনুভূতি যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। কি অদ্ভুত ভাবে সে নিজের অজান্তেই রিশাদের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে।

রিশাদ কিছুটা নড়েচড়ে ওঠে। অনির ভাবনায় ছেদ ঘটে। রিশাদকে সজাগ হতে দেখে অনি দ্রুত চোখ বুজে ঘুমানোর ভান করে থাকে।

রিশাদ ঘুম থেকে জাগা পেয়ে দেখতে পায় তার বাহুডোরে আবদ্ধ অনি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। চুলগুলো অনির চোখমুখ ঢেকে দিচ্ছে প্রায়।

রিশাদ হাত বাড়িয়ে অনির চুলগুলো সরিয়ে দেয়। অনির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে রিশাদের। না চাওয়া সত্ত্বেও তাকে ঘুম থেকে উঠতে হয়। নামাজের দেরি হয়ে যাচ্ছে।

রিশাদ অনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে পড়ে। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে অযু করে বেরিয়ে এসে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়।

রিশাদ বেরিয়ে গেলে অনিও উঠে নামাজ পড়ে নেয়। আজকের সকালটা প্রতিদিনের চেয়ে একটু অন্যরকম লাগছে অনির কাছে। হাসি যেন তার ঠোঁট থেকে ম্লান হওয়ার নামই নিচ্ছে না।

নামাজ শেষ করব রিশাদ বাসায় আসে। সাতটা বাজতে বাজতে রিশাদ রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে। অনি রিশাদের জন্য কফি নিয়ে উপরের দিকে আসছিল। রিশাদ অনির হাত থেকে কফির মগটা নিয়ে সোফায় বসে পড়ে।কফির মগে চুমুক দিতে দিতে হাতের ফাইলটা চেক করতে থাকে।

ব্যস্ততার জন্য ঠিকমতো নাস্তা না করেই বেরিয়ে যায় রিশাদ। রিশাদ বেরিয়ে অনিও উপরে রুমে চলে আসে।

রুমে এসে টুক টাক কাজ সেরে অনি। রুমটাকেও সুন্দর করে গুছিয়ে নেয়। একটু পরেই ডাক পড়ে শায়লা বেগমের। অনি নিচে নেমে সবার সাথে ব্রেকফাস্ট শেষ করে নেয়।

মিথিলা আর রিশার এডমিশন টেস্ট আর সাতদিন পরেই। তাই তারা এখন জোড়েসোড়ে পড়াশোনা শুরু করেছে। মিথিলা অসুস্থতার জন্য কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে তবে সে হাল ছাড়েনি। যে করেই হোক তাকে তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সফল হতেই হবে।

অনি রুমে এসে কিছুক্ষণ ফোন ঘাটাঘাটি করে। অনেকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন আছে সে। তাই সে আজ হোয়াটসএপ মেসেঞ্জার চেক করে। ডাটা চালু করতেই মেসেজের রোল পড়ে।

ইংল্যান্ডে অনির সবচেয়ে ভালো দুজন বন্ধু ছিল মোনালিসা আর ইলিয়ানা। দেশে আসার পর থেকে তাদের সাথে কথাই হয়নি। ইলিয়ানা মোনালিসা তাকে মেসেজ দিয়েছে। সে রিপ্লাই দেয়ার সময়ই পায়নি।

ইলিয়ানাকে ভিডিও কল দেয় অনি। সাথে মোনাকেও এড করে দেয়। অনেকদিন পর তাদের সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগে অনির। অনি তার বিয়ের ব্যাপারটা তাদেরকে জানায় না।

ইলিয়ানা আর মোনার সাথে কথা বলে জানতে পারে আর কিছুদিন পরেই তাদের ফাইনাল সেমিস্টার এক্সাম শুরু হবে। হাতে চার থেকে পাচ সপ্তাহের মতো সময় আছে।

বাংলাদেশে ফেরার পর পড়াশোনার সাথে সম্পর্ক প্রায় বিচ্ছিন হয়ে গিয়েছিল অনির। এক্সামের কথা শুনে অনির টনক নড়ে যায়।

অনি ভাবনায় মশগুল হয়ে যায়। তাকে হয়তো ফিরে যেতে হবে। কিছুক্ষণ পর তার দিদা জাহানারা বেগমকে ফোন দেয়। পরীক্ষার বিষয়ে জাহানারা বেগমের সাথে কথা বলে অনি।

বিষয়টা জাহানারা বেগম একেবারে ভুলে গিয়েছিলেন প্রায়। তিনিও কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান। অনিকে এখন ফিরে যেতেই হবে। কোন উপায় নেই। একরকম বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত নেন। না হলে অনির পুরো বছরটা নষ্ট হয়ে যাবে।

সন্ধ্যা রিশাদ অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসে। সোফায় পা তুলে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে একটা বই পড়ছিল অনি। রিশাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একবার মাথা তুলে তাকায় অনি।

–“আপনি কখন আসলেন?”(অনি)

–“এইতো এক্ষুণি।”(রিশাদ)

–“ওহ আচ্ছা। ফ্রেশ হয়ে নিন। আমি আপনার জন্য খাবার আনছি।(অনি)”বলেই অনি বাইরে যেতে নেয়।

–“অনন্যময়ী!দাঁড়ান।আমি কিছু খাবো না। শুধু এক কাপ কফি হইলে ভালো হতো।”(রিশাদ)

–“আচ্ছা ঠিক আছে।”(অনি)

অনি রুম থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরব গিয়ে রিশাদের জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আসে।

রিশাদ একেবারে গোসল শেষ করে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে। অনি রিশাদের হাতে কফির মগটা দিয়ে লক্ষ্য করে রিশাদের চুলগুলো ভেজা। টুপটুপ করে পানি পড়ছে।

রিশাদ হালকা হেসে অনির হাত থেকে কফির মগটা নিয়ে চুমুক দেয়। সকাল বিকেল অনির হাতের এক কাপ কফি ধীরে ধীরে যেন তার অভ্যেসে পরিণত হচ্ছে। মেয়েটাও মারাত্মক ভালো কফি বানায়। সত্যিই কি তাই? না পছন্দের মানুষের হাতের স্পর্শ পাওয়া প্রতিটা জিনিসের প্রতিই ভালো লাগা সৃষ্টি হয়? এমন উদ্ভট কল্পনায় রিশাদ কিছুটা অবাক হয়।

অনি রিশাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সে রিশাদের সাথে কথা বলতে চায়। সে চাইছিল আরো কিছুদিন সাথে থাকতে।তবে এই অবস্থায় না ফিরেও কোন উপায় নেই। যাই হোক না কেন পরীক্ষা তো আর মিস দিতে পারবে না।

–“কিছু বলবেন অনন্যময়ী?”(রিশাদ)

–“হ্যা। আপনার সাথে খুব ইম্পরট্যান্ট একটা কথা আছে। “(অনি)

–“জি বলুন।”(রিশাদ)

অনি রিশাদকে পুরো ব্যাপারটা খোলসা করে বলে। অনির কথা শুনে রিশাদ একেবারে নীরব হয়ে যায়। যে দিনটার কথা ভেবে সে মাঝে মাঝেই বিচলিত হতো সেই দিনটা আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই।

রিশাদ শান্ত গলায় বলে;”কবে ফিরে যাচ্ছেন।?”

–“এখনো কিছু ফিক্সড হয়নি। দিদার সাথে কথা হয়েছে। ভিসা আসতে কিছু দিন সময় লাগবে। প্রায় সাত থেকে আট দিন। “(অনি)

–“ওহ আচ্ছা। তো ভালোই তো। আপনি খুব শীঘ্রই আবার আপনার আগের জীবনে ফিরে যাবেন। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে আপনার লাইফে।” জোরপূর্বক হাসির রেখা ফুটিয়ে কথাগুলো বলে রিশাদ।

অনির ফিরে যাবার কথা শোনার পর থেকে অজানা ব্যথায় কাতর হয়ে যায় তার হৃদয়মস্তিষ্ক। কথাশূন্যতায় ভুগছে সে।

অনির দিকে তাকিয়ে পায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সে। সে দৃষ্টিতে রিশাদের কথা শোনার আকুতি ছাড়া আর কিছুই নেই। রিশাদ যেন তা বুঝেও না বোঝার ভান করে।

–“কি হলো?এভাবে তাকিয়ে আছেন যে আর কিছু বলবেন?”(রিশাদ)

–“না কিছুনা।”(অনি)

–“ওহ হ্যা ভালো কথা। আপনি তো চলেই যাবেন। বাসায় কি কাউকে জানিয়েছেন?”(রিশাদ)

–“না এখনো জানায়নি। আপনাকেই প্রথম জানালাম।”(অনি)

–“বেশ। ঠিক আছে। আমি আম্মুর সাথে এ বিষয়ে কথা বলবোনি। “(রিশাদ)

–“হুম।”(অনি)

রিশাদ উঠে বাইরের দিকে যায়। যাওয়ার আগে বলে যায় একেবারে নামাজ পড়ে বাসায় আসবে। অনি রিশাদের গমনপথের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিষণ্ণতায় ভরা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে রিশাদ হাঁটতে থাকে। উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটতে থাকে।তার গোছালো জীবনটা ক্রমাগত অগোছালো হয়ে যাচ্ছে। সবকিছু পেয়েও যেন হারিয়ে ফেলছে। আঁকড়ে ধরতে চাইলেও পারছেনা আঁকড়ে ধরতে। সম্পর্কের মধ্যে জড়তা চলে এসেছে। অনুভূতি গুলোকে জোরালো ভাবে ভাষায় প্রকাশ করতে ব্যর্থ সে। হয়তো অনুভূতিগুলো তার নিজের কাছেই অস্পষ্ট। ধরা দিয়েও যেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

অনি চলে যাবে ভাবতেই রিশাদের কেমন ফাঁকাফাঁকা অনুভব হচ্ছে। মন যেন মানতেই চাইছে না। সে কি পারেনা অনিকে আটকে রাখতে??

চাইলেই তো সে পারে অনিকে আটকে রাখতে।হাজার হোক সে অনির স্বামী। যে পরিস্থিতিতেই বিয়ে টা হয়ে থাক না কেন বৈধভাবে তারা স্বামীস্ত্রী তা তো অনিকে মানতেই হবে।

কিন্তু অনি কি সত্যিই তার ডাকে সাড়া দেবে?কেনই বা সাড়া দেবে সে? তাদের মধ্যে তো অনেক আগেই কথা হয়েছিল। অনি তার নিজের জীবনে ফিরে যাবে। অবশ্য সে নিজে থেকেই কথাগুলো বলেছিল। অনি তাতে শুধু সায় জানায়। অনির মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি অবশ্য সে সময় অনিও এটাই চাইত। এখনো হয়ত সেটাই চায়।

জীবনটা ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে। জটিলতার অবসান কোথায়?হাজার রকমের কল্পনা রিশাদের মস্তিষ্ক জুড়ে। সাথে একরাশ নীরব বিষন্নতা। অধিকারবোধ দেখানোর অধিকার আছে তার তবে তা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ সে।

চলবে……

আসসালামু আলাইকুম?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here