অচেনা তুমি পর্ব-৯

0
1286

#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পর্বঃ০৯
সারারার চোখের পাতা এক করতে পারে নি সাদাফ। চোখমুখ ফুলে লাল হয়ে আছে। এক রাতের মধ্যেই চুলগুলো উষ্কখুষ্ক এলোমেলো হয়ে আছে। সেই সকাল ৬ টা থেকে রুমের বাইরে পায়চারি করছে সে এখনো দরজা খুলার কোনো নাম গন্ধ নেই।
মিসেস মালিহা দরজা খুলে দেখলেন তার ছেলে দরজার বাইরে এক বার দিকে যাচ্ছে তো ঘুরে আরেকবার ওইদিকে। ইসস ছেলের চেহারার দিকে তাকানোই যাচ্ছি না। কি অবস্থাই বা না হলো মাত্র কয়েকটি ঘন্টার ব্যবধানে।
মিসেস মালিহাঃ কিরে দরজার সামনে ঘুরঘুর করছিস কেন?
সাদাফঃ আম্মু উঠেছো তুমি? এতোক্ষন ঘুমানো লাগে তোমার? উনি ঠিক আছেন? জ্ঞান ফিরেছে উনার? জ্বর বেশি আছে?
ছেলের এতো অস্থিরতা দেখে মিসেস মালিহা যেন অবাকের চরম সিমানায় দাড়িয়ে ও মনে হচ্ছে তিনি কম অবাক হয়েছেন। এ তিনি ছেলের কোন রুপ দেখছেন। এ সত্ত্যিই তার ছেলে সাদাফ তো?
সাদাফের মাঃ আস্তে বাবা, আস্তে। এখনো তো মাত্র ৮ টাই বাজে। এতক্ষন কই? আর আপনার উনি বেশ ঠিক আছে। জ্ঞান ও ফিরেছে, জ্বর ও কমেছে। এখন ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে গিয়েছে।
সাদাফঃ উফফফ শান্তি। ( বড় নিশ্বাস ফেলে) তারপর চোখ দুটো ছোট ছোট করে বললোঃ আমার উনি মানে?? কি বলতে চাচ্ছো তুমি আম্মু?
সাদাফের মাঃ তুই যা বুঝছিস তাই বুঝাতে চেয়েছি।
সাদাফঃ আম্মুউউ তুমিও না। একদম সবসময় না। সিরিয়াস মুডে কিছুই নাও না তুমি।
সাদাফের মাঃ তবে মেয়েটা কিন্তু বেশ দেখতে, খুব শান্ত আর ভদ্র। আমার কিন্তু বেশ পছন্দ হয়েছে। অবশ্য আমার নাতি নাতনির মা হিসেবে দেখতে মন্দ হবে না।
সাদাফঃ আম্মু তুমি এসব কি বলছো। আমি সত্যি বলছি উনার আর আমার কোনো সম্পর্ক ই নেই। সেখানে তুমি কোথা থেকে কি ভেবে ফেলছো। উনি কাল রাতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলো। আর আমি সাহায্য করেছি ওই আগে টুকটাক পরিচয় ছিলো বলে। এমন এমন কথা বলো না তুমি!! কেউ বলবে তুমি আমার আম্মু? বান্ধবীর মতো ঠাট্টা করো অলওয়েজ।
সাদাফের মাঃ হুম বুঝি বুঝি সব বুঝি। শাক দিয়ে কখনোই মাছ ঢাকা যায় না।
এই বলে তিনি রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন। তবে সাদাফ কিন্তু মনে মনে বেশ খুশি যে তার মা ব্যাপার টা খুশি মনে মেনে নিয়েছেন আর শুভ্রাকেও পছন্দ করেছেন।
সাদাফ শুভ্রার জন্যই অপেক্ষা করছিলো। তবে রুমে ঢুকে নি। মা আসার জন্য অপেক্ষা করছিলো। দরজার ছিটকিনির আওয়াজ শুনতেই সাদাফ শুভ্রার দিকে তাকায়।
বেশ সুন্দর নিপুন ভাবে তার মায়ের শাড়িটি পড়েছে সে। এলোমেলো চুল গুলো হাটুর নিচে পেরিয়ে গিয়েছে। মুখে ঘুম ঘুম ক্লান্তি ভাব। শুভ্রার এই রুপ দেখেই সাদাফের রীতিমতো হার্ট ফেইল করার অবস্থা। কি অপসরা ই বা লাগছে তার মায়াবীনি কে। একদম বউ বউ লাগছে তার কাছে। এরই মধ্যে মিসেস মালিহা ও রুমে প্রবেশ করে। সাদাফকে এভাবে নেশাক্তের মতো করে দেখে থাকতে দৃষ্টি অনুসরণ করে সে ও শুভ্রাকে দেখে। সাদাফের মতো তিনিও শুভ্রাকে দেখে ক্রাশ খেয়ে গেলেন। কেমন জানি দেখতে বাড়ির বউ বউ লাগছে।
শুভ্রা এতোক্ষন পিছন হয়ে দাঁড়িয়ে দরজার ছিটকিনি টা লাগানোর চেষ্টা করছিলো। রুমে কারো উপস্থিতি ও সে টের পাইনি। দরজা লাগানোর পর পেছনে তাকানোর সাথে সাথেই দেখে মা ছেলে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। সাদাফকে দেখা মাত্রই শুভ্রা শাড়ির আচল টা টেনে মাথায় দিয়ে হাত পর্যন্ত ঢেকে দিলো। সাদাফকে দেখেই শুভ্রা খুব অবাক হলো। তারমানে কি ইনিই এই মহিলার ছেলে। তারমানে সাদাফ ই তাকে কোলে করে নিয়ে এসেছে কাল রাতে। এটা মাথায় আসতেই শুভ্রা হচকচিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে।
এইদিকে যে সাদাফ কে দেখা মাত্রই যে শুভ্রা নিজেকে ঢেকে রাখার চেষ্টা দেখে মিসেস মালিহা মুগ্ধের উপর আরো বিমোহিত হচ্ছেন। আজকালকার যুগে এমন কে আছে যে নিজের সৌন্দর্য কে ঢেকে রাখতে চায় পর লোকের চক্ষুক্ষুদা থেকে? সবাই তো নিজের সৌন্দর্য কে আরো বাড়িয়ে নিজেকে আকর্ষন রাখতে চায়। আপাতত ঢাকা শহরে তারা এমনই দেখেছে।
মা ছেলের এমন চাহনি দেখে শুভ্রার লজ্জায় মাটি চিরে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে। তারপর হালকা একটা কাশি দিয়ে ওদের ধ্যান ভাঙায়। তারপর মা ছেলে দুজনেই থতমত খেয়ে যায়।
সাদাফের মাঃ এহেমমম ( গলা ঝাড়ি দিয়ে) বলছি যে তুমার জন্য গরম গরম স্যুপ আর স্যান্ডউইচ এনেছি। কাল রাত থেকে তো কিছুই খাও নি। কিছু পেটে দাও। তোমাকে খুব দূর্বল৷ দেখাচ্ছে।
শুভ্রাঃ আন্টি আপনারা আমাকে নিয়ে এতো ব্যতিব্যস্ত হবেন না। আমি ঠিক আছি। খামকা আমাকে নিয়ে এতো টেনশন করছেন। আমার জন্য আপনাদের অনেক সমস্যা হয়েছে।
সাদাফঃ কিচ্ছু সমস্যা হয় নি মিস শুভ্রা। চুপচাপ বসে খেয়ে নিন। জানেন কাল রাতে আপনার কি অবস্থা হয়েছিলো? আমি না দেখলে কি হতো বলুন তো আপনার?
শুভ্রার কাল রাতের কথা মনে পড়তেই চোখ দুটো ভিজে আসছে। আচ্ছা।সত্যিই কাল কি হতো তার সাথে। শুভ্রা আর কিছু না বলে চুপচাপ খাবারটা খেয়ে নিলো। খুব খিদে পেয়েছিলো। সেই কখন কাল দুপুরেই খেয়েছিলো।
খাওয়ার পর নাদিম ডাক্তার নিয়ে এসে হাজির হলো। পিছু পিছু সাদাফের বাবা ও এসেছে।
ডাক্তার শুভ্রার প্রেশার আর পালস রেট পরীক্ষা করে বললেনঃ পেশেন্ট তো দেখছি মাত্রাতিরিক্ত দূর্বল।খাওয়া দাওয়া কি একেবারেই করে না নাকি? আর দেখে তো মনে হচ্ছে শরীরে রক্তের পরিমান খুবই কম। হাল্কা জ্বর আছে আর প্রেশার টা একটু ফল হয়েছে। আমি কিছু ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করে দিচ্ছি, ঠিক করে সময় মতো খাওয়াবেন। আর ভালো ফলমূল আর শাকসবজি খাওয়াবেন। এই নিন ( প্রেস্ক্রিপশন টা সাদাফের হাতে দিয়ে) ।
সাদাফঃ অকে ডক্টর ঠিক আছে।
ডাক্তারঃ আচ্ছা এবার আমি আসি।
নাদিমঃ আসুন আমি এগিয়ে দেই। সাদাফ আমাকে প্রেস্ক্রিপশন টা দে ওষুধগুলো নিয়ে আসি।
সাদাফঃ আচ্ছা ধর। আর কিছু ফলমূল ও আনিস।
ডক্টর চলে গেলেই মিসেস মালিহা শুভ্রাকে বলেঃ কি গো মেয়ে এই বয়সে এতোকিছু কি করে বাধিয়েছো হ্যা? জোয়ান মেয়ে এখন খাওয়া দাওয়া করবে না তো কবে করবে?
শুভ্রাঃ আন্টি আপনারা সবাই শুধু শুধু আমাকে নিয়ে এতো চিন্তা করছেন। আমি এখন বেশ সুস্থ আছি। আমাকে এতো এতো সাহায্য করার জন্য খুব ধন্যবাদ। আপনারা না থাকলে আমি নিজেও জানি না আজ আমার কি হতো। আমি হয়তো সত্ত্যিই আপনাদের এই মহৎ ঋণ শোধ করতে পারবো না। যদি আমার সুযোগ আর সামর্থ্য দুটোই হয় একদিন আমি আপনাদের উপকার এর কোনাটুকু হলেও মিটানোর চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ।
শুভ্রার এই সততা আর উপকারীর কৃতজ্ঞতা দেখে সাদাফ, সাদাফের মা, বাবার মন সত্যিই ভরে গেলো।
সাদাফঃ এতো পাকনা পাকনা কথা কে বলতে বলেছে? আপাতত আপনি আমাদের বাড়ির মেহমান। আর মেহমান এর যত্ন না করলে আল্লাহ নারাজ হোন। জানেন নিশ্চয়। আপনি যতোদিন সুস্থ হচ্ছেন না তোতোদিন এখানেই থাকবেন। এই আমার নির্দেশ মিস শুভ্রা। ( খানিকটা কড়া গলায়)
সাদাফ এর আগে শুভ্রার সাথে এভাবে কথা বলেনি। যতোবারই কথা হয়েছে সে খুব বিনয়ের সাথে ব্যবহার করছিলো। আর আজ ছেলেটা কেমন রাগে আর চিন্তায় আছে মনে হচ্ছে। চোখ দুটো তো দেখে মনে হচ্ছে সারারাত ই ঘুমোই নি। ফুলে লাল হয়ে আছে। তবে কি শুভ্রার জন্য তাদের পরিবারের খুব বেশিই ঝামেলা পুহাতে হচ্ছে? নিশ্চয় ভালো মানুষ বলে মুখ দিয়ে স্বীকার করছেন না।
শুভ্রাঃ বলছি যে আমি তো এখন ঠিকই আছি। আমার জন্য আর বাড়তি ঝামেলা না করাই ঠিক হবে আন্টি। আমি চলে যাই?
সাদাফঃ মিস শুভ্রা আমি আপনাকে কি বলেছি?? ( চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে একপ্রকার ধমক দিলো শুভ্রাকে)
তারপর গটগট করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
সাদাফের এহেন আচরণে শুভ্রা ভয়ে মিসেস মালিহার পিঠের পিছনে লুকিয়ে পড়ে।
মিসেস মালিহা মিটিমিটি হেসে বলেঃ আমার ছেলেটা খুব জেদি আর রাগী। সহজে জেদ ধরেনা। তবে যা করতে বলে তার অবাধ্য হলেই ভিষণ রেগে যায়। তুমি থাকো না। তোমার থাকায় আমার কতো ভালো লাগছে জানো? সারাক্ষণ তো এই ছেলে, বাবার, আর নাদিমের চেহারা দেখে দেখে বোর হয়ে যাই। তুমি পারবে না আমার সাথে একটু গল্প গোজব করতে একটু সময় কাটাতে?
শুভ্রা মুচকি হেসে বলে ঃ জ্বি অবশ্যই।
সাদাফের বাবা এবার সবকিছু রেখে একটাই কথা বললেনঃ আচ্ছা তোমার বাবা মায়ের নাম কি?
সাদাফের বাবা রুমের এক কোনায় দাড়িয়ে থাকায় শুভ্রা উনাকে এতোক্ষন খেয়াল করেনি। কন্ঠস্বর শোনায় তাকাতেই দেখে মধ্যে বয়ষ্ক সুঠাম দেহী এক লোক। চেহারাটা হুবহু সাদাফের মতো দেখতে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো উনাকেও কেমন চেনা চেনা লাগছে। যেন তাদের মতো কাউকে সে রোজই দেখে। পেটে আসছে মনে আসছে না।
শুভ্রাঃ আসসালামু আলাইকুম।
সাদাফের বাবাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। আচ্ছাহ তোমার আম্মু আব্বুর নাম টা একটু বলবে মা?
শুভ্রাঃ জ্বি আংকেল আমার আব্বুর নাম কাউ…..
সাদাফের মাঃ আহহহ শুরু হয়ে গেলোতো গোয়েন্দাগিরি প্রশ্ন? বলি মেয়েটা কি পালিয়ে যাচ্ছে? একটু রেস্ট নিতে দাও না।
সাদাফের বাবাঃ আরে না না ও বলছিলো তো।
সাদাফের মাঃ উফফফ তুমি যাবে। চলো চলো। শুভ্রা মা তুমি রেস্ট নাও হ্যা। আমরা আসি এখন।
বেশ কিছুক্ষন পর সাদাফ হাতে একটা ওষুধের প্যাকেট আর কিছু কাটা ফল বাটিতে করে নিয়ে এলো৷
সাদাফঃ এই নিন মিস শুভ্রা ওষুধগুলো চটপট খেয়ে নিন তো।
শুভ্রাঃমি চৌধুরী , দেখুন আমি সম্পুর্ন সুস্থ। একদম ঠিক আছে। এসব ওষুধ তষুদ খেতে হবে নাহ।
সাদাফঃ বেশি বুঝেন বলেই তো শরীরের এই অবস্থা করে রেখেছেন। এতোদিন যেমন করেছেন চলেছেন। এবার থেকে আর তেমন কিচ্ছু হবে না। আপনি সুস্থ হয়ে উঠলেই আমার কোম্পানিতে আপনার চাকরি কর্নফার্ম। রোজ রোজ এই অবস্থা আর সহ্য হচ্ছে না আমার মিস শুভ্রা। কেন বুঝতে চাইছেন না? আর একবারও ওই বাড়িতে কাজ করার চিন্তাও করবেন না।
শুভ্রাঃ হাহ যাওয়ার আর সুযোগ ই বা কোথায় ( ছোট করে)
সাদাফঃ হুম?? শুনি নি। আচ্ছা সেগুলো রাখেন। আগে ওষুধ খান এই নিন।
শুভ্রার বরাবরই ওষুধ খাওয়াতে তীব্র অনিহা। বাড়ি থাকা কালীন জ্বর উঠলেও মা বাবার হুশ বের হয়ে যেতো তার ওষুধ খাওয়া নিয়ে। তবে সাদাফের সাথে তার বাড়তি ন্যাকামি করতে ইচ্ছে করছে না। এমনিতেই হয়তো তার জন্য সাদাফ তার উপর বিরক্ত হয়ে রয়েছে। চুপচাপ বাধ্য মেয়ের মতো সে ওষুধগুলো খেয়ে নিলো আর সাদাফ এরপর ফলের বাটিটা হাতে ধরিয়ে দিলো। শুভ্রা আস্তে আস্তে একটা একটা ফল খাচ্ছে। শুভ্রার সাথে একরুমে সাদাফ একা থাকায় শুভ্রার একটু অস্বস্তি লাগছে। কারণ এর আগে সে কোনো দিন কোনো পর পুরুষের সাথে এভাবে একাকি সময় কাটায় নি দরকার ছাড়া। মিসেস মালিহার ও এ রুমে আসার নাম গন্ধ নেই। এদিকে সাদাফ ও চুপচাপ বসে আছে। রুমের চারদিকে চোখ বুলাতে বুলাতে দুজনেই চোখাচোখি হয়ে পড়ে। শুভ্রা হঠাৎ চোখ ফিরিয়ে নিলেও সাদাফের চোখমুখ যে শুকিয়ে আছে তা ভালো করেই লক্ষ করে।
শুভ্রাঃ আচ্ছা আপনি খেয়েছেন?
সাদাফের নিজেরই খেয়াল নেই যে সে কাল রাত থেকে কিছুই খাই নি। শুভ্রাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে পেটের খিদে ও হয়তো পালিয়ে গিয়েছে তার।
সাদাফঃ হুম খেয়েছি।
শুভ্রাঃ সত্যিই?
সাদাফঃ হু।
শুভ্রা হাত থেকে ফলের বাটিটা নিয়ে খাটের পাশে রেখে দেয়।
সাদাফ একি রেখে রিয়েছেন কেন?
শুভ্রাঃ বুখা মানুষের সামনে গপগপ করে খেয়ে আমার পেট নষ্ট করে তো আর লাভ নেই।
সাদাফ চোখ ছোট ছোট করে বলেঃ মানে?
শুভ্রাঃ মানে বুঝিয়ে বলতে হবে? কেউ যদি কাল রাত না খেয়ে না ঘুমিয়ে থাকে আর আমি যদি তার সামনে আরামে শুয়ে শুয়ে খাই তাহলে তো আমার পেট ব্যাথা করবেই মি.চৌধুরী।
সাদাফ ফেলফেল করে শুধু শুভ্রার দিকে তাকিয়ে থাকে।
শুভ্রাঃ যতোক্ষন এখন আপনি খেয়ে আসবেন না আমি তো খাবই না তার উপর চলে যাবো। শুধু শুধু কারো বাড়িতে থেকে তো তাদের বাড়ির লোকজনকে খেতে না দিয়ে আমি নিজে খেলে চলবে না।
সদাফ খেয়াল করলো শুভ্রা ঘুমে টুলুমুলু করছে। হয়তো ওষুধ কাজ করছে। ঘুম আসা সত্বেও ঘুমের সাথে লড়াই করে চোখ খুলা রাখার বৃথা চেষ্টা করে করে কথা গুলো বলছিলো। তারপর আরো কিছুক্ষন বিড়বিড় করে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলো শুভ্রা।
সাদাফ ও গিয়ে ফ্রেশ হতে আর খেতে চলে গেলো।
#চলবে।
(আজ কিন্ত খুব তাড়াতাড়ি দিলাম, কেমন লেগেছে বলবেন, ধন্যবাদ ???)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here