You_are_mine season_2 Poly_Anan Part_14

0
1520

You_are_mine
season_2
Poly_Anan
Part_14

লেহেঙ্গার দুইপাশটা জাপটে ধরে ঈশা রুম থেকে বের হয়। কিন্তু রুম থেকে বের হয়ে যা দেখলো তার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।যে যেভাবে পেরেছে ঠিক সেইভাবেই ঘুমিয়ে আছে।হাসিনের বউ আর অনু দুজন দুজনকে ধরে সোফায় বসে ঘুমোচ্ছে।দিহান এক কোনায় হেলান দিয়ে ঘুমচ্ছে।ঈশা সবাইকে ধাক্কা দেয় কিন্তু কারো কোন হুস নেই।গুটি গুটি পা ফেলে অন্যদের খুজতে থাকে তাদেরো ঠিক একই দশা ঈশার বাবা মা ঘুমিয়ে আছে।ঈশার বুঝতে আর বাকি রইলো না এটা কোন পরিকল্পিত ঘটনা কিন্তু কে করলো এমন।
“ঈশান নয়তো…!

নামটা ভেবেই ঈশা দুই পা পিছিয়ে যায় বুকে হাত দিয়ে আল্লাহর নাম জপতে থাকে।
ঈশা অনুভব করে তার ঘাড়ে কারো গরম নিশ্বাস পরছে!ঈশা পেছনে ঘুরতেই কাংখিত ব্যক্তিটিকে দেখে চিৎকার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। কিন্তু তখন তার মুখে ক্লোরার্ফম স্পের রুমাল নাকে চেপে ধরে।মূহুর্তেই ব্যক্তিটির বুকের সাথে ঢলে পড়ে সে। আর ব্যক্তিটি তাকে পাজা কোলে নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

বর পক্ষ এসে পড়েছে প্রায় পাচঁ মিনিট হলো,কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না গেটের সামনে।বর পক্ষের অথিতীরা একজন আরেক জনের মুখের দিকে দেখা দেখি করছে।পরবর্তীতে উপায় না পেয়ে রায়হান নিজে উপরে চলে যায়।কিন্তু উপরে গিয়ে সবাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে তার চোখ ছানা বড়া হয়ে যায়।প্রতিটি রুমে ভালো করে সার্চ করে যখন ঈশাকে পায় না তখন রাগের মাথায় টি-টেবিলে একটি লাথি দিয়ে বলে,
“ওহহ শীট! এত বড় ধোকা! শেষ পর্যন্ত ঈশাকে আটকাতে পারলাম না।রনি দ্রুত গাড়ি বের কর(তার পিএ কে ইশারা করে)
(গল্পটি লেখনীতেঃপলি আনান)

দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে ঈশান। তার পাশেই ঘুমন্ত ঈশা।বার বার আড় চোখে ঈশার দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বিড়বিড় করছে ঈশান।
” তোর বিয়ের শখ হয়েছে তাইনা। কিরে তোর বিয়ের শখ হয়েছে। আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারলিনা।আমি তো মম আর পাপা কে বিয়ের কথা জানিয়ে ছিলাম। তারাও রাজি! পাপা সুস্থ হলে এতক্ষনে নিশ্চই বিয়ের প্রপোজাল তোদের বাড়িতে চলে যেতো কিন্তু তুই কি করলি আমাকে না জানিয়ে বিয়ের পিরিতে বসে গেলি বাহ বাহ!

এই তোর বিশ্বাস এই তোর ভালোবাসা।তুই দুইদিন আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারিস না সেই তুই আমার জন্য কি করে সারাজীবন অপেক্ষা করবি?নেহাত অনু আর দিহান সবটা জানিয়েছে না হলে চোখের পলকেই তোকে আমি হারাতাম।(রেগে)

ঈশান আরো স্প্রিডে ড্রাইভিং করতে থাকে।ঈশানের ভাবনায় আসে কিছু কথা।ঈশার জন্য আলাদা করে কিছু গাড রাখা হয়েছে তাহলে সেই গাড অবশ্যই ঈশানকে জানোর কথা ঈশার বিয়ে হচ্ছে। ঈশানের পার্সনাল গাডরা সব লাপাত্তা তারা কোথায়? ঈশানের সাথে ঈশার বাড়ি সিকিউরিটির আগে থেকেই ভাব সে তো ঈশানকে যানানোর কথা কিন্তু সে পর্যন্ত যানায়নি ঈশার বিয়ে।আজ যখন ঈশান ঈশার ফ্লাটে ডুকছিল তখন অন্য একজন সিকিউরিটি তার চোখে পরে।মানে কি? সব কিছু কি আগে থেকেই সুক্ষ্ণ পাবে পরিকল্পিত।ঈশান গাড়ির স্প্রিড কমিতে ভাবতে থাকে, হয়তো তার পুরনো কোন শত্রু আগে থেকেই ফাদঁ পেতে রেখেছিল! কিন্তু ঈশা, ঈশা কি করে বিয়েতে রাজি হলো?
ঈশান আরেকবার ঈশার দিকে তাকায়। তার মনে পরে যায় সেদিন রাতের কথা। ঈশা তাকে নিজে থেকে জড়িয়ে ধরেছিল!তার ঘাড়ে মাথা রেখেছিল সবটাই ছিল অদ্ভুত তার মানে ঈশা টের পাচ্ছিল আমাদের বিছিন্ন হওয়ার বিষয়টা।ঈশা আমাকে ভালোবাসে এটা যেমন মিথ্যা নয়। ঈশাকে যে বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছে এটাও মিথ্যা নয়।

ঈশান গাড়ির সিটে মাথা হেলান দিয়ে একটি দীর্ঘ শ্বাস নেয়।ঈশান এক সাইডে গাড়ি পার্ক করে এক দৃষ্টিতে ঈশার দিকে তাকিয়ে থাকে।তখনি মনে পড়ে যায় ঈশা আজ অন্য কারো জন্য বউ সেজেছে।অথচ ঈশা তার লিগ্যাল ওয়াইফ।ঈশানের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে ইচ্ছে করছে সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে।ঈশার হাতের দিকে তাকালে মেহেদীর ডিজাইন লক্ষ্য করে।তখন মনে পড়ে যায় হাসিনের বিয়ের কথা। তার বিয়ের সময় ঈশান ঈশার হাতে স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছিল You are Mine। ঈশান দ্রুত ঈশার হাত চেক করে এই হাতের তালুতে আজ কার নাম?।কিন্তু ঈশার মেহেদী রাঙ্গা হাত দেখেই ঈশান ঠোটঁ কামড়ে হাসতে থাকে। মেহেদী রাঙ্গা হাত দুটোতে বেশ আড়ালে Ishan নামটি লেখা৷ খুব সুক্ষ্ণ দৃষ্টিতে না তাকালে কেউ বুঝবেনা এখানে ঈশানের নাম।

ঈশান ঈশার হাত টেনে চুমু খেয়ে বলে,
“ঈশা আমাকে ঠকায়নি সে আমায় ভালোবাসে সত্যি ভালোবাসে।
ঈশান ঈশার দিকে আরেকবার পরখ করে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। এই বিয়ের সাজে ঈশাকে তার সহ্য হচ্ছেনা৷ ঈশান গাড়ি চালিয়ে তার গন্তব্যে পৌছে যায়।বেশ গ্রামের দিকে চার দেয়ালের উপরে টিন দেওয়া একটি ঘরের দরজা খুলে ঈশান,এর আশে পাশে কোন জন বসতি নেই তেমন।এই ঘরটায় ঈশান এর আগেও এসেছে।এটি ঈশানের সিকিউরিটির পুরোনো বাড়ি।এই মূহুর্তে ঈশানে জন্য এই ঘরটাই সবচেয়ে নিরাপদ কেননা যেকোন হোটেলে উঠলে বা নিজের বাড়িতে গেলে ঠিকি ঈশানকে এট্রাক করবে শত্রু পক্ষ। তাই ঈশাকে আর নিজেকে সেইফ করতে এই বাড়িতে উঠেছে সে।সিকিউরিটি আগে থেকেই তাদের জন্য সব ব্যবস্থা করে রেখেছে।
ঈশাকে বিছানায় শুইয়ে তার মুখে পানির ঝাপটা দেয় ঈশান।

” কি রে বিয়ে করছিলি??
ঈশা পিট পিট করে চোখ খুলে।তার মাথা ভারী হয়ে আছে।ঈশানকে দেখেই সে ঝাপিয়ে পড়ে ঈশানের বুকে ।শব্দ করে কাদতে থাকে। ঈশান দুই হাতে ঈশাকে আকড়ে ধরে এইভাবে কেটে যায় পাচঁ মিনিট।কিন্তু মূহুর্তেই ঈশা ঈশানকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।

“আয়া আমাকে এখানে কে এনেছে(ঘাবড়ে)
” কেন আমি?
“আমার আজ বিয়ে! রায়হানের সাথে আমার বিয়ে আপনি আমায় কেন এনেছেন এখানে?
” ঈশু তুমি খুশি হওনি, তোমাকে আমি বাচিঁয়ে দিয়েছি কি বলছো তুমি এইসব।
“না আমি খুশি হইনি! খুশি হবো কি করে বিয়ের আসর থেকে একটি মেয়েকে তুলে এনে বলছেন খুশি হতে!আজব।
“তুমি কি বিয়েটা করতে চেয়েছিলে?(ভ্রু কুচকে)
” অবশ্যই চেয়েছি..!

আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারেনি ঈশান কষিয়ে ঈশার গালে একটি চড় লাগায়।ঈশার এবার ভয় লাগছে ছল ছল চোখে ঈশানের দিকে তাকিয়ে দেখে ঈশানের মুখ লাল হয়ে গেছে যেন চামড়া ফেটে রক্ত বেরিয়ে যাবে।ঈশান চোখ রাঙ্গিয়ে তাকিয়ে আছে ঈশার দিকে ঈশার দ্রুত তার দৃষ্টি সরিয়ে নেয়।ঈশান ঈশার গাল চেপে ধরে বলে,

“কেন করছিস এইসব কেন? কি সমস্যা তোর আমি তোকে ভালোবাসি নি? তোর আমাকে ছেড়ে যাওয়ার সাহস কি করে হলো?
” আপনার সাহস কি করে হলো অন্যর হবু বউকে তুলে আনার?(ছল ছল চোখে)
ঈশান এবার ঈশাকে ছেড়ে দিয়ে শব্দ করে হাসতে থাকে।তারপর কিছু পেপার’স নিয়ে ঈশার সামনে বসে।
“তুই কার হবু বউ আমি যানি না! কিন্তু তুই আমার বিবাহিত বউ!
” মিথ্যা কথা।
ঈশান কিছু কাগজ ঈশার দিকে ছুড়ে মারে। ঈশা কাগজ গুলো ভালো করে লক্ষ্য করে দেখে এটা বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপার।আর ঈশার নিজ হাতের সাইন আছে সেখানে।
“এএএএই সব নকল(অবাক হয়ে)
ঈশান টেনে ঈশার হাত থেকে কাগজ গুলো নিয়ে বলে,
” একটাও নকল নয়।সব সত্যি উলটো এগুলো নকল করার দায়ে তোমাকে জেলে ডুকিয়ে ছাড়বো।জেলে তো তুমি এমনিতেই ডুকবে প্রথম হাজবেন্ড থাকা সত্ত্বেও অন্যকে বিয়ে করছো বাহ!
“আমি কখনো আপনায় বিয়ে করিনি তাহলে এইসব কি?(রেগে)
” মনে আছে,হাসিনের হলুদ অনুষ্ঠানে কিছু কাগযে সাইন করেছিলে এইগুলো সেই কাগজ।তুমি তো দ্রুত সাইন করছিলে কিন্তু অনু একটু হলে টের পাচ্ছিল তাই তোমাকে বার বার সাবধান করেছিল।পরবর্তীতে আমি তাকে ধমক দিয়ে চুপ করাই
।তখন ভেবেছিলাম তোমাকে এমন হুট হাট ছুয়ে দেওয়া আমার কাছেও আনেজি ফিল লাগে। আর তোমাকে তো আমার করেই ছাড়বো যার জন্য এত কিছু তাকেই যদি না পাই তাহলে জীবন বৃথা।তাই আমার বউ বানিয়ে নিয়েছিলাম যেন পুরো অধিকার টাই থাকে(ভ্রু নাচিয়ে)

ঈশা মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে যায়।ঈশান তার মানে তার হাসবেন্ড।
ঈশান ঈশার হাত টেনে বিছানায় বসিয়ে দেয় আর একের পর এক ওরনামেন্ট গুলো খুলতে থাকে।
“তোর বিয়ে করার এত শখ!কি দেখে লোভে পড়েছিস এইসব ডাইমন্ড দামি নেকলেস দেখে।এর থেকেও তোকে দামি দামি গহনা গড়িয়ে দিতাম। এই ঈশান শাহরিয়ারের না টাকার অভাব নেই তোর মতো মেয়ে দশ বার মুড়িয়ে দেওয়া যাবে এইসব ডাইমন্ড দিয়ে।

ঈশা মাথা ঝাকিয়ে কেদেই যাচ্ছে! ঈশান হাতের বেস্টলেটটি টেনে খুলে ছুড়ে মারে। ঈশার হাতের চামড়া ছিড়ে দাগ বসে যায়। একে একে আংটি, গলার হার সব টেনে খুলে ছুড়ে মারে।ঈশার গলার চামড়াটাও ছিড়ে যায়।অসহ্য ব্যথায় ঈশা চিৎকার দিয়ে উঠে।ঈশান নিজেকে শান্ত করে অন্য একটি ড্রেস নিয়ে ঈশার দিকে ছুড়ে মারে।

” পাচঁ মিনিট সময় দিলাম তার মধ্যে ড্রেস্টা চেঞ্জা করবে আসবে…কুইক!
ঈশা এখনো ঠায় শক্ত হয়ে বসে আছে। সে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদছে, একের পর এক হেচঁকি দিয়ে যাচ্ছে। ঈশানের এমন ব্যবহার আগে দেখেনি তবে মন থেকে নিজের দোষটাই আগে দিয়েছে ঈশান তো তাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা টাতো মিথ্যা ছিল না।তবে…
সে নিজেও পরিস্থির শিকার। কি করবে সে। সে নিরুপায়।
ঈশাকে বসে থাকতে দেখে ঈশান ধমকে উঠে,
“আমি যেতে বলিনি(ধমক দিয়ে)
ঈশার কান্নার শব্দ আরো জোরে বেড়ে যায় একের পর এক হেঁচকি শব্দ করে দিয়ে যাচ্ছে।ঈশার কান্না ঈশানের শরীরে কাটার মতো বিধঁছে।

” কান্না থামাও না হলে আই সোয়্যার সারারাত আমি বাইরে গাছের সাথে বেধে রাখবো তোমায়।
ঈশার এবার হেচঁকি আরো বেড়ে যায়, কান্নার তালে কিছুক্ষন পর পর কেপে উঠছে। দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে কান্না বন্ধ করার চেষ্টায় আছে কিন্তু কান্না যেনো আর ২ গুন বেড়ে গেছে।ঈশান ঈশার অবস্থা বুঝতে পেরে তাকে হেচঁকা টেনে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়।একদম শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঠিক সেই দিনের মতো। ঈশা ঈশানের পিঠ খামচে কাদতে থাকে কিন্তু ঈশান হুট করেই ঈশাকে ছিটকে দূরে সরি রে দেয়,
“এই সাজ পোশাকে তোকে ছুয়ে দিতে আমার ঘৃণা হচ্ছে। দ্রুত ওয়াশরুমে যাবে না হলে…..

ঈশা দ্রুত ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালে ঈশান দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে যায়। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে ফুফিয়ে কাদতে থাকে। কেন এমনটা হচ্ছে।নিয়তি তাদের সাথে কেন খেলছে।ঈশান গাড়ি থেকে খাবারের কিছু প্যাকেট বের করে।ঈশার জন্য খাবার জামা কাপড় ঈশান কিডন্যাপের আগেই কিনে রেখেছে।কারন সে যখন দেখছে পরিস্থিতি অনুকুল তখন সে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে।সবাই হয়তো বেইমানি করেছে কিন্তু ঈশানের সেই সিকিউরিটি ছাড়া।লোকটি ঈশানের বাবার থেকেও বয়স্ক।

ঈশা ওয়াশরুম থেকে বের হলে ঈশান ঈশার অগোচরেই নিষ্পলক ভাবে ঈশার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে।কত শুদ্ধু পবিত্র লাগছে তাকে।ঈশা ভুলেও ঈশানের দিকে তাকাচ্ছে না কারন ঈশা ভেবেই নিয়েছে ঈশান তার দিকে ক্রুদ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

” হা করো..!
ঈশা মুখ খুললেই ঈশার মুখে ঠেসে খাওয়ার পুরে দেয় ঈশান।ঈশাও প্রায় তিনদিন থেকে তেমন কিছু খায়নি তাই চুপ চাপ খেয়ে যাচ্ছে।
“রাসেল ভাইয়া আসেনি?
“না! বাবার স্টোক হয়েছে আইসিউতে আছে তাই তাকে রেখেই আমি এসেছি। মা যানেনা আমি বিডিতে।(গম্ভীর কন্ঠে)
ঈশা চমকে তাকিয়ে থাকে ঈশানের দিকে।

খাওয়া শেষ হলেই ঈশা ঈশানের দিকে একবার তাকিয়ে বলে,
” আমি অনুর সাথে কথা বলবো।
“আমার ফোন বন্ধ।
” তাতে কি আমি কথা বলবো!
” হে, লোকেশন ট্রেস করে যেন আমাকে ধরতে পারে সেই ধন্ধায় আছো তুমি?
ঈশা ভ্রু কুচকে ঈশানের দিকে তাকায়।
“বাই দা ওয়ে কোন ছেলের সাথে বিয়ে হচ্ছে তোমার? কি এমন বড় লোক ছেলে যাকে দেখে তোমার বাবা মা দুই চার না ভেবেই মেয়েকে বিয়ের পরিতে বসিয়ে দিলো।
ঈশা চুপ করে আছে ।ঈশাকে চুপ থাকতে দেখে ঈশান ধমক দিয়ে বলে,
” খবরদার আমার সাথে ঘাড় ত্যারামি দেখাবেনা আমার রাগ তুমি এখনো ১০০ ভাগের ১০ ভাগ ও দেখনি তুমি যা করেছো তার জন্য কি মাফ পেয়ে যাবে নো ওয়ে। কাল থেকেই শুরু হবে আমাদের স্বামী স্ত্রী হিসেবে নতুন জীবন।(বাকা হেসে)
এবার বলো কে সেই রাজ পুত্র যাকে দেখে আমার শশুড় শাশুড়ী আমার বউকে অন্যর সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছে।

“রর রায়হান শেখ…!

রায়হান শেখ নামটা শুনেই ঈশানের কপাল কুচকে যায় এই রায়হান শেখ কে সে চিনে! খুব ভালো করেই চিনে।
ঈশান এবার মোবাইল নিয়ে দ্রুত অন করে আর ঈশাকে কিছু ছবি দেখায়,
“দেখতো এই লোকটা কি না?
ঈশা উপরে নিচে মাথা দুলাতে থাকে এই সেই রায়হান শেখ যার সাথে ঈশার বিয়ে…!
ঈশার উওর পেয়ে এবার ঈশান ঘর কাপিয়ে হাসতে থাকে৷ ঈশানের হাসির কোন কারন খুজে পায় না ঈশা।
“রায়হান শেখ কি করে ঈশা?
“ব্যবসা!
“রায়হান শেখ একজন সন্ত্রাস!(ধমক দিয়ে)
কথাটি শুনেই ঈশা চমকে যায়।
” মানে কি বলছেন এইসব।
“আমি ঠিক বলছি।এমন কোন খারাপ কাজ নেই যে তিনি তার সাথে জড়িয়ে নেই।ছোট ছোট বাচ্চা গুলোকে দিনের পর দিন পাচার করা হচ্ছে।মাদক চালান সহ নারী পাচার তো আছেই।
” আপনি এত কিছু যানলেন কি করে?
“রায়হান যখন এই রাজ্য প্রাথম প্রবশ করে তখন আমি এই রাজ্যর কিং!

ঈশানের কথা শুনে ঈশার চোখ বড় বড় হয়ে যায়।
“, তার মানে আপনি এইসব দুই নাম্বারি ব্যবসায় জড়িত।
” একদম উলটা পালটা কথা বলবে না। তোমার হয়তো জানা নেই সব দিকেরি একটি ভালো এবং একটি খারাপ দিক থাকে। গিয়ে দেখ রায়হান শেখ তোমাকে এখন হন্য হয়ে খুজছে।আমার এটাই মাথায় আসছে না রায়হান তোমাকে পেল কোথায়।রায়হান অনেক বিয়ে করেছে তার প্রমান আমার কাছে আছে তারপর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে সেই মেয়েদের পাচার করা হতো।

“আমাকে না পেয়ে বাবা মায়ের সাথে উলটা পালটা কিছু করবেনা তো?
কথা বলেই ঈশা কেদেঁ দেয়।কাদতে কাদতে কিছুটা দম নিয়ে বলে,
” অনুকে ফোন করুন আমি কথা বলবো।
“পাগল নাকি আজ সবচেয়ে বেশি হ্যারাসমেন্ট হবে অনু কারন সে তোমার ফ্রেন্ড।এখন যদি ফোন দেওয়া হয় তাহলে সব দিক থেকেই আমার এত সব প্লানিং শেষ হয়ে যাবে।
” তাহলে আমার বাবা মা? আমার বাবা মাকে যে রায়হান ছেড়ে কথা বলবেনা!(চিৎকার দিয়ে)

“রায়হানকে ফাসানোর সবচেয়ে ভালো সুযোগটা তার বিরুদ্ধে প্রমান বের করা।রায়হানের বিরুদ্ধে আমার সব প্রমান যোগার করা শেষ।কিন্তু যখনি আমরা তৈরি হচ্ছিলাম রায়হানকে এট্রাক করবো ঠিক তখনি তুমি আমার জীবনে এলে! আর সব কিছু ভিন্ন করে দিলে।কিন্তু আজ যখন অনু আমাকে সবটা যানিয়েছে আমিও তখন অনুর মাধ্যেমে সবটা সিওর হই আর রায়হানের নামে সব অভিযোগের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্ব যে অভিযোগটা দি তা হলো আমার বউকে ব্লকমেইল করে বিয়ে করার।

তোমাদের বাড়ির চারিদিকে অলরেডি আমি আসার আগেই পুলিশ, র‍্যাব ঘিরে রেখেছিল আফটার অল শীর্ষ সন্ত্রাসীকে এরেস্ট করা সহজ কথা নয় কিন্তু।

ঈশা মুখে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে থাকে মাথার ভেতরে সবটা জট পাকিয়ে যাচ্ছে।ঈশান যা বলছে তা ঈশা বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে কিন্তু এর আড়ালে যে আরো কত কি ঘটছে তা ঈশান কি যানে…?

“ঈশা,
” হুম।(আনমনে)
“তুমি ভেবো না তুমি মাফ পেয়ে যাবে। শাস্তি তোমায় দেবো অন্য ভাবে।
ঈশা ড্যাব ড্যাব করে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।
” কাল হানিমুনে যাবো!
“কি..?(চিৎকার দিয়ে)
” জি….।
#চলবে…….

?অনেকেই বলছেন গল্পে ঈশান ঈশার মিল দাও আমি নাকি গল্প বেশি প্যাচাই।গল্প লেখার আগেই কোন পর্বে কি হবে সবটা আমার ভাবা হয়ে গেছে আপনাদের মতো করে গল্প সাজাতে গেলে পুরো গল্পই জগাখিচুরি হয়ে যাবে। আর যারা বলছেন ঈশান ঈশার দ্রুত মিল দাও, তাহলে আমি কালকেই গল্পটা শেষ করে দিচ্ছি,কারন তাদের এখানে মিল আছে। তখন আপনারাই বলবেন এত তাড়াতাড়ি গল্পটা কেন শেষ করলাম? ঠিক আগের সিজনেও একই কান্ড ঘটেছে। পর্ব 14 তে এসে আপনি গল্পের মূল কেমেস্ট্রি বুঝবেন না!এককথায় বলতে গেলে এই গল্পের মূল বিষয় গুলো কাল থেকেই শুরু….!যারা গল্পটা ভালোবাসেন তারা আশা করি সাথেই থাকবেন।

?পর্বটা কেমন হয়েছে যানাবেন।
?হ্যাপি রিডিং….!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here