You_are_mine season_2 Poly_Anan part_11

0
1706

You_are_mine
season_2
Poly_Anan
part_11

ঈশার কথা শুনে ঈশানের মাথা যেন ভারী হয়ে গেছে।কাল সারারাত এক ফোটা ঘুম হয়নি তাই সকাল থেকেই মাথাটা ভারী হয়ে আছে, কিন্তু ঈশার কথা শুনে মনে হচ্ছে এবার মাথাটা ছিড়ে পড়বে।এত বোকা কেন এইমেয়েটা।পাশে থাকা একটি চেয়ারে ধু প করে বসে পরে ঈশান।রাসেল কে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আমার জন্য কফির ব্যবস্থা কর..! মাথাটা ভিষণ যন্ত্রণা করছে।
রাসেল দ্রুত বেরিয়ে যায়।এদিকে ঈশা ঈশানের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।এই লোকটা তার প্রশ্নের উওর না দিয়ে কফি অর্ডার করে দিলো।ঈশাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঈশান ঈশার দিকে তাকিয়ে চোখ মারে।

কিছুক্ষন পর একজন গাড এসে ঈশানকে কফি দিয়ে যায়।রাসেল ও রুমে ডুকে তখনি নাজিম ঈশার দিকে তাকিয়ে বিশ্রি হাসি দিয়ে বলে,

” কি আছেরে তোর মাঝে যা দিয়ে এই ঈশান শাহরিয়ার কে পাগল বানিয়ে ছেড়েছিস।বলি কি ওই ঈশান শাহরিয়ারের থেকে আমাদেরো কমে নেই চল একদিনের জন্য ত……
নাজিমের মুখে কথা গুলো শুনে ঈশার গা গুলিয়ে উঠে ছিহ কি অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তাকে।ঈশান নাজিমকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তার হাতে থাকা উত্তপ্ত গরম কফিটি তার মুখে ছুড়ে মারে।সঙ্গে সঙ্গে নাজিম গলা ফাটিয়ে চিৎকার দেয়।ঈশান রেগে নাজিমের চুল মুঠোয় নিয়ে বলে,
“কুত্তার বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় আমার ওয়াফির দিকে নজর দিস। তোর চোখ যদি উপড়ে আমি না ফেলেছি তবে আমার নাম ঈশান শাহরিয়ার না।

ঈশার কাছে ঈশানকে এখন হিংস্র লাগছে। অনু ভয়ে দুইপা পিছিয়ে যায়।রাসেল নিজেও টিস্যু দিয়ে কপালের ঘাম মুছে।কারন সে যানে ঈশান যখন অতিমাত্রায় ক্ষেপে যায় তখন সে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়।ঈশান রড হাতে তুলে সাইফ আর নাজিমকে ইচ্ছা মতো মারতে থাকে।প্রতিটি হাত পায়ের জয়েন্টে ইচ্চা মতো সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মারতে থাকে।ইতিমধ্যে নাজিম আর সাইফের শার্ট প্যান্ট রক্তের দাগ বসে গেছে।
” জানোয়ারের বা* তোদের সাহস কি করে হয় এই ঈশান শাহরিয়ারের উপর গুটি বাজি করিস।এমন অবস্থা করবো। ১ বছরেও তোরা হসপিটাল থেকে মুক্তি পাবিনা।তোদের মেয়ে লাগবে তাইনা মেয়ে…? তোদের মেয়েদের উপর আসক্ত ওয়েট আমি এমন অবস্থ করবো মেয়েদের কাছে পাওয়া তো দূরের কথা মেয়েদের নাম শুনলেই ঘাবড়ে যাবি।

ঈশান এবার আরো মোটা রড নিয়ে এগিয়ে যায়। নাজিম আর সাইফ মাথা দিয়ে না না ইশারা করছে যেন তাদের আঘার না করে।ঈশা বুঝতে পারে পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে তাই সে পেছন থেকে দ্রুত ঈশানকে জড়িয়ে। ঈশানের অবস্থা রাগে একদম হিংস্র।তাই আজ ঈশার কান্ডেও সে শান্ত হতে পারছেনা।পেছনে হাত ঘুরিয়ে ঈশার হাত টেনে সামনে ঈশার গাল চেপে ধরে।তারপর শব্দ করে ঈশার কপালে চুমু খেয়ে তার হাত টেনে রুম থেকে বের করে দেয়।বাকিদের উদ্দেশ্য করে বলে,
“বের হ…! বের হ এখান থেকে যে দরজা ধাক্কাবি তার অবস্থা আজ এদের থেকেও কম হবে না।আরেকটা কথা বাইরে থেকে তোরা যত বেশি দরজা ধাক্কাবি তত বেশি মারবো ওই জানোয়ার দুটোকে।

রাসেল সহ বাকিরা সরে আসে। ঈশান তাদের ঠিক ততক্ষন মারে যতক্ষন না সে নিজে ক্লান্ত হয়।কিছুক্ষন পর রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসে ঈশান। ঈশা ঈশানের দিকে ভুলেও তাকাচ্ছেনা তার ভয় লাগছে আজ ঈশান কে।সে ভেবেছিল ঈশান হয়তো ধমক দেয়,সবোচ্চ দুইটা চড় কিন্তু সে যে এতোটা ডেঞ্জারাস তা আগে কখনো ভাবেনি ঈশা।

” রাসেল গাডদের বল এদের হসপিটালে পাঠাতে। ঈশা অনু আমার বাড়ি চলো…!
“আমি যাবো না(ভয়ে ঢোক গিলে ঈশা)
” তোমাকে কি ইনভাইট করে আমার বাড়িতে নিতে হবে?(ভ্রু কুচকে ঈশান)
ঈশা এক পা দুই পা করে পিছিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় সে যখনি দৌড় লাগায় তখনি পেছন থেকে ঈশান হাত টেনে ধরে।
“খবরদার উলটা পালটা চিন্তা মাথায় ও আনবেনা তুমি।ইদানীং আমায় একটু বেশি জালাচ্ছো তুমি।চুপ চাপ বাড়ি চলো..!

” আমি যাবো না(কান্না স্বরে)
“রাসেল মোটা দড়ি গুলো নিয়ে আয়…
কথাটি শুনেই ঈশা এবার কান্না করে দেয়।সে যে ভয় পেয়ে কান্না করছে তা ঈশান ভালো করেই বুঝতে পারছে।
” ঈশা প্লিজ আমি আর এইভাবে থাকতে পারবো না।বাড়ি গিয়ে শাওয়ার নেবো।চলো…
ঈশান ঈশার হাত টেনে নিয়ে যায় এদিকে ঈশা কান্না করতে করতে বলে,
“আমি যাবো না….!আমি যাবো না?

ঈশার অবস্থা দেখে অনু দাঁড়িয়ে আছে তার দিকে তাকিয়ে রাসেল বলে,
” তোমাকে কি এইভাবে টেনে নিয়ে যাবো জান।
“না আমাকে কোলে নাও(মুচকি হেসে)
“চড় খেতে না চাইলে দ্রুত হাটো..!
” আনরোমান্টিক(আড়চোখে,)
“হ্যা রোমান্টিক হলে বলো লুচু এখন আসছো ভাব দেখাতে চলো(ধমক দিয়ে)

অনু মুখ ভেঙ্গচে দ্রুত হাটা শুরু করে।

লম্বা একটি শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয় ঈশান।তার গেস্ট রুমের বিছানায় বসে আছে রাসেল,ঈশা, অনু।

” বুঝলি রাসেল আমি একটি বোকা মেয়ের প্রেমে পড়েছি।তার জন্য আমি দুনিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করে ঘরে ফিরলে সে বলবে আপনাকে যুদ্ধ করতে কে বলেছে!(হতাশার স্বরে)
কথাটি শুনেই রাসেল হো হো করে হেসে উঠে। অনু ঠোটঁ টিপে হাসছে তখন ঈশার বোকা টাইপের প্রশ্ন শুনে সবাই অবশ্য মনে মনে হাসছিল।বর্তমানে সবার অবস্থা দেখে ঈশা চুপ চাপ বসে আছে।

“তো এবার আমি বলতে শুরু করি কিভাবে ঈশার মামা আর ছবি গুলোর সূত্র পেলাম।
” হ্যা দূত বলে ফেলুন। বলে আমাকে উদ্ধার করুন(ঈশা)

ঈশান আবারো একটি হতাশার শ্বাস ফেলে বলে,

“ওই ছেলেটা যে তোমার মামা তা জানতে পারি অনুর কাছে।আর তোমার ছোট মামার সম্পর্কে আরো আপডেট যানতে পারি, আমার লোকদের মাধ্যেমে।বাড়িতে তোমার নানু নেই তিনি বছর খানিক হলো মারা গেছেন।আর তোমার নানাভাই হলো ভীষণ রাগি একজন মানুষ।তোমার তিন মামা উনি সবার ছোট বিয়ে করেছেন একবছর হতে চললো।

তোমার মা যখন বিয়ে করেন তখন তোমার ছোট মামা বেশ ছোট ছিলেন।আর তোমার বাবা মা রিলেশনে বিয়ে করেন তাই তোমার নানা বাড়ির লোক তাদের মেনে নেয় না।কিন্তু তোমার আম্মু আর তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে ছোট মামার সাথে দেখা করো কিন্তু বিষয়টা তোমার আব্বু যানেনা।। কারন অন্যনা সার্থপর হলেও তোমার ছোট মামাকে সবচেয়ে ভালোবেসেছেন তোমার আম্মু তাই সেই ছোট্ট ছেলেটা এখন শুধু মাত্র তোমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে আর কেউ না।

ঈশা ফ্যাল ফ্যাল করে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে। কি ডেঞ্জারাস এই লোকটা।কয়েক ঘন্টায় সত্যিটা বের করে নিয়েছে।আর ঈশা এই সত্য যানে। মাত্র ২ বছর হতে চললো…!

” এতো কিছু যানেন আপনি?(অবাক হয়ে)
“ইয়েস ওয়াইফি ইভেন তুমি যেটা যানো না সেটাও যানি আমি।
“কি এমন বিষয় আমি যানিনা।
” তোমরা যে তোমাদের মামার সাথে লুকিয়ে দেখা করো সেই বিষয়টা তোমার বাবা যানে কিন্তু…..
“কিন্তু..(ভ্রু কুচকে)
” তিনি এমন একটা অভিনয় করছেন যেন তিনি কিচ্ছু যানেনা।

ঈশা এবার মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে।
“হয়েছে এবার আর কোন চিন্তা টেনশন নয় যাও সবাই ফ্রেশ হয়ে আসো। সবাই মিলে দুপুরের খাওয়ার টা সেরে আমাকে আবার বিশ্রাম নিতে হবে। কাল সারারাত একটু ও ঘুম হয়নি চোখ..!
” আমি বাড়ি যাবো.(ঈশা)

“কেন বাড়িতে কি তোমার(ভ্রু কুচকে ঈশান)
“আজকে আমার আর খাওয়ার হবে কি? দেখলাম রক্তাত্ত নাজিম আর সাইফ ভাইকে আর আপনি মারছিলেন এইসব দেখেই আমার ঘা গুলিয়ে উঠছে।আপনি নাকি আবার সেই হাতে খাবেন!

” তোমার জন্য হাত যখন নোংরা করেছি তখন তুমি নিজেই সেই হাত পরিষ্কার করবে(বাকা হেসে)
“মানে..?
” তোমাকে আজ আমি খাইয়ে দেবো এই যে, এই হাতে যে হাতে ওদের মেরেছি।
ঈশা চোখ মুখ কুচকে ঈশানের দিকে তাকালে ঈশান ঈশাকে একটি ধমক দিয়ে ফ্রেশ হতে যেতে বলে।

(গল্পটি লেখনীতেঃপলি আনান)
খাওয়ার শেষে ঈশান সবার উদ্দেশ্যে বলে,
“রাসেল তোর বউ নিয়ে তুই যেখানে খুশি যা আমার বউকে আমার কাছে ছেড়ে দে।
ঈশা ঈশানের দিকে বিরক্ত কর চোখে তাকিয়ে আছে।
” আমি বাড়ি যাবো..!
“কই যাবে..?(ঈশান)
” বাড়ি যাবো..!
“তো এটা কার বাড়ি?
” আপনার!
“তুমি কার…?
” আপনার..!
আনমনে কথাটি বলেই ঈশা জিবে কামড় দেয়।দ্রুত কথা পালটে বলে,
“না না না আমি আমার বাবার মেয়ে।
“মানিনা মানছি না। বাড়ি আমার বউ আমার, আমার সবকিছু তোমার তো সেই হিসেবে এই বাড়িটা তোমার।
” আ…..
“খবরদার আর একটা সাউন্ড করলে হাত মুখ বেধেঁ উপরে নিয়ে যাবো। ফলো মি..!
ঈশান তার রুমের দিকে পা বাড়ায় তার পেছনে ঈশাও যেতে শুরু করে।এদিকে অনু আর রাসেল
দুজন দুজনের দিকে হতাশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

” একি আপনার রুমটা এখনো সাজান নি(রুমের চারিদিকে পরখ করে ঈশা)
“না তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।
” আমার অপেক্ষায়(অবাক হয়ে)
“দেখো আজ হোক কাল হোক এই বাড়িতেই তো তুমি আসবেই তাই তুমি নাহয় তোমার মতো করে ঘরটা সাজিয়ে দাও।
” কনফিডেন্স..!
“উহু…ওভার কনফিডেন্স!
ঈশা ঈশান দুজনে মিলে হাসতে থাকে।

এদিকে সাইফ আর নাজিমের বাবা খবর পেয়ে গেছে তাদের ছেলের কে অবস্থা করেছে। ঈশান শাহরিয়ার নামটা শুনে তারা দুজনেই দুই পা পিছিয়ে যায়। একদিকে ঈশান সাইফ আর নাজিমের বন্ধু দ্বিতীয়ত ঈশান অন্যায় ছাড়া কারো গায়ে হাত তুলেনা।তৃতীয়ত, ঈশানের সব দিক দিয়ে পাওয়ার অনেক বেশি।নামিদামি মাফিয়াদের সাথে ঈশানের ভালো কন্ট্রাক।এইসব কিছু ভেবে দুজনেই চিন্তায় পরে যান তবে যে করে হোক প্রতিশোধ তো নিতেই হবে।এইভাবে কিছুতেই তারা ছেড়ে দিতে পারবেনা।

সাইফ আর নাজিমের অবস্থা ভীষন খারাপ। প্রায় ছয় মাসেও হসপিটাল থেকে তারা ছাড়া পাবে কি না নিশ্চিত নেই। দুজনের গালের একদিকটা বেকে গেছে কথা বলতে গেলে মুখের ব্যথায় টন টন করে উঠে।

ঘটনাটার প্রায় দুইসাপ্তাহ কেটে গেছে এখন পরিবেশ কিছুটা হলেও শান্ত।ঈশা অনু দুজনে হাসিনের বাড়ি যাবে বলে বের হয়।শান্ত নিরিবিলি রাস্তা ধরে হাটছে তারা। এদিকে অনু আপন মনে বক বক করেই যাচ্ছে। ঈশা মাথা ঝুকে ঈশানের সাথে চ্যাটিং করছে।অনু বেশ খানিকটা পথ এগিয়ে যায়।কিন্তু ঈশা পেছনে আসতে আসতে হাটছে। তখনি পেছন থেকে ভেসে আসে ঈশার গগন বিহীন চিৎকার।অনু পেছনে তাকাতেই তার আত্না কেপেঁ উঠে।
#চলবে……

দুঃখিত পর্বটা ছোট করে দেওয়ার জন্য।কালকে থেকে বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ঈশার কি হয়েছে ?আপনাদের কি মনে হয়…??

?পর্বটা কেমন হলো যানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here