The Colourful Fragrance Of Love?Part:12

0
1147

?#The_Colourful_Fragrance_Of_Love?

Part: 12

সেদিনের পর থেকে শুরু হয় উজান হিয়ার দুজন দুজনকে আকড়ে ধরে নতুন করে পথচলার সূচনা,,উজান এখন প্রত্যেকদিন নিত্যনতুন ভাবে হিয়ার প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে,হিয়াকে ছাড়া একটা শূন্য দিনো যেনো তার কাছে অচল,,আর হিয়ার প্রতি উজানের এই কেয়ারিং মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত করে তুলে তার পিচ্চি হিয়াকে,,মাঝে মাঝে হিয়া নিজের চুল নিজে কামড়ে ধরে ভাবে এর চাইতে যদি তার অসভ্য বর টা আগের মতোই নীলি নীলি করতো তাও ভালো ছিলো,,দুজনের খুনসুটি তে সময় গুলো বেশ কাটতে থাকে,,এক দু বার ঔ টুকটাক আদর দেওয়া নেওয়াও চলে উজানো তো একটা ছেলে মানুষ হিয়ার নারীত্বের সৌন্দর্যে কতোই বা আর সংযত রাখতে পারে সে নিজেকে

দুমাস পরঃ

রান্নাঘরে হিয়া তার নীল শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে,এলোমেলো চুল গুলো কাটা দিয়ে খোপা করে চাকু হাতে তরকারির জন্য সবজি কাটছে,,পাশে গ্যাসে পেশার কুকারে বসিয়ে দেওয়া আছে ডিম সেদ্ধের জন্য ডিম আর অন্য গ্যাসে গরম পানি

হিয়া তার আপনমনে তরকারি গুলো কাটছিলো,,এমন সময় উজান খুব সতর্ক ভাবে এদিক ওদিক সব লক্ষ্য করে গুটিগুটি পায়ে দুম করে এসে হিয়াকে গপ করে জড়িয়ে ধরে পেছন থেকে,,জড়িয়ে ধরেই হিয়ার কানের লতির কাছাকাছি অংশে তার মুখ টা কচলাতে শুরু করে

হিয়াঃ এসব কি হচ্ছে উজান,ছাড়ুনন আমাকে

উজানঃ বর টা সেই কখন থেকে অফিস থেকে ফিরে রুমে একা একা বসে আছে কোনো খেয়াল আছে সেদিকে তোমার

হিয়াঃ আ হা,,খেয়াল কেনো থাকবে না কিন্তু আমি তো রান্না করছি না কি করে যাই বলুন তো

উজানঃ লাগবে না রান্না করা চলো না ঘরে গিয়ে আমার চুল গুলো একটু টেনে দেবে

হিয়াঃ হ্যা আপনি যান আমি আসছি কিন্তু এভাবে ধরে থাকবেন না প্লিজ কেউ যখন তখন চলে আসবে একটু তো বুঝুন

উজানঃ দেখি এদিকে ঘুরো তো

হিয়াঃ আ হা আবার ঘুরতে হবে কেনো

উজান হিয়াকে ঘুড়িয়ে দিলে দেখতে পারে হিয়ার ফর্সা ফর্সা মুখের ঠোঁট দুটোয় দেখা মিলছে মেজেন্টা রঙের সমাহার,,কি মিষ্টি লাগছে এই রঙে হিয়ার ঠোঁট দুটো সত্যি,,উজান তার নেশাতুর চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে হিয়ার ঔ নিস্পাপ জোড়া ঠোঁটের দিকে

উজানঃ এসব কি দিয়েছো ঠোঁটে

হিয়াঃ কেমন লাগছে দেখুন তো,,বিট গুলো কাটতে গিয়ে ওগুলো দিয়ে ঠোঁটে রঙ ছুঁইয়েছি কি সুন্দর রঙ হয়ে আছে না,,দেখুন?

উজান আলতো করে হিয়ার শাড়ির ফাঁকে কোমড়ের কাছে হাত ডুবিয়ে হিয়াকে সপাটে নিজের কাছে নিয়ে আসে,,তারপর বা হাতের আঙুল দিয়ে হিয়ার ঠোঁটে হাত বুলিয়ে খেলতে শুরু করে,,উজানের এই নেশাতুর স্পর্শ মুহুর্তে হিয়ার এই ছোট্ট মনে উথাল পাথাল ঢেউ জাগিয়ে দেয়,হিয়ার কাঁপা কাঁপা হাত থেকে আচমকাই পড়ে যায় ধরে থাকা চাকুটা

হিয়াঃ কি কি করেছেন আপনি,,দেখুন সবে কিন্তু ঔ দু মাস হলো হ্যা এখনো পাঁচ হতে কিন্তু আরো তিনমাস বাকি__প্লিজ এখন ছেড়ে দিন আমায়

উজানঃ তুমিই তো বললে তোমার ঠোঁট গুলো দেখতে তাই তো আমি তোমার আদেশ পালন করছি

হিয়ার কথায় উজান আরো বেশি করে হিয়াকে ওর কাছে টেনে ধরে,এবার দুজনের নিঃশ্বাস গিয়ে পড়তে শুরু করে দুজনের মুখের উপর,হিয়ার জিহব শুকিয়ে আছে তবু ঔ শুকনো জিহ্ব দিয়ে হিয়া ওর ঠোঁট দুটো বারবার ভেজাতে চেষ্টা করে ভয়ে,,মুখ দিয়ে কোনো সাউন্ড আসে না তার উজানের চোখ দুটোও আজ সুবিধের লাগছে না,এই বুঝি খেয়ে ফেললো সে হিয়াকে

হিয়াঃ উজা__ন আম আমরা ঘরে যাই

উজানঃ না

হিয়াঃ কেউ এসে পড়বে

উজানঃ পড়বে না

হিয়াঃ হ্যা কিন্তু

উজান হিয়াকে আর কিচ্ছু বলতে না দিয়ে নিজের ঠোঁট জোড়া হিয়ার ঠোঁটের নিকটে নিয়ে আসে,,এতোটাই নিকটে যে এই ঠোঁট জোড়ার মাঝে এখন কিঞ্চিৎ পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই,,গরম উওাপের সাথে মাঝে মাঝে ঠোঁট গুলো আবার কখনো হালকা করে লেগে যাচ্ছে আর ঠোঁটে ঠোঁট লাগতেই হিয়ার বুক টা শূন্য হয়ে আসছে,,

ভয়ে উজানের কোমড়ের কাছের অংশের শার্ট টুকু খামচে ধরে আছে হিয়া,,উজান এবার তৈরি হিয়ার ঠোঁট দুটো কে সম্পূর্ণ গ্রাস করতে কিন্তু যেই সে নিজের ঠোঁট দুটো হিয়ার ঠোঁটে ডুবোতে যাবে ওমনি পেসার কুকারের শিস এর শব্দে হিয়া উজান দুজনই চরম লেভেলের ভোল্টেজ খেয়ে চমকে গিয়ে দুজন দুজনের থেকে সীটকে যায়,,হিয়া ব্যস্ত হয়ে পড়ে তরকারি কাটতে আর উজান এপাশ ওপাশ হাতড়ে বোয়াম খুঁজতে,,কিছুক্ষণ পর তাদের দুজনকে ভয় পেয়ে ছিটকে দেওয়া যে এই বেয়াদব পেসার কুকারটার কাজ বুঝে আসতেই দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হেঁসে উঠে❤️❤️☺️☺️

_____________

আপনমনে নিজের পুতু টাকে নিয়ে ব্যালকুনিতে দাঁড়িয়ে রাতের ঢাকা শহরের সৌন্দর্য দেখতে ব্যস্ত হিয়া,কিছুক্ষণ আগে জিনিও ছিলো তার সাথে,একটু আগে জিনির টিচার পড়াতে আসায় সে পড়তে চলে যায় তাই হিয়া একা একা তার পুতু কে নিয়ে জোৎস্না বিলাশ করতে থাকে

কিছুক্ষন পর উজান আসে সাথে নিয়ে আসে আবার সেই হার্ডবোর্ড স্লাইড সোলা তুলো আরো কতো কি,,উজানকে দেখতে পেয়ে হিয়া তো মহাখুশি দৌড়ে ব্যালকুনি থেকে রুমে এসে মুখ এক বালতি,না না দু তিন চার বালতি হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে যায় উজানের সামনে,,কিন্তু এই মুখ ভর্তি হাসি মুখ টা আর বেশিক্ষণ হাসি দিয়ে ভরে থাকে না নিজের বরের ৩৬০ডিগ্রী এঙ্গেলের ঝারি খেয়ে নিমিষেই চুপসে গিয়ে ছোট হয়ে আসে

উজানঃ ছিঃ হিয়া ছিঃ আমি তোমাকে দিন রাত এক করে পড়িয়ে গেলাম আর তুমি তুমি এটা রেজাল্ট গিফট করলে আমায় দারুণ

হিয়াঃ (আজ আমার রেজাল্ট দিয়েছে ইনি কি করে জানলো,,আজ তো রেজাল্ট দেবে দেখে আমি কলেজেও যাই নি কিন্তু এটা কি হলো??)

উজানঃ বায়োলজিতে ৬৬ ফিজিক্স এ ৭২ কেমিস্ট্রি তে টেনেটুনে ৫৩ বাদ বাকি সাবজেক্ট তো বাদই দিলাম ম্যাথে গিয়ে ৪০!!মানে সিরিয়াসলি হিয়া আর একটু এক দু মার্ক এদিক ওদিক হলে তো গোটা রেজাল্ট টাই ফেল আসতো তোমার

হিয়াঃ (এনাকে কি করে বোঝাই এখন প্রশ্ন তো করেছিলো ঔ মোটা রাশেদ স্যার আর ন্যাকা বুবলি ম্যাডাম আর ওনাদের যে প্রশ্ন এর চাইতে বুয়েটে এডমিশন টেস্ট এর কোয়শ্চন ও অনেক ইজি হয় হু??)

উজানঃ এই তুমি ভালো স্টুডেন্ট এই তার নমুনা এই মাধ্যমিকে তুমি থার্ড হয়েছিলো,,ছি ছি ছি

হিয়াঃ আসলে আমি

উজানঃ আর কোনো এক্সকিউজ না এখনই বই নিয়ে বসো কুইক,,

হিয়াঃ বলছি কি

উজানঃ শাট আপ,,কোনো কথা না,,বই নিয়ে বসতে বলিনি

হিয়াঃ না এনাকে আর রাগিয়ে লাভ নেই এর চেয়ে মাছুম একটা মুখ করে পড়তে বসে যাই,,মাথা টা একটু কুল হয়ে আসুক তোতোক্ষনে হু

উজান হিয়াকে পড়া বুঝিয়ে দিয়ে পড়তে বসতে দেয়,,আর নিজে গিয়ে ফ্লোরে বসে আবার সেই বাড়ির ডিজাইন বানাতে শুরু করে

এদিকে সময় পেড়িয়ে তিন ঘন্টা হয়ে আসে,,উজানের বাড়ি তৈরিও প্রায় শেষের দিকে,,উজান কে দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সে অনেক ক্লান্ত অনেক কষ্টে নিজেকে ফিট রেখে বাড়ি টার মডেল বানাচ্ছে সে,,হাত চলছে না তবু তাকে এটা কালকের মধ্যে জমা দিতে হবে দেখে সে কাজ করছে

এদিকে হিয়া সেই তিন ঘন্টা ধরে বইয়ের এপাশ ওপাশ উল্টে যাচ্ছে,,পড়ার নেই তার কোনো মনোযোগ,,পেজের প্রথম দু লাইনের বেশি সে পড়তে পারছে না,,এমন না যা সে পাড়বে না কিন্তু তার ইচ্ছে নেই পড়ার এটাই হচ্ছে মূল কথা

হিয়া আর পারে না বই রেখে বিছানা থেকে উঠে এসে দুম করে বসে যায় উজানের কোলে

উজানঃ এসব কি হচ্ছে,,আমি একটু কাজ করছি দেখে আবার পাখা গজিয়ে গেলো তোমার

হিয়াঃ ছাঁদে যাবো

উজানঃ হোয়াট

হিয়াঃ (জোরে জোরে শ্বাস টেনে) আমি না আর পারছি না,,আমি একটু এখন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াবো

উজানঃ নো ওয়ে তুমি আরো দু ঘন্টা পড়বে দেন আমি তোমাকে নিয়ে ছাঁদে যাবো

হিয়াঃ ও উজান,,আপনি না আমার ভালো বর কেনো এই মাছুম পিচ্চি বউ টার উপর এতো নির্যাতন করছেন আপনি কেনো কেনো কেনো হোয়াই

উজানঃ (হালকা হেঁসে দিয়ে) দরকারের সময় ভালো বর আর এমনি সময় অসভ্য

হিয়াঃ অসভ্যেই তো আপনি,,কথার মাঝে আপনার হাত টা যে শাড়ির ভেতর দিয়ে আমার নাভির কাছে নিয়ে আঙুল দিয়ে খেলছেন আমি কি কিছু বুঝতে পারছি না নাকি

উজানঃ ??এতো বুঝো কেনো তুমি

হিয়াঃ ধুর ছাড়ুন তো,,আপনি না গেলে আমি একাই যেতে পারবো হু

বলেই হিয়া উঠতে যাবে কিন্তু নিচে কিছুতে একটা হোঁচট খেয়ে দুম করে পড়ে যায়,আর পড়ে তো পড়ে সাথে ভেঙে ফেলে উজানের বহু কষ্টে তৈরি করা বাড়িটা

হিয়াঃ আআআআআ

উজানঃ হিয়াআআআআ___কি করে পড়ে গেলে কোথায় কোথায় লেগেছে বলো আমাকে,,এখানে হাতে__এরকম তাড়াহুড়ো কেউ করে দেখি

হিয়াঃ সরি__আপনার বাড়িটা ভেঙে গেলো

উজানঃ হ্যা যাগ কি হয়েছে তাতে___তুমি আমাকে বলতো তো কোথায় লাগছে তোমার

হিয়াঃ কিন্তু আপনার বাড়ি টা

উজান কিছু না বলে হিয়াকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে খুতে খুতে হিয়াকে দেখতে থাকে,,দৌড়ে গিয়ে বরফ এনে লাগিয়ে দেয় হিয়ার হাতে,,উজান কতো কষ্ট করে তার ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়িটা বানালো তবুও সে হিয়াকে না বকে উল্টে হিয়াকে এভাবে আগলে ধরছে,,মুহুর্তে চোখ ভিজে আসে হিয়ার,,,,নিজের স্বামীর এরকম স্নেহের থেকে দামী কি হতে পারে একটা মেয়ের জীবনে,উজান নিশ্চয় নীলিমাকেও এতো টা গভীর ভাবে ভালোবাসতো কিন্তু নীলিমা কি রকম নিষ্ঠুর ভাবে উজান কে তার ভালোবাসার বিনিময়ে আঘাত ছুঁড়ে দিয়েছিলো__হিয়া আর ভাবতে পারে না চোখ ভর্তি জল নিয়ে আচমকাই কাদঁতে কাদঁতে জাপ্টে ধরে উজানকে,,

উজানঃ হিয়া তুমি কাঁদছো কেনো,,ব্যাথা করছে খুব বলো আমাকে,,তুমি এরকম করে কাঁদবে না হিয়া আমার কষ্ট হচ্ছে

হিয়াঃ খুব ভালো বাসি আপনাকে,,আপনি এরকম করেই সারাজীবন আগলে রাখবেন তো আমাকে

উজানঃ রাখবো(হিয়ার চোখ দুটো পরম যত্নে মুছে দিয়ে বিশ্বাসের কন্ঠে)
____________
এভাবে কেটে যায় আরো কিছু মাস,,দেখতে দেখতে দিন গুলো পেড়িয়ে কাল হিয়ার জন্মদিন তাই সন্ধি জিনি বাসবি সবাই মিলে প্লান করেছে রাত ঠিক বারোটার দিকে কেক কেটে তারা হিয়াকে সারপ্রাইজ দেবে,,সেই অনুযায়ী সবাই কেক মোমবাতি সব নিয়ে তৈরি

উজান কিছু বলছে না শুধু চুপচাপ বসে সবার কান্ড কারখানা দেখছে,,এদিকে হিয়ার মন টাও খানিকটা আনচান করছে একটুপর সে আঠারো তে পা রাখবে,,আর তারপর কোনো একদিন তার সাথে উজানের আবার!!বেচারি আর ভাবতে পারে না লজ্জায় মুখ লুকিয়ে নেয় নিজেরই কাছে

রাত ঠিক বারোটার দিক হিয়াকে সত্যি অবাক করে দিয়ে বাসবির রুমে ক্যান্ডেল নিভিয়ে কেক কেটে খুব সুন্দর করে ছোট্ট আয়োজনে পালন করা হয় সবটা,আয়োজন ছোট হলেও সবার মায়া মমতা আবেগ আর ভালোবাসায় ঔ টুকু মুহুর্তই হিয়ার কাছে স্বর্গ হয়ে ওঠে,,কঠোরতম জীবনে তাকে কেউ কখনো এতো টা নিজের করে ভালোবাসবে এটা সত্যি অবাক করিয়ে দেয় হিয়াকে,,হিয়া না চাইতেও হিয়ার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে,,বাসবি আলতো হাতে সে জল মুছে দিয়ে হিয়াকে বুকে আগলে ধরে

রাত তখন দেড় টা
কেক কাটার পর সন্ধির সাথে গল্প করতে ব্যস্ত হিয়া,,এদিকে উজানের চালচলন ও কিছু সুবিধার লাগছে না হিয়ার কাছে,,উজান হিয়াকে উইশ তো করলো কিন্তু শূন্যে হাতে গিফট ছাড়া,,তার উপর শুধু ঔ মলিন কন্ঠে শুভ জন্মদিন!!এরকম দায় সাড়া করে কে বলতে বলেছিলো শুভ জন্মদিন না বললেই হতো,,হিয়া মনে মনে হালকা ক্ষেপে উঠে কিন্তু সবার এতো আদর দেখে আর বেশি রাগ দেখায় না

উজানঃ তোদের গল্প করা শেষ,,যা এখন ঘুমোতে

সন্ধিঃ শেষ মানে আমি আর হিয়া তো আজ সারারাত গল্প করবো ভাবলাম

উজানঃ সারারাত গল্প করতে হবে না,,আমি এখন ঘুমোবো, হিয়াকে লাগবে আমার

হিয়াঃ ??

সন্ধিঃ রোজই তো ঘুমোস ওকে নিয়ে একদিন আমরা একসাথে গল্প করতে চাইছি বলে তোর সইছে না??

উজানঃ না সইছে না,,,গিয়ে দেখ তুষার কার সাথে জানি সেই আধা ঘণ্টা ধরে কথা বলছে তাও আবার হেঁসে হেঁসে,,এই রাতে এতোক্ষণ ধরে তুষার কার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে রে??

সন্ধিঃ ??বদপোলা__আজকে তুষারের একদিন কি আমার ??

বলেই সন্ধি গেস্ট রুমের দিকে দৌড় শুরু করে,,সন্ধি প্রস্থান করতেই উজান হিয়াকে দুম করে টেনে নিয়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়

হিয়াঃ উফ হো একটু কথা বলছিলাম দুজনে মিলে কিন্তু উনার দেখো তড় সইছে না,,,,আচ্ছা আপনার ঘুম লাগছে আপনি ঘুমোন আমার সাথে কি সাথ আপনার,,ঘুমোবেনই তো ঔ আমাকে রেখে বিছানায়___মাঝে মাঝে না আপনার কোনো কাজের কিছুই বুঝিনা আমি ধুর

হিয়ার কথার মাঝে উজান সব দরজা জানালা থাই ভালো করে লক করে দিয়ে হিয়ার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হিয়ার গলা থেকে টুক করে ওরনা টা খুলে নিয়ে নিচে চটকে দেয়,,,কি হলে এটা!! উজান এরকম হিয়ার ওরনা টেনে খুললো কেন,,হিয়া লজ্জায় দু পা পেছাতেই বিছানায় পড়ে যেতে ধরে আর ওমনি উজান এক হাত দিয়ে গপ করে হিয়াকে ধরে ঠিকই কিন্তু পরে কি মনে করতে দুম করে আবার ছেড়েও দেয় আর ছেড়ে দেওয়াতে হিয়া গিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে যায় বিছানার এক কোণে

উজান এবার ওর শার্ট সহ ভেতরের গেঞ্জি টা খুলে নিচে ফ্লোরে হিয়ার ওরনার কাছে চটকে ফেলে দেয়,,,,হিয়া বুঝতে পারে এরপর নিশ্চয় কোনো ঝড় আসতে চলেছে তার উপর,,হিয়া ভয়ে পাশে থাকা বালিশ টা বুকে আগলে ধরে

হিয়াঃ আপনি এসব কি কি কি করেছেন হ্যা,,দে দে দেখুন এসব কিন্তু ঠিক না হ্যা

উজানঃ আমি তো আগেই তোমাকে বলেছি তোমার যেদিন এ্যাইটিন হবে আমি সেদিন তোমাকে ইউ নো

হিয়াঃ হ্যা সে কবে কি বলেছিলেন,,আর এ্যাইটিন মানে কি ঔ এ্যাইটিন আজকেই ওজন্য,,শুনুন না বলছি কি সবকিছুর তো একটা প্রিপারেশন লাগে তাই না এ-র কম হুট করে কি

উজানঃ (হাতে থাকা ঘড়ি টা খুলে হিয়ার সাইডে চটকে দিয়ে) হুট করে কোথায়,,আমি তো পাঁচ মাস সময় দিয়েছিলাম তোমাকে তুমি ঠিক করে প্রিপারেশন নিতে পারো নি সেটা কি এখন আমার দোষ (হিয়ার নাক টেনে দিয়ে)

হিয়াঃ ???
______________________

সকালে ঘুম থেকে হাত দুটো মেলে আড় মোড়া ভেঙে চোখ টা আলতো করে খুলে হিয়া,,পর্দার ফাঁক থেকে আসা সকালের স্নিগ্ধ রোদ এসে পড়ে হিয়ার মুখে,,একটা মুচকি হাসি দিয়ে উঠতে গিয়েই মনে আসে কালকে রাতের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত আদরের নির্মমতা,,চাদর টা ভালো করে বুকের কাছে জড়িয়ে নেয় হিয়া কারণ তার শরীরে যে এখন একটা সুতো অবধি নেই,,নিচে দুজনের জামা কাপড় গুলো এখনো বিক্ষিপ্ত রুপে ফ্লোরে পড়ে আছে,,হিয়া চাদর টা ধরেই উঠে বসতেই দেখে তার সামনে উজান দাড়িয়ে দাড়িয়ে তার কলেজ ড্রেস আয়রন করছে

হিয়া কিছু না বলে হা হয়ে শুধু চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে থাকে উজানের দিকে

উজানঃ গুড মর্নিং মিসেস শাহরিয়ার___কালকে রাতের এই অসভ্য বরটার আপাদমস্তক দেখেও মন ভরে নি যে এখন এই সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার হা হয়ে তাকিয়ে থাকা হচ্ছে

হিয়াঃ না মানে আমি আসলে

উজানঃ ওরকম বোকার মতো তাকিয়ে না থেকে চটপট উঠো____উঠে___কলেজ যাবার জন্য তৈরি হয়ে নেও আমি ড্রেস আয়রন করে দিয়ে দিচ্ছি

হিয়াঃ অসভ্য লোক সারারাত আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে এখন বলা হচ্ছে তৈরি হয়ে নেও কলেজ যেতে হবে,,হবো না আমি তৈরি যাবো না আমি কলেজ??আজকে আমার জন্মদিন আজ আমার পড়াশোনা সব ছুটি??

উজানঃ গালি দেওয়া শেষ হলে উঠো জলদি

হিয়াঃ ??

উজান কলেজ ড্রেস আয়রন করে সামনে থুয়ে হিয়ার বই খাতা রুটিন দেখে দেখে ব্যাগে ভরাতে শুরু করে

উজানঃ আয়রন করে দিলাম,ব্যাগ ও গুছিয়ে দিচ্ছি,,খাবারো তৈরি হচ্ছে এখন উঠো তো তুমি

হিয়াঃ কে বলেছিলো আদিক্ষ্যেতা করে আমার কলেজ ড্রেস আয়রন করে দিতে আমি কি আয়রন করতে পারিনা নাকি,,,এই যে শুনুন কাল থেকে আপনি যা বলেছেন আমি কিন্তু তাই করেছি হ্যা কিন্তু এখন এই আমার জন্মদিনে আমি কলেজ যাবো না,কখনোই না,একদম না

উজানঃ ইউর উইশ,,আই নেভার মাইন্ড তুমি কলেজ না গেলে আমিও তাহলে অফিস ছুটি নিয়ে আজ সারাদিন তোমার সাথে এই রুমে এক সাথে

হিয়াঃ না না আমি যাবো কলেজ যাবো যাবো

উজান একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে হিয়ার পানির পট টা হিয়ার ব্যাগের সাউডে ঢুকিয়ে দেয়,হিয়া বুকের কাছের চাঁদর টা জাপ্টে ধরে এক লাফে ওয়াশরুমে দৌড়ে স্নান শুরু করে

এদিকে হিয়ার স্নান শেষ হতে হতে উজান তৈরি,,হিয়া এসে কলেজ ড্রেস টা পড়ে নিয়ে চুল গুলো শুকিয়ে নিতে থাকে,,বাসবি এসে এর মধ্যে হিয়াকে খাইয়ে দিয়ে যায়,,উজান সব কিছু গুছিয়ে হিয়ার মাথায় দুটো বেনী করে দিতে থাকে

হিয়াঃ বাহ আমার বর টা তো দেখছি সব পারে,,আমার এই বরটা এই পৃথিবীর বেষ্ট বর?

উজানঃ বি-কে-লে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে,,সুন্দর করে সেজেগুজে থেকো আমি নিতে আসবো

হিয়াঃ আবার সারপ্রাইজ কালকে রাতে যা সারপ্রাইজড হলাম তারপর ঔ সারপ্রাইজ পাবার ইচ্ছে টা না আমার জলে গুলে গিয়ে একাকার হয়ে গেছে

উজানঃ তোমাকে তো আগেই সাবধান করেছিলাম,,,,আমি ছেলে টা ভালো না,,তোমার ধারণার চাইতেও অসভ্য আমি,,খুব অসভ্য

হিয়াঃ ধ্যাত(উজানকে জড়িয়ে ধরে)হ্যা আপনি সত্যি খুব অসভ্য,,খুব খুব
________________*________________

ভীষণ ব্যস্ত,,পার্ট টা যেভাবে লিখতে চেয়েছি ওভাবে পারলাম না লিখতে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here