Ragging To Loving ?part-9

0
1161
  • ? Ragging To Loving ?
    Part:: 9
    Writer:: Ridhira Noor

    ওয়াসিমঃঃ- তুমি এখানে কি করছ?

    সিমাঃঃ- নাগিন ডান্স দিচ্ছি। আপনি বীন বাজান আমি নাগিন ডান্স করি। মে তেরি দুশমন,, দুশমন তু মেরা,, মে নাগিন তু সাপেরা আ আ আ আ আ আ…….. (কোমর দুলিয়ে)

    ওয়াসিমঃঃ- স্টপ। রানু মন্ডলের টুইন সিস্টার। আ আ আ বন্ধ কর। তোমরা সব বান্ধবী এক তাই না? শুধু পার ঝগড়া করতে আর উল্টো জবাব দিতে।

    সিমাঃঃ- আপনারা সব বন্ধুও এক পারেন গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আর উল্টো প্রশ্ন করতে। শপিং মলে মানুষ কি করে জানেন না। (ওয়াসিমকে উপেক্ষা করে দোকানদারকে বলল) ভাইয়া এটা প্যাক করে দেন।

    ওয়াসিমঃঃ- ওহ হ্যালো! এটা আমি নিব। তুমি অন্য একটা নাও। ভাইয়া এটা আমাকে প্যাক করে দেন।

    পুষ্পঃঃ- এক্সকিউজ মি! এটা আগে সিমা নিয়েছে। তাই ভাইয়া এটা সিমাকে দেন।

    রিহানঃঃ- আগে ওয়াসিম দেখেছে তাই ওয়াসিম নিবে।

    পুষ্পঃঃ- দেখলেই হলো। আগে সিমা নিয়েছে।

    শোপিসটা পুষ্প মুষ্টিবদ্ধ করল। রিহান পুষ্পর হাত থেকে নিয়ে নিল। সিমা রিহানের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল। ওয়াসিম সিমার থেকে নিতে সিমা তার হাতের উপর হাত দেয় তার হাতের উপর পুষ্পর হাত তার উপর রিহানের হাত। চারজন এক প্রকার জোরাজোরি করতে লাগলো। একবার এদিকে টানে একবার ওদিকে টানে। তাদের ঝগড়া শপিং মলের সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। চেঁচামেচিতে আমরিন আর আহিল গেল। আহিলকে দেখেই আমরিন চোখ সরিয়ে নেই। আহিল তো বেহায়ার মতো আমরিনের দিকে তাকিয়ে আছে।

    পুষ্পঃঃ- লজ্জা করে না আমার হাত ধরেন। ছাড়ুন আমার হাত। নির্লজ্জ লজ্জা শরম বলতে কি কিছু নেই আমার হাত ধরেন।

    রিহান হাত ছেড়ে দিল। ওয়াসিম আর সিমার টানাটানিতে পুষ্পর হাত ছুটে গেল। ওয়াসিম টান দিয়ে হাত উপরে তুলে নিল। সিমা লাফাচ্ছে শোপিসটি নিতে। ওসামিন একবার ডান হাতে তো একবার বাম হাতে নিচ্ছে। সিমা লাগাতেই পা মচকে পড়ল ওয়াসিমের বুকে। সিমাকে ধরতে গিয়ে হাত থেকে শোপিস পড়ে যায়। ওয়াসিম সিমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে আছে। কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্ব রয়েছে তাদের মধ্যে। দোকানদারের কথা তাড়াতাড়ি একে অপরকে ছেড়ে দিল।

    দোকানদারঃঃ- আরে আপনারা ঝগড়া বন্ধ করুন এই নিন আরেকটা আছে।

    সিমা দৌড়ে সেটা নিয়ে নিল। ওয়াসিম তার থেকে শোপিসটা নিতে গেলে দোকানদার বলে আরও অনেক স্টক রয়েছে। তাই ওয়াসিমকে একটা দিল।

    দোকানদারঃঃ- আর এই যে একটা ভেঙে ফেলেছেন তার দাম কে?

    সিমাঃঃ- এই যে মি. পিংপং উনি দিবেন। ভেঙেছেন উনি তাই উনার থেকে এর দাম নেন। (শোপিসের দাম দিয়ে ওরা চলে গেল। ওয়াসিমও দুইটার দাম দিয়ে চলে গেল।)
    .
    .
    .
    নূর আলিফা মেহের লিফটে উঠল। তাদের হাসাহাসিতে লিফটে থাকা লোকরা বিরক্ত হয়ে চুপ করতে বলল। আলিফা রেগে তাকে বলতে যাবে অবাক হয়ে চিল্লিয়ে বলল।

    আলিফাঃঃ- আপনারা??? (তার চিল্লানোতে নূর আর মেহের পিছনে তাকায়)

    আরিফঃঃ- তোমরা??? এখানেও? (বিরক্তি হয়ে) এখানেও আমাদের পিছন পিছন চলে এসেছ।

    মেহেরঃঃ- আমরা এসেছি? নাকি আপনারা এসেছেন আমাদের পিছন পিছন। কি আমাদের জ্বালানো কি আরও বাকি রয়েছে?

    ইয়াশঃঃ- বাহ্ কি সুন্দর আমরা তোমাদের জ্বালিয়েছি নাকি তোমরা আমাদের জ্বালিয়েছ। পুরো ট্রিপটা মাটি করে দিলে দুইজন মিলে।

    মেহেরঃঃ- আমরা মাটি করেছি?

    আরিফঃঃ- তা নয়তো কি?

    আলিফাঃঃ- আপনি তো চুপ করুন। আপনিও কম জ্বালাননি আমাদের।

    নূর আর আফরান শুধু হা হয়ে তাদের কথা শুনছে। সরি কথা না ঝগড়া দেখছে। তারা ভাবছে ওরা একে অপরকে কিভাবে চেনে। তাদের ঝগড়ায় নূর আর আফরান কান চেপে জোরে চিল্লিয়ে উঠলো। “চুউউউপপপপপপপ” তাদের চিৎকারে লিফট কেঁপে উঠল। ভয়ে সবাই চুপ হয়ে গেল। লিফট খুলতেই নূর দুই হাতে দুইজনের চুল মুটি করে ধরে বাইরে গেল। আফরানও দুইজনের চুল মুটি ধরে বাইরে গেল। আমরিন পুষ্প সিমা রেস্টুরেন্টে বসে ছিল তাদের এভাবে দেখে ফিক করে হেসে দিল। রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ থেকে খেয়ে তারপর চলে গেল। আফরান পার্কিং এরিয়ায় গিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় আহিল রিহান ওয়াসিম অপেক্ষা করছিল তাদের এভাবে দেখে কারণ জানতে চাইলে বলে ফার্ম হাউসে গিয়ে কথা বলবে। তারাও চলে গেল।

    ফার্ম হাউসে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সুইমিংপুলের এরিয়ায় গিয়ে বসল। আফরান মোবাইলে কাদার ভিডিও দেখে হাসছে। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এই কি হলো? সকালে ভিডিও দেখে রাগ সাত আসমান উপরে উঠে গিয়েছিল। আর এখন ওই একই ভিডিও দেখে হাসছে। রিহান আর না পেরে আফরানের মাথায় হাত দিয়ে জ্বর দেখছে।

    রিহানঃঃ- কি হয়েছে তোর? ঠিক আছিস তো? কোন ভুত টুত ধরল না কি? যে ভিডিও দেখে সকালে রেগে বোম্ব হয়ে গেলি এখন সেই ভিডিও দেখে হাসছিস। বলবি কি হয়েছে?

    আরিফঃঃ- ওকে বলতে তো দে।

    আফরানঃঃ- হ্যাঁ সকালে রেগে ছিলাম কিন্তু….

    “””” ভার্সিটিতে রেগে রুম থেকে বের হওয়ার পর দেখে সোহেল হেসে হেসে তার দিকে আসছে। হাসতে হাসতে তার কাঁধে হাত রাখল আর তার মোবাইলে ভিডিও দেখালো।

    সোহেলঃঃ- এটা কি ভাই? (বলে আবারও হাসতে লাগলো। আফরান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে) তোর… তোর মনে আছে ছোট বেলায় আমি তুই রিহান কাদায় ফুটবল খেলার পর মায়ের কি দৌড়ানি না দিয়েছিল। আমাদের খোলা আকাশের নিচে স্টাচু বানিয়ে দাঁড় করিয়েছিল। সেই দিন কত বোকাই না শুনেছিলাম। (আবারও হাসতে হাসতে আফরানের দিকে তাকিয়ে থেমে গেল। কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে বিরক্তি ভাব নিয়ে চলে গেল সামনে থেকে।) “””””””

    আফরানঃঃ- এই ছিল কাহিনি। অনেক দিন পর সে মন খুলে হেসে আমার সাথে কথা বলেছে। তাও এই ভিডিওর জন্য।

    ইয়াশঃঃ- হঠাৎ করে কেন সে….

    আফরানঃঃ- (কথার মাঝে থামিয়ে বলল) তোদের কাহিনি বল। তোরা ওই মেয়েদের কিভাবে চিনিস?

    ইয়াশঃঃ- (বুঝতে পেরেছি তুই তার কথাটা আনতে চাস না। ঠিক আছে আর কিছু বলব না) ওদের সেই লম্বায়ায়ায়া কাহিনি।

    ওয়াসিমঃঃ- ওই লম্বায়ায়ায়া কাহিনি শর্ট করে বল।

    আরিফঃঃ- তিন মাস আগে আমি আর ইয়াশ গ্রামে গিয়েছিলাম। ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে সেটা এই আপদের দেখা।
    .
    .
    .

    ইয়াশঃঃ- ইয়ার জায়গাটা জোস। প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফটোগ্রাফির জন্য বেস্ট প্লেস।

    আরিফঃঃ- ইয়াহ। আরো অন্যান্য সুন্দর জায়গা আছে। চল ওখান থেকে শুরু করি ফটোগ্রাফি।

    .
    .
    .

    চলবে

    বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here