? Ragging To Loving ?
Part:: 7
Writer:: Ridhira Noor
জীপ নিয়ে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ ব্রেক করল। হঠাৎ ব্রেক লাগায় সবাই অনেকটা ঝুঁকে পড়ে।
আহিলঃঃ- শালা আমার বউ রে বিয়ের আগে বিধবা বানাবি না কি?
আফরানঃঃ- (রাগী দৃষ্টিতে পিছন ফিরে তাকায়) চুপ কর। এই অবস্থায় কি বাসায় গেলে লাত্থি মাইরা বাইর করবে।
রিহানঃঃ- তো এখন কোথায় যাবি?
আফরানঃঃ- কোথায় আবার ফার্ম হাউসে।
সবাই একত্রিত হয়ে ফার্ম হাউসে গেল। বিশাল বড় বাড়ি একপাশে বাগান আর পিছন দিকে ভিতরে সুইমিংপুল। ঘর কাঁদায় নোংরা হবে বলে তারা পিছন দিক দিয়ে গেল। কাঁদা শুকিয়ে একেকটা স্ট্যাচুর মতো জমে গিয়েছে। চলতে ফিরতে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। তাও কোন ভাবে হেলেদুলে ভিতরে ঢুকতেই এক ছোটখাটো ভূমিকম্প হলো।
আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
ওয়াসিমঃঃ- হোয়াট দ্যা হেল। খামু আমি বেল।
রিহানঃঃ- তোরা এখানে? কখন? কিভাবে? কোথায়?
আহিলঃঃ- কবে ফিরলি?
ওপাশ থেকে সুইমিংপুলে হাসতে হাসতে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ইয়াশঃঃ- তোরা… এমন… (হাসির জন্য কথা আটকে যাচ্ছে)
আরিফঃঃ- তোদের এই কি অবস্থা। (হাসতে হাসতে গড়াগড়ি তো আর খেতে পারছে না। তাই সুইমিংপুলের মধ্যে হাবুডুবুই খাচ্ছে।)
“হারামি কুত্তা” বলে আফরান সুইমিংপুলে ঝাপ দিল। তার পিছনে বাকিরাও ঝাপ দিল। দেখে সুইমিংপুল না কাঁদার পুল মনে হচ্ছে।
আরিফঃঃ- হোয়াট দ্যা হেল ম্যান। জার্নি করে এসে সুইমিংপুলে নামলাম ফ্রেশ হতে। পুরো কাঁদায় ভরিয়ে দিলি।
ইয়াশঃঃ- এখন শাওয়ার নিতে হবে। ইয়াক।
আফরান ইশারা করতেই ওয়াসিম আর রিহান গেল আরিফের দুই পাশে। আফরান আর আহিল ইয়াশের দুই পাশে। 1 2 3 বলে দুইজনকে কাঁদার পানিতে চুবিয়ে ধরলো।
আফরানঃঃ- আমাদের না বলে চলে এলি তারপর আমাদের উপর হাসাহাসি করছিস। নে এবার মজা বুঝ।
প্রায় এক ঘন্টা পর সবাই ফ্রেশ হয়ে সুইমিংপুলের পাশে একত্রিত হয়ে বসলো। অনেক দিন পর সব বন্ধু একসাথে একত্রিত হলো। জাফর চাচা এসে তাদের কফি দিয়ে গেলেন। তিনি এই ফার্ম হাউসের দেখাশোনা করেন। কফি খেতে খেতে ওয়াসিম বললো।
ওয়াসিমঃঃ- তোরা আসলি কখন? আর তোরা যখন এসেছিস আমাদের জানাস নি কেন?
আরিফঃঃ- আমরা আজ সকালেই এসেছি। তোদের জানাই নি। ভেবেছিলাম সারপ্রাইজ দিব।
ইয়াশঃঃ- উল্টো আমরা নিজেরাই সারপ্রাইজ হয়ে গেলাম।
আরিফঃঃ- সারপ্রাইজ না বল শকড। এমনিতে শুক্রবার ছাড়া ফার্ম হাউসে আসা হয় না। আজ হঠাৎ এলি তাও এই অবস্থায়। (বলেই হাসতে লাগলো। কফিতে চুমুক দিয়ে) তোদের এই অবস্থা হলো কি করে? কারো সাথে ঝগড়া করে এলি না কি?
আফরানঃঃ- ঝগড়া? বল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ করে এসেছি।
ইয়াশঃঃ- (ফুহহহ দিয়ে কফি উড়িয়ে দিল) হোয়াট??? (চিৎকার করে)
রিহানঃঃ- আস্তে ভাই আস্তে। ইয়েস তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। (এক দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলল) মাত্র তিন দিনে আমাদের অবস্থার বারোটা বাজিয়ে দিল।
ইয়াশঃঃ- কোন ছেলের এত সাহস হয়েছে আমাদের সাথে পাঙ্গা নিতে এসেছে।
ওয়াসিমঃঃ- ছেলে হলে তো কথা ছিল না। কিন্তু ছেলে না মেয়ে। (শান্ত গলায় বলল।)
আরিফঃঃ- মানে?
আহিলঃঃ- নিউ স্টুডেন্টস। (ফার্স্ট টু লাস্ট সব কাহিনি বললো।)
আরিফঃঃ- এরা মেয়ে না কি অন্য কিছু। তোদের তো ছয়জন বারোটা বাজিয়েছে আর আমাদের দুইজনই ব্যান্ড বাজিয়ে দিল। (দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে ইয়াশের কাঁধে হাত রাখলো।)
ওয়াসিমঃঃ- তোরা গিয়েছিস গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে প্লাস ফটোগ্রাফি করতে। তোদের আবার ব্যান্ড বাজালো কে?
ইয়াশঃঃ- দেখ জার্নি করে এসেছি অনেক ক্লান্ত। এখন ওদের কথা চিন্তা করার টাইম নেই। সেই এক লম্বা কাহিনি। অন্য একসময় বলব। এখন রেস্ট নিই বিকালে একসাথে সবাই মিলে কিছুক্ষণ গল্পগুজব করব।
.
.
.
নূর আর তন্বি হাসতে হাসতে বেডের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে। এমন সময় নূর বলে উঠল। “দাঁড়া ফকিন্নি গুলোর কি অবস্থা দেখি।” সবাইকে একসাথে ভিডিও কনফারেন্সে নিল।
তন্বিঃঃ- হাই ডায়নিরা।
সিমাঃঃ- হেই লিটল পেত্নী। ডায়নি বললি কাকে?
নূরঃঃ- তন্বি! এসব কি? ওরা কি ডায়নি? (রাগী সুরে) আরে ওরা সবাই ডায়নি না। শাকচুন্নি,, ডায়নি,, পেত্নী,, রাক্ষসী,, চুড়েল,, ভুতনি। পাঁচজন পাঁচ রকম। রাইট? (মুচকি হাসি দিয়ে)
তন্বি রীতিমতো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বাকিরা তো রাগে ফুঁসছে। সামনে থাকলে হয়তো ঘাড় মটকে দিত। পারছে না মোবাইলের মধ্যে ঢুকে মারতে।
পুষ্পঃঃ- নিজে কি হ্যাঁ? এক নাম্বারের ফকিন্নি। তুই… তুই… (কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না)
আলিফাঃঃ- তুই ড্রাইকুল্লার বউ।
মেহেরঃঃ- কুল্লা মানে তো কুলি করা।
নূরঃঃ- (হাসতে হাসতে বেডের উপর কাইত হয়ে পড়ে গেল) আরে ওটা ড্রাইকুল্লা না… (আবার অট্টহাসিতে ফেটে উঠল) ওটা ড্রাকুলা।
আলিফাঃঃ- সেই যাই হোক ড্রাইকুল্লা ডরাইকুল্লা ইয়া কি যেন বললি ওই কুল্লা। তাও তুই ওর বউ।
কি বলছে সেই আদৌও নিজে বুঝেছে কি না সন্দেহ। কিন্তু বাকিদের হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে সেটা শিওর।
নূরঃঃ- আলু আলুই থাকবি। (আলিফা রাগী চোখে তাকাল) সেটা না যার জন্য এই আলাপ আলোচনা। তো বল ফেস প্যাক মাখানোর পর কার কি অবস্থা।
আমরিনঃঃ- আমার তো মনে হয় মুখে ব্রণ উঠবে। সব ওই অসভ্য আহিলের বাচ্চা কাহিলের জন্য। (বলেই জিহ্বায় কামড় দিল)
পুষ্পঃঃ- মানে? কি হয়েছে? বল আমু।
আমরিনঃঃ- (কি বলব এখন?) হ্যাঁ আম্মু আসছি। আচ্ছা পরে কথা বলব বাই। (ডাহা মিথ্যা কথা)
ফোন কেটে দিল। কেউ কোন আগা মাথা বুঝল না। তাই তারাও কথা বলে ফোন কেটে দিল। তিন দিন পর গেল ভার্সিটি। গেইট দিয়ে ঢুকতে না ঢুকতে সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।
সিমাঃঃ- আজব হাসার এমন কি হলো। আমাদের মাথায় শিং গজিয়েছে নাকি দেখতে জোকার জোকার লাগছে। হুহ্।
মেহেরঃঃ- হয়তো ওই দিনের ঘটনার জন্য হাসছে। তাতে কি হুহ্।
ছেলেরা গাড়ি পার্ক করে আসতেই দেখে তাদের দিকে তাকিয়ে সবাই মিটিমিটি হাসছে। তাদের বুঝতে বাকি রইল না সেই দিনের জন্যই হাসছে। চরম বিরক্ত লাগছে তাদের হাসিতে। এক সময় যাদের দেখেই সরে যেত এখন তাদের সামনে এসেই হাসছে। প্রচুর রাগও হচ্ছে।
রিহানঃঃ- হোয়াট? এখানে হাসার কি আছে আমাদের কি জোকার মনে হয়। যে আমরা তোমাদের হাসাতে এসেছি। যত্তসব ফাউল লোক। (চিল্লিয়ে রেগে বলল।)
সবাই চোখ নিচু করে সরে গেল।
আফরানঃঃ- এসব ওই মেয়ের জন্য হয়েছে। (হঠাৎ ডাক পড়ায় পিছন ফিরে তাকায়) তুমি…..
.
.
.
চলবে
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ? হয়তো ভালো করে গুছিয়ে লিখতে পারিনি। তার জন্য সরি